Monday, October 6, 2025







বাড়ি"ধারাবাহিক গল্প"তুমি এলে তাই পর্ব-১৪

তুমি এলে তাই পর্ব-১৪

#তুমি এলে তাই ❤
#লেখিকা: অনিমা কোতয়াল
#পর্ব- ১৪
.
স্পন্দন নিজের কেবিনে চুপচাপ বসে বসে একমনে অফিসিয়াল কাজ করছে। সেই সময় মেঘলা কেবিনে নক করে বলল,

— ” মে আই কাম ইন স্যার?”

স্পন্দন কাজ করতে করতেই বলল,

— ” কাম ইন।”

মেঘলা ভেতরে ঢুকে একটা ফাইল স্পন্দনের দিকে এগিয়ে দিয়ে বলল,

— ” স্যার আমি ফাইলটা কম্প্লিট করে ফেলেছি। আপনি একটু চেইক করে নিন।”

স্পন্দন কাজ করতে করতে মেঘলার দিকে না তাকিয়েই বলল,

— “রেখে দিন আমি চেইক করে নেবো।”

মেঘলা মাথা নেড়ে ফাইলটা টেবিলে রেখে যেতে নিয়েও থেমে গেলো তারপর অনেকটা ইতস্তত করে পেছনে তাকিয়ে বলল,

— ” স্যার? একটা কথা বলবো?”

স্পন্দন এবারেও ল্যাপটপে চোখ রেখেই বলল,

— ” বলুন?”

মেঘলা একটু গলা ঝেড়ে বলল,

— ” স্যার? সেদিন যাকে সরি বলতে চেয়েছিলেন তাকে সরি বলেছেন?”

স্পন্দন এবার কাজ করা থামিয়ে দিয়ে মেঘলার দিকে তাকিয়ে বলল,

— ” ওহ ইয়েস! এন্ড তার জন্যে আপনার একটা থ্যাংকস পাওনা আছে।”

কথাটা শুনে মেঘলা খুশি হয়ে বলল,

— ” তারমানে সে সরি এক্সেপ্ট করেছে?”

স্পন্দন আবারও ল্যাপটপে চোখ রেখে বলল,

— ” হ্যাঁ করেছে। আপনার আইডিয়াটা বেশ কাজে দিয়েছে। আপনার বোনের মতো ওরও ওগুলো বেশ পছন্দ হয়েছে। এন্ড তার জন্যে থ্যাংকস ।”

মেঘলা মুচকি হেসে বলল,

— ” ইউ আর ওয়েলকাম স্যার।”

এরপর একটু দাঁড়িয়ে থেকে তারপর মেঘলা বলল,

— ” স্যার আসছি।”

স্পন্দন এবারও ল্যাপটপে চোখ রেখেই বলল,

— ” হ্যাঁ আসুন।”

মেঘলা চলে গেলো কেবিন থেকে আর স্পন্দনও নিজের কাজে মনোযোগ দিলো।

_____________________

সময় খুব বিচিত্র একটা জিনিস। একমুহূর্তর জন্যেও থামেনা। ওর না আছে কোনো ক্লান্তি না আছে কারো প্রতি কোনো সহানুভূতি। ও কারো পরোয়া না করে কারো সুবিধার কথা না ভেবে নিজের মতো চলতে থাকে। সময়ের আরেকটা অদ্ভুত দিকও আছে। আইনস্টাইন যখন ওনার আপেক্ষিকতার তত্ত্ব প্রদান করেন তখন এক প্রেশ কনফারেন্সে এক তরুণ সাংবাদিক, বিজ্ঞানী আইনস্টাইনকে তার আপেক্ষিক তত্ত্ব সম্পর্কে ব্যাখ্যা করতে বললে আইনস্টাইন কৌতুক করে বললেন যে, ” যখন একজন লোক কোনো সুন্দরীর সঙ্গে এক ঘণ্টা গল্প করে, তখন তার কাছে মনে হয় যেন এক মিনিট পার হয়েছে। কিন্তু যখন তাকে কোনো গরম উনুনের পাশে এক মিনিট দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয় তবে তার মনে হবে সে এক ঘণ্টা ধরে দাঁড়িয়ে আছে। এটাই আপেক্ষিক তত্ত্ব। ” কথাটা আইনস্টাইন কৌতুক করে বললেও সেটা কিন্তু চরম সত্যি। যেসময় গুলো আমাদের ভালো লাগে সেগুলো খুব দ্রুতই পার হয়ে যায়। অথচ খারাপ সময়গুলো অনেক দীর্ঘ মনে হয়, জেনো কাটতেই চায়না । দেখতে দেখতে এক সপ্তাহ কেটে গেছে। অথচ মনেই হয়না যে সাত সাতটা দিন কেটে গেছে। এই এক সপ্তাহের মধ্যে স্পন্দন আর গুঞ্জনের কোনো দেখা হয়নি। তবে তাতে ওদের দুজনের কারোরই বিশেষ কোনো যায় আসেনি। ওদের জীবণ নিজস্ব গতিতে চলছে। স্পন্দন ওর বিজনেস, অফিস, ক্লাইন্ট এসব কাজের মধ্যে ডুবে আছে। আর গুঞ্জন ভার্সিটি, লেট নাইট পার্টি, ক্লাব এসব নিয়েই নিজেকে ব্যাস্ত রাখছে। তবে সারাদিনের ব্যাস্ততার পর রাতের অন্ধকারে বিশ্রামের মধ্যে হঠাৎ করেই নিজেদের মনে পরে একে অপরের কথা সেই ঝগড়া, রেস্টুরেন্টে কাটানো সময়, আবার পরমূহুর্তেই নিজেকে সামলে নেয় ওরা।

গুঞ্জন আজ একটু ভোর বেলাই ঘুম থেকে উঠেছে। বাইরে একটু আগেই বৃষ্টি হয়েছে। সেপ্টেম্বর মাস হলেও প্রায়ই বৃষ্টি হচ্ছে আর অদ্ভুত এক ঠান্ডা পরিবেশ তৈরী হয়েছে চারপাশে, তারওপর সকাল। গুঞ্জন একটা শাল গায়ে জরিয়ে বাগানে হাটতে বেড়িয়েছে। হাটতে হাটতে হঠাৎ গুঞ্জন দেখলো আবির একটা আমাগাছের নিচে দাঁড়িয়ে আছে আর বারবার গাছটায় হাত বুলাচ্ছে । গুঞ্জনের মনে পরলো ছোটবেলার কথা। ছোটবেলায় ঐ আমগাছটা ও আর আবির মিলে লাগিয়েছিলো। ছোটবেলায় খুব ঝগড়া করতো দুজনে গাছে আম হলে কে আগে খাবে, কে বেশি নেবে এসব নিয়ে। গুঞ্জন ধীর পায়ে আস্তে আস্তে ওদিকে গেলো। গুঞ্জন গিয়ে গাছটার ওখানে দাঁড়াতেই আবির গুঞ্জনের দিকে না তাকিয়েই বলল,

— ” আজ এতো তাড়াতাড়ি উঠে পরলি যে?”

গুঞ্জন নিজের দুই ক্রস করে বাহু ধরে একটা বড় নিঃশ্বাস নিয়ে বলল,

— ” এমনি ঘুম ভেঙ্গে গেলো।”

আবির গাছটার দিকে তাকিয়েই বলল,

— ” আজ বাড়িতেই ব্রেকফাস্ট করে বেড়োস।”

গুঞ্জনও নিচু কন্ঠে বলল,

— ” হুম।”

আবির আর গুঞ্জন বেশ অনেক্ষণ সময় পর্যন্ত কোনো কথা বলল না। দুজনেই একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে গাছটার দিকে। হঠাৎ করেই গুঞ্জন বলে উঠল,

— ” জানিস ভাইয়া তোরা চলে যাওয়ার পর রোজ দুবেলা আমি এই গাছটায় পানি দিতাম। যত্ন করতাম। যখনি তোর কথা খুব মনে পরতো তখন এই গাছটার কাছে এসে বসে থাকতাম। প্রতিবেলা খাবার নিয়ে এসে এখানে বসে বসে খেতাম। মনে হতো তোর সাথেই খাচ্ছি। তোর সাথে খেলতে, ঝগড়া করতে খুব ইচ্ছে, অনেক মিস করতাম তোকে। খুব কান্না পেতো, কাঁদতে কাঁদতে অনেক ডাকতাম তোকে। কিন্তু তুই আসিস নি আমার কাছে। কখনো আসিস নি।”

কথাগুলো বলতে বলতে গুঞ্জনের গলা ধরে আসছিলো। আবির আর এক মুহূর্তও দেরী না করে হনহনে পায়ে চলে গেলো ভেতরে। আসলে নিজের চোখের জলকে আড়াল করার জন্যেই এটা করেছে। আবির চলে যেতেই গুঞ্জন এতোক্ষণ আটকে রাখা চোখের জলটা ছেড়ে দিলো। ও সহজে কাঁদতে চায়না কিন্তু নিজের আবেগকে চাইলেও সবসময় দমানো যায়না। এদিকে আবিরও নিজের রুমে গিয়ে দুটো শো পিচ ভেঙ্গে ফেলে দিলো। নিজেকে খুব বেশি অপরাধী মনে হচ্ছে ওর। প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে আজ ওর জন্যেই ওর বোনের এই অবস্হা সেটা ও চাইলেও কিছুতেই অস্বীকার করতে পারবেনা। এখন শুধু আল্লাহর কাছে এইটুকুই প্রার্থনা করে ওর বোনের জীবণে যাতে এমন কেউ আসে যে ওর সব কষ্ট ভুলিয়ে ওকে সুখে রাখবে। যার আসার কারণে ওর জীবণটা আবার আগের মতো সুন্দর হয়ে উঠবে।

_____________________

সন্ধ্যা হয়ে আসছে। স্পন্দন অফিসের কাজ সেরে আজ একটু তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরে আসছে। মিডিয়াম স্পিডেই ড্রাইভ করে যাচ্ছে। হঠাৎ করেই গাড়ি খুব জোরে থেমে গেলো। স্পন্দন অবাক হয়ে গেলো হঠাৎ কী হলো? বেশ কয়েকবার স্টার্ট করার চেষ্টা করেও কোনো লাভ হলো না। এরপর গাড়ি থেকে নেমে চেক করে ওর মেজাজটাই খারাপ হয়ে গেলো। গাড়িটায় এখনই সমস্যা হওয়ার ছিলো? জায়গাটাও বেশ শান্ত লোকজনও তেমন একটা নেই এখন এইজায়গায় কারো কাজ থেকে হেল্প কীকরে নেবে। এসব ভেবে গাড়িতে বেশ জোরেই একটা লাথি মারলো। গুঞ্জনও ওইরাস্তা দিয়ে বাইক নিয়ে যাচ্ছিলো ক্লাবের উদ্দেশ্যে। কিন্তু যেতে দেখলো কেউ একজন গাড়ি থামিয়ে কেউ গাড়ির হুড ওপেন করে দাঁড়িয়ে আছে। গুঞ্জনের মনে হলো এরকম নিরিবিলি রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে নিশ্চই কেউ কোনো সমস্যা পরেছে, আবছা অন্ধকার তাই পরিষ্কার দেখা যাচ্ছেনা। ও বাইক থামিয়ে ভালোভাবে তাকিয়ে নিজেই নিজেকে বলল,

— ” এটা স্পন্দন চৌধুরী না?”

এদিকে স্পন্দন কারো বাইকের আওয়াজ পেয়ে সেদিকে তাকিয়ে দেখলো একটা মেয়ে। ও এগোবে তার আগেই ও দেখলো মেয়েটা বাইক থামিয়ে বাইক থেকে নেমে ওর দিকে আসছে। একটু কাছে আসতেই স্পন্দন বুঝতে পারলো এটা গুঞ্জন। গুঞ্জন এসে জিন্সের পকেটে হাত ঢুকিয়ে মুখে হাসি ফুটিয়ে বলল,

— ” হাই! আপনি? এখন? এখানে?”

স্পন্দনও মুখে সৌজন্যতার একটু হাসি ফুটিয়ে বলল,

— ” এইতো বাড়ি ফিরছিলাম কিন্তু এখানে এসে গাড়িটা নষ্ট হয়ে গেলো। এখানে মানুষজনের তেমন যাতায়াতও নেই। কারো একটা আসার অপেক্ষা করছিলাম একটু ধাক্কা দেয়ার জন্যে।”

গুঞ্জন হেসে দিয়ে বলল,

— ” লাভ হতো না। এখান থেকে গ্যারেজ অনেক দূর।”

স্পন্দন একটু ভেবে বলল,

— ” ওও আসলে গাড়ি গ্যারেজ সাধারণত আমার ড্রাইভাররাই করে। তাই আমি জানিনা এই সম্পর্কে। নো প্রবলেম আমি গ্যারেজ থেকে লোক আনিয়ে নিচ্ছে। তোমার ফোনটা দেওয়া যাবে আসলে ফোনে চার্জ শেষ অামার।”

গুঞ্জন কিছু একটা ভেবে বলল,

— ” আপনার প্রবলেম না থাকলে আমি একটু দেখতে পারি?”

স্পন্দন অবাক হয়ে গেলো। ও আবার কী দেখবে? তাই বিষ্মিত কন্ঠে বলল,

— ” দেখবে মানে কী দেখবে?”

গুঞ্জন গাড়ির দিকে তাকিয়ে বলল,

— ” গাড়িটা ঠিক করে দেয়ার চেষ্টা করতাম।”

স্পন্দন এবার বিরক্ত হয়ে গেলো গুঞ্জনের ওপর। ও একটু অন্যরকম ঠিক আছে কিন্তু নিজেকে সব জান্তা মনে করার মানেটা কী সেটাই বুঝতে পারছেনা। ও বিরক্তিমিশ্রিত কন্ঠে বলল,

— ” আচ্ছা নিজেকে ঠিক কী মনে করো তুমি? এটাই যে তুমি সব জানো আর সব পারো?”

গুঞ্জন নিজেও একটু বিরক্ত হয়ে বলল,

— ” আজব? আমি কখন বললাম আমি সব পারি। জাস্ট বলেছি একটু দেখি। আপনি ষাড়ের মত চেঁচাচ্ছেন কেনো?”

স্পন্দন ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলো গুঞ্জনের কথায়। তারপর রেগে বলল,

— ” কী বললে? আমি ষাড়? তুমি.. হোয়াটএভার কী করতে চাইছো তুমি?”

গুঞ্জন গাড়িটার দিকে তাকিয়ে বলল,

— ” দেখতেই পাবেন।”

বলে স্পন্দনের হাতে ওর ফোনটা ধরিয়ে দিয়ে শার্টের হাতা ফোল্ড করতে করতে গাড়ির কাছে হুডের ভেতরে কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করলো। স্পন্দন শুধু হাত ভাজ করে ভ্রু কুচকে দেখছে। গুঞ্জন গাড়ি থেকে সরে আসতেই স্পন্দন একটু ব্যাঙ্গের স্বরে বলল,

— ” কী হয়েছে? ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ? ঠিক হয়ে গেছে গাড়ি?”

গুঞ্জন স্পন্দনের ব্যাঙ্গকে প্রাধান্য না দিয়ে বলল,

— ” রেঞ্জ, র‍্যাম্প, ব্লকার এসব আছে আপনার কাছে?”

স্পন্দন একটু ভ্রু কুচকে বলল,

— ” হ্যাঁ ডিকিতে আছে কেনো?”

— “একটু দেয়া যাবে?”

স্পন্দন কথা না বাড়িয়ে গাড়ির ডিকি থেকে একটা ব্যাগ এনে দিলো। গুঞ্জন ব্যাগ থেকে ওর প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো নিয়ে গাড়ির নিচে ডুকতে গেলেই স্পন্দন আটকে দিয়ে বলল,

— ” আরে কী করছো কী?”

গুঞ্জন বিরক্ত হয়ে বলল,

— ” এতো না চেঁচিয়ে কাজ করতে দিন আমাকে।”

বলে স্পন্দনের উত্তরের অপেক্ষা না করেই মুখে ছোট্ট টর্চ পুরে গাড়ির নিচে চলে গেলো গুঞ্জন। স্পন্দন ভাবছে এই মেয়ে কী করছে ওর গাড়ি নিয়ে কে জানে? ও শুধু পায়চারী করছে এদিক ওদিক। বেশ অনেকক্ষণ পর গুঞ্জন বেড়িয়ে এলো। স্পন্দন অবাক হয়ে গিয়ে তাড়াতাড়ি ফোনের টর্চ লাইট অন করে ধরে দেখলো যে গুঞ্জনের মুখে হাতে জামায় হালকা হালকা কালি লেগে আছে। স্পন্দন কিছু বলবে তার আগেই গুঞ্জন গিয়ে গাড়ির হুডের ভেতরে একটু কাজ করে হুড বন্ধ করে হাত ঝাড়তে ঝাড়তে গাড়ির ভেতরে ঢুকে চাবি দিয়ে গাড়ি স্টার্ট করে দিয়ে নেমে এসে বলল,

— ” নিন আপনার গাড়ি ঠিক হয়ে গেছে। ”

স্পন্দন তো অবাকের চরম পর্যায়। এই মেয়ে গাড়িও ঠিক করতে জানে? ইন্টারেস্টিং। গুঞ্জন ওর সামনে এসে বলল,

— ” আমার ফোনটা?”

স্পন্দন ফোনটা গুঞ্জনের হাতে দিয়ে কিছু বলতে নেবে তার আগেই গুঞ্জন থামিয়ে দিয়ে বলল,

— ” থ্যাংকস বলতে হবেনা। এগুলো আমি করেই থাকি।”

বলে চলে যেতে নিলে স্পন্দন বলল,

— ” কোথায় যাচ্ছিলেন মনে হয়?”

গুঞ্জন দাঁড়িয়ে গিয়ে পেছন ফিরে বলল,

— ” ক্লাবে যেতাম। কিন্তু আপনার গাড়ি ঠিক করতে গিয়ে ড্রেস মুখ সব নষ্ট হয়ে গেছে। এখন আর যেতে পারবোনা। সো বাড়ি যাচ্ছি।”

স্পন্দন বিড়বিড় করে বলল,

— ” যাক একটা ভালো কাজ হলো তাহলে আমার দ্বারা।”

গুঞ্জন ভ্রু কুচকে মাথাটা একটু এগিয়ে নিয়ে গিয়ে বলল,

— ” কিছু বললেন?”

স্পন্দন নিজেকে সামলে নিয়ে বলল,

— ” না কিছুনা।”

গুঞ্জন একটা ছোট্ট শ্বাস ফেলে বলল,

— ” হুমম বাই।”

স্পন্দনও মুখে একটু হাসি ফুটিয়ে নিয়ে বলল,

— ” বাই।”

গুঞ্জন গিয়ে বাইকে বসে বাইক স্টার্ট করে চলে গেলো। আর স্পন্দন গুঞ্জনের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রইলো। মেয়েটা সত্যিই সবার থেকে আলাদা। অনেকটা আলোর ফোটন কণার মতো। সকলের চোখের দৃষ্টিতে একরকম, আর সবার চোখের দৃষ্টির বাইরে অন্যরকম। কিছুতো আছে মেয়েটার মধ্যে যেটা সাধারণ চোখে কেউ দেখতে পায় না। কিছুক্ষণ এসব ভেবে নিজের অজান্তেই হালকা হাসলো স্পন্দন।

#চলবে…

পূর্ববর্তী নিবন্ধ
পরবর্তী নিবন্ধ
গল্প পোকা
গল্প পোকাhttps://golpopoka.com
গল্পপোকা ডট কম -এ আপনাকে স্বাগতম......
RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments

Md masrur Hasan mahi على অবুঝ_বউ পার্ট: ৫
আমিনুল ইসলাম على প্রয়োজন পর্ব: ৩০ ( অন্তিম)
সাজিবুল ইসলাম على ধর্ষিতাবউ২ ৯ তথা শেষ পর্ব
শাহিদুল ইসলাম على জীবন সঙ্গী ১ম পার্ট
শাহিদুল ইসলাম على জীবন সঙ্গী ১ম পার্ট
Nita Sarkar على স্বপ্নীল ৬৮
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على রহস্য শেষ_পর্ব
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على অলক্ষ্যে তুমি পর্ব-০৬ এবং শেষ পর্ব
Nazmun Nahar Akhi على Psycho_is_back? part_7
Nazmun Nahar Akhi على Dangerous_Villian_Lover part 2
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على জানালার ওপারে পর্ব-১৭ এবং শেষ পর্ব
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على লীলা বোর্ডিং ১২১৫ পর্ব-১১ এবং শেষ পর্ব
মিজানুর রহমান রাহুল على সেই তুমি পর্ব-০১
@feelings على প্রহেলিকা
Anamika Basu على সে পর্ব-১২
Anamika Basu على সে পর্ব-১২
Nusrat jahan على coffee & vanilla Part-10
Pallabi Roy على স্বপ্নীল ৬৮
M.D Mahabub على The_Villain_Lover Part_2
Labani sarkar على Dangerous_Villain_Lover part 23
MD Akas Apc على বিবেক
Tanisha Ahmed على Devil love part-18 
Aius Barmon shorob على নারীর দেহকে নয়
Chandan roy على স্বপ্নীল ৬৮
Chandan roy على স্বপ্নীল ৬৮
Riya Biswas على তুমি রবে ৬০
Priya Banerjee على devil love married life last part
Riya Biswas على তুমি রবে ৬০
Riya Biswas على তুমি রবে ৫২
Mohammad Adib على তুমি রবে ৬০
Avni Ayesha على তুমি রবে ২৮
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
সুমিত على তুমি রবে ২৮
TANJIBA ZENIFAR على তুমি রবে ৫০
TANJIBA ZENIFAR على তুমি রবে ৫০
Samiah Begum على তুমি রবে ৫১
biddut das rocky على নর নারী
গল্প পোকা على নষ্ট গলি শেষ পর্ব
Md Jobayer Hossain Shohag على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
গল্প পোকা على দুই অলসের সংসার
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤৪২.
A.J.S Rakib على মন ফড়িং ❤৪২.
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
Samiya noor على গল্পঃ ভয়
Sadikul على গল্পঃ ভয়
Samia Islam على গল্পঃ ভয়
শূন্য মায়া على মন ফড়িং ❤ ৪০.
Sutapa biswas على মন ফড়িং ❤৩৯.
Foysal Mahmud على My_Mafia_Boss_Husband Part: 16
sutapa biswas على মন ফড়িং ❤ ৩৮.
sutapa biswas على মন ফড়িং ❤ ৩৭
Foysal Mahmud على My_Mafia_Boss_Husband Part: 16
Siyam على বিবেক
Sudipto Guchhait على My_Mafia_Boss পর্ব-৯
saptami karmakar على devil love married life last part
saptami karmakar على devil love married life last part
মায়া على মন ফড়িং ৩০.
মায়া على মন ফড়িং ৩০.
মায়া على মন ফড়িং ২৬.
Shreyashi Dutta على  বিয়ে part 1
Sandipan Biswas على  বিয়ে part 1
Paramita Bhattacharyya على অনুরাগ শেষ পর্ব
জামিয়া পারভীন তানি على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
মায়া على মন ফড়িং  ২২
সুরিয়া মিম على খেলাঘর /পর্ব-৪২
গল্প পোকা على মন ফড়িং ২১
গল্প পোকা على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
Sahin ssb على মন ফড়িং ২১
মায়া على মন ফড়িং ২১
মায়া على মন ফড়িং ❤ ২০.
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤ ২০.
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৮. 
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৭.
Jannatul Ferdous على খেলাঘর পর্ব-৩৫
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤ ১৬. 
গল্প পোকা على ফাল্গুনের_ফুল last_part_8
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৬. 
গল্প পোকা على ছাত্রী যখন বউ পাঠঃ ১
গল্প পোকা على বাজির প্রেম পাঠঃ ১
Foujia Khanom Parsha على মা… ?
HM Ashraful Islam على অবুঝ_বউ পার্ট: ৮
HM Ashraful Islam على অবুঝ_বউ পার্ট: ৫
Ibna Al Wadud Shovon على স্বার্থ