#কুহেলিকা (পর্ব-২১)
#লেখক_আকাশ_মাহমুদ
কেউ একজন পিছন থেকে দৌড়ে তাদের সামনে এসে পানি জাতীয় কিছু একটা দিশার মুখের মধ্যে ছুঁড়ে মারে। দিশা সাথে সাথে চোখে মুখে হাত দিয়ে চেঁচিয়ে কান্না করতে আরম্ভ করে। দিশার মুখটা জ্বলেপুড়ে শেষ হয়ে যাচ্ছে। দিশার মনের হচ্ছে যেনো তার চেহারায় ফুটন্ত আগুনের লাভা এনে কেউ নিক্ষেপ করেছে। দিশার কান্না শুনে আকাশের কলিজাটা ধুকপুক ধুকপুক করছে। অপরিদকে কেউ একজন আকাশ আর দিশার করুন অবস্থা দেখে অট্টহাসিতে মেতে উঠেছে। হাসির কন্ঠস্বরটা আকাশের বেশ পরিচিত। এর আগে বহু শতবার সে এই কন্ঠস্বর শুনেছে। তবে আকাশ একদম পাকাপোক্ত ভাবে শিওর হওয়ার জন্য পাশ ঘুরে তাকিয়ে দেখে প্রভা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে হাসছে। প্রভাকে দেখা মাত্রই আকাশের শরীরের পশম কাটা দিয়ে উঠে। রাগে গিজগিজ করছে আকাশের সারা শরীর। ক্ষিপ্ত নজরে তাকিয়ে আছে আকাশ প্রভার দিকে। আকাশের রাগান্বিত চাহনি দেখে প্রভা বলে উঠে,
–‘কেমন বোধ হচ্ছে এখন? আমি বলেছিলাম না আমি তোদের দুটোকে শান্তিতে থাকতে দিব না। তোদের দুটোর চোখের ঘুম আমি হারাম করে ফেলবো। দ্যাখ তাই করেছি। তোর আর দিশার জীবন আমি শেষ করে দিয়েছি।’
প্রভার কথা শুনে আকাশ রাগ সামলাতে না পেরে চেঁচিয়ে বলে উঠে,
–‘প্রভা কি ছুঁড়ে মেরেছিস তুই দিশার মুখের মধ্যে? তাড়াতাড়ি বল। না হয়তো তোর অবস্থা কিন্তু অনেক বেশি খারাপ করে দিব আমি।’
–‘আকাশ তোর দিন শেষ। এখন আমার দিন চলছে। অহেতুক বড় গলায় কথা বলে নিজের আর বিপদ ডেকে আনিস না।’
–‘প্রভা আমার দিন তোর দিন কিছুই বুঝি না! দিশার কোনো ক্ষতি হলে তোর জীবন আমি পুরো তসনস করে দিব।’
–‘বাহ কি আদিক্ষেতা একটা পতিতা মেয়ের জন্য। আমি তোর কাছে এতো বার ফিরে আসতে চেয়েছি, তবে তুই আমায় ফিরিয়ে নিস নি। আমায় অপমান করে তাড়িয়ে দিয়েছিস। কিন্তু আমায় একটা কথা বলতো, যে পল্লীর এই নষ্টা মেয়ের মধ্যে তুই এমন কি দেখতে পেয়েছিস যা আমার মাঝে নেই? কোন কারনে তুই এই নষ্টা মেয়েকে আমার থেকেও বেশি প্রায়োরিটি দিচ্ছিস?’
আকাশের রাগের মাত্রা আরো কয়েকগুণ বেড়ে যায়। একে তো প্রভা দিশার মুখের মধ্যে ভয়ানক কোনো পদার্থ ছুঁড়ে মেরেছে। তার উপরে দিশাকে নষ্টা এবং পল্লীর মেয়ে বলে কথায় কথায় অবজ্ঞা করছে। দিশাকে নিয়ে কোনো কথাই সে সহ্য করবে না। দিশাকে সেভাবেই টেবিলে রেখে সোজা গিয়ে প্রভার গলা চেপে ধরে প্রভাকে বলে,
–‘শোন আমার দিশা নষ্টা না। নষ্টা হলি তুই। দিশা আমার জন্য কোনো পুরুষের স্পর্শে যায়নি। সে আমার জন্য নিজের শরীর বাঁচিয়ে রেখেছে। এমনকি দিশার কুমারিত্ব আমি নিজেই ভেঙ্গেছি। দিশা পল্লীর মেয়ে হয়ে পল্লীতে থেকে আমার জন্য সে অনেকটা সময় নিজের গা বাঁচিয়ে রেখেছে। আমার জন্য সে নিজেকে সামলে রেখেছে। আর তুই আমার প্রেমিকা হয়ে পরপুরুষ নিয়ে পল্লীতে গিয়ে ফষ্টিনষ্টি করে বেড়িয়েছিস৷ তুই আমার প্রেমিকা হয়ে অন্য পুরুষের বিছানায় গিয়েছিস। তুই আমার প্রেমিকা হয়ে অন্য পুরুষের সাথে বস্ত্রহীন ছবি তুলে আমাকেই মেইল করে পাঠিয়েছিস। আর দিন শেষে এসে বলছিস দিশা পল্লীর নষ্টা মেয়ে? তাহলে তুই কি? দিশা তো আমার জন্য নিজের ভার্জিনিটিকে রক্ষা করেছে। কিন্তু তুই কি করেছিস? তুই তো বিলিয়ে এসেছিস অন্যের কাছে নিজের শরীর। সব চাইতে বড় নষ্টা তো তুই। আবার কোন সাহসে তুই দিশাকে নিয়ে বাজে কথা বলিস? আর কি ছুঁড়ে মেরেছিস দিশার মুখে জলদি বল। না হয়তো গলা টিপে এখুনি শেষ করে দিব।’
প্রভার গলা বেশ জোরে চেপে ধরেছে আকাশ। প্রভার অবস্থা খারাপ হয়ে যাচ্ছে। অবস্থা খারাপ হওয়ার এই কথা। একজন পুরুষ রাগান্বিত হয়ে কোনো নারীর গলা চিপে ধরলে সে মুহুর্তের মধ্যেই আধমরা হয়ে যাবে। কারন পুরুষের শরীরে শক্তি নারীর তুলনায় দ্বিগুণ থাকে। প্রভার গলা দিয়ে কোনো কথা বের হচ্ছে না। আকাশের রাগ ক্রমশ বেড়েই চলেছে। কি করবে কোনো পদচিহ্ন না পেয়ে প্রভার গলা ছেড়ে দিয়ে বেশ জোরে কয়েকটা থাপ্পড় লাগিয়ে দেয় প্রভার গালে। আকাশের হাতে থাপ্পড় খেয়ে প্রভা মাটির উপরে উল্টে পড়ে। প্রভা মাটিতে উল্টে পড়তেই আকাশ প্রভার চুল টেনে ধরে তাকে মাটি থেকে টেনে উঠিয়ে আবারো থাপ্পড় মারার প্রিপারেশন নেয়। আকাশের হিংস্রতা দেখে প্রভা এবার মিনতির সুরে বলে,
–‘আকাশ প্লিজ আমায় আর মেরো না। তোমার থাপ্পড় সহ্য করবার ক্ষমতা নেই আর আমার শরীরে। আমি বলছি সব কিছু।’
–‘জলদি বল।’
–‘দিশার মুখে আমি যাস্ট পানি ছুঁড়ে মেরেছি।’
–‘পানি ছুঁড়ে মারলে সে এভাবে আর্তনাদ করছে কেন?’
–‘কারন পানির সাথে মরিচের গুঁড়ো মিশিয়ে এনেছিলাম।’
–‘দুনিয়ার বুকে কোনো কুদর্শন নারী থেকে থাকলে সেটা হলি তুই। তোর মতন কুদর্শন নারী এই পৃথিবীর বুকে খুব কমই আছে। আমার ভালোবাসার অপমান করে নিজের চাহিদা মিটিয়েছিস অন্যের সাথে। আবার পরিশেষে এসে আমাকে ভালো রাখার জন্য দিন রাত খেটে যাওয়া মানুষটার উপরে এসে মরিচ পানি ছুঁড়ে মারছিস। ছিহ লানত তোর উপরে। তুই যদি আমার সাথে কিছু করতি তাহলেও হয়তো আমি এতো কিছু বলতাম না। কিন্তু তুই দিশাকে কষ্ট দিয়েছিস। তোর জন্য জঘন্য একটা সাজা প্রাপ্য।’
আকাশ প্রভাকে জঘন্য সাজা প্রাপ্য বলেই প্রভার পেটের মধ্যে সজোড়ে একটা লাথি দিয়ে তাকে আবারো মাটিতে ফেলে দেয়। এরপর দিশার কাছে ছুটে যায়। দিশা এখনো চোখে-মুখে হাত দিয়ে কান্নাকাটি করছে। আকাশ রেস্টুরেন্টের ওয়েটারকে জলদি এক বোতল পানি আনতে বলে দিশাকে শান্ত করায় মগ্ন হয়। দিশার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে আকাশ। দিশা কান্না করেই চলেছে। ওয়েটার আকাশের কথা মতন পানি এনে আকাশকে দিয়ে যায়। আকাশ পানির বোতলটা খুলে দিশাকে ধরে একটু সাইডে নিয়ে গিয়ে দিশার মুখে পানি ছিটাতে থাকে। পুরো বোতলের পানি আকাশ দিশার মুখে ছিটিয়ে দেয়। দিশার চোখে- মুখে পানি ছিটানোর কারনে দিশা কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে আসে। একটু আগে সে চোখ টাও ঠিক মতন খুলতে পারছিল না। আপাতত সে চোখ খোলার পাশাপাশি কিছুটা নর্মাল হয়। তবে দিশা নর্মাল হলেও দিশার চেহারা ভয়ানক রকমের লাল হয়ে আছে। দিশা চোখ খোলা মাত্রই আকাশের শার্ট খামচে ধরে বলে,
–‘আমার মুখ অনেক জ্বলছে। মনে হচ্ছে যেনো আমার সারা গালে ফোস্কা পড়েছে। প্লিজ আপনি কিছু একটা করুন। আমি আর সহ্য করতে পারছি না। খুব কষ্ট হচ্ছে আমার।’
–‘দিশা একটু সহ্য করো। আমরা দু’জন খাওয়াটা শেষ করেই তোমাকে ফার্মেসীতে নিয়ে যাবো।’
–‘আচ্ছা।’
আকাশ দিশার মুখে পানি ছিটিয়ে তাকে সঙ্গে এনে আবার টেবিলে বসায়। এরপর নিজের বুকে টেনে আগলে নিয়ে বসে থাকে। রেস্টুরেন্টের ওয়েটার টেবিলে খাবার পরিবেশন করে দিয়ে গেছে। আকাশ হাত ধুয়ে দিশাকে নিজের হাতে খাইয়ে দেয়। দিশা চুপচাপ আকাশের হাতে খেয়ে নেয়। আকাশ দিশাকে খাইয়ে দিয়ে নিজেও খেয়ে নেয়। প্রভা দূর থেকে আকাশ আর দিশার সব কিছু তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছে। আকাশ দিশাকে খাইছে দিচ্ছে দেখে প্রভার ভিতরে উতাল-পাতাল করতে শুরু করে। তার ভিতরে কেমন যেনো লাগছে। ইচ্ছে করছে খাবার গুলো গিয়ে টেবিল থেকে ছুঁড়ে ফেলতে। তবে প্রভার এতোটা সাহস নেই। এমনিতেই আকাশ থেকে কয়েকটা থাপ্পড় এবং লাথি খেয়েছে। তার উপরে খাবার নিয়ে কিছু করলে আকাশ তাকে মেরেই ফেলবে। সেজন্য কিছু না করে চুপচাপ তাদের দৃশ্য দেখছে। ঐ দিকে দু’জনে খাওয়া দাওয়া শেষ করে রেস্টুরেন্ট থেকে বেরিয়ে একটা ফার্মেসীতে আসে। ফার্মেসী ওয়ালারা দিশাকে দিনে তিনবার একটা মলম ব্যবহার করতে দিয়েছে। আর সাথে বলেছে কিছুক্ষণ পরপর মুখে পানি ছিটাতে। ফার্মেসী থেকে মলম নেওয়ার পর আকাশ দিশাকে নিয়ে বাড়িতে চলে আসে। বাসায় পৌঁছাতেই দেখে আকাশের বাবা দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। আকাশ তার বাবাকে দেখতে পেয়ে ঘরের দরজা খুলে তিনাকে ভিতরে প্রবেশ করতে বলে। আর দিশাকে বলে রুমে গিয়ে মুখ ধুয়ে মলমটা লাগাতে। দিশা আকাশের কথা মতন রুমে চলে যায়। দিশা চলে যেতেই আকাশের বাবা আকাশকে বলে,
–‘আকাশ তুই এতোটা নিচে নেমে যাবি আমি কখনোই কল্পনা করিনি। তুই পল্লীর একটা বেশ্যাকে নিজের ঘরে পুষে রেখেছিস আমার সেটা ভাবতেই ঘৃণা হচ্ছে।’
–‘বাবা তোমাদের ঘৃণা জন্ম না নেওয়ার জন্যই আমি বাড়ি ছেড়ে আলাদা থাকছি। তারপরেও এতোটা সমস্যা হচ্ছে কেন তোমাদের?’
–‘কারন সে একটা প্রফেশনাল প্রস্টিটিউট। সে তোর যোগ্য, না আমাদের বংশের যোগ্য। তার স্টাটাস বলতে কিছুই নেই। সমাজের চোখে সে একটা নষ্টা। তুই অহেতুক কেন একটা অযোগ্য মেয়ের পিছনে ঘুরে বেড়াচ্ছিস? তুই জানিস সমাজ তোর আর এই মেয়ের সম্পর্কে জানতে পারলে কতোটা নোংরা মন্তব্য করবে? একবার ভালো করে আন্দাজ করে দ্যাখ সোসাইটির মানুষজন তোদের বিষয়ে জানতে পারলে কতোটা হেনস্তা হতে হবে তোদেরকে। আকাশ এখনো সময় আছে এই মেয়েকে যেখান থেকে উঠিয়ে এনেছিস সেখানেই রেখে আয়। আমি তোর জন্য মেয়ে দেখছি। কয়েকদিনের মধ্যেই তোর বিয়ের ব্যবস্থা করবো আমি।’
–‘বাবা কোনো প্রয়োজন নেই এসবের। তোমার কষ্ট করে কোনো মেয়ে খুঁজতে হবে না। আমার দিশা হলেই চলবে। কারন দিশা কোনো নষ্টা মেয়ে না। আমার আগে দিশার শরীরে কোনোদিন কেউ স্পর্শ করেনি। দিশার সতিত্বের সাক্ষী আমি। আমি দিশা সম্পর্কে যখন জানতাম না তখন কথা গুলো বললে মানা যেতো। কিন্তু আমি দিশা সম্পর্কে জানার পরে দিশাকে নিয়ে কোনো বাজে কথাই আমি সহ্য করবো না। বাবা তোমার কাছেও অনুরোধ তুমি পবিত্র মেয়েটাকে নিয়ে কোনো খারাপ কথা বলবে না। আর বাকি রইলো সোসাইটি বা সমাজ, বাবা আমার দিশাকে নিয়ে কেউ একটা বাজে কথা বললে দু’বছর আগের ভয়ানক রূপটা দেখতে পাবে সে আমার। তোমারো নিশ্চয় মনে আছে আমি দু’বছর আগে কেমন ছিলাম। অনুগ্রহ করে তোমরা আমায় আবার সেই ভয়ানক রূপে ফিরে যেতে দিও না।’
–‘দ্যাখ আকাশ আমি কখনোই চাই না তুই আগের মতন বিগড়ে গিয়ে উল্টা পাল্টা কাজ কর। কারন তোর উপরে এখন আমার পুরে অফিসের দায়িত্ব। তাই আমি চাই তুই সুন্দর ভাবে সব কিছু কর। আর তাছাড়া তুই যেহেতু বলছিস দিশা কোনো বাজে মেয়ে না, তাহলে তুই তাকে জলদি বিয়ে কর। এমনিতেও আমি তোর মায়ের বেলায় বেশ খারাপ খারাপ কথাবার্তা শুনেছি। আমি চাইনা আমার ছেলেও বেলায় ও আমি খারাপ কিছু শুনি। তাই আগামী দুই দিনের ভিতরে তুই দিশাকে বিয়ে করে নিজের বউ বানিয়ে নে।’
–‘ঠিক আছে বাবা আমি আগামী দুই দিনের ভিতরেই দিশাকে বিয়ে করবো।’
–‘আচ্ছা এবার আমি চলে গেলাম। তবে শোন দিশাকে বিয়ে করে সোজা বাসায় চলে আসবি।’
–‘আচ্ছা।’
আকাশের বাবা আকাশের সাথে কথাবার্তা বলে চলে যায়। অন্যদিকে আকাশ থেকে লাথি খেয়ে প্রভা মাটিতেই পড়ে ছিল। ফারহান এসে তাকে সামলছে। প্রভা ফারহানকে সবটাই খুলে বলে। আকাশ তাকে থাপ্পড় মারার পাশাপাশি লাথি মেরে মাটিতে ফেলে দিয়েছে। প্রভার কথা শুনে ফারহানের চরম রাগ উঠে যায়। ফারহান রাগান্বিত কন্ঠে প্রভাকে বলে,
–‘প্রভা এর প্রতিশোধ আমি তুলবো। তোমার গায়ে আঘাত করার কারনে তোমার প্রেমিক আকাশকে মরতে হবে। তাকে আমি জানে মে/রে ফেলবো। আর দিশা তার চেহারার আকৃতি আমি এভাবে বদলে দিব, যে কোনো কাস্টমার দিশাকে রুমে নিয়ে যাওয়া তো দূরের কথা, তার চেহারা দেখলেও কাস্টমার’রা ভয়ে পালাবে।’
–‘ফারহান না তুমি এমনটা করবে না। তুমি দিশার সাথে যা খুশি করো। আমি তোমায় বাঁধা দিব না। তবে তুমি আকাশের কোনো ক্ষতিই করবে না। ওর কোনো ক্ষতি হলে আমি নিজেও কষ্ট পাবো। আমি চাইনা আকাশের তুমি এতো বড় ক্ষতি করো।’
প্রভার কথা শুনে ফারহান আরো রেগে যায়। ফারহান এসেছিল প্রভাকে সামলাতে। কিন্তু সে উল্টো প্রভার গলা চেপে ধরে প্রভাকে বলে,
–‘আমার সাথে বিয়ে হওয়ার পরেও প্রেমিকের উপরে অবৈধ মায়া হচ্ছে বুঝি? শোন তোর আকাশকে মরতেই হবে। আমার কাজে বাঁধা দিতে আসলে তোকেও তোর প্রেমিকের মতন মে/রে মাটির নিচে চাপা দিয়ে দিব। আজ দু’বছর ধরে তোর অবৈধ প্রেমিককে মারার জন্য পাগলের মতন এদিক-সেদিক ঘুরে বেড়াচ্ছি। এবার তাকে মরতেই হবে। সময় এসে গেছে তার উপরে যাওয়ার।’
ফারহানের কথা শুনে প্রভা পুরো চমকে উঠে। আকাশের উপরে ফারহানের কিসের এতো ক্রোধ, যার জন্য ফারহান আকাশকে মা/রার জন্য মরিয়ে হয়ে উঠেছে। প্রভা কোনো কিছুই বুঝে উঠতে পারছে না। প্রশ্নবোধক চাহনিতে ফারহানের দিকে তাকিয়ে আছে। তখনি ফারহান পৈচাশিক ভাবে হাসতে আরম্ভ করে….
চলবে….