Sunday, October 5, 2025







বাড়ি"ধারাবাহিক গল্প"জল্লাদ বয়ফ্রেন্ড পর্ব-০৫

জল্লাদ বয়ফ্রেন্ড পর্ব-০৫

#জল্লাদ বয়ফ্রেন্ড❤
#লেখিকাঃ নাবিলা আহমেদ (রোজ)
#পর্ব- ৫

এসব ভাবনার মাঝে শুভ্র ধমক দিয়ে বললো।”

—-” এই তোকে কি বললাম আমি?”

আমি মিনমিন করে বলে উঠলাম,

—-” ইয়ে শুভ্র না সাজলে হয় না?”

শুভ্র রাগী ফেস করে বললো!”

—-” আমাকে সাজানোর সময় মনে ছিলো না?” এখন তুই ১০মিনিটে এমন সাজবি। নাহলে ১১মিনিট পর তোকে আমি চুবানি দেবো। আর সাথে ঠাটিয়ে চর ফ্রি,

শুকনো ঢোক গিলে মনে মনে ভাবছি। হায় আল্লাহ কি কুত্তা ভাগ্য আমার? নিজের কিউট পিউট চেহারা। এখন নিজের হাতে আমাকে ভুত বানাতে হবে। হাউ জঘন্য ব্যাপার মাবুদ গো। শুভ্র আবার ধমক দিতেই আয়নার সামনে বসে পড়লাম। এরপর সাজতে শুরু করে দিলাম। প্রথমে সিম্পল ভাবে সাজলাম। আহা এভাবে কি কিউট লাগছে আমাকে। এখন পেত্নী সাজতে হবে ভেবে কান্না পাচ্ছে। হঠাৎ দরজা লাগানোর আওয়াজে তাকিয়ে পড়লাম। শুভ্র দরজা লাগিয়েছে কেন? তাহলে কি এখন থেরাপি দেবে নাকি? কিন্তুু শুভ্রর চোখের দিকে তাকিয়ে। আমি অনেক বেশী অবাক হয়ে গেলাম। শুভ্রর চোখে আজকে রাগ না। আমি অন্যরকম নেশা দেখতে পাচ্ছি। শুভ্র এক পা দু পা করে এগিয়ে আসছে। কেন জানিনা ভয় হতে লাগলো। তাই মেকআপ বক্স রেখে চলে এলাম। দরজার কাছে আসতে চাইলেই শুভ্র আমার হাত ধরে। হ্যাচকা টান মেরে নিজের সাথে মিশিয়ে ফেললো। আমি ছুটতে চাইলেই শুভ্র আমার কোমর চেপে ধরলো। শুভ্র আমার কোমরে হাত দিতেই আমি কেঁপে উঠলাম। চোখ গোল গোল করে ওর দিকে তাকিয়ে বললাম।”

—-” শুভ্র কককি করছো?”

শুভ্র আমার ঠোটে আঙুল দিয়ে বললো!”

—-” হিসসস, কোন কথা বলবি না। তুই না চাইতিস? তোর বয়ফ্রেন্ড রোমান্টিক হোক?”

আমি আর কি বলবো? শুভ্র আমার এত কাছে আসাতে। আমার শরীর রীতিমত কাঁপছে। বুকের ভেতর কেউ যেন ঢোল পিটাচ্ছে। এরমাঝে শুভ্র আমার ঠোটে ওর ঠোট ছুয়ে দিলো। আমার চোখগুলো যেন কোটর থেকে বেরিয়ে আসবে। আমি কিছু বুঝতে পারছি না। শুভ্রর ঠোট এখনো আমার ঠোটে। আমি এক হাতে শুভ্রর টি শার্ট খামচে ধরে আছি। আরেক হাতে নিজের জামা খামচে ধরে আছি। কতক্ষণ পর শুভ্র ঠোট থেকে সরে এলো। এক হাত দিয়ে নিজের ঠোটে হাত বুলিয়ে বললো,

—-” ওয়াও রেড রোজ তোর ঠোটতো খুব সফট।”

লজ্জায় আমি চোখ নামিয়ে নিয়েছি। ঘন ঘন নিঃশ্বাস নিয়ে দরজা খুলে দৌড়ে বেরিয়ে এলাম। রুমে এসে দরজা আটকে বেডে বসে পড়লাম। কেন জানিনা শুভ্রকে আটকাতে পারিনি আমি। এদিকে নিজের কাছে লজ্জাও লাগছে প্রচুর। কেন যে বলেছিলাম রোমান্টিক হতে কে জানে? আয়নার সামনে দাড়িয়ে আছি। বারবার আজকের কথা মনে পড়ছে। মামনির ডাকে দৌড়ে নিচে চলে এলাম। ততক্ষণে শুভ্রও ফ্রেশ হয়ে চলে এসেছে। আমাকে দেখেই মামনি বলে উঠলো,

—-” বাহ রোজ তোকে খুব সুন্দর লাগছে!”

সাথে দিদা আর সাহেল আঙ্কেলও বললো। সাহেল আঙ্কেল হচ্ছে শুভ্রর বাবা। ব্রেকফাস্ট শেষ করে এখান থেকেই কলেজে গেলাম। এভাবে এখানে ৪দিন থেকে বাড়ি চলে এলাম। বাড়ি আসতেই আম্মু ভ্রু কুঁচকে বললো,

—-” এত তাড়াতাড়ি চলে এলি কেন?”

আমি কিছু বলার আগেই ভাইয়া বললো।”

—-” ভাল হয়েছে এসেছে আম্মু। বাড়িতে একটা পেত্নী থাকা ভাল,

আমি গাল ফুলিয়ে রুমে চলে এলাম। কেটে গিয়েছে আরো কয়েকটা দিন। শুভ্রর আর আমার রিলেশনের ৭মাস শেষ। একদিন আমি কলেজে লেট করে গেলাম। আর ওদিকে শুভ্রকে দেখে রাহি এসে বললো!”

—-” তোমার গার্লফ্রেন্ড আসেনি?”

শুভ্র জানে রাহি ওকে লাইক করে। আর এটাও জানে রাহি চিপকু মেয়ে। তাই শুভ্র বিরক্তি নিয়ে বললো,

—-” এলেতো দেখতেই তাই না?”

রাহি মুখটা বাঁকিয়ে বললো।”

—-” আচ্ছা ওর মাঝে কি আছে? যে তুমি ওকে এতটা ভালবাসো? ওয়েট আদৌ ভালবাসো তো? না যে থাপ্পর দাও ওকে মনে হয় না ভালবাসো,

শুভ্র রেগে চেঁচিয়ে বললো!”

—-” জাস্ট সাট আপ রাহি। একটাও বাজে কথা বলবে না তুমি। রোজকে আমি ভালবাসি ভীষন ভালবাসি। ভালবাসি বলেই ওকে শাষন করি। আর খবরদার নেক্সট টাইম এটা বলবে না তুমি,

রাহি মুচকি হেসে বললো।”

—-” সত্যি এত ভালবাসো?”

শুভ্র চোয়াল শক্ত করে বললো,

—-” নিজের থেকেও বেশী ভালবাসি!”

হঠাৎই রাহি শুভ্রকে জড়িয়ে ধরলো। এদিকে আমি সব না শুনলেও। এটা শুনেছি শুভ্র বলেছে নিজের থেকে বেশী ভালবাসি। রাহি শুভ্রকে জড়িয়ে ধরাতে আমার মাথায় যেন বাজ পড়লো। তাহলে কি শুভ্র রাহিকে ভালবাসে? তার জন্য আমার সাথে এমন করে? আমাকে দেখে রাহি শুভ্রকে ছেড়ে বললো,

—-” আরে রোজ তুমি কখন এলে?”

রাগে মাথা ছিড়ে যাচ্ছে আমার, রেগেই বললাম।”

—-” কেন এসে কি তোমাদের ডিস্টার্ব করলাম?”

শুভ্র ভ্রু কুঁচকে বললো,

—-” এসব কি বলছিস তুই?”

রাহি হাসি দিয়ে বললো!”

—-” তোমার কথাই বলছিলো শুভ্র,

শুভ্রকে নিয়ে আমি চলে এলাম। অনেক হয়েছে আজকে এর শেষ হবে। আজকে আমি ব্রেকআপ করবোই। যাক সুযোগ তো পেলাম ব্রেকআপ করার। এই পাজী, বেয়াদব, জল্লাদটার থেকে রেহাই পাবো। শুভ্রকে নিয়ে কলেজের পিছনে পুকুর সাইডে চলে এলাম। শুভ্র আমার হাত ছাড়িয়ে বললো।”

—-” এখানে নিয়ে এলি কেন?”

আমি সাহস করে বললাম,

—-” সবকিছু শেষ করতে শুভ্র। আজকে আমি ব্রেকআপ করবোই!”

হঠাৎ শুভ্র রেগে বললো,

—-” কি বললি তুই?”

বলে থাপ্পর মারার জন্য হাত ওঠালো। ওমনি আমি শুভ্রর হাত ধরে ফেললাম। জানিনা হঠাৎ কোথাথেকে এত রাগ ভর করলো। শুভ্রর হাত ঝাড়া দিয়ে ফেলে। আমি ওর গালে ঠাস করে এক থাপ্পর মেরে দিলাম। শুভ্র হতবাক হয়ে তাকালো আমার দিকে। আমি রেগে আগুন হয়ে বললাম।”

—-” খবরদার আমার গায়ে হাত তুলবে না। অনেক সহ্য করেছি আমি তোমাকে, আর না। আমার লাইফটা হেল করে রেখেছো তুমি। আমার গায়ে হাত তোলা, চুবানি দেয়া। রোজ এটা করবি না, ওটা করবি না। এখানে যাবিনা, ওখানে যাবিনা। কোন ছেলেদের সাথে কথা বলবি না। ব্যাস অনেক হয়েছে এসব আর না। আমার তো মনে হয় তুমি আমাকে কখনো ভালবাসোনি। ভালবাসলে এরকম করতে না তুমি,

শুভ্র এতক্ষণ মাথা নিচু করেছিলো। আমার শেষের কথা শুনতে মাথা তুললো। শুভ্র মাথা তুলতেই আমি অবাক হলাম। শুভ্রর চোখে পানি টলটল করছে। শুভ্র কাঁপা কাঁপা গলায় বললো!”

—-” তুই আমাকে ভালবাসিস তো রোজ?”

আমার মুখে কোন কথা নেই,

—-” তুই কোনদিন ভালবেসেছিস আমাকে? মানছি আমি তোকে অনেক জ্বালাই। কিন্তুু বিশ্বাস কর রেড রোজ আমি তোকে ভালবাসি। ভালবাসি বলেই কোন ছেলেদের সাথে তুই কথা বললে। আমার খুব রাগ লাগে খুব বেশী রাগ লাগে। তুই যখন এই কথা তুলেই ফেললি। তখন আমিও একটা কথা বলি?”

আমি ওর দিকে তাকাতেই শুভ্র বললো।”

—-” তুই আমাকে ভালবাসিস না জানি। ৭মাস আগে তুই আমার ফেসের প্রেমে পড়েছিলি রাইট?”

আমি থ হয়ে গেলাম। এটাতো সত্যি কথা আমি শুভ্রর ফেস দেখেই ফিদা হয়েছিলাম। আর তাই ঠিক করি ওর সাথে প্রেম করবো, এরমাঝে শুভ্র বললো,

—-” তুই চেয়েছিলি ক্যাম্পাসের সবথেকে হ্যান্ডসাম শুভ্রকে তোর প্রেমে ফেলতে। যাতে তুই আমাকে পটিয়ে ভাব নিতে পারিস। তুইতো কোনদিন আমাকে ভালবাসিসনি রোজ। তবুও আমি সব জেনে তোর প্রপোস কেন এক্সেপ্ট করেছি জানিস?”

আমি প্রশ্নবোধক ভাবে তাকিয়ে আছি!”

—-” কারন তোকে আমি অনেক আগে থেকে ভালবাসি। আমার গার্লফ্রেন্ড হয়েও যখন তুই আমারি সামনে। অন্য ছেলেদের দেখলে বলতি না? ইস কি কিউট আমি তো ক্রাশ খেয়ে গেলাম। তখন ঠিক বুকের মাঝে লাগতো আমার। আমি আর কখনো তোকে মারবো না। তুই যা ইচ্ছে করতে পারিস রোজ। কিন্তুু ব্রেকআপ করিস না প্লিজ। তোকে আমি অনেক ভালবাসি রোজ,

আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি। সব জেনেও আমাকে ভালবাসে? কিন্তুু না আমার কি তাতে? ব্রেকআপ আমি আজকে করবো তাই বললাম।”

—-” শোনো আমি ব্রেকআপ করবো। আর এটাই ফাইনাল বাই। আজকের পর আমাদের রিলেশন থাকবে না। তোমার থেকে সামির অনেক ভাল। আমি ওর সাথেই প্রেম করবো। আমি তোমার থেকে মুক্তি চাই,

বলে আসতে গেলেই শুভ্র আমার হাত ধরে বললো!”

—-” রেড রোজ প্লিজ এমন করিস না। আমাকে ছেড়ে এভাবে চলে যাস না প্লিজ। আমি তোকে প্রমিস করছি। তুই যা বলবি আমি সব করবো। প্রয়োজনে তুই উঠতে বললে উঠবো। তুই বসতে বললো বসবো। তুই যদি বলিস শুভ্র স্ট্যাচু তাই হয়ে যাবো। তবুও এরকম করিস না রে রোজ প্লিজ। আমার খুব কষ্ট হচ্ছে রোজ। মাথায় খুব ব্যথা করছে চলে যাস না প্লিজ,

কেন যেন আমার পাষান মন শুনলো না এসব। শুভ্রকে ফেলে আমি চলে এলাম। আসতে আসতে শুনেছিলাম শুভ্র চেঁচিয়ে বলেছিলো।”

—-” রোজ প্লিজ ডোন্ট লিভ মি। আই কান্ট লিভ উইথআউট ইউ, রোজজজজজজ,

আর কিছু না শুনে বাড়ি চলে এলাম। বাড়ি আসতেই দেখলাম ড্রয়িংরুমে মামনি। মামনি এখন এখানে কি করছে? আমাকে দেখে মামনি এগিয়ে এসে বললো!”

—-” রোজ মা আমার সাথে হসপিটালে চল তো,

আমি না বুঝে বললাম।”

—-” হসপিটালে কেন?”

মামনি একটা বড় শ্বাস নিয়ে বললো,

—-” শুভ্রর রিপোর্ট আনতে। তোর আঙ্কেল অফিসে আর শুভ্রকে নেবো না। আগে আমি আর তুই গিয়ে শুনি চল!”

বলে আমার হাত ধরে নিয়ে এলো। এদিকে আমি ভাবছি শুভ্রর রিপোর্ট মানে? শুভ্রর আবার কি হয়েছে? মনটা কেমন একটা করছে। হসপিটালে এসে আমি আর মামনি ডক্টরের কেবিনে এলাম। ডক্টর আমাকে দেখে বললো,

—-” উনি কে?”

মামনি পরিচয় দিতেই ডক্টর বললো।”

—-” দেখুন আমি যেটা বলবো। আপনারা ভয় পাবেন না প্লিজ। স্পেশালি আপনি মিসেস চৌধুরী,

মামনিকে বললো, মামনি ভয় পেয়ে বললো!”

—-” কেন কি হয়েছে আমার ছেলের?”

ডক্টর একটু চুপ থেকে বললো,

—-” ব্রেইনে প্রবলেম আছে, সেটাও আগে থেকে।”

ডক্টরের কথা শুনে আমি অবাক। শুভ্রর ব্রেইনে প্রবলেম? ডক্টর একটুপর আবার বললো,

—-” ছোটবেলায় কি উনি শকড পেয়েছিলো?”

মামনি ছলছল চোখে বললো!”

—-” পেয়েছিলো তখন ওর বয়স ৫বছর। আমার ছেলে মারা যাওয়াতে পেয়েছিলো,

এবার আমি আকাশ থেকে পড়লাম। মামনির ছেলে ছিলো আর আমি জানিনা। অবশ্য তখন আমার জন্মও হয়নি। ডক্টর মামনির কথা শুনে বললো।”

—-” ইয়েস আর সেটা থেকেই। ওনার ব্রেইন ডিসঅর্ডার হয়ে গিয়েছে। এখন যদি হঠাৎ করেই ওনার লাইফে কেউ আসে। তাকে উনি যে কোনভাবে নিজের কাছে রাখতে চাইবে। যেমন ওনার ভাই হঠাৎ এসে হঠাৎই চলে গিয়েছে। আর এই ভয়টাই ওনার ভেতরে কাজ করে। তাই উনি তাকে নিজের কাছে রাখতে সব করতে পারে। এমনকি তার উপর টর্চারও করতে পারে। কিন্তুু তাকে আঘাত করে উনি নিজেই নিজেকে আঘাত করবে। আর হঠাৎ করে লাইফে কে আসে বুঝতেই পারছেন। ওনার ভাই মারা গিয়েছে আগেই। আর আপনারা ওনার মা, বাবা। জন্মের পর আপনাদের দেখে এসেছে। মিসেস চৌধুরী বুঝতে পারছেন? আমি ওনার ভালবাসার মানুষের কথা বলেছি। যদি এমন কেউ থেকে থাকে। আর সে যদি ওনাকে ছেড়ে চলে যায়। তাহলে ওনার এই প্রবলেমটা বেড়ে যাবে,

আর শুনতে পারলাম না আমি। ডক্টরের কেবিন থেকে বেরিয়ে এলাম। এটা কি করে ফেললাম আমি? শুভ্র আমাকে ভালবাসে ও যা করেছে। আমাকে নিজের কাছে রাখতে করেছে। আর ওরতো ব্রেইনে প্রবলেম তাই ও এরকম করেছে। এবার কি করবো আমি? আমাকে এক্ষুণি ওর কাছে যেতে হবে। একটা রিক্সা নিয়ে আবার সেখানে চলে এলাম। শুভ্র এখনো সেখানে দাড়ানো। দুর থেকে স্বস্তি পেলাম ঠিকতো আছে। হঠাৎ দেখলাম শুভ্র উঠে আসছে। আমি ভাবছি সেদিন শুভ্রর পিঠে কিল দেওয়ায়। শুভ্র আহ করে উঠেছিলো আর ডক্টর বললো। যাকে শুভ্র ভালবাসে তাকে আঘাত করে। শুভ্র নিজেই নিজেকে আঘাত করবে। তাহলে কি শুভ্র আমাকে মেরে নিজেকে? এরমাঝে রাস্তায় চোখ যেতেই আমি আতকে উঠলাম। শুভ্র ধীর পায়ে হাটছে ওর পিছনেই একটা গাড়ি আসছে। আমি ডেকে ওকে সরাতে চাইছি। কিন্তুু আমার কোন কথা মনে হয় ও শুনছে না। না আমাকে কিছু করতে হবে ভেবে দৌড় দিলাম। কিন্তুু তারআগেই যা হবার হয়ে গেলো। গাড়িটা শুভ্রকে ধাক্কা দিয়ে চলে গেলো। শুভ্র মুখ থুবরে রাস্তার আরেকপাশে গিয়ে পড়লো। শুভ্রর সমস্ত শরীর রক্তে লাল হয়ে গিয়েছে। আমি আস্তে আস্তে ওর সামনে গেলাম। আমাকে দেখেই শুভ্র মুচকি হেসে বললো!”

—-” মুক্তি চেয়েছিলি না? যা তোকে মুক্তি দিয়ে দিলাম,

বলে শুভ্র চোখদুটো বন্ধ করে নিলো। শুভ্র চোখ বন্ধ করতেই চোখ দিয়ে ঝরঝর করে পানি পড়লো। আমি ধপ করে ওর সামনে বসে পড়লাম। আমার মুখ দিয়ে কোন কথা বের হচ্ছেনা। কিছুক্ষণ পর ডক্টরের কথা মনে পড়তেই। আমি শুভ্রর পিঠ থেকে শার্ট ওঠালাম। এবার যেন আমি স্তব্ধ হয়ে গিয়েছি। কলিজাটা যেন কেউ বের করে নিচ্ছে। শুভ্রর পিঠ ভর্তি আঘাতের চিহ্ন। চিৎকার করে শুভ্রকে ডাকছি। কিন্তুু শুভ্রর কোন সারা নেই।”

#চলবে…

“গল্পে ফান, হাসি, কান্না, রোমান্স, রহস্য সব থাকবে। তাই একটু ধৈর্য্য ধরবেন সবাই”

পূর্ববর্তী নিবন্ধ
পরবর্তী নিবন্ধ
গল্প পোকা
গল্প পোকাhttps://golpopoka.com
গল্পপোকা ডট কম -এ আপনাকে স্বাগতম......
RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments

Md masrur Hasan mahi على অবুঝ_বউ পার্ট: ৫
আমিনুল ইসলাম على প্রয়োজন পর্ব: ৩০ ( অন্তিম)
সাজিবুল ইসলাম على ধর্ষিতাবউ২ ৯ তথা শেষ পর্ব
শাহিদুল ইসলাম على জীবন সঙ্গী ১ম পার্ট
শাহিদুল ইসলাম على জীবন সঙ্গী ১ম পার্ট
Nita Sarkar على স্বপ্নীল ৬৮
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على রহস্য শেষ_পর্ব
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على অলক্ষ্যে তুমি পর্ব-০৬ এবং শেষ পর্ব
Nazmun Nahar Akhi على Psycho_is_back? part_7
Nazmun Nahar Akhi على Dangerous_Villian_Lover part 2
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على জানালার ওপারে পর্ব-১৭ এবং শেষ পর্ব
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على লীলা বোর্ডিং ১২১৫ পর্ব-১১ এবং শেষ পর্ব
মিজানুর রহমান রাহুল على সেই তুমি পর্ব-০১
@feelings على প্রহেলিকা
Anamika Basu على সে পর্ব-১২
Anamika Basu على সে পর্ব-১২
Nusrat jahan على coffee & vanilla Part-10
Pallabi Roy على স্বপ্নীল ৬৮
M.D Mahabub على The_Villain_Lover Part_2
Labani sarkar على Dangerous_Villain_Lover part 23
MD Akas Apc على বিবেক
Tanisha Ahmed على Devil love part-18 
Aius Barmon shorob على নারীর দেহকে নয়
Chandan roy على স্বপ্নীল ৬৮
Chandan roy على স্বপ্নীল ৬৮
Riya Biswas على তুমি রবে ৬০
Priya Banerjee على devil love married life last part
Riya Biswas على তুমি রবে ৬০
Riya Biswas على তুমি রবে ৫২
Mohammad Adib على তুমি রবে ৬০
Avni Ayesha على তুমি রবে ২৮
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
সুমিত على তুমি রবে ২৮
TANJIBA ZENIFAR على তুমি রবে ৫০
TANJIBA ZENIFAR على তুমি রবে ৫০
Samiah Begum على তুমি রবে ৫১
biddut das rocky على নর নারী
গল্প পোকা على নষ্ট গলি শেষ পর্ব
Md Jobayer Hossain Shohag على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
গল্প পোকা على দুই অলসের সংসার
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤৪২.
A.J.S Rakib على মন ফড়িং ❤৪২.
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
Samiya noor على গল্পঃ ভয়
Sadikul على গল্পঃ ভয়
Samia Islam على গল্পঃ ভয়
শূন্য মায়া على মন ফড়িং ❤ ৪০.
Sutapa biswas على মন ফড়িং ❤৩৯.
Foysal Mahmud على My_Mafia_Boss_Husband Part: 16
sutapa biswas على মন ফড়িং ❤ ৩৮.
sutapa biswas على মন ফড়িং ❤ ৩৭
Foysal Mahmud على My_Mafia_Boss_Husband Part: 16
Siyam على বিবেক
Sudipto Guchhait على My_Mafia_Boss পর্ব-৯
saptami karmakar على devil love married life last part
saptami karmakar على devil love married life last part
মায়া على মন ফড়িং ৩০.
মায়া على মন ফড়িং ৩০.
মায়া على মন ফড়িং ২৬.
Shreyashi Dutta على  বিয়ে part 1
Sandipan Biswas على  বিয়ে part 1
Paramita Bhattacharyya على অনুরাগ শেষ পর্ব
জামিয়া পারভীন তানি على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
মায়া على মন ফড়িং  ২২
সুরিয়া মিম على খেলাঘর /পর্ব-৪২
গল্প পোকা على মন ফড়িং ২১
গল্প পোকা على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
Sahin ssb على মন ফড়িং ২১
মায়া على মন ফড়িং ২১
মায়া على মন ফড়িং ❤ ২০.
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤ ২০.
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৮. 
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৭.
Jannatul Ferdous على খেলাঘর পর্ব-৩৫
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤ ১৬. 
গল্প পোকা على ফাল্গুনের_ফুল last_part_8
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৬. 
গল্প পোকা على ছাত্রী যখন বউ পাঠঃ ১
গল্প পোকা على বাজির প্রেম পাঠঃ ১
Foujia Khanom Parsha على মা… ?
HM Ashraful Islam على অবুঝ_বউ পার্ট: ৮
HM Ashraful Islam على অবুঝ_বউ পার্ট: ৫
Ibna Al Wadud Shovon على স্বার্থ