আজব প্রেমের কাহিনী
part : 16
writer : Mohona
.
নীড় মেরিনের চুলের সুবাসে আরো পাগল হয়ে যাচ্ছে। নীড় মেরিনের চুলে মুখ ডুবিয়ে দিলো। আর পেটে স্লাইড করতে লাগলো। মেরিন কোনোরকমে নিজেকে ছারিয়ে দুরে গিয়ে হাপাতে লাগলো।
.
মেরিন মনে মনে: এটা কেমন অদ্ভুদ feelings …. এমন কেন লাগছে….. আগে তো কখনো এমন হয়নি….
তখন নীড় মেরিনের কাধে হাত রাখলো। মেরিন ঝরের বেগে সরে দারালো। নীড়ের দিকে ঘুরলো। আর নীড়ের দিকে ঘুরে মেরিনের হাত পা আরো বেশি বরফ হয়ে গেলো। কারন নীড় অদ্ভুদ ভাবে তাকিয়ে আছে।
মেরিন: বববাসায় যযযাবো।
মেরিনের কি বলল তা নীড় বোঝেনি। কেবল ওর কাপা ঠোটজোরা দেখলো আর ভাঙা কন্ঠ শুনলো। যা দেখে আর শুনে মনে হলো কেউ ওকে নেশা করাচ্ছে। নীড় মেরিনের কোমড় টেনে সামনে আনলো। এরপর মেরিনের কপালে , গালে, চিবুকে, নাকে kiss করলো। এরপর মেরিনের ঠোট জোরা দখল করে নিলো।
মেরিন নতো friz…. ওর চোখ গুলো রসোগোল্লার মতো বড় হয়ে গেলো।
.
৫ মিনিটপর….
নীড় মেরিনকে ছারলো। কেন যেন guilty feel হচ্ছে। কিন্তু মেরিনের দিকে তাকিয়ে নীড় হাসি চলে এলো।
নীড়: মেরিন…. মেরিন…..
নীড় মেরিনের কাধে হাত দিয়ে নেরে দিলো।
নীড়: মেরিন….
মেরিন:হামম।
নীড়: কি হয়েছে??।
মেরিন: এটা কি ছিলো…..
নীড়: কেন? ভালোছিলোনা? এটা ১টা মিষ্টি….
মেরিন: মিষ্টি?
নীড়: হামম।
মেরিন: এটা কেমন মিষ্টি… এটা তো…
নীড়: এটা তো best মিষ্টি।
মেরিন: মানে??
নীড়: যেদিন ঝাল খাবে সেদিন বুঝবে।
মেরিন:?।
নীড়: অতিরিক্ত ঝালের মধ্যে এই মিষ্টি খেলে সাথে সাথে ঝাল চলে যায়। ?।
মেরিন: সত্যি..
নীড়: আরো লাগবে?
মেরিন: না না.. yuck…. আমার তো দম ছারতে কষ্ট হয়। yuck …. আমি আর কখনো খাবোনা….
নীড়:??।
মেরিন: হাসেন কেন??।
নীড়: কিছুনা। বাসায় চলো।
মেরিন:হামম। কিন্তু আমি কিন্তু আর কখনো এই মিষ্টি খাবোনা।
নীড়: আহচ্ছা…. ?. চলো।
মনে মনে: পাগলি।
নীড় ready হয়ে যা। আগে বউকে লালন-পালন করে বড় করতে হবে। এরপর বাচ্চা কাচ্চা। ভালোই হবে বউকে ইচ্ছা মতো ভালোবাসতে পারবো…. আদর করতে পারবো..??… বউ আমার মিষ্টি পাগল।?।
.
২দিনপর…..
সবাই cox’s bazar পৌছালো। মেরিন তো নীড়ের কোলে শুয়েই পৌছালো। সেদিনের পর থেকে মেরিনের প্রতি নীড়ের ভালোবাসা আরো বেরে গিয়েছে। সাথে মেরিনকে নিয়ে over possessive হয়ে গেছে।
.
রাতে…..
young party রা বসে আছে। আড্ডা মারছে। সবাই বায়না ধরলো নীড়ের গান শুনবে। নীড় গিটার বাজিয়ে গান ধরলো।
??
গুলাবি আখে যো তেরি দেখি
সারাবি ইয়ে দিল হো গেয়া….
,,,,,,
বুরা ইয়ে জাদু তেরে আখোকা
কে মেরা কাতিল হো গেয়া….
,,,,,
যারাসা হাসকে যো দেখা তুনে
ম্যা তেরা বিসমিল হো গেয়া ।
??
নীড় যাকে উদ্দেশ্য করে গাইলো সে ছারা সবাই নীড়ের গানের মানে বুঝলো….
.
পরদিন….
মেরিন হাটতে হাটতে অনেক দুরে চলে এলো।
মেরিন: ভীষন করে ice cream খেতে ইচ্ছা করছে।
✨??
১টা ice cream চলে আসুক।
ইলি গিলি ফুস।
✨?? ।
তখন ১০টা ice cream ওর হাতে চলে এলো। মেরিন খেতে খেতে হাটতে লাগলো। তখন দেখলো ২জন লোক ১টা বাচ্চা ছেলেকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে। আর বাচ্চা ছেলেটা বাচাও বাচাও করছে।
মেরিন: এতো সাহস এই বাচ্চাটা ধরে নিয়ে যাওয়া? দারা দেখাচ্ছি মজা…..
বলেই মেরিন magical হাত দিয়ে ২জন ধপাস ধপাস মারতে লাগলো। বাচ্চাসহ বাকী ২জন
তো: ? ।
৩জনই ভয়ে অজ্ঞান হয়ে গেলো।
মেরিন: কি হলো??।
তখনই ওখানে কবির হাজির।
মেরিন: ওরে বাবারে জল্লাদ বাপ…..
কবির: খবরদার এক পাও নরবেনা…..
মেরিন: ততততোমার এএএমন কককেন মনে হচ্ছে যে আমি পালাবো…. ?.
কবির: তোমাকে হারে হারে চিনি…….
মেরিন: তো মহারাজ আপনার এখানে আসার কারন? দেখতে এসেছেন আমি কেমন বিদঘুটে আছি? for your kind information …. আমি এখানে বিন্দাস আছি। now you get lost…
কবির: তুমি কি চাও আমি তোমার ওপর সবসময় রেগে থাকি??।
মেরিন: আমার চাওয়ার কি আছে মহারাজ? আপনিতো always আমার ওপর রেগেই থাকেন। ?। আমার তো মনে হয় আপনি আমার বাবাই না।
কবির:১টা থাপ্পর দিবো।
মেরিন: huh….
কবির: যাই হোক। আমি বলতে এসেছি যে তোমার magic মানুষ দেখে ফেলেছে। তাই তোমার শাস্তি আরো ৭পূর্নিমা বেরে গেলো।
মেরিন: অ্যা…. ? …
কবির: হ্যা…..
বলেই কবির চলে গেলো।
.
মেরিন ওখানেই বসে পা ছরিয়ে ঠোট উল্টিয়ে ভ্যা ভ্যা করে কাদতে লাগলো।
ওদিকে…..
নীড় মেরিনকে খুজতে খুজতে মেরিনের সামনে এসে পরলো। ভেবেছিলো মেরিনকে পেলে ঠাস করে থাপ্পর মারবে। কিন্তু মেরিনকে এভাবে কাদতে দেখে নীড়েপ বুকটা মোচর দিলো। দৌড়ে মেরিনের কাছে গেলো। মেরিনকে বুকে জরিয়ে নিলো।
নীড়: কি হয়েছে তোমার? জান তুমি কাদছো কেন?
মেরিন: আমি আমাদের বাসায় যাবো… আম্মুর কাছে যাবো…. আপুর কাছে যাবো।?..
নীড় বুঝতে পারলো যে মেরিনের বাড়ির কথা মনে পরেছে। কিন্তু নীড়ের কিছু করার নেই। নীড়তো জানে যে মেরিনের মা-বাবা নেই।
নীড়: থাক জান কাদেনা….
মেরিন: আমি যাবো। ?। আম্মু….
মেরিন কাদতে কাদতে ঘুমিয়ে গেলো। নীড় মেরিনকে কোলে করে কটেজে নিয়ে গেলো।
.
পরদিন…..
আজকে রং খেলা।
( kindly আবার কেউ রং খেলা নিয়ে আন্দোলন করবেন না। আমাদের familyএর মধ্যে বিয়েতে রং খেলা হয় তাই দিয়েছি। )
মেরিন তো মহাখুশি। কারন আর কখনো মেরিন রং খেলা দেখেনি। মেরিন সাদা রঙের থ্রীপিছ পরে বেরিয়ে এলো। নীড় মেরিনকে দেখে মুঠো ভরতি রং নিয়ে মেরিনের দিকে যেতে লাগলো। নীড় যেতে যেতে রাজ মেরিনের সামনে গিয়ে মেরিনের গালে রং ভরিয়ে দিলো।
মেরিন:?..
নীড়:??।
নীড়ের তো রাগ উঠে গেলো। ও এখনো কাউকে ওর গায়ে রং লাগাতে দেয়নি। মেরিনের হাতে রং লাগাবে বলে।
রাজ: কি সুন্দরি… আমার রঙে তো রাঙিয়ে দিলাম।
মেরিন: দারান আপনাকে দেখাচ্ছি মজা।
বলেই মেরিন রাজকে রং লাগাতে গেলে আশেপাশে কোনো রং পেলোনা।
তাই নিজের গাল থেকে রং নিয়ে রাজের গালে লাগিয়ে দিলো। ব্যাস আর কি লাগে।
নীড় তো এখন রাগে ফেটেই যাবে। ওর চোখ দেখে এখন যে কেউই ভয় পাবে।
.
রাত ডাকতে আসলো নীড়কে।
রাত: এই নীড় শোন না….
বলতে না বলতেই নীড় ঠাস করে রাতকে থাপ্পর মেরে ওখান থেকে চলে গেলো।
সবাই:?।
.
বিকালে…..
নীড় ফিরলো।
নীড়:৫মিনিটের মধ্যে যেন রুমে coffee যায়।
বলেই নীড় রুমে গেলো। সবাই জানে যে মেরিনকেই কফি নিয়ে যেতে হবে।
.
৩মিনিটপর….
মেরিন কফি নিয়ে গেলো।
মেরিন: স্যার আপনার কফি।
নীড় ঠাস করে মগটা আছার মারলো। আর মেরিনের গাল চেপে ধরলো।
নীড়: তোর সাহস কিভাবে হয় রাজের হাতে রং লাগানোর? আবার নিজের গায়ের রং রাজের গালে লাগানোর? বল…. বল….
ব্যাথায় মেরিনের জান বেরিয়ে যাচ্ছে।
নীড় ছেরে দিলো মেরিনকে। মেরিন ১দৌড়ে রুমে চলে গেলো।
নীড়: এতো সাহস? চলে গেলো???।
.
পরদিন….
সবাই বসে চা খাচ্ছে। নীড়ও ওখানে গেলো। আর নীড় যেতেই মেরিন-রাত অভিমানে-রাগে চোখ ঘুরিয়ে নিলো। নীড় রাতের সামনে গেলো।
নীড়: কি হয়েছে আমার ছোটোবেলার বউটার…
রাত: কথা বলবিনা আমার সাথে…. জুতো মেরে গরু দান করছিস….
নীড়: আচ্ছা এই দেখ কানে ধরে sorry …..
রাত:huh….
নীড়: এখন কি কানে ধরে উঠবস করবো?
রাত:হামম। ৫০বার।
নীড়: anything for you….
মেরিন মনে মনে: শালা…. আমাকে কতোবার থাপ্পর মেরেছে তবুও এভাবে sorry বলেনি। ১বার বিয়েটা হয়ে যাক এদের এখানে আর থাকবোনা।
নীলা: মেরিন…
মেরিন: হামম নীলাপু…. sorry নীলা ম্যাম…..
নীলা: মারবো ধরে। আমি সবসময়ই তোমার নীলাপু ই থাকবো।
মেরিন: হামম।
নীলা: এখন আসো তো একটু আমার সাথে…..
মেরিন: চলো।
.
২০মিনিটপর…..
সবাই ভাবছে আজকে সন্ধ্যা কটাতে কি কি করবে। তখনই সবাই শুনতে
পেলো: আআআ স্যার বাচান….
এই কদিনে সবার মুখস্ত হয়ে গেছে মেরিনের আচরন। মেরিন তো চোখ বন্ধ করেই নীড়ের দিকে দৌড়ে আসছে।
নীড় মনে মনে: নেবোনা…. একদম নেবোনা কোলে….. উঠুক আজকে ওই রাজের কোলেই উঠুক।
নীড়: রাজ ভাইয়া…. ওকে কোলে নাও।
প্রনয়-নীলা:?।
রাজের খুশি দেখেকে….. রাজ দৌড়ে গিয়ে মেরিনকে কোলে তুলে নিলো। মেরিন আজও রাজের শার্টের ১টা বোতাম খুলতেই বুঝলো এটা নীড় না। ধপ করে নেমে গেলো। নীড়ের দিকে তাকিয়ে দেখলো রাতকে কোলে নিয়ে বসে আছে। মেরিন তো রেগে আগুন।
সেদিন দারুন ভাবে program শেষ হলো।
.
পরদিন….
আজকে rest…..
আগামী কাল হলুদ হবে ।
সারাদিন নীড় রাতকে নিয়ে ঢং করেছে।
মেরিন মনে মনে: ইশ ভাব দেখলে আর বাচিনা। স্যারের গা ঘেষেই বসে আছে। দারা দেখাচ্ছি।
✨??
স্যার এখনই এই করাতকে পাশ থেকে লাথথি মেরে সরিয়ে দিক। ওর দিকে যেন ফিরেও না তাকায়।
ইলি গিলি ফুস।
✨??
মেরিন জাদু করতেই
নীড় বলল: ছোটবেলার বউ…
রাত: হামম।
নীড়: তুই এতো দূরে কেন? আমার কোলে এসে বস।
রাত: ?। এখনই বসছি।
নীড় মনে মনে: what the hell!!! কি বলছি এসব?
রাত: কি রে কি ভাবছিস?
নীড়: তোকে দেখে মনই ভরেনা।
নীড় মনে মনে: oh no…. কি বলছি…. এসব…… সেই কাল থেকে পাগলিটাকে কোলে নেইনা…. মন মানছেনা।
মেরিন উঠে দারিয়ে গেলো। নীড় বকতে বকতে হাটতে লাগলো। আর ধপাস করে পরে গেলো।
সবাই:??
.
দুপুরে খাওয়ারপর….
ঝালের চোটে মেরিনের চোখের পানি নাকের একসাথে হয়ে গেছে।
নীড় : আজকে খাবারে এতো ঝাল কেন?
রুপা: হ্যা অনেক ঝাল।
নীড়: মিষ্টিতে কি আছে?
নীলিমা: আজকে নাকি মিষ্টিতে কিছু করেনি?
নীড়: what? এটা কেমন কথা?
রাত: তুই রাগছিস কেন? তুই তো মিষ্টি পছন্দই করিসনা।
নীড় মনে মনে: মেরিনযে ঝাল খেতেই পারেনা। আর মিষ্টি না খেয়ে থাকতে পারেনা….
মেরিন মনে মনে:
✨??
এখনই কেউ এখানে এত্তোগুলো মিষ্টি নিয়ে আসুক।
ইলি গিলি ফুস।
✨??
মেরিন জাদু করতেই নীড় মেরিনের দিকে তাকালো। দেখলো ঝালের চোটে মেরিনের ঠোট লাল হয়ে আছে। নীড় আর কিছু না ভেবে উঠে গিয়ে মেরিনের ঠোট জোরা দখল করে নিলো।
সবাই:????।
যে যে যার যার মতো উঠে গেলো। কারন এমন দৃশ্য সবার পায়ের নিচের মাটি সরিয়ে দিয়েছে।
.
রাত মনে মনে: এই মেয়েকে তো আমি…..
.
রাত ৯টা….
নীড় বসে বসে
ভাবছে : আমিও না পাগল। কেন যে তখন অমনটা করতে গেলাম….. করেছি বেশ করেছি। কার বাপের কি… ??..
প্রনয় এসে নীড়ের কান মলে দিলো।
নীড়: আহ ভাইয়া লাগছে তো।
প্রনয়: লাগার জন্যেই তো ধরেছি। তখন এমনটা করলে কেন? জানো সবাই কতোটা লজ্জায় পরে গিয়েছিলাম।
তখনই নীলা হন্তদন্ত হয়ে এলো।
নীড় : আরে ভাবি। কি হয়েছে?
নীলা: মেরিন….
নীড় অস্থির হয়ে
বলল : কি হয়েছে মেরিনের….
নীলা: কোথাও পাচ্ছিনা….
নীড়: what?
নীড় আর ১সেকেন্ডও দারালোনা।
.
বাড়িসুদ্ধ লোক মেরিনকে খুজতে লাগলো। রাজ storeroom এ গিয়ে দেখলো মেরিন অজ্ঞান হয়ে পরে আছে।
রাজ: মেরিন…..
সবাই দৌড়ে এলো। নীড় এসে দেখলো রাজের কোলে মেরিন। নীড় দুম করে মেরিনকে নিজের কোলে নিয়ে নিলো। নীড় চারদিকে চোখ বুলিয়ে বুঝতে পারলো যে মেরিন ভয়ের চোটে অজ্ঞান হয়েছে। এরপর সবার মুখের দিকে তাকালো। নীড় মেরিনকে খাটে শুইয়ে বাইরে এলো।
.
নীড় বাঘের গর্জন করে
বলল: রাত….
সবাই কেপে উঠলো। রাত কাপতে কাপতে নীড়ের সামনে দারালো। নীড় ঠাটিয়ে ১টা থাপ্পর মারলো। রাত নিচে পরে গেলো।
নীড়: তোর সাথে ছোটো বেলার বন্ধুত্ব তাই এতোদিন ভালোভাবে বলেছি। কিন্তু আজকে সীমা অতিক্রম করে ফেলেছিস। মেরিন শুধু কোনো প্যাচ গোচ বোঝেনা বলে তুই যা নয় তাই বলে ওকে অপমান করছিস….. সাথে তোর মা-বাবাও। আর যদি কখনো এমন করেছিস…..
সবাই চুপ।
নীড়: আর হ্যা…. সবাই শুনে রাখো মেরিনই নীড় আহমেদ চৌধুরী বর্ষনের হবু বউ…. কেউ মেরিনের দিকে চোখ তুলে তাকানোর আগে ১০ বার ভাববে। got it….
.
সকালে…
মেরিনের ঘুম ভাঙলো। দেখলো ও কারো বুকের ভেতর ঢুকে আছে। আর এই বুকটা ওর চিরচেনা।
.
চলবে….