#কুহেলিকা (পর্ব-৮)
#লেখক_আকাশ_মাহমুদ
হুট করেই আকাশ দেখে প্রভা গতকালের সেই অচেনা লোকটার সাথে হাসি-তামাশা করতে করতে পল্লীর ভিতরের একটা দালান বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসছে। আকাশ প্রভাকে এভাবে দেখতে পেয়ে আকস্মিক দৃষ্টিতে প্রভার দিকে তাকিয়ে আছে! চোখের কোনে পানি টলমল করছে। নিশ্বাসের প্রতিক্রিয়া যেনো স্বাভাবিক থেকে অস্বাভাবিক হয়ে উঠেছে। স্বস্তিতে নিশ্বাসটাও নিতে পারছে না সে। মনে হচ্ছে যেনো তুর পাহাড়ের এক অংশ কেউ নির্জিত করে আকাশের বুকের উপরে রেখে দিয়েছে। নিশ্বাসের ঘনত্ব ক্রমশ বেড়েই চলেছে। প্রভা এখনো আকাশকে দেখেনি। সে অপরিচিত লোকটার সাথে হাসি-তামাশায় এতোটাই মগ্ন যে তার থেকে কিছুটা দূরে আকাশ দাঁড়িয়ে আছে সেটা এখনো তার চোখে পড়েনি। আকাশ মূর্তির ন্যায় ঠায় দাঁড়িয়ে আছে। প্রভা লোকটার সাথে হাসি-তামাশা করতে করতে কিছুটা পথ এগিয়ে আসতেই আকাশকে দেখতে পায়। আকাশের দেখা মাত্রই প্রভার মুখ থেকে হাসি অদৃশ্য হয়ে গিয়েছে। বুকের ভিতরে কম্পন করছে প্রভার। মনে হচ্ছে যেনো এখুনি তার মনের দুনিয়াতে বেশ জোরালো একটা ভুমিকম্প হবে। দু’জন দু’জনের দিকে চোখ পাকিয়ে তাকিয়ে আছে। তাদের দেখে যে কেউ বলবে ইউসুফ নবীর আমলে জোলেখা যেই দৃষ্টিভঙ্গিতে ইউসুফ নবীর দিকে তাকিয়ে ছিল, তারা দু’জন এখন একে অপরের দিকে সেই দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। তবে তারা দু’জন এই খালি জানে এভাবে একে অপরের দিকে তাকিয়ে থাকার আসল কারনটা কি। আকাশ পলকহীন ভাবে প্রভার দিকে তাকিয়ে আছে, কিন্তু প্রভা বেশিক্ষণ সময় আকাশের চোখে চোখ রেখে তাকিয়ে থাকতে পারে না। সে আকাশের তাকিয়ে থাকা দেখে লজ্জায় লাল হয়ে যায়। আকাশের চোখ থেকে নজর সরিয়ে ছেলেটাকে রেখে ধীরে ধীরে আকাশের কাছে এগিয়ে আসে। এরপর আকাশের কাছে এসে মাটির দিকে দৃষ্টিপাত করে আকাশকে বলে,
–‘কি করছো আকাশ তুমি এখানে? এই জায়গাটা তো ভালো না। তুমি এখানে কি করতে এসেছো?’
–‘ধরে নাও কারোর লীলাখেলা দেখতে এসেছি।
আর আমিও জানি এই জায়গাটা ভালো না।’
–‘লীলাখেলা মানে?’
–‘মানে টা ঐ যে দাঁড়িয়ে আছে। লোকটার সাথে পল্লীর দালানকে সাক্ষী রেখে নিজের শারীরিক চাহিদা মিটিয়েছো। আমি সেই লীলাখেলার কথা বলেছি। আশা করি তুমি আমার কথা বুঝতে পেরেছো। এরপর আর অহেতুক প্রশ্ন করবে না।’
প্রভা চুপ হয়ে যায় আকাশের কথা শুনে। তার চোখে মুখে ভয়ের ছাপ ফুটে উঠেছে। আকাশের সাথে এসব নিয়ে কথা বলার মতন সাহস করে উঠতে পারছে না। তখনি আকাশ প্রভাকে প্রশ্ন করে,
–‘প্রভা কেন করলে তুমি এমনটা? আমার ভালোবাসায় কি কমতি ছিল? আমার জানা মতে তো আমি তোমায় ভালোবাসতে কমতি করিনি। যখন যেটা বলেছো সেটাই করেছি। আমার জন্মদাতা পিতা-মাতার কথার যতোটা অনুগত্য করিনি, আমি তার চাইতেও হাজার গুন বেশি তোমার কথা শুনেছি। আমি ছিলাম এক লাগামহীন গরু। আমার জীবনের রশি কেউ কোনোদিন স্পর্শ করতে পারেনি এবং আমি নিজেও কাউকে স্পর্শ করতে দেইনি। কিন্তু তুমিই একমাত্র মানুষ যার হাতে কিনা আমি আমার সমস্ত কিছু তুলে দিয়েছি। আমার ব্যক্তিগত জীবনে যেই নিয়মনীতি গুলো ছিল আমি সব কিছুই তোমার জন্য ভঙ্গ করেছি। বাকি সবার জন্য বরাবরের মতোই ঠিক ছিল। আমার জীবনে বহু মানুষ আসতে চেয়েছে, কিন্তু আমি তোমার জন্য কাউকে নিজের জীবনে আসতে দেইনি। আমি ভাবতাম নীতি সবার জন্য ভঙ্গ করলে নিজের সম্মান কমে যায়। তাই তুমি বাদে দুনিয়ায় সমস্ত মানুষের জন্য আমার নিয়মনীতি খুবই শক্ত ছিল। এজন্যই কেউ আমার লাইফে আসতে পারেনি। আর সেই তুমি কিনা পরপুরুষের সাথে দিনদুপুরে এই পল্লীতে এসে রং-তামাশায় মেতে উঠেছো?’
–‘আকাশ আমার ভুল হয়ে গেছে। প্লিজ তুমি আমায় ক্ষমা করে দাও।’
–‘প্রভা ক্ষমার বিষয়টা পরে আসছে। তুমি আমায় এটা বলো যে তুমি এমনটা কেন করলে? আর কি কারনে তুমি পরপুরুষের সাথে এই পল্লীতে এসেছো? আমার উত্তর চাই প্রভা।’
–‘আকাশ এই পল্লীতে মানুষ কেন আসে তুমি নিশ্চয় জানো। প্লিজ তুমি আমায় এসব নিয়ে প্রশ্ন করো না আর। আমি সব কিছুর জন্য তোমার কাছে আগেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আমায় শেষ একটা সুযোগ দাও আকাশ।’
–‘প্রভা অন্যের সাথে রং-তামাশা করতে গিয়ে হাতে নাতে ধরা খেয়েছো তুমি। কোন মুখে ক্ষমা চাইছো? লজ্জা করছে না?’
–‘আকাশ কোন মুখে ক্ষমা চাইছি আমি জানি না! তবে এটুকু বলবো দোষ আমার একার নয়। আমার এসবের পিছনে তোমারো অবদান রয়েছে।’
–‘বাহ বেশ সুন্দর কথা বললে। রং-তামাশা করবে তুমি, আর অবদান থাকবে আমার?’
–‘তা নয় তো কি? তুমি কখনো ভালোবেসে একটা বারের জন্যেও আমার শরীরে স্পর্শ করেছো? তুমি কখনো আমায় ভালোবেসে একটা বারের জন্যেও আমার জড়িয়ে ধরে নিজের বাহুতে টেনে নিয়েছো? নাও নি। কখনোই নাওনি। আচ্ছা আমার কি কোনো শখ-আহ্লাদ বলতে কিছু নেই? আমার কি কোনো ভিতরগত চাহিদা থাকতে পারেনা? তুমি আমার শরীরটাও ভালো করে কখনো স্পর্শ করোনি। সব সময় ঝগড়াঝাটি আর নিজের হিংস্রতা দেখিয়ে এসেছো। আমি ভালো খারাপ যাই বলি না কেন তুমি রেগে যাও। তাহলে আমি তোমায় ছেড়ে অন্য লোকের সাথে নিজের চাহিদা মেটাবো না কেন? তুমি তো আমায় কোনো সুখ শান্তিই দাওনি। তাহলে আমি কেন অন্য পুরুষের মধ্যে নিজের সুখ খুঁজে বেড়াবো না? আকাশ তোমার কাছে হয়তো আমার এসব কিছু ভুল মনে হচ্ছে। কিন্তু আমার কাছে সব কিছুই স্বাভাবিক লাগছে।’
–‘প্রভা তোমার লজ্জা থাকা উচিৎ। একটা মেয়ে বিয়ের আগেই শারিরীক চাহিদা মেটানোর জন্য পরপুরুষের সাথে বিছানায় চলে যাচ্ছে, তাও আবার নিজের প্রেমিক বাদে অন্য পুরুষের সাথে, প্রভা এসব মেয়েদেরকে মেয়ে বলে না, এসব মেয়েদেরকে বলে বার/মুখ্যা বা ন/টী। ছিহ আমার ভাবতেই ঘৃণা লাগছে আমি তোমার মতন একটা নিচু মনমানসিকতার মেয়ের সাথে সম্পর্ক করেছি।’
–‘ও আচ্ছা তাই বুঝি? তাহলে তুমি যদি এতোই ভালো হও তাহলে এই পল্লীতে কি করছো? আমাকে না হয় ন/টী বলবে, তাহলে তোমাকে মানুষ কি নামে ডাকবে?’
–‘প্রভা আমি এখানে তোমার মতন চাহিদা মেটাতে আসিনি। আমি এসেছি মানসিক শান্তির তালাশ করতে।’
–‘হাসালে আকাশ হাসালে তুমি আমায়। শোনো কখনো কাউকে কিছু বলার আগে নিজের দিকটা দেখে নিবে।’
–‘তোমার তাচ্ছিল্যে মার্কা কথাবার্তায় আমার কিছুই আসবে যাবে না। কারন এই পল্লীতে বলতে গেলে তোমার জন্যই আসা। গতকাল মদের বোতল নিয়ে এই লোকের সাথে পল্লীতে প্রবেশ করেছো। তোমার সেই দৃশ্য দেখতে পেয়েই আমি তোমার পিছু নিয়ে পল্লীতে প্রবেশ করেছি। না হয়তো আমি পল্লীতে কখনোই আসতাম না।’
–‘আচ্ছা আকাশ বাদ দাও না যা হয়েছে। ভুল আমিও করেছি, ভুল তুমিও করেছো। তাই দু’জন দু’জনের ভুল কাটাকাটি করে সব কিছু ঠিক করে নেই।’
–‘প্রভা ভুল আমি নয় তুমি একা করেছো। আর তোমার সাথে সব কিছু ঠিকঠাক করে নেওয়া অসম্ভব। যেই মেয়ে পরপুরুষের সাথে পল্লীতে এসে নিজের উত্তেজনা নিভায়, তার সাথে আমি কোনোদিন এই সম্পর্ক রাখবো না। দরকার হয় পল্লীর একটা মেয়েকে নিজের স্ত্রী বানাবো, কিন্তু তোমার মতন কালসাপকে নিজের লাইফে আর ফিরিয়ে আনবো না।’
–‘আকাশ দেখো তুমি তো আমায় খারাপ কিছু করতে দেখো নি। তুমি শুধু ফারহানের সাথে আমাকে দেখেছো। আমাদের মাঝে কি হয়েছে সেসব তো আর তুমি জানোনা, কিন্তু আমি তোমায় সব সত্যি বলছি। ফারহানের সাথে আমি ফিজিক্যালি ইন্টি/মেট হয়েছি। আমি যদি এই বিষয়টাকে অস্বীকার করি তাহলে তুমি কোনো ভাবেই জানতে পারবে না আমরা একে অপরের সাথে মেলামেশা করেছি। কিন্তু আমি তোমায় সত্যিটা বলে দিয়েছি। এবার তো আমার ভুল টাকে ক্ষমার নজরে দেখো। আগামীতে এমনটা আর আর কখনোই হবে না। আর ফারহান থেকেও আমি দূরে থাকবো।’
–‘বাহ অসাধারণ! পরপুরুষের সাথে নোংরামি করার পর সেটাকে নিজ মুখে স্বীকার করাকে তুমি সততা বলে মনে করছো? তাহলে শোনো তোমার এই অপরিচ্ছন্ন সততার কোনো দাম নেই আমার কাছে। আর তাছাড়া তুমি কি বললে? তুমি আমায় না বললে তোমার বিষয়ে আমি কখনোই জানতে পারবো না? প্রভা তুমি মানুষকে যতোটা নির্বোধ মনে করো মানুষ কিন্তু ততোটা নির্বোধ না। তুমি পরপুরুষের সাথে নিষিদ্ধ পল্লীর দালান বাড়ি থেকে হাসিঠাট্টা করতে করতে বেরোচ্ছো, আর মানুষ তোমার বিষয়ে বুঝবে না? প্রভা তোমার কথা শুনে ব্যাপক হাসি পাচ্ছে আমার। প্রভা মানুষ তোমায় নিয়ে ঠিক ধারণাটাই করবে, কিন্তু আমায় নিয়ে করতে পারবে না। কারন আমি খোলা জায়গায় দাঁড়িয়ে আছি। যতোই হোকটা নিষিদ্ধ নগরী, কিন্তু তোমার মতন কেউ আমায় উত্তেজনা মিটিয়ে ভাড়াটে কক্ষ থেকে বেরিয়ে আসতে দেখেনি। আর তার চাইতেও তোমার বিষয়ে অনেক বড় একটা প্রমাণ আমার কাছে রয়েছে। গতকাল তুমি এই লোকের সাথেই কিছু সিক্রেট ছবি তুলেছো। কেউ একজন সেই ছবি গুলোকে আমার কাছে মেইল করে পাঠিয়েছে। এবার বলো তোমার বিষয়ে কি জানা বাকি আছে আমার? আমি তোমার সিক্রেট ছবি গুলো দেখার পরেও কোনো কিছু জানা বাকি আছে বলে মনে হচ্ছে তোমার?’
প্রভা আকাশের কথা শুনে ফারহানের দিকে নির্লজ্জের মতন চোখ রাঙিয়ে তাকায়। সে যে এতো বড় ভুল করেছে সেই দিকে তার কোনো খেয়াল এই নেই। সে ফারহান নামক ছেলেটার দিকে কয়েক সেকেন্ড চোখ রাঙিয়ে তাকানোর পর তার থেকে নজর সরিয়ে আকাশকে বলে,
–‘আকাশ তুমি কি সত্যিই আমার পিক দেখেছো ফারহানের সাথে?’
–‘প্রভা এই সিচুয়েশনেও এসে তোমার সাথে মজা করছি বলে মনে হচ্ছে তোমার? ‘
–‘তার মানে তুমি সত্যিই বলছো। আর এই হারা/মির বাচ্চা ফারহান তোমাকে আমার সেসব পিক পাঠিয়েছে। ওকে তো আজকে আমি…
প্রভা ফারহানের দিকে তেড়ে গিয়ে তার কলার চেপে ধরে। এরপর ফারহানের গালে সজোড়ে কয়েকটা থাপ্পড় লাগিয়ে দিয়ে ফারহানকে বলে,
–‘ছিহ তুই এতোটা জঘন্য? মজা নিতে ঠিকই নিয়েছিস, কিন্তু মজা নেওয়া শেষে আমায় কাঠগড়ায় লটকে দিয়েছিস। কেন করলি ফারহান তুই এমনটা? এখন মানুষটা তো আমাকে ছেড়ে চলে যাবে।’
–‘আমি যা করেছি বেশ করেছি। আমার দরকার ছিল তোর শরীরের মজা নেওয়া আমি সেটা নিয়ে নিয়েছি। আমার পেশাই হচ্ছে এটা। আমি সময়ে সময়ে মেয়ে পটিয়ে তার সাথে মেলামেশা করি। তোর সাথেও আমি মজা নিয়েছি। তবে তোকে একটা কথা বলি। আমি মেয়ে পটিয়ে তার সাথে বেশিদিন থাকি না। কিন্তু তোর সাথে আমার সারাজীবন থাকতে ইচ্ছে হচ্ছে। তাই আমি তোর আর আমার ছবি গুলো তোর বয়ফ্রেন্ডকে পাঠিয়েছি। যাতে করে সে তোকে ছেড়ে দেয়। আর আমি তোকে নিজের করে নিতে পারি।’
প্রভা ফারহানের কথা শুনে রেগেমেগে আগুন হয়ে যায়। নিজের রাগকে কন্ট্রোল করতে করতে না পেরে পায়ের থেকে জু/তা খুলে ফারহানের গায়ে ধ্রাম…ধ্রাম করে কয়েকটা বাড়ি মারে। এরপর ফারহানকে ছেড়ে দিয়ে দৌড়ে এসে আকাশের পা ঝাপটে জড়িয়ে ধরে। এমন সময় দিশাও সাজগোজ করে শাড়ী পড়ে ঘটনাস্থলে আসে। দিশা আকাশের অপেক্ষায় রেডি হয়ে বেশ কিছুক্ষণ ধরে নিজের রুমে বসে ছিল, কিন্তু আকাশের কোনো খোঁজ খবর না পেয়ে আকাশের খোঁজে সে বেরিয়ে পড়ে। রুম থেকে বেরিয়ে কিছুটা পথ আসতেই দিশা দেখে একটা মেয়ে আকাশের পায়ে ধরে ক্ষমা চাচ্ছে। “অপরদিকে আকাশ দিশাকে দেখতে পেয়ে ঝাটকা দিয়ে প্রভা থেকে নিজের পা ছাড়িয়ে নেয়। যার ফলে প্রভা উল্টে পড়ে যেতে নিয়েও পড়ে না। আর আকাশ প্রভা থেকে নিজের পা ছাড়িয়ে নিয়ে দৌড়ে গিয়ে দিশার হাত ধরে টেনে এনে দিশাকে প্রভার সামনে দাঁড় করায়। প্রভা মাটিতে হাত-পা ছিটিয়ে বসে আছে। আকাশ দিশাকে প্রভার সামনে এনে দাঁড় করানো মাত্রই তাকে নিজের বাহুতে আলতো পিঠে জড়িয়ে ধরে। এরপর প্রভাকে রাগান্বিত কন্ঠে বলে,
–‘এই যে দ্যাখ আমার বউ। এই মেয়ের জন্যই আমি এখানে এসেছি। এখন তোর সামনে আমি ওকে নিজের কাছে টেনে নিব। আমি এখন তোর সামনেই ওর শরীরের হাজারটা অঙ্গে করবো। তুই খালি চোখ পাকিয়ে দেখে থাক। তুই যদি পারিস পরপুরুষ নিয়ে বিছানায় যেতে, তাহলে আমিও পারবো তোর সামনে এই মেয়ের শরীরে স্পর্শ করতে।’
আকাশ প্রভার সামনে দিশাকে স্পর্শ করবে এই কথাটা বলে শেষ করতে না করতেই আকাশ দিশাকে নিজের শরীরের সাথে লেপ্টে নিয়ে প্রভার সামনেই দিশার ঠোঁট জোড়ায় পাগলের মতন চুমু খেতে আরম্ভ করে….
চলবে….