ঝগরাটে ভালবাসা পার্টঃ৪
তামান্না খান
হ্যালো আয়ান,
আম্মু বল শুনতেছি
আজ একটু তাড়াতাড়ি আসবি
কেন আম্মু?
তোকে বলেছিলাম না!তুহির জন্য তোর মামা বিয়ের প্রস্তাব এনেছিল।তারা আজকে তুহিকে দেখতে আসবে, পছন্দ হলে আজকেই দিন তারিখ ঠিক করবে।
অকে আগে অনার্সটা কমপ্লিড করতে দাও।
আরে তারা বিয়ের পরেও তুহিকে পড়াবে।
আচ্ছা আম্মু,আমার অফিসে তো অনেক কাজ, আমি তাড়াতাড়ি ফিরতে পারবো না।
চেষ্টা করে দেখিস
ঠিক আছে,রাখছি।
কেমন জানি খুব রাগ হচ্ছে।আমারতো খুশি হওয়ার কথা। আমার চিরশত্রু এবার বিদাই হবে,তবে আমি খুশি হতে পারছি না কেন?আম্মু কেউ মিথ্যা বললাম।অফিসে তেমন কোনো কাজ নেই।আচ্ছা আম্মুকে মিথ্যা বললাম কেন?
বিকেলে তমালকে ফোন করে বললাম মাঠে আসতে
কিরে আয়ান,তুই অফিস থেকে বাসায় না গিয়ে সরাসরি এখানে আসলি?
হুম,ভাল লাগছেনা।ভাবলাম অনেক দিন ধরে তোদের সাথে আড্ডা মারা হয়না,তাই চলে এলাম।
ও….সব বুঝেছি
কি বুঝেছিস?
এইতো তোর ভাল না লাগার কারন!
মানে?
অনিকের কাছে শুনলাম আজ তুহিকে দেখতে আসছে।
হ্যা তো?
তো এই জন্যই তোর মন খারাপ।
তুই আবার শুরু করলি
তাহলে তুই ই বল তোর মন খারাপ কেন? তোর তো মন ভাল থাকার কথা।তহিতো তোর শত্রু তাই না?
জানি না,হইছে,অনেক আড্ডা হলো এখন বাসায় যেতে হবে। আম্মু চিন্তা করবে।
কথা কাটিয়ে নিলি আয়ান।
কথা কাটাতে যাব কেন?এগুলো হচ্ছে তোর আজে বাজে ভুল ধারনা।যাই এখন ,দেখা হবে।
তোকে না বললাম তড়াতাড়ি আসতে।মেহমানরা দশ মিনিট হলো গিয়েছে।
আম্মু চেষ্টা করেছি আসতে
ঠিক আছে,তারা তুহিকে খুব পছন্দ করেছে।তুহিকে আংটি পরিয়ে গেছে।আর বিয়াটা কিন্তু পনের দিন পরেই।
কি বলছো আম্মু !এত তাড়াতাড়ি।
হ্যা এখন রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আয়।
ঠিক আছে
কেন জানি এখন আরো বেশি রাগ হচ্ছে।
তুই আমার রুমে কি করছিস(চেচিয়ে বললাম)
তা শেয়ালের মত হাক ছাড়ছিস ক্যান,বড় মা তোর ঘরে পানি রাখতে বলছে তাই জগটা রাখতে এলাম।
খেয়াল করে দেখলাম,অ নীল রং এর শাড়ী ও হালকা সেজেছে ।মেহমানরা কিছুক্ষন আগে চলে গেছে এখনো চেন্চ করেনি।ভালই লাগছে।পরক্ষনেই রেগে বললাম রাখা শেষ হইছে এখন যা এখান থেকে।
যাচ্ছি যাচ্ছি আর ঘেউ ঘেউ করতে হবে না বলে চলে গেল।ফ্রেশ হয়ে বিছানায় শুয়ে ভাবছি তমালের কথাগুলো। সত্যি কি তাহলে আমি তহিকে..…….না না এটা কিভাবে সম্ভব।এটা সম্ভব না।
খাওয়ার টেবিলে
তুহি আয়ানকে ডাক দেতো
আমি পারবোনা বড় মা,তখন পানি রাখতে গেছিলাম আমাকে কেমন করলো।আচ্ছা বড়মা আমিতো আর কয়েকটা দিনই আছি।এখনো অর আমার সাথে এমন না করলে হয় না। মন খারাপ করিস নে আমি কথা বলবো আয়ানের সাথে।এইতো আয়ান এসেছে,বস। কখন থেকে ডাকছি।তুহির ফোন বেজে ওঠলো।ফোনটা অর হাতেই।কে রে (বড়মা)নাম্বারটাতো চিনি না ,দেখছি
হ্যালো কে বলছেন?
আমি জিসান
কোন জিসান?
আরে তোমার হবু বড়।
আমি তোর নাম্বাটা দিয়েছি,রুমে গিয়ে কথা বল(বড়মা)
ও সরি ,আমি বুঝতে পারি নি।
এক ঘন্টা ধরে গেছে তাই ফোন করতে হবে।যতসব নেকামি(আয়ান মনে মনে বললো)
আম্মু আমার খাওয়া হয়েছে।আমি ওঠলাম।
হয়েছে মানে তুই তো কিছুই খেলি না।
খেলামতো আর খাব না।রুমে গেলাম(আয়ান)
#তুহি
রুমে এসে কথা বলছি
হ্যা কথা বলছেন না যে(জিসান)
বলছিতো,খাবার খেয়েছেন?(তুহি)
হ্যা খেয়েছি,শুনেছি আপনি নাকি একটু চনচল?কিন্তু আপনার সাথে কথা বলে মনে হচ্ছে না।(জিসান)
আসলে এরকম না,এভাবে আগে কারো সাথে কথা বলি নাই তো তাই একটুু না……(তুহি)
আরে এত নারভাস হতে হবে না(জিসান)
আচ্ছা বড়মা আমাকে ডাকছে পরে কথা বলি?(তুহি)
ঠিক আছে,গুড নাইট(জিসান)
দরজার সামনে থেকে আয়ান বললো,তুই মিথ্যে বললি কেন?
আমি মিথ্যে বলি নাই। বড়মা ডেকেছে তুই মনে হয় শুনিসনি।আর এখন আবার কি নিয়ে ঝগরা করতে এলি?
আমি তোকে খুব বিরক্ত করি তাই না?
আয়ান কোনোদিনও এভাবে বলে না।আমি কিছু বলার আগই কিছু না বলে চলে গেল।
আয়ান….শোন
বল আম্মু
দেখ তুহিতো আর কয়েকটা দিনই আছে।এখন অর সাথে ঝগরা করিস না।অযেন খুশি মনে নতুন জিবন শুরু করতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখবি।আর কাল থেকে কাজ শুরু করবি,সব দায়িত্ব কিন্তু তোর।কিছু বললাম না সুধু মাথা নারালাম।