? তোমার আড়ালে ?
Urme prema (sajiana monir)
পার্ট :২
নিভু নিভু চোখে তাকালো সুবাহ কোন এক অন্ধকার রুমে সে আছে বাহিরের আলোয় আবছা আলোকিত হয়ে আছে পুরো রুম ।
নিজের কাপড়ের দিকে তাকাতেই দেখে সে বিয়ের সাজসজ্জায় আছে ।বিয়ের কথা মনে পড়েই লাফ দিয়ে উঠে বসে ।সে তো তার রুমে ছিলো তাহলে সে এখানে কি করে আসে তা ভাবতে লাগে !
এসব ভাবতে ভাবতেই হঠাৎ বেডের সামনা সামনি থাকা সোফার দিকে নজর যায় ।আরোশ পায়ের উপর পা তুলে বসে আছে তার অগ্নিদৃষ্টি সুবাহ র দিকে নিক্ষেপ করছে চোখ লাল হয়ে আছে তার !
সুবাহ আরোশের এমন চাহনি দেখে বড় ডোক গিলে ।
তারপর নিজের ভয়কে দূর করে আরোশের দিকে আঘাতে লাগে কারন তার এই মুহূর্তে সবকিছু ভুলে তার বাড়ি যাওয়াটা জরুরী ঐ দিকে বাড়িতে হয়তো আদীর বাড়ির লোক পৌছিয়ে গেছে আর সবাই সুবাহ কে না পেয়ে হয়তো খুঁজাখুজি করছে !
সুবাহ ঠি ক সময়ে না পৌছালে সর্বনাশ হয়ে যাবে পুরো এলাকার লোকেদের সামনে তার বাবার দাদাভাই চাচাদের মাথা কাটা যাবে !
সবাই ভাববে সুবাহ পালিয়ে গেছে মানসম্মান নষ্ট হবে ।তার উপর সে যদি আদিকে বিয়ে না করে তার দাদী সব শেষ করে দিবে ।তাদের পুরো পরিবার ভেঙ্গে যাবে !
সুবাহ আরোশের সামনে যেয়ে বলতে লাগে
“আরোশ ভাইয়া আমি জানিনা আপনি কি চান !
কেন আমাকে এখানে নিয়ে এসেছেন !
আর কেনই বা আমাকে শাস্তি দিবেন ?
যদি আপনার আমাকে শাস্তি দেওয়ার থাকে তাহলে দিয়েন কিন্তু প্লিজ আমাকে যেতে দিন !
আদির বাড়ির লোক এসে গেছে বাসায় সবাই আমাকে না পেয়ে বেশ চিন্তা করছে ।
প্লিজ আমাকে যেতে দিন !”
সুবাহ র সব কথা আরোশ দাতেঁ দাতঁ চেপে হাত মুঠি বদ্ধ করে শুনছে !
হঠাৎ আরোশ রেগে সুবাহ র হাত টান দিয়ে নিজের কাছে বসিয়ে ফেলে তারপর কার কমোড়ে চাপ দিয়ে কাছে টেনে আনে তারপর অন্যহাতে চুলের মুঠিটা ধরে বলতে লাগে
“উড়না টা ঠিক করে নেও !
নিচে কাজি বসে অপেক্ষা করছে ।”
সুবাহ মাথায় যেন বাজ পরে ।সুবাহ কাপাঁকাপা গলায় বলতে লাগে
“কাজি কেন ?
আর আমি এখন বাসায় যাবো আমাকে যেতে দেন !”
আরোশ শান্ত গলায় বলতে লাগে
“কাজি এসেছে কারন আমরা বিয়ে করছি !
২ মিনিটের মধ্যে সব ঠি ক ঠাক করে নিচে চলো না হয় খারাপ কিছু হয়ে যাবে !”
সুবাহ চোখ থেকে গড়িয়ে পানি ঝড়ছে সুবাহ কান্না করচে করতে বলতে লাগে
“আপনি কি পাগল ?
আজ আমার বিয়ে আদির সাথে আর কাল আপনার বিয়ে নিদ্রার সাথে আর আপনি আমাকে এখন বলছেন আপনি আমাকে বিয়ে করবেন ?
পাগল হয়ে গিয়েছেন আপনি ?
আমি বাসায় যাবো আমাকে যেতে দিন প্লিজ !”
আরোশ সুবাহ র কথার শুনে আরো গর্জিয়ে উঠে হিংস্র বাঘের মত !
সুবাহ চুলের মুঠি আরো শক্ত করে ধরে নিজের আরো কাছে নিয়ে আসে !
সুবাহ ব্যথায় “আহহহ” করে কুকড়িয়ে উঠে !আরোশ চিৎকার রেগে চিৎকার করে বলতে লাগে
“ভেবেছিলাম তুই সব কিছু মেনে নিবি নিজের অপরাধ স্বিকার করবি ! নতুন করে সব শুরু করবো পুরনো সব ভুলে ।
কিন্তু না তুই তো আদি কে বিয়ে করার জন্য অস্তির হয়ে পড়েছিস ।
আমি তোকে কখন অন্য কারো হতে দিবোনা বুঝেছিস তুই শুধু আমার থাকবি তোর সাথে যা করার সব আমি করবো তোকে কষ্ট দিবো তোকে শাস্তি দিবো তোকে ভালো….”
আরোশ আর কিছু বলে না কিছুসময়ের জন্য চুপ হয়ে যায় তারপর আবার বলতে লাগে
“আমি নিদ্রাকে বিয়ে করছিনা !
২ মিনিটের মধ্যে রেডি হয়ে নিচে চল কাজি বসে আছে !
যদি তা না করিস তাহলে যা করতে চাইছিনা তা করবো তখন তুই নিজে বিয়েটা করতে বাদ্ধ থাকবি !”
আরোশের কথা শুনে সুবাহ ভয়ে ডোক গিলে থম মেরে বসে থাকে ।আরোশ সুবাহ কে থম মেরে বসে থাকতে দেখে নিজেই সুবাহ র উড়না ঠি ক করে দিয়ে মাথায় ঘুমটা টেনে দিয়ে হাত ধরে টেনে নিচে নিয়ে যায় !
অন্যদিকে সুবাহ র বাড়িতে তাকে না পেয়ে পুরো বাড়ি তোলপাড় হয়ে আছে এলাকার মানুষ বিভিন্ন কথা বলছে কেউ বলছে মেয়ের চরিত্র ভালো না ,আবার কেউ বলছে বিয়ের আগে নিজের প্রেমিকের সাথে অবৈধ সম্পর্ক ছিলো তাই তার সাথে পালিয়েছে !
সুবাহ দাদাভাই ,বাবা ,চাচা সব কিছু মাথা নত করে শুনছে কোন কিছুর উত্তর দিতে পারছেনা !
যারা চোখ তুলে তাদের সামনে কথা বলার সাহস পায় না তারা আজ এত কথা শুনিয়ে যাচ্ছে ।এলাকায় তাদের সবার সামনে নত হয়ে গেছে !
প্রায় অনেকেই জানাজানি হয়ে গেছে সুবাহ আর আরোশ এক সাথে আছে ।তা নিয়ে সুবাহকে যা তা বলে যাচ্ছে বার বার তার চরিত্রের দোষ দিচ্ছে সবাই !
আর বলছে নিজের বোনের জামাইকে ফাসিয়ে তার সাথে বিয়ের দিন পালিয়েছে ।
আদির বাড়ির লোকেও বেশ অপমান হতে হয়েছে !
আদির বাড়ির লোকেরা ও সুবাহ র পরিবারকে বেশ কথা শুনিয়েছে ।
অন্যদিকে মাথায় হাত দিয়ে বসে আছে সুবাহ র দাদী নাসরিন বেগমের চেহারায় স্পষ্ট চিন্তার ছাপ ফুটে উঠেছে ।পাশেই বসে কান্না করে যাচ্ছে নিদ্রা !
নাতনির কান্না টা সয্য করতে পারছেনা নাসরিন বেগম বার বার সুবাহকে অভিশাপ দিয়ে যাচ্ছে ।
আর যাতা করে বকাযকা করে যাচ্ছে। রাত ১২ টা বাজতে চলছে মেহমান সব চলে গেছে বরযাত্রী ও ফিরে গেছে শুধু রয়ে গেছে আদি আর তার বাবা মা !
ড্রইংরুমে সবাই বসে আছে বেশ চিন্তিত হয়ে সবার চোখ দরজার দিকে সুবাহ ফিরার অপেক্ষা করছে !
হঠাৎ বাহিরে গাড়ির শব্দ পায় ।গাড়ির শব্দ পেয়ে সবাই দরজার সামনে এগিয়ে যায় ।যেয়ে দেখে আরোশ সুবাহ এক হাত ধরে দাড়িয়ে আছে !
আর সুবাহ মাথা নিচু করে দাড়িয়ে আছে ।
এমন দৃশ্য দেখে সুবাহ বাবা রেগে সুবাহ র কাছে যেয়ে রেগে ২ টা থাপ্পর বসিয়ে দেয় ।বাবার থাপ্পরে পুরো স্থব্দ হয়ে যায় সুবাহ !
যে বাবা তাকে কখনো জোর গলায় ধমক দেয়নি আজ তার গায়ে আঘাত করলো !
তা ভেবেই চোখে জল এসে পড়ে সুবাহ কান্না করতে লাগে !
আরোশের কল্পনার বাহিরে ছিলো সুবাহ র বাবা সুবাহ গায়ে হাত তুলাটা !
সুবাহ র বাবা রেগে বলতে লাগে
“আমার আদরের এমন সুযোগ নিবে আমি কল্পনাও করতে পারিনি আমার গর্ব ছিলে তুমি আমার অহংকার ছিলে তুমি আজ আমার অগংকার ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেল !
সমাজের সামনে আমাকে তুমি ছোট করে দিলে ।আমার মানসম্মান ধুলোয় মিশিয়ে দিলে !
আমি তোমার চেহারা ও দেখতে চাই না ।”
সুবাহ তার বাবার কথা শুনে কান্না করতে লাগে ।তার বাবার হাতে ধরে বলতে লাগে
“প্লিজ আব্বু আমার কথাটা একবার শুনো !
আমাকে সব কিছু ক্লিয়ার করার একটা সুযোগ দেও আমার কথাটা একবার শুনো ।
প্লিজ আব্বু এমন করো না !”
সুবাহ বাবা নিজের হাত ঝারি দিয়ে ছাড়িয়ে পিছন ফিরে বাড়ির দিকে চলে যায় !
সুবাহ হাটু গেড়ে নিচে বসে হাউমাউ করে কান্না করতে লাগে !
নিজের বাবা কে সবচেয়ে বেশি ভালেবাসে সুবাহ আজ নিজের বাবার মুখে এসব কথা শুনে বেশ কষ্ট হচ্ছে তার !
পাশ থেকে সুবাহ র দাদী তার দিকে তেড়ে এসে বলতে লাগে
“তোর কোন দিন ও ভালো হবে না !
তুই বাপ মরা এতিম মেয়ের থেকে তার সুখ কেড়ে নিয়েছিস তোর কোন দিনও ভালো হবে দেখিস !
কোন দিন ও তুই সুখি হবি না !
তুই একটা নষ্টা মেয়ে !”
বলেই যেই সুবাহ র উপর হাত উঠাতে নেয় আরোশ সুবাহ র দাদীর হাত আটকিয়ে ফেলে !
এত সব সুবাহ র দাদীর প্রত্যেকটা কথা হাতের মুঠি বদ্ধ করে দাতেঁ দাতঁ চেপে শুনছিলো ।
সুবাহ র উপর হাত উঠানোটা সে সয্য করতে পারে না ।আরোশ তার দাদীর হাত ঝারি দিয়ে ফেলে রেগে বলতে লাগে
“ব্যাসসসস !অনেক হয়েছে !
আপনারা অনেক বলেছেন চুপচাপ শুনে যাচ্ছি বলে এইনা যা খুশি তা করবেন !
সুবাহ এখন আর শুধু এই বাড়ির মেয়ে না !
শুধুই যাবরিন সুবাহ আহমেদ না !
এখন সে যাবরিন সুবাহ খাঁন আরোশ খাঁনের স্ত্রী ।আর আমার স্ত্রীকে যাতা বললে আমি সয্য করবোনা !
আমার স্ত্রীর উপর হাত তোলা তো দূর তাকে কিছু বলার আগে ও ভেবে চিন্তে নিবেন !
আমি এখানে সুবাহ কে নিয়ে এসেছি সবাইকে জানাতে যে আমরা বিয়ে করে নিয়েছি !
আমাদের কর্তব্য ছিল সবাইকে জানানো তা জানিয়েছি এখন মেনে নেওয়া আর মেনে না নেওয়া সেটা আপনাদের ব্যপার !”
সুবাহ আরোশের কথায় ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে ।আরোশ সুবাহ র দাদীর দিকে তাকিয়ে বলতে লাগে
“এরপর থেকে আমার স্ত্রীকে কিছু বলার আগে ভেবে চিন্তে করে নিবেন ।”
কথা গুলো বলে আরোশ নিজের মা বাবার দিকে তাকিয়ে বলতে লাগে
“আব্বু আম্মু তোমরা কি এখন বাসায় যাবে ?
নাকি আরো দেরি করবে ?”
আরোশের বাবা বলতে লাগে
“না আমরা এখনই যাবো !”
আরোশ সুবাহর হাত ধরে টেনে নিয়ে গাড়িতে বসায় গাড়ি স্টার্ড দেয় বাসার উদ্দ্যশে অন্য গাড়িতে আরোশের বাবা মা ও অন্য গাড়িতে করে রওনা দেয় উনারা এসেছিলো সুবাহ আর আদির বিয়ে এটেন্ড করতে কিন্তু এত সব ঝামেলায় উনারা স্থব্দ হয়ে গেছে নিজেদের ছেলের হঠাৎ এমন পদক্ষেপ এ উনারা বেশ শকে আছে ! কি বলবে তা খুজেঁ পাচ্ছেনা ।
ঘড়িতে ২ বাজতে চলছে সুবাহ আরোশের বেডে বসে মুখ গুজেঁ কান্না করে যাচ্ছে ।কিছুক্ষন আগেই বাড়ি ফিরেছে বাড়িতে তাদের বিয়ে নিয়ে বেশ আনাগুনা চলছে ।আরোশের আত্নীয় স্বজন রা এসব নিয়ে বেশ কথা বলা বলি করছে !
আরোশ কাউকে তেক্কার না করে সুবাহকে সোজা নিজের ঘরে নিয়ে এসেছে ।
আরোশ বেডের সামনে সোফায় বসে একের পর এক ডিংক্স করে যাচ্ছে আর নিজের নেশা ভরা চোখে সুবাহকে দেখে যাচ্ছে ।তার সামনে সুবাহ কে বউ সাজে দেখে নেশা চড়ে যাচ্ছে তার কাছে এই মূহুর্তে মদের নেশা থেকে সুবাহ র নেশা বেশি ঝেকেঁ ধোরেছে !
নিজেকে বার বার কন্ট্রোল করার চেষ্টা করছে কিন্তু বার বারই নিজের উপর কন্ট্রোল হারিয়ে ফেলছে সে !
অবশেষে নিজেকে আটকাতে না পেরে সুবাহ র কাছে চলেই যায় বেডের সামনে ফ্লোরে হাটুঁ ভেঙ্গে সুবাহ র মুখটা দু হাতে আলতো করে ধরে তার দিকে তাকিয়ে থাকে একনজরে আরোশের চোখে হাজারো নেশা ভিড় করছে । আরোশ আস্তে আস্তে নিজের মুখটা সুহাহর দিকে আগাতে লাগে সুবাহ র ঠোঁটের কাছে আঘাতে লাগে আরোশের এভাবে তাকিয়ে থাকা দেখে সুবাহ অসহায় ভাবে বলতে লাগে
“কেন এমন করলেন ?
কেন সব কিছু শেষ করে দিলেন ?
আপনি নিদ্রাকে বিয়েটা করলেও পারতেন কেন আমাকে বিয়ে করলেন ?”
আরোশের মুহূর্তেই ধ্যান ফিরে আসে সুবাহ র করা প্রত্যেকটা কাজ তার দেওয়া ধোকা তার মনে পড়ে যায় ।সে সুবাহর গালে রাখা দুই হাত আরো শক্ত করে ধরে ।তার পর রাগে বলতে লাগে
“তুমি কি ভেবেছো আমি তোমাকে ভালোবাসতে বিয়ে করেছি ?
মটেও না আমাকে দেওয়া আঘাত কষ্ট আর ধোকার প্রতিশোধ নিতে আমি তোমাকে বিয়ে করেছি !
তুমি আমার সাথে যা করেছো তার শাস্তি দিতে তোমাকে বিয়ে করেছি ।তুমি আমাকে তিলে তিলে মেরেছো !
আমি তোমাকে কি করে ক্ষমা করবো ?
কেন আমার মন কে নিয়ে এমন খেললে ?
তোমরা দু বোন ?
আমার ভালোবাসার তো কোন কমতি ছিলোনা তাহলে কেন এমন করলে ?
আদিকে পাবার জন্য !
আদির এমন কি আছে যা আমার নেই ?
আমার কিসের অভাব ছিলো ?
আমার সাথে কেন এমন লাভ গেইম খেললে ?
সুবাহ যা করেছো সব কিছুর ফল তোমাকে পেতে হবে !
শাস্তি তোমাকে পেতে হবে ।”
বলেই আরোশ সুবাহকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে বারান্ধায় চলে যায় ।সুবাহ বিছানায় মুখ গুজেঁ কান্না করতে করতে বলতে লাগে
“যদি আপনাকে বুঝাতে পারতাম আমি কেন এসব করেছি !
আমিও যে আপনাকে ততটাই ভালোবাসি যতটা আপনি আমাকে ভালোবাসেন ।”
অন্যদিকে আরোশ আকাশের দিকে তাকিয়ে একটার পর একটা সিগারেট শেষ করছে তার বুকের মধ্যে চিন চিন ব্যথা করছে সে চায়নি কখন সুবাহ র সাথে এমন কিছু করতে সে তো সব সুন্দর ভাবে মেনে নিচে চেয়েছিল তার প্রভাকে চেয়েছিলো তার প্রভাকে সারাজীবনের জন্য ভালোবেসে আপন করে নিতে চেয়েছিল কিন্তু সুবাহ আর নিদ্রা তার সাথে এমন গেম প্লান করবে তাকে এত ধোকা দিবে সে এটা কল্পনাও করতে পারিনি ।
তার মনটাকে দুবোন ভেঙ্গে দিয়েছে !
এসব ভাবতে ভাবতে আরোশ তার পকেট থেকে একটা পায়েল বের করে তার দিকে তাকিয়ে বলতে লাগে
“এই জিনিসটাই আমাকে ৪ টা বছর ধরে অগোছালো করে রেখেছে !
এত কিছু হবার পরও কেন আমি সুবাহ কে ঘৃনা করতে পারছিনা ?
কেন তাকে দেখলে নিজের মনকে নিজের অনুভূতি কে আটকিয়ে রাখতে পারিনা !”
এসব ভাবতে ভাবতেই ভোরের আজানের আওয়াজ তার কানে আসে ।আরোশ রুমের দিকে আগায় সেখানে যেয় দেখে সুবাহ কান্না করতে করতে অগোছালো হয়ে ঘুমিয়ে আছে চোখ এখনো ভেজা ভেজা রয়েছে !
সুবাহ কে এমন ভাবে দেখে তার বেশ কষ্ট হচ্ছে বুকে চিন চিন করে ব্যথা করছে কিন্তু সুবাহ র বিশ্বাসঘাতকতার পর থেকে তাকে মেনেও নিতে পারছে না ।
সুবাহকে বেডে ঠিক ভাবে শুয়িয়ে দিয়ে তার মুখের কাছে পড়া চুল গুলো সরিয়ে দিয়ে ফিসফিস করে বলতে লাগে
“তুমি যদি এসব না করতে তাহলে হয়তো আমাদের গল্পটা অন্যরকম হতো ।
আজকের দিনটা অন্যরকম হতো যেখানে শুধুই ভালোবাসা থাকতো ।”
চলবে……
❤️❤️❤️❤️