আজব প্রেমের কাহিনী part : 15

0
1952

আজব প্রেমের কাহিনী
part : 15
writer : Mohona

নীড়ের জ্বর ভালো হয়ে গেলো। নীড় আজকেও জ্বরের ঘোরে মেরিনকে দেখলো। দেখতে দেখতে ঘুমিয়ে গেলো। নীড় ঘুমাতেই মেরিন নীড়ের কপালে চুমু একে দিলো। কেন তা জানেনা। এরপর বাড়ি থেকে বের হয়ে আকাশে উরতে লাগলো। উরে উরে গিয়ে ১পাহাড়ের চূড়ায় গিয়ে বসলো।
মেরিন: আপনার সব কাজে তো মনে হয়না যে আপনি অহংকারী….. আসলে আপনি কেমন? পৃথিবীতে এসেই সবার আগে আপনার সাথে পরিচিত। অথচ আপনি বাদে সারা পৃথিবীকে প্রায় চেনা হয়ে গেলো। আপনিই অচেনা রয়ে গেলো। আজ না হয় জেনে নেই আপনি মানুষটা কেমন?
মেরিন চোখ বন্ধ করে নীড়ের সকল দোষ-গুন জেনে নিলো। আর দেখলো ১জন মানুষ হিসেবে নীড় খুবই ভালো।

.

সকালে….
নীলিমা নীড়কে দেখতে এলো। নীড়ের কপালে হাত দিয়ে দেখলো। জ্বর নেই।
নীলিমা: যাক আল্লাহর রহমতে জ্বরটা নেই।
মায়ের পরশ পেয়ে নীড়ের ঘুম ভাঙলো। নীড় মায়ের কোলে মাথা রাখলো। নীলিমা ছেলের মাথায় হাত বুলাতে লাগলো।
নীলিমা: শরীরের এই অবস্থা নিয়েও জনসেবা করতে গেলে কেন?
নীড়:….
নীলিমা: নিজের কথা কি কখনোই ভাববে না….
নীড়: এখন থেকে ভাববো মামনি…. কারন এখন যে হারানোর ভয় আছে। এখনযে পলক ফেলতেও ভয় লাগে। যদি চোখ মেলে মেরিনকে না দেখতে পাই….. আর তাছারাও পলক ফেলা মানে সময় নষ্ট করা। পলক ফেলে সময় নষ্ট না করে মেরিনকে দেখা অনেক ভালো…….
নীলিমা: খুব ভালোবাসো মেরিনকে….. তাইনা?
নীড়: হামম। তখনই রাত খাবার নিয়ে নীড়ের রুমে ঢুকলো।
নীলিমা: আরে রাত তুমি….
মনে মনে: আসছে আমার ছেলের গলায় ঝুলতে… ?….
রাত: ওগো…. ওঠো। fresh হয়ে নাও।?। সাসু mom…. তুমি এখন আসতে পারো…. ?।
নীলিমা: হামম।
মনে মনে: বেহায়া মাইয়া….
নীড়: মামনি দারাও তো…. ওই রাত তুই কি মানুষ হবি না?
রাত: না….?? ।
নীড় কথা না বলে সোজা মেরিনের রুমে গেলো। মেরিনের কপালে চুমু দিয়ে নিজের রুমে এসে fresh হয়ে নিচে গেলো।

.

২দিনপর…..
খাবার টেবিলে…..
দাদুভাই: তোমরা ২ভাই কি business নিয়েই থাকবে নাকি? ২০দিন পর যে বিয়ে সে খেয়াল কি আছে?

নীড়: সে খেয়াল আছে বলেই তো বেশি বেশি কাজ করা। destination wedding এর জন্য যে ১০দিন কাজ off দিতে হবে।
দীদা: প্রনয়ের কাছে থেকে কাজ নিয়ে ভাষন আশা করা যায়। কিন্তু তোমার কাছে এটা আশা করিনি। তুমি এতো কর্ম প্রেমি কি করে হলে বলো তো… ?
নীড়: দীদা ডার্লিং… কাজ না করলে বউকে খাওয়াবো কি??
দাদুভাই: চৌধুরী সম্রাজ্যে কি ধন ফুরিয়ে গিয়েছে যে তোমার এতো চিন্তা?
নীড়: o hello…. আমার বউ আমার টাকাতে চলবে। আমি আমার fasion city কে আমি অনেক প্রসারিত করবো। যাতে আমার বউ গর্ব করতে পারে। আর আমার বউএর সকল আবদার বলার আগেই পূরন করতে পারি.. ❤️..
রাত: জামাই .. তুই আমাকে এতো ভালোবাসিস??।
নীড়: চুপবে….
দীদা: আচ্ছা যাই হোক… shopping টা তো করতে হবে….
প্রনয় : আগে বলবে তো…. কাল office থেকে এসে shopping শেষ করবো।
রাত: প্রনয়দা…. shopping কি কোনো business deal…. যে গেলাম signature করলাম আর চলে এলাম…. shopping করতে minimum 10দিন লাগবে। এটা বিয়ের shopping বুঝেছো ….
নীড়: shopping করার কথা হয়েছে… shopping mall কেনার কথা বলা হয়নি…. ??. …
মেরিন: হ্যা সেটাই তো। shopping mall এ যাবো। choose করবো আর কিনবো। শেষ।☺️।
রাত: এরমধ্যে তুমি কথা বলছো কেন?
মেরিন: কারন আমার মুখ আছে আর আমি কথা বলতে পারি তাই…. ☺️☺️…
রাত: shut up you idiot….
প্রনয়: রাত….. মুখ সামলে কথা বলো।
রাত: প্রনয়দা….
প্রনয়: তোমরা আজকে থেকেই shopping start করো।
রুপা:তোমরা মানে?
প্রনয়: মহিলারা…..
রুপা: এইযে বিয়ে তো কেবল নীলার না তোরও। so তোদেরও যেতে হবে ।
প্রনয়: office ফেলে কিভাবে?
নাহিল: office ছুটিরপর….
নীড়: oh… ok… ভাইয়া কাকা তো ঠিকই বলেছে।
প্রনয়: ok then…… চলে আসবো। আর হ্যা মেরিনকে নিয়ে আমি বাড়িতে কোনো গবেষনা চাইনা।
ওরা office গেলো। আর মেরিনও।

.

আজও রাত নীড়ের office এ হাজির। আর এসে নীড়ের কোলে বসলো।
নীড়: এই তুই কিরে? ভালো করেই জানিস যে আমার এসব ভালো লাগেনা। নাম কোল থেকে।
রাত: তাহলে ভালোবাসবি বল…..
নীড়: থাপ্পর মারবো। ?।
রাত: ইস….
বলেই রাত নীড়ে ঘাড়ে মুখ ডুবিয়ে kiss করতে লাগলো। নীড় just ধাক্কা দিবে তখনই মেরিন রুমে ঢুকলো।
মেরিন : স্যার…. ?।
মনে মনে: এই ফকিন্নি মার্কাটা আবার স্যারের কোলে?????। কিন্তু স্যারের ঘাড়ে মুখ গুজে কি করে??। আজকি স্যারের ঘাড়ে মাথা ঢোকাবে…. তা ঢোকাক। কিন্তু স্যারের কোলে উঠলো কেন???
নীড়: মমমেরিন….
রাত নীড়ের ঘাড় থেকে মুখ সরালেও কোল থেকে নামলো না।
রাত: এই মেয়ে knock করে আসতে পারেনা। আরেকবাক knock না করলে থাপরে গাল লাল করে দিবো।
মেরিন: আজব তো ১জন বলে knock না করে আসতে অন্যজন বলে knock করে আসতে। ধুর ভালোলাগেনা।
মেরিন বেরিয়ে যেতে নিলে নীড়
বলল: দারাও।
মেরিন: কি??
নীড়:রাত তুই….
রাত: নামবো না…. এই তোর গলা জরিয়ে ধরলাম।
নীড়: এটা office রাত।
রাত: তো…..?…
নীড়:?।
নীড়ের চোখ দেখে ভয়ে রাত নেমে গেলো।
নীড়: কি হয়েছে মেরিন?
মেরিন: স্যার mr. আলমের লোন লাগবে। সে application করেছে।
নীড়: লোন লাগবে কেন? reason কি দিয়েছে লোনের?
মেরিন: স্যার তার মেয়ে অসুস্থ। surgery করতে হবে।
নীড়: what? কতো টাকার লোন application করেছে?
মেরিন: স্যার ২ লাখ টাকার।
নীড় :হামম।
বলেই নীড় accounted কে call করে ৬লাখ টাকা mr. আলমকে দিয়ে দিতে বলল।
রাত: ৫লাখ চাইলো আর তুই ৬লাখ দিলি কেন?
নীড়:এটা আমার তরফ থেকে অনুদান।
রাত: তোর সমাজসেবা কখনো যাবেনা।??
মেরিন: সমাজসেবা কি??।
রাত: ওই তুমি যাও তো।
মেরিন: huh….
বলেই মেরিন যেতে নিলে রাত
বলল: ২টা কফি দিয়ে যেও।
মেরিন: হামম।
মেরিন বের হলো।

.

রাত নীড়ের সামনে যেতে নিলে নীড় ওকে থামিয়ে দিলো। কারন নীড় ভালোমতো জানে মেরিন ২মিনিটের মধ্যেই কফি নিয়ে আসবে।

.

২মিনিটপর….
মেরিন: may i come in sir….
রাত: come …..
মেরিন রাত কফি দিয়ে নীড়কে দিতে গেলে নীড় কাপটা ১টা আছার মারলো।
মেরিন:?।
মেরিন অবাক হলো। নীড় কাপ আছার মেরেছে তারজন্য না। কারন এইকদিনে নীড়কে হাজারটা কাপ ভাঙতে দেখেছে। মেরিন অবাক হলো এটা ভেবে যে আজকে কেন ভাঙলো।
নীড়: কতোদিন কতোবার বলেছি তুমি ঢোকার সময় permission নেবেনা….?. কানে যায়না কথা? idiot…..
মেরিন:রাত ম্যামই তো বললেন। ?।
নীড়: salary আমি তোমাকে দেই রাত না। now get out from here…..

.

মেরিন নিজের রুমে গেলো।
মেরিন: এ্যাহ…. খালি রাগ দেখায়। শালা ফকিন্নি…. আমাকে bossগিরি দেখায়…. salary দেখায়….. huh… লাগবেনা তোর salary…. লাগে salary এর জন্য মরে যাচ্ছি। আমার পরীরাজ্যে যাওয়ার সময় হয়ে গিয়েছে। এরপর তুই দিনরাত ওই রাত না করাতকে কোলে নিয়ে বসে থাকিস। আমি একটু ভয় পেয়ে কোলে উঠি বলি কতো বকে। আর ওই করাতকে নিয়ে বসেই থাকে। থাকবেই তো ছোটবেলার জামাই-বউ না…. huh…..

.

বিকালে…
office ছুটি।
রাত: কিরে আর কতোক্ষন…. shopping এ যাবিনা?
নীড়: হামম।
মনে মনে: মেয়েটা সারাদিনেও আর এলোনা….
নীড়: রাত তুই একটু বোস আমি আসছি। এসেই বের হবো।
নীড় মেরিনের রুমে গেলো। গিয়ে দেখলো মেরিন টেবিলে মাথা রেখে ঘুমাচ্ছে।
নীড়: পাগলি।
নীড় মেরিনকে কোলে তুলে নিজের রুমে গেলো।

.

রাত: একি মেয়েটাকে আবার কোলে তুলেছিস কেন?
নীড়: ও ঘুমিয়ে পরেছে তাই।
রাত: গাজাখুরি কথা বলিস না তো….. ঘুম থেকে কি ওঠানো যায়না?? ।
নীড়: আমি ওঠাবোনা। চল।
নীড় মেরিনকে নিয়ে গাড়ির front sit এ বসালো।
রাত: ওকে কেন সামনে বসালি?
নীড়: আমার ইচ্ছা।
রাত:ও তো ঘুম। ওকে পিছে শুইয়ে দে।
নীড়: by chance পরে টরে গেলে…..
রাত: তোর মনে হয়না যে তুই বেশি করছিস??।
নীড়: no…. আমার মনে হয় কম করছি।
রাত চুপ রইলো। ওরা shopping mall এ পৌছালো।

.

নীড়: মেরিন….
মেরিন…..
রাত দেখলো নীড় কতো মিষ্টি করে মেরিনকে ডাকছে।
নীড়: মেরিন…..
মেরিনের ঘুম ভাঙলো। মেরিন আধো আধো ভাবে চোখ মেলল। নীড় আরো ১বার crush খেলো । মেরিনের ওভাবে তাকানোতে……
মেরিন: আমি কোথায়?
রাত: চোখে কি কম দেখো নাকি?
নীড়: রাত…. তুই আরেকবার বেশি কথা বললে আমার থেকে খারাপ কেউ হবেনা।
রাত:?
ওরা গাড়ি থেকে নামলো। বাকীরাও পৌছালো। সবাই মিলে shopping করতে লাগলো।

.

৩দিনপর….
আজকে friday …. তাই সকাল থেকেই সবাই shopping করতে বেরিয়েছে।

১টা jewelry shop এ….

সবাই গহনা দেখছে।
মেরিন : স্যার…
নীড়: হামম।
মেরিন: এখানের সব গহনা এই একই রঙের কেন?
নীড়: কারন সব স্বর্নের।
মেরিন: স্বর্ন কি?
নীড়: gold…..
মেরিন: gold কি?
রাত: এই মেয়ে তুমি কি?
মেরিন: আমি মেরিন…. ?☺…
রাত: তো….
নীলিমা: মেরিন….
মেরিন: জী ম্যাম….
নীলিমা: একটু এখানে আসো তো।
মেরিন: জী ম্যাম…..
মেরিন গেলো। তখন নীলিমা ওর হাতে ১টা bracelet পরিয়ে দিলো।
মেরিন: ম্যাম আপনি আমাকে এটা কেন পরালেন?
নীলিমা: আমার ইচ্ছা। এখন বলোতো….. এটা কেমন?
মেরিন: ভীষন সুন্দর।
নীলিমা:তাই?
মেরিন: হামম হামম।
নীলিমা: তাহলে এটা তোমার। ☺☺।
মেরিন: কেন?
নীলিমা:কারন আমি বলেছি।
মেরিন: ok….
নীলিমা: কলিজাটা….
মেরিন: ম্যাম আমি এটা স্যারকে দেখিয়ে আসি….?
নীলিমা: যাও….
মেরিন নীড়কে দেখাতে গেলো।
চম্পা: নীলি…. তোমরা তো দেখি দেখি পায়ের জুতোকে মাথায় তুলছো।
নীলিমা: চম্পা মেরিন জুতো নয়। রত্ন।

.

নীড়ের চোখ গেলো ১টা পায়ের আংটির দিকে।
নীড় মনে মনে: মেরিনের তো bracelet , ring, pendant , earing anklet সবই আছে। কিন্তু পায়ে তো আংটি নেই।
নীড় : excuse me…. ওই পায়ের আংটিটা দেখি তো…..
দোকানী বের করলো।
নীড়: its beautiful …. আচ্ছা এমন আরেকটা আংটি হবে?
দোকানী: স্যার ১টাই আছে। তবে আপনি যদি বলেন তবে আরেকটা order দিবো।
নীড়:ok… but শুনুন…. আপনাদের কাছে কি pink diamond আছে?
দোকানী: স্যার pink diamond ভীষন rare…. আমাদের দোকানে কেন সারাদেশে আছে কিনা সন্দেহ…..
নীড়: no worry…. আমিই দিবো। ১কাজ করুন এমন same আরেকটা আংটি কালকের মধ্যেই ready রাখবেন।
দোকানী: স্যার যেখানে আমাদের shop দেশের সেরা jewelry shop… এখানেই নেই। আপনি কোথাও পাবেন না।
নীড়: chowdhuri & diamonds এর নাম শুনেছেন?
দোকানী: স্যার এটা কে না শুনবে?
নীড়:এটা আমাদের। আমি নীড় আহমেদ চৌধুরী বর্ষন……
দোকানী:?।
তখন ওখানে মেরিন হাজির।
মেরিন: স্যার স্যার স্যার…..
নীড়: হামম হামম হামম।
মেরিন: দেখুন দেখুন নীলিমা ম্যাম আমাকে এই braceletটা
নীড়: পছন্দ হয়েছে?
মেরিন: হামম হামম ।
নীড়: পাগলি……

.

৩দিনপর……
মেরিন ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে।
মেরিন: আজ এখনও স্যার এলোনা কেন? ?। আজকে কি স্যার আসবেননা? আবার sound protection এর ব্যাবস্থা করতে হবে। নির্ঘাত ওই করাতকে কোলে নিয়ে বসে আছে…. খাওয়ার সময়েও তো ওই করাত স্যারের কোলে বসেই খাচ্ছিলো। ধুর ভালোলাগেনা।
মেরিন বারান্দায় গিয়ে গাল ফুলিয়ে বসে রইলো। একটুপর নীড় এসে পেছন থেকে মেরিনকে কোলে তুলে নিলো।
মেরিন: আ….
নীড়: shh…its me…
মেরিন: আপনি? আপনি এখানে কেন? যান করাতের কাছে… huh।
নীড়:করাত!!
মেরিন: কিছুনা। নামান আমাকে।
নীড়: আচ্ছা আমার PA টা এতো রেগে আছে কেন?
মেরিন:জানিনা। নামান আমাকে। ?।
নীড়: নামাবো।
বলেই নীড় মেরিনকে নামালো।
এরপর ১টা প্যাকেট দিয়ে
বলল: এর ভেতরে ১টা শাড়ি আছে। যাও পরে আসো।
মেরিন: কিন্তু আমি তো শাড়ি পরতে পারিনা।
নীড়: ওহ। ভুলেই গিয়েছিলাম। যাও পেডিকোট আর ব্লাউস পরে আসো। শাড়ি আমি পরিয়ে দিচ্ছি।
নীড় বেশ romantic ভাবে শাড়ি পরিয়ে দিলো। ???।

এরপর নীড় মেরিনকে কোলে নিয়ে ওর new bike এর সামনে গেলো।
মেরিন: এটা কি?
নীড়: my new bike…
মেরিন: কবে কিনলেন?
নীড়: ৩ঘন্টা আগে।
মেরিন: কেন?
নীড়: তোমাকে বসিয়ে ধুরবো বলে।
মেরিন: মানে? কিন্তু আমি তো এখন ঘুমাবো।
নীড়: no… আজকে no ঘুম।
নীড় মেরিনকে bike এ বসিয়ে নীড় চম্পট দিলো।
মেরিন: wow…. its amazing …. ??..
নীড়: ভালো লেগেছে?
মেরিন: এতততততততোগুলা।

.

২ঘন্টাপর….
নীড় মেরিনকে নিয়ে আবার সেই mini cox’s bazar এ গেলো। নদীর কিনার দিয়ে bike চালাতে লাগলো। যার জন্য চাকার বারি খেয়ে পানি ওদের ২জনকে ভিজিয়ে দিচ্ছে।
নীড় bike থামালো।
নীড়: এই জায়গাটা আমার জন্য ভীষন special …. বলো তো কেন?
মেরিন:কেন?
নীড়: কারন এখানে তোমাকে প্রথম দেখেছিলাম।
i have a gift for you…
মেরিন: কি gift???..
নীড় ১ হাটু গেরে বসলো।
নীড়:এখানে ১টা পা রাখো।
মেরিন: কেন?
নীড়: না রাখলে কিন্তু gift পাবেনা।
মেরিন রাখলো। এরপর নীড় পায়ে আংটিটা পরিয়ে দিলো। এরপর অন্যপায়ের আঙ্গুলেও পরিয়ে দিলো। মেরিন দেখলো। ২পায়েরই মাঝের আঙ্গুলে ২টা আংটি। স্বর্নের আংটি। যার মধ্যে pink diamonds এর সমারোহ।
মেরিন: awwwe ki cute…
নীড়: ভালো লেগেছে।
মেরিন: আবার জিগায়…
বলেই মেরিন পানির কিনারে গিয়ে বাচ্চাদের মতো লাফাতে লাগলো।
চুলগুলো উরছে। মেরিন আজও পা থেকে মাথা পর্যন্ত গোলাপী রঙে মোরা। নীড় মেরিনকে আজকে গোলাপী রঙের শাড়ি পরিয়ে দিয়েছে। চাদের ঝলমল আলোতে অমায়িক লাগছে। তারমধ্যে হালকা একটু কোমর বেরিয়ে আছে।
নীড় আর আজকে নিজেক control করতে পারলোনা। গিয়ে মেরিনের পিছে দারালো। শাড়ির নিচ দিয়ে মেরিনের পেটে হাত রাখলো। মেরিন কেপে উঠলো। নীড়ের হাত খামছে ধরলো। জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিতে লাগলো। যা নীড়কে আরো এলোমেলো করে দিলো……

.

চলবে…..

.

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে