Sunday, October 5, 2025







বাড়ি"ধারাবাহিক গল্প"জল্লাদ বয়ফ্রেন্ড পর্ব-১৫

জল্লাদ বয়ফ্রেন্ড পর্ব-১৫

#জল্লাদ বয়ফ্রেন্ড❤
#লেখিকাঃ নাবিলা আহমেদ (রোজ)
#পর্ব- ১৫

নিরব মুখে হাত দিয়ে দাড়িয়ে আছে। শুভ্র হাসতে, হাসতে গড়াগড়ি টাইপ অবস্থা। শাওরিন দাত কিড়মিড় করছে। সেটা দেখে নিরব ভ্রু কুঁচকে বললো।”

—-” কি আমাকে রাগ দেখাচ্ছিস? তোর খুব ঝাল লেগেছে তাই না? ওকে ফাইন আমার সাথে চল,

বলে শাওরিনের হাত ধরে নিয়ে গেলো। আমি ওদের পিছুপিছু এলাম। আমার দেখাদেখি শুভ্রও চলে এলো। নিরন শাওরিনকে নিয়ে গিয়ে। সুইমিং পুলের পাশে দাড়ালো। এটা দেখেই বুঝে গেলাম এই ছেলে কি করতে চাইছে। আমি কিছু বলার আগেই। নিরব শাওরিনকে ঠাস করে পুলে ফেলে দিলো। শুভ্র গোল, গোল চোখ করে বললো!”

—-” নিরবের মধ্যে আমি নিজেকে দেখতে পাচ্ছি,

আমি রাগী চোখে তাকিয়ে বললাম।”

—-” তুমি চুপ করবে?”

শুভ্র মুখে হাত দিয়ে দাড়িয়ে রইলো। এদিকে নিরব শাওরিনকে চুবানি দিচ্ছে। শাওরিন চুবানি খেয়ে কাঁদো, কাঁদো ফেস করে বললো,

—-” এসব কি হচ্ছে?”

নিরব দাত কেলিয়ে বললো!”

—-” বেবি এটাই হচ্ছে ভালবাসা,

শাওরিন এবার কেঁদেই ফেললো। নিরব চোরের মতো এদিক, ওদিক তাকাচ্ছে। আমি শাওরিনকে নিয়ে ভেতরে চলে এলাম। আমি আসতেই শুভ্র নিরবের কান মুচরে বললো।”

—-” এগুলো কি করছিস তুই?”

নিরব লাফাতে, লাফাতে বললো,

—-” তোর টেকনিক এপ্লাই করছি, কান ছাড়!”

শুভ্র নিরবের কান ছেড়ে বললো,

—-” এগুলো বাদ দে মেয়েটা কষ্ট পাচ্ছে। এতদুর থেকে তোর জন্য এসেছে। আমার ব্যাপারটা ভিন্ন আমার প্রবলেম ছিলো। আর রোজকে একটু টাইট দেওয়ার ছিলো বুঝলি?”

নিরব চোখ ছোট, ছোট করে বললো।”

—-” বাদ দিতে বলছিস?”

শুভ্র ভেতরে যেতে, যেতে বললো,

—-” হ্যা, আর ওর ব্যাপারে আম্মুকে বলে দে!”

নিরব ঢোক গিলে ভেতরে এলো। ভেতরে এসে সোজা কিচেনে গেলো। মামনির আগে, পিছে ঘুরঘুর করছে। মামনি খুন্তিটা হাতে নিয়ে বললো,

—-” এই ছেলে এখানে এসেছিস কেন?”

নিরব শুকনো ঢোক গিলে বললো।”

—-” আম্মু, আআই ওয়ান্ট টু টেল ইউ সামথিং,

মামনি ভ্রু কুঁচকে বললো!”

—-” কি বলতে চাস?”

নিরব চোখ বন্ধ করে শ্বাস নিলো। আমি আর শুভ্র বেচারার অবস্থা দেখে হাসছি। নিরব চোখ খুলে কিছু বলবে তারআগে ওর ফোন এলো। ফোন পেয়ে মুখে মুচকি হাসি ফুটলো। সেটা দেখে মামনি বললো,

—-” কে ফোন করেছে?”

নিরব কিচেন থেকে এসে বললো।”

—-” আম্মু আমার মম,

বলে ফোন রিসিভ করলো। এরপর কথা বলতে লাগলো। প্রায় অনেকক্ষণ কথা বলে নিরব এলো। ততক্ষণে মামনির রান্নাও শেষ। সবাই ব্রেকফাস্ট করে নিলো। কিন্তুুু শাওরিনের কথা আর বলা হয়নি!”

টাইম এন্ড টাইড, ওয়েট ফর নন। অর্থাৎ সময় এবং স্রোত কারো জন্য অপেক্ষা করে না। আসলেই তাই সময় এবং স্রোত। এই দুটো জিনিষ কারো জন্য ওয়েট করে না। স্রোত যেমন তার নিজ গতিতে। যেই দিকে ইচ্ছে সেদিকে বয়ে যায়। ঠিক তেমন সময়ও তার নিজ গতিতে এগিয়ে যায়। দেখতে, দেখতে আমার প্রেগন্যান্সির ৯মাস গিয়ে ১০মাস চলছে। ইদানিং মেজাজও খুব খিটখিটে হয়ে গিয়েছে। শুভ্রকে আজকাল খুব জ্বালাই। যদিও শুভ্রর চেহারায় কখনো আমি বিরক্তির ছাপ দেখিনি। কিন্তুু আমি বুঝতে পারি জ্বালানো বেশী হচ্ছে। শুধু বাইরের খাবার খেতে ইচ্ছে করে। রাত ১টা নেই ২টা নেই। শুভ্রকে একবার বললে হয়েছে খাবো। শুভ্র সাথে, সাথে উঠে যায়। নুডুলসটা নিজেই বানিয়ে খাওয়ায়। কারন এতরাতে কেউই জেগে থাকে না। এখনো রাত ১টা বাজে। আর আমি না ঘুমিয়ে বিছানায় পা দুলিয়ে বসে আছি। পাশেই শুভ্র বসে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আমি কতক্ষণ এভাবে থেকে বললাম,

—-” আমি আইসক্রিম খাবো।”

শুভ্র মুচকি হেসে বললো!”

—-” তুমি বসো আমি নিয়ে আসছি,

আমি মাথা নাড়িয়ে বসে রইলাম। একটুপর শুভ্র ফিরে এলো। আমি তাকিয়ে বলে উঠলাম।”

—-” আইসক্রিম কোথায়?”

শুভ্র ঠোটের কোনে হাসিটা ঝুলিয়ে রেখে বললো,

—-” তুমি একটু ওয়েট করতে পারবে?”

আমি ভ্রু কুঁচকে বললাম!”

—-” কেন?”

শুভ্র হেসেই বললো,

—-” পারবে না রেড রোজ?”

আমি মুখটা কালো করে বললাম।”

—-” ওকে পারবো,

শুভ্র আমার কপালে চুমু দিয়ে বেরিয়ে গেলো। বিছানা থেকে নেমে জানালার কাছে এলাম। আকাশের চাঁদটা খুব সুন্দর লাগছে আজ। জানালা দিয়ে চাঁদের আলো রুমে এসেছে কিছুটা। আবার বাইরে ঝিরিঝিরি বৃষ্টিও হচ্ছে। এতক্ষণ বৃষ্টি ছিলো না মাএই এলো। আমি ঘড়ির দিকে তাকালাম। ঘড়ির কাটা ১:৩০ মিনিট। মানে আধা ঘন্টা হয়ে গিয়েছে এরমাঝে। তাহলে শুভ্র কোথায় গেলো? আস্তে, আস্তে দরজার দিকে পা বাড়ালাম। এরমাঝেই শুভ্র রুমে এলো। ওর চুল থেকে টুপটুপ করে পানি পড়ছে। হাতে দুটো ভ্যানিলা আইসক্রিম। চুলে পানি দেখে আমি বললাম!”

—-” একি চুলে পানি কেন?”

শুভ্র আমার হাতে আইসক্রিম দিয়ে বললো,

—-” হঠাৎ বৃষ্টি এসে গেলো তাই।”

আমি কিছুটা চমকে বললাম,

—-” তুমি বাইরে গিয়েছিলে নাকি?”

শুভ্র তোয়ালে দিয়ে চুল মুছতে, মুছতে বললো!”

—-” ফ্রিজে আইসক্রিম ছিলো না। তাই বাইরে গিয়েছিলাম আনতে। বাট আজকে উনি দুরে ছিলো তাই লেট হলো সরি হ্যা,

আমি অবাক হয়ে দেখছি। এতরাতে আমি আইসক্রিম খেতে চেয়েছি। ফ্রিজে যে ছিলো না সেটা আমাকে বললে পারতো। কিন্তুু সেটা না করে বাইরে চলে গিয়েছে। শুধুমাএ আমি খেতে চেয়েছি তাই। বৃষ্টি মাথায় করে আইসক্রিম আনলো। আবার আমাকেই সরি বলছে। কোন ধাতু দিয়ে গড়া আমার শুভ্র? আসলে আমি অনেক, অনেক লাকি। তাই তো জীবনে শুভ্রকে পেয়েছি। ভাবতেই চোখগুলো খুশিতে ছলছল করে উঠলো। ওমনি শুভ্র হতভম্ব হয়ে বললো।”

—-” কি হয়েছে রেড রোজ? এই দেখো আমি সরি বলছি তো। আমি আসলে খেয়াল করিনি। যে ফ্রিজ থেকে আইসক্রিম শেষ হয়ে গিয়েছে। শাওরিন নয়তো নিরব হয়তো খেয়েছে। আমি কালকে আবার বক্স ভর্তি এনে রাখবো,

আমি হুট করে শুভ্রকে জড়িয়ে ধরে বললাম!”

—-” এত কেন ভালবাসো আমাকে?”

শুভ্র এবার বুঝতে পেরে মুচকি হেসে বললো,

—-” ভালবাসতে কারন লাগে নাকি পাগলি?”

আমি হেসে দিতেই শুভ্র বললো।”

—-” আইসক্রিম গলে যাবে,

আমি বিছানায় বসে খেতে শুরু করলাম। আমার পাশেই শুভ্র বসা ঠিক পাশে না। আমার মুখোমুখিই বসে আছে। একটুখানি আইসক্রিম খেতেই গা গুলিয়ে উঠলো। মনে হচ্ছে বমি আসবে। তাই উঠে ওয়াসরুমে যেতে চাইলাম। কিন্তুু তারআগেই বমি হয়ে গেলো। আর শুভ্র সামনে থাকায় ও পুরো মেখে গেলো। আমি বমি করেই যাচ্ছি শুভ্র আমাকে ধরে রেখেছে। বমিতে ওর টি শার্ট, ট্রাউজার মেখে অস্থির। এখনো ওর মুখে বিরক্তির ছাপ নেই। বরং আমাকে নিয়ে হাইপার হয়ে পড়েছে। আমি না মাখলেও ও পুরো মেখে গিয়েছে। বমি কমতেই আমাকে ধরে ওয়াসরুমে নিয়ে এলো। এরপর মুখে পানি দিলো আমি কুলি করে ফেললাম। নয়তো বমির গন্ধ মুখে থাকতো। এরপর আমাকে ফ্রেশ করিয়ে বিছানায় বসিয়ে বললো!”

—-” তুমি এখানে বসো। আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি,

আমি মুচকি হাসলাম। শুভ্র কাবার্ড থেকে একটা নীল টি শার্ট। আর কালো ট্রাউজার নিয়ে গেলো। কতক্ষণ পর বেরিয়ে এসে বললো।”

—-” এখন কি ঘুমাবে?”

আমি মাথা নেড়ে হ্যা বললাম। শুভ্র লাইট অফ করে। আমাকে টেনে বুকের সাথে মিশিয়ে শুয়ে পড়লো। আমিও শুভ্রর বুকে লেপ্টে রইলাম। কেটে গিয়েছে আরো কয়েকটা দিন। সোফায় বসে, বসে টিভি দেখছিলাম। এরমাঝে মামনি আর শুভ্র এসে। নিরবের দুই পাশে বসে বললো,

—-” হ্যাপি বার্থ ডে নিরব!”

আমি চমকে বললাম,

—-” আজকে নিরবের বার্থ ডে?”

শুভ্র মুচকি হেসে বললো।”

—-” হ্যা, আর তাই সন্ধ্যায় বাড়িতে পার্টি রাখা হয়েছে,

নিরব হেসে বললো!”

—-” এসবের কি দরকার ছিলো?”

মামনি নিরবের মাথায় হাত দিয়ে বললো,

—-” দরকার ছিলো বলেই তো রাখলাম। এতগুলো বছর পর তোকে ফিরে পেয়েছি। এতটুকু না করলে চলে?”

শাওরিন ও দৌড়ে এসে বললো।”

—-” হ্যাপি বার্থ ডে শুভ ওপস নিরব,

মামনি মুচকি হেসে বললো!”

—-” তোমার শুভ বলে অভ্যাস হয়ে গিয়েছে। তুমি বরং শুভই বলো শাওরিন,

শাওরিন এখানেই থাকে। ওর বাবা, মায়ের সাথে কথা হয়েছে। ওনারা এলেই ওদের বিয়েটা দিয়ে দেবে। সন্ধ্যায় নিরবের পালিত বাবা, মা চলে এলো। আমি একটা সবুজ কালার শাড়ী পড়েছি। শুভ্র আর নিরব দুজনেই কালো সুট পড়েছে। শাওরিন হোয়াইট গাউন পড়েছে। সবাই আসতে শুরু করেছে। শুভ্র আমাকে নিয়ে নিচে এলো। শিরি দিয়ে নামার সময়। এক মুহূর্তের জন্যও আমার হাত ছাড়েনি। মামনি আর বাবা জানিয়েছে। আজকে শাওরিন আর নিরবের। রিং বদল করে রাখবে। শাওরিন ভীষণ খুশী দেখেই বোঝা যাচ্ছে। নিরবও অনেক খুশী হয়েছে। একটু পরেই ওদের স্টেজে নিয়ে গেলো। বাবা সবাইকে বলে ওদের মুখোমুখি দাড় করালো। এরপর বললো রিং বদল করতে। দুজন দুজনকে আংটি পড়িয়ে দিলো। এখন কেক কাটার পালা। নিরবকে নিয়ে সবাই কেক কাটতে গেলো। এদিকে আমার পানির পিপাসা পেয়েছে। তাই শুভ্রর কাছ থেকে চলে এলাম। এসে ওয়েটারের কাছ থেকে জুস নিয়ে খেতে লাগলাম। কিন্তুু ফ্লোরে যে জুস পড়ে আছে। সেটা আমি একদম খেয়াল করিনি। ফ্লোর টাইলস হওয়ায় বেশী পিচ্ছিল হয়ে গিয়েছে। পা দেয়ার সাথে, সাথেই ব্যালেন্স রাখতে পারলাম না। উবুর হয়ে ঠাস করে ফ্লোরে পড়ে গেলাম। পেটে এমন ব্যথা করে উঠলো। মনে হলো কেউ কলিজা বের করে নিচ্ছে।”

—-” শুভ্রওওওওও,

শুধু এতটুকু বলে চেঁচিয়ে উঠলাম। ফ্লোর রক্তে লাল হয়ে গিয়েছে। আমাকে এ অবস্থায় দেখে শুভ্র থমকে গিয়েছে। দৌড়ে আমার কাছে এসে আমাকে ধরলো। নিরব কেক রেখেই চলে এসেছে। বাড়ির সবাই আমাকে নিয়ে পড়েছে। শুভ্র রীতিমত পাগলের মতো করছে। আমার অবস্থা খারাপ অসহ্য ব্যথা হচ্ছে। শুভ্র পাগলের মতো করতে, করতে বললো!”

—-” ররররেড ররোজ তোমার কিছু হবে না। তুমি প্লিজ চোখ বন্ধ করবে না,

বলে আমাকে কোলে তুলে নিয়ে বললো।”

—-” নিরব গাড়ি বের কর,

পেটের ব্যথাটা অসহ্য যর্ন্তনা দিচ্ছে। একটা সময় সহ্য করতে না পেরে। নিজের চোখদুটো বন্ধ করে নিলাম। চোখ বন্ধ করার আগে। শুভ্রর অসহায় আর্তনাদ কানে ভেসে এলো। এরপর আমার কিছু মনে নেই। যখন চোখ খুললাম নিজেকে হসপিটালে পেলাম। একহাতে এখনো স্যালাইন দেওয়া আছে। মনে মনে ভাবছি হয়তো বেশীক্ষণ হয়নি। আমাকে হসপিটালে আনা হয়েছে। এবার পেটের দিকে চোখ যেতেই বললাম!”

—-” আমার বাচ্চা কোথায়?”

পাশ থেকে নার্স এসে বললো,

—-” আপনার সেন্স এসেছে?”

বলেই দৌড়ে বেরিয়ে গেলো। এরপর কেবিনে সবাই এলো। পরে খেয়াল করে দেখলাম শুভ্র নেই। এমনকি আমার বাচ্চাও নেই। আমি চেঁচিয়ে বলে উঠলাম।”

—-” আমার বাচ্চা কোথায়?”

তখনি একজন নার্স তোয়ালে মোড়ানো। একটা ফুটফুটে বাচ্চাকে নিয়ে এলো। আস্তে, আস্তে ওকে আমার কাছে এনে দিলো।।ওকে কোলে নিতেই কলিজা ঠান্ডা হয়ে গেলো। মামনি মুচকি হেসে বললো,

—-” শুভ্রর ছেলে একদম শুভ্রর মতো হয়েছে!”

এবার আমি বললাম,

—-” শুভ্র কোথায়?”

নিরব পাশে টুলে বসে বললো।”

—-” পাশের কেবিনে আছে,

আমি হতভম্ব হয়ে বললাম!”

—-” মানে, কি হয়েছে শুভ্রর?”

নিরন হেসে দিয়ে বললো,

—-” রিল্যাক্স কিছু হয়নি ভাইয়ার। বাপরে এমন ভালবাসা। আমি জীবনে প্রথমবার দেখলাম।”

আমি ভ্রু কুঁচকে বললাম,

—-” মানে কি?”

নিরব চুপ থেকে বললো!”

—-” তুই তো সেন্সলেস ছিলি। ভাইয়া পাগলের মতো করছিলো। ডক্টররা তোকে ওটিতে নেবে। ভাইয়া কোনভাবেই নিতে দেবে না। তোকে ওরা ইনজেকশন দেবে তুই ব্যথা পাবি। আমরা বোঝাতে চেষ্টা করেছি। পরে বলেছে ও তোর সাথে ওটিতে যাবে। কিন্তুু ডক্টররা সেটা এলাও করতে চায়নি। পরে আমরা বুঝিয়ে পাঠিয়েছি। কিন্তুু ওখানে ডক্টরদের বিরক্ত করছিলো। ইনজেকশন কেন দিচ্ছেন? আমার রেড রোজ ব্যথা পাবে। এটা কেন করছেন? ওটা কেন করছেন? ডক্টররা বাধ্য হয়ে ওকে বের করেছে। এরপর ওটির দরজা তো ভেঙেই ফেলে। অনেক কষ্টে ওকে ধরে রেখেছি। তোর ছেলেকে তো কোলেই নেবে না। মানে ডক্টর বলেছিলো তোকে নিয়ে রিস্ক আছে। এটা শুনতেই তোর ছেলের উপর তেড়ে গিয়েছে। আর বারবার বলছিলো রোজের কিছু হলে। ওকে আমি কোনদিন ছুয়েও দেখবো না। পরে ওকে ঘুমের ইনজেকশন দিয়ে। পাশের কেবিনে রেখে দেয়া হয়েছে,

আমি টোটাল শকড শুভ্র এমন করেছে? এরমাঝে কেবিনে হুড়মুড় করে কেউ ঢুকলো। তাকিয়ে দেখি এটা শুভ্র। আমি কিছু বলার আগেই। শুভ্র বেবিকে নিয়ে নিরবের কোলে দিয়ে। আমাকে জড়িয়ে ধরলো না জোরে ধরেনি। আমি ব্যথা পাবো বলে আস্তে ধরেছে। শুভ্র বাচ্চাদের মতো কেঁদে বললো।”

—-” তুমি ঠিক আছো রেড রোজ? তুমি জানো আমার কি অবস্থা হয়েছিলো? আমি তো প্রায় মরেই যাচ্ছিলাম,

শুভ্রকে টেনে এনে ওর মুখে হাত দিয়ে বললাম!”

—-” এগুলো কি বলো?”

শুভ্র বাচ্চাদের মতো বায়না করে বললো,

—-” আমরা আর বেবি নেবো না ওকে?”

আমি ভ্রু নাচিয়ে বললাম।”

—-” কেন?”

শুভ্র চোখের পানি ফেলে বললো,

—-” বেবি নিতে গিয়ে তোকে হারাতে পারবো না!”

আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি। এই মানুষটা আমাকে এত ভালবাসে?”

#চলবে…

গল্প পোকা
গল্প পোকাhttps://golpopoka.com
গল্পপোকা ডট কম -এ আপনাকে স্বাগতম......
RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments

Md masrur Hasan mahi على অবুঝ_বউ পার্ট: ৫
আমিনুল ইসলাম على প্রয়োজন পর্ব: ৩০ ( অন্তিম)
সাজিবুল ইসলাম على ধর্ষিতাবউ২ ৯ তথা শেষ পর্ব
শাহিদুল ইসলাম على জীবন সঙ্গী ১ম পার্ট
শাহিদুল ইসলাম على জীবন সঙ্গী ১ম পার্ট
Nita Sarkar على স্বপ্নীল ৬৮
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على রহস্য শেষ_পর্ব
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على অলক্ষ্যে তুমি পর্ব-০৬ এবং শেষ পর্ব
Nazmun Nahar Akhi على Psycho_is_back? part_7
Nazmun Nahar Akhi على Dangerous_Villian_Lover part 2
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على জানালার ওপারে পর্ব-১৭ এবং শেষ পর্ব
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على লীলা বোর্ডিং ১২১৫ পর্ব-১১ এবং শেষ পর্ব
মিজানুর রহমান রাহুল على সেই তুমি পর্ব-০১
@feelings على প্রহেলিকা
Anamika Basu على সে পর্ব-১২
Anamika Basu على সে পর্ব-১২
Nusrat jahan على coffee & vanilla Part-10
Pallabi Roy على স্বপ্নীল ৬৮
M.D Mahabub على The_Villain_Lover Part_2
Labani sarkar على Dangerous_Villain_Lover part 23
MD Akas Apc على বিবেক
Tanisha Ahmed على Devil love part-18 
Aius Barmon shorob على নারীর দেহকে নয়
Chandan roy على স্বপ্নীল ৬৮
Chandan roy على স্বপ্নীল ৬৮
Riya Biswas على তুমি রবে ৬০
Priya Banerjee على devil love married life last part
Riya Biswas على তুমি রবে ৬০
Riya Biswas على তুমি রবে ৫২
Mohammad Adib على তুমি রবে ৬০
Avni Ayesha على তুমি রবে ২৮
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
সুমিত على তুমি রবে ২৮
TANJIBA ZENIFAR على তুমি রবে ৫০
TANJIBA ZENIFAR على তুমি রবে ৫০
Samiah Begum على তুমি রবে ৫১
biddut das rocky على নর নারী
গল্প পোকা على নষ্ট গলি শেষ পর্ব
Md Jobayer Hossain Shohag على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
গল্প পোকা على দুই অলসের সংসার
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤৪২.
A.J.S Rakib على মন ফড়িং ❤৪২.
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
Samiya noor على গল্পঃ ভয়
Sadikul على গল্পঃ ভয়
Samia Islam على গল্পঃ ভয়
শূন্য মায়া على মন ফড়িং ❤ ৪০.
Sutapa biswas على মন ফড়িং ❤৩৯.
Foysal Mahmud على My_Mafia_Boss_Husband Part: 16
sutapa biswas على মন ফড়িং ❤ ৩৮.
sutapa biswas على মন ফড়িং ❤ ৩৭
Foysal Mahmud على My_Mafia_Boss_Husband Part: 16
Siyam على বিবেক
Sudipto Guchhait على My_Mafia_Boss পর্ব-৯
saptami karmakar على devil love married life last part
saptami karmakar على devil love married life last part
মায়া على মন ফড়িং ৩০.
মায়া على মন ফড়িং ৩০.
মায়া على মন ফড়িং ২৬.
Shreyashi Dutta على  বিয়ে part 1
Sandipan Biswas على  বিয়ে part 1
Paramita Bhattacharyya على অনুরাগ শেষ পর্ব
জামিয়া পারভীন তানি على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
মায়া على মন ফড়িং  ২২
সুরিয়া মিম على খেলাঘর /পর্ব-৪২
গল্প পোকা على মন ফড়িং ২১
গল্প পোকা على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
Sahin ssb على মন ফড়িং ২১
মায়া على মন ফড়িং ২১
মায়া على মন ফড়িং ❤ ২০.
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤ ২০.
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৮. 
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৭.
Jannatul Ferdous على খেলাঘর পর্ব-৩৫
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤ ১৬. 
গল্প পোকা على ফাল্গুনের_ফুল last_part_8
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৬. 
গল্প পোকা على ছাত্রী যখন বউ পাঠঃ ১
গল্প পোকা على বাজির প্রেম পাঠঃ ১
Foujia Khanom Parsha على মা… ?
HM Ashraful Islam على অবুঝ_বউ পার্ট: ৮
HM Ashraful Islam على অবুঝ_বউ পার্ট: ৫
Ibna Al Wadud Shovon على স্বার্থ