কুহেলিকা পর্ব-১০

0
803

#কুহেলিকা (পর্ব-১০)
#লেখক_আকাশ_মাহমুদ

আকাশ দিশার হাত ধরে নিয়ে ফ্ল্যাটের বাকি রুম গুলো ঘুরে ঘুরে দেখতে থাকে। দু’জনের মনে খুশির জোয়ার বইছে। প্রভার দেওয়া কষ্টের কথা আকাশ বলতে গেলে ভুলেই গিয়েছে। সে এখন দিশাকে নিয়ে মেতে আছে। অন্যদিকে প্রভা আকাশের থেকে দিশাকে কি করে আলাদা করা যায় সেটার ভয়াবহ একটা প্ল্যান সাজিয়ে বসে আছে। এক কথায় আকাশ শুধু তার। যে কোনো মূল্যে আকাশকে তার চাই। সে সেটার জন্য খু/না/খু/নি করতেও দ্বিধাবোধ করবে না। প্রভা ইতিমধ্যে দিশাকে আকাশ থেকে দূরে সরানোর একটা পারফেক্ট প্ল্যান বানিয়ে ফেলেছে। এখন খালি সেই প্ল্যান মোতাবেক মাঠে নামা বাকি। এদিকে আকাশ দিশাকে পুরো বাড়ি ঘুরে ঘুরে দেখায়। আর তার সাথে পুরো বাড়িতে কোথায় কি সেট করবে সেটা দিশার সাথে পরামর্শ করতে থাকে। আকাশের আচরণে দিশার মনে হচ্ছে সে যেনো আকাশের বিয়ে করা বউ। আর আকাশ এজন্যই তার সাথ সব বিষয় নিয়ে পরামর্শ করছে। দিশার কাছে বেশ লাগছে ব্যাপার গুলো। অন্যদিকে আকাশ আর দিশার সম্পর্কের সমীকরণ প্রতিনিয়ত জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে। কখনো কখনো দিশার প্রতি আকাশের আচরণ দেখে মনে হয় সে তার অর্ধাঙ্গিনী, তার উপর আকাশের সব ধরনের অধিকার আছে। সে মুহূর্তে দিশার সত্যি সত্যিই একটা ছোট্ট সংসারের স্বপ্ন দেখতে ইচ্ছে করে। কিন্তু পরমুহূর্তেই সেই স্বপ্ন কাচের মতো ভেঙে গুড়িয়ে যায়। আকাশ হয়ে ওঠে সম্পূর্ণ অপরিচিত গোয়ার প্রকৃতির মানুষ। এই আকাশকে দিশা প্রচুর ভয় পায়। আবার মনে মনে তাকে ভালোবাসে। আকাশের আচরণ এবং তার স্পর্শে দিশার মনে ভালোলাগার রেশ রেখে যায়, এ রেশ কাটানোর ক্ষমতা দিশার নেই। অদ্ভুত গোলকধাঁধায় আঁটকে গেছে দুজনে, এর প্রতিকার কি? এর ইতি কোথায়? দিশা আকাশের মনোমুগ্ধকর আচরণে নেগেটিভ চিন্তা-ভাবনা বাদ দিয়ে রেখে আকাশ আর তাকে নিয়ে পজিটিভ চিন্তা-ভাবনা করতে থাকে।

–‘ইশ আমার কল্পনা গুলো যদি সত্যি হতো। আমি যদি এই মহান মানুষটার স্ত্রী হতাম। হ্যাঁ মানুষটার অনেক রাগ, কিন্তু মনটাও তো অনেক ভালো। রাগলে না হয় নিজের কন্ট্রোল হারিয়ে ফেলে। তবে ভালোবাসতে সময় তো একদম নিজের সব টুকু দিয়ে ভালোবাসে। এই যে আমি নিষিদ্ধ নগরীর দেহ ব্যবসায়ী একটা মেয়ে, আমায় তো সবাই দেহ বিক্রেতা নামে চিনে। সবাই আমাদের কাছে নিজের খিদে মিটাতে আসে। একগাদা টাকা ছুঁড়ে মেরে শরীরটাকে নিজেদের ইচ্ছে মতন চিবিয়ে খায়। কেউ কখনো জিজ্ঞাস করেনা আমাদের কি চাই। কেউ কখনো আমাদের ভিতর টাকে বুঝার চেষ্টা করে না। তাঁদের পুরুষত্ব মিটানোর জন্য একটা শরীর চাই। তারা সেটা পেয়ে গেলে ডানে বায়ে তাকানোর মতন প্রয়োজন মনে করে না। হিংস্র পশুর ন্যায় শরীর টাকে চিবিয়ে খেয়ে চলে যায়। কেউ আমাদের শরীর টাকে ছাড়া আমাদের মন টাকে প্রায়োরিটি দেয় না। সেখানে এই লোকটা আমার মতন একটা মেয়েকে পল্লীতে থেকে নিয়ে এসে নিজের স্ত্রীর মতন মর্যাদা দিচ্ছে। আমি জানি আমার কোনো যোগ্যতাই নেই এই লোকের স্ত্রী হবার। আর কখনো হতেও পারবো না। তবে লোকটা আমাকে সাময়িকের জন্য যেভাবে প্রায়োরিটিটা দিচ্ছে, সেটা আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া। আমি কখনো কারোর স্ত্রী হতে না পারলেও স্ত্রী হবার স্বাদ আমি পেয়ে গেছি। এই মহান মানুষটা আমাকে সেই স্বাদ পাইয়ে দিতে সাহায্য করেছে। তাই এখন থেকে কোনো ভাবেই মানুষটার মনে কষ্ট দিব না। উনার সমস্ত রাগ আমি হাসিমুখে মেনে নিব। যেখানে কেউ আমাদের কষ্টই বুঝে না, সেখানে এই মানুষটার থেকে আমি প্রায়োরিটি পাচ্ছি, তাহলে তার রাগ আমি সহ্য করতে পারবো না কেন, অবশ্যই আমি পারবো। আমাকে পারতে হবে।’

দিশা এসব নিয়ে কল্পনা করতে করতে ভাবনার জগতে বিচরণ করে। আকাশ দিশার বেখেয়ালি ভাব দেখে দিশাকে জিজ্ঞাস করে,

–‘এই দিশা তুমি এতো মন দিয়ে কি ভাবছো?’

আকাশের কথায় দিশার হুঁশ ফিরে আসে। হুঁশ ফিরে আসার পর স্বাভাবিক ভঙ্গিমায় আকাশকে বলে,

–‘না তেমন কিছু না।’

–‘আমি দেখতেই পাচ্ছি দিশা। তুমি আমায় বললেই তো আর হবে না। মানুষের চেহারা দেখে আন্দাজ করে নেওয়া যায় সে কোন মনোভাবে আছে। তো এবার চটাচট বলে ফেলো কি ভাবছিলে।’

–‘আচ্ছা আপনাকে একটা প্রশ্ন করি যদি কিছু মনে না করেন?’

–‘দিশা আমাকে কিছু বলার জন্য তোমার খানিক বাদে বাদে অনুমতি নিতে হবে না। তুমি আমায় অনুমতি ছাড়াই যে কোনো প্রশ্ন করতে পারো।’

–‘আচ্ছা আপনি আমায় নিয়ে পল্লীর সর্দারনীর সাথে কতোদিনের চুক্তি করেছেন?’

–‘সারাজীবনের জন্য।’

–‘মানে বুঝলাম না? আপনি কি কখনো বিয়ে করবেন না নাকি? আর আমার মতন মেয়েকে নিয়ে সারাজীবন চুক্তি কেন করেছেন? আমার জন্য তো আপনার সংসার জীবনে সমস্যা হতে পারে।’

–‘জানি না আমি কেন তোমায় নিয়ে পল্লীর সর্দারনীর সাথে চুক্তি করেছি! তবে এটুকু বলতে পারি তুমি আমার সাথে আজীবন থাকবে।’

–‘কি করে সম্ভব এমনটা? আপনি কি বিয়েসাদী করবেন না? আর তাছাড়া মানুষ কি বলবে?’

–‘হ্যাঁ দরকার হয় বিয়ে করবো না। তোমায় নিয়ে এভাবেই বিয়ে ছাড়া আজীবন কাটিয়ে দিব। আর মানুষ কি বলবে সেসব নিয়ে আমার কোনো মাথাব্যথা নেই। কারন মানুষের খাই না পড়িও না। আমার লাইফ আমি কি ভাবে লিড করবো সেটা একান্তই আমার ব্যাক্তিগত ব্যাপার।’

–‘এটা কোনো কথা বলুন? মানুষের কথায় না হয় কান দিলেন না, কিন্তু আপনি একটা নষ্টা মেয়ের সাথে এভাবে কি করে সারাজীবন কাটাবেন? আপনার তো পার্সোনাল একটা লাইফ আছে। খামোখা আমার জন্য সেটাকে বরবাদ কেন করছেন?’

দিশার কথায় আকাশের আবারো রাগ উঠে যায়। আকাশের রাগ উঠা মানে তো সকলেই জানেন কি ঘটবে এখন। হ্যাঁ আকাশ আবারো কোষে থাপ্পড় লাগিয়ে দিয়েছে দিশার গালে। তারপর দিশাকে টেনে নিয়ে দেয়ালের সাথে পিঠ ঠেকিয়ে তার গলার চেপে ধরে হুংকার দিয়ে বলে,

–‘তোকে এক কথা কয়বার বলতে হয় রে? আমি তোকে আগেও বারন করেছি নিজেকে নিয়ে একটা বাজে কথাও বলবি না। কিন্তু তার পরেও তুই আবারো নিজেকে নষ্টা বলেছিস। এই তোর সমস্যা কি? সাহস খুব বেড়ে গেছে তোর? না তোর সাথে একটু ভালো ভাবে কথা বলি দেখে কারেন্ট এসে গেছে শরীরে কোনটা?’

আকাশের হাতে থাপ্পড় খেয়ে দিশার আবারো চোখের পানি পড়তে শুরু করে। দিশা নীরবে কেঁদে যাচ্ছে। গলা দিয়ে কোনো সাউন্ড বের হচ্ছে না তার। আর বের হবেই বা কি ভাবে, আকাশ যে জোরে তার গলা চেপে ধরেছে, এতে করে তার নিশ্বাস নিতে পর্যন্ত কষ্ট হচ্ছে। দিশার নীরবতা দেখে আকাশের রাগের মাত্রা আরো বেড়ে যায়। দিশা যে তার হাতে থাপ্পড় খেয়ে কান্না করছে সেই দিকে আকাশের কোনো ভ্রূক্ষেপ নেই। আকাশ পুরো উন্মাদ হয়ে গেছে। ইচ্ছে করছে দিশাকে আস্তো গিলে খেয়ে নিতে। নিজের শরীর থেকে আকাশ কন্ট্রোল হারিয়ে ফেলেছে। কি করবে সে নিজেও বুঝে উঠতে পারছে না! রাগ যেনো আকাশকে পুরো হিংস্র পশু বানিয়ে দিয়েছে। দিশাকে ছেড়ে দিয়ে নিজের মাথার চুল টানতে আরম্ভ করে। কিন্তু এতেও কোনো কাজ হয় না। যার দরুন হুট করেই সে দিশার বুক থেকে শাড়ী টান দিয়ে সরিয়ে ফেলে। এরপর হিংস্র পশুর ন্যায় দিশার বুকের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে। আকাশ নিঃসংকোচে দিশার বুকের মাদকতা গ্রহণ করছে। আকাশের আচরণে মনে হচ্ছে দিশা যেনো তার বিয়ে করা বউ। অপরদিকে দিশা দেয়ালের সাথে পিঠ ঠেকিয়ে মূর্তির ন্যায় চুপচাপ দাঁড়িয়ে থেকে চোখের পানি ফেলছে। কোনো প্রকার কোনো সাড়াশব্দ করছে না। আকাশ যে তার বুকের উপরে হিংস্র পশুর ন্যায় ঝাঁপিয়ে পড়েছে সেটা নিয়েও কোনো প্রকার প্রতিবাদ করছে না দিশা। আর প্রতিবাদ করবেই বা কি ভাবে, দোষ তো তার। সে যদি আকাশকে রাগিয়ে না দিতো, তাহলে তো কখনোই আকাশ তার সাথে এমনটা করতো না। সে দোষ করেছে বিধায় এখন সে সাজা পাচ্ছে। আধঘন্টা খানিক আকাশ তাকে এভাবে সাজা দেয়। আধঘন্টা পর আকাশের রাগ কমে যাওয়ায় সে দিশাকে ছেড়ে দিয়ে বলে,

–‘এই দিশা কেন তুই এমন করিস? তুই কি বুঝিস না আমার যে খুব কষ্ট হয়? তুই কি বুঝিস না আমি খুব কষ্টে আছি। তারপরেও কেন তুই আমার সাথে এভাবে কথাবার্তা বলিস? আমি তো তোকে এনেছি নিজের কষ্ট দূর করতে। কিন্তু তুই তো আমার কষ্টকে আরো প্রসার করে দিচ্ছিস। আচ্ছা আমি কি তোকে নিজের কাছে রাখতে চেয়ে কোনো পাপ করেছি?’

দিশা আকাশের কথার কোনো উত্তর দেয় না। চুপচাপ কাঁদতে থাকে আগের ন্যায়। আকাশ দিশার নীরবতা দেখে আবারো দিশাকে জিজ্ঞাস করে,

–‘দিশা আমার কথার উত্তর দে। আমি কি তোকে নিজের কাছে রাখতে চেয়ে কোনো পাপ করেছি? তুই কেন বারবার ঐ নোংরা কথা বলে আমায় আঘাত করিস? তুই কি বুঝিস না তোর সেসব কথায় আমার ভিতরেও আঘাত লাগে?’

এবার দিশা আকাশের কথায় মুখ খুলে।

–‘না আপনি কোনো পাপ করেন নি।’

–‘তাহলে কেন বলিস ওসব কথা? আমি তো তোকে এর আগেও বারন এমন কথা বলতে। তাহলে কেন তুই বারবার ঘুরেফিরে সেই একই কথা মুখে আনিস?’

আকাশের কথা শুনে দিশা আকাশের একটা হাত টেনে নিয়ে তার বুকের উপরে রাখে। এরপর হাত টাকে ধরে নিজের বুকের সমস্ত অঙ্গে স্পর্শ করাতে করাতে বলে,

–‘আর কখনোই ওমন কথা মুখে আনবো না। এই যে নিন আপনার হাত আমার বুকের সমস্ত অঙ্গে ছুঁইয়ে দিয়েছি। আমি আগে নিজেকে অপবিত্র ভাবতাম। কিন্তু এখন আমি পবিত্র। মানুষের পবিত্রতা তার মনে থাকে। আমার মনটা কোথায় সেটা আমি জানি না! হয়তো গলার নিচ থেকে নিয়ে শুরু করে নাভীর উপরিভাগের কোনো একটা অংশে আমার মন আছে। এজন্য আমি আপনার পবিত্র হাত আমার সারা বুকে ছুঁইয়ে নিজেকে পবিত্র করে নিয়েছি। আপনি আবার ভাববেন না যেনো আমার তাড়না জেগেছে। যদি এমনটা হতো তাহলে এতোটা সময় আমি নিশ্চুপ থাকতাম না। আমার সারাটা বুকেই তো এতোটা সময় আপনি স্পর্শ করেছেন। কিন্তু আমি নিজেকে সামলে নিয়ে চুপচাপ দাঁড়িয়ে ছিলাম। আমার যদি তাড়ানা জাগতো, তাহলে আমি বহু আগেই কান্না থামিয়ে আপনার সাথে মেতে উঠতাম। আমি কিন্তু সেটা করিনি। আর এখন যেটা করেছি, সেটা নিজের শুদ্ধতার জন্য করেছি। আমার মনে হয়েছে আপনার পবিত্র স্পর্শে নিজেকে পবিত্র করা সম্ভব। তাই আমি এমন টা করেছি। আর তার চাইতেও বড় কথা আগামীতে আমার মুখে আর কোনো ধরনের বাজে কথা শুনবেন না। যদি শুনতে পান তাহলে তখনি গলা টিপে আমায় মেরে ফেলবেন। অনেক হয়েছে উল্টো-পাল্টা কথা। আমাদের একটা নীতি আছে। কাস্টমারের মন যুগিয়ে আমরা তাদেরকে সার্ভিস দেই। অবশ্য আপনি আমার কাস্টমার নন। আপনি হচ্ছেন আমার খুব কাছের একজন। আপনি যেসব সহ্য করতে পারেন না, আমি চাইনা ঐসব কথা আর আপনার সামনে মুখ দিয়ে বের করি।’

আকাশ দিশার আচরণ এবং তার কথা শুনে কিছুটা সময় দিশার দিকে অদ্ভুত ভাবে তাকিয়ে থাকে। এরপর নিজেকে সামলে নিয়ে দিশাকে বলে,

–‘তোমার মতন একটা মানুষ যার লাইফে থাকবে তার আর কিছুই প্রয়োজন নেই। দিশা আমি ক্ষমাপ্রার্থী তোমার সাথে এভাবে রাগারাগি করার জন্য। আমার উচিৎ হয়নি তোমার সাথে তুইতোকারি করা এবং তোমার গলা চেপে ধরা। তাই তোমার কাছে মন থেকে ক্ষমা চাচ্ছি।’

–‘আপনার ক্ষমা চাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। কারন আপনার রাগের চাইতেও আপনার ভালোবাসার মাত্রাটা অনেক বেশি। আপনার এই ছোটো খাটো রাগ আমি সহ্য করার ক্ষমতা রাখি। তাই অনুগ্রহ করে আমার কাছে ক্ষমা চাইবেন। আমি চাইনা আপনি আমার কাছে ছোট হোন।’

দিশার কথা শুনে আকাশ খপ করে দিশাকে নিজের বুকে টেনে নেয়। বুকে টেনে নেওয়ার পর দিশার ঠোঁটে এবং কপালে আলতো করে চুমু একে দিয়ে বলে,

–‘আমি মনের মানুষ পেয়ে গেছি। আমি এখন নিজেকে এই মনের মানুষের জন্য তৈরী করে নিব।’

–‘মানে?’

–‘মানে টা এখন বলা যাবে না। সময় হলে এর মানে তুমি নিজেই জেনে যাবে। এখন চলো এখান থেকে। অনেক সময় হয়ে এসেছে। তোমায় পল্লীতে নামিয়ে দিয়ে বাসায় যেতে হবে। তারপর আবার এই ঘরের জন্য জিনিসপত্র অর্ডার করতে হবে। অনেক কাজ আমার।’

–‘আচ্ছা চলুন।’

আকাশ আর দিশা বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিজের গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে পড়ে। আকাশ দিশাকে গাড়ি করে এনে পল্লীর সামনে নামিয়ে দিয়ে সে বাসার উদ্দেশ্যে গাড়ি টেনে চলে যায়। এদিকে দিশা গাড়ি থেকে নামতেই একটা সুট বুট পড়া লোক দিশার পিছু নেয়। লোকটা দিশার দিকে লালসার দৃষ্টিতে তাকিয়ে তার পিছু পিছু হাঁটতে আরম্ভ করে। দিশার এতো কিছু খেয়াল নেই। সে আপন মনে হাঁটতে থাকে। কিন্তু দিশার ধারণাতেও নেই, যে কোনো এক নরপিশাচ অসাধু মতলব নিয়ে তার পিছু নিয়েছে….

চলবে….

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে