একজোড়া চড়ুই?️?️
#পর্ব_৩
#Writer_Afnan_Lara
?
কে রে?
ছোঁয়া পাশে তাকিয়ে দেখলো শ্রাবণ দাঁত কেলিয়ে সামনের দিকে চলে যাচ্ছে,ইচ্ছে করেই ওকে ধাক্কাটা মারলো মাত্র
.
পিউ বোন আমার! আর কাঁদতে হবে না,ভাইয়া আছি না?ভাইয়া তোকে গিয়ে সময় পেলেই দেখে আসবো
.
আমাদের বাসায় যাবি?তোরে ধাক্কাইতে ধাক্কাইতে ডেইলি ছাদ থেকে ফেলবো আমি!মনে রাখিস,আমাকে ধাক্কা দেওয়ার শোধ তুলবো দেখিস তুই!!
.
শ্রাবণ ব্রু কুঁচকে ছোঁয়ার দিকে তাকিয়ে চোখের পানি মুছলো, তার বোন চলে যাচ্ছে কান্না এমনি এমনি এসে যাচ্ছে,এর ভিতর ছোঁয়ার উপর প্রতিশোধ উঠাতেও মন চাইতেসে
.
একজন সবুজ রঙের সুতির কাপড় পরা মহিলা পিউ ভাবীকে ধরে হাউমাউ করে কাঁদতেসেন,হয়ত উনি মা হোন পিউ ভাবীর
.
ছোঁয়া সেদিকে তাকাতে তাকাতে মাইক্রোর কাছে এসে দেখলো মাইক্রো ফুল,কোলে বসে যাওয়ার মতন ও জায়গা নাই,সবার কোলে দেখি বাচ্চার উপর বাচ্চা
ছোঁয়া বাকি ৩টা মাইক্রো ও চেক করলো,ওমা সবগুলো ফুল
বাধ্য হয়ে বিয়ের গাড়ীর কাছে এসে আবিদের সাথে বসতে গিয়ে দেখলো ইতি আগে ভাগে বসে লিপস্টিক লাগাচ্ছে
.
এই টা কি আপু?আমি বসবো কই?আরেকটু চাপো
.
ছোঁয়া?দেখোস না এটা প্রাইভেট কার,আর ২জনের জায়গা আছে,পিউ আর আবিদ ভাইয়া বসবে,তুই কই বসবি?
.
তোমার কোলে,জায়গা দাও
.
সর এখান থেকে,তোর মত মুটকিরে কোলে নিলে আমার হাড় আস্ত থাকবে না,যা ভাগ!
.
ছোঁয়া মন খারাপ করে চলে আসলো,ড্রাইভারের সাথে বসবে ছোঁয়ার মামা
.
মা দেখো না আমি কোথাও জায়গা পাচ্ছি না,বসবো কোথায়?
.
আমার পাশে একটা সিট খালি ছিল সেটাতে পিউর দাদি বসবেন,আমি কি করবো এখন,এত শর্ট হলো কেন জায়গার সেটাই বুঝতেসি না
.
তো আমি কি করবো তাহলে?
.
দাঁড়া আমি তোর বাবার সাথে কথা বলতেসি
♣
অপু?যাও তোমার দাদির সাথে তোমার আপুর শশুড় বাড়ি যাও,তোমার দাদির খেয়াল রাখবা,জানোই তো উনার অনেক যত্ন নেওয়া লাগে,সেই বাসায় তার যত্ন কে নিবে?
.
আম্মু!দাদির এই বয়সে কষ্ট করে এতদূর যাওয়ার কি দরকার?
.
এটা নিয়ম,বউয়ের সাথে একজনকে যেতে হয়,যাও তুমি এখন
.
মা আমার না সকাল থেকে শরীর ভালো লাগতেসে না,আমি পারবো না যেতে,শ্রাবণ ভাইয়াকে বলো,ভাইয়ার তো বাইক আছে এক টান দিয়ে চলে যেতে পারবে
আর আমার হলে তো বাস ধরতে হবে
.
শ্রাবণ? আচ্ছা দাঁড়া দেখতেসি,শ্রাবণ এদিকে আয় তো
.
হুম মা বলো
.
তুই তোর দাদির সাথে পিউর শশুর বাড়ি যা না একটু,অপুর নাকি শরীর খারাপ
.
আমি?
অপু হলে তো সেই বাসায় গিয়ে চিপায় চাপায় ঘুমাতে পারবে রাতে,আমি কই ঘুমাবো?আমি তো ওর মত শুটকি না,ফিট ফাট
.
?ভাইয়া কইলাম তো রোজ সকালে দই খাইয়া মোটা হবো,তাও শুটকি বলিও না
.
যা আমার রুম থেকে বাইকের চাবি নিয়ে আয়,টেবিলের উপর রাখা আছে
.
ওকে
.
অপু নেচে নেচে শ্রাবনের রুমের দিকে যাচ্ছে,বিয়ে বাড়ির ঝামেলা তার একদমই পছন্দ না তাই তো মিথ্যা বলে বেঁচে গেলো এখন আহা আহা
শ্রাবনের রুমের দরজা খুলে ভিতরে ঢুকতেই ফ্লোরে থাকা পাউডারে পা রেখে ইয়া বড় স্লিপ খেয়ে পড়ে গেলো সে
পুরো শুয়ে পড়লো ফ্লোরে,আম্মাগো বলে এক চিৎকার করতেই শ্রাবণ আর মা বাবা দৌড়ে আসলো
এসে দেখে সত্যি সত্যি শুটকি মাছের মত টেরাবাঁকা হয়ে শুয়ে আছ অপু,কোমড়ে হাত দিয়ে মা মা করতেসে
.
শ্রাবন নিচে বসে ফ্লোরে হাত দিয়ে পাউডার নিয়ে ড্রেসিং টেবিলের দিকে তাকালো
সে সবসময় পাউডার দিলে যেখান থেকে নিয়েছে ঠিক সেখানেই রেখে দেয়
কিন্তু এখন পাউডারের কৌটো তার সঠিক জায়গায় নেই তার মানে এটা অন্যকারোর কাজ
কার কাজ?
শ্রাবণ উঠে দাঁড়িয়ে বাসা থেকে বেরিয়ে এদিক ওদিক সবদিকে ছোঁয়াকে খুঁজে যাচ্ছে
ছোঁয়া মাইক্রোর সামনে গিয়ে উকিবুকি দিয়ে সিট খোঁজার চেষ্টা করছে
শ্রাবণ ওর হাত ধরে টেনে নিয়ে গেলো
.
এই এই আবার কি সমস্যা আপনার,হাত ছাড়ুন আমার বলতেসি!
.
শ্রাবন একটু দূরে এনে ছোঁয়ার হাত সুকে দেখলো,ওর হাত থেকে পাউডারের ঘ্রান আসতেসে,চোখ বড় বড় করে বললো”আফসোস!!আপনার বিছিয়ে রাখা জালে আমি পড়িনি,পড়েছে আমার ছোট ভাই!”
.
ছোঁয়া ঢোক গিলে হাত সরিয়ে একটু পিছিয়ে দাঁড়িয়ে বললো”কককককি বলললললেন আআআপনি!কিসের জাল?”
.
শ্রাবণ একটু এগিয়ে গিয়ে বললো “কিসের জাল??আপনার হাত থেকে পাউডারের ঘ্রান না আসলেও আমি সিউর থাকতাম কাজটা আপনারই,কারণ আমার সাথে কোনো ভালো মানুষ লাগতে আসে না”
.
তার মানে আমি খারাপ?
.
ইয়েস,দজ্জাল একটা
.
ইউ!!
.
শ্রাবন?
.
জি আঙ্কেল বলুন
.
বাবা শুনো, আমরা তো বাকিরা বাসে যাবো,বাসেও জায়গা নেই,এখন মাইক্রোতে একটাও সিট খালি পাচ্ছি না আমরা
সব ফুল,যে একটা খালি ছিল ওটাতে তোমার দাদি বসেছেন তো তুমি ছোঁয়াকে সাথে করে আনতে পারবে?
.
আমি?
.
হ্যাঁ পারবে বেয়াইন,শ্রাবন যা বাইক নিয়ে আয়
.
শ্রাবন গাল ফুলিয়ে চলে গেলো,বাবার কথার উপর কথা বলার সাহস পেলো না
.
ছোঁয়া চোখ বড় করে রোবট হয়ে দাঁড়িয়ে আছে,তারপর এক দৌড়ে ইতির কাছে গেলো
.
আপু তোমার না বাইকে উঠার ইচ্ছা অনেক??বাইকে করে ঢাকায় ফিরবা??
.
শুন ছোঁয়া বাইক আমার পছন্দ কিন্তু যদি এরকম কার পাই তাহলে এটা রেখে বাইক কেন আমার পছন্দ হতে যাবে?তুই যা
.
আপু?
.
ছোঁয়া মন খারাপ করে মাইক্রোর কাছে এসে সিট খালি কিনা তা খুঁজতেসে
বাইকের হর্ন শুনতে পেয়ে পিছনে তাকিয়ে দেখলো শ্রাবণ বাইক নিয়ে হাজির
পাঞ্জাবির হাতা উঠাতে উঠাতে বললো”উঠেন! ”
.
ছোঁয়া অসহায়ের মত উঠে বসলো,শেষ পর্যন্ত কোনো উপায় নেই তার কাছে,এদিকে এতদূর হেঁটেও যাওয়া সম্ভব না তার উপর একা তো বাবা যেতেই দিবে না,এই গন্ডারের সাথে যাওয়ার থেকে একা যাওয়া আরও সেফ ছিল
.
খবরদার আমাকে ধরার চেষ্টা করবা না,বাইক ধরে বসে থাকো
বেয়াদব মেয়ে কোথাকার,আমার রুমে কিনা আমাকে ফালার জাল বুনে,তোমার মত মেয়ের জীবনেও সংসার টিকবে না,একে তো চুরি তার উপর জিনিসের মালিকের উপর হামলা??মন তো চাচ্ছে তোমাকে পথের মাঝখানে নামিয়ে দিই
.
সুন্দর করে কথা বলেন,আপনি থেকে তুমিতে চলে আসলেন কেন?মানুষের সামনে সম্মান দিতে জানেন আর একা থাকলে অসম্মান?
.
জি না,অপু বললো তুমি নাকি নিব্বি তাই নিব্বিকে তো আর আপনি বলা যায় না,নিব্বিকে তুমি বলতে হয় আর নয়ত তুই
.
কি বললেন?আমি নিব্বি??আমাকে কি আপনার ১৩/১৪বছরের নিব্বি মনে হয়?
.
কিছু কিছু নিব্বির বয়স ১৯/২০ ও হয়,আর ভার্সিটিতে পড়ুয়া মেয়েরা নিব্বি হয় একজন টিচারের কাছে
.
শাট আপ, আমি মোটেও ছোট না,আমাকে আপনি বলবেন,আর টিচার মানে?
.
আমি একজন শিক্ষক
.
হাহাহাহাহাহাহা!!!এই টাইপ টিচার এই প্রথম দেখলাম,হাহা??
.
টিচারকে সম্মান না দিলে শাস্তি পেতে হয় তা জানো নাকি অলওয়েজ ভার্সিটির ক্লাস বাংক করো?
.
শুনুন এমনি এমনি ভার্সিটিতে পড়ি না আমি,আন্দাজে কথা বলবেন না
.
আমি তোমার সাথে কথাই বলবো না,যতদিন না তোমার থেকে আমি আমার রজনীগন্ধার টাকার হিসেব উসুল করি
.
আমি বললাম তো আমি নিই নাই,ফুল গুলো তো ইতি!
.
আরেকজনের উপর দোষ চাপানো একদম বেয়াদবি স্বভাব
.
আজব তো,আপনার সাথে কথা বলাই সময় নষ্ট আমার!
.
সুন্দর করে কথা বলো নাহলে ঢাকায় আর তোমার এই জীবনে যাওয়া হবে না
.
আপনার ক্লাসের সবাই তো ফেল করে তাই না?
.
জি না,৩৩+ এ প্লাস পেয়েছে পিএসসি তে আর ৯৮% পাস
.
ওহ আচ্ছা প্রাইমারি স্কুলের টিচার আপনি?তাই তো বলি মেজাজ এত খিটখিটে কেন
.
মোটেও না,আমি শান্ত স্বভাবের,আমার ব্যবহারে সবাই আমাকে দেখলেই চলে আসে কথা বলার জন্য
.
আফসোস! আমি আপনাকে দেখলে দূরে যেতে চাই শুধু
.
এই এই আবিদ ভাই আর পিউর বিয়ের গাড়ী দেখি পথের মাঝে দাঁড়িয়ে গেছে
.
বাইক থামান,ব্যাপারটা কি বুঝতে হবে
.
কিরে ছোঁয়া?
শ্রাবণ!তোমরা এখানে?
.
আঙ্কেল আমাকে শুকনো মরিচকে ঢাকায় পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব দিয়ে দিছে
.
হাহা,শুকনো মরিচ???ভালো নাম দিলা তো শ্রাবণ,এখন থেকে আমিও এই নামে ডাকবো ওকে
.
এই আমি শুকনো মরিচ??কি দেখলেন শুকনো মরিচের??
.
আসলে শুকনো মরিচ না,শুকনো মরিচ তরকারি বা ডালে দেওয়ার পর যে টইটুম্বর হয়ে যায় মোটা মোটা ওরকমটা অনেকটা
.
ছোঁয়া রেগে কিছু বলতে যাবে তার আগে ইতি কার থেকে বেরিয়ে হাত দিয়ে নিজেকে বাতাস করতে করতে বললো”গাড়ী ঠিক হতে কতক্ষণ লাগবে,রাত হয়ে গেলে তো বিপদ!ও এম জি বাইক??চলুন আমাকে বাইকে করে দিয়ে আসবেন
ইতি গিয়ে বাইকে বসতে যেতেই শ্রাবন আটকালো ওকে
.
ইতি ব্রু কুঁচকে বললো কি সমস্যা? সুন্দরী মেয়ে দেখে মাথা কি গেসে নাকি?বিশ্বাস হচ্ছে না আমি আপনার বাইকে করে যাবো?
.
ও মাই গড! আপনি বলার পর মনে হলো আপনি সুন্দরী
.
শ্রাবণের কথায় ছোঁয়া ফিক করে হেসে দিলো
.
ইতি রেগে বললো “বেশি কথা না বলে চলুন
ছোঁয়া!গাড়ী ঠিক হলে ভাইয়ার সাথে ফিরে আসিস আমি যাই,তোর তো কারে করে আসার ইচ্ছা ছিল তাই না?
.
এক্সিউজ মি!আপনাকে আমি আমার বাইকে করে ঢাকায় নিয়ে যাবো এটা আপনাকে কে বললো?
.
কেন কি সমস্যা? ছোঁয়া তো যাবে না,তাই না ছোঁয়া?ছোঁয়ার বদলে আমি যাবো
.
ছোঁয়া যাবে না ছোঁয়ার ঠ্যাং যাবে
.
মানে?
.
মানেটা সহজ,না গেলে ঠ্যাং বেঁধে নিয়ে যাবো,আর আপনাকে না নেওয়ার কারন হলো ছোঁয়ার বাবা মানে আঙ্কেল আমাকে ছোঁয়ার দায়িত্ব দিয়েছে,আপনার দায়িত্ব দেননি, আপনার দায়িত্ব আবিদ ভাইয়ের উপর, বাই টাটা.
এই যে শুকনো মরিচ?চলুন!
.
ছোঁয়ার মাথার উপর দিয়ে গেলো সব,এই প্রথম কেউ তার বড় বোনকে পাশ কাটিয়ে ওকে ইম্পরট্যান্স দিসে,অবাক করার মত ঘটনা
সব ভাবতে ভাবতে সে বাইকে উঠে বসলো
আবিদ বললো চিন্তা যেন না করে,গাড়ী ঠিক হতে ১০মিনিট লাগবে আর
.
ছোঁয়া কিছুক্ষণ ভেবে সেবে কিছু বলতে গিয়েও বললো না,চুপ করে রইলো
রাত ৮টা বেজে গেলো,শ্রাবণ অবশেষে ছোঁয়াকে নিয়ে ওদের বাসায় এসে পড়েছে,সবাইও এক এক করে আসতেসে
১তলা একটা বাড়ি,সাদা রঙ করা,আশেপাশে পেয়ারা গাছ কয়েকটা
এটাই ছোঁয়াদের বাড়ি
.
ছোঁয়া?যাও পিউর দাদি আর শ্রাবণকে গেস্ট রুমটা দেখিয়ে দাও
.
ওকে মা?আসুন!আপনারা
ছোঁয়া গেস্ট রুম দেখিয়ে দিয়ে চলে গেলো,ইতি রুমে এসে বিছানায় মাঝখানে বসে আছে,বুকে কোলবালিশ নিয়ে ফুঁসতেসে রাগে,ছোঁয়ার মধ্যে তো কিছুই নেই আর ছেলেটা কিনা ওর জন্য আমাকে ইগনর করলো??
.
ছোঁয়া এসে চুল আচড়াতে বসলো আয়নার সামনে
.
ঐ চুলই পাইছোস আর কিছু পাস নি,চুল বড় হইয়া লাভ কি স্কিন টোন দেখছিস তোর?
.
আপু?তোমার এত কি সমস্যা আমার স্কিন টোন নিয়ে?
.
ভালোর জন্য বলতেসি বলে এখন এটা বললি
যেদিন তোকে দেখতে এসে মানুষ না বলবে সেদিন বুঝবি!
.
সেদিনের টা সেদিন দেখা যাবে,আগে তুমি তোমাকে নিয়ে ভাবো
.
আমি আমাকে নিয়ে কি ভাববো??আমার তো রিয়ান আছে,রিয়ান কদিন বাদে জব পাবে তখন ও আমাকে বিয়ে করে নিয়ে যাবে,আর আমি একটু চোখ মারলেই বিসিএস ক্যাডার ছিটকে পড়বে,আমার এত চিন্তা নাই,তোকে নিয়েই সব চিন্তা,আমার একটা মাত্র বনু,তোর চেহারা তো আমাকেই ঠিক করতে হবে,তোকে যে একটা নাইট ক্রিমের কথা বললাম সেটা মাখোস না কেন??
.
ইতি??তোকে মানা করলাম না ছোঁয়াকে উল্টা পাল্টা টিপস দিবি না,আমার ছোঁয়া যেমন আছে তেমনি সুন্দর,একটা বিচি আছে ওর মুখে?তোর মুখে তো আছে কতগুলো,ছোঁয়ার মুখটা কত ক্লিয়ার,আর ছোঁয়া এত শ্যামলাও না,ফর্সা আর শ্যামলার মাঝামাঝি,তুই যেভাবে বলিস মনে হয় ও কালো,আন্দাজে আর এসব বলবি না,এখন ঘুমা দুজনে
.
ছোঁয়া চুলে বেনি করে মায়ের কথায় হেসে চলে গেলো আবিদ ভাইয়ার বাসর কেমন সাজানো হয়েছে সেটা দেখতে
বেলিফুল আর ১০/১২টা গোলাপ দিয়ে আসিফ ভাইয়া আর দিদার ভাইয়া সাজিয়েছে,বেশ সুন্দর,ফুলের টব টাতে কয়েকটা রজনীগন্ধা দিলে আরও সুন্দর হতো
পিউ খাটের মাঝখানে এসে বসেছে,ছোঁয়া ওর চুল ঠিক করে দিচ্ছে
.
ইতি আপু কই?
.
ইতি আপু ফেসিয়াল করছে,কেন?কিছু লাগবে তোমার?
.
না,দেখতেসি না তো তাই বললাম,তুমি করবা না ফেসিয়াল?
.
না আমি ওসব করি না,যেমন আছি তেমনই ভালো
.
পিউ হেসে বললো””তোমাকে আমার অনেক ভাল্লাগে”
.
আমারও,তুমি অনেক কিউট
.
তুমিও,তোমার গায়ের রঙ আমার বেশি ভালো লাগে,আনকমন
.
ছোঁয়া হেসে বললো আনকমন না,শ্যামলা এই আর কি
.
উহু এটা তো শ্যামলা না,এটা তো ফর্সা আর শ্যামলার মাঝামাঝি রঙ
.
আচ্ছা বাদ দাও এখন,কিছু খাবা?
.
না,খিধে নেই হালকা ভয় করছে
.
আমার ভাইয়া কিন্তু ডাইনাসোর না এত ভয় পাওয়ার কিছু নাই,একটু বুদ্ধু আবার চালাক ও আছে,প্রয়োজনে প্রয়োগ করে,প্রেম টেম করেনি আগে সো তুমি নিশ্চিন্তে থাকো
ভাইয়া সবসময় পড়া নিয়ে ব্যস্ত থাকতো,এসবে তার মন ছিলোই না
.
হ্যাঁ তা বুঝতে পেরেছি
.
কি করে?
.
আমি যখন কাঁদতেসিলাম টিসু দিতেও লজ্জা পাচ্ছিলো এমনকি বিয়েতে ঠিক করে তাকায় ও নি,শুধু নিচের দিকে তাকিয়ে হাসতেসিলেন?
চলবে♥