#তবুও_তোমায়_চাই (arrogant lover)
#পর্ব_২
#লেখিকা_নুসরাত
হিমেল এগিয়ে যেতেই হিমু তার খালাতো ভাই রিয়াদ কে নিয়ে চলে গেলো৷ কারন অনেক্ষন হয়েগেছে তারা বাসা থেকে বেড়িয়েছে৷
হিমুর এভাবে চলে যাওয়ায় হিমেলের ইগো হার্ট হয়েছে কারন সে ভেবেছে হিমু থাকে দেখে চলে গেছে৷
হিমেলের কাছে হিমুকে এতটাই মায়াবী লেগেছে যে তার চোখে শুধু হিমুর সেই চেহারাই ভাসছে৷
(আশ্চর্য্য কি এমন আছে মেয়েটির মধ্যে যে শুধু আমার চোখে তার চেহারা ভাসছে৷ আগে কখনো তো এমন হয়নি৷ মেয়েটিকে দেখে মনে হলো অনেক দিনের পরিচয় বাট এখন মাত্র দেখলাম৷ যাই হোক ওই মেয়ে আমায় ইগনোর করেছে৷ হিমেল চৌধুরীকে ইগনোর করেছে,ওই মেয়ের ধারনাও নেই কতো মেয়ে এই হিমেলের জন্যে পাগল৷ যাই হোক তোমাকে আমি দেখে নিবো মিস অজানা৷ হিমেলকে ইগনোর করার ফল দেখ এবার কি হয়) কথাটা মনে মনে বলে একটা শয়তানি হাসি দিলো হিমেল৷
হিমুকে ফলো করতে করতে গেলো সে৷ তার একমাত্র লক্ষ্য এখন হিমু কোথায় থাকে সেটা দেখা৷ এবং সে সাকসেসও হলো হিমু একটা চারতলা বাসার সামনে গিয়ে থামল,তারপর একবার পিছনে তাকালো ওর তাকানো দেখে হিমেল সাথে সাথে লুকিয়ে পরলো অতঃপর তার খালাতো ভাই রিয়াদকে নিয়ে ভিতরে চলে গেলো৷
হিমু বাড়িতে ঢুকতেই দেখে তার খালা,খালু,খালাতো বোন আর তার মা বাবা লিভিং রুমে বসে আছেন৷ হিমুকে দেখেই ওর খালা আর খালু উঠে আসলেন তারপর জিগ্গেস করলেন যে ঢাকা শহর ঘুরে কেমন লাগলো৷ হিমুর এতটাই ভালো লেগেছে যে সে তার খালাকে জড়িয়ে ধরলো তারপর বললো,,,,খালামনি আমার কতটা ভালো লেগেছে সেটা আমি তোমাদের বোঝাতে পারবোনা খুব খুব ভালো লেগেছে থ্যাংক ইউ খালামনি এন্ড খালু৷ আমাদের ঢাকায় আনার জন্যে৷
রাতে সবাই ডিনারে বসেছেন৷ হিমেলের বাবা শাহজাহান চৌধুরী হিমেলকে বারবার স্ক্যান করছেন আর কিছু ভাবছেন৷ সাডেনলি তিনি বলেই উঠলেন
শাহজাহানঃকী হয়েছে আজ আমার ছেলেটার এত উদাসিন দেখাচ্ছে যে?এনি প্রব্লেম?
হিমেলঃনো ড্যাড৷ এমনি।
কোনোমতে খাবার খেয়ে উঠে পরলো সে৷ তার মাথায় শুধু একটাই চিন্তা কি করে মিস অজানাকে পানিশমেন্ট দেওয়া যায়৷
এদিকে প্রত্যেকদিনের মতো আজও হিমু হিমেলের ফটো দেখছে আর মনে মনে ভাবছে(কত ইচ্ছে ছিলো কখনো যদি ঢাকায় আসি তাহলে একবার হলেও আপনাকে দেখব৷ কিন্তু সবসময় তো মানুষ যা ভাবে তা হয়না৷ কিন্তু আপনি তো আমার সাথে কথাই বলেননা৷ একবারও কি আমার কথা আপনার মনে হয়না৷ মিস করেননা আমাকে৷ আর করবেনই বা কেনো আপনার মতো ছেলেদেরতো গার্লফ্রেন্ডের অভাব নাই যে আপনি সব বাদ দিয়ে আমার কথা ভাববেন আমিও না কি যে ভাবতেছি৷)চোখ দিয়ে এক ফোটা জল গরিয়ে পরলো হিমুর৷ তারপর হিমেলের ফটো দেখেই ঘুমিয়ে পরলো সে৷ এটা তার প্রত্যেক দিনের কাজ৷ খুব ভালোবাসে সে ছেলেটিকে৷
মেয়েটিকে আজ খুব মনে পরছে৷ থাক মনে পরলেই কি আর না পরলেই কি৷ কথাটা বিরবির করে বললো হিমেল৷ হঠাৎই তার ফোন এলো৷ ফোন টেবিলের ওপর রাখা ছিলো৷ এগিয়ে এসে দেখে তার ১৭ নাম্বার গার্লফ্রেন্ড আলিশা কল দিয়েছে৷৷ কলটা দেখে আপনাআপনি ভ্রু কুচকে গেলো হিমেলের৷ তারপর একরাশ বিরক্ত হয়েই কলটা রিসিভ করলো সে৷ হ্যালো বলতেই ওইপাশ থেকে শুরু হয়ে গেলো ন্যাকামো৷
আলিশাঃবেবি তুমি কখন বাড়িতে গেলে আর এতো সময় হয়ে গেলো একটা কল বা মেসেজও করলে না ইউ নো না আমি তোমাকে কত মিস করি৷
হিমেলঃ এক্চুয়েলি বেবি আমি খুব টায়ার্ড ছিলাম তাই তোমাকে কল করিনি (কথাটা বলে একটা ভেংচি কাটলো হিমেল)
তারপর কথা বলে সেও ঘুমিয়ে পরলো৷
সকালে হিমু ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নিচে গেলো৷ তারপর সবার সাথে মিলে সেও ব্রেকফাস্ট করতে লাগলো৷ হঠাৎই হিমুর খালু মিস্টার শেখর বলে উঠলেন আমি একটা কথা ভেবেছি যদি তোমার বলো তাহলে তোমাদের সামনে পেশ করতে পারি৷ তারপর উনাকে অনুমতি দেওয়া হলো বলার জন্যে৷ উনি বললেন,,,
মিস্টার শেখরঃআসলে দুলাভাই আমি ভেবেছিলাম হিমুকেও ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি করিয়ে দাও তাহলে হিমু আর রিমু(হিমুর খালাতো বোন) একসাথে ভার্সিটিতে যেতে পারবে৷ আর লেখাপড়াও অনেক ভালো হবে৷
কথাটা কিছুক্ষণ ভেবে হেসে দিলেন মিস্টার জামান ( হিমুর বাবা) তারপর বললেন,,,
মিস্টার জামানঃকথাটা মন্দ না বাট হিমুর ওতো মতামত জানতে হবে৷ তা হিমু মামনি তুমি কি বলো৷
হিমুঃবাবা আমার অনেক দিনের ইচ্ছা ঢাকার ভার্সিটিতে পরা বাট তোমার কথা ভেবে আমি কোনোদিন বলিনি৷
মিস্টার জামানঃ ঠিক আছে শেখর তুমি বরং ভর্তির ব্যবস্তা করো৷
খুশি মনে ডিনার করে উঠল হিমু৷ আজ সে খুব খুশি তারপর কিছু একটা ভেবে মুখটা ফ্যাকাসে হয়ে গেলো৷
পরের দিন সকাল বেলা,,,,
নিচে কালো শার্ট তার উপর লাল কোট কালো টাইট প্যান্ট চোখে কালো সানগ্লাস হাতে কালো ওয়াচ পায়ে কালো স্যু স্পাইক করা চুল ৷ একেবারে ড্যাশিং লুক৷ আয়নার সামনে দাড়িয়ে নিজেকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছে কোনো খুত আছে কি না৷ কিছুক্ষণ এভাবে নিজেকে দেখার পর নিচে চলে গেলো৷ নিজের ছেলেকে এমন লুকে দেখে এগিয়ে আসলেন মিসেস চৌধুরী তারপর বললেন বাহ খুব সুন্দর লাগছে তো আমার ছেলেকে৷ মায়ের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বেড়িয়ে পরলো সে উদ্দেশ্য তার ভার্সিটি আর হিমেল হলো ভার্সিটির ভিপি৷
এদিকে হিমুও তার খালাতো বোন রিমুকে নিয়ে ভার্সিটিতে যাচ্ছে৷ কালই তাকে তার খালু ভার্সিটিতে এডমিট করিয়ে দিয়েছেন৷ আজ তার ফার্স্টডে৷ পরনে লম্বা গোল সাদা জামা লাল ওরনা গলায় ঝুলানো,লাল প্যান্ট আর হাতে লাল কাচের চুড়ি,চুলও ছেড়ে দিয়েছে ঠোঁটে হাল্কা গোলাপি লিপস্টিক আর চোখে ঘাড় কাজল যার কারনে থাকে খুব মায়াবী আর সুন্দর দেখাচ্ছে৷
গেইটে দিয়ে ঢুকতেই হঠাৎ,,,৷৷৷
চলবে,,,,,,,