Sunday, October 5, 2025







বাড়ি"ধারাবাহিক গল্প"তুমি এলে তাই পর্ব-২৮

তুমি এলে তাই পর্ব-২৮

#তুমি এলে তাই ❤
#লেখিকা: অনিমা কোতয়াল
#পর্ব- ২৮
.
স্পন্দনের কথাগুলো শুনে গুঞ্জন পুরো পাথরের মতো দাঁড়িয়ে আছে। ও তো এটাই চায় যে স্পন্দন ওর থেকে দূরে চলে যাক, ওর সামনে না আসুক, ওকে ভুলে যাক। কিন্তু স্পন্দন যখন নিজেই এসব বলল তখন ওর এতো কষ্ট কেনো হচ্ছে? বুকের ভেতর এক অসহ্য যন্ত্রণা হচ্ছে। স্পন্দন গুঞ্জনের দিকে কয়েকসেকেন্ড তাকিয়ে থেকে বলল,

— ” এবার নিশ্চয়ই খুব খুশি হয়েছো? আশা করি আমার মতো সুযোগ সন্ধানী, ক্যারেক্টারলেস ছেলের কাছে তুমি নিজেও আর কোনোদিন আসবে না। গুড বাই।”

বলে একমুহূর্ত ওখানে না দাঁড়িয়ে চলে গেলো। গুঞ্জন আবেগের বসে স্পন্দনকে ডাকতে গিয়েও জাস্ট ‘স্প’ টা উচ্চারণ করেই সাথে সাথে মুখ চেপে ধরল। এইমুহূর্তে নিজের আবেগকে আর দমিয়ে রাখতে পারবেনা। তাই দৌড়ে ওখান থেকে চলে গেলো। স্পন্দনের কেনো জেনো মনে হলো গুঞ্জন ওকে ডেকেছে। স্পন্দন মনে মনে একটু খুশি হলো যে না গুঞ্জন ওকে ডেকেছে। নিশ্চয়ই এখন ও নিজেই সবটা ঠিক করে নেবে। সেটা হলে ওও রাগ করে থাকবে না। এসব ভেবে পেছনে তাকিয়ে আরো একবার হতাশ হলো ও। কারণ ওখানে গুঞ্জন নেই। আরেকবার হতাশ হওয়াতে ক্ষতটা আরো গভীর হয়ে গেলো। একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে ওখান থেকে চলে গেলো স্পন্দন। তবে ও ঠিক করে নিয়েছে এরপর গুঞ্জন চাইলেও ও আর গুঞ্জনের কাছে যাবেনা।

এদিকে গুঞ্জন দৌড়ে ভার্সিটির ভেতরে ঢুকে একটা ওয়াসরুমে গিয়ে মুখ চেপে ধরে কাঁদছে। বারবার নিজের হাতটার দিকে তাকাচ্ছে। এই হাত দিয়েই স্পন্দনকে থাপ্পড় মেরেছে ও মনে পরতেই হাতটা আর রাখতেই ইচ্ছে করছেনা। এতোদিনের মনের সব কষ্ট, রাগ, ক্ষোভ স্পন্দনের ওপর ঝেড়ে দিয়েছে। কেনো ওর সাথে বারবার এরকম হয়? কেনো? ওর জীবণে কেনো সবকিছু সহজভাবে হতে পারেনা? কেনো?

______________________

গুঞ্জন রাতে মনমরা হয়ে উপোড় হয়ে শুয়ে। আবির ওর রুমের দরজার কাছে এসে দাঁড়িয়ে আছে। বিগত কয়েকমাসে গুঞ্জন আর আবিরের সম্পর্কটা আগের মতো হয়ে গেছে। যার পুরো কৃতিত্ত্ব ছিলো স্পন্দনের। স্পন্দন গুঞ্জনের পাস্ট না জানলেও পরিবারের সাথে বর্তমান সম্পর্ক কেমন তা জানতো। স্পন্দনকে গুঞ্জনকে বুঝিয়েছিলো অতীতের রাগ অভিমানের জন্যে বর্তমানটা নষ্ট করা বোকামি। যার ফলে আবিরের ওপর নিজের অভিমানটা আর ধরে রাখেনি ও। আর আবিরও নিজের বোনকে খুব ভালোবাসে। তাই সম্পর্কটা আগের মতো হওয়াটা খুব একটা কঠিন ছিলোনা। যদিও একটা শূন্যতা ছিলো সেটা এইকয়েকদিনে পূরণ হয়ে গেছে। আবির গুঞ্জনকে গভীরভাবে দেখেছে এইকয়দিন। মেয়েটা এভাবে হঠাৎ বদলে গেলো তো গেলো, কিন্তু কিছু একটা হয়েছে। ওর সবকিছুই এলোমেলো লাগছে ওর মধ্যে। গুঞ্জনকে এভাবে একদম দেখতে পারছেনা ও। হঠাৎ মেঘলা পেছন থেকে এসে বলল,

— ” কী ভাবছিস?”

আবির গুঞ্জনের দিকে তাকিয়ে থেকেই বলল,

— ” হঠাৎ কী হলো মেয়েটার? কেনো এমন করছে ও?”

মেঘলা একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল,

— ” জানিনা অনেকবার জিজ্ঞেস করেছি বলেনি কিছু। শুধু একটাই কথা বলে ‘ ইচ্ছে হয়েছে তাই’।

আবির মেঘলার দিকে তাকিয়ে বলল,

— ” যাই হোক সেটা এমনি এমনি হতে পারেনা। গুঞ্জন কারো কথা শুনে নিজেকে বদলানোর মেয়ে না। ও মন থেকেই নিজেকে বদলেছে। আর তার পেছনে কোনো বড় কারণ তো অবশ্যই আছে। রাতে এখনো কিছু খায়নি ও। তুই গিয়ে খাবারটা নিয়ে আয় আমি দেখছি ওকে।”

মেঘলা মাথা নেড়ে চলে গেলো। আবির আস্তে আস্তে গুঞ্জনের কাছে গিয়ে বসে ওর মাথায় হাত রাখতেই গুঞ্জন চমকে গিয়ে উঠে বসলো। নিজেকে সামলে নিয়ে বলল,

— ” ভাইয়া কিছু বলবি?”

আবির গুঞ্জনের দিকে কয়েকসেকেন্ড তাকিয়ে থেকে বলল,

— ” কী হয়েছে তোর?”

গুঞ্জন মুখে একটা জোরপূর্বক হাসি দিয়ে বলল,

— ” আমার কী হবে? আমিতো একদম ঠিকই আছি। ”

আবির এবার চোখ ছোট ছোট করে গুঞ্জনের দিকে তাকিয়ে বলল,

— ” দেখ। তোর হাসি আমি চিনি। তোর কোন হাসি মন থেকে আর কোনটা বাইরের লোক দেখানো সেটা এক ঝটকায় বলে দিতে পারবো আমি।”

গুঞ্জন কিছু না বলে মাথা নিচু করে ফেলল। কী আর বলবে ও? নিজের মনের অনুভূতি কষ্ট যন্ত্রণা সব নিজের মধ্যেই দমিয়ে রাখার অভ্যাস আছে ওর কিন্তু এবারের মতো এতো অসহ্য ব্যাথা কোনোদিন হয় নি। আবির মেঘলার মাথায় হাত বুলিয়ে বলল,

— ” কী সমস্যা বল?”

গুঞ্জন এবার আবিরকে জরিয়ে ধরলো। খুব দরকার ছিলো ওর এখন কাউকে এখন। আবির গুঞ্জনের মাথায় হাত রাখতেই গুঞ্জন ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠলো। কাঁদতে কাঁদতে বলল,

— ” তুই আর আমাকে ছেড়ে কোথাও যাস না ভাইয়া। তুই আর মেঘুদি আমার কাছে না থাকলে আমি সত্যিই মরে যাবো!”

আবির গুঞ্জনের কথায় বেশ অনেকটা অবাক হলো। অবাক হয়েই বলল,

— ” এরকম করে কেনো বলছিস তুই? আমি তোকে ছেড়ে কেনো যাবো?”

এরমধ্যেই মেঘলা চলে এলো। মেঘলা খাবারের ট্রে টা রেখে বলল,

— ” অনেক গল্প হয়েছে এবার খেতে হবে।”

গুঞ্জন একটু ভাঙা গলায় বলল,

— ” আমার খিদে পায়নি।”

আবির একটু ধমক দিয়ে বলল,

— ” চুপ করবি তুই? চুপচাপ হা করবি আমি খাইয়ে দেবো। তুই খাসনি বলে আমিও খাইনি।”

মেঘলাও হেসে বলল,

— ” আর তোরা দুজনে খাসনি তাই দেখ আমিও খাইনি।”

আর কী করার? গুঞ্জনকে খেতেই হলো। আবির নিজে খাইয়ে দিয়েছে গুঞ্জনকে। খাওয়া দাওয়া শেষে গুঞ্জনকে ঘুম পারিয়ে তবেই ওরা গেছে রুম থেকে।

____________________

আরো কয়েকটা দিন কেটে গেলো। গুঞ্জন নিজেকে বদলে ফেললেও পরিবারের সকলের সাথে ওর সম্পর্ক এখনো স্বাভাবিক হয়নি। গুঞ্জনের কাকা কাকী তো গুঞ্জনকে কথা শোনানোর সুযোগ পায়না তাই আফসোস করে।আর গুঞ্জনকে যতোবার দেখে ততোবার আহত দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। মেয়ের পরিবর্তন চেয়েছিল ঠিকই কিন্তু এবাবে না। মেয়েটা ঠিক মতো না খাচ্ছে আর না কিছু করছে। সদা উদাসীন একটা ভাব চলে এসছে গুঞ্জনের মধ্যে। গুঞ্জনের এই অবস্থা দেখে সবচেয়ে বেশি যেই দুজনের কষ্ট হচ্ছে তারা হলো আবির আর মেঘলা। ঐদিনের পর সত্যিই স্পন্দন না গুঞ্জনের সামনে এসছে আর না কোনো যোগাযোগ করেছে। গুঞ্জনের খুব কষ্ট হচ্ছে কিন্তু নিজে থেকে কোনো যোগাযোগ ও করেনি কারণ ওও তো এটাই চায়। মেঘলা আর আবির একয়েকদিন গুঞ্জনের সাথে স্পন্দনের কোনো যোগাযোগ নেই সেটা খেয়াল করেছে আর অবাক ও হয়েছে। আবির এই নিয়ে প্রশ্ন করেছিলো কিন্তু গুঞ্জন এড়িয়ে গেছে। সুতরাং দুজনেই বুঝতে পেরেছে যে ওদের মধ্যেই কিছু একটা হয়েছে আর এ সবকিছুর সেটাই। কিন্তু কী করবে ওরা গুঞ্জনতো কিছু বলছেও না। আর মেঘলাও ইদানিং স্পন্দনকে অফিসে এখন বেশ খিটখিটে অবস্হায় দেখে। অকারণেই রেগে যায়। কেমন খুব বেশি গম্ভীর হয়ে গেছে। তাই মেঘলা ভয়েও কিছু জিজ্ঞেস করতে পারছেনা। একবার গুঞ্জনের টপিক তুলতে নিয়েতো ঝাড়ি শুনতে হলো। তবে মেঘলার মধ্যেকার পরিবর্তনগুলো এখন খুব গভীর হয়েছে। প্রেমের অনুভূতির ছাপ স্পষ্ট ওর মুখে। গুঞ্জনের চোখের আড়াল হয়নি সেগুলো। প্রথমে ব্যাপারটা স্বাভাবিকভাবে নিলেও পরে ব্যাপারটা নিয়ে ভাবছে গুঞ্জন। করণ এখন মেঘলার ফোনে কথা বলা, মুচকি হাসতে হাসতে চ্যাট করা। এসব দেখে গুঞ্জনের মনে কেমন জেনো লাগছে। স্পন্দনকে ও যতোটুকু চেনে তাতে এতো তাড়াতাড়ি ও না করার পরেই তো অন্যকারো হয়ে যাবেনা। আবার নিজেই নিজেকে বকে। কী ভাবছে ও? স্পন্দন যাতে ওকে ভুলে ওর বোনকে ভালোবাসতে পারে তাইতো স্পন্দনকে ছেড়ে এসছে ও তাহলে স্পন্দন মেঘলার প্রস্তাব মেনে নেবে এটা চিন্তা করলেও ওর দম কেনো হয়ে আসে। এটা হলেতো ওর মনে মনে খুশি হওয়ার কথা। সোফায় বসে এসবই ভাবছে গুঞ্জন। হঠাৎ করেই মেঘলা এসে ওর পাশে বসে বলল,

— ” স্যার আর তোর মধ্যে কী হয়েছে বলতো? এখন না মিট করিস না কথা বলিস? কী হয়েছে?”

গুঞ্জন একটু হেসে ফোন হাতে নিয়ে বলল,

— ” উনি ওনার কাছে ব্যাস্ত থাকে আর আমি আমার কাছে। সিম্পল।”

মেঘলা কিছু বলবে তার আগেই গুঞ্জন বলে উঠলো,

— ” প্লিজ মেঘুদি। এই টপিকটা এখন অন্তত থাক?”

মেঘলা একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল,

— ” আচ্ছা শোন না আজ বিকেলে আমার সাথে বেড়োবি?”

গুঞ্জন একটু অবাক হয়ে বলল,

— ” কোথায়?”

মেঘলা হেসে বলল,

— ” বলেছিলাম না তোকে? সময় হলে ঐ বিষয়ে সবটা বলব? আজ তোকে সরাসরি মিট করাবো।”

গুঞ্জন হতভম্ব হয়ে গেলো। স্পন্দনের সাথে মিট করাতে নিয়ে যাবে? স্পন্দন কী সত্যিই মেঘলার সাথে এখন? কিন্তু এটা কীকরে হয় কিছুদিন আগেও তো স্পন্দন ওকেই ভালোবাসতো তাহলে? স্পন্দনকে ও চেনে এতো তাড়াতাড়ি অন্যকাউকে নিয়ে কিছু ভাববেনা ও। তাহলে কী গুঞ্জনের সাথে জেদ করে..। এসব ভাবতে ভাবতেই মেঘলা তুরি মেরে বলল,

— ” আমি কেনো যাবো মেঘুদি? প্লিজ…”

আর কিছু বলার আগেই মেঘলা বলে উঠলো,

— ” প্লিজ না করিস না। প্লিজ দেখ আমি খুব নার্ভাস, প্লিজ।”

গুঞ্জন অসহায়ভাবে একবার মেঘলার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে মাথা নাড়লো। মেঘলা খুশি হয়ে ওকে জরিয়ে ধরে একটা হাগ করে চলে গেলো।

____________________

বিকেলে ওরা দুজনেই রেডি হয়ে রেস্টুরেন্টের উদ্দেশ্য বেড়িয়ে গেলো। গুঞ্জনের মনে ঝড় চলছে কিন্তু সেটা মেঘলাকে বুঝতে দিচ্ছেনা। ও তো এটাই চেয়েছিল তাহলে? এতো কষ্ট, এতো যন্ত্রণা কেনো হচ্ছে? কেনো মনে হচ্ছে সব শেষ হয়ে যাচ্ছে? এসব ভাবতে ভাবতে রেস্টুরেন্টে পৌছে গেলো ওরা। রেস্টুরেন্টে ঢুকে মেঘলার সাথে সাথে গিয়ে টেবিলে কাছে গিয়েই গুঞ্জন ভ্রু কুচকে ফেলল। একটা লোক উঠে দাঁড়ালো স্পন্দনের বয়সী দেখতেও অনেকটা স্পন্দনের মতোই। মেঘলার সাথে আলতো করে পজিটিভ একটা হাগ করল। গুঞ্জন তো আহম্মকের মতো তাকিয়ে আছে। মেঘলা এবার গুঞ্জনের দিকে তাকিয়ে বলল,

— ” গুটি এই হচ্ছে তোর জিজু রেহান। আর ও আমার ছোটবোন গুঞ্জন।”

রেহান মুচকি হেসে বলল,

— ” হ্যাঁ শুনেছি ওর ব্যাপারে। স্পন্দন বলেছে অনেক।”

গুঞ্জন জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। মেঘলা হেসে বলল,

— ” আরে উনি স্পন্দন স্যারের চাচাতো ভাই। ওনার পাশের ক্যাবিনে বসে। আমার আরেক বস।”

রেহান একটু পিঞ্চ করে বলল,

— ” হ্যাঁ এখন তো ডানা গজিয়েছে না স্যার বলতে ভুলে যাচ্ছো।”

গুঞ্জন হাসবে না কাঁদবে বুঝতে পারছেনা। এবার ধীরে ধীরে অনেকটা ক্লিয়ার হচ্ছে ব্যাপারটা। যদিও কিছু প্রশ্ন আছে তবে এটুকু বুঝে গেছে মেঘলা স্পন্দনকে ভালোবাসে না। সবটা ওর বোঝার ভুল ছিলো। এসব ভেবে মনে মনে একটু খুশি হতে নেবে। তখনি মাথায় এলো কী অকাজ করে ফেলেছে। এসব ভেবে একটা শুকনো ঢোক গিলল। রেহান বলল,

— ” বাট স্পন্দনের মুখে যেরকম ডিসক্রিপশন শুনেছি তার সাথে তো এই গেট অাপ মেলে না?”

গুঞ্জন একটু হেসে বলল,

— ” সে অনেক কাহিনী জিজু পরে বলব।”

এরপর তিনজনেই বসে বসে অনেক্ষণ আড্ডা দিলো। কিন্তু গুঞ্জন ওদের সামনে হেসে হেসে কথা বললেও মনে ঝড় চলছে। কী করে ফেলেছে কিছু ভালোকরে না জেনেই?

বাড়ি ফিরে আসতেই মেঘলার রুমে গিয়ে দরজা লক করে গুঞ্জন মেঘলাকে ধরে বলল,

— ” মেঘুদি গো? অনেক বড় ব্লান্ডার করে ফেলেছি।”

গুঞ্জন সবটা খুলে বলল মেঘলাকে। সব শুনে মেঘলা ঠাস করে একটা থাপ্পড় মেরে দিলো গুঞ্জনের গালে। গুঞ্জন গলে হাত দিয়ে মুখ ফুলিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। মেঘলা রেগে বলল,

— ” পাগল তুই স্পন্দন স্যারকে ভালোবাসবো তাও আমি? আরে তোকে যেদিন থেকে ওনার কোলে দেখেছি সেদিন থেকে তোদের হিট জুটি ভাবি। আর তুই? আর আমি কখন বলেছি যে ‘আমি স্পন্দন স্যারকে ভালোবাসি? ‘”

গুঞ্জন গাল ডলতে ডলতে বলল,

— ” তুমিই তো বললে যে স্পন্দন স্যারের সাথে কথা বলতে হবে?”

মেঘলা একটা লম্বা শ্বাস নিয়ে বলল,

— ” আরে গাধি আমি স্পন্দন স্যারকে দিয়েই রেহান স্যারকে আমার মনের কথা বলতে চেয়েছিলাম। সরাসরি বলতে লজ্জা লাগছিলো। কিন্তু স্পন্দন স্যারকে বলার আগেই রেহান স্যার নিজেই এসে আমাকে প্রপোজ করে দিলো। একবার জিজ্ঞেস তো করে?”

গুঞ্জন বোকার মতো দাঁড়িয়ে আছে। মেঘলা একটু ভেবে বলল,

— ” যাই হোক শুধু রিজেক্টই করেছিস তো? সমস্যা নেই গিয়ে সরি বলে দিবি”

গুঞ্জন একটু ইতস্তত করে বলল,

— ” তাহলেতো হতোই বাট আমিতো…”

মেঘলা একটু ঘাবড়ানো কন্ঠে বলল,

— ” কী?”

গুঞ্জন মুখটা ইনোসেন্ট করে বলল,

— ” মারবেনা বলো?”

মেঘলা অধৈর্য হয়ে বলল,

— ” আচ্ছা বল।”

গুঞ্জন সেদিনের থাপ্পড় আর ওসব কথা বলল। মেঘলা মাথায় হাত দিয়ে বসে বলল,

— ” লে হালুয়া।”

গুঞ্জনও মাথা চুলকাতে চুলকাতে ধপ করে মেঘলার পালে বসে অসহায় কন্ঠে বলল,

— ” আব মেরা কেয়া হোগা মেঘু দি?”

#চলবে…

পূর্ববর্তী নিবন্ধ
পরবর্তী নিবন্ধ
গল্প পোকা
গল্প পোকাhttps://golpopoka.com
গল্পপোকা ডট কম -এ আপনাকে স্বাগতম......
RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments

Md masrur Hasan mahi على অবুঝ_বউ পার্ট: ৫
আমিনুল ইসলাম على প্রয়োজন পর্ব: ৩০ ( অন্তিম)
সাজিবুল ইসলাম على ধর্ষিতাবউ২ ৯ তথা শেষ পর্ব
শাহিদুল ইসলাম على জীবন সঙ্গী ১ম পার্ট
শাহিদুল ইসলাম على জীবন সঙ্গী ১ম পার্ট
Nita Sarkar على স্বপ্নীল ৬৮
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على রহস্য শেষ_পর্ব
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على অলক্ষ্যে তুমি পর্ব-০৬ এবং শেষ পর্ব
Nazmun Nahar Akhi على Psycho_is_back? part_7
Nazmun Nahar Akhi على Dangerous_Villian_Lover part 2
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على জানালার ওপারে পর্ব-১৭ এবং শেষ পর্ব
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على লীলা বোর্ডিং ১২১৫ পর্ব-১১ এবং শেষ পর্ব
মিজানুর রহমান রাহুল على সেই তুমি পর্ব-০১
@feelings على প্রহেলিকা
Anamika Basu على সে পর্ব-১২
Anamika Basu على সে পর্ব-১২
Nusrat jahan على coffee & vanilla Part-10
Pallabi Roy على স্বপ্নীল ৬৮
M.D Mahabub على The_Villain_Lover Part_2
Labani sarkar على Dangerous_Villain_Lover part 23
MD Akas Apc على বিবেক
Tanisha Ahmed على Devil love part-18 
Aius Barmon shorob على নারীর দেহকে নয়
Chandan roy على স্বপ্নীল ৬৮
Chandan roy على স্বপ্নীল ৬৮
Riya Biswas على তুমি রবে ৬০
Priya Banerjee على devil love married life last part
Riya Biswas على তুমি রবে ৬০
Riya Biswas على তুমি রবে ৫২
Mohammad Adib على তুমি রবে ৬০
Avni Ayesha على তুমি রবে ২৮
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
সুমিত على তুমি রবে ২৮
TANJIBA ZENIFAR على তুমি রবে ৫০
TANJIBA ZENIFAR على তুমি রবে ৫০
Samiah Begum على তুমি রবে ৫১
biddut das rocky على নর নারী
গল্প পোকা على নষ্ট গলি শেষ পর্ব
Md Jobayer Hossain Shohag على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
গল্প পোকা على দুই অলসের সংসার
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤৪২.
A.J.S Rakib على মন ফড়িং ❤৪২.
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
Samiya noor على গল্পঃ ভয়
Sadikul على গল্পঃ ভয়
Samia Islam على গল্পঃ ভয়
শূন্য মায়া على মন ফড়িং ❤ ৪০.
Sutapa biswas على মন ফড়িং ❤৩৯.
Foysal Mahmud على My_Mafia_Boss_Husband Part: 16
sutapa biswas على মন ফড়িং ❤ ৩৮.
sutapa biswas على মন ফড়িং ❤ ৩৭
Foysal Mahmud على My_Mafia_Boss_Husband Part: 16
Siyam على বিবেক
Sudipto Guchhait على My_Mafia_Boss পর্ব-৯
saptami karmakar على devil love married life last part
saptami karmakar على devil love married life last part
মায়া على মন ফড়িং ৩০.
মায়া على মন ফড়িং ৩০.
মায়া على মন ফড়িং ২৬.
Shreyashi Dutta على  বিয়ে part 1
Sandipan Biswas على  বিয়ে part 1
Paramita Bhattacharyya على অনুরাগ শেষ পর্ব
জামিয়া পারভীন তানি على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
মায়া على মন ফড়িং  ২২
সুরিয়া মিম على খেলাঘর /পর্ব-৪২
গল্প পোকা على মন ফড়িং ২১
গল্প পোকা على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
Sahin ssb على মন ফড়িং ২১
মায়া على মন ফড়িং ২১
মায়া على মন ফড়িং ❤ ২০.
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤ ২০.
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৮. 
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৭.
Jannatul Ferdous على খেলাঘর পর্ব-৩৫
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤ ১৬. 
গল্প পোকা على ফাল্গুনের_ফুল last_part_8
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৬. 
গল্প পোকা على ছাত্রী যখন বউ পাঠঃ ১
গল্প পোকা على বাজির প্রেম পাঠঃ ১
Foujia Khanom Parsha على মা… ?
HM Ashraful Islam على অবুঝ_বউ পার্ট: ৮
HM Ashraful Islam على অবুঝ_বউ পার্ট: ৫
Ibna Al Wadud Shovon على স্বার্থ