Monday, October 6, 2025







বাড়ি"ধারাবাহিক গল্প"তোর_শহরে_ভালোবাসা পর্ব-২৭

তোর_শহরে_ভালোবাসা পর্ব-২৭

#তোর_শহরে_ভালোবাসা??
……..{সিজন-২}
#ফাবিহা_নওশীন

পর্ব~২৭

আদির কিছুই ভালো লাগছে না সামুকে ছাড়া।এই কদিনে সামু ওর অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।এখন আপসোস হচ্ছে কেন প্রোগ্রামের কথা বলেছিলো।
আদি বিছানায় শুয়ে এপাশ ওপাশ করছে।ভাবছে সামুকে ফোন দিবে।সামু ঘুমিয়ে গেছে হয়তো।তাতে কি ফোন তো দিবেই,ওর সামুর সাথে কথা বলা চাই চাই।
আদির মাথায় দুষ্ট বুদ্ধি এলো।আদি নিউ একটা সিম দিয়ে সামুকে ফোন দেওয়ার কথা ভাবছে।
যা ভাবা তাই কাজ।আদি সামুকে নিউ নাম্বার দিয়ে ফোন দিলো।
একবার বেজে কেটে গেলো।আদি মনে মনে ঠিক করে নিলো আরেকবার ট্রাই করবে না পিক করলে সোজা ওর কাছে চলে যাবে।
সামু ঘুমঘুম চোখে ফোন হাতরে ধরার চেষ্টা করছে।কখন থেকে বেজে যাচ্ছে যা ওকে প্রচন্ড বিরক্ত করছে।বিরক্তির কারণে কপাল কুচকে গেছে।সামু অবশেষে ফোন হাতরে পেলো।
ফোন নিয়ে রিসিভ করে ঘুমঘুম কন্ঠে বললো,
——হ্যালো কে বলছেন?

আদি সামুর কন্ঠ শুনে থমকে যায়।সামুর ঘুমঘুম কন্ঠস্বর ওর কাছে আবেদনময়ী লাগছে।আদি চুপ করে সামুর হ্যালো হ্যালো শুনে যাচ্ছে।
সামু বিরক্তি নিয়ে ভালো ভাবে চোখ খোলে নাম্বার দেখে নিলো।অপরিচিত নাম্বার। এতো রাতে কে ফোন দিয়ে চুপ করে আছে?সামুর নাম্বার বেশি মানুষের কাছে নেই।
সামু কনফিউশন নিয়ে আরেকবার হ্যালো কে বলছেন বললো।বাট নো রেসপন্স।সামু ধরে নিলো রং নাম্বার হবে।সামু ফোন কেটে দিয়ে বালিশে মুখ গুজে দিলো।
কিন্তু সামুকে সামুর ফোন শান্তি দিলোনা।আরেকবার বেজে উঠলো।

সামু রিসিভ করে কড়া ভাবে বললো,
—–কে বলছেন?কাকে চাই?প্লিক স্পিক আপ।

সামু এবার শুধু নিশ্বাসের শব্দ শুনতে পেলো।মনে হচ্ছে কেউ ওর কথা গভীর ভাবে শুনছে।
সামুর রাগ হচ্ছে।কেউ শুনছে কিন্তু উত্তর দিচ্ছেনা।।সামু রাগী কন্ঠে বললো,
—-ওই কে রে?কে আপনি? মাঝরাতে ফোন করে ফাইজলামি করছেন?
ওই কথা বলিস না কেন?বাড়িতে মা-বোন নেই?গার্লফ্রেন্ড বা বউ নেই?অন্য মেয়েকে ডিস্টার্ব করিস? কি মনে করেছিস আমাকে ফোন দিবি আর আমি মাঝরাতে তোর সাথে গল্পে মেতে উঠবো?আমার ঘুম নষ্ট করার জন্য তোকে আমার খুন করতে ইচ্ছে করছে।
শালা বদমাইশ।বদমাইশির জায়গা পাস না?
ফোন রাখ আরেকবার ফোন দিবি গলা টিপে তোর নিশ্বাস বন্ধ করে দেবো।

—–সে জন্য তো তোমাকে আমার কাছে আসতে হবে।গলা টিপার জন্য হলেও কাছে এসো।
আদি ফিসফিস করে কথাগুলো বললো।
সামুর কান যেনো তব্দা হয়ে গেছে।মুখ দিয়ে কথা সরছেনা।
ফোনের দিকে একবার চেয়ে ফোন আবারো কানে দিলো।আদি ফোনে কান পেতে মুচকি হাসছে।
সামু ঢুক গিলে বললো,
—–তুতু…মি?

—–তো কাকে আশা করেছিলে?

—–ইয়ে মানে,,আমার কোনো দোষ নেই।সব তোমার দোষ।এটা কার নাম্বার? আর তুমি চুপ করে ছিলে কেন?

—–তোমার কথা শুনছিলাম।তোমার নিশ্বাসের শব্দ শুনছিলাম।নিজেকে নিজে বিরক্ত করতে চাইনি।

—–হুম।আর আমি ভেবেছি কোন গাজা খোর বখাটে ছেলে।

আদি ভ্রু কুচকে বললো,
—–তুমি আমাকে আবার বখাটে বললে?
এর শাস্তি তো তোমাকে পেতেই হবে।গতবারের কথা মনে নেই?

—–আমি কি তোমাকে বলেছি?আমি তো বলেছি ভেবেছিলাম কোনো বখাটে…

—–আবার?
না দাড়াও আমি আসছি।

সামু বিছানায় লাফ মেরে উঠে বসে পড়ল।
—–এই নাহহ…যা শাস্তি দেওয়ার কাল দিবে এখন না।প্লিজ আসবেনা।

—–আচ্ছা।রেডি থেকো।

দুজনেই কিছুক্ষণ নীরবতা পালন করলো।তারপর আদি বললো,
——সামু মিস করছি খুব।

—–আমিও।

—–তুমিও কি?

—–আমি একটা সাদা জিরাফকে মিস করছি।
আদি শব্দ করে হাসলো।সামু মুগ্ধ হয়ে শুনছে।
ওরা ওদের জমানো সব কথা বলে ঘুমের দেশে পাড়ি জমালো।

.

সামু আজই মেহেদী দিবে।আগামীকাল নিজেরা মিলে হলুদ করবে।হলুদে সবাই ব্যস্ত থাকবে।তাই সামু আজই হলুদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।দুহাত ভর্তি মেহেদী দিয়ে সামু বসে আছে।আদি সামুর পাশে এসে বসলো।মেহেদী শুকিয়ে এসেছে।সামু আদির দিকে চেয়ে দেখে আদি গভীর ভাবে মেহেদী দেওয়া হাত দেখছে।আদি হাত ছুতে যাবে তখনই সামু হাত সরিয়ে ফেলে।
—–আদি হাত দিচ্ছো কেন?এইবার আমি মেহেদী নষ্ট করতে চাইনা।আর তোমার নাম লিখা হয়েছে সো আমার থেকে দূরে থাকো।

আদি সামুর দিকে চেয়ে বাকা হেসে বললো,
—–মেহেদী তো আমার জন্যই দিচ্ছো আর আমাকেই দূর দূর করছো?

সামু নাক ফুলিয়ে বললো,
——দূর দূর কই করলাম।তোমাকে শুধু বললাম নষ্ট করোনা।
যাইহোক মেহেদী তুলে আসি।শুকিয়ে গেছে।দেখি কতটা লাল হয়েছে।কতটা ভালোবাসো আমাকে।
আদিও সামুর পেছনে পেছনে গেলো।সামু মেহেদী পরিস্কার করে মেহেদী রাঙ্গা হাতের দিকে চেয়ে আছে।

আদি পেছন থেকে এসে সামুর দুহাত নিজের আয়ত্তে এনে চুমু খেয়ে বললো,
—–লোকমুখে শুনেছি মেহেদী গাঢ় হলে নাকি বর খুব ভালোবাসে।দেখলে আমি তোমাকে কত ভালোবাসি।
সামুর মুখ লজ্জায় লাল হয়ে গেছে।
আদি সামুর গালে ঠোঁট ছুইয়ে বললো,
—–শাস্তির কথা ভুলে গেছো?

সামান্তা চোখ বড়বড় করে আদির দিকে তাকালো।
আদি মুচকি হেসে চোখ মেরে বললো,
——ভয় পেওনা এখন কিছু বলবোনা।সব জমা থাক।

.

সন্ধ্যায় হলুদের অনুষ্ঠান।সবাই মিলে রং খেলছে।সামু আর নিশি নিশির রুমে বসে বসে গল্প করছে।
আদি সামুকে এসে বলে গেলো,নিচে সবাই রং খেলছে সাবধান।

সামু নিজের রুমে আসছে।আর তখনই নিশি নিজের সাজের জিনিসপত্র সামুর হাতে ধরিয়ে দিলো।
—–সামু এগুলো মেকাপ রুমে রেখে যাস।আর হ্যা তাড়াতাড়ি গোসল সেড়ে রেস্ট নিয়ে নে।

সামু সিড়ি দিয়ে নামতে নামতে পুরো ড্রয়িংয়ে চোখ বুলালো।দু-চারজন এদিক সেদিক বসে আছে।
“আদি তো বললো রং খেলছে।এখানে তো কেউ নেই।আর থাকার কথাও না।এটা কি রং খেলার জায়গা?”

সামু নিশির জিনিসপত্র মেকাপ রুমে রেখে বের হতেই দুজন ছেলে আর একটা মেয়ে রং হাতে সামুর সামনে এসে দাড়ালো।সামু ওদের দেখে চোখ বড়বড় করে ফেললো।

—–ভাবী আর কত লুকিয়ে থাকবেন।পেয়েছি সুযোগ।আপনাকে রং না লাগিয়ে ছাড়ছিনা।

সামু ঘাবড়ে গিয়ে বললো,
—-নো নো,,প্লিজ।আমার এখন অনেক কাজ আছে।আমাকে রং দিবেন না প্লিজ।

—–কোনো কথা শুনছিনা।
সামু ওদের এভয়েড করে চলে যেতে নিলে ওরা সামনে এসে পথ আটকে দাড়ায়।

রং লাগাতে নিবে সামু দুগালে হাত রেখে চোখ মুখ খিচে রাখে।যার ফলে রং গলায় ঘাড়ে পড়ে।মুখেও কিছুটা লেগেছে।সামুর প্রচন্ড রাগ বিরক্তি দুটোই হচ্ছে কিন্তু প্রকাশ করতে পারছেনা।ইচ্ছে করছে চটকাতে কিন্তু ভদ্রতা বজায় রাখতে সেটাও পারছেনা।সামু কিছুনা বলে সেখান থেকে কোনো ভাবে চলে গেলো।
আয়নার সামনে দাড়িয়ে টিস্যু দিয়ে রং তুলছে।কপালে বিরক্তির ভাজ পড়েছে।
রং উঠাতে গিয়ে মুখ জ্বলে যাচ্ছে।সামু বিরবির করে চোদ্দগুষ্টি উদ্ধার করছে।

পেছন থেকে আদি এসে বললো,
—–এই রং লাগলো কিভাবে?

সামুর আদির এই প্রশ্নও বিরক্ত লাগছে।উত্তর না দিয়ে রং মুছতে লাগলো।
আদি সামুর সামনে এসে দাড়িয়ে গম্ভীর গলায় বললো,
—–রং কে দিয়েছে?

সামু না ঘুরেই বললো,জানিনা।আমি চিনিনা।

——তোমাকে নিষেধ করেছিলাম না যেতে?বলেছিলাম না রং খেলছে ওরা।

—–কাজ ছিলো তাই গিয়েছিলাম।আমি কি জানতাম ওই ছেলেগুলো এমন করবে।

ছেলেগুলো শব্দটা শুনে আদি ক্ষেপে গেলো।ওর বন্ধুরা ছাড়া আর কেউ এ কাজ করে নি।বারবার ওদের বলা হয়েছে সামুর থেকে দূরে থাকতে আর ওরা সামুকে রং দিয়েছে।এটা আদি মেনে নিতে পারছেনা।
সামু আদিকে খেয়াল করে নি।খেয়াল করলে দেখতে পেতো আদি কতটা রেগে গেছে।ওকে কতটা হিংস্র লাগছে।
সামু চুলের খোপা করে ওয়াশরুমে যাচ্ছে।শাওয়ার নিলেই একমাত্র এগুলো তুলতে পারবে।
সামু ওয়াশরুমে যাওয়ার জন্য পা বাড়ালেই আদি ওর হাত চেপে ধরে।সামু হাতে চাপ অনুভব করে আদির দিকে বিস্ময় নিয়ে তাকালো।

সামু ঘাবড়ে যাওয়া কন্ঠে বললো,
—–আদি কি হয়েছে? এমন করছো কেন?

—–আমি শেষ বারের মতো বলছি ওদের থেকে দূরে থাকবে।
আর ওদের ব্যবস্থা আমি করছি।

সামু ভয় পেয়ে বললো,
—–কি ব্যবস্থা? আদি কি করতে চাইছো?ওরা তো জাস্ট মজা করে…

—–আর তোমার ভালো লেগেছে?
তোমার মুখে,গলায়,ঘাড়ে কি সুন্দর রং।

সামু রেগে গিয়ে বললো,
—–আদি!! কি আজেবাজে কথা বলছো?মাথা ঠিক আছে?

আদি সামুর কথার উত্তর না দিয়ে চলে গেলো।সামু দরজা পর্যন্ত গিয়ে দাড়িয়ে গেলো।
সামু সেখানেই দাড়িয়ে আছে।তারপর আবার রুমে এসে শাওয়ার নিয়ে নিলো।বেরও হতে পারছেনা।আদি কি করছে কে জানে?
সামু আদিকে ফোন দিলো।কিন্তু আদি ফোন তুলছেনা।
কিছুক্ষণ পর সামু জানতে পারলো আদি ওর দুই ফ্রেন্ডের সাথে রুড ব্যবহার করেছে।আর ওরা রাগ করে চলে গেছে।সামু এটা শোনার পর নিজেকে ঠিক রাখতে পারলো না।

সামু আদির খোজে আদির রুমে গেলো।আদি মাত্র শাওয়ার নিয়ে বের হয়েছে।সামুকে দেখে আদি থমকে যায়।সামুর চোখমুখ লাল হয়ে আছে।

সামু আদির পাশে গিয়ে দাড়ালো তারপর বললো,
—–আদি কি শুরু করেছো?উনাদের সাথে নাকি খারাপ ব্যবহার করেছো?

আদি ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে বললো,
—–তো??

সামু আদির ডোন্ট কেয়ার ভাব দেখে অবাক হলো।আদির মধ্যে কোনো অনুতাপ নেই।
—-আদি উনারা আমাদের মেহমান আর তোমার ফ্রেন্ড।

—-আচ্ছা তাই নাকি?আমার ফ্রেন্ড বলে ছেড়ে দিবো।আমার বউয়ের ইচ্ছের বিরুদ্ধে রং মাখবে আর আমি চুপ করে থাকবো।

—-আদি বিয়ে বাড়িতে এমন হয়।তাই বলে এমন করবে?কি ভাববে?(মন খারাপ করে)

—–হু কেয়ারস? যা খুশি ভাবুক।

আদির এই ভ্রুক্ষেপহীন আর গা-ছাড়া ভাব সামুর ভালো লাগছেনা।
—–বাট আই কেয়ার।ওরা যা ভাবার আমাকেই তো ভাববে তাইনা?তুমি এমন একটা কাজ কি করে করলে?আমাকে ছোট করলে?

—–সামু এই ম্যাটার এখানেই ক্লোজড।আমি এ নিয়ে আর কথা বলতে চাইনা।

—–রাইট আমিও চাইনা।কজ তোমাকে এসব বলা বোকামি ছাড়া আর কিছুনা।

—–তোমার এতো জ্বলছে কেন সেটাই তো বুঝতে পারছিনা?

সামু চোখ মুখ শক্ত করে বললো,
—–কারণ আমি তোমার মতো নই।

সামু আর কথা না বাড়িয়ে রুম থেকে বেড়িয়ে গেলো।আদি অনেক বার সামুকে ডাকলো কিন্তু সামু সাড়া দেয়নি।সামুর রুমের সামনে যেতেই সামু ঠাস করে দরজা বন্ধ করে দেয়।
আদিও আর চেষ্টা করে নি।

হলুদের অনুষ্ঠান শুরু হয়ে গেছে।আদি বারবার সামুর দিকে তাকাচ্ছে।যা সামুর ভালো লাগছে না।
তাই সামু নিশিকে বললো,
—–আপু তাড়াতাড়ি করো আমার ভালো লাগছে না।আমি তাড়াতাড়ি রুমে গিয়ে ফ্রেশ হতে চাই।

আদি বুঝতে পারলো সামু আদির জন্য এ কথা বলেছে আর এখনো আদির উপর রেগে আছে।আদির উল্টো রাগ হলো।

নিশি তাড়াতাড়ি সব ফর্মালিটি শেষ করে সামুকে রুমে পাঠিয়ে দিলো।আদির বন্ধুরা আদিকে বারবার এটা সেটা বলছে,ড্রিংক করছে কিন্তু আদির সেদিকে মন নেই।সামুর সাথে একটা বুঝাপড়া না হলে ওর শান্তি নেই।

সামু আয়নার সামনে দাড়িয়ে গয়না খোলছে।তখনই ঠাস করে দরজা খোলার শব্দে পেছনে ঘুরে।আদি ঝড়ের গতিতে সামুর কাছে এসে সামুকে আয়নার সাথে চেপে ধরে সামুকে কোনো প্রকার সুযোগ না দিয়েই সামুর ঠোঁট দখল করে নিলো।
সামু প্রথমে নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করলেও পরে আদির কাছে হার মানতে বাধ্য হয়।আদি সামুর কপালে কপাল ঠেকিয়ে জোরে জোরে শ্বাস নিচ্ছে।সামুও হাপাচ্ছে।
—–রাগ করিস কেন বউ?জানিস কতটা অস্থির লাগছিলো? তোকে কত ভালোবাসি বুঝিস না কেন? আমি কাউকে সহ্য করতে পারিনা তোর আশেপাশে।তাই কাউকে ঘেষতে দেইনা তোর কাছে।
প্লিজ আর রাগ করে থেকোনা।

সামু আদিকে জড়িয়ে নিলো।যাই করুক না কেন ওকে অগ্রাহ্য করার শক্তি ওর নেই।
আদি জিজ্ঞেস করলো,
—–আর রাগ নেই তো?

সামু বললো,
—–উহু।

আদি সামুকে ছাড়িয়ে বাকা হেসে বললো,
—–এক চুমুতে এতো পাওয়ার?

সামু নাক কুচকে আদির বুকে কিল দিলো।
আদি সামুর দুগাল ধরে কপালে গভীর ভাবে চুমু খেলো।

.

রিসিপশনে সামু পার্পেল কালার লেহেঙ্গা পড়েছে।সামু আদি দুজনের শখানেক ছবি তোলা হয়ে গেছে।বাড়ি,ছাদ,গার্ডেন বাড়ির প্রতিটি আনাচে কানাচে কোথাও বাদ রাখেনি।
সামু প্রচন্ড টায়ার্ড।সামু আর না পেরে আদিকে বললো,
—-আদি আ’ম সো টায়ার্ড।

আদিও অসহায় ফেস করে বললো,
আমিও।
তারপর বললো,
—–ভাই আর কত?যত ছবি তুলেছি আমাদের নাতিপুতি ১০প্রজন্ম মিলে দেখে শেষ করতে পারবেনা।এবার তো ক্ষান্ত হোন।

—–ভাই আরেকটা।তারপর শেষ।

অবশেষে ওরা ছাড়া পেলো।সামু হাফ ছেড়ে বাচলো।
—–থ্যাংকস টু ইউ।বাচলাম।এখন আমি গিয়ে লং শাওয়ার নিবো।
আদি সাথে সাথে বললো,
—–একদম না।তোমাকে বউ সাজে দেখে আমার মন ভরেনি।যতক্ষণ পর্যন্ত আমার মন ভরবেনা ততক্ষণ চেঞ্জ করতে পারবেনা।

সামু চোখ বড়বড় করে বললো,
—–আদি আমি পারবোনা।ভালো লাগছেনা,এখুনি আমাকে ফ্রেশ হতে হবে।প্লিজ।

আদি চোখ ছোট ছোট করে বললো,
—–নো মানে নো…

চলবে……

গল্প পোকা
গল্প পোকাhttps://golpopoka.com
গল্পপোকা ডট কম -এ আপনাকে স্বাগতম......
RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments

Md masrur Hasan mahi على অবুঝ_বউ পার্ট: ৫
আমিনুল ইসলাম على প্রয়োজন পর্ব: ৩০ ( অন্তিম)
সাজিবুল ইসলাম على ধর্ষিতাবউ২ ৯ তথা শেষ পর্ব
শাহিদুল ইসলাম على জীবন সঙ্গী ১ম পার্ট
শাহিদুল ইসলাম على জীবন সঙ্গী ১ম পার্ট
Nita Sarkar على স্বপ্নীল ৬৮
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على রহস্য শেষ_পর্ব
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على অলক্ষ্যে তুমি পর্ব-০৬ এবং শেষ পর্ব
Nazmun Nahar Akhi على Psycho_is_back? part_7
Nazmun Nahar Akhi على Dangerous_Villian_Lover part 2
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على জানালার ওপারে পর্ব-১৭ এবং শেষ পর্ব
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على লীলা বোর্ডিং ১২১৫ পর্ব-১১ এবং শেষ পর্ব
মিজানুর রহমান রাহুল على সেই তুমি পর্ব-০১
@feelings على প্রহেলিকা
Anamika Basu على সে পর্ব-১২
Anamika Basu على সে পর্ব-১২
Nusrat jahan على coffee & vanilla Part-10
Pallabi Roy على স্বপ্নীল ৬৮
M.D Mahabub على The_Villain_Lover Part_2
Labani sarkar على Dangerous_Villain_Lover part 23
MD Akas Apc على বিবেক
Tanisha Ahmed على Devil love part-18 
Aius Barmon shorob على নারীর দেহকে নয়
Chandan roy على স্বপ্নীল ৬৮
Chandan roy على স্বপ্নীল ৬৮
Riya Biswas على তুমি রবে ৬০
Priya Banerjee على devil love married life last part
Riya Biswas على তুমি রবে ৬০
Riya Biswas على তুমি রবে ৫২
Mohammad Adib على তুমি রবে ৬০
Avni Ayesha على তুমি রবে ২৮
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
সুমিত على তুমি রবে ২৮
TANJIBA ZENIFAR على তুমি রবে ৫০
TANJIBA ZENIFAR على তুমি রবে ৫০
Samiah Begum على তুমি রবে ৫১
biddut das rocky على নর নারী
গল্প পোকা على নষ্ট গলি শেষ পর্ব
Md Jobayer Hossain Shohag على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
গল্প পোকা على দুই অলসের সংসার
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤৪২.
A.J.S Rakib على মন ফড়িং ❤৪২.
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
Samiya noor على গল্পঃ ভয়
Sadikul على গল্পঃ ভয়
Samia Islam على গল্পঃ ভয়
শূন্য মায়া على মন ফড়িং ❤ ৪০.
Sutapa biswas على মন ফড়িং ❤৩৯.
Foysal Mahmud على My_Mafia_Boss_Husband Part: 16
sutapa biswas على মন ফড়িং ❤ ৩৮.
sutapa biswas على মন ফড়িং ❤ ৩৭
Foysal Mahmud على My_Mafia_Boss_Husband Part: 16
Siyam على বিবেক
Sudipto Guchhait على My_Mafia_Boss পর্ব-৯
saptami karmakar على devil love married life last part
saptami karmakar على devil love married life last part
মায়া على মন ফড়িং ৩০.
মায়া على মন ফড়িং ৩০.
মায়া على মন ফড়িং ২৬.
Shreyashi Dutta على  বিয়ে part 1
Sandipan Biswas على  বিয়ে part 1
Paramita Bhattacharyya على অনুরাগ শেষ পর্ব
জামিয়া পারভীন তানি على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
মায়া على মন ফড়িং  ২২
সুরিয়া মিম على খেলাঘর /পর্ব-৪২
গল্প পোকা على মন ফড়িং ২১
গল্প পোকা على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
Sahin ssb على মন ফড়িং ২১
মায়া على মন ফড়িং ২১
মায়া على মন ফড়িং ❤ ২০.
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤ ২০.
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৮. 
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৭.
Jannatul Ferdous على খেলাঘর পর্ব-৩৫
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤ ১৬. 
গল্প পোকা على ফাল্গুনের_ফুল last_part_8
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৬. 
গল্প পোকা على ছাত্রী যখন বউ পাঠঃ ১
গল্প পোকা على বাজির প্রেম পাঠঃ ১
Foujia Khanom Parsha على মা… ?
HM Ashraful Islam على অবুঝ_বউ পার্ট: ৮
HM Ashraful Islam على অবুঝ_বউ পার্ট: ৫
Ibna Al Wadud Shovon على স্বার্থ