Sunday, October 5, 2025







বাড়ি"ধারাবাহিক গল্প"তুমি এলে তাই পর্ব-৩৪

তুমি এলে তাই পর্ব-৩৪

#তুমি এলে তাই ❤
#লেখিকা: অনিমা কোতয়াল
#পর্ব- ৩৪
.
স্পন্দন অবাক দৃষ্টিতে ভ্রু কুচকে তাকিয়ে আছে একটু একটু করে ভেতরে যাচ্ছে। গুঞ্জন স্পন্দনের দিকে তাকিয়ে একটু হেসে আবার পায়েস খাওয়ায় মনোযোগ দিলো। স্পন্দন ওর বাবা মার দিকে তাকিয়ে দেখলেন ওনারা মুখটা গম্ভীর করে রেখেছে। সারাও এক সাইডে গিয়ে হাত সামনে এক করে দাঁড়িয়ে আছে, আর রেহান ওর সাইডে হাত ভাজ করে দাঁড়িয়ে আছে। স্পন্দন কিছুই বুঝতে পারছেনা যে কী হয়েছে। তবেকে এতোটুকু সিউর যে এই মেয়ে কিছু তো একটা গন্ডগল করে রেখেছে। স্পন্দন ওর বাবা মার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে। গুঞ্জনের দিকে তাকিয়ে বলল,

— ” কী ব্যাপার তুমি এখানে?”

গুঞ্জন আরেক চামচ পায়েস মুখে নিয়েছে সবে। স্পন্দনের প্রশ্ন শুনে মুখে পায়েস নিয়েই অস্ফুট স্বরে বলল,

— ” বলছি মুখের পায়েসটা শেষ করি?”

স্পন্দন ভ্রু কুচকে বলল,

— ” মানে কী? এখানে এসছো কেনো?”

গুঞ্জন কিছু বলবে তার আগেই মিস্টার চৌধুরী বলল,

— ” এসব কী শুনছি স্পন্দন। ”

স্পন্দন একটু অবাক হয়ে বলল,

— ” কী শুনেছো?”

মিসেস চৌধুরী উঠে দাঁড়িয়ে বললেন,

— ” না স্পন্দন। তোমার কাছে এরকম কিছু আশা করি নি আমরা।”

স্পন্দন এবার বিরক্ত হয়ে বলল,

— ” আরে আমি করেছিটা কী? সেটাতো বলবে?”

ওনারা কিছু বললেন না। মিস্টার চৌধুরী গম্ভীর মুখ করে বসে আছেন, মিসেস চৌধুরীও হাত ভাজ করে বিরক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। স্পন্দন এবার সারার দিকে তাকাতেই সারা দাত দিয়ে নখ কাটতে কাটতে চোখ সরিয়ে নিলো। রেহানের দিকে তাকাতেই রেহান ওপরে কিছু দেখার ভান করতে শুরু করল। কিচেনের দিকে আবির, তিতলি আর মেঘলাও দাঁড়িয়ে দেখছে। এবার গিয়ে গুঞ্জন হাত থেকে পায়েসের বাটিটা নিয়ে ঠাস করে টি -টেবিলে রেখে ওর হাত ধরে দ্বার করিয়ে বলল,

— ” কী বলেছো তুমি ওদের? ওরা এভাবে কথা বলছে কেনো?”

গুঞ্জন হাত ছাড়িয়ে মুখ মুছতে মুছতে বলল,

— ” যেটা সত্যি সেটাই বলেছি।”

স্পন্দন চোখ বন্ধ করে একটা নিজেকে শান্ত করে ঠান্ডা গলায় বলল,

— ” অফিসে কর্মচারীদের সামনে আমাকে হ্যারাস করেছো। রেস্টুরেন্টে, মিটিংরুমে ক্লাইন্টদের সামনের ইমবারেস করেছো আমায়। এতেও শান্তি হয়নি? হোয়াট ডু ইউ ওয়ান্ট?”

গুঞ্জন মুখ ফুলিয়ে বলল,

— ” জাস্টিস। তুমি আমাকে বিয়ে না করে আমার সাথে অন্যায় করছো। সো আই ওয়ান্ট জাস্টিস।”

স্পন্দন এবার ধমক দিয়্র বলল,

— ” গুঞ্জন। আবার সেই এক কথা নিয়ে পরে আছো?”

স্পন্দনকে অবাক করে দিয়ে গুঞ্জন এবার মুখটা কাঁদোকাঁদো করে ন্যাকা কন্ঠে মিসেস চৌধুরীর দিকে তাকিয়ে বলল,

— ” মা দেখো তোমার ছেলে আমায় বকছে। বাবা তুমিও দেখো তোমাদের সামনেই আমাকে বকছে। এবার ভাবো একা থাকতে কী করে।”

স্পন্দন চোখ ছোট ছোট করে তাকিয়ে আছে গুঞ্জনের দিকে এই মেয়ে ওর ধমকে কাঁদতে কবে থেকে শুরু করলো? মিস্টার চৌধুরী হালকা ধমক দিয়ে বললেন,

— ” আহ স্পন্দন? কী হচ্ছেটা কী?”

রেহান, সারা আড়াল থেকে মেঘলারাও মিটমিটিয়ে হাসছে এসব কথা শুনে। স্পন্দন ওর বাবার প্রতিক্রিয়াতে অবাক হলো না। গুঞ্জনের ন্যাকা কান্না আর ওর বাবা মাকে বাবা মা বলে ডাকাতেই ও বুঝে গেছে আজ ওর দিন নয়, আজ গুঞ্জনের দিন। তাই একটা ছোট্ট শ্বাস ফেলে গুঞ্জনের দিকে তাকিয়ে বলল,

— ” ড্রামা শেষ? এবার প্লিজ বাড়ি যাও।”

গুঞ্জন নাক টেনে চোখে একফোটা জল না থাকা সত্তেও চোখ মোছার ভান করে বলল,

— ” যাবোনা? তুমি আমার সাথে অন্যায় করছো।”

স্পন্দন বিরক্ত হয়ে বেশ রেগে এবং জোরে বলল,

— “গুঞ্জন এই ব্যাপারে অনেকবার কথা হয়েছে আমাদের। আমার সিদ্ধান্ত আমি তোমাকে জানিয়ে দিয়েছি।”

গুঞ্জন এবার বাচ্চাদের মতো শব্দ করেই ন্যাকাকান্না জুড়ে দিলো। কাঁদতে কাঁদতে বলল,

— ” দেখো বাবা তোমার ছেলে কী বলছে? ও যদি আমাকে বিয়ে না করে তাহলে আমার সন্যাসিনী হওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবেনা।”

বলে আবার কাঁদতে শুরু করলো। স্পন্দনতো পুরো আহম্মক হয়ে গেছে। অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে গুঞ্জনের দিকে। সবাই অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে। স্পন্দন জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে গুঞ্জনের দিকে তাকিয়ে কিছু বলবে তার স্পন্দনের বাবা মিস্টার চৌধুরী গম্ভীর কন্ঠে বললেন,

— ” না ও যাবেনা। ও যেটা বলেছে আমাদের সেটা সত্যি কী না বলো? সেগুলো সত্যি হলে তুমি সত্যিই অন্যায় করেছো।”

গুঞ্জন সবার আড়লে কান্না থামিয়ে মেঘলাদের দিকে তাকিয়ে চোখ মারলো তারপর আবার কান্না শুরু করলো । মেঘলা মুখ চেপে হাসছে। আবির আর তিতলিও বেশ মজা পাচ্ছে। আর রেহান আর সারা তো বহু কষ্টে হাসি চেপে রেখেছে। স্পন্দন এবার বেশ রেগে বলল,

— ” ও কী বলেছে আমাকে কেউ একটু বলবে প্লিজ?”

কেউ কিছু বলার আগেই গুঞ্জন কান্না থামিয়ে নাক টেনে বলে উঠলো,

— ” আমি বলছি।”

স্পন্দন বিরক্ত হয়ে বলল,

— ” হ্যাঁ প্লিজ।”

গুঞ্জন এবারও অভিযোগের কন্ঠে বলল,

— ” তুমি আমাকে বলেন নি তুমি আমাকে ভালোবাসো?”

স্পন্দন একবার ওর বাবা মায়ে দিকে তাকিয়ে তারপর গুঞ্জনের দিকে তাকিয়ে বলল,

— ” হ্যাঁ বলেছি তো?”

গুঞ্জন ওর শুকনো চোখগুলো হালকা মুছে স্পন্দনের বাবা মায়ের দিকে তাকিয়ে বলল,

— ” দেখেছো? বলেছে। এবার বলো তুমি আমাকে বিয়ের প্রপোজাল দেও নি?”

স্পন্দন ভ্রু কুচকে গুঞ্জনের দিকে তাকিয়ে বলল,

— ” হ্যাঁ দিয়েছিলাম কিন্তু সেটাতো তু..”

স্পন্দনকে আর কিছু বলতে না দিয়ে গুঞ্জন বলে উঠল,

— ” দেখলে তো দিয়েছে? এবার বলো তুমি আমাকে হাগ করো নি?”

স্পন্দন এবার বিরক্ত হয়ে বলল,

— ” হ্যাঁ করেছি তো? তারমানে তো এটা নয় যে তোমাকে আমার বিয়ে করতে হবে ।”

গুঞ্জন এবার স্পন্দনকে অবাক করে দিয়ে বলল,

— ” ডিডেন্ট ইউ কিস মি?”

স্পন্দন এবার হালকা চমকে ওর বাবা মায়ের দিকে তাকালো তারপর গুঞ্জনের কাছে ফিসফিসে গলায় বলল,

— ” গুঞ্জন কী হচ্ছে কী?”

গুঞ্জন তেরাভাবে বলল,

— ” ডিডেন্ট ইউ?”

স্পন্দন চোখ বন্ধ করে একটা শ্বাস ফেলে বলল,

— ” ইয়েস আই ডিড বাট ওটাতো তোমার ক..?”

এবারেও স্পন্দনকে থামিয়ে দিয়ে গুঞ্জন মিসেস চৌধুরীর দিকে তাকিয়ে বলল,

— ” দেখলে? এবার বলো আমরা একসাথে দু দুটো রাত কাটিয়েছি কী না? বলো বলো?”

স্পন্দন এবার পুরো দমে শকড হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। কী বলছে কী এসব গুঞ্জন? ও যে ব্যাপারটা এখানে এভাবে প্রেসেন্ট করবে স্পন্দন ভাবতেও পারেনি। স্পন্দন এবার থতমত খেয়ে গিয়ে ইতস্তত কন্ঠে বলল,

— ” হ্যাঁ কাটিয়েছি। কিন্তু..”

গুঞ্জন আবারও স্পন্দনকে থামিয়ে মিসেস চৌধুরীর দিকে তাকিয়ে বলল,

— ” দেখলেন তো আপনাদের সবার সামনেই সবটা বলল।”

স্পন্দন পুরো বোকার মতো তাকিয়ে আছে। কী হচ্ছে এসব? মেঘলা ওর সেই ন্যাকা কান্না কাঁদতে কাঁদতে মিসেস চৌধুরীর কাছে গিয়ে ওনাকে জরিয়ে ধরে বলল,

— ” দেখো এতোকিছুর পরেও তোমার ছেলে বলছে আমাকে বিয়ে করবেনা। ও আমাকে বিয়ে না করলে আর কে করবে বলো? ওকে বলত সব কিছু ই করেছে বিয়েটা করতে পারবেনা কেনো?”

মিসেস চৌধুরী গুঞ্জনের পিঠে হাত বুলাতে বুলাতে বলল,

— “ঠিকইতো পারবেনা কেনো?”

মিস্টার চৌধুরীও বললেন,

— ” হ্যাঁ পারবেনা কেনো?”

সারা ও বলে উঠলো,

— ” হোয়াই? কেনো পারবেনা?”

রেহান ও বলে উঠলো,

— ” একদম! কেনো পারবেনা?”

আড়াল থেকে মেঘলা, আবির আর তিতলি একসাথে বেড়িয়ে এসে বলল,

— ” তাইতো পারবেনা কেনো?”

স্পন্দন এতক্ষণ বোকার মতো সবার দিকে তাকিয়ে ছিলো। সবাই গম্ভীর মুখ করে দাঁড়িয়ে আছে। হঠাৎ করেই সবাই একসাথে জোরে শব্দ করে হেসে দিলো। সাথে মিস্টার এন্ড মিসেস চৌধুরীও। গুঞ্জনও হাসছে। স্পন্দন চোখ ছোট ছোট করে হাত ভাজ করে তাকালো ওদের দিকে। এতোক্ষণ যে ওরা ওর ক্লাস নিচ্ছিল সেটা বেশ ভালোই বুঝতে পারছে। ওদের চোখ স্পন্দনের দিকে পরতেই ওরা হাসি থামিয়ে মুখটা আবার সিরিয়াস করে ফেলল। সেটা দেখে স্পন্দন আর নিজেকে আটকে রাখতে পারলো না। ও নিজেও হেসে দিলো। ওকে হাসতে দেখে সবাই হেসে দিলো। সারা এসে বলল,

— ” কী ভাইয়া গেলো তো সব রাগ পানি হয়ে?”

স্পন্দন ওকে মারার জন্যে হাত উঠিয়েও হেসে কান টেনে দিলো। রেহান বলল,

— ” যাক বাবা বাবুর রাগ টাগ যা ছিলো সব ভাঙ্গলো তাহলে।”

মিসেস চৌধুরী বললেন,

— ” আমারতো সেই শুরু থেকেই গুঞ্জনকে খুব পছন্দ ছিলো। আর যখন জানতে পারলাম ওরাও একে ওপরকে ভালোবাসে তখন তো হাতে চাঁদ পেলাম একেবারে।”

স্পন্দন মুচকি হেসে গুঞ্জনের দিকে তাকাতেই গুঞ্জন চোখ সরিয়ে নিলো। মিস্টার চৌধুরী গুঞ্জনের হাত ধরে স্পন্দনের কাছে গিয়ে ওদের দুজনের হাত এক করে দিয়ে বলল,

— ” ঝগড়াঝাটি মান অভিমান অনেক হয়েছে। এবার এসব বাদ দিয়ে সব কিছু ঠিক করে নাও।”

গুঞ্জন স্পন্দনের দিকে তাকাতেই স্পন্দন চোখের ইশারায় বোঝালো একা পাই তোমাকে তারপর বোঝাচ্ছি। মিসেস আবরার বললেন,

— ” তোমাদের কারো কিন্তু যাওয়া হচ্ছে না রাতে ডিনার তো করতেই হবে।”

আবির একটু আপত্তি করতে চেয়েছিলো কিন্তু ওনাদের জোরাজুরিতে আর পারলোনা। সবাই স্পন্দন আর গুঞ্জনের থেকে ওরা সবাই একটু দূরে দূরে থাকছে কারণ ওরা চায় যে ওদের মধ্যে একটু আলাদা কথা হোক। কাউকে না পেয়ে গুঞ্জন করিডোর দিয়ে হাটছে হঠাৎ কেউ একজন ওর হাত ধরে টান মেরে একটা রুমে নিয়ে গেলো। গুঞ্জন একটু চমকে গেলেও তাকিয়ে দেখে এটা স্পন্দন। স্পন্দন গুঞ্জনের কোমর ধরে কাছে এনে বলল,

— ” প্রেম মানুষকে দিয়ে কী কী করায়? স্ট্রেইট ফরওয়ার্ড গুঞ্জন পুরো ড্রামাকুইন গুঞ্জন হয়ে গেছে এই কয়েকদিনে।”

গুঞ্জন একটু হেসে বলল,

— “দয়া করে যে তোমার রাগটা ভেঙ্গেছে এতেই আমি ধন্য। ”

স্পন্দন একটু হেসে বলল,

— ” রাগতো সেদিনই ভেঙ্গে গেছিলো যেদিন তুমি রেস্টুরেন্টে আমাকে আই লাভ ইউ বলেছিলে।”

গুঞ্জন অবাক হয়ে বলল,

— ” মানে কী? তাহলে এতোদিন এসব কী ছিলো হ্যাঁ?”

স্পন্দন ঠোঁট কামড়ে বলল,

— ” দেখছিলাম। আমার ঝাঁসির রাণী আমার জন্যে ঠিক কী কী করতে পারে। এতোদিন তোমার দুষ্টুমিগুলো খুব ইনজয় করতাম। অনেক কষ্টে নিজের হাসি চেপে মুখে গাম্ভীর্য রাখতে হতো। বাট ট্রাস্ট মি। তোমার আজকের করা কান্ড দেখে আমি আর না হেসে থাকতে পারিনি।”

গুঞ্জন অবাক হয়ে বলল,

— ” তারমানে এতোগুলো দিন তুমি আমাকে ইচ্ছে করে নাকে দড়ি দিয়ে ঘোরাচ্ছিলে আর নিজে মজা নিচ্ছিলে?”

স্পন্দন একটা মেকী হাসি দিয়ে বলল,

— ” জ্বী হ্যাঁ ম্যাডাম।”

— ” তোমাকে তো আমি..”

বলে গুঞ্জন স্পন্দনকে কিলঘুষি মারতে শুরু করলো। স্পন্দন ওর হাত ধরে মুরে পেছনে নিয়ে কপালে কপাল ঠেকিয়ে বলল,

— ” আই লাভ ইউ।”

গুঞ্জনও চোখ বন্ধ করে রাখা অবস্থায় বলল,

— ” আই লাভ ইউ টু। বাট আমি তোমাকে বিয়ে করতে পারবোনা।”

স্পন্দন ভ্রু কুচকে গুঞ্জনের দিকে তাকাতেই গুঞ্জন ফিক করে হেসে দিলো। স্পন্দন হেসে জরিয়ে ধরলো গুঞ্জনকে।

______________________

আরো সপ্তাহ খানেকের মতো কেটে গেলো। এই এক সপ্তাহ রেহান আর মেঘলার বিয়ের ব্যস্ততায় কেটেছে। তবে তারমধ্যেও স্পন্দন আর গুঞ্জনের খুনশুটিময় ভালোবাসা আরো গভীরতম হয়েছে। আর ওদের সবার দুষ্টুমি মজা তো আছেই।

আজ মেঘলা আর রেহানের বিয়ে। বিয়েটা সন্ধ্যার পরেই হচ্ছে। ওয়েডিং হাউজ খুব সুন্দর করে সাজানো হয়েছে। একটু আগে রেহান আর মেঘলার বিয়ে হয়ে গেছে এবার ওদের একসাথে স্টেজে পাশাপাশি চেয়ারে বসানো হয়েছে। স্পন্দন গুঞ্জনকে খুজছে। বিয়ের আগে একটু দেখেছিলো। একদম পরির মতো লাগছিলো ওকে নেভী ব্লু লেহেঙ্গাতে।ছাড়া চুল, হালকা সাজ আর কস্টটিউমে। লেহেঙ্গাটা ওরই দেওয়া, ইনফ্যাক্ট বিয়ের সব প্রোগ্রামে এবার গুঞ্জন সেভাবেই সেজেছে যেভাবে স্পন্দন সাজতে বলেছে। সাজতে বসে স্পন্দনকে কল করে ওর ইনসট্রাকশন অনুযায়ী সাজতো। বাট সবাই ছিলো তাই গুঞ্জনের কাছে যাওয়ার সময় পায়নি ও। আর তাছাড়া খুব ব্যাস্তও ছিলো সারাদিন। তাই এখন খুজছে।
এদিকে গুঞ্জন ওয়াসরুম থেকে বেড়িয়ে ওয়েডিু হাউজের করিডর দিয়ে যেতে নেবে ঠিক তখনই কেউ ওর হাত ধরে টান মেরে দেয়ালে লাগিয়ে ফেলল। ও প্রথমে ভেবেছিলো স্পন্দন কিন্তু ঠিক তার পরোমুহূর্তেই বুঝতে পেরেছে এটা স্পন্দন নয়। কিন্তু সামনে তাকিয়ে যাকে দেখলো তাকে দেখার জন্য ও মোটেও প্রস্তুত ছিলো না। সাথে সাথেই রক্ত গরম হয়ে উঠলো ওর। ও এখানে কী করছে? কেনো এসছে এখানে। এতো কিছু করেও শান্তি হয়নি? এখন আবার কী চায়?

#চলবে…

পূর্ববর্তী নিবন্ধ
পরবর্তী নিবন্ধ
গল্প পোকা
গল্প পোকাhttps://golpopoka.com
গল্পপোকা ডট কম -এ আপনাকে স্বাগতম......
RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments

Md masrur Hasan mahi على অবুঝ_বউ পার্ট: ৫
আমিনুল ইসলাম على প্রয়োজন পর্ব: ৩০ ( অন্তিম)
সাজিবুল ইসলাম على ধর্ষিতাবউ২ ৯ তথা শেষ পর্ব
শাহিদুল ইসলাম على জীবন সঙ্গী ১ম পার্ট
শাহিদুল ইসলাম على জীবন সঙ্গী ১ম পার্ট
Nita Sarkar على স্বপ্নীল ৬৮
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على রহস্য শেষ_পর্ব
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على অলক্ষ্যে তুমি পর্ব-০৬ এবং শেষ পর্ব
Nazmun Nahar Akhi على Psycho_is_back? part_7
Nazmun Nahar Akhi على Dangerous_Villian_Lover part 2
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على জানালার ওপারে পর্ব-১৭ এবং শেষ পর্ব
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على লীলা বোর্ডিং ১২১৫ পর্ব-১১ এবং শেষ পর্ব
মিজানুর রহমান রাহুল على সেই তুমি পর্ব-০১
@feelings على প্রহেলিকা
Anamika Basu على সে পর্ব-১২
Anamika Basu على সে পর্ব-১২
Nusrat jahan على coffee & vanilla Part-10
Pallabi Roy على স্বপ্নীল ৬৮
M.D Mahabub على The_Villain_Lover Part_2
Labani sarkar على Dangerous_Villain_Lover part 23
MD Akas Apc على বিবেক
Tanisha Ahmed على Devil love part-18 
Aius Barmon shorob على নারীর দেহকে নয়
Chandan roy على স্বপ্নীল ৬৮
Chandan roy على স্বপ্নীল ৬৮
Riya Biswas على তুমি রবে ৬০
Priya Banerjee على devil love married life last part
Riya Biswas على তুমি রবে ৬০
Riya Biswas على তুমি রবে ৫২
Mohammad Adib على তুমি রবে ৬০
Avni Ayesha على তুমি রবে ২৮
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
সুমিত على তুমি রবে ২৮
TANJIBA ZENIFAR على তুমি রবে ৫০
TANJIBA ZENIFAR على তুমি রবে ৫০
Samiah Begum على তুমি রবে ৫১
biddut das rocky على নর নারী
গল্প পোকা على নষ্ট গলি শেষ পর্ব
Md Jobayer Hossain Shohag على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
গল্প পোকা على দুই অলসের সংসার
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤৪২.
A.J.S Rakib على মন ফড়িং ❤৪২.
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
Samiya noor على গল্পঃ ভয়
Sadikul على গল্পঃ ভয়
Samia Islam على গল্পঃ ভয়
শূন্য মায়া على মন ফড়িং ❤ ৪০.
Sutapa biswas على মন ফড়িং ❤৩৯.
Foysal Mahmud على My_Mafia_Boss_Husband Part: 16
sutapa biswas على মন ফড়িং ❤ ৩৮.
sutapa biswas على মন ফড়িং ❤ ৩৭
Foysal Mahmud على My_Mafia_Boss_Husband Part: 16
Siyam على বিবেক
Sudipto Guchhait على My_Mafia_Boss পর্ব-৯
saptami karmakar على devil love married life last part
saptami karmakar على devil love married life last part
মায়া على মন ফড়িং ৩০.
মায়া على মন ফড়িং ৩০.
মায়া على মন ফড়িং ২৬.
Shreyashi Dutta على  বিয়ে part 1
Sandipan Biswas على  বিয়ে part 1
Paramita Bhattacharyya على অনুরাগ শেষ পর্ব
জামিয়া পারভীন তানি على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
মায়া على মন ফড়িং  ২২
সুরিয়া মিম على খেলাঘর /পর্ব-৪২
গল্প পোকা على মন ফড়িং ২১
গল্প পোকা على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
Sahin ssb على মন ফড়িং ২১
মায়া على মন ফড়িং ২১
মায়া على মন ফড়িং ❤ ২০.
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤ ২০.
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৮. 
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৭.
Jannatul Ferdous على খেলাঘর পর্ব-৩৫
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤ ১৬. 
গল্প পোকা على ফাল্গুনের_ফুল last_part_8
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৬. 
গল্প পোকা على ছাত্রী যখন বউ পাঠঃ ১
গল্প পোকা على বাজির প্রেম পাঠঃ ১
Foujia Khanom Parsha على মা… ?
HM Ashraful Islam على অবুঝ_বউ পার্ট: ৮
HM Ashraful Islam على অবুঝ_বউ পার্ট: ৫
Ibna Al Wadud Shovon على স্বার্থ