Sunday, October 5, 2025







আমার শহরে তুমি পর্ব-০১

গল্পের নামঃ#আমার শহরে তুমি
লেখনীতেঃ# Alisha Rahman Fiza
পর্বঃ১

~মিস অধরা,আপনার বাসায় ২দিন আগে আমি একটা প্রস্তাব রেখেছিলাম।কিন্তু আপনার মা আমাকে জানালো আপনি আমাকে বিয়ে করতে চান না। আমি কী কারণটা জানতে পারি?এসির রুমেও আমার কপাল বেয়ে ঘাম জড়ছে আমার৷ সামনে বসা সুপুরুষটার কথা শুনে আমার শিরদাড়া দিয়ে শীতল ঠান্ডা রক্ত প্রবাহিত হলো।আমি শুকনো ঢোক গিলে বললাম,
~আমি আপনাকে বিয়ে করতে পারবোনা।যেখানে আমার অতীত আছে সেখানে আমি কীভাবে আমার বর্তমান সাজাবো।সামনে থাকা ব্যক্তিটা আমার কথায় ফোস করে একটা নিশ্বাস ছেড়ে বললেন,
~মিস অধরা,আপনিই তো আপনার অতীত নিয়ে বসে আছেন তাহলে কীভাবে আপনি তার থেকে পিছু ছাড়াবেন?তার এই কথায় আমি চোখ বড় করে বললাম,

~আমি কোনো অতীত নিয়ে বসে নেই বরং আপনারা আমাকে নিয়ে মজা করছেন কেন এমন করছেন আপনি?আপনার পরিবারের সদস্যের জন্য আমি এভাবেই ধুকে ধুকে মরছি।আমার সামনে থাকা যুবকটির কোনো ভাবান্তর হলো না সে বিরক্ত নিয়ে বললো,
~দেখেন আপনি আমার বেয়াইন না যে আপনার সাথে আমি মজা করবো।তাই বলছি আপনার বাসায় আমি আবার বিয়ের প্রস্তাব পাঠাচ্ছি যদি রাজি না হন তাহলে আমার থেকে খারাপ কেউ হবে না আপনাকে আমি আমার ঘরে বউ হিসেবে চাই। got it?বলেই সে টেবিল থেকে সানগ্লাস নিয়ে চোখে পরে হনহন করে বাহিরে চলে গেলো।আমি এখনও রেস্টুরেন্টের টেবিলে বসে তার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছি।

,,,,,,,,,,,,,
,,,,,,,,,,,,,
আমার নাম অধরা জাহান।অর্নাসের ৩য় বর্ষের ছাত্রী আমি। আমার পরিবারে মা-বাবা,আর ছোট দুই ভাই আছে তারা দুজন জমজ এবার কলেজের গন্ডীতে পা রাখলো।আর এতক্ষন যে ব্যক্তির সাথে কথা বললাম সে হলো রক্তিম রায়জাদা সে অনেক উচ্চ বংশের ছেলে পেশায় সে একজন শিক্ষক বাবার অজস্র টাকা থাকা সত্ত্বেও সে এই পেশায় জড়িত। ভার্সিটিতে সে শিক্ষক হিসেবে জয়েন করেছেন গত ২মাস আগে শিক্ষকতা করা তার অনেক দিনের স্বপ্ন ছিলো।সে আমার পূর্ব-পরিচিত কিন্তু তার সাথে তেমন কথা বলা হতো না আমার সাথে পরিচয়ের ৪মাস পর সে আমেরিকা চলে যায়।২ বছর পর তার সাথে আমার দেখা।আর তার সাথে দেখা করে যে এসব শুনতে হবে তা জানতাম না।
আমি জানি তার পরিবার আমাকে কখনো মেনে নিবে না যদি মেনে নিতোই তাহলে ২বছর আগেই আমাকে মেনে নিতো। থাক এসব আজ ভাববোনা রেস্টুরেন্ট থেকে বের হয়ে আমি রিক্সা নিয়ে চলে আসলাম বাসায়। বাসার সামনে এসে নেমে পরলাম রিক্সার ভাড়া মিটিয়ে আমি বাসার ভিতরে ঢুকে পরলাম কলিংবেল চাপ দিতেই মা দরজা খুলে আমাকে বললো,

~দেখা করেছিস?আমি ক্লান্ত চাহনি দিয়ে বললাম,
~জ্বী মা।মা বললো,
~তুই একবার ভেবে দেখতে পারিস।আমি মায়ের কথায় চিল্লিয়ে বললাম,
~ভুলে গেছো অপমান মা।আমার জন্য তোমরা অনেক সহ্য করেছো আর নয়। আমি অনেক পাগলামী করেছি একজন মানুষের জন্য আমি তোমাদের কথা শুনিয়েছি।তোমাদের বাসা থেকে তারা ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দিয়েছিলো আমার সব মনে আছে।বলেই হুহু করে কেঁদে উঠলাম মা তার আঁচল দিয়ে চোখ মুছে আমাকে বললো,
~আর কাঁদিস না মা একই বাড়ির ছেলে বলে যে সে খারাপ হবে এমন তো নয়।আমি মাকে বললাম,
~উচ্চ বংশীয় লোক মা বলা যায় না একভাই যেভাবে ঠকিয়েছে আরেক ভাই ও সেভাবেই ঠকাবে।

,,,,,,,
,,,,,,,
রক্তিম বারান্দায় দাড়িয়ে আছে তার পিছে কারো অস্তিত্ব টের পেয়ে পিছনে না ঘুরেই বললো,
~কী চাও আমার কাছে?মানুষটি কোনো কথা না বলে সেভাবেই দাড়িয়ে থাকলো রক্তিম আবার বললো,
~কী চাও বলে চলে যাও।এই বার সেই মানুষটির মুখ দিয়ে নারী কন্ঠ বের হয়ে আসলো।সেই নারী আর কেউ নয় রক্তিমের মা সে বলে উঠলো,
~রক্তিম তুই সেই থার্ড ক্লাস পরিবারের মেয়েকে বিয়ে করবি।২বছর আগে তোর ভাইকে কীভাবে বশ করেছিলো দেখিস নি তুই ওই মেয়েকে বিয়ে করবি শুনে রাখ আমি ওই মেয়েকে এই বাড়ির বউ হিসেবে মানবো না।নিজের মায়ের মুখ থেকে এ ধরনের কথা শুনে যুবকের মাথায় রাগ উঠে গেলো গত ২৮ বছরে সে কখনো তার মায়ের কথার বিরুদ্ধে যায় নি কিন্তু আজ সে বাধ্য তার মনের কাছে তার ভালোবাসার কাছে।তার পরিবার যে পাপ করেছে তা সে তার ভালোবাসা দিয়ে মুছে দিতে চায়।সে তার মায়ের দিকে ফিরে শান্ত চাহনিতে বললো,

~মা আমি এখন যথেষ্ট বড় হয়েছি নিজের জীবনের সিদ্ধান্ত আমি নিজে নিতে পারি।অনেক রাত হয়েছে তুমি ঘুমাতে যাও।তার মা কিছু বলতে যাবে তার আগেই সে বললো,
~মা আমি আর কোনো কথা বলতে চাই না।অতপর তার মা রাগে ফোস ফোস করতে করতে সে চলে গেলো তার রুমে।রক্তিম তার দৃষ্টি আকাশে রেখে ভাবছে যদি সে ২বছর আগে না চলে যেতে তাহলে আজ এমন কিছুই হতো না।ভেবেই সে দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বিছানায় গা এলিয়ে দিলো এই বিশ্বাসে সে চোখের পাতা এক করলো যে সকালটা হয়তো সুন্দর হবে।

,,,,,,
,,,,,,
সকালে আমি ঘুম থেকে উঠে বাহিরে অনেক সোরগোলের আওয়াজ আমার কানে এসে লাগছে। আমি ওড়না মাথায় পেচিয়ে রুমের দরজা খুলে বের হলাম মাকে অনেক বার ডাকলাম সে কোনো প্রতিউত্তর দিলো না তাই আমি চলে আসলাম সোফার রুমে এসে দেখি রক্তিম রায়জাদা সোফার উপরে পায়ে পা তুলে বসে আছে। আমি তাকে দেখেই বললাম,
~আপনি এখানে কী করছেন?সে বাঁকা হেসে আমার কাছে এসে বললো,

~বিয়ের কনে কী জানেনা আজ তার বিয়ে বলেই আমার বাবার দিকে তাকালো বাবা মাথানিচু করে আমার কাছে এসে কানে ফিসফিস করে বললো,
~অধরা আমার ব্যবসা রক্তিমের হাতে তুই যদি বিয়েতে রাজি না হস তাহলে সে আমাদের পথে নামিয়ে দিবে।আমি বাবার দিকে তাকিয়ে দেখলাম তার চোখ টলমল করছে।বাবার চোখে আবার পানি আসলো তাও আমার জন্য আমি রক্তিমের কাছে গিয়ে বললাম,
~আল্লাহ ছাড় দেন কিন্তু ছেড়ে দেন না আজকে আপনার ক্ষমতা আছে তাই আপনি গরীবের উপর জুলুম করছেন। এসব একদিন ঠিক ফুরাবে আমার কথায় রক্তিন বললেন,
~তুমি অনেক সুন্দর করে কথা বলো অধরা।সেই ২বছর আগের অধরা তুমি নও i am impressed. বলেই সে আমার হাতে বেনারসি শাড়ি দিয়ে বললেন,
~বিকেল ৪টায় রেডি থাকবে তোমার আর আমার বিয়ে।আর শুশুর আব্বা আমার পক্ষ থেকে কেউ আসবে না তাই কোনো আয়োজন করতে হবে না।আমাকে চোখ টিপ মেরে সে বাসা থেকে বের হয়ে গেলো।

,,,,,
,,,,,
আমি এখনও হতবাক হয়ে দাড়িয়ে আছি এ লোক কী বলে গেলো।বাবা আমার মাথায় হাত বুলিয়ে বললেন,
~মা আমাকে মাফ করে দে এই ব্যবসাটা ২বছর ধরে তিলেতিলে আমি গড়েছি তোর ভাইদের কী হবে তাই আমি স্বার্থপর হয়ে গেলাম। আমি বাবার কথায় চোখ মুছে বললাম,
~চিন্তা করোনা বাবা। তোমার মেয়েকে নিয়ে খেলা শেষ হলে সে এসে দিয়ে যাবে।বলেই ঘরে এসে দরজা বন্ধ করে মুখ চেপে ধরে কান্না করা শুরু করলাম আবার আমার অতীত আমাকে চেপে ধরলো ২বছর আগের সেসব লোকের সম্মুখীন আবার আমার হতে হবে কেন আমার সাথে এগুলো হয়।এগুলো ভাবছিলাম আর চোখের পানি ফেলছিলাম হঠাৎ ফোনের রিংটনে আমার ভাবনায় ছেদ ঘটলো আমি চোখ মুছে ফোন নিয়ে দেখলাম আননোন নাম্বার থেকে ফোন এসেছে।আমি রিসিভ করতেই অপরপাশ থেকে বলে উঠলো,
~২ বছর আগের অপমান ভুলে গেছিস?এই কন্ঠটা শুনে আমার রাগ অনেক বেড়ে গেলো এই মানুষটি আর কেউ নয় রক্তিমের মা।আমি বললাম,
~ভুলে যাওয়ার মতো কিছু আপনি করেননি।রক্তিমের মা বললো,
~ভুলেও আমার ছেলের সাথে তোর যেন বিয়ে না হয়।আমি তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে বললাম,
~আপনার ছেলেই তো আমার জন্য পাগল তাহলে কী করবো?আমি আপনার ছেলের বউ হয়ে শীঘ্রই আসছি বরণ ঢালা রেডি রাখবেন।বলেই ফোন কেটে দিলাম।আজ থেকে আরো এক নতুন অধরার সৃষ্টি হলো।

,,,,
,,,,
রক্তিমের মা অধরার এমন কথা শুনে হতবাক যে মেয়ে তার সামনে টু শব্দ করতো না সে কীভাবে আজ এতো কথা বললো।সে মনে মনে ভাবছে কীভাবে সে এই বিয়ে আটকাবে রক্তিমকে কীভাবে বুঝাবে।ছেলে তার এই মেয়ের জন্য কেন পাগল হলো।রক্তিম মায়ের রুমের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলো মায়ের কন্ঠ শুনে সে দাড়িয়ে যায় তারপর সব কথাশুনে অধরা হয়তো কোনো কঠোর কথা বলেছে তাই তার মা এতো ক্ষেপেছে সে মুচকি হেসে সেখান থেকে তার রুমে চলে গেলো।

,,,,
,,,
বিকেলে ঠিক ৪টায় রক্তিম এসে দেখলো অধরা রেডি হয়ে বসে আছে।তাকে দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে রক্তিম এসে অধরার হাত ধরলো।
রক্তিম যখন আমার হাত ধরলো তখন আমি বললাম,
~বিয়ে তো করছেন কিন্তু এই বিয়েতে আপনার সর্বনাশ আছে।রক্তিম মুচকি হেসে বললো,
~তোমার চোখে এভাবেই আমার সর্বনাশ বলেই আমার হাত ধরে সোফায় বসিয়ে দিলো তারপর ফোন বের করে কাকে যেন ফোন করলো।মা-বাবা আর দুভাই শুধু দাড়িয়ে আছে কিছুক্ষন পর কাজী সাহেব চলে আসলো।

চলবে।।।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ
পরবর্তী নিবন্ধ
গল্প পোকা
গল্প পোকাhttps://golpopoka.com
গল্পপোকা ডট কম -এ আপনাকে স্বাগতম......
RELATED ARTICLES

1 মন্তব্য

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments

Md masrur Hasan mahi على অবুঝ_বউ পার্ট: ৫
আমিনুল ইসলাম على প্রয়োজন পর্ব: ৩০ ( অন্তিম)
সাজিবুল ইসলাম على ধর্ষিতাবউ২ ৯ তথা শেষ পর্ব
শাহিদুল ইসলাম على জীবন সঙ্গী ১ম পার্ট
শাহিদুল ইসলাম على জীবন সঙ্গী ১ম পার্ট
Nita Sarkar على স্বপ্নীল ৬৮
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على রহস্য শেষ_পর্ব
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على অলক্ষ্যে তুমি পর্ব-০৬ এবং শেষ পর্ব
Nazmun Nahar Akhi على Psycho_is_back? part_7
Nazmun Nahar Akhi على Dangerous_Villian_Lover part 2
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على জানালার ওপারে পর্ব-১৭ এবং শেষ পর্ব
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على লীলা বোর্ডিং ১২১৫ পর্ব-১১ এবং শেষ পর্ব
মিজানুর রহমান রাহুল على সেই তুমি পর্ব-০১
@feelings على প্রহেলিকা
Anamika Basu على সে পর্ব-১২
Anamika Basu على সে পর্ব-১২
Nusrat jahan على coffee & vanilla Part-10
Pallabi Roy على স্বপ্নীল ৬৮
M.D Mahabub على The_Villain_Lover Part_2
Labani sarkar على Dangerous_Villain_Lover part 23
MD Akas Apc على বিবেক
Tanisha Ahmed على Devil love part-18 
Aius Barmon shorob على নারীর দেহকে নয়
Chandan roy على স্বপ্নীল ৬৮
Chandan roy على স্বপ্নীল ৬৮
Riya Biswas على তুমি রবে ৬০
Priya Banerjee على devil love married life last part
Riya Biswas على তুমি রবে ৬০
Riya Biswas على তুমি রবে ৫২
Mohammad Adib على তুমি রবে ৬০
Avni Ayesha على তুমি রবে ২৮
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
সুমিত على তুমি রবে ২৮
TANJIBA ZENIFAR على তুমি রবে ৫০
TANJIBA ZENIFAR على তুমি রবে ৫০
Samiah Begum على তুমি রবে ৫১
biddut das rocky على নর নারী
গল্প পোকা على নষ্ট গলি শেষ পর্ব
Md Jobayer Hossain Shohag على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
গল্প পোকা على দুই অলসের সংসার
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤৪২.
A.J.S Rakib على মন ফড়িং ❤৪২.
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
Samiya noor على গল্পঃ ভয়
Sadikul على গল্পঃ ভয়
Samia Islam على গল্পঃ ভয়
শূন্য মায়া على মন ফড়িং ❤ ৪০.
Sutapa biswas على মন ফড়িং ❤৩৯.
Foysal Mahmud على My_Mafia_Boss_Husband Part: 16
sutapa biswas على মন ফড়িং ❤ ৩৮.
sutapa biswas على মন ফড়িং ❤ ৩৭
Foysal Mahmud على My_Mafia_Boss_Husband Part: 16
Siyam على বিবেক
Sudipto Guchhait على My_Mafia_Boss পর্ব-৯
saptami karmakar على devil love married life last part
saptami karmakar على devil love married life last part
মায়া على মন ফড়িং ৩০.
মায়া على মন ফড়িং ৩০.
মায়া على মন ফড়িং ২৬.
Shreyashi Dutta على  বিয়ে part 1
Sandipan Biswas على  বিয়ে part 1
Paramita Bhattacharyya على অনুরাগ শেষ পর্ব
জামিয়া পারভীন তানি على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
মায়া على মন ফড়িং  ২২
সুরিয়া মিম على খেলাঘর /পর্ব-৪২
গল্প পোকা على মন ফড়িং ২১
গল্প পোকা على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
Sahin ssb على মন ফড়িং ২১
মায়া على মন ফড়িং ২১
মায়া على মন ফড়িং ❤ ২০.
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤ ২০.
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৮. 
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৭.
Jannatul Ferdous على খেলাঘর পর্ব-৩৫
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤ ১৬. 
গল্প পোকা على ফাল্গুনের_ফুল last_part_8
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৬. 
গল্প পোকা على ছাত্রী যখন বউ পাঠঃ ১
গল্প পোকা على বাজির প্রেম পাঠঃ ১
Foujia Khanom Parsha على মা… ?
HM Ashraful Islam على অবুঝ_বউ পার্ট: ৮
HM Ashraful Islam على অবুঝ_বউ পার্ট: ৫
Ibna Al Wadud Shovon على স্বার্থ