#তুমি এলে তাই ❤
#লেখিকা: অনিমা কোতয়াল
#পর্ব- ১৭
.
কিছুক্ষণ আগে পূর্ব আকাশে সূর্য উঠেছে। গ্রামের সবুজ গাছপালা, ক্ষেত আর নদী সব ঝলমল করছে নরম রোদের মিষ্টি আলোতে। বিভিন্নরকম পাখির গুঞ্জনে চারপাশ মুখরীতি। গ্রামের সকালগুলো এরকমি চমৎকার আর স্বর্গীয় হয়। গ্রামের এরকম ভোর যারা নিজের চোখে দেখেছে তারাই জানে এর মোহনীয়তা। বাঁশের বেড়ার ফাঁকা দিয়ে রোদের মসৃণ আলো আর পাখির কিচিরমিচির শব্দে স্পন্দন ঘুম ভেঙ্গে গেল স্পন্দনের । কাল রাতে গুঞ্জের মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে চোখ লেগে গেছিলো। অনেকরাত অবধি শুধু মেয়েটাকে দেখেছে ও। এমনভাবে কখনো কোনো মেয়েকে দেখেনি। এক অন্যরকম অনুভূতি হচ্ছিলো যা আগে কখনো হয়নি। এসব হিসেব মেলাতে মেলাতেই চোখ লেগে গেছিলো। চোখ হালকা খুলে নিজের কোলের ওপর গুঞ্জনকে দেখে আর আশেপাশটা দেখে কয়েকসেকেন্ডের জন্যে চমকে গিয়েছিলো কিন্তু এরপর কালকের সবকথা মনে পরতে একটা শ্বাস ফেলে গুঞ্জনের দিকে তাকালো স্পন্দন। এইমুহূর্তে গুঞ্জনকে একটা বাচ্চা মনে হচ্ছে। এক্কেবারে ইনোসেন্ট, কিউট একটা মেয়ে। অথচ এইমেয়েটাই যে পুরো ঝাঁসির রাণী সেটা মনে করতেই আনমনে হেসে দিলো স্পন্দন। এরমধ্যে গুঞ্জনেরও ঘুম ভেঙ্গে গেলো আস্তে আস্তে চোখ খুলে তাকালো। গুঞ্জন একটা হাইতুলে নিজের স্পন্দনের কোলে আবিষ্কার করে তাড়াতাড়ি উঠে বসে পরলো। তাড়াতাড়ি উঠে বসাতে শরীরে ব্যাথা অনুভব করে চোখ বন্ধ করে মৃদু চিৎকার করে উঠলো। স্পন্দন উত্তেজিত কন্ঠে বলল,
— ” কেয়ারফুল।”
গুঞ্জন নিজেকে সামলে ইতস্তত কন্ঠে বলল,
— ” আমি বোধহয় ঘুমের ঘোরে আপনার কোলে শুয়ে পরেছিলাম।”
স্পন্দন হালকা হেসে বলল,
— ” আরে না। আসলে তুমি ঘুমিয়ে পরেছিলে আর বালিশ একটাই ছিলো তাই..”
গুঞ্জন বুঝতে মেরে শুধু একটু হাসি দিলো। স্পন্দন কিছু বলবে তার আগেই দরজায় করা নেড়ে বলল,
— ” সাহেব আসমু? আপনাগো ঘুম ভাঙছে?”
স্পন্দন একটু জোরে বলল,
— ” হ্যাঁ আসুন। আমরা উঠে পরেছি।”
সেই কৃষকের স্ত্রী ভেতরে এসে বলল,
— ” সাহেব আপনেরা সকালে ভাত খাইতে পারবেন নাকি দোকান থিকা কিছু আনাইমু।”
গুঞ্জন মুখে হাসি ফুটিয়ে বলল,
— ” খেতে কেনো পারবোনা নিশ্চয়ই পারবো আপনাদের কিছু আনতে হবেনা।”
এরমধ্যেই কৃষক লোকটাও ভেতরে এসে বলল,
— ” তা আপনেরা তো দাঁত মাজবেন নাকি? কিন্তু বেরাশ তো নাই। নিম গাছের ডাইল আছে খুব ভালা। ওইয়া দিয়া মাজদারবেন না?”
স্পন্দন অবাক হয়ে বলল,
— ” নিম গাছের ডাল?”
গুঞ্জন ব্যাপারটা সামলাতে বলল,
— ” হ্যাঁ হ্যাঁ আমরা পারবো। সমস্যা নেই।”
ওনারা মাথা নেড়ে চলে যেতেই স্পন্দন গুঞ্জনের দিকে তাকিয়ে বলল,
— ” সিরিয়াসলি? নিম পাতা দিয়ে ব্রাশ করতে হবে?”
গুঞ্জন মেকি হাসি দিয়ে বলল,
— ” এখানে আপনাকে এক্সপেন্সিভ টুথপেস্ট আর ব্রাশ দেওয়ার জন্যে কেউ বসে নেই। না ব্রাশ করেই খাবেন নাকি?”
স্পন্দন একটা হতাশ নিশ্বাস ত্যাগ করে বলল,
— ” হুমম তাও ঠিক।”
গুঞ্জন ঠোঁট চেপে একটু হেসে বলল,
— ” দ্যা বিজনেস টাইকুন স্পন্দন চৌধুরী কী না নিম পাতা দিয়ে দাঁত মাজবে? ইট শুড বি ব্রেকিং নিউস হ্যাঁ?”
বলে শব্দ করে হাসতে শুরু করলো গুঞ্জন। স্পন্দন কিছুক্ষণ চোখ ছোট ছোট করে গুঞ্জনের দিক তাকিয়ে থেকে নিজেও হেসে দিলো। দুজনেই শব্দ করে হাসছে। প্রাণ খুলে হাসছে।
_____________________
আবির রা সবাই বাড়ির ড্রয়িং রুমে বসে আছে। আবির দুই হাতে মুখ চেপে ধরে বসে আছে। ওকে কাল বিকেলের ঘটনার পরেই মেঘলা ফোন করে সব জানিয়েছে সব শুনে আবির ঐ মুহূর্তেই রওনা দিয়ে চলে এসছে। মেঘলা কপালে একহাত দিয়ে বসে আছে। গুঞ্জনের বাবা মার মুখেও চিন্তার ছাপ আছে। তবে ওর কাকা কাকীর মুখে একগাদা বিরক্তি। গুঞ্জনের কাকা বিরক্তিমাখা কন্ঠে বললেন,
— ” আগে তো রাত করে বাড়ি ফিরতো। আর এখন বাইরে রাত কাটানোও শুরু করে দিয়েছে। কতোটা উন্নতি হয়েছে।”
গুঞ্জনের কাকী বলে উঠলেন,
— ” কী বলেছিলাম? এই মেয়ে একদিন এই বাড়ির সবার মুখে কালি লাগাবে মিললো তো? দেখো কী কান্ড ঘটিয়ে আসে।”
আবির এবার চেঁচিয়ে বলে উঠল,
— ” শাট আপ!”
আবিরের ধমকে সবাই কেঁপে উঠলো। আবির ওর কাকা কাকীর দিকে তাকিয়ে বলল,
— ” এতোদিন তোমরা আমার বোনকে যা খুশি বলেছো কিচ্ছু বলিনি বিকজ তোমরা বয়সে বড়। কিন্তু ইনাফ নাও। আজ আমি বলছি আমার বোনের সম্পর্কে আর একটা ওয়ার্ড ও যেনো তোমাদের মুখ থেকে শুনতে না পাই আমি। গেট ইট।”
রিয়াদ হোসেন ধমকে বলে উঠলেন,
— “আবির কী হচ্ছে কী?”
আবির ওর বাবার দিকে তাকিয়ে বলল,
— ” প্লিজ বাবা। অনেক হয়েছে। তোমার মেয়ে ও। কাল থেকে বাড়ি ফেরেনি। ওর যেকোন বিপদ হয়ে পারে। না কোনো ফ্রেন্ডের সাথে আছে না ক্লাবে আর না অন্যকোথাও। কোথায় আছে কেমন আছে কিচ্ছু জানিনা। ফোনটাও ফেলে গেছে। আর এনারা দুজন? কী দরকার ছিলো হ্যাঁ ওর পার্মিশন ছাড়া পাত্রপক্ষ আনার? আমি তোমাদের বলেছি না আমার বোনকে সারাজীবন বসিয়ে খাওয়ানোর যোগ্যতা আমার আছে? তাহলে? একটা কথা শুনে রাখো যদি আমার গুটির কোনো ক্ষতি হয় তো তোমাদের কাউকে স্পেয়ার করবোনা আমি। ”
এটুকু বলে আবির বাইরে চলে গেলো গুঞ্জনকে খুজতে। আর মেঘলাও ঘরে চলে গেলো। আরা ওনারা সবাই চুপ। আবিরের ঐসব কথায় সকলের কথাই বন্ধ হয়ে গেছে।
____________________
নদীর পারে হাটু ভাজ করে বসে আছে স্পন্দন আর গুঞ্জন। সবে সকাল হয়েছে। নদীর পারের এই ফুরফুরে হাওয়া ঝুরঝুরে বালি আর একটা আলতো ঠান্ডা পরিবেশে প্রাণ জুরিয়ে যাচ্ছে দুজনের। কৃষকদের বাড়ির সামনেই নদী। এক্কেবারে সামনে। তবে এটুকুও গুঞ্জনকে স্পন্দন কাঁধ ভর দিয়ে এনেছে। বা পায়ে বেশ অনেকটা ব্যাথা পেয়েছে গুঞ্জন। যার ফলে হাটতে পারলেও হাটতে কষ্ট হচ্ছে ওর। গুঞ্জন নিম পাতা দিয়ে দাঁত মাজা শুরু করে দিলেও স্পন্দন শুধু ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখছে। সেটা দেখে গুঞ্জন ভ্রু নাচিয়ে ইশারায় জানতে চাইলো কী হয়েছে? স্পন্দন অসহায়ভাবে ডালটার দিকে তাকিয়ে বলল,
— ” এটা দিয়ে কীভাবে মাজব?”
গুঞ্জন মুখ থেকে ডালটা নামিয়ে বলল,
— “আমি যেভাবে করছি সেভাবেই করুন।”
স্পন্দন একটা গভীর দীর্ঘশ্বাস ফেলে গুঞ্জনকে অনুসরণ করে দাঁত মাজতে শুরু করলো। মুখে বেশ তেতো ফিল কর মুখ ছিটকে ফেলতেই গুঞ্জন শব্দ করে হেসে দিলো। স্পন্দন মুখ কুচকে বলল,
— ” হোয়াট দা হেল?”
গুঞ্জন কোনোরকমে হাসি থামিয়ে বলল,
— ” করতে থাকুন কনফারটেবল হয়ে যাবেন।”
স্পন্দন তাই করলো একটু পরে আর সমস্যা হলোনা ওর। হঠাৎ গুঞ্জন বলে উঠল,
— ” ওহ ফিস।”
স্পন্দন চমকে গিয়ে বলল,
— ” কী হয়েছে?”
গুঞ্জন একটা আফসোসের শ্বাস নিয়ে বলল,
— ” আমার বাইকটা ওখানেই আছে। পাবোতো আর?”
স্পন্দন হেসে বলল,
— ” পেয়ে গেছো। পাশের বাড়িতে রাখা আছে আমি গিয়ে লোক পাঠিয়ে দেবো ওরা বাইক নিয়ে তোমার বাড়ি পৌছে দেবে। কারণ এই শরীর নিয়ে বাইক চালিয়ে যেতে পারবেনা তুমি।”
গুঞ্জন আর কিছু বললোনা কারণ স্পন্দন ঠিকই বলেছে। কিছুক্ষণ পর স্পন্দন বলল,
— ” একটা কথা বলব?”
গুঞ্জন নদীর দিকে তাকিয়ে বলল,
— ” বলুন?”
স্পন্দন ও সামনে তাকিয়ে বলল,
— ” প্রথম দিকে তুমি তো আমায় তুমি করেই বলতে। মানুষ আপনি থেকে তুমিতে যায় আর তুমি থেকে আপনিতে এলে কেমন একটা হয়ে গেলো না ব্যাপারটা? ”
গুঞ্জন সামনে তাকিয়েই বলল,
— ” আপনি তো বলেছিলেন যে আমার মুখে তুমি শুনতে আপনি পছন্দ করেন না?”
স্পন্দন একটু হেসে বলল,
— ” তোমার প্রশ্নেই তোমার উত্তর আছে। আমি বলেছিলাম। বাট এখন যদি আমিই বলি আমায় তুমি করে বলতে?”
গুঞ্জন চুপ করে রইলো। সেটা দেখে স্পন্দন মৃদু আওয়াজে বলল,
— “সরি বলেছি তো ওসবের জন্যে।”
গুঞ্জন একটা শ্বাস নিয়ে মুচকি হেসে স্পন্দনের দিকে তাকিয়ে বলল,
— ” আচ্ছা ঠিকাছে তুমি করে বলব। বাট এমনি এমনিনা। শর্ত আছে।”
স্পন্দন ভ্রু কুচকে বলল,
— ” কী শর্ত?”
গুঞ্জন হেসে হাত বাড়িয়ে দিয়ে বলল,
— ” ফ্রেন্ডস?”
স্পন্দন হেসে দিলো। একটু হেসে তারপর গুঞ্জনের হাতে হাত মিলিয়ে বলল,
— ” ইয়াহ ফ্রেন্ডস।”
এরপর দুজনে টুকিটাকি গল্প করতে করতে কিছুক্ষণ কাটিয়ে কৃষকের বাড়িতে গেলো। পাশের বাড়ির সেই ডক্টর এসে দেখে গেছে গুঞ্জনকে। পায়ের ব্যাথাটা আজ রাত অবধি একটু একটু করে বারলেও পরে ঠিক হয়ে যাবে। ডক্টর ঔষধও প্রেসক্রাইবড করে দিয়েছে। এরপর ওখানে খেয়ে ওনাদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে গাড়ি নিয়ে বেড়িয়ে পরল। গাড়ি অবধি স্পন্দনকে গুঞ্জনকে কোলে নিতে আসতে হয়েছে কারণ ডক্টর ইনজেকশন দেওয়ার পর ব্যাথাটা বেড়েছে। গাড়ি মিডিয়াম গতিতে চলছে। ড্রাইভ করতে করতে বলল,
— ” আচ্ছা এদেরও কী তুমি মেরেছিলে নাকি? যে তোমাকে মারতে এলো?”
গুঞ্জন একটু বাঁকা হেসে বলল,
— ” হ্যাঁ এমনিতে পারেনা তাই একা খালি হাতে পেয়ে সুযোগ নিয়েছে।”
স্পন্দন বলল,
— ” এইজন্যই একটু কেয়ারফুল থাকতে হবে তাইনা?”
গুঞ্জন কিছু বললোনা। স্পন্দন আবারও বলল,
— ” তোমার বাড়ির লোক নিশ্চয়ই টেনশন করছে। ফোনও তো আনোনি।”
গুঞ্জন ছোট্ট একটু তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে বলল,
— ” মেঘুদি আর খুব বেশি হলে ভাইয়া ছাড়া হয়তো কেউ করছেনা।”
স্পন্দন অবাক হয়ে বলল,
— ” মানে?”
গুঞ্জন হেসে দিয়ে বলল,
— ” আরে ড্রাইভিং এ মন দাও তো আমার কথায় এতো গুরত্ব দেওয়ার কিছু হয়নি।”
এরপর আবারও নিরবতা চলল। মাঝরাস্তা থেকে স্পন্দন গুঞ্জনের মেডিসিন গুলোও নিয়ে এসছে। গুঞ্জন অনেকবার বারণ করার পরেও শোনেনি। গুঞ্জনের বাড়িতে এসে গাই থামিয়ে কোলে নিতে গেলেই গুঞ্জন বলল,
— ” থাকনা এটুকু আমিই পারব।”
কিন্তু স্পন্দন যেনো শুনতেই পায়নি এমন ভাব করে গুঞ্জনকে কোলে করে ভেতরে নিয়ে এলো। ড্রয়িং রুমেই বসে ছিলো একটা গুঞ্জনকে এভাবে কোলে করে আনতে দেখে সবাই। মেঘলা অবাক হয়ে বলল,
— ” স্যার?”
স্পন্দনও মেঘলাকে এখানে দেখে অবাক হলো। কিন্তু কোনো পাত্তা না দিয়ে গুঞ্জন কে সোফায় বসিয়ে দিলো। আবির তাড়াতাড়ি গুঞ্জনের কাছে এসে হাটু ভেঙ্গে বসে ওর দুগালে হাত রেখে বলল,
— ” কী হয়েছে তোর গুটি? এতো ব্যান্ডেজ কেনো? কী হয়েছিলো বল?”
মেঘলাও গুঞ্জনের পাশে বসে কাঁদোকাঁদো কন্ঠে বলল,
— ” এতো চোট কী করে পেলি সোনা? কী হয়েছে বল?”
গুঞ্জন কিছু না বলে শুধু নিজের ভাই বোনকে দেখছে। গুঞ্জনের বাবা গম্ভীর কন্ঠে বললেন,
— ” কে আপনি আর ওকে কোথায় পেলেন?”
গুঞ্জনের কাকি বলে উঠলেন,
— ” এই মেয়ে আবার কী কানড ঘটিয়ে এসছে বলুতো?
স্পন্দন ভ্রু কুচকে তাকালো। নিজেদের বাড়ির মেয়ের এই অবস্হা আর এনারা এসব আগে জানতে চাইছে?পকেট থেকে নিজের কার্ড বের করে গুঞ্জনের বাবাকে দিয়ে গুঞ্জনের গম্ভীর কন্ঠে বলল,
— ” আপনি ওর বাবা?”
গুঞ্জনের বাবা বললেন,
— ” হ্যাঁ তো কী করেছে কী ও?”
স্পন্দন এরপর সবটা খুলে বলল সবাইকে। মেঘলাও সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দিলো স্পন্দনের । সৌজন্যতার খাতিরে আলাপ সেড়ে নিলো। আবির স্পন্দনকে হাগ করে থ্যাংকস ও বলল।কিন্তু হঠাৎ অফিসের কল আসায় ছাদে চলে গেলো কথা বলতে। পরে মেঘলাকে ঔষধ প্রেসক্রিপশন বুঝিয়ে দিয়ে গুঞ্জনের দিকে একবার তাকিয়ে বাই বলে বেড়িয়ে গেলো স্পন্দন। কিন্তু গাড়ির কাছে যেতেই খেয়াল করলো চাবী ফেলে এসছে। তাই চাবিটা আনতে আবার ব্যাক করে দরজার কাছে গিয়েই থেমে গেলো।
গুঞ্জনের কাকী বলছে,
— ” দেখুন দাদা কী করে বেরাচ্ছে আপনার মেয়ে। এখন পর পুরুষের সাথেও রাত কাটিয়ে বেড়াচ্ছে।”
গুঞ্জনের কাকাও বলল,
— ” এইজন্যই বলছি এই মেয়ের অনুমতির আশা করোনা। যেমন ছেলে পাও তেমন ছেলের সাথেই বিয়ে দিয়ে বিদায় করো। যেটুকু সম্মান বেঁচে আছে সেটুকুতো থাকবে। ”
গুঞ্জনের শারীরিক বা মানসিক কোনো শক্তিই নেই একন এদের কথার জবাব দেওয়ার। ওরা নানা কথা শুনিয়ে যাচ্ছে গুঞ্জনকে। স্পন্দন তো অবাক হচ্ছেই সাথে রাগও হচ্ছে । হাত মুষ্ঠিবদ্ধ করে দাঁড়িয়ে আছে ও। গুঞ্জনের ঐ কথাগুলোর সারাংশ কিছুটা হলেও এখন বুঝতে পারছে ও।
#চলবে..