একজোড়া চড়ুই পর্ব- ১৫

0
1369

একজোড়া চড়ুই?️?️
#পর্ব_১৫
#Writer_Afnan_Lara
?
আমার কথা বাদ দাও আগে বলো তুমি বিয়ে করবা কবে??ইতির কতদিন পরে?
.
হুম ভাবতে হবে!আমার না মন চায় পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করি,খুব ইচ্ছে
.
বাহ,তাহলে পালিয়ে বিয়ে করে ফেলো
.
ধুর!আমাকে নিয়ে কে পালাবে?
.
আরে একটা ছেলের হাত ধরে দৌড় মারো
.
বললেই হলো নাকি??আমি তো একদম কিউট!ভদ্র দেখে একটা ছেলেকে নিয়ে পালাবো
.
মানে সিরিয়াসলি তুমি পালাবা?
.
আরে আব্বু আম্মু যার সাথে বিয়ে ঠিক করবে তাকে নিয়ে বিয়ের আগে পালাবো,জোস হবে
.
হাহা,পালাইও
.
আর আপনার প্ল্যান কি?
.
আমার প্ল্যান হলো একটা ভালো মনের মেয়েকে বিয়ে করবো যে প্রতিদিন আমার মন ভালো হওয়ার কারণ হবে
.
বাহ ভালোই চাহিদা তো আপনার!
.
অন্তত তোমার মতো আজগুবি চাহিদা না আমার,পালালে আরেক ঝামেলা এমন ও হতে পারে বিয়ের দিনই আসার সময় পেলাম না এমন জায়গায় পালালাম,তোমার মাথায় এসব আসে কই থেকে কে জানে
.
হুহ!আপনার চরকায় তেল দেন,আমাকে নিয়ে ভাবতে হবে না,আমারটা আমার বর ভাববে
.
হুম,ভাবুক সে,যখন শুনবে এসব কথা তখন নির্ঘাত জ্ঞান হারিয়ে পড়ে থাকবে
.
আপনার হিংসা হয়?
.
নাহ তো,কেন হিংসা হবে?তোমার যা খুশি করিও আমি শুধু ফোন করে মাঝে মাঝে খবর নিব তোমার বরের কয়টা হাড্ডি আস্ত আছে সেই খবর
.
আপনি!!
.
ছোঁয়া রেগে এক বাড়ি দিলো শ্রাবণের মাথায়,শ্রাবণ খিলখিল করে হাসতেছে
শেষে ছোঁয়াও হেসে দিলো
.
শ্রাবণ হাসি থামিয়েছে কিন্তু ছোঁয়া এখনও হেসে যাচ্ছে
শ্রাবণ মুগ্ধ হয়ে ছোঁয়ার হাসি দেখছে,এই মেয়েটার হাসিতে একটা জাদু আছে,কি সুন্দর করে হাসে অথচ আমি মিতুলের হাসিতে এমন জাদু দেখিনি কখনও
শ্রাবণ ছোঁয়ার হাসি দেখতে দেখতে ওর ঠোঁট জোড়ার দিকে তাকিয়ে রইলো কিছুক্ষণ তারপর ব্রুটা কুঁচকে চলে গেলো নিজের রুমের দিকে
ছোঁয়া হাসি থামিয়ে ভাবতে লাগলো শ্রাবণ হঠাৎ চলে গেলো কেন
কিছু বুঝে উঠতে না পেরে পরে নিজের ফোন নিয়ে টিপতে লাগলো
শ্রাবণ বারান্দায় দাঁড়িয়ে ভাবতেসে”ছোঁয়া হয়ত ঠিকই বলেছে,এভাবে দেখা করাটায় একটা এট্রাকশান কাজ করে,যেমন আজ আমি কেন ওর ঠোঁটের দিকে এতক্ষণ তাকিয়ে রইলাম,এটা একদমই ভালো ব্যাপার না
আমার মনে হচ্ছে আমি ছোঁয়ার জন্য কিছু ফিল করতেছি আসলেই এটা ফিলিংস নাকি আবেগ,কোনটা!
.
ছোঁয়ার আওয়াজ পেয়ে শ্রাবণ ভাবনার জগৎ থেকে বের হয়ে আসলো,পাশে তাকাতেই দেখতে পেলো ছোঁয়াকে,ছোঁয়া বাইরের ব্যস্ত রোডটা দেখতে দেখতে বললো”হঠাৎ চলে এলেন কেন”?
.
কিছু না,আচ্ছা একটা কথা বলবা?
.
কি?
.
আমি তোমার কি লাগি?
.
ওমা এটা আবার জিগানোর কি আছে আপনি আমার ভাবীর বড় ভাই,আমার শ্রাবণ ভাইয়া?
.
নাহ সেটা না,এমনিতে আমরা কি সেটা বলো
.
আমরা ভালো বন্ধু আর কি?
.
শ্রাবণ তার কথাটা বলে ছোঁয়ার হাত ধরলো
ছোঁয়া চমকে রোড থেকে চোখ উঠিয়ে শ্রাবণের দিকে তাকালো,গায়ের শিরায় শিরায় কাঁপা কাঁপি শুরু হয়ে গেছে,গায়ে মনে হয় কেউ কাঁটা দিয়ে বারবার টোকা দিচ্ছে
এ কেমন ফিলিং!
ছোঁয়া হাতটা যে সরিয়ে নিবে সেটাও পারছে না,রোবট হয়ে সে শ্রাবণের মুখের দিকে তাকিয়ে আছে
.
কি হলো?বললা না?ভালো বন্ধুর পরে আর কি আমরা?
.
ছোঁয়া কাঁপা কাঁপা গলায় শুধু বললো”হাতটা ছাড়ুন”
.
না,আগে বলো,হাত ধরলে আসলেই আমরা কি সেটার সঠিক উত্তর তুমি দিতে পারবে
.
ছোঁয়া ঢোক গিলে আবারও চুপ করে থাকলো
অন্ধকারাচ্ছন্ন বারান্দা,শুধু নিচের রোডটার যানবাহনের আলো আসতেসে,একটু একটু
পায়ের তলায় ঠাণ্ডা টাইলস,এক হাতে ব্যান্ডেজ আর আরেক হাত শ্রাবণের আওতায়,ছোঁয়ার এই মূহুর্তে ঠিক কেমন লাগছে সে নিজেই জানে আর কেউ জানে না,কি বলা উচিত তার?
নেগেটিভলি নাকি পজিটিভলি বলবে নাকি ফান করে উড়ায় দিবে,আসলেই কি ফান করা যাবে?শ্রাবণ তো মনে হয় সুপার সিরিয়াস
.
ছোঁয়া অনেক সাত পাঁচ ভেবে শেষে কোনো উত্তরই পেলো না
পেয়েছে,একটাই আর সেটা হলো “ভালোবাসা”
এরপরই তার মাথায় এসেছে ভালোবাসা কেন হতে যাবে,কয়েক মাস হলো পরিচয়,আর সব চাইতে বড় কথা হলো কোথায় আমি আর কোথায় সে?
আমার তাকে পছন্দ হলেও সে তো আর আমাকে পছন্দ করবে না,আজ পর্যন্ত কেউ হাত ধরে বলেনি ছোঁয়া আমি তোমাকে ভালোবাসি,শ্যাম বর্নের মেয়েদের জন্য এসব তৈরি হয়নি তাই আমার ও অভ্যাস হয়ে গেছে,ফিল্মে দেখেই মজা নিয়েছি আমি
বাস্তবে ঘটবে না সেটা,তাহলে শ্রাবণ কি বুঝাতে চাচ্ছে?
অঅভ্রকে ভালোবেসে ভেবেছিলাম সেও আমাকে ভালোবাসে তবে আমি ভুল ছিলাম
আসলে সে আমাকে কেন ভালোবাসতে যাবে আমি যে ফর্সা নই!
.
তোমাকে বলতে হবে না ছোঁয়া,আমি উত্তর পেয়ে গেছি
শ্রাবণ কথাটা বলে ছোঁয়ার হাত আরও শক্ত করে ধরে বাইরের দিকে মন দিলো
ছোঁয়া মূর্তির মত দাঁড়িয়ে আছে
হাত ছাড়লো না কেন এই ভেবে সে তার মগজকে আরও খাটাচ্ছে
কি থেকে কি হয়ে গেলো!
ছোঁয়া ভাবনার জগৎ পেরিয়ে গলার স্বরটা একটু মোটা করে বললো”এটা কিন্তু ভালোবাসা হতে পারে না,ভালোলাগা তো একদমই না,তাহলে কি?”
.
তুমি বুঝবে না,সবসময় ফিলিংসের উত্তর ভালোবাসা/ভালোলাগা হয় না,এর বাইরেও অনেক শব্দ থাকে
.
ছোঁয়া এবার আরও ভাবতে লাগলো,ফিল্মে তো সবাই ভালোবাসি বলেই প্রোপোজ করে তাহলে আর কি শব্দ আছে যেটা ভালোবাসা নয় তবে ফিলিংসকে এক্সপ্রেস করে,ভাবতে হবে আরও
.
শ্রাবণ ছোঁয়ার হাতটা ধরে নড়াচড়া করতেসে
ছোঁয়ার কলিজা বের হওয়ার উপক্রম,জীবনে একবার অভ্রর হাত ধরেছিল,তাও সে ধরেছিল,অভ্র নিজ থেকে ধরেনি,তখন এমন লাগেনি,হয়ত অন্য কেউ ধরলে বুঝা যায় হাত ধরাতে কেমন লাগে
ছোঁয়া কাঁচুমাচু করতেসে,কি বলবে সে এখন,বলবে যে হাত ছাড়ুন?
তাহলে শ্রাবণ কি করবে?হাত ছেড়ে দিবে?নাকি?
আচ্ছা বলেই ফেলি
আমার হাত ছাড়ুন!
.
কেন?
.
কেন ধরেছেন?
.
মন চাইলো তাই
.
এখন ছাড়ুন,আমার অস্বস্তি লাগতেছে
.
নাহ,আমার তো লাগতেছে না তাহলে তোমার অস্বস্তি লাগে কেন?
.
আপনি এত সহজে মিতুলকে ভুলে গেলেন?
.
শ্রাবণ কথাটা শুনে ছোঁয়ার হাত ছেড়ে দিলো তারপর শক্ত গলায় বললো “গেট আউট”
.
ছোঁয়া চুপ করে তাকিয়ে আছে,কি বলে ফেললো সে!
শ্রাবণ এবার চিৎকার করে বললো”জাস্ট গেট আউট”
ছোঁয়া মাথা নিচু করে চলে গেলো,যাওয়ার সময় সোফার উপর থেকে তার ব্যাগটা নিয়ে বেরিয়ে পড়েছে সে
রাত ১০টা বাজে ১২মিনিট
শ্রাবণ এখনও বারান্দায়,খাওয়া দাওয়া কিছুই হয়নি
খিধা আছে কিন্তু মন নেই
মিনিট দশেক বাদে শ্রাবণের ফোন বেজে উঠলো,আবিদের ফোন,হঠাৎ এ সময়ে আবিদ ফোন কেন করলো তা বুঝলো না শ্রাবণ,ফোনটা নিয়ে হ্যালো বলতেই আবিদ বলে উঠলো”ছোঁয়া কি তোমার কাছে আছে?”
.
শ্রাবণ শান্ত গলায় বললো”না তো,কেন?”
.
আসলে ও নাকি আজ খালার বাসা থেকে সন্ধাই বের হয়েছিল,এখনও ফেরেনি,ফোন ও রিসিভ করতেছে না
.
শ্রাবণ আবিদের সাথে আর কোনো কথা না বলেই বাসা থেকে বেরিয়ে পড়লো ছোঁয়াকে খুঁজতে,দরজায় লক করতে যেতেই কারোর হাসির আওয়াজে পিছন ফিরে তাকালো সে
ছোঁয়া দেয়ালে হেলান দিয়ে হাসতেসে
.
শ্রাবণ ব্রু কুঁচকে এগিয়ে এসে বললো”কই ছিলে তুমি??তোমার ফোন অফ কেন?”
.
ছোঁয়া হাসি থামিয়ে বললো”কেমন লাগলো?ভয় দেখালাম আপনাকে,হিহি,দেখতে চাইলাম আপনার কেমন ভয় হয় আমার কিছু হলে”
.
শ্রাবণের তো খুব রাগ উঠলো,এত রাগ যে চড়ই মেরে দিয়েছে ছোঁয়ার গালে,তাও একটা না গুনে গুনে ২টা
তারপর ওর কাঁধ ঝাঁকিয়ে বললো”তোমার সাহস হয় কি করে এরকম কিছু নিয়ে ফান করার,সব কিছু ফান দিয়ে চলে না ছোঁয়া,লাইফটা অন্তত ফান না,এটা সিরিয়াস,
তোমার ভাষায় সুপার সিরিয়াস!
.
ছোঁয়া কাঁদো কাঁদো চোখ তাকিয়ে থেকে অবশেষে কেঁদেই দিলো
ছোঁয়ার কান্না দেখে শ্রাবণ নিজের রাগটা কন্ট্রোল করে ছোঁয়াকে জড়িয়ে ধরলো
ওর মাথায় হাত বুলিয়ে আস্তে করে বললো”সরি”
.
ছোঁয়া তার বাম হাত দিয়ে শ্রাবণকে কিল ঘুষি দিয়েই যাচ্ছে,শ্রাবণ আরও শক্ত করে ধরছে ওকে ততবার
কিছুক্ষন বাদে ছাড়লো ওকে তারপর আবিদকে ফোন করে জানালো ছোঁয়াকে পেয়েছে সে,বাসায় পৌঁছে দিবে এখন
আবিদ নিশ্চিত হয়ে মা বাবাকে জানালো ছোঁয়ার খবর!
ছোঁয়া শ্রাবণের বাসায় সোফায় বসে পানি খাচ্ছে আর গাল ঘষতেছে বারবার
.
বেশি জোরে মারি নাই,এত ঘষতে হবে না
.
আপনি আমাকে মারলেন?
.
তোমাকে তো আরও মারা উচিত,এমন ফালতু মজা করার দায়ে,বেয়াদব মেয়ে একটা
.
আমি বাসায় যাবো
.
হুম,চলুন,দিয়ে আসি আপনাকে
.
শ্রাবণ ছোঁয়াকে ওর খালামণির বাসায় পৌঁছে দিয়ে চলে আসলো আবার
ছোঁয়া খালামণি থেকে একটু বকা খেয়ে ঘুমাতে আসলো
চোখটা বন্ধ করতেই ইতি আপুর ফোন এসে পড়লো সাথে সাথে,ছোঁয়া উঠে বসে হ্যালো বলতেই ওপাশ থেকে কান্নার আওয়াজ শুনা গেলো
ইতি কেঁদে যাচ্ছে তো যাচ্ছেই,কারণ হলো কাল রিয়ানের এঙ্গেজমেন্ট সেই কানাডিয়ান মেয়েটার সাথে
ছোঁয়া তো আকাশ থেকে পড়লো তারপর শক থেকে বেরিয়ে বললো জলদি করে রিয়ানকে মানাতে
ইতি বললো রিয়ান নাকি শুনবেই না,ইতির উপর থেকে নাকি তার মন মানসিকতা সব উঠে গেছে
এখন ইতি কি করবে তাই জিজ্ঞেস করতেছে ছোঁয়াকে
ছোঁয়া ভেবে পাচ্ছে না সে কি বলবে
আজ তার কি হলো কে জানে,শ্রাবণ ও জিজ্ঞেস করেছিল তার ও কথার উত্তর ভেবে পেলো না এখন আবার ইতি আপুর প্রশ্নের উত্তর ভেবে পাচ্ছে না
.
কিরে কিছু বলস না ক্যান,কি করবো আমি?
.
আপু বাদ দাও,তোমার জন্য আরও ভালো কিছু অপেক্ষা করছে
.
ঠিক বলেছিস,আমি ঐ শ্রাবণকে বিয়ে করবোই করবো দেখিস!তারপর দেখিয়ে দিব রিয়ানকে
.
ছোঁয়ার মনে হলো ওর বুকে কেউ আঘাত করেছ,থ হয়ে বসে আছে সে,তারপর নিজেকে ঠিক করে বললো”কিন্তু আপু তুমি তো বিয়েটা ক্যানচেল করে দিয়েছো”
.
তো??ওরা তো আমাকে পছন্দ করেই এসেছিল তাই না?এখন যদি আবার বলি আমি বিয়েতে রাজি তাহলে আবার মৌমাছির মত ভনভন করতে করতে চলে আসবে দেখিস
.
ছোঁয়া আর কিছু বললো না,ফোনটা রেখে দিলো
পরেরদিন স্কুলে এসে শ্রাবণকে খুঁজে বের করে টেনে দূরে নিয়ে আসলো সে
.
কি হলো ছোঁয়া?এরকম মুখের অবস্থা করেছো কেন?আর আমাকে এখানে টেনে আনলা কেন?
.
শুনুন! ইতি আপু আপনাকেই বিয়ে করতে চায়
.
কিহ!আবার?
.
হ্যাঁ,বললো আপনার ফ্যামিলিকে আবার রাজি করাবে
.
তাহলেই গেছে! মা তো ইতি বলতে অজ্ঞান,এখন কি হবে?
.
আমি জানি না?এক কাজ করুন বিয়ে করে নিন
.
তুমি বলার জন্য অপেক্ষা করে আছি আমি তাই না?আমার লাইফ ডিসিশন ও আমারই
.
তো কি করবেন?আপনার আম্মুর সাথে ঝগড়া করবেন?
.
আমি এটা সিউর যে মা ইতির রাজি হওয়ার কথা শুনলে বিয়েটা দিয়েই ছাড়বে
.
তাহলে কি করা যায়?
.
আমি একটা মেয়েকে বিয়ে করে নিয়ে মাকে সারপ্রাইজ দিব
.
হুহ,এটা ফিল্ম?আপনার মা তো বাসায় ঢুকতে দিবে না
.
আরে দিবে দিবে,সুন্দর সুশীল একটা মেয়েকে বিয়ে করবো
.
আছে নাকি কেউ?
.
যেদিন বিয়ে করবো সেদিন দেখে নিও
আপাতত আমাকে ভাবতে দাও আমি কেমনে এই ঝামেলা থেকে রেহায় পাবো
কি করে কি করে!!
.
বিয়েটা সেরে নেন
.
আবার??
আর অন্য কোনো পরামর্শ থাকলে দাও,সারাদিন খালি বিয়া বিয়া বিয়া
বেশি কথা বললে জোর করে তোমারেই বিয়ে করে মায়ের সামনে নিয়ে দাঁড় করিয়ে দিব
.
আপনাকে কে বিয়ে করবে??আপনার বউ যে হবে সে শুধু মাইর খাবে,আপনি একজন দজ্জাল স্বামী হবেন
কাল আমাকে শুরুতেই ২টা চড় মেরে দিলেন??এখনও গাল জ্বলতেছে আমার
.
আর তুমি কি জিনিস জানো?চিকন কাঁচা মরিচ!
চলবে♥

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে