Sunday, October 5, 2025







আড়ালে তুমি পর্ব- ১

#আড়ালে তুমি
পর্ব ১
লেখকঃ শাহরিয়ার কবির নীল

২ মাস ধরে নিজের ৫ বছরের ছেলেকে নিয়ে বিভিন্ন কোম্পানিতে ইন্টারভিউ দিয়ে বেড়াচ্ছি। উদ্দেশ্য একটাই নিজের ছেলেটাকে ভালো রাখতে পারি। নিজের কোনো ইচ্ছা নাই। শুধু নিজের ছেলেটাকে যদি ঠিক রাখতে পারি তবেই নিজেকে সার্থক মনে করবো। কম বেতনে কাজ করতাম৷ তবে দিনগুলো কোনো রকমে পার করছিলাম।

আগে একটা হোটেলে কাজ করতাম। নারী কেলেঙ্কারির জন্য হোটেলটা আচমকা বন্ধ করে দেওয়া হয়। হোটেলে কাজ করে নিজের ছেলের জন্য খাবারের জোগাড় করতাম। এখন কাজ চলে গেলো। যে বাসায় থাকতাম সেখান থেকেও বের করে দিলো।

থাকতাম রাজশাহীতে। অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। জীবনের সব চাইতে সুখের সময়গুলো সেখানে পার করেছি আর সবচাইতে কষ্টের সময়ের সাক্ষী এই শহর। জমানো কিছু টাকা ছিলো তাই ভেবেছিলাম ঢাকা শহরে গিয়ে একটা কাজ পাবো। তবে বাস্তবতা যে কতটা ভয়াবহ তা বুঝতে পারিনি। সব জায়গায় টাকার খেলা। পিছনে ফিরে যেতে পারবোনা।

আমি শাহরিয়ার কবির নীল। জানিনা বাবা মা কে। হয়তো কারও পাপের ফসল আমি। ছোট থেকেই একটা এতিম খানায় বড় হয়েছি। তাদের মুখে শুনেছি আমাকে নাকি খুব অল্প বয়সে কেউ রেখে গেছে। পড়াশোনায় অনেক ভালো ছিলাম। তবে টাকার অভাবে সব কিছু পেতাম না।

অনেক কষ্টে আর একজনের কারণে ভালোভাবে পড়াশোনাটা করতে পেরেছিলাম। তবে সে মানুষটাও যখন ছেড়ে চলে গেলো তখন আর নিজেকে গুছাতে পারিনি। এখনকার মতো এতোটুকুই থাক বাকিটা গল্পের সাথে থাকলেই জানতে পারবেন।

আমার ছেলে রিফাত কবির। বয়স ৫ বছর। ওর মা আমাদের ছেড়ে ৫ বছর আগে নিজেকে আড়াল করে নিয়েছে। জানিনা সে কেমন আছে আর নিজের ছেলেটার কথা মনে পড়ে কিনা।

অনার্স শেষ করেছিলাম ৩ বছর আগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণিত নিয়ে । নিজের উপর জোর করে অনার্স শেষ করেছিলাম। সেই যোগ্যতা আর বুকে আশা নিয়ে বিভিন্ন অফিসে ইন্টারভিউ দিয়ে বেড়াচ্ছি।

২ মাসে ৭ টার মতো ইন্টারভিউ দিয়েছি কাজ হয়নি। প্রথমত আমার কোনো প্রস্তুতি নেই আর দ্বিতীয়ত আমার কাছে টাকা নেই।

এখন বর্তমানে ফিরি। আজকে একটা অফিসে ইন্টারভিউ দিতে যাচ্ছি। এবার এটা আমার ৮ম ইন্টারভিউ। আগেরগুলোর থেকে এই কোম্পানিটা অনেক বড়। আশা নাই চাকরির তবুও চেষ্টা করতে দেখতে সমস্যা কি?

সকাল ১১ টা। বসে আছি আর অপেক্ষা করছি কখন নিজের নম্বর আসবে? আমার ছেলেটা অনেক শান্তশিষ্ট তাই ওকে নিয়ে কোনো সমস্যা হয়না। অবশেষে ২০ জনের পর আমার নম্বর আসলো। ছেলেক রেখে রুমে প্রবেশ করলাম।

রুমে গিয়ে দেখি বস একজন মহিলা সম্পূর্ণ বোরকা পরা। পাঁ থেকে চোখ পর্যন্ত ঢাকা। বেশ অবাক হলাম। কারণ এখনকার সময় অফিসগুলোতে মেয়েরা শার্ট প্যান্ট ছাড়া আসেনা আর বস হয়েও নাকি তিনি পর্দা করে আছেন। যাক ভালোই লাগলো।

আমি গিয়ে প্রথমেই উনাকে সালাম দিলাম।

আমিঃ আসসালামু আলাইকুম।

বসঃ ( কেমন জানি এক ধেয়ানে চেয়ে আছে। কোনো উত্তর নাই)

আমিঃ আসসালামু আলাইকুম ম্যাম( একটু জোরে)

বসঃ ওওওও ওয়ালাইকুম আসসালাম। বসুন

কন্ঠটা কেমন জানি খুব চেনা চেনা লাগছে। আমি বসলাম।

বসঃ আপনার নাম?

আমিঃ জ্বী ম্যাম শাহরিয়ার কবির নীল।

বসঃ আপনার ফাইল দেন

আমি ম্যামকে নিজের ফাইল দিলাম। উনি দেখলন

বসঃ তা এর আগে কি কাজ করতেন?

আমিঃ হোটেলে কাজ করতাম ম্যাম।

বসঃ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণিতে অনার্স করে হোটেলে কাজ করতেন? রেজাল্ট তো মোটামুটি চলার মতোই তাহলে?

আমিঃ ম্যাম আসলে টাকা দিতে পারিনা তো তাই কেউ চাকরি দেইনা।

ম্যামঃ তা রাজশাহী ছেড়ে ঢাকায় এসে চাকরি খুজার কারণ?

আমিঃ ম্যাম বেঁচে থাকার জন্য। নিজের ছেলেকে একটু সুখে রাখতে চাই।

ম্যামঃ বুঝলাম। ছেলের বয়স কত?

আমিঃ ম্যাম ৫ বছর হলো।

ম্যামঃ আচ্ছা। আপনি সমানে সপ্তাহ থেকে জয়েন করবেন। মাসে ৩০ হাজার বেতন পাবেন। আর এই নিন অগ্রীম ১০ হাজার। ভালো পোশাক বানিয়ে অফিসে আসবেন।

আমি যেনো আকাশ থেকে পড়লাম। এই বেতনে অনেক ভালো করে দিন চলে যাবে। ছেলেটার জন্যও কিছু করতে পারবো। আমি যেনো বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। এতো সহজে চাকরি হবার কারণ আমি বুঝতে পারছিনা। মুখ দিয়ে কথা বের হচ্ছেনা।

আমিঃ ম্যাম আপনি তো কিছুই জিজ্ঞেস করলেননা হঠাৎ চাকরি দিয়ে দিলেন কেনো?

ম্যামঃ দিয়ে ভুল করেছি? আচ্ছা ফিরিয়ে নিচ্ছি।

আমিঃ সরি ম্যাম আর বলবোনা। আর আপনাকে ধন্যবাদ আমাকে চাকরিটা দেওয়ার জন্য।

আমি বেরিয়ে আসতে গেলাম। তখন আমার ম্যাম ডাকলেন

ম্যামঃ এইযে মিষ্টার আপনার অগ্রীম ১০ হাজার নিয়ে যান।

আমিঃ ম্যাম আমি তো কাজেই জয়েন করিনি তাহলে?

ম্যামঃ এমনিই দিচ্ছি না বেতন থেকে কেটে নিবো।

আমিঃ যদি আমি টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়?

ম্যামঃ আপনার ফাইল তো আমার কাছে। পালিয়ে লাভ কি?

আমিঃ আচ্ছা ম্যাম। আবারও ধন্যবাদ আমি আসি।

ম্যামের রুম থেকে বের হয়েই ছেলেক বুকে জড়িয়ে নিলাম। তারপর ছেলেকে নিয়ে একটা বাসার খোজ করলাম। সন্ধ্যার দিকে একটা ছোট বাসা ভাড়া নিলাম। মাসে ৬ হাজার ভাড়া। বাকি টাকা দিয়ে একটু ভালো খাবার নিয়ে এসে ছেলেকে খাওয়ালাম। ভালো খাবার পেয়ে ছেলেটা অনেক খুশি

পরেরদিন গিয়ে অফিসের জন্য একটা কিছু ভালো পোশাক নিলাম। এখানে ২ হাজার থাকলো। এখন বাকি থাকে ১৬০০ টাকা। ৬ দিন চালিয়ে দিবো। আজকে রাতে শুয়ে আছি এমন সময় আমার ছেলেটা বললো

রিফাতঃ বাবা বাবা আমার মা আকাশের তারা হয়ে গেলো কেনো?

আসলে ওকে ভুলাবার জন্য বলেছি যে ওর মা আকাশের তারা হয়ে গেছে।

আমিঃ বাবা তোমার মা খুব পঁচা তাইতো তোমাকে রেখে তারা হয়ে গেছে।

রিফাতঃ মা আমার কাছে আসবেনা?

আমিঃ কেনো বাবা আমাকে ভালো লাগেনা?

রিফাতঃ তোমাকে অনেক ভালোবাসি। আমার মা লাগবেনা। তুমি থাকলেই হবে বাবা।

অতঃপর ছেলেকে নিয়ে ঘুমিয়ে গেলাম। জানিনা আমার ছেলের মা সেদিন কোথায় হারিয়ে গেলো। সেদিনের পর আর বাড়ি ফিরেনি। জানিনা কোনোদিন তার সাথে দেখা হবে কিনা।

দেখতে দেখতে অফিসে জয়েন করার দিন ঘনিয়ে আসলো। ১০ টায় অফিস শুরু হয় আর বিকাল ৫ টায় শেষ। রিফাতকে আমার সাথেই রাখবো। প্রথম দিন নিয়ে যায় তারপর ম্যাম বারণ করলে আর নিয়ে যাবোনা। যদিও আমার ছেলেটাকে সারাদিন বসিয়ে রাখলেও বিরক্ত করবেনা। তবে মোবাইলো কার্টুন দেখতে দিতো হবে।

আজ থেকে অফিস শুরু। সকাল ৮ টায় এলার্ম দিয়ে রেখেছি। আমার উঠার আগেই আমার ছেলে উঠে ধাক্কাতে লাগলো

রিফাতঃ বাবা ও বাবা, উঠো তুমি অফিস যাবানা?

আমিঃ কি হয়েছে বাবা।

রিফাতঃ বাবা অফিস যাবেনা?

আমিঃ ওহ তাইতো? চলো আগে তোমাকে ব্রাশ করিয়ে দি।

রিফাতকে ব্রাশ করিয়ে ওর জন্য কিছু খাবার তৈরি করে ওকে রেডি করলাম। আর তারপর আমি নিজে তৈরি হয়ে অফিস গেলাম। টাইমের ১০ মিনিট আগেই অফিসে পৌছে গেছি।

অফিসে প্রবেশ করে ওয়েটিং রুমে বসে আছি। কারণ আমার ডেস্ক না দেখিয়ে দিলে আমি কীভাবে কাজ করব? তারওপর আমাকে কাজ বুঝিয়ে দিতে হবে।

একটুপর পিয়ন বললো ম্যাম নাকি ডেকে পাঠিয়েছেন।

আমিঃ ম্যাম আসতে পারি?

ম্যামঃ আসুন।

আমিঃ আসসালামু আলাইকুম

ম্যামঃ ওয়ালাইকুম আসসালাম। বসুন। আর আপনার সাথে এই কিউট পিচ্চিটা কে?

আমিঃ ম্যাম আমার ছেলে।

দেখলাম ম্যাম এক ধ্যানে রিফাতের দিকে তাকিয়ে আছে।

আমিঃ ম্যাম শুনতে পাচ্ছেন।

আমার ডাকে তার ঘোর কাটলো।

ম্যামঃ তা ওর মায়ের কাছে না রেখে অফিস নিয়ে আসলন যে?

আমিঃ আসলে ম্যাম আমার ওয়াইফ নেই।

ম্যামঃ ওহ সরি সরি।

আমিঃ ম্যাম সমস্যা হলে আমি কাল থেকে ওকে নিয়ে আসবোনা।

ম্যামঃ সমস্যা নাই। বেশ কিউট আপনার ছেলটা।

আমিঃ ধন্যবাদ ম্যাম। আসলে ওর মায়ের মতো হয়েছে।

ম্যামঃ ওকে আমার কাছেই রাখবেন। আমার ছোট বাচ্চা অনেক ভালো লাগে।

আমিঃ কিন্তু ম্যাম আপনাকে বিরক্ত করলে?

ম্যামঃ সমস্যা নেই।

আমিঃ ম্যাম যদি আমাকে আমার কাজটা দেখিয়ে দিতেন তো ভালো হতো।

ম্যাম ম্যানেজার সাহেবকে ডাক দিলেন৷

ম্যানেজারঃ ম্যাম ডেকেছেন?

ম্যামঃ জ্বী। উনাকে উনার ডেস্ক দেখিয়ে দিন আর কাজ বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য রফিক ভাইকে বলে দিবেন। আপনি এখন ওনাকে প্রাথমিক জিনিসগুলো বুঝিয়ে দেন।

ম্যানেজারঃ জ্বী ম্যাম। এইযে ভাই আপনার নাম?

আমিঃ জ্বী শাহরিয়ার কবির নীল।

ম্যানেজারঃ আমি সিফাত রহমান। আমাকে সবাই সিফাত ভাই বলে। আপনিও ভাই বলে ডাকবেন।

আমিঃ জ্বী স্যার। না মানে জ্বী ভাই। তাহলে আমাকে তুমি করে বলবেন।

ম্যানেজারঃ আচ্ছা। চলো তোমাকে তোমার কাজ বুঝিয়ে দেই।

তারপর আমাকে আমার ডেস্ক দেখিয়ে দেওয়া হলো। আমার ছেলে ম্যাডামের রুমে আছে। ম্যাডাম ওনার কাছে রেখেছেন।

ম্যানেজারঃ এটা তোমার ডেস্ক। আমি বেসিক জিনিসগুলো তোমাকে দেখিয়ে দিচ্ছি। আজকে আপাতত এইগুলোই রিপোর্ট করবা৷ আমি তোমার কাজ দেখে তারপর পরের কাজগুলো বুঝিয়ে দিবো।

আমিঃ আচ্ছা ভাই।

তারপর উনি আমাকে প্রাথমিক জিনিসগুলো বুঝিয়ে দিলেন। কাজগুলো কঠিন লাগলেও একটু মন দিয়ে করতেই সব বুঝে নিলাম। একটু পর একজন লোক আসলো। আমার থেকে ৩-৪ বছরের বড় হবে।

লোকটাঃ আসসালামু আলাইকুম

আমিঃ ওয়ালাইকুম আসসালাম।

লোকটাঃ আমি রফিক মাহমুদ।

আমিঃ আমি শাহরিয়ার কবির নীল। ম্যাম আপনার ব্যাপারেই বলছিলো মনেহয়।

রফিক ভাইঃ হুম। আমিই তোমাকে সব শিখিয়ে দিবো। তুমি করে বলছি এতে আবার মনে কিছু কইরেন না।

আমিঃ আরে ভাই কি যে বলেননা। তুমি করে বলাতেই আমি বেশি খুশি হবো। আপনি আমার বড় ভাইয়ের মতো। তুই করে বললেও খুশি হবো।

রফিক ভাইঃ না না। আচ্ছা তুমি আজকের কাজের রিপোর্ট গুলো জমা দিয়ে দিও। যদি সব ঠিক থাকে তবে কাল থেকে তোমাকে কাজ বুঝিয়ে দিবো।

আমিঃ আচ্ছা ভাই।

রফিক ভাই চলে গেলেন। ভেবেছিলাম নতুন জায়গায় অনেক সমস্যা হবে। তবে এখন দেখি সবাই অনেক মিশুক। অনেক ভালো লাগছে তাদের ব্যবহারে।

দুপুরের খাবারের সময় আমি ম্যামের কেবিনে গেলাম রিফাতকে ডাকতে।

আমিঃ ম্যাম আসতে পারি?

ম্যামঃ আসুন আসুন।

আমিঃ ম্যাম ও কি বিরক্ত করছে আপনাকে?

ম্যামঃ আরে না না। বাচ্চারা যে এতো শান্ত হয় আজকেই প্রথম দেখলাম। আপনার ছেলেটা অনেক শান্ত।

আমিঃ ম্যাম আমি ওকে খাইয়ে নিয়ে আসি।

ম্যামঃ আচ্ছা। খাইয়া আপনার কাছে রাখবেন। আমার একটু কাজ আছে।

আমিঃ আচ্ছা।

তারপর রিফাতকে নিয়ে গেলাম ক্যান্টিনের দিকে। ওকে খাইয়ে আমি নিজে খেয়ে নিয়ে এলাম আমার ডেস্কে। কাজ করছি আর রিফাত ঘুমিয়ে গেছে। আমি কোনো রকমে ওকে কোলে নিয়ে কাজগুলে করছি। এমন সময় আবার রফিক ভাই আসলো।

রফিক ভাইঃ আরে নীল পিচ্চিটা কে?

আমিঃ ভাই এটা আমার ছেলে।

রফিক ভাইঃ অফিসে নিয়ে আসছেন যে?

আমিঃ ভাই ওর মা নেই তো তাই আরকি।

রফিক ভাইঃ তো আপনার বাবা মায়ের কাছে রেখে আসতেন।

আমিঃ আসলে ভাই হয়েছে কি আমি এতিম। জ্ঞান হবার পর বাবা মাকে কোনোদিন দেখিনি আর ওনাদের ব্যাপারে কোনো কিছু জানিও না। ছেলেটা আমার একা কোথায় থাকবে বলুন?

রফিক ভাইঃ নীল তুমি মন খারাপ করিও না ভাই। আমি আসলে বুঝতে পারিনি।

আমিঃ বুঝতে পারলে বলতেন নাকি?

রফিক ভাইঃ ছেলেটা তো সেই কিউট।

আমিঃ মায়ের মতো হয়েছে।

রফিক ভাইঃ তোমাকে কিছু বলতে চাই তবে সঠিক সময় আসলে বলবো।

আমিঃ বলে ফেলুন ভাই।

রফিক ভাইঃ না না এখন না। সময় আসলে বলবো আগে তোমার সাথে সম্পর্কটা একটু গভীর হোক।

আমিঃ আচ্ছা ভাই।

রফিক ভাইঃ কাজ গুলো রেডি রাখবেন৷ সিফাত ভাই দেখতে আসবেন কিন্তু।

আমিঃ আচ্ছা

কাজ করতে করতে অফিস শেষ হবার সময় চলে এসেছে। তখন সিফাত ভাই মানে ম্যানেজার এলো

ম্যানেজারঃ নীল তোমার কাজ হয়েছে?

আমিঃ জ্বী ভাই।

ম্যানেজারঃ দেখি

এরপর ১০ মিনিট ধরে খুটিয়ে খুটিয়ে দেখলেন। তারপর বললেন

ম্যানেজারঃ বাহ চমৎকার। এতো তাড়াতাড়ি প্রথম ধাপ পার করবেন ভাবতেই পারিনি। কাল থেকে রফিক তোমাকে আসল কাজ বুঝাতে শুরু করবে।

আমিঃ আচ্ছা ভাই।

এরপর অফিস ছুটি হলো। বাড়িতে এসে আমি রিফাতকে খাইয়ে দিলাম। তারপর ওকে ফোন দিলাম। ও নিজের মতো কার্টুন দেখতে থাকলো।
আমি শুয়ে আছি এমন সময় ফোনটা বেজে উঠলো আমি রিফাতের হাত থেকে ফোন নিয়ে কল ধরলাম।

তবে ওপাশ থেকে যিনি কথা বলছিলো তার কথা শুনে আমি অবাক হয়ে গেলাম……………

চলবে…………..

পূর্ববর্তী নিবন্ধ
পরবর্তী নিবন্ধ
গল্প পোকা
গল্প পোকাhttps://golpopoka.com
গল্পপোকা ডট কম -এ আপনাকে স্বাগতম......
RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments

Md masrur Hasan mahi على অবুঝ_বউ পার্ট: ৫
আমিনুল ইসলাম على প্রয়োজন পর্ব: ৩০ ( অন্তিম)
সাজিবুল ইসলাম على ধর্ষিতাবউ২ ৯ তথা শেষ পর্ব
শাহিদুল ইসলাম على জীবন সঙ্গী ১ম পার্ট
শাহিদুল ইসলাম على জীবন সঙ্গী ১ম পার্ট
Nita Sarkar على স্বপ্নীল ৬৮
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على রহস্য শেষ_পর্ব
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على অলক্ষ্যে তুমি পর্ব-০৬ এবং শেষ পর্ব
Nazmun Nahar Akhi على Psycho_is_back? part_7
Nazmun Nahar Akhi على Dangerous_Villian_Lover part 2
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على জানালার ওপারে পর্ব-১৭ এবং শেষ পর্ব
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على লীলা বোর্ডিং ১২১৫ পর্ব-১১ এবং শেষ পর্ব
মিজানুর রহমান রাহুল على সেই তুমি পর্ব-০১
@feelings على প্রহেলিকা
Anamika Basu على সে পর্ব-১২
Anamika Basu على সে পর্ব-১২
Nusrat jahan على coffee & vanilla Part-10
Pallabi Roy على স্বপ্নীল ৬৮
M.D Mahabub على The_Villain_Lover Part_2
Labani sarkar على Dangerous_Villain_Lover part 23
MD Akas Apc على বিবেক
Tanisha Ahmed على Devil love part-18 
Aius Barmon shorob على নারীর দেহকে নয়
Chandan roy على স্বপ্নীল ৬৮
Chandan roy على স্বপ্নীল ৬৮
Riya Biswas على তুমি রবে ৬০
Priya Banerjee على devil love married life last part
Riya Biswas على তুমি রবে ৬০
Riya Biswas على তুমি রবে ৫২
Mohammad Adib على তুমি রবে ৬০
Avni Ayesha على তুমি রবে ২৮
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
সুমিত على তুমি রবে ২৮
TANJIBA ZENIFAR على তুমি রবে ৫০
TANJIBA ZENIFAR على তুমি রবে ৫০
Samiah Begum على তুমি রবে ৫১
biddut das rocky على নর নারী
গল্প পোকা على নষ্ট গলি শেষ পর্ব
Md Jobayer Hossain Shohag على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
গল্প পোকা على দুই অলসের সংসার
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤৪২.
A.J.S Rakib على মন ফড়িং ❤৪২.
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
Samiya noor على গল্পঃ ভয়
Sadikul على গল্পঃ ভয়
Samia Islam على গল্পঃ ভয়
শূন্য মায়া على মন ফড়িং ❤ ৪০.
Sutapa biswas على মন ফড়িং ❤৩৯.
Foysal Mahmud على My_Mafia_Boss_Husband Part: 16
sutapa biswas على মন ফড়িং ❤ ৩৮.
sutapa biswas على মন ফড়িং ❤ ৩৭
Foysal Mahmud على My_Mafia_Boss_Husband Part: 16
Siyam على বিবেক
Sudipto Guchhait على My_Mafia_Boss পর্ব-৯
saptami karmakar على devil love married life last part
saptami karmakar على devil love married life last part
মায়া على মন ফড়িং ৩০.
মায়া على মন ফড়িং ৩০.
মায়া على মন ফড়িং ২৬.
Shreyashi Dutta على  বিয়ে part 1
Sandipan Biswas على  বিয়ে part 1
Paramita Bhattacharyya على অনুরাগ শেষ পর্ব
জামিয়া পারভীন তানি على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
মায়া على মন ফড়িং  ২২
সুরিয়া মিম على খেলাঘর /পর্ব-৪২
গল্প পোকা على মন ফড়িং ২১
গল্প পোকা على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
Sahin ssb على মন ফড়িং ২১
মায়া على মন ফড়িং ২১
মায়া على মন ফড়িং ❤ ২০.
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤ ২০.
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৮. 
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৭.
Jannatul Ferdous على খেলাঘর পর্ব-৩৫
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤ ১৬. 
গল্প পোকা على ফাল্গুনের_ফুল last_part_8
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৬. 
গল্প পোকা على ছাত্রী যখন বউ পাঠঃ ১
গল্প পোকা على বাজির প্রেম পাঠঃ ১
Foujia Khanom Parsha على মা… ?
HM Ashraful Islam على অবুঝ_বউ পার্ট: ৮
HM Ashraful Islam على অবুঝ_বউ পার্ট: ৫
Ibna Al Wadud Shovon على স্বার্থ