Monday, October 6, 2025







বাড়ি"ধারাবাহিক গল্প"আজব প্রেমের কাহিনী part : 12

আজব প্রেমের কাহিনী part : 12

আজব প্রেমের কাহিনী
part : 12
writer : Mohona

নীলা: আমি কামাল ভূইয়ার মেয়ে নীলা…
কথাটা শুনেই প্রনয় মহা ঝটকে খেলো। ২কদম পিছে চলে গেলো।
নীলা:যেই ভূইয়া বাড়ির সাথে চৌধুরী বাড়ির ১০বছর ধরে দুশমনি সেই ভূইয়া বাড়ি মেয়ে আমি…. যে নীলা আপনার ছেলেবেলার বাগদত্তা সেই নীলা আমি…… যাকে মাথা ব্যাথা ভেবে ঘৃণা করেছেন ছোটোথেকে সে নীলা আমি….. যে নীলা ছোটোবেলার বড়দের গরা সম্পর্কটাকে মন থেকে মেনে নিয়েছে,,, কেবল আর কেবল সেই সম্পর্কটাকেই জীবনের সত্যি ভেবে নিয়েছে,,, সম্পর্কটাকে ভালোবেসেছে আপনাকে ভালোবেসেছে সেই নীলা আমি……..
আশেপাশের সবাই চুপ। প্রনয়ের মুখটা ভীষন ভয়ানক হয়ে উঠলো। প্রনয় বাঘের মতো গর্জন করে
ডাকলো: মেরিন……..
সাথে সাথে উপস্থিত
সবাই কেপে উঠলো।
নীড় মনে মনে: oh no…. এটারই ভয় পাচ্ছিলাম।
নীড় কিছু বলতে নিলে প্রনয় হাত দিয়ে ইশারা করলো চুপ থাকতে। মেরিন প্রনয়ের সামনে গেলো।

.

প্রনয়: যেদিন তোমাকে প্রথম দেখেছি সেদিন থেকেই আমি তোমাকে নিজের ছোট বোন ভেবে নিয়েছি। মনে করেছি সানির মতো তুমিও আমার আরো ১টা ছোটোবোন। নীড়ের বকার হাত থেকে তোমাকে বাচিয়েছি। আর তুমি…. তুমি এতিম জানা সত্বেও ভেবেছিলাম নীড়ের সাথে তোমার বিয়ে দি়য়ে বাড়ির বউ করে আনবো। আর তুমি….. এসব তোমারই plan ছিলো তাইনা….. প্রনয় স্যারের ভালোরূপটা দেখেছো। আজকে খারাপ রূপ দেখবে। ৩মাসের deal না তোমার সাথে। কোটি টাকা জরিমানা দিতে হলেও দিবো। তবুও তোমাকে আর দেখতে চাইনা। আমি তোমীর মুখ দেখতে চাইনা। চলে যাও।
মেরিন দারিয়েই আছে।
প্রনয়: শুনতে পাওনি কি বলেছি? get out….
মেরিন:….
প্রনয় মেরিনের সামনে গেলো।
প্রনয়: তুমি যাবে কি যাবেনা?
মেরিন:….
প্রনয় চোখ বন্ধ করে কাপা হাতে মেরিনকো ঠাস করে ১টা থাপ্পর মারলো। কিন্তু চোখ খুলে দেখলো যে প্রনয় থাপ্পরটা পরেছে নীলার গালে। আসলে নীলা মেরিনের সামনে এসে পরেছিলো।
সবাই থমকে গেলো।
নীলা: মেরিনের কোনো দোষ নেই ও জানতো না। ও তো ….
প্রনয়: just shut up…. আমি কোন ঠক প্রতারক বাবার মেয়ের কথা শুনতে চাইনা।
নীলা: এই mr. chowdhuri…. আমি সব মেনে নিতে পারবো কিন্তু আমার বাবার নামে কোনো মিথ্যা কটুক্তিনা….
প্রনয়: just get out…..
নীলা চলে যেতে নিলে মেরিন ওর হাত ধরলো।
মেরিন: স্যার…
প্রনয়: don’t call me স্যার….. u r not our employee now…..
মেরিন: ok তবে ভাইয়া.. ☺️☺
️ প্রনয়: খবরদার আমাকে ভাইয়া ডাকবেনা।
মেরিন: আমি তো ডাকবোই… আপনার মন চাইলে শুনবেন না চাইলে নেই। কোনো কিছুই অর্ধেকটা জেনে বিচার করা ঠিক না। সত্যিটা অনুধাবন করা দরকার।
প্রনয়: both of you get out…
মেরিন: ok টাটা bye….. চলো নীলাপু।
নীলা: দারাও……
বলেই নীলা সেই engagement ring টা খুলে প্রনয়ের হাতে ধরিয়ে দিয়ে
বলল: ছোটবেলা থেকে এটাকে আকরে বড় হয়েছে। ভেবেছি যদি আমার ভালোবাসায় জোর থাকে যদি আমার ভালোবাসা সত্যি হয় তবে অবশ্যই আমি আপনাকে পাবো। কিন্তু ভুল মানুষকে ভালোভাসলে তাকে পাবার আশা করাটাও ভুল।
বলেই নীলা মেরিনকে নিয়ে চলে গেলো।

.

নীলা-মেরিন নীলাদের বাসায় গেলো। মেরিনকে দেখেই তো মামা-মামি তেরে এলো। মেরিন তো damn care ভাব নিলো। এরপর ওরা নীলাকে মারতে গেলে মেরিন একেকটাকে ধরে উরাধুরা মার মারলো। এরপর বলল ওদের ২জনের জন্য বিরিয়ানি আর পায়েস বানাতে।

.

রাতের খাবারেরপর……
নীলা পুকুরপারে বসে বসে কাদছে। মেরিন ওর কাধে হাত রাখলো।
মেরিন: কান্না করছো কেন?
নীলা: কান্না তো আমার নিত্যদিনের সঙ্গী।
মেরিন: মোটেও না। আর কান্না করবেনা।
নীলা: আমার জন্য তোমার জবটা চলে গেলো।
মেরিন: আরে ধুর। জবের কথা ভাবতে হবেনা। চলো তো। এখন চলো।
নীলা: কোথায়?
মেরিন: ice cream খেতে। ☺️।
নীলা: মানে?
মেরিন: মানে অনেক কিছু। চলো তো।
নীলা: কিন্তু… এতো রাতে কোথায় পাবে? এটা তো ঢাকা না।
মেরিন: আরে city তো। চলো।
মেরিন নীলাকে টানতে টানতে গাড়িতে বসালো। তাও driving sit এ।
নীলা: মামা – মামি দেখলে?
মেরিন: ঘোড়ার ডিমের মাথা করবে।
চলো।

.

২জন ice cream খেয়ে বাসায় পৌছালো।
নীলা ঘুমিয়ে পরলো।
মেরিন: এ্যাহ কি সাহস। ২ভাই ই আমার সাথে খালি খালি রাগ দেখায়। ২টাকেই ধরে পানির নিচে ফেলে দিতে পারতাম। huh….. এদের এই কচ্ছপের খেলা ভালো লাগছে না। এখনই সব শেষ করে এখান থেকে দূরে কোথাও যাবো।

✨??

নীলার জীবনটা এখনই ঠি…

তখনই বইদাদু এসে হাজির হলো।
বইদাদু: থেমে যাও মেরিন….
মেরিন: বইদাদু তুমি..
বইদাদু: তুমি এমনটা করতে পারোনা। ভাগ্যের বেশি করতে পারোনা। যতোটুকু তোমার মাধ্যমে হওয়ার ততোটুকুই হবে। আমার বলার বাইরে কোনো কাজ করোনা ।
বলেই বইদাদু চলে গেলো।
মেরিন: ধুর ছাই ভালো লাগেনা

.

পরদিন থেকে বেচারা মামা-মামির হাল কেরোসিন করে ছারলো। মামা-মামির হাল এখন ছেরে দে মা কেদে বাচি।

.

৩দিনপর..
প্রনয়ের PA নীলাকে ফোন করে বলল পরদিন যেন নীলার কাছে থাকা হার্ডডিস্কটা দিয়ে যায়।
নীলা বলল: আচ্ছা আমি নিজে গিয়ে দিয়ে আসবো।

.

ওদিকে…..
নীলার মামা-মামি মেরিনের জ্বালায় অতীষ্ট। তাই ওরা মেরিনের রাতের খাবারে বিষ মিশিয়ে দিলো। কিন্তু ওরা তো আর জানেনা যে এই বিষ মেরিনের ওপরে কোনো প্রভাব ফেলবেনা। কারন মেরিন তো পরী। মেরিন তো মহানন্দে পেট ভরে ইচ্ছা মতো খাবার খেলো। মামা-মামি তো খুশিতে নাগিন dance দিতে লাগলো।

.

পরদিন….
বেলা ১টা….
মেরিন এখনো ঘুম। মেরিন একটু বেশি ঘুমায় নীলা এই ৫দিনে জেনে গেছে। কিন্তু আজ একটু বেশিই ঘুমাচ্ছে। ওদিকে হার্ডডিস্কটাও ফেরত দিতে যেতে হবে। মেরিনকে ছারা যেতে সাহস পাচ্ছেনা নীলা। মেরিন এখনও উঠছেনা বলে নীলার বেশ চিন্তায় পরে গেলো। মামা-মামি তো খুশি। ওরা নাটক করে ডুবো তেলে বরা ভাজছে। নীলা মেরিনকে ডাকতে যাচ্ছে। তখনই ডাকলো।

মামি: নীলা …. মা আমার একটু এদিকে আয় তো মা….
মামির এমন ডাকে নীলা অবাক হয়নি। কারন মেরিনের ভয়ে মামা-মামি এমন মিষ্টি করেই কথা বলে। নীলা মামির কাছে গেলো।
নীলা:ডাকছো মামি….
মামি: হ্যারে মা….. আসলে কাল রাতে মেরিন বরা খেতে চেয়েছিলো। তাই একটু বানাচ্ছি। তুই আগে একটু খেয়ে দেখতো ঠিক আছে কি না? না হলে যে মেরিন আবার শাস্তি দিবে।
নীলা: না মামি ঠিকই আছে। আমি একটু দেখে আসছি মেয়েটা এখনও উঠছে না কেন?
মামা: সে উঠবে খন। তুই আগে একটু বরাটা খেয়ে দেখ।
বলেই মামা নীলার হাতটা টানটান করে মামির সামনে ধরলো।
মামা: এই সরলা নীলা মার হাতে গরম গরম বরা দাও।
মামি: হামম।
বলেই মামি গরম তেল নীলার হাতে দিয়ে দিলো। আর সাথে সাথেই নীলা ভীষন জোরে যন্ত্রনায় চিৎকার করে উঠলো।
মামা নীলার চুলের মুঠি ধরে
বলল: ওই ২দিনের পুচকে মেয়ের বাহাদুরী দেখিয়ে তুই আমাদের দমিয়ে রাখতে পারবি ভেবেছিলি….? দেখ তোর সাথে এখন কি কি করি…..
বলেই মামা-মামি চলে গেলো।
নীলা রুমে গিয়ে হাত ধরে কাদতে লাগলো।

.

মামি: এখন ওই লাশটার কি করবে? কিছু ভেবেছো?
মামা: এই চুপ চুপ দেয়ালেরও কান আছে। খুব সাবধানে সরাতে হবে। চলো। চুপি চুপি।
মামি: চলো।
২জন গেলো। মেরিনের ঘুম কেবল ভাঙলো। আলসেমি করে চোখ বন্ধ করে শুয়ে আছে। মামা-মামি গিয়ে ২জন ২টা পা কেবল ধরলো। মেরিন চোখ মেলল। ২জনকে দেখেই মেরিনের মাথা নষ্ট হয়ে গেলো। তাই শরীরের সব শক্তি দিয়ে ২জনকে লাথি মারলো। ২জনে বাবারে বলে দুরে গিয়ে ধপাস করে পরলো।
মেরিন উঠে বসলো।
মামা-মামি ভূত ভূত বলে চেচাতে লাগলো।
মেরিন ঝাড়ি মেরে
বলল: চুপ। কিসের ভূত?
মামা-মামি:???
মেরিন: সকালবেলা সকালে মাথা গরম করতে আসছে। ১৫মিনিটে আমি fresh হয়ে আসছি। breakfast যদি না পাই ২টাকে ধরে পানিতে চুবাবো। now get out…
মামা-মামি: হামম।
মেরিন: বললাম না বের হতে।
মামা-মামি বেরিয়ে গেলো।

.

মেরিন ready শেডি হয়ে নীলাকে ডাকতে গেলো।
মেরিন: নীলাপু…. নীলাপু…. breakfast করেছো? ও নীলাপু। দরজা খোলে।
মেরিনের আভাস পেয়ে নীলা নিজের ব্যাথা লুকিয়ে
বলল: দারাও showerটা নিয়ে আসছি।
মেরিন: আচ্ছা তারাতারি আসো। ভীষন ক্ষুধা পেয়েছে।
নীলা: আচ্ছা।

.

১৫মিনিটপর…..
নীলা বোরকা পরে হাতমোজা পরে বের হলো। যেন মেরিন ওর হাত না দেখতে পারে।
মেরিন: একি আপু…. তুমি আজকে হঠাৎ এভাবে?
নীলা: না আসলে চৌধুরীদের ওইখানে যেতে হবেনা। তাই পরেছি।
মেরিন: কেন ওখানে যাবো কেন?
নীলা: ভুলে গিয়েছো? হার্ডডিস্কটা ফেরত দিতে।
মেরিন: ও হ্যা। কিন্তু তাইজন্য এভাবে কেন যাবে?
নীলা: আসলে কেমন যেন লাগছিলো তাই।
মেরিন: তুমি আবারো কাদছিলে তাইনা?
নীলা: কোথায়? নাতো…..
মেরিন: হইসে আর নাটক করতে হবেনা। ওই প্রনয় না ফনয়ের জন্য এতো আজিরা কান্নার দরকার নেই। ওটাকে তো গুলি করে মের….
নীলা মেরিনের মুখের ওপর হাত রাখলো।
নীলা: ছিঃ ছিঃ অমন কথা বলতে নেই।
মেরিন:???। আসো খেয়েনেই। ক্ষুধা পেয়েছে।
নীলা: এই নারে খাবোনা।
মেরিন: কিন্তু আমি তো খাবোই।
মেরিন ইচ্ছা মতো খেয়ে নিলো।

.

৩০মিনিটপর…..
নীলা-মেরিন site এ পৌছালো।
নীলা: চলো।
মেরিন: মাথা খারাপ? আমি ভেতরে যাবো? চৌধুরী ভাইয়েদের থাপ্পর মারার রোগ আছে। আমি যাবোনা।
নীলা: আচ্ছা বসো আমি আসছি।
মেরিন: ok….
নীলা ভেতরে গেলো।
মেরিন: এই চৌধুরীরা বেজায় খারাপ। আজকে যখন এখানে এলাম এদের সাথে কিছু ১টা করেই যাবো। হামম।
মেরিন গাড়িগুলোর ওখানে গেলো।

.

নীলা ভেতরে গেলো।
প্রনয়েরল PA দিপাকে দেখে ওখানে গেলো। নীলা মুখ টুখ ঢেকে গিয়েছে বলে দীপা নীলাকে চিনতে পারলোনা।
দীপা: আপনি কে?
নীলা: আমি নীলা।
দীপা: কে নীলা?
নীলা: মানে আমি নুপুর। এই নিন হার্ডডিস্ক।
নীলা দীপাকে কেবল হার্ডডিস্ক দিবে
আর তখনই ১ভাই ওখানে হাজির।
নীড়: কে আপনি? এখানে কি চাই?
প্রনয় দেখলো নীলার হাতে হার্ডডিস্ক।
প্রনয় নীলার হাত থেকে সেটা নিয়ে নিলো।
প্রনয়: ভূইয়া বাড়ির মানুষ আসলেই হয়তো দালালদের ওপর বিশ্বাসী। তাইতো মিস নী….লা এই দালালকে পাঠিয়েছে।
নীলা নিজের নেকাবটা খুলে
বলল: ভূইয়ারা লুকিয়ে চুরিয়ে কোনো কাজ করেনা। লুকিয়ে কাজ করা চৌধুরীদের কাজ। ভূইয়াদেরনা।
প্রনয়-নীড় অবাক হলো।
প্রনয়: ভালোই হয়েছে। যাদের মন কালো তাদের কালো পোশাক পরাই উচিত ।
নীলার চোখে পানি চলে এলো। নীলা ওখান থেকে চলে এলো। ৪-৫ কদম যেতেই নীলা মাথা ঘুরিয়ে পরে গেলো। অজ্ঞান হয়ে গেলো।
প্রনয়: নীলা….
প্রনয় দৌড়ে নীলার কাছে গেলো।
প্রনয়: এই নীলা…. নননীলা। কি হয়েছে তোমার???? এএহই নীলা…..
প্রনয়ের কাতরতা নীড় স্পষ্ট দেখতে পারলো।
প্রনয় কোলে নীলাকে রুমে নিলো। ১টানে নীলার হিজাব নেকাব খুলে ফেলল। বুঝতে পারলো নীলার ভীষন জ্বর।
প্রনয়: oh no… নননীড় ডডডডক্টরকে ফোন করো।
নীড়:হামম।
প্রনয়: তারআগে একটু পানি দাও।
নীড়: এই নাও ভাইয়া…
প্রনয় নীলার হাতমোজাও ১টানে খুলে ফেলল। আর দেখলো নীলার ডানহাতের বাজে অবস্থা। ফোসকা পরে খুব অবস্থা।
প্রনয় নীলার হাত বুকের মধ্যে নিয়ে মেয়েদের মতো ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাদতে লাগলো।
নীড় অবাক চোখে দেখছে।
নীড়: ভাইয়া…. পানি…
প্রনয় নীলার মুখে পানি ছিটিয়ে দিলো। নীলার জ্ঞান ফিরলো। দেখলো ও প্রনয়ের বুকের মধ্যে। লাফ দিয়ে প্রনয়ের বুক থেকে নেমে গেলো…..
নীড় ওদেরকে একা রেখে বেরিয়ে এলো।
নীড়: ভাইয়া সত্যি হয়তো নীলাকে ভীষন ভালোবাসে….

.

মেরিন নীড়দের গাড়ির ওখানে দারিয়ে আছে।
মেরিন: কি করা যায় এই চৌধুরী গাড়িদের সাথে।???

✨??

এখনই এই গাড়ি গুলো লন্ডভন্ড হয়ে যাক।
ইলি গিলি ফুস।

✨??

মেরিন জাদু করলো
আর তখনই ১দিক থেকে নীড়ের গাড়ি আর অন্যদিক থেকে প্রনয়ের গাড়ি বলে
উঠলো: hello মেরিন…
মেরিন:???। তোমরাও মতো কথা বলতে পারো?
গাড়িরা: any doubt ?? তোমরা মানুষেরা আমাদের অনেক জালাও। ইচ্ছে মতো ঘুরাও। এখন দেখো তোমার সাথে আমরা কি করি….
মেরিন: কি করবে???
গাড়িরা: এই দেখো।
বলেই ২টা গাড়ি মেরিনের পিছে ভাগতে লাগলো।
মেরিন: ওরে জল্লাদ বাপরে….
বলেই মেরিন দৌড়াতে লাগলো।

মেরিন:

✨??

এই গাড়ি গুলো আবার আগের মতো হয়ে যাক।
ইলি গিলি ফুস।

✨??

মেরিনের জাদুতে গাড়ি গুলো স্বাভাবিক হলেও মেরিনের পিছে লেগেই রইলো। মেরিন মনে করলো যে ওর জাদু কাজ করেনি।
মেরিন: এরা তো এখন magical car…
এরা আঘাত করলে যদি ব্যাথা ট্যাথা পাই। oh my প্রিয় আল্লাহ।

বলেই মেরিন জোরে জোরে চেচাতে
লাগলো: আম্মুগো… বাচাও….. বাচাও…..

.

অন্যদিকে….
প্রনয়: তোমার হা….
আর তখনই মেরিনের বাচাও বলে চিল্লানোর আওয়াজ পেলো। নীলা দৌড়ে গেলো। প্রনয়ও নীলার পিছে গেলো। ওদিকথেকে মেরিনের চিল্লানো শুনে নীড়ও ছুটলো। আবার রাজও গেলো।
৪জন গিয়ে দেখলো যে মেরিনের পিছে ২টা গাড়ি ছুটছে।
নীলা: মেরিন….
রাজ: মিষ্টি পাখি….
নীড় দৌড়ে গিয়ে নিজের জীবন ঝুকিতে ফেলে মেরিনকে বাচালো।
২জনই পরে গেলো। নীড়ের ওপর মেরিন। মেরিন আগের মতোই নীড়ের শার্টের বোতাম টোতাম ছিরে নীড়ের বুকের ভেতর মাথা ঢোকালো। বাকী জনও ছুটে ওদের কাছে এলো।
নীলা: ঠিক আছো মেরিন?
নীলার গলা শুনে মেরিন উঠে দারালো। প্রনয়কে দেখে ওরনা দিয়ে নিজের মুখ ঢাকলো।
নীলা: ঠিক আছো?
মেরিন: হ্যা আমি একদ….
তখন মেরিন দেখলো নীলার হাতের অবস্থা। মেরিন নীলার হাত ধরে
বলল: একি তোমার হাতের এই অবস্থা কি করে হলো?
নীলা হাত সরিয়ে
বলল: কককিছুনা।
মেরিন: কিছুনা তাইনা? এগুলো মামা-মামির কাজ। তাইনা? আর তাই জন্য তুমি এমন সং সেজেছো….???? আজতো আমি ওদের….
বলেই মেরিন ছুটলো। নীলাও মেরিনের পিছে গেলো। ২ভাই অবার।
মেরিন মামা-মামিকে চরম শাস্তি দিলো।

.

…… নীলা বাগানে মন খারাপ করে বসে আছে।
মেরিন: ভাও।
নীলা চমকে উঠলো।
মেরিন:?। এমা এটা কার ছবি?
নীলা: আমার মায়ের।
মেরিন: awwe ki cute….
নীলা: জানো ছোটবেলা থেকে মাকে ভীষন miss করি। রুপামা নীলামা এর জন্য মায়ের অভাব অনেকটাই পুরন হতো। কিন্তু ওরা তো ঢাকা থাকতো। তবুও তো ওদের ভালোবাসার হাতটা ছিলো আমার মাথায়। আর ১০বছর আগে তো ওদেরকেও. হারাতে হলো।
তখন ২জন শুনতে
পেলো: এখন আবার স্নেহের হাত রাখতে দিবি তো মা। ২জন পিছে ঘুরলো। নীলা দীদা রুপামা নীলামা বলে দৌড়ে ওদের কাছে গেলো। ওদের জরিয়ে ধরে হাউমাউ করে কাদতে লাগলো।

.

চলবে…..

পূর্ববর্তী নিবন্ধ
পরবর্তী নিবন্ধ
গল্প পোকা
গল্প পোকাhttps://golpopoka.com
গল্পপোকা ডট কম -এ আপনাকে স্বাগতম......
RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments

Md masrur Hasan mahi على অবুঝ_বউ পার্ট: ৫
আমিনুল ইসলাম على প্রয়োজন পর্ব: ৩০ ( অন্তিম)
সাজিবুল ইসলাম على ধর্ষিতাবউ২ ৯ তথা শেষ পর্ব
শাহিদুল ইসলাম على জীবন সঙ্গী ১ম পার্ট
শাহিদুল ইসলাম على জীবন সঙ্গী ১ম পার্ট
Nita Sarkar على স্বপ্নীল ৬৮
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على রহস্য শেষ_পর্ব
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على অলক্ষ্যে তুমি পর্ব-০৬ এবং শেষ পর্ব
Nazmun Nahar Akhi على Psycho_is_back? part_7
Nazmun Nahar Akhi على Dangerous_Villian_Lover part 2
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على জানালার ওপারে পর্ব-১৭ এবং শেষ পর্ব
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على লীলা বোর্ডিং ১২১৫ পর্ব-১১ এবং শেষ পর্ব
মিজানুর রহমান রাহুল على সেই তুমি পর্ব-০১
@feelings على প্রহেলিকা
Anamika Basu على সে পর্ব-১২
Anamika Basu على সে পর্ব-১২
Nusrat jahan على coffee & vanilla Part-10
Pallabi Roy على স্বপ্নীল ৬৮
M.D Mahabub على The_Villain_Lover Part_2
Labani sarkar على Dangerous_Villain_Lover part 23
MD Akas Apc على বিবেক
Tanisha Ahmed على Devil love part-18 
Aius Barmon shorob على নারীর দেহকে নয়
Chandan roy على স্বপ্নীল ৬৮
Chandan roy على স্বপ্নীল ৬৮
Riya Biswas على তুমি রবে ৬০
Priya Banerjee على devil love married life last part
Riya Biswas على তুমি রবে ৬০
Riya Biswas على তুমি রবে ৫২
Mohammad Adib على তুমি রবে ৬০
Avni Ayesha على তুমি রবে ২৮
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
সুমিত على তুমি রবে ২৮
TANJIBA ZENIFAR على তুমি রবে ৫০
TANJIBA ZENIFAR على তুমি রবে ৫০
Samiah Begum على তুমি রবে ৫১
biddut das rocky على নর নারী
গল্প পোকা على নষ্ট গলি শেষ পর্ব
Md Jobayer Hossain Shohag على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
গল্প পোকা على দুই অলসের সংসার
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤৪২.
A.J.S Rakib على মন ফড়িং ❤৪২.
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
Samiya noor على গল্পঃ ভয়
Sadikul على গল্পঃ ভয়
Samia Islam على গল্পঃ ভয়
শূন্য মায়া على মন ফড়িং ❤ ৪০.
Sutapa biswas على মন ফড়িং ❤৩৯.
Foysal Mahmud على My_Mafia_Boss_Husband Part: 16
sutapa biswas على মন ফড়িং ❤ ৩৮.
sutapa biswas على মন ফড়িং ❤ ৩৭
Foysal Mahmud على My_Mafia_Boss_Husband Part: 16
Siyam على বিবেক
Sudipto Guchhait على My_Mafia_Boss পর্ব-৯
saptami karmakar على devil love married life last part
saptami karmakar على devil love married life last part
মায়া على মন ফড়িং ৩০.
মায়া على মন ফড়িং ৩০.
মায়া على মন ফড়িং ২৬.
Shreyashi Dutta على  বিয়ে part 1
Sandipan Biswas على  বিয়ে part 1
Paramita Bhattacharyya على অনুরাগ শেষ পর্ব
জামিয়া পারভীন তানি على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
মায়া على মন ফড়িং  ২২
সুরিয়া মিম على খেলাঘর /পর্ব-৪২
গল্প পোকা على মন ফড়িং ২১
গল্প পোকা على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
Sahin ssb على মন ফড়িং ২১
মায়া على মন ফড়িং ২১
মায়া على মন ফড়িং ❤ ২০.
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤ ২০.
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৮. 
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৭.
Jannatul Ferdous على খেলাঘর পর্ব-৩৫
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤ ১৬. 
গল্প পোকা على ফাল্গুনের_ফুল last_part_8
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৬. 
গল্প পোকা على ছাত্রী যখন বউ পাঠঃ ১
গল্প পোকা على বাজির প্রেম পাঠঃ ১
Foujia Khanom Parsha على মা… ?
HM Ashraful Islam على অবুঝ_বউ পার্ট: ৮
HM Ashraful Islam على অবুঝ_বউ পার্ট: ৫
Ibna Al Wadud Shovon على স্বার্থ