একজোড়া চড়ুই পর্ব- ১৬

0
1485

একজোড়া চড়ুই?️?️
#পর্ব_১৬
#Writer_Afnan_Lara
?
এসব বাদ দিয়ে ভাবুন কি করে রক্ষা পাবেন
.
ভেবে নিলাম
.
কি?
.
ইতিকে বিয়ে করে নিব,এত ঝামেলার আর দরকার নাই
.
মজা করবেন না একদম
.
আমি সিরিয়াসলি বললাম,মজা করতে যাবো কেন?
.
ছোঁয়া মুখটা ফ্যাকাসে করে টিচার্স রুমের দিকে চলে গেলো
শ্রাবণ ফোন হাতে নিয়ে ছোঁয়ার সামনে মায়ের সাথে কথা বলার এক্টিং করতেছে
.
হ্যালো মা,,মা শুনো আমি একটু কাজে আছি তুমি ইতির সাথে আমার বিয়েটা পাকা করে ফেলো,ইতিও নাকি বিয়েতে রাজি,আমার তো ইতিকে অনেক ভাল্লাগে
.
ছোঁয়া মুখটা ছোট করে তাকিয়ে আছে শ্রাবণের দিকে
শ্রাবণ ফোন পকেটে ঢুকাতেই ছোঁয়া ছোট সুরে বললো”আপনার মা কি বললো?”
.
কি আর বলবে তুমি তো জানো মা ইতি বলতে অজ্ঞান,মা রাজি হয়ে গেছে,আমাকে বলেছে ১০দিনের ছুটি নিয়ে আসতে
.
১০দিন কেন?
.
আরে ১০দিনে একদিন গায়ে হলুদ,একদিন বিয়ে,আর একদিন বৌভাত
.
বাকি ৭দিন?
.
হানিমুন,বুঝো না তুমি,জানো না নাকি?
.
ছোঁয়া একটা ইলিশ মাছ আঁকতে আঁকতে বললো ওহ আচ্ছা!
.
শ্রাবণ মিটমিট করে হাসতেছে,ছোঁয়া গাল ফুলিয়ে ক্লাস করতে চলে গেছে ততক্ষনে
শ্রাবণ এবার মাকে সত্যি সত্যি ফোন করলো,মা বললো ইতির মা নাকি ফোন করেছে ইতি বিয়েতে রাজি
শ্রাবণ কিছু বলতে যাবে তার আগেই মা বললেন”মেয়ের শখ দেখেছিস?মেয়ে আমার ছেলেকে বাদ দিয়ে এখন আবার বিয়ে করতে চায়,এমন বেয়াদব মেয়ে আমি আর দেখিনি,ভাবছে আমাদের বললে আমরাও ডেং ডেং করে বিয়ে পড়াতে চলে আসবো,হুহ,এরকম মেয়েকে আমি আমার ঘরের বউ বানাবো না”
শ্রাবণ তো মায়ের কথা শুনে অবাক,মা এরকম রিয়েকশান করবে তা একদমই ভাবতে পারেনি সে
খুশি হয়ে ফোনটা রেখে সে গেলো ছোঁয়ার ক্লাসরুমের দিকে
ছোঁয়া মন লাগিয়ে বাচ্চাদের আঁকা শেখাচ্ছে
তাই শ্রাবণ আবার টিচার্স রুমে চলে আসলো,পরে নাহয় সুখবরটা দিবে
এর চাইতে খুশির খবর আর কি হতে পারে! এক কাজ করবো আরেকটু জ্বালাবো,দেখি কি করে
ছোঁয়া ক্লাস শেষ করে বাইরে এসে ফুচকা খাচ্ছে
শ্রাবণ ও আজ ফুচকা খেতে আসলো,ছোঁয়া মুখ বাঁকিয়ে আরেকদিকে ফিরে বসে পড়েছে
.
কি ব্যাপার?তোমার বোনের বিয়ে তোমার তো খুশিতে নাচা উচিত,সেটা না করে এমন মুখ করে আছো কেন?
.
আপনার কি?
.
জ্বলতেছে মনে হয় কেউ
.
ছোঁয়া ফুচকার টাকা ফুচকাআলাকে দিয়ে হাঁটা ধরলো
.
আরে আরে রাগ করো কেন??কি এমন বললাম যে রাগ করতে হবে
.
ছোঁয়া থেমে গিয়ে হালকা হেসে বললো”একটা ছেলেকে আমার খুব পছন্দ হয়েছে,আপনার আর ইতি আপুর বিয়ের পর তার আর আমার বিয়ের কথাটা বাবাকে বলবো
.
শ্রাবণ চোখ কপালে তুলে ছোঁয়ার সামনে এসে দাঁড়ালো তারপর বললো “কে সে?”
.
আছে একজন,আপনি বরং ইতি আপুর সাথে কথা বলে সময় কাটান আর আমি আমার স্বপ্নের রাজকুমারকে নিয়ে ভাবি?
.
এই এই শুনো,কার কথা বলতেসো?নাম কি?কি জব করে?
.
সে আমার মনে বাস করে,আমার ড্রিম বয়
.
ও আচ্ছা,আমি তো ভাবলাম কি না কি
.
ছোঁয়া হাঁটা থামিয়ে শ্রাবণের দিকে তাকিয়ে তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে বললো”সে কিন্তু বাস্তবেও আছে”
.
শ্রাবণ দাঁতে দাঁত চেপে ছোঁয়ার হাত ধরে ওকে আটকালো
.
শুনো ছোঁয়া আমি এতক্ষণ এক্টিং করছিলাম,মা ইতিকে আবার বউ করতে রাজি নয়,আমি জাস্ট এমনিতেই একটু মজা করলাম বেশি কিছু না
.
ছোঁয়া কিছুক্ষন ব্রু কুঁচকে চেয়ে থেকে ফিক করে হেসে দিয়ে বললো”আমিও মজা করতেছিলাম”হাহাহা”
.
শ্রাবণ রেগে গিয়ে ছোঁয়ার চুল ধরে টেনে দিলো
.
ইতি যখন জানতে পারলো এবার শ্রাবণের মা তাকে রিজেক্ট করেছে সে তো পুরো বাসা উল্টিয়ে ফেলছে
ছোঁয়া চুপ করে থেকে ওকে শান্তনা দিয়েছে শুধু
রিয়ানের বিয়েটাও হয়ত হয়ে গেছে কদিনের মধ্যে,ইতি আর খোঁজ নেয়নি তার
ইতি তো পাগল প্রায়ই
আসলেই এত দিন ধরে সে বড়াই করতো তার পারফেক্টনেস নিয়ে আর এখন কিনা তার নিজের কাছেই নিজেকে মনে হচ্ছে অতি সাধারন একটি মেয়ে,এমনকি ছোঁয়ার চেয়েও
কারণ ছোঁয়া তো তাও আঁকা আঁকি ভালো জানে বলে একটা ভালো পদে আছে কিন্তু সে?সে তো এসব কিছুই পারে না
এখন তার মনে হচ্ছে রুপই পৃথিবীতে সব কিছু হয় না,গুনটাও ফ্যাক্ট
সে পাগল হয়ে গেছে মনে হয়,কিছুক্ষন বাদেই হো হো করে হেসে উঠে
মা তো খুব চিন্তায় আছে,সব কথা ছোঁয়াকে বলতে গিয়ে কেঁদে দিচ্ছেন উনি
ছোঁয়া আজ বাসায় ফিরেছে খাগড়াছড়ি থেকে,শীতকালীন ছুটি
ইতি আপু কেমন যেন হয়ে গেছে! কারোর সাথে এখন আর তেমন কথা বলে না
চোখের নিচে কালো দাগ,এত সুন্দর চেহারাটায় মনে হয় ঝংয়ে ধরেছে
ইতি এখন ছোঁয়াকে খোঁচায় না,মাঝে মাঝে ছোঁয়াকে পা থেকে মাথা পর্যন্ত দেখে নেয়
তারপর আবার অন্যমনস্ক হয়ে যায়
মা বাবা আর আবিদ ভাইয়া অনেক চিন্তায় আছেন ইদানিং
ইতি হঠাৎ করে এমন কেন হয়ে গেলো বুঝতেছে না কেউ
ছোঁয়া ছাদে এসে শ্রাবণের সাথে দিনে ২বার কথা বলে
সকালে আর রাতে
সকালে ৬টায় আর রাত ১১টার পর থেকে
শ্রাবণ কুমিল্লায় আপাতত,ট্রেনিংয়ে গেছে বলে এই ২টা সময়েই সে কথা বলার সময় পায়,ইতির খবর শুনে আফসোস করে সে
তারপর ভাবে ইতির এমন অবস্থার জন্য ইতি নিজেই দায়ী,ছোট থেকে আরেকজনকে সম্মান করতে শিখলে এখন আর তার এ দিন দেখতে হতো না
.
এমনি একদিন ইতি লাল শাড়ী পরে বসে আছে জানালার ধারে
ছোঁয়া ঘুম থেকে সবে উঠলো,চোখটা ডলে ইতিকে দেখে মুচকি হাসলো সে কারণ ইতির মুখেও একরাশ হাসি
ছোঁয়া উঠে এসে ইতিকে জড়িয়ে ধরলো
.
তা আপু এত খুশির মানেটা কি জানতে পারি?
.
ইতি ছলছল চেখে ছোঁয়ার দিকে চেয়ে বললো আজ তাকে ছেলে পক্ষ দেখতে আসবে
ছোঁয়া তো মহাখুশি,জলদি করে ফ্রেশ হয়ে মায়ের সাথে কাজে হাত লাগালো,কাজে হাত লাগাতেই কলিংবেল বেজে উঠলো
পিউ ভাবী দৌড়ে গিয়ে দরজা খুললেন,ছোঁয়া উঁকি দিয়ে দেখতে এসে থমকে গেলো,শ্রাবণের মা বাবা,অপু আর সবার পিছনে শ্রাবণ দাঁড়িয়ে আছে
পরনে কালো পাঞ্জাবি,চোখে মুখে অপরাধবোধ তার
ছোঁয়ার হাত থেকে পিঠা ভাজার চামচটা পড়ে গেলো নিচে তারপর নিজেকে সামলিয়ে নিচ থেকে চামচটা নিয়ে মাকে জিজ্ঞেস করতেই মা বললো শ্রাবণের মায়ের নাকি ইতির জন্য খুব খারাপ লাগলো,আর উনি নিজেকে ইতির এমন অবস্থার জন্য দায়ী করেছেন আর তাই শ্রাবণের সাথেই ইতিকে বিয়ে দিবেন বলে ঠিক করেছেন
ছোঁয়ার মনে হচ্ছে গলায় কাঁটা আটকেছে,খুব কষ্ট হচ্ছে তার
শ্রাবণ ওকে জানালো না কেন!!কাল সকাল থেকে শ্রাবণকে কল করে পাচ্ছিলো না সে,শ্রাবণ বলেছে সে নাকি হুট করে এসে সারপ্রাইজ দিবে,তাহলে এটাই কি সারপ্রাইজ ছিল?
ছোঁয়া পিঠা বাটিতে নিয়ে ট্রের উপরে রেখে ট্রে নিয়ে সবার সামনে গেলো,মুখ ফুটে সালাম দিয়ে ট্রেটা টেবিলের উপর রাখলো সে,ইতি আপু শ্রাবণের পাশে বসে আছে
.
ছোঁয়া না চাইতেও অনেক হাসলো,চোখে মুখে হাসলো
ইতি খুশি হলো ছোঁয়ার মুখে এত হাসি দেখে
ছোঁয়া আর দাঁড়ালো না সেখানে
চলে আসলো নিজের রুমে
শ্রাবণ ওর দিকে তাকাচ্ছে না,তার চোখ ছিল ফ্লোরের দিকে
ছোঁয়া রুমের এক কোণায় ফ্লোরে বসে আছে, হাতে নতুন কেনা ব্লেড
তার এ জীবন রাখতে মন চাচ্ছে না,যাকেই ভালোবাসে সেই তাকে ধোকা দেয়
অন্তত শ্রাবণকে অভ্রর চেয়েও দায়িত্ববান মনে করেছিল সে
আর শেষমেষ শ্রাবণ ও তাকে ধোকা দিয়ে দিলো
কালোদের কি কোনো জীবন নেই?তাদের কি ভালোবাসা নেই?তাদের কি অনূভুতি নেই,কেন সবসময় আমাদের কেই কাঁদতে হয়,কেন?
.
সবাই হাসাহাসি করতেছে,শ্রাবণ ফোনে কথা বলার কথা বলে ইতি আর ছোঁয়ার রুমের দিকে আসলো
সবাই কথা বলায় ব্যস্ত বলে ছোঁয়ার খবর নিলো না কেউ
শ্রাবণ রুমে ঢুকতেই দেখলো ছোঁয়া কোণায় বসে হাত দিয়ে চোখ মুছতেছে
শ্রাবণ এগিয়ে এসে নিচু হয়ে বসলো,তারপর ওর চোখ গেলো ছোঁয়ার হাতের দিকে,কেটে পুরো হাত লাল করে ফেলেছে
পা থেকে প্লাজো হালকা উঠিয়ে এবার পা কাটতে যাচ্ছে সে
শ্রাবণ চোখ বড় করে ওর হাত থেকে ব্লেডটা নিয়ে নিলো
ছোঁয়া চমকে পাশে তাকিয়ে দেখলো শ্রাবণ রাগী চোখে ওর দিকে চেয়ে আছে
ছোঁয়া কিছু বললো না আর,ওড়না দিয়ে হাত মুছে উঠে দাঁড়ালো সে,তারপর হাসলো জোর করে,,
“দুলাভাই আপনি এখানে!!ইতি আপু কোথায়?”
.
শ্রাবণ ব্লেডটা জানালা দিয়ে ফেলে রুম থেকে বেরিয়ে চলে গেলো
.
কিরে শ্রাবণ কই যাচ্ছিস?

মায়ের কথার উত্তর না দিয়েই শ্রাবণ চলে গেলো
ছোঁয়া বাথরুমে এসে চোখ মুখ ধুয়ে হাতে ভেসলিন লাগালো তারপর বিছানায় এসে বসে থাকলো
ইতি দৌড়ে এসে ছোঁয়াকে নিজের গলা দেখালো
শ্রাবণের মা ওকে সোনার হার পরিয়ে দিয়েছেন
.
ছোঁয়া শুধু একটা শব্দই বললো,আর সেটা হলো”সুন্দর”

কি হইছে শ্রাবণ? না বলে এভাবে সবার সামনে দিয়ে চলে এসেছিলি কেন?
.
মা তুমি আমাকে বিয়ে করতে বাধ্য করতে পারো না,আমি ইতিকে পছন্দ করি না
.
ইতি মেয়েটার অবস্থা দেখেছিস??মেয়েটার এমন হাল হয়েছে শুধু আমাদের কারণে
.
না,যা হয়েছে তার স্বভাবের দোষের কারণে হয়েছে,আর কিছু না
.
আমি কিছু জানি না,আমি আজকে ইতিকে সোনার হার ও পরিয়ে দিয়ে এসেছি,বিয়ে পাক্কা
.
মা আমি এই বিয়ে করবো না,তুমি আজ আমাকে জোর করে নেওয়াইছো,আমি কুমিল্লা থেকে আসতে আসতে রাত হয়ে গিয়েছিল আর তুমি ঠিক তখনই এসব বলে ফেলছো এমনকি কান্নাকাটি ও শুরু করে দিয়েছিলা
তুমি আমার দূর্বলতা বলে তুমি এমন করবে?
.
তোর কি তাহলে অন্য কাউকে পছন্দ?
.
হ্যাঁ
.
কাকে?কিরকম দেখতে
.
আর যাই হোক ইতির মতন না,সে আমার পছন্দের
.
কে?
.
ছোঁয়া
.
কিহহহ!তোর মাথা ঠিক আছে?অন্য কোনো মেয়ে হলেও এক কথা ছিল
একে বারে সেই ঘরের মেয়েকেই পছন্দ করতে গেলি যার বড় বোনের সাথে তোর বিয়ের কথা হচ্ছে
এখন আমরা ইতিকে মানা করে ছোঁয়ার সাথে বিয়ে ঠিক করলে এই মেয়ে তো নির্ঘাত সুইসাইড করবে
.
ওসব তুমি আমার উপর ছেড়ে দাও,আপাতত তুমি চুপ থাকো,আমি দেখি কি করতে পারি

রাত ৮টা বাজে!!
ছোঁয়া ছাদে এসে বসে কেঁদে যাচ্ছে,এই সত্যিটা সে কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না,অভ্রর বেলায় ও এত কষ্ট হয়নি যতটা এখন হচ্ছে,শ্রাবণ ওকে চিট করলো কেন,কি এমন দোষ করেছিল সে
ও হ্যাঁ আমি তো ভুলেই গেসিলাম আমি ইতি আপুর মতো সুন্দর না,তাই হয়ত এমনটা হয় আমার সাথে,এতদিন হয়ে এসেছে,আগেও এমন হবে
ছোঁয়া ছাদে বসে কাঁদতে কাঁদতে হঠাৎ খেয়াল করলো ছাদের পাশের সুপারি গাছটার নিচ থেকে লাল রঙের লাভ শেফ বেলুন একটা একটা করে উপরের দিকে চলে যাচ্ছে,আশেপাশের বাসার আলোতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে বেলুন গুলো
ছোঁয়া চোখ মুছতে মুছতে ছাদের কিনারায় এসে নিচে তাকালো,কিছু দেখলো না,ফাঁকা উঠান
অথচ বেলুনগুলো তো এতক্ষণ এখান থেকেই আসতেছিলে
ছোঁয়া চলে যেতে নিতেই আরেকটা বেলুন উড়ে গেলো,সে এবার রহস্যের গন্ধ পেলো
কান্না থামিয়ে সে সুপারি গাছটার নিচে আসলো,এদিক ওদিক তাকিয়ে সব দেখে চলে আসতে নিতেই বাসার অন্ধকার কোণা থেকে একটা হাত এসে ওর হাত ধরে টেনে ওকে অন্ধকারে নিয়ে গেলো
ছোঁয়া এক চিৎকার দিতে যাওয়ার আগেই শ্রাবণ তার মুখ চেপে ধরে ফেললো
.
চুপ!আমি আমি
.
ছোঁয়া মুখ থেকে শ্রাবণের হাত সরিয়ে দূরে চলে গেলো খানিকটা
তারপর মুখটা ফুলিয়ে বললো”আপনি এখন এ সময়ে কেন?”
.
আমি তোমাকে পুরোটা বুঝিয়ে বলতেছি শুনো
.
কি বুঝবো?এই যে আপনার মা আপনাকে জোর করেছে আর তাই আপনি এখন ইতি আপুকে বিয়ে করতে রাজি হয়ে গেছেন এই তো?নাকি আপনার ও মনে হয় ইতি আপুকেই বিয়ে করা উচিত
.
ঠিক তবে সংশোধন আছে কিছুটা
.
কি?
.
বিয়েটা হচ্ছে তবে আমার আর ইতির না
.
তাহলে?
.
ছোঁয়ার আর শ্রাবণের
চলবে♥

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে