তোর_শহরে_ভালোবাসা পর্ব-১৫

0
2517

#তোর_শহরে_ভালোবাসা??
………{সিজন-২}
#ফাবিহা_নওশীন

পর্ব~১৫

??
দুপুরে সবাই ডাইনিং টেবিলে লাঞ্চের জন্য জয়েন করছে।সামুও যাচ্ছে।নওমীও।নওমীর পুরো মনোযোগ এতোক্ষণ সামুর দিকে ছিলো এখনো তাই।দুজনেই ডাইনিংয়ের দিকে এক সাথে যাচ্ছে আর সার্ভেন্টরা খাবার এনে টেবিলে রাখছে।হুট করে একজন সার্ভেন্টের সাথে ধাক্কা লেগে সার্ভেন্টের হাতের মাংসের গরম বাটি পড়ে যায়।সামু চিতকার করে উঠে।সবাই টেবিল থেকে উঠে দাড়ায়।সামুর পায়ের উপর গরম তরকারির বাটি পড়ে গেছে।সবাই এই অবস্থা দেখে হতবাক।সামুর পায়ের সাথে গরম যুক্ত তরকারি যেনো আঠার মতো লেগে আছে।সামু হাত দিতে যাবে কোথায় থেকে আদি দৌড়ে এসে ওর পায়ের উপর থেকে গরম তরকারি সরাচ্ছে।আদিকে দেখে সবার হুশ হলো।আদি চিতকার করে বললো,পানি আনো!!

সামুর চোখ বেয়ে পানি পড়ছে।আদির হাতও কিছুটা পুড়ে যাচ্ছে।নিশি পানির জগ আনতেই আদি পায়ের উপর ঢেলে দিলো।নিশি আরো এক জগ পানি এনে ঢেলে দিয়ে পা পরিস্কার করে নিলো।আদির মা সামুকে ধরে দাড় করালো।সামুর পা জ্বলে যাচ্ছে।মনে হচ্ছে পা সাথে নেই।আদি সামুকে পাজা কোলে তুলে নিলো।এতো মানুষের সামনে এভাবে কোলে তুলে নেওয়ায় সামু অস্বস্তিতে পড়ে কিন্তু সেদিকে আদির ভ্রুক্ষেপ নেই।সামুকে সোফায় নিয়ে বসিয়ে দেয়।নিশি মলম হাতে দৌড়ে এলো।
আদি সামুর সেলোয়াল কিছুটা উপরে উঠিয়ে মলম লাগাতে শুরু করলো।সবাই আদির কাজ দেখে স্তব্ধ।ও কাউকে কিছু করতে দিচ্ছেনা।

আদি নিশিকে বললো,
—–নিশি ডক্তরকে ফোন দে।

আদির কথায় নিশির হুশ ফিরলো।নিশি ডাক্তারকে ফোন করতে চলে গেলো।নওমী অস্থির অস্থির করছে।হাতের নখ কাটছে দাত দিয়ে।
আদি সামুকে জিজ্ঞেস করলো,
—–তোমার কষ্ট হচ্ছে খুব?জ্বলছে?ডাক্তার আসছে একটু অপেক্ষা করো।

আদির মা ছেলেকে অবাক হয়ে দেখছে।সামুর অবস্থা দেখে কষ্ট পেলেও আদিকে দেখে তিনি খুব খুশি।

সামুর পাশে বসে বললো,
—–খুব জ্বলছে?
আর ওরা কি চোখে দেখে না?

আদির মা সার্ভেন্টের কাছে গিয়ে তাকে বকতে শুরু করলো।সার্ভেন্ট মাথা নিচু করে দাড়িয়ে আছে।
আদি উঠে গিয়ে নওমীকে কষিয়ে চড় মারলো।সাবাই এমন ঘটনায় হতভম্ব।নওমী গালে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।নিশির হাত থেকে ফোন পড়ে যাচ্ছিলো নিজেকে সামলে নিলো।সামুর যেনো চোখ কোঠর থেকে বেরিয়ে আসবে।কি হচ্ছে কেউ কিছুই বুঝতে পারছেনা।

আদির মা এগিয়ে এসে আদিকে ধমক দিয়ে বললো,
—–আদি পাগল হয়ে গেছিস ওকে কেন মারলি?

আদি নওমীর দিকে চেয়ে বললো,
—–কি নওমী তুমি বলবে না আমি বলবো?

আদির কথা শুনে নওমীর কলিজা শুকিয়ে গেছে।নওমী আমতা আমতা করে বললো,
—–আমি কি করেছি?

আদি ক্ষেপে ওর দিকে তেড়ে যেতেই আদির মা আদিকে আটকে দেয়।
—–কি হয়েছে বল আমরা শুনি।

আদি ওর মায়ের দিকে চেয়ে বললো,
—–নওমী ইচ্ছে করে সবটা করেছে।ইচ্ছে করে সামুর উপর গরম তরকারি ফেলেছে।

নওমী কাচুমাচু করে বললো,
—–আমি কেন তা করবো?তোমার ভুল হচ্ছে।

—–শাট আপ!! জাস্ট শাট আপ।আমি সব দেখেছি সব।আমাকে মিথ্যা বলার প্রয়োজন নেই।ও সামুকে হিংসা করে।আমার কাছে কখনো পাত্তা পায়নি।তাই সেই রাগ সামুর উপর ঢেলেছে।আমি সবটা দেখেছি।ফুপি তোমার মেয়েকে বলো সামুর থেকে যেনো দূরে থাকে।নয়তো আমার থেকে খারাপ আর কেউ হবেনা।

আদি হনহন করে চলে গেলো।সামুকে তুলে নিজের রুমে চলে গেলো।
নওমীর মা নওমীকে জিজ্ঞেস করলো,
—–তুই এসব করেছিস?

নওমী মাথা নিচু করে আছে।

নওমীর মা চিতকার করে বললো,কথা বল।

নওমী কেপে উঠলো।তারপর বললো,
—–হ্যা আমি করেছি।কারণ আদি আমাকে অপমান করেছে।সব সময় ইগনোর করেছে আর আজ আমাকে ভদ্র ভাষায় চূড়ান্ত অপমান করেছে।বেশ করেছি।

নওমীর মা নওমীকে আরেকটা থাপ্পড় মারলো।
নওমী গালে হাত দিয়ে ফুসফুস করছে।

আদি সামুকে বিছানায় বসিয়ে সাথে সাথে জড়িয়ে ধরলো।আচমকা জড়িয়ে ধরায় সামু হতবাক।এমন ভাবে ধরে আছে যেনো হারিয়ে যাওয়া অমূল্য ধন ফিরে পেয়েছে।
—- আ’ম সরি সামু।আমার জন্য তোমার এমন অবস্থা।তুমি জানো আমি কত ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম?তুমি জানোনা আমি….

দরজায় নক পড়লো।আদি দরজার দিকে চেয়ে দেখে দরজা খোলা।নিশি সেখানে দাঁড়িয়ে আছে।আদি সামুকে সাথে সাথে ছেড়ে দিলো।

নিশি অস্বস্তি নিয়ে বললো,ডাক্তার এসেছে।

সামু ডাক্তারের কথা শুনে বললো,
—–ডাক্তার দিয়ে কি হবে?পায়ে একটু গরম তরকারি পড়েছে তাতে ডাক্তারের কি কাজ?

নিশি কিছু বলতে যাবে আদি বলে উঠিলো,
—-সেটা তোমাকে ভাবতে হবেনা।তুমি শুধু চুপ করে বসে থাকো।পা দেখো কেমন লাল হয়ে গেছে।
নিশি ডাক্তারকে নিয়ে আয়।

নিশি ডাক্তার আংকেলকে ডাকতে চলে গেলো।

ডাক্তার দেখে গেছে আর কিছু মেডিসিন প্রেসক্রাইব করে গেছে।একটু রেষ্টে থাকতে বলেছে।
সামুকে রুমেই লাঞ্চ দেওয়া হয়েছে।লাঞ্চ শেষ করে মেডিসিন নিয়ে এখন একটু ঘুমাচ্ছে।

ঘুম ভাংতেই সামু দেখে নিশি ওর পাশে বসে আছে।কেমন অন্ধকার অন্ধকার লাগছে হয়তো সন্ধ্যা নেমে এসেছে।সামু উঠে বসতেই নিশি ভ্রু কুচকে সামুর দিকে চেয়ে আছে।সামুর বুঝতে বাকি নেই নিশি কেন এমন করছে।
সামু মনে মনে বলছে লে এখন আমি বলিকা পাঠা।
সামু টেডি স্মাইল দিয়ে বললো,তো কি বলবেন ননদিনী?

নিশি চোখ ছোট ছোট করে বললো,
—–কতদিন চলছে এসব?তোমাদের প্রেম জমে ক্ষীর আর আমার কাছে গিয়ে এমন ভাব নেও যেনো দুজন দু মেরুর বাসিন্দা।এটা কি ঠিক হলো?

—–নিশিপু আমি হাজার বার বললেও তুমি বিশ্বাস করবেনা তাই আমি কিছু বলতে চাইনা।

—–না বল শুনি কি বলতে চাস?

—–তুমি যা ভাবছো তেমন কিছুই না।উনি তো হুট করে ইমোশনাল হয়ে আমাকে জড়িয়ে ধরেছে।আর তুমি তিলকে তাল বানাচ্ছো।

—–চুপ কর। আর নিচে ভাইয়া যে রিয়েকশন দিলো সেটা?ভাইয়াকে আমি কারো প্রতি এতো সেন্সেটিভ হতে দেখিনি।আমি আজ ভাইয়াকে কারো জন্য এতটা হাইপার আর টেনশ হতে দেখেছি।নওমীকে কিভাবে শাসালো।আর সাথে ঠাস করে থাপ্পড় ফ্রি।এর পরেও মিথ্যা বলছিস?

——সত্যিই আমি কিছু জানি না।ট্রাস্ট মি।

নিশি সামুর দিকে কিছুক্ষণ চেয়ে থেকে বললো,
—–ওকে বিশ্বাস করলাম বাট ভাইয়া মেবি ফল ইন লাভ উইথ ইউ।

—–কি বলছো?এটা তোমার ভুল ধারণা।

—–নো বেব!তুমিও তৈরি হয়ে যাও।নিজের অনুভূতিকে বুঝার চেষ্টা করো।তোমাদের হচ্ছে।

—–মানে??

—–কুচ কুচ হতা হে।
নওমীর ঘটনা ঘটে ভালোই হয়েছে।মাঝেমধ্যে থার্ড পারসন আসা উচিত লাইফে তাহলে ভালোবাসাটা আরো পোক্ত হয়ে যায়।একে অপরের প্রতি ভালোবাসাটা উপলব্ধি করতে পারে।থার্ড পারসন নিজের অজান্তেই দুটো মানুষকে কাছাকাছি এনে দেয় অদ্ভুত ভাবে।

নিশি তুম পাস আয়ে ইউ মুচকো রায়ে গান গাইতে গাইতে রুম থেকে চলে গেলো।সামু অবাক হয়ে নিশির যাওয়ার পথে চেয়ে রইলো।

সামু সেলোয়ার একটু উচু করে নিজের পা দেখছে।জায়গায় লাল ছিপছিপে দাগ ছিলো সেটা চলে যাচ্ছে।পায়ের জ্বালাটাও কমে গেছে অনেকটা।হটাৎ দরজা খোলার শব্দে সামু সেলোয়ার নামিয়ে নিলো।
আদি রুমে এসে সরাসরি সামুর পশে এসে বসলো।

—–এখন কেমন আছো?

—–ভালো।

সামু বেড থেকে নামতে নিলেই আদি বাধা দেয়।বিচলিত হয়ে বললো,
—–আরে আরে কি করছো?

সামু ভ্রু কুচকে বললো,
—–কেন??

—–ডাক্তার তোমাকে নামতে নিষেধ করেছে।

—–নিষেধ করেনি।বলেছে একটু রেস্টে থাকতে।আর আমার পা ভেঙে যায়নি জাস্ট গরম কিছু পড়ে একটু পুড়ে গেছে।এত দরদ দেখানোর কিছু নেই।(কঠিন গলায়)

আদি সামুর দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি দিয়ে বললো,
—–আমি দরদ দেখাবো না তো কে দেখাবে?

সামু কিছু না বলে ধপ করে বিছানায় বসে পড়ল।তারপর আদিকে বললো,
—–শান্তি??

আদি মুচকি হেসে বললো,
—–হ্যা।

সামু আড়চোখে আদির হাতে দিকে চেয়ে আছে।আদির হাত লাল হয়ে আছে।আদি তো হাত দিয়ে ওর পায়ের উপর থেকে সব সরিয়েছে।
সামু আদিকে বললো,
—–আপনারও বিছানা থেকে নামা উচিত না কজ আপনারও হাত পুড়েছে।হাতে এটা লাগিয়ে নিন।(একটা মলম এগিয়ে দিয়ে)

—–আমার কোনো আপত্তি নেই।
মলমটা হাতে নিয়ে আদি উত্তর দিলো।

সামু আর কথা বাড়ালো না।যদিও ওর কিছু জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছে করছে।আদি সেটা বুঝতে পেরে বললো,
—–কিছু বলবে?

সামু আমতা আমতা করে বললো,
—–আসলে বলছিলাম আপনার নওমী আপুর সঙ্গে এমন ব্যবহার করা উচিত হয়নি।উনি তো আর ইচ্ছে করে কিছু করে নি।

আদির হাসিমুখ হটাৎ করে কালো হয়ে গেলো।
তারপর দাতে দাত চেপে বললো,
——যেটা জানো না সেটা নিয়ে কথা বলোনা।ও ইচ্ছে করেই করেছে।আমি দেখেছি এখন তোমার আমার চেয়ে নওমীর কথা তোমার কাছে বেশি বিশ্বাসযোগ্য মনে হচ্ছে?

সামু দ্রুত মাথা নাড়িয়ে বললো,
—–না।
কিন্তু ও কেন এমন করবে?ওর সাথে তো আমার কোনো ঝামেলা নেই।

—–ও রাগ মিটিয়েছে।ওকে আমি কিছু কথা বলেছি যেকারণে ওর প্রচুর রাগ হয়েছে আর সেটাই মিটিয়েছে।ও আমার কাছে পাত্তা পায়নি বাট তোমাকে বিয়ে করে নিয়েছি সেটা ওর প্রেস্টিজে লেগেছে।

সামু আদির দিকে চেয়ে নিচুস্বরে ধীরে ধীরে বললো,
—–বাই এনি চান্স ও কি আপনাকে….

সামুকে কথা শেষ করতে না দিয়ে আদি ঝটপট বললো,নো।ও আমাকে ভালোবাসেনা।হয়তো ভালো লাগতো।ভালোলাগা আর ভালোবাসা এক নয়।আর ওর ভালোলাগা আমার সাথে সময় কাটানো ঘুরে বেড়ানো পর্যন্ত সীমাবদ্ধ ছিলো।বাট সেটা পারেনি তাই ইগোতে লেগেছে।আর সেজন্যই এমন করেছে।ওসব বাদ দেও।তুমি রেস্ট করো।

সামু ভাবতে লাগলো ও আদির জন্য কিছু ফিল করে সেটাকে কি হুট করে ভালোবাসা বলা ঠিক হবে?
ভালোবাসা না মোহ?কোনটা?আর যাইহোক মোহে পড়তে চাইনা।আমার আরো সময় দরকার ভাবার জন্য,বুঝার জন্য।নয়তো কোনো ভুল করে ফেললে এই ভুলের মাশুল আজীবন দিতে হবে।আমি মোহে নয় ভালোবাসায় জড়াতে চাই।

.
.

সকাল সকাল সামু নিজের লাগেজপত্র নিয়ে রুম থেকে বের হচ্ছে।আদি সেটা দেখে সামুর সামনে দাড়িয়ে বললো,
—–লাগেজ জিনিসপত্র কি করছো?

সামু মুচকি হেসে বললো,
—–আপনাকে মুক্তি দিচ্ছি।আপনার রুমে থেকে এতোদিন আপনাকে অনেক জ্বালিয়েছি আর না।

—–মানে?(অবাক হয়ে)

—–গেস্টরুমে শিফট হচ্ছি।

আদি দ্রুত বললো,নো।

—–কেন?কেন যাবোনা?

আদি আমতা আমতা করে বললো,
—–সবাই কি বলবে?

—–কি বলবে?কিছুই বলবেনা।

—–মা!দেখো তুমি এই রুম থেকে চলে গেলে মা ঝামেলা করবে আর এর জন্য আনাকেই দায়ী করবে।তুমি জানো মা রাগ করবে।তবুও কেন?

—–করবেনা।
করবেনা।কারণ মামনির পারমিশন নিয়েই আমি গেস্টরুমে শিফট হচ্ছি।
সো নো প্রব্লেম।

আদি সামুর কথা শুনে হতবাক।ও বিশ্বাসই করতে পারছেনা যে ওর মা পারমিশন দিয়েছে।

—–বাট তুমি যাবেনা।কারণ আমি চাইনা।

—–আপনার সব চাওয়ার মূল্য আমি সবসময় দিতে পারবোনা।

—–তারমানে তুমি চাওনা?

—–না।আমি আর চাইনা আপনাকে বিরক্ত করতে।তাই চলেই যেতে চাই।

আদি সামুর কথায় প্রচন্ড ক্ষেপে গেলো।তারপর চেচিয়ে বললো,
—–যাও,, চলে যাও।চলে যাও।তোমাকে কে বলেছে থাকতে?আমি তোমাকে কখনো বলবো না আসতে।কখনো না।

সামু জিনিসপত্র নিয়ে বেরিয়ে গেলো।বাইরে গিয়ে মুচকি হেসে বললো,
—–বলবেন….আসতে আপনি বলবেন।যদি আমাকে ভালোবাসেন তবে ঠিকই ফিরিয়ে আনবেন ভালোবাসার অধিকারে।

~ফ্ল্যাশব্যাক~
সামু ওর নিশিপুর সাথে কথা বলতে গিয়েছিলো।
—–নিশিপু তোমার কথা মতো আমি বোঝার চেষ্টা করছি আমার অনুভূতিগুলোকে।আর এজন্য আমার সময় আর স্পেস প্রয়োজন।কিছুই বুঝতে পারছিনা।আর তোমার ভাইয়ার কথা,ভাব-ভংগীও অদ্ভুত লাগছে।কিন্তু কি করে আমি সবটা বুঝতে পারবো।কি করলে উনি উনার মনের কথা আমাকে বলবে?

নিশি কিছুক্ষণ ভাবার পর বললো,
—–তুই ভাইয়ার রুম ছেড়ে দে।অনেক সময় দূরত্ব মানুষকে কাছে টানে।এতে তুই তোর স্পেস আর সময় পেয়ে যাবি।আর ভাইয়াও ছটফট করবে।তারপর বাধ্য হবে তোকে নিজের মনের কথা বলতে।

সামু চিন্তিত ভংগীতে বললো,কিন্তু মামনি?

—–আমি ম্যানেজ করে নিবো।তুই ভাবিস না।ড্রামা স্টার্ট।

তারপর সামু নিজের জিনিসপত্র গুছিয়ে নির্দিধায় চলে এলো গেস্টরুমে।

চলবে…..

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে