আড়ালে তুমি পর্ব – ১৫ (শেষ পর্ব)

0
1052

#আড়ালে তুমি
পর্ব ১৫ (শেষ)
লেখকঃ শাহরিয়ার কবির নীল

শিলার জ্ঞান ফিরার পর নিজেকে সে একটা অচেনা জায়গায় আবিষ্কার করলো। আশেপাশের পরিবেশ অপরিচিত। আমি ওর পাশে বসে ছিলাম। ও আমাকে জিজ্ঞেস করলো,

শিলাঃ নীল আমরা কোথায় আছি? আমাকে কোথায় নিয়ে এসেছো তুমি?

আমিঃ আহ এতো উত্তেজিত হচ্ছো কেনো? রিল্যাক্স।

শিলাঃ আরে বলোনা আমরা কোথায় আছি?

আমিঃ বলছি আগে ছাদে চলো।

শিলাঃ না আগে বলো নাহলে যাবোনা আমি৷

আমিঃ আমি বলছি চলো। আর বেশি কথা বলবেনা। ( রাগি গলায়)

আমি ওকে দমিয়ে রাখতে কথাটা বললাম। ওর সাথে রাগি গলায় কখনও কথা বলিনা৷ জানি ও আমার জন্য যা যা করেছে তা নিজের জীবন দিয়েও শোধ করতে পারবনা। তাই ওর ইচ্ছা গুলো সব সময় পূরণ করার চেষ্টা করি। আমার ছেলে মেয়েদের আমার শাশুড়ী আর আপু সামলাচ্ছে৷ শিলার সাথে এখন একা সময় কাটাতে চাই৷ যাই হোক ওর চোখ ধরে ছাদে নিয়ে গেলাম৷ ছাদে আগে থেকে একটা ছোট কেক আর হালকা ডেকোরেশন করে রেখেছি। ওকে ছাদে নিয়ে গেলাম৷ তারপর ওকে বললাম,

আমিঃ আমি না বলা পর্যন্ত চোখ খুলবেনা। খুললে রাগ করবো।

এর মাঝে আমি মোমবাতি জালিয়ে দিলাম। তারপর ওকে চোখ খুলতে বললাম। ও চোখ খুলার পর ওকে জন্মদিনের উইশ করলাম,

আমিঃ শুভ জন্মদিন আমার প্রয়সি। অনেক অনেক শুভেচ্ছা আজকের দিনটার জন্য তোমাকে।

শিলা অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে আমার দিকে৷ একটু পরেই এসে আমাকে জড়িয়ে ধরলো। অনেক্ষন আমাকে জড়িয়ে ধরে থাকলো। ও এখনও খেয়াল করেনি চারপাশে পরিবেশ৷ যখন খেয়াল করবে তখন আরও শক পাবে। কিছুক্ষন পর আমাকে ছেড়ে বলল,

শিলাঃ আমি ভুলেই গিয়েছিলাম যে আজ আমার জন্মদিন৷ কিন্তু তুমি ঠিকই মনে রেখেছো। অনেক অনেক খুশি হয়েছি আমি। তবে বাড়ির সবাই থাকলে ভালো হতো।

আমিঃ এই মূহুর্তটা একান্তই তোমার আমার। বিশেষ দিনগুলো আমি একান্তই তোমার সাথে কাটাতে চাই। এই সময়গুলোর ভাগিদার আমি কাওকে হতে দিতে পারিনা।

শিলাঃ হুম৷ এই সময়টা একান্তাই তোমার আমার৷ এই সময়গুলো আমিও শুধু তোমার সাথে একা কাটাতে চাই। তোমাকে মতো কাউকে পেয়ে আমি ধন্য হয়েছি। আমার সব কিছুর খেয়াল রাখো তুমি। সারাদিন ব্যস্ত থাকার পরেও আমাকে, ছেলে মেয়েকে সময় দাও। সব কিছুর জন্য আলহামদুলিল্লাহ।

আমিঃ আচ্ছা এসব কথা পরেও করা যাবে৷ তোমার গিফ্ট নিবেনা?

শিলাঃ তুমিই তো আমার গিফ্ট আর কি লাগবে আমার?

আমিঃ আরে ইমোশনাল কথা রাখো। আগে বলো গিফ্ট দেখতে চাওনা?

শিলাঃ আচ্ছা দেখি?

আমি ওকে ছাদের কিনারায় নিয়ে গেলাম। চারেপাশের দৃশ্য দেখে তো শিলা হা হয়ে আছে। কারণ চারপাশে দৃশ্যটা পুরো স্বপ্নের সাথে মিলে যাচ্ছে। ও কিছুক্ষন আরও ভালো করে পরিবেশটা বুঝার চেষ্টা করলো। ও ভালোভাবেই বুঝতে পারলো এটা গ্রাম্য পরিবেশ। এবার ও আমাকে অবাক কন্ঠে জিজ্ঞেস করলো

শিলাঃ নীল এটা কোথায় নিয়ে এসেছো আমাকে? আর এটা কার বাড়ি?

আমিঃ এটা তোমার বাড়ি আর তোমার ইচ্ছা অনুযায়ী বাড়িটা তেরি করেছি তোমাকে না জানিয়েই। পচ্ছন্দ হয়নি তোমার?

শিলা আবারও আমাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো। এবার ও কেঁদে দিলো। আমি ওর কান্না দেখে জিজ্ঞেস করলাম,

আমিঃ এই পাগলি কাঁদছো কেনো?

শিলাঃ আমার একবার বলাতেই তুমি আমার ইচ্ছা পূরণ করে দিলে?

আমিঃ কি করব বলো? একটা মাত্র বউ আমার। তার কথা আমি কিভাবে ফেলতে পারি?

শিলাঃ সত্যি গো এখন নিজেকে আরও বেশি ভাগ্যবতী মনে হচ্ছে। আচ্ছা নিচে গিয়ে বাড়িটা দেখে আসবো?

আমিঃ তোমার বাড়ি তুমি যা ইচ্ছা করতে পারো।

তারপর শিলা আমাকে নিয়ে বাইরে গেলো। চারিদিক থেকে বাড়িটা ঘুরে দেখলো। অনেক অনেক বেশি খুশি হয়েছে শিলা। আমি ওকে বললাম যে ছুটির সময়গুলো আর ঈদ সব এখানেই করবো। এক কথায় রাজি শিলা। দুজনে সেই রাতটা অনেক ভালো ভাবে পার করলাম।

পরেরদিন সকালে কিছু কাজ করে বিকালের দিকে গ্রামটা ঘুরতে বের হলাম৷ প্রথমে কিছু জায়গা ঘুরে নদীর পাড়ে গেলাম। সত্যি সেই দৃশ্যটা অসাধারণ। দেখেই মন জুড়িয়ে গেলো৷ সন্ধ্যার পর ফিরে এলাম৷ ফিরে এসে নীলাকে নিয়ে কিছুক্ষন দুষ্টুমি করলাম৷ মেয়েটা একেবারে তার ভাইয়ের বিপরীত হয়েছে। রিফাত একদম শান্ত ছিলো আর নীলা অনেক দুষ্টু। কোলে থাকতেই চাইনা৷ সব সময় হামাগুড়ি দিয়ে বেড়ায়। এখন অবশ্য কোনো জিনিস ধরে দাড়াতে পারে। মাঝে মাঝে এক দুই পা হেটে পড়ে যায়৷ জিসানও হয়েছে ওর বোনের মতো বর্না আপুকে জ্বালীয়ে মারে৷ তবে বর্না আপু সেগুলোই অনেক পচ্ছন্দ করে। রিফাত ভাই বোনকে হাটানোর চেষ্টা করে। একধাপ দিতে পারলেই রিফাতের খুশি দেখে কে? দৌড়ে চলে যাবে শিলার কাছে খবর শুনাতে। জিসান একটু পা এগোলে আপুকে ডাকতে দোড়াবে। আপুকে রিফাত মামনি বলে৷।

পরেরদিন সকালে উঠে দেখি কয়েকজন প্রতিবেশী আন্টি মায়ের সাথে বসে কথা বলছে আমি গিয়ে ওনাদের সালাম দিয়ে কথা বললাম। ২-৩ দিন থেকেই যা বুঝলাম এই গ্রামের মানুষগুলো খুবই আন্তরিক। এমন ভাবে কথা বলছে যেনো আমাদের কত আগে থেকে চিনে। আমি কিছুক্ষন কথা বলে রফিক ভাইয়ের সাথে একটু বের হলাম৷ উদ্দেশ্য বাজার গিয়ে কিছু জিনিসপত্র কিনে নিয়ে আসা। আর পরেরদিন শুক্রবার তাই ভাবলাম নতুন বাড়ি উপলক্ষে সকল মুসল্লিদের মিষ্টি মুখ করাবো। বাজারে গিয়ে মাংস, দই, মিষ্টি, ফলমূল কিনলাম৷ বাড়িতে উঠার আগেই যাবতীয় সব জিনিসপত্র নিয়ে বাস করার মতো বাড়ি গুছিয়ে নিয়েছি। মসজিদের মুসল্লীদরে জন্য আর এলাকার মানুষের মুখ মিষ্টি করার জন্য মিষ্টির অর্ডার দিয়ে আসলাম৷

সব কিছু কিনে দুপুরের দিকে বাড়ি ফিরলাম৷ গোসল করে ফ্রেশ হয়ে না খেয়েই শুয়ে পড়লাম। শিলা এসে ডেকেছে তবে আমি খাবোনা বলে দিয়েছি। বিকালের দিকে বুঝতে পারলাম কেউ আমার চুল টানছে। উঠে দেখি এটা আর কেউ না আমার দুষ্টু মেয়ে। ঘুমিয়েছিলো তবে ঘুম ভেঙে গেছে হয়তো তাই আমার চুল টানছে আর হাসছে। আমি ওকে রুম থেকে বের হলাম। বাইরে এসে দেখি সবাই মিলে বসে কথা বলছে৷ রিফাত জিসানের সাথে খেলছে। আমি নীলাকে নীচে নামিয়ে আমি শিলাকে খাবার আনতে বললাম৷ দুপুরে না খেয়ে ঘুমিয়েছি তাই অনেক ক্ষুধা লেগেছে। শিলা খাবার নিয়ে আসার পর আমি খেয়ে রফিক ভাইকে নিয়ে চা খেতে গেলাম৷ গ্রামের চোকানগুলোতে চা খাওয়ার মজা আলাদা।

পরেরদিন সময় মতো আমি, রফিক ভাই আর রিফাত নামায পড়তে গেলাম৷ নামায শেষে সবাইকে মিষ্টিমুখ করিয়ে হুজুর আর মুয়াজ্জিন কে দুপুরের খাবার খেতে বাসায় নিয়ে আসলাম৷ আমাদের ব্যবহার দেখে উনারা অনেক খুশি হয়েছে। ওনাদের অনেক যত্ন করে আপ্যায়ন করলাম৷ কালকেই শহরে ফিরে যাবো।

পরেরদিন সকালেই বেরিয়ে পড়লাম। গ্রামে কাটানো সময়গুলো অনেক অনেক বেশি ভালো ছিলো। শহরে গিয়ে আবারও সেই ব্যস্ত জীবন শুরু।

সময়গুলো আস্তে আস্তে পার হচ্ছিলো। এদিকে ছেলে মেয়েও বড় হচ্ছে। নীলা, জিসান হাটতে আর কথা বলতে শিখেছে। রিফাত ১২ বছরে পাঁ দিলো। এবার পিএসসি পরীক্ষা দিবে। পরীক্ষার জন্য নীলা আর জিসানকে ঠিক মতো সময় দিতে পারেনা। ওরা দুইজন রিফাতকে পড়তে দিবেনা দেখে জোর করে আমাদের কাছে রাখি।

আজকে ছুটির দিন তাই দুপুরে শুয়ে আছি। কোথা হঠাৎ নীলা দৌড়ে আমার কাছে চলে এলো

নীলাঃ বাবা বাবা আমাকে বাঁচাও। মা আমাকে মারনে।

আমিঃ কি হয়েছে মামনি? তোমার মাকে বিরক্ত করেছো তাইনা?

নীলাঃ না বাবা কিছু বলিনি।

তখনি আবার শিলা রুমে এলো। দেখি হাতে থালি নিয়ে আছে। বুঝলাম মেয়েকে খাইয়ে দেওয়ার জন্য এতো দৌড়ানি দিচ্ছে।

শিলাঃ নীল ওকে ছেড়ে দাও ১ ঘন্টা ধরে ওর পিছন পিছন দৌড়াচ্ছি কিছুতেই খাওয়াতে পারছিনা। এবাট সুযোগ পেয়েছি।

নীলাঃ বাবা বাবা আমাকে বাঁচাও। আমি খাবোনা৷

শিলাঃ তুমি ওকে ধরে রাখো। আজ না খেলে মাইর দিবো।

আমিঃ আহ শিলা করছো কি? না খেলে জোর করার দরকার নেই।

শিলাঃ একদম কথা বলবেনা৷ তুমিই মেয়ের অভ্যাস খারাপ করার জন্য দায়ী।

আমিঃ এখানে আমার কি দোষ?

শিলাঃ আরও খাওয়াও মেয়েকে চকলেট। সারাদিন চলকেট খাবে আর খাবার দেখলেই পালাবে৷ দেখছোনা কি রকম রোগা হয়ে গেছে?

আমিঃ বাচ্চা মানুষ একটু দুষ্টুমি করবেই।

শিলাঃ এসব বলে লাভ নেই। নীলা আসো আমার কাছে। একটু খেয়ে নাও তাহলে ঘুরতে নিয়ে যাবো।

নীলাঃ সত্যি মা? আমাকে নিয়ে যাবে?

শিলাঃ হুম নিয়ে যাবো আসো খেয়ে নাও।

শিলা কৌশল করে নীলাকে খাইয়ে দিলো। ৪ বছর কেটে গেছে। এর ভিতর অনেক কিছু বদলে গেছে। আন্টি মারা গেছেন ১ বছর আগে। আমার শাশুড়ীর একমাত্র সঙ্গী ছিলেন তিনি। এখন নাতি, নাতনিদের নিয়ে থাকেন। জিসান আর নীলা একসাথে খেলে। এরা তিন ভাই বোনের মধ্যে খুব মিল। আন্টি মারা যাবার পর বেশ কয়েকদিন মানসিক ভাবে ভেঙে পড়পছিলো বর্ণা আপু৷ জিসানের দিকে তাকিয়ে নিজেকে স্বাভাবিক করেছে৷

এই কয়েক বছরে আমাদের কোম্পানি দেশের টপ ২০ মধ্যে এখন ১৫ তে আছে। সবকিছু ভালো চলছে। সময় পেলেই আমরা গ্রামের বাড়ি থেকে ঘুরে আসি। এবার রোজার ঈদও ওখানেই করেছি। কয়েকদিন পর আবার কোরবানির ঈদ আসছে। এবার গরীব দুঃখীদের জন্য একটা গরু আর নিজেদের একটা গুরু কোরবানি দিবো বলে নিয়ত করেছি।

দেখতে দেখতে ঈদের দিন চলে এলো। সকাল সকাল উঠে আমরা চারজন মানে এবার জিসানও যুক্ত হয়েছে, সবাই মিলে ঈদগাহে গেলাম। নীলা আসার জন্য কান্না জুড়ে দিলেও শিলা ওকে সব ভু্লিয়ে আটকে রাখলো।

সুন্দর ভাবে নামায শেষ হলো। নামায শেষে খুতবা শোনার জন্য বসে থাকলাম৷ সব শেষে হুজুর বললো ঈদগাহের এরিয়া বাড়ানোর জমি কিনতে হবে আর ঈদগাহ সুন্দর ভাবে সাজানোর জন্যও টাকার প্রয়োজন প্রায় ২০ লাখ মতো৷ সবাইকে দান করার জন্য বললে আমি নিজেই সবটা দিবো বলে ঈদগাহের সভাপতিকে কানে কানে বললাম৷ কাউকে বুঝতে না দেওয়ার জন্য হুজুর কালেকশন চালিয়ে গেলো৷ সবাই চলে যাবার পর আমি ৩০ লাখ টাকার একটা চেক বুঝিয়ে দিলাম৷ মসিজদের জন্য আর ঈদগাহ সুন্দর ভাবে সাজানোর জন্য দিলাম। সবাই অনেক খুশি হলো।

নামায থেকে ফিরে এসে কোরবানির জন্য নির্দিষ্ট স্থানে গেলাম৷ যারা কোরবানি দিতে পারেনি তাদের সাথে নিয়ে কোরবানি দিলাম। তারপর সবাইকে যারা কোরবানি দিতে পারেনি তাদের মাঝে বন্টন করে দিলাম৷

বাড়ি ফিরে কিছু খেয়ে নিলাম৷ বিকালের দিকে সবাইকে নিয়ে ঘুরতে বের হলাম৷ ঘুরা শেষে সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরলাম৷ ৭ দিন পর শহরে ফিরলাম।

এভাবেই আরও ৫ বছর কাটলো। রিফাতের এসএসসি পরীক্ষা শেষ হয়েছে। পিএসসি আর জেএসসিতে জিপিএ ৫ পেয়েছে৷ বর্না আর জিসান এবার ৩য় শ্রেনীতে পড়ে। রিফাত সব সময় ওর ভাই বোনকে আগলে রাখে৷ রিফাতকে জিসানের ব্যাপরটা বুঝিয়ে বলেছি। ও খুব স্বাভাবিক ভাবেই সবটা বুঝেছে। রফিক ভাই আর বর্না আপু জিসানকে খুব আদর দিয়ে বড় করে৷ জিসান আমাকে পাপা আর শিলাকে মামনি বলে। বর্না আপু বা রফিক ভাই আজ পর্যন্ত জিসানের সাথে উচু গলায় কথা বলেনি৷ মা বাবার দায়িত্ব উনারা খুব ভালো ভাবেই পালন করছেন। রিফাত নিজে ওর ভাই বোনকে পড়াই৷ নিজেই ওদের স্কুলে রেখে আসে৷ আর দুই ভাইয়ের চোখের মনি হলো নীলা। কেউ নীলাকে কিছু বললেই দুই ভাই রেগে আগুন৷ শিলা সবচাইতে বেশি ভালোবাসে ওর বড় ছেলেকে মানে রিফাতকে৷ আসলে ওকে ছেড়ে থেকেছে অনেকদিন তাই ওর উপর ভালোবাসা বেশি। নীলা সারা বাড়ি মাতিয়ে রাখে। তিন ভাই বোন সব সময় মিলে মিশে থাকে। আমার শাশুড়ী এখন বেশিরভাগ সময় অসুস্থ থাকেন। শিলা, বর্ণা আপুন ওনার সেবা যত্ন করেন।

জীবন থেকে চলে গেছে আরও ১ বছর। কিছুদিন আগে আমার শাশুড়ী গত হয়েছেন। মারা যাবার সময় তিনি শিলাকে বলে গেছেন যেনো ও তার বাবাকে ক্ষমা করে দেয়। সব ধাক্কা সামলে নিয়ে আমরা এগোচ্ছি। আমাদেরও বয়স হচ্ছে।

অফিস ৭ দিন ছুটি দিয়ে আজকে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছি। আজকে আমাদের বিবাহ বার্ষিকী। প্রয়সীর সাথে সময় কাটাতে যাচ্ছি গ্রামের বাড়ি। আজকের রাতটায় চাঁদ পূর্ণাঙ্গভাবে আলো ছড়াচ্ছে। তারা মিটমিট করছে। সেই আগেই মতোই শিলা আমার কাঁধে মাথা রেখে আছে৷ শিলার সাথে কাটানো সময়গুলো চোখের সামনে ভেসে উঠছে। আমরা কেউ কোনো কথা বলছিনা। তবে আমাদের মন যেনো একে অপরকে বলছে ” ভালোবাসি প্রিয় তোকে, খুব ভালোবাসি।” 😊😊

★সমাপ্ত★

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে