গল্প_পাঠিকা_যখন_প্রেমিকা❤❤পর্ব_নং_৩

0
977

#Writer_Sumon.
গল্প_পাঠিকা_যখন_প্রেমিকা❤❤পর্ব_নং_৩

রাবেয়াঃ- আন্টি ফারহান কেমন আছে। আমি ওর সাথে কথা বলবো।
( কান্না করতে করতে বললো)
আম্মুঃ- মা ফারহান……..
( কান্না করে দিলো)
আন্টির কান্না দেখে আমার বুকের বাম পাশটা খুব ব্যাথা করতেছিলো তবুও নিজেকে সামলল নিয়ে বললাম।
রাবেয়াঃ- আন্টি প্লিজ বলেন না ফারহান কেমন আছে। ও ভালো আছে তো আর আপনি কেন কান্না করতেছেন।

আম্মুঃ- মা ফারহান এখন হাসপাতালে ভর্তি আছে। ওর অবস্থা খুব খারাপ ও তোমাকে দেখতে চাইতেছে।
( কান্না করতে করতে কথা গুলো বলল)

এই কথাটা শুনার পর রাবেয়ার হাত থেকে ফোন পরে গেলো।

তারপর…………

রাবেয়া জরে জরে কান্না করতে লাগলো। আর তার আব্বু আম্মুকে বলতে লাগলো।

রাবেয়াঃ- আমার ফারহানের যদি কিছু হয় তাহলে কিন্তু আমি তোমাদের ছেড়ে কথা বলবো না। আমি তোমাদের যেমন ভালোবাসি ঠিক তেমনি ফারহানকেও ভালোবাসি। যদি তার কিছু হয় তাহলে এর একমাত্র কাররণ হলা তোমারা। আমার দুজন কি ভূল করেছি। ভালোবাসা কি ভূল…..???। না ভালোবাসা খারাপ কিছু….????। আমরা দুজন দুজনকে ভালোবাসি আর বিয়ে করতে চাই এতে খারাপ কিছু আছে বলেতো আমার মনে হয় না। আমি এখন ফারহানের কাছে যাচ্ছি। আমার জন্য তার আজকে এমন অবস্থা।
(রাবেয়া এগুলো কান্না করতে করতে বললো)

আংকেলঃ- আমাদের ক্ষমা করে দে মা। আমার আসলে বুঝতে পারি নাই আমাদের জন্য এমন কিছু হয়ে যাবে। তুই ঠিকি বলেছিস আমরাই ছেলেটির এমন অবস্থার জন্য দায়ী। কিন্তু একটা কথা ফারহান কি আমাদের ক্ষমা করবে।

রাবেয়াঃ- আব্বু এখন এগুলো কথা বলার সময় নাই আমি ফারহানের কাছে যাব।

তারপর রাবেয়া আর রাবেয়ার আব্বু আর আম্মু মিলে হাসপাতালের উদ্দেশ্য রওনা দিল। ১ ঘন্টা পর তারা হাসপাতালে গেলো গিয়ে দেখে যে ফারহানের মা একপাশে দাড়িয়ে কান্না করতেছে। রাবেয়া ফারহানের আম্মুর কাছে দৌড়ে গেলো।

রাবেয়াঃ- আন্টি আমার ফারহান এখন কেমন আছে ও ভালো আছে তো। আমাকে বলেন না……?????
( কান্না করতে করতে বললো)

আম্মুঃ- তুমি কি রাবেয়া।
( রাবেয়া বোরকা পরে ছিলো তাই বুঝতে পারে নাই)

রাবেয়াঃ- হ্যা আন্টি আমি রাবেয়া। আমার ফারহান এখন কেমন আছে ও সুস্থ আছেতো।
( এক নিঃশ্বাসে বললো)

আম্মুঃ- জানি না মা ডাক্তার ভিতরে গেছে এখনো বাহির হই নাই।

তারা দুজন একে ওপরকে জরিয়ে ধরিয়ে কান্না করতে লাগলো। আর রাবেয়া ভাবতে লাগলো।

আল্লাহ আমার ফারহানকে তুমি সুস্থ করে দেও। আমার ফারহানকে তুমি আমার কাছে ফিরিয়ে দেও। আমি যে ওকে ছাড়া খুব একা হয়ে যাবো। আমার ভালো লাগার কারন গুলোর মধ্যে ফারহান হলো একজন৷ আমি যে ওকে ছাড়া অসম্পূর্ণ। তুমি ওকে আমার কাছে ফিরিয়ে দেও।

এগুলো ভাবতে ভাবতে সে কান্না করতে লাগলো আর তখনি ডাক্তার অপারেশন থিয়েটার থেকে বের হচ্ছিল। ডাক্তারকে দেখে রাবেয়া দৌড়ে ডাক্তারের কাছে গেলো।
এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি মাসে জিতে নিন নগদ টাকা এবং বই সামগ্রী উপহার।
শুধুমাত্র আপনার লেখা মানসম্মত গল্প/কবিতাগুলোই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। এবং সেই সাথে আপনাদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার।

গল্পপোকার এবারের আয়োজন
ধারাবাহিক গল্প প্রতিযোগিতা

◆লেখক ৬ জন পাবে ৫০০ টাকা করে মোট ৩০০০ টাকা
◆পাঠক ২ জন পাবে ৫০০ টাকা করে ১০০০ টাকা।

আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এই লিংকে ক্লিক করুন: https://www.facebook.com/groups/golpopoka/?ref=share


রাবেয়াঃ- ডাক্তার ফারহান এখন কেমন আছে।
( কান্না করতে করতে বললো)

ডাক্তারঃ- আপনি কান্না বন্ধ করুন। উনি এখন সম্পূর্ণ বিপদ মুক্ত।

রাবেয়াঃ- কি হয়েছিলো তার……????

ডাক্তারঃ- উনাকে দেখে মনে হলো যে উনি মনে হয় অনেক দিন ঠিক মতো খাওয়া করে নাই। আর উনার শরীর অনেক দুর্বল।

রাবেয়াঃ- আমরা কি ওর সাথে দেখা করতে পারি….???

ডাক্তারঃ- হুমমম কিন্তু যেকোনো একজন।

রাবেয়াঃ- ওকে আমি যাচ্ছি।

তারপর রাবেয়া কেবিনে ঢুকলো। আমি তাকিয়ে দেখলাম যে ও আমার দিকে তাকিয়ে কান্না করতেছিলো। তারপর দৌড়ে এসে আমাকে জরিয়ে ধরলো। আমিতো কিছু ববুঝতে পারছিনা কি হলো ওর আর ও এখানে কেন।

আমি বললাম……

ফারহানঃ- আরে কি করছো এভাবে কান্না কেন করতেছো। কি হয়েছে আমাকে বলো।

রাবেয়াঃ- চুপ একদম চুপ সাইফা আপু ঠিকি বলে তুমি একটা কুওা।
( সাইফা হলো আমার বেস্ট ফ্রেন্ড)

ফারহানঃ- আরে কি হয়েছে সেটি বলো…..????

রাবেয়াঃ- চুপচাপ……….

আমাকে জরিয়ে ধরে কান্না করেই যাচ্ছে।

ফারহানঃ- আরে কি হয়েছে সেটিতো বলো।

রাবেয়াঃ- তোমার খুব ভালো লাগে আমাকে কষ্ট দিতে তাই না। তোমাকে আমি বলেছিলাম না যে নিজের খোয়ল রাখবা।
( কান্না করতে করতে বললো)

ফারহানঃ- তুমি যেইদিন থেকে আমার সাথে কথা বলা বন্ধ করে দিছিলা সেইদিন থেকে আমি খুব কষ্টে ছিলাম। সারাদিন একটি রুমে বসে থাকতাম আর তোমার ছবির দিকে তাকিয়ে থাকতাম আর কান্না করতাম। আম্মু খাওয়ার জন্য অনেক বলতো কিন্তু আমার খেতে ইচ্ছে করতো না। তারপর আজকে হঠাৎ করে যে কি হলো আমি নিজেও জানি না।

রাবেয়াঃ- আমাকে প্লিজ ক্ষমা করে দেও আমি আর তোমাকে কষ্ট দিব না।

ফারহানঃ- এই ভাবে না ঘুষ লাগবে।

রাবেয়াঃ- আমি জানি তুমি মান বা না ওকে চোখ বন্ধ করো।
( মুখের কোণে ছোট্ট একটি হাসি ফুটে উঠলো)

ফারহানঃ- হুমমম করলাম এখন দেও…….

তারপর…..

#অসমাপ্ত………………

গল্পটি লাগলে লাইক আর কমেন্ট করবেন এবং পরের পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন।

সকলের সুস্থতা কামনা করে আজকের পর্বটি এখানেই শেষ করছি ধন্যবাদ।


ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়ে গেছল তাই গল্প দিতে একটু দেরি হলো আমি এই জন্য আন্তরিক ভাবে দুখিঃত।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে