Sunday, October 5, 2025







বাড়ি"ধারাবাহিক গল্প"জল্লাদ বয়ফ্রেন্ড অন্তিম পর্ব

জল্লাদ বয়ফ্রেন্ড অন্তিম পর্ব

#জল্লাদ বয়ফ্রেন্ড❤
#লেখিকাঃ নাবিলা আহমেদ (রোজ)
#অন্তিম পর্ব

আমি অবাক হয়ে শুভ্রর দিকে তাকিয়ে আছি। আর একটা কথাই ভাবছি। এই ছেলেটা আমাকে এত ভালবাসে? শুভ্র এখনো আমাকে ধরে রেখেছে। নিরব পাশ থেকে হালকা কেশে বললো।”

—-” ভাইয়া তোর রোমান্স হলো?”

আমি ভ্রু কুঁচকে তাকালাম। শুভ্র আমাকে ছেড়ে কপাল কুঁচকে বললো,

—-” সারাক্ষণ কি তুই চোখে রোমান্স দেখিস?”

নিরব আমতা, আমতা করে বললো!”

—-” এটা আমি কখন বললাম?”

এরমাঝে বেবি কেঁদে উঠলো। আমি ওকে কোলে না নিয়ে বসে আছি। শুভ্র একবার বেবির দিকে তাকাচ্ছে। আরেকবার আমার দিকে তাকিয়ে বললো,

—-” রোজ ওকে কোলে নিচ্ছো না কেন? দেখছো না ছেলেটা কাঁদছে।”

আমি মুখ বাঁকিয়ে বললাম,

—-” তোমার ছেলেকে তুমি এখনো কোলে নিয়েছো?”

শুভ্র এবার কাঁপা, কাঁপা হাতে বেবিকে কোলে নিলো। ওর কোলে যেতেই বেবি চুপ হয়ে গেলো। শুভ্রর চোখ ছলছল করছে। বেবিকে বুকের সাথে মিশিয়ে রেখেছে। আমরা সবাই মুচকি হাসছি। একটুপর সবাই কেবিন থেকে বেরিয়ে গেলো। শুধু শুভ্র কেবিনে আছে। বেবিকে নিয়ে খাইয়ে দিলাম। এত ছোট বেবি খালি ঘুমায়। ২দিন পর আমাকে বাড়ি নিয়ে এলো। বাড়িতে উৎসব মুখর পরিবেশ। সবাই বেবিকে দেখতে এসেছে। এর কোল থেকে ওর কোলে থাকে বেবি। ৭দিন পর বেবির নামকরণ করা হলো। শুভ্রর ছেলে অভ্র চৌধুরী। এভাবে বেশ কিছুদিন কেটে গিয়েছে। শুভ্র অফিসে না গিয়ে আমার খেয়াল রেখেছে। আমার কখন কি লাগবে। আমি কি খেতে ভালবাসি। ওয়াসরুমে নিয়ে যাওয়া নিয়ে আসা সব। ১মাস কেটে গিয়েছে এখন আমি সুস্থ। অভ্র বেশীরভাগ নিরব বা শাওরিনের কাছে থাকে। ওদের বিয়ে হবে আরো ৫মাস পর। ৫মাস পর শাওরিনের বাবা, মা। পার্মানেন্ট বাংলাদেশে থেকে যাবে। শুভ্রকে অফিসে পাঠাই এখন। নিরবও বাবা, আর নিজের ভাইয়ের সাথে অফিসে যায়। নিরবকে ওর ড্যাডের অফিসও সামলাতে হয়। ওনারা এতগুলো বছর ওকে বড় করেছে। ওনাদেরও তো আর কোন ছেলে নেই। তাই নিরব দুই দিকটাই দেখে। এদিকে অভ্রকে নিয়ে আমার দিনগুলোও কেটে যাচ্ছে বেশ। দেখতে, দেখতে অভ্রর বয়স ৬মাস হয়ে গিয়েছে। বিকেলের দিকে আমি বসে আছি। এরমাঝে অফিস থেকে শুভ্র এলো। শুভ্র এত তাড়াতাড়ি আসে না তাই বললাম!”

—-” আজ এত তাড়াতাড়ি এলে যে?”

শুভ্র টাই খুলতে, খুলতে বললো,

—-” তোমাদের মিস করছিলাম খুব।”

বলে ওয়াসরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে এলো। অভ্র এখন বসতে পারে। তাই খেলনা দিয়ে ওকে বিছানায় বসিয়ে রেখেছি। পাশেই আমি বসে আছি। শুভ্র বের হয়ে এসে অভ্রকে কোলে নিলো। ও বাইরে থেকে এসে আগে ফ্রেশ হয়। এরপর অভ্রকে কোলে নেয়। ইনফ্যাক্ট নিরব আর বাবাও। অভ্র নিজের বাবার কোলে গিয়েই খিলখিল করে হেসে দিলো। শুভ্রও ওর সাথে কথা বলতে, বলতে আমাকে বললো,

—-” রোজ পানির পিপাসা পেয়েছে!”

জগে পানি না থাকায় আমি নিচে এলাম। পানি নিয়ে উপরে এসে দেখলাম। শুভ্র অভ্রকে কি যেন বলছে। আমি ভ্রু কুঁচকে কান পাততেই শুনলাম,

—-” শোন অভ্র তোর মাম্মা একটুও ভাল না। দেখিস না সারাদিন তোর পাপাকে জ্বালায়? যখন বড় হবি মাম্মার থেকে দুরে থাকবি।”

আমি রেগে ফোস, ফোস করছি। এরমাঝে অভ্র শুভ্রর কোলে হিসু করে দিলো। এটা দেখে আমি হাসতে, হাসতে বললাম,

—-” দেখলে আমার ছেলেকে মিথ্যে বলছিলে না? তাইতো ও হিসু করে তোমাকে মাখিয়ে দিলো!”

শুভ্র মুখ বাঁকিয়ে বললো,

—-” ওর হিসু পেয়েছে তাই হিসু করেছে।”

বলে আবার গেলো চেন্জ করতে। ২দিন পর আমরা বসে আছি। এরমাঝে শুভ্র আর রাহি একসাথে এলো। দেখেই আমার মেজাজ গরম হয়ে গেলো। শুভ্রর হাত ধরে আছে রাহি। আর দুজনের মুখেই হাসি যেন ধরছে না। আমি অভ্রকে নিরবের কোলে দিয়ে। ওদের সামনে এগিয়ে এসে বললাম,

—-” এসব কি শুভ্র?”

শুভ্র কপাল কুঁচকে বললো!”

—-” চোখ নেই নাকি? দেখতেই তো পাচ্ছিস,

আমি অবাক হয়ে বললাম।”

—-” ও তোমার সাথে কি করছে?”

রাহি শয়তানি হাসি দিয়ে বললো,

—-” আমাদের একসাথে দেখে বুঝতে পারছো না? এখন কথা হলো তুমি বেরিয়ে যাও!”

আমি রেগে চেঁচিয়ে বললাম,

—-” ও এসব কি বলছে শুভ্র?”

শুভ্র রাহির হাত ধরে বলে উঠলো।”

—-” ও আমাকে ভালবাসে। তাই আমি ওকে বিয়ে করছি। তোকে ভালবেসে কি পেয়েছি আমি? তুই কিই বা দিয়েছিস আমাকে? আগে ছিলি তুই কানের কাছে প্যানপ্যান করতি। এখন আবার তোর ছেলে,

আমি ছলছল চোখে বললাম!”

—-” কি বললে তুমি?”

শুভ্র রাহিকে ধরেই বললো,

—-” রাহি আমার জন্য সব করতে পারে। তুই কি করেছিস আমার জন্য? রাহি না বললেও আমি জানি। শুধুমাএ আমাকে ভালবেসে। দেড় বছর আগে রাহি আমার এক্সিডেন্ট করিয়েছিলো। তোর নামে মিথ্যে বলেছিলো। এসব ও আমাকে ভালবেসে করেছে। ভাবতে পারছিস কতটা ভালবাসে ও আমাকে।”

আমি সহ সবাই এবার শকড মামনি বললো,

—-” এরপরও তুই ওকে ভালবাসিস?”

রাহি মুচকি হেসে বললো!”

—-” হ্যা কারন আমি যা করেছি। এক্সিডেন্ট বা মিথ্যে বলেছি। সবটা শুভ্রকে ভালবেসে। আমি ওর এক্সিডেন্ট করতে চাইনি। এই রোজের জন্য করতে বাধ্য হয়েছি,

আমি তাকিয়ে বললাম।”

—-” সেটা আবার স্বীকার করছো?”

রাহি ভাব নিয়ে বললো,

—-” হ্যা, তো শুভ্র এখন আমার!”

এরমাঝে শুভ্র রাহিকে নিজের দিকে ঘুরিয়ে। ঠাস, ঠাস করে দুটো থাপ্পর মেরে বললো,

—-” শুভ্র তোর এটা ভাবলি কি করে? শুভ্রর জন্ম রোজের জন্য। তাই শুভ্র রোজের ছিলো, আছে আর থাকবে। শুভ্রর প্রতিটা রক্তে রোজ মিশে আছে। এমনকি শুভ্রর শ্বাসও চলে রোজের নামে। শুভ্রর হার্ট বিট করে রোজের নামে। শুভ্র জাস্ট রোজের বুঝলি? সন্দেহ আমার আগেই হয়েছিলো। কোন প্রমান ছিলো না বলে চুপ ছিলাম। আর এতসব কিছুর মধ্যে সবটা ভুলে গিয়েছিলাম। ৪দিন আগে তোকে দেখে মনে পড়ে। তাই ৪দিন আগেই ভেবে নেই। কি করে তোকে দিয়ে সত্যিটা বলাবো। আজতো তুই বলে দিলি। এবার জেলে গিয়ে খারাপ কাজ করবি।”

রাহি হাসতে, হাসতে বললো,

—-” কি প্রমান আছে? যে আমি সবটা স্বীকার করেছি?”

শুভ্র বাঁকা হেসে বললো!”

—-” ইন্সপেক্টর ভেতরে আসুন,

তখনি কয়েকজন পুলিশ এলো। সেটা দেখে রাহি চেঁচিয়ে বললো।”

—-” শুভ্র তুমি এটা করতে পারো না। আমি তোমাকে ভালবেসে সব করেছি,

শুভ্র দাত কিড়মিড় করে বললো!”

—-” ওনারা তোর সব কথা শুনেছে,

রাহি চেঁচিয়ে বললো।”

—-” শুভ্র তুমি এটা ঠিক করছো না। আমি কিন্তুু এটা ভুলবো না,

শুভ্র রাহির কথায় পাত্তা দিলো না। পুলিশ রাহিকে টানতে, টানতে নিয়ে গেলো। নিরব এগিয়ে এসে বললো!”

—-” তোরা দুজনি দারুন অভিনয় করিস,

আমি আর শুভ্র হেসে দিলাম। এরমাঝে আম্মু ফোন দিলো। ফোনটা রিসিভ করলাম। আম্মু কাঁদো, কাঁদো গলায় বললো।”

—-” রোজ অভ্রকে নিয়ে এসে থেকে যা কিছুদিন,

আসলেই ও বাড়িতে অনেকদিন যাওয়া হয় না। মামনিকে বললাম মামনি বললো!”

—-” তোরা তাহলে গিয়ে কয়েকদিন থেকে আয়,

নিরব আমতা, আমতা করে বললো।”

—-” আমিও যাবো অভ্রকে ছাড়া। আমি একটুও থাকতে পারবো না,

মামনি রুমে যেতে, যেতে বললো!”

—-” তাহলে শাওরিনকে নিয়ে যা,

পরেরদিন আমরা এ বাড়িতে চলে এলাম। সবার আম্মু আর বাবার সাথে কথা বার্তা বললাম। কিন্তুু একবারও ভাইয়াকে দেখলাম না। তাই আম্মুকে ডেকে বললাম।”

—-” আম্মু ভাইয়া কোথায়?”

আম্মু অভ্রকে আদর করতে, করতে বললো,

—-” সেই যে সকালে গিয়েছে। নবাব সাহেব এখনো এলোনা কেন কে জানে?”

এরমাঝে দরজায় চোখ পড়লো। দরজায় চোখ পড়তেই। আমাদের সবার চোখ ছানাবড়া হয়ে গেলো। আম্মু চেঁচিয়ে বলে উঠলো!”

—-” এসব কি রোদ?”

ভাইয়া একা আসেনি। ভাইয়ার পাশেই সুন্দরী একটা মেয়ে দাড়িয়ে আছে। দুজনের পড়নেই বিয়ের ড্রেস। ভাইয়া মেয়েটাকে নিয়ে ভেতরে এসে বললো,

—-” আম্মু, বাবা আমরা বিয়ে করেছি। ও তোমাদের ছেলের বউ। ওর নাম তনয়া মেঘ খাঁন।”

বাবা রাগী লুকে ভাইয়াকে বললো,

—-” তা এভাবে লুকিয়ে কেন বিয়ে করলে? আমাদের বললে কি আমরা মেনে নিতাম না?”

ভাইয়া আমতা, আমতা করে বললো!”

—-” আসলে বাবা তনয়ার বাবা। ওর বিয়ে আরেক জায়গায় ঠিক করেছিলো। ওকে কোন কথা বলার সুযোগই দেয়নি। তাই আমরা এভাবে বিয়ে করতে বাধ্য হলাম,

তখনি একটা লোক এসে বললো।”

—-” এই ছেলে এভাবে কেন বিয়ে করলে?”

তনয়া মেয়েটা কেঁদে বললো,

—-” তুমি মানছিলে না তাই!”

লোকটা কপাল কুঁচকে বললো,

—-” আর এই রোদ্দুর আহমের রোদের কথা বললে মেনে নিতাম।”

এরপর সবাই ওদের মেনে নিলো। তবে ঠিক হলো ওদের আবার বিয়ে হবে। নিরব আর শাওরিনের সাথে। আমরা এখানে কিছুদিন থেকে চলে এলাম। এরপরই শুরু হয়ে গেলো বিয়ের ঝামেলা। কেনাকাটা কমিউনিটি সেন্টারে আসা। দুটো বিয়ে যেহেতু একসাথে। তাই কমিউনিটি সেন্টার বুক করা হয়েছে। আজকে ওদের গায়ে হলুদ অভ্র শুভ্রর কাছে। আমি বিছানায় পা দুলিয়ে বসে ওদের সাজানো দেখছি। তনয়া ভাবী এদিক, ওদিক তাকিয়ে বললো,

—-” রোজ অভ্র কোথায়?”

আমি মুচকি হেসে বললাম!”

—-” শুভ্রর কাছে,

ওদের সাজিয়ে স্টেজে নিয়ে এলো সবাই। আমিও হলুদ আর লাল পাড়ের একটা শাড়ী পড়েছি। ভাইয়া আর নিরবও স্টেজে বসা। ভাবী আর শাওরিনকে ওদের পাশে বসানো হলো। ৪জনকেই খুব সুন্দর লাগছে। এক, এক করে সবাই হলুদ লাগালো ওদের। নাচ, গানের মধ্যেই হলুদ শেষ হলো। ওদের বিয়ের দিন দুজনকে একি লেহেঙ্গা পড়ানো হয়েছে। দুজনকেই পুতুলের মতো লাগছে। স্টেজে বসে আছে ৪জন। একটুপর কাজী এসে বিয়ে পড়ানো শুরু করলো। ভালভাবেই ওদের বিয়ে সম্পূর্ণ হলো। এবার বিদায়ের পালা দুজনি কাঁদছে। এই মুহূর্তটা কতটা কষ্টের সেটা আমি জানি। আমি শুভ্রদের বাড়িতেই এসেছি। কারন এই সময় বাড়ীর বউর থাকাটা দরকার। রাত ১০টা বাজে নিরবকে কেউ রুমে ঢুকতে দিচ্ছে না। বেচারা অসহায় ফেস করে আছে। আমি ওদের সামনে গিয়ে বললাম।”

—-” আচ্ছা নিরব তুমি ওদের টাকাটা দিয়ে দাও। তাহলেই তো সব ঝামেলা মিটে যায়,

নিরব মুখ বাঁকিয়ে টাকা বের করে দিলো। এরপর ঠাস করে রুমের দরজা আটকে দিলো। নিরবের রিসিপশন ওর মম, ড্যাডের বাড়ি করেছে। মামনি আর বাবা আবার এখানে করেছে। সময় আবার তার গতিতে চলছে। কারন সময় কারো জন্য অপেক্ষা করে না!”

৭বছর পর,

আজকে সারা বাড়ি সাজানো হয়েছে। কারন আজকে আমাদের এ্যানিভার্সেরী। আমি আর শুভ্র হাত ধরে। শিরি দিয়ে নিচে নেমে এলাম। সবাই আমাদের অভিনন্দন জানাচ্ছে। নিরব আর শাওরিনও আমাদের মতো। একই কালার ড্রেস পড়েছে। দুজনকেই খুব সুন্দর লাগছে। ভাইয়া আর ভাবীও সেম ড্রেস পড়েছে। আমি এদিক, ওদিক তাকিয়ে বললাম।”

—-” অভ্র কোথায়?”

অভ্র কোথা থেকে এসে বললো,

—-” আই এম হেয়ার মাম্মা!”

আমার অভ্র একদম শুভ্রর মতো দেখতে। আমি ভ্রু কুঁচকে বললাম,

—-” কোথায় ছিলে তুমি?”

অভ্র আমার কাছে এসে বললো।”

—-” কেক কাটবে না?”

সবাই কেক কাটার জন্য ডাকলো। আমি আর শুভ্র একসাথে কেক কাটলাম। এরমাঝে দেখলাম বাচ্চারা ঝগড়া করছে। ভাইয়ার মেয়ে মেঘলা কান্না করছে। মেঘলার বয়স ৫বছর। আর পাশে দাড়িয়ে অভ্র ফোস, ফোস করছে। অভ্রর বয়স ৮বছর রানিং। কিন্তুু ওর রাগ এখনি শুভ্রর মতো। নিরবের মেয়ে নওরিন মেঘলাকে চুপ করতে বলছে। নওরিনের বয়সও ৫বছর। আমরা এগিয়ে এসে আমি বললাম,

—-” মেঘলা সোনা কাঁদছো কেন?”

মেঘলা ঠোট উল্টে বললো!”

—-” পিপি ভাইয়া মেরেছে,

আমি চোখ গরম দিয়ে বললাম।”

—-” অভ্র তুমি ওকে মেরেছো কেন?”

অভ্র রেগেই বললো,

—-” তাহলে ও বললো কেন? যে ও আমার সাথে আর কথা বলবে না?”

শুভ্র কপাল কুঁচকে বললো!”

—-” এরজন্য মারতে হবে?”

অভ্র ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে বললো,

—-” হ্যা পাপা মারতে হবে। ও এমন কিছু বললেই থাপ্পর হবে। ওরতো ভাগ্য ভাল যে আমি ওকে চুবানি দেইনি।”

আমরা হা করে তাকিয়ে আছি। আমি বিরবির করে শুভ্রকে বললাম,

—-” তোমার কার্বন কপি!”

শুভ্র ঠোট চেপে হেসে বললো,

—-” আমি স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি। অভ্র বড় হয়ে আমি যা করেছি। ঠিক সেটাই করবে, বাপ কা ব্যাটা।”

মেঘলা কেঁদেই বললো,

—-” তুমি জল্লাদ তাই কথা বলবো না!”

দেরী না করে অভ্র মেঘলাকে ঠাস করে এক থাপ্পর দিলো। থাপ্পর খেয়ে বেচারী মেঘলা হাউ মাউ করে কেঁদে দিলো। ভাইয়া তাড়াতাড়ি মেঘলাকে কোলে নিলো। অভ্র বড়, বড় শ্বাস নিয়ে বললো,

—-” মামা ওকে নামাও।”

ভাবী অভ্রকে হেসে বললো,

—-” অভ্র বাবা মেঘলা ছোট তাই বোঝেনি!”

অভ্র মুখটা বাঁকিয়ে বললো,

—-” জল্লাদ বললি বল নো প্রবলেম। তোর জন্য জল্লাদ হতে। এই অভ্রর কোন প্রবলেম নেই।”

নিরব দাত কেলিয়ে বললো,

—-” সাব্বাশ ভাতিজা!”

অভ্র হেসে বললো,

—-” থ্যাংক ইউ চাচ্চু।”

সবাই এবার হেসে দিলো। কিন্তুু নওরীনকে দেখলাম। পুরোটা সময় গাল ফুলিয়ে ছিলো। শাওরিনকে আমি ইশারা করে দেখালাম। শাওরিন গিয়ে নওরীনকে কোলে নিলো। সবাইকে একসাথে পেয়ে শান্তি লাগছে। মনে মনে ভাবলাম। সারাজীবন যেন এভাবে থাকতে পারি,

#সমাপ্ত…

“থ্যাংক ইউ সো মাচ গাইস। গল্পটাকে আপনারা অনেক ভালবাসা দিয়েছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ
পরবর্তী নিবন্ধ
গল্প পোকা
গল্প পোকাhttps://golpopoka.com
গল্পপোকা ডট কম -এ আপনাকে স্বাগতম......
RELATED ARTICLES

1 মন্তব্য

  1. এইরকম একটা গল্প আর সাথে বাসার সামনের দোকানে বক্সে সালমান শাহর গান শুনে মন টা ভালো হওয়ার বদলে খারাপ হয়ে গেলো।,😭

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments

Md masrur Hasan mahi على অবুঝ_বউ পার্ট: ৫
আমিনুল ইসলাম على প্রয়োজন পর্ব: ৩০ ( অন্তিম)
সাজিবুল ইসলাম على ধর্ষিতাবউ২ ৯ তথা শেষ পর্ব
শাহিদুল ইসলাম على জীবন সঙ্গী ১ম পার্ট
শাহিদুল ইসলাম على জীবন সঙ্গী ১ম পার্ট
Nita Sarkar على স্বপ্নীল ৬৮
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على রহস্য শেষ_পর্ব
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على অলক্ষ্যে তুমি পর্ব-০৬ এবং শেষ পর্ব
Nazmun Nahar Akhi على Psycho_is_back? part_7
Nazmun Nahar Akhi على Dangerous_Villian_Lover part 2
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على জানালার ওপারে পর্ব-১৭ এবং শেষ পর্ব
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على লীলা বোর্ডিং ১২১৫ পর্ব-১১ এবং শেষ পর্ব
মিজানুর রহমান রাহুল على সেই তুমি পর্ব-০১
@feelings على প্রহেলিকা
Anamika Basu على সে পর্ব-১২
Anamika Basu على সে পর্ব-১২
Nusrat jahan على coffee & vanilla Part-10
Pallabi Roy على স্বপ্নীল ৬৮
M.D Mahabub على The_Villain_Lover Part_2
Labani sarkar على Dangerous_Villain_Lover part 23
MD Akas Apc على বিবেক
Tanisha Ahmed على Devil love part-18 
Aius Barmon shorob على নারীর দেহকে নয়
Chandan roy على স্বপ্নীল ৬৮
Chandan roy على স্বপ্নীল ৬৮
Riya Biswas على তুমি রবে ৬০
Priya Banerjee على devil love married life last part
Riya Biswas على তুমি রবে ৬০
Riya Biswas على তুমি রবে ৫২
Mohammad Adib على তুমি রবে ৬০
Avni Ayesha على তুমি রবে ২৮
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
সুমিত على তুমি রবে ২৮
TANJIBA ZENIFAR على তুমি রবে ৫০
TANJIBA ZENIFAR على তুমি রবে ৫০
Samiah Begum على তুমি রবে ৫১
biddut das rocky على নর নারী
গল্প পোকা على নষ্ট গলি শেষ পর্ব
Md Jobayer Hossain Shohag على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
গল্প পোকা على দুই অলসের সংসার
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤৪২.
A.J.S Rakib على মন ফড়িং ❤৪২.
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
Samiya noor على গল্পঃ ভয়
Sadikul على গল্পঃ ভয়
Samia Islam على গল্পঃ ভয়
শূন্য মায়া على মন ফড়িং ❤ ৪০.
Sutapa biswas على মন ফড়িং ❤৩৯.
Foysal Mahmud على My_Mafia_Boss_Husband Part: 16
sutapa biswas على মন ফড়িং ❤ ৩৮.
sutapa biswas على মন ফড়িং ❤ ৩৭
Foysal Mahmud على My_Mafia_Boss_Husband Part: 16
Siyam على বিবেক
Sudipto Guchhait على My_Mafia_Boss পর্ব-৯
saptami karmakar على devil love married life last part
saptami karmakar على devil love married life last part
মায়া على মন ফড়িং ৩০.
মায়া على মন ফড়িং ৩০.
মায়া على মন ফড়িং ২৬.
Shreyashi Dutta على  বিয়ে part 1
Sandipan Biswas على  বিয়ে part 1
Paramita Bhattacharyya على অনুরাগ শেষ পর্ব
জামিয়া পারভীন তানি على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
মায়া على মন ফড়িং  ২২
সুরিয়া মিম على খেলাঘর /পর্ব-৪২
গল্প পোকা على মন ফড়িং ২১
গল্প পোকা على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
Sahin ssb على মন ফড়িং ২১
মায়া على মন ফড়িং ২১
মায়া على মন ফড়িং ❤ ২০.
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤ ২০.
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৮. 
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৭.
Jannatul Ferdous على খেলাঘর পর্ব-৩৫
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤ ১৬. 
গল্প পোকা على ফাল্গুনের_ফুল last_part_8
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৬. 
গল্প পোকা على ছাত্রী যখন বউ পাঠঃ ১
গল্প পোকা على বাজির প্রেম পাঠঃ ১
Foujia Khanom Parsha على মা… ?
HM Ashraful Islam على অবুঝ_বউ পার্ট: ৮
HM Ashraful Islam على অবুঝ_বউ পার্ট: ৫
Ibna Al Wadud Shovon على স্বার্থ