আজব প্রেমের কাহিনী
part : 11
writer: Mohona
সকালে…..
নীড় ঘুম থেকে উঠলো। খুব অবাক হলো। কারন না আছে মাথা যন্ত্রনা আর না আছে জ্বর। নীড় কাল রাতের কথা ভাবতে লাগলো। দৌড়ে মেরিনের রুমে গেলো। দেখলো মেরিন অগোছালো ভাবে ঘুমিয়ে আছে। সাথে সাথে নীড় বেরিয়ে এলো।
নীড়: মেয়েটা সত্যি পাগল। oh no… দরজা তো লক করানা। আর যেভাবে ঘুমিয়ে আছে…. কেউ ঢুকে দেখলে… না না ওকে আমি ছারা কেউ দেখতে পারবেনা।
নীড় মেরিনের রুমের ভেতরে ঢুকলো। মেরিন জামা ঠিক করে চাদরটা দিয়ে ওকে ঢেকে দিলো। এরপর মেরিনের কপালে ১টা চুমু দিয়ে চলে গেলো।
.
২দিনপর…..
প্রনয়-নীলা , নীড়-মেরিন একসাথে বসে lunch করছে।
নীড়: এই যে miss pa..
মেরিন খাওয়া বন্ধ করে ১ বস্তা বিরক্তি নিয়ে নীড়ের দিকে তাকালো। কারন খাওয়ার সময় disturbe ওর মোটেও পছন্দ না।
মেরিন: কিহ… ??।
নীড়: একটু কম খান। আর রয়ে সয়ে খান।
মেরিন: রয়ে সয়ে কি? আর তার থেকেও বড় কথা আমি কম খাবো কেন???।
নীড়: কারন নুনের বস্তা আমাকেই ওঠাতে হয়। তাই। ???।
কথাটা শুনে প্রনয় নীলা হেসে দিলো।
মেরিন: নুনের বস্তা কি? আর কেন ওঠান? কে বলেছে ওঠাতে? ??।
নীড়: তুমি নুনের বস্তা আর তুমিই জোর করে আমার কলিজার ওপর লাফ দিয়ে উঠে বসো। রোজ কম সে কম ৩বার তো ওঠোই ।
মেরিন: ওরে আমার কলিজা ওয়ালারে…. আমি লাগে তার কোলে ইচ্ছা করে উঠি। huh… আপনার কোলে ওঠার থেকে ক্যাকটাসকে জরিয়ে ধরে বসে থাকা অনেক ভালো।
নীড়: কি? কি বললে? তোমাকে তো….
মেরিন: মারবেন আমাকে??।
নীড়: খুন করে ফে….
প্রনয়: stop it …. আরেকটা কথা বললে ২টারই গাল লাল করে দিবো। চুপচাপ খাও।
.
lunch এরপর…..
প্রনয়-নীলা বসে আছে।
নীলা: ওরা ২জন এতো ঝগড়া করে কেন স্যার?
প্রনয়: কতোবার বলেছি স্যার না ডাকতে??।
নীলা: না আসলো স্যার ই ঠিক আছে। এখন বলুননা ওরা এতো ঝগড়া করে কেন?
প্রনয় : ঝগড়া না ভালোবাসা।
নীলা: মানে?
প্রনয়: মানে ওরা ২জন ২জনকে ভালোবাসে।
নীলা:কিন্তু ২জন তো ২জনকে সহ্যই করতে পারেনা।
প্রনয়: কারন ২জনের ১জনও ভালোবাসার ব্যাপারে বোবা বয়রা আর অন্ধ।
নীলা: মেরিন কতোদিন ধরে জব করে আপনাদের এখানে?
প্রনয়: এইতো ২০-২৫ দিন। আসলে মেয়েটার বয়স কম। মা-বাবা নেই। তাই ছন্নছারা। একটু ছেলে মানুষ কিন্তু নিজের কাজকে ভীষন ভালোবাসে…..
তখনই ওরা আবার শুনতে
পেলো: স্যার…. বাচান…..
প্রনয়: নিন আবার মেরিন নীড়ের বুকের ভেতরে ঢুকে যাবে।
নীলা হেসেদিলো।
.
ওদিকে…..
মেরিনের পিছে রাজহাসের দল পরেছে। যা দেখে ভয়ে মেরিন দৌড়। আর দৌড়ে আবার লাফিয়ে নীড়ের কোলে।
নীড়:? আবার তোর কি হইসেরে বোইন? তুই ১টা কাজ কর বোইন তুই আমার কোলে ১টা bed বানিয়ে নে…. না না bed না ১টা ঘর বানিয়ে নে। এরপর এখানেই থাক। তোর আর কষ্ট করে নামতে হবেনা। আমি তোর জীবন্ত চলন্ত বাড়ি হবো। তবুও তুই এমনে চিল্লায় স্যার বাচান বলে ডাকিসনা। কলিজা কেপে উঠে। আর লাফ দিয়ে কোলে উঠিস না কলিজা ফাইট্টা যায়।?।
মেরিন: পরে ফাটিয়েন। আগে বাচান আমাকে…
নীড়:বোইন রে বোইন বাচাবো। আজকে তুই যা বা যাকে দেখে ভয় পেয়েছিসনা সেটাকে কেটে কিমা বানাবো।???। বল কোথায়?
মেরিন: ওইযে।
নীড় ঘুরে দেখলো রাজহাস। আর ছোটবেলা থেকেই নীড়ের রাজহাসে phobia আছে। তাই রাজহাস দেখে মারে বাবারে ভাইয়ারে বলে মেরিনকে কোলে নিয়েই দে দৌড়। আর ১দৌড়ে প্রনয়ের কাছে গিয়ে ওর কোলে বসে পরলো।
.
প্রনয়: এই কিরে তোমার কি হয়েছে?
নীড়: ভাইয়া বাচাও…..
প্রনয়: রাজহাস?
নীড়: হামম।?।
প্রনয়:??।
মেরিন অবাক চোখে নীড়কে দেখছে।
প্রনয়: guards … guards ….
guards : yes sir….
প্রনয়: রাজহাস যেন আর এই area তে না দেখি। কারন ২টা ভীতু বাচ্চা আছে। ?।
guards : ok sir….
প্রনয়: এবার তো নামো।
নীড় নামলো। দেখলো মেরিন ওর দিকে অবাক চোখে তাকিয়ে আছে।
নীড়: ওই কি দেখো?
মেরিন: এতো বড় ছেলে রাজহাস দেখে হয় পায়!!????।
নীড়: ???। ওই চুপ আরো হাসলে আছার দিয়ে ফেলে দিবো কিন্তু….
মেরিন: হাহাহাহাহা…..
নীড় ধপাস করে মেরিনকে ফেলে দিয়ে চলে গেলো।
প্রনয়-নীলা:?।
নীলা মেরিনকে টেনে তুলল।
মেরিন মনে মনে : হাতির হালুয়া…. আমাকে ফেলে দিলি তো তুই…..
✨??
স্যারের পেছনে এখনই এত্তোগুলা রাজহাস লেগে যাক।
ইলি গিলি ফুস।
✨??
মেরিন জাদু করতেই নীড়ের পিছে তো রাজহাস পরলোই সেই সাথে মেরিনের পিছেও পরলো। আর ২জনেরই হাওয়া টাইট। ২জনই ভো দৌড়। একটু দৌড়েই মেরিন লাফ দিয়ে নীড়ের কোলে উঠলো।
.
২দিনপর…..
চৌধুরী বাড়ির মহিলাবৃন্দ site এ এসেছে। একটুর জন্য তারা নীলাকে দেখতে পেলোনা। তবে পেছনটা দেখলো। দেখে বাসায় গেলো।
দীদা: ইশ মেয়েটা মনে হয় সুন্দরীই রে….
রুপা: হ্যা মা ঠিকই বলেছো।
নীলিমা: হামম। কিন্তু নীলার কথা ভেবে খারাপ লাগছে।
দীদা: কি করার বলো…. রাজশাহী এসেও মেয়েটার কাছে যেতে পারছিনা। কিন্তু প্রনয়েরও তো বিয়ে দিতে হবে।
রুপা: তবুও বিবেকে বাধে।
নীলিমা: কিন্তু নীলার সাথেও তো আর সম্ভবনা। আর নীড়ের মুখে শুনলাম যে এই মেয়েটা কে নাকি প্রনয়ের মনে ধরেছে। হয়তো ভালোবেসে ফেলেছে। আর এই মেয়েটা প্রনয়ের জীবনে আসার পর থেকে প্রনয় কতোটা বদলে গেছে।
দীদা: ইশ তাহলে যদি ওকে বাড়ির বউ বানাতে পারতাম….!!!
মেরিন: তো বানিয়ে ফেলুন।
দীদা: আরে মিষ্টি পরী তুমি?
মেরিন: হামম আমি। বলছিলাম কি বানিয়ে ফেলো নীলাপুকে প্রনয় স্যারের বউ।
নীলিমা: নীলা? মেয়েটার নাম না নুপুর…..?
মেরিন: নুপুর জাহান নীলা।
৩জন:?।
রুপা: ওই আমাদের নীলা।
মেরিন: হামম।
নীলিমা: কাহিনী কি?
মেরিন সবটা বলল। সব শুনে
৩জন :???।
দীদা: আসলেই ভাগ্যকে কেউ পাল্টাতে পারেনা। কালই যাবো আমি ভূইয়া বাড়িতে।
৩জন ভেতরে চলে গেলো।
.
মেরিন পিছে ঘুরতেই দেখলো নীড় দারিয়ে আছে। তাও ভীষন রেগে।
মেরিন: কি হয়েছে স্যার? আপনার চোখ এমন সূর্যের মতো লাল হয়ে আছে কে…..
নীড় ঠাস করে মেরিনকে থাপ্পর মারলো।
মেরিন:? ।
নীড়: সাহস কি করে হয় তোমার এমনটা করার? তুমি জানো ওই নীলাদের জন্য আমাদের পরিবারে কি কি ঘটে গেছে? তাও তুমি আবার ওকে আমাদের জীবনে নিয়ে এলে….. don’t say যে তুমি ইচ্ছা করে কিছু করোনি। দেখো আমার পরিবারের সাথে আমি সব মেনে নিতে পারি কিন্তু আমার পরিবারের সাথে উল্টা পাল্টা কিছুনা। তোমার ব্যাবস্থা তো পরে করছি। আগে ভাইয়ার সামনে নীলাকে expose করে আসি।
বলেই নীড় চলে গেলো। মেরিনের মাথায় আগুন উঠে গেছে।
ও চুপচাপ ১টা জনমানবহীন জায়গায় গেলো। সেখানে গিয়ে মেরিন নিজের রাগ কমাতে লাগলো।
মেরিন: আপনাদের বাড়িতে থাকাটা এখন আমার বাধ্যবাধকতা। তা না হলে আমি কোনোদিনও যেতামনা আপনাদের বাড়িতে। ধ্বংস করে দিতাম আপনাকে।
.
ওদিকে….
নীড়: ভাইয়া আসবো…..
প্রনয়: আরে নীড়। come come….
নীড়: ভাইয়া আমার কিছু বলার ছিলো।
প্রনয়: আমারও কিছু বলার ছিলো।
নীড়: কি?
প্রনয়: i m in love….
নীড়: what?
প্রনয়: i love নুপুর…. she is different …..
নীড়:…..
প্রনয়: তুমি কিছু বলছিলে….
নীড়: না ভাইয়া। ভাইয়া একটা কাজ আছে। আসছি।
প্রনয়: হামম।
নীড় বেরিয়ে এলো।
.
নীড়: ভাইয়াকে আমি কিভাবে সত্যিটা বলবো? ভাইয়া যে নীলার সত্যিটা জানেনা। এই মেয়েটা কে তো আমি….
.
পরদিন…..
সবাই site এ কাজ করছে। কিন্তু কেউ মেরিনকে দেখতে পেলোনা।
প্রনয়: এই মেরিন কোথায়?
নীলা: সকাল থেকে দেখলাম না । ওকি আসবেনা আজকে?
প্রনয়: নীড়…. নীড়….
নীড় এলো।
নীড় : জী ভাইয়া।
প্রনয়: মেরিন কোথায়?
নীড়: আসেনি?
প্রনয়: না। কোথায়?
নীড়: জানিনা আমি।
বলেই নীড় চলে গেল।
নীলা: কি হয়েছে?
প্রনয়: may be ঝগড়া হয়েছে। কি করা যায় বলুনতো?
.
ওদিকে…..
নীড়: জাহান্নামে যাক। আমার কি?
ভুল করেছে বলেই তো থাপ্পরটা মেরেছি। নীলা যতো ভালোই হোক না কেন ভাইয়া নীলার কথা জানলে হয়তো নিজের ভালোবাসাকেও sacrifice করে দিবে। সেই সাথে তোমাকেও চরম শাস্তি দিবে। আর তাছারাও …. আমিও ওদের ক্ষমা করতে পারবোনা।
নীড় প্রনয়ের কাছে গেলো।
.
নীড়: ভা….
মেরিন: good afternoon স্যার।
প্রনয়: আরে good afternoon … কোথায় ছিলে সকাল থেকে?
মেরিন: স্যার কিছু personal কাজ ছিলো। sorry…
প্রনয়: কোনো সমস্যা?
মেরিন :না স্যার।
নীড়: তুমি আমার PA ।। তাই আমার অনুমতি ছারা তুমি কোনো কারন ছারাই গায়ে হাওয়া লাগিয়ে ঘুরে বেরাতো পারোনা। মনে থাকে যেন। যাও গিয়ে টেবিলে আমাদের ৩জনের জন্য খাবার সাজাও।
প্রনয়: ও কেন খাবার সাজাবে?
নীড়:কারন ও আমার PA…. আর ওর হাজারটা কাজের মধ্যে এটাও ১টা।
প্রনয়: কিন্তু।
নীড়: ভাইয়া…. ও আমাদের ১জন কর্মচারী। বাকীদের যেভাবে treat করা হয় ওকেও সেভাবেই treat করা দরকার।
.
মেরিন টেবিলে খাবার সাজিয়ে ৩জনকে ডাক দিলো।
প্রনয়: বসো মেরিন।
মেরিন: স্যার আমি খেতে পারবোনা। রোজা রেখেছি।
নীড় মনে মনে: এর মতো ১টা খাদক রোজা রেখেছে।
.
বিকালে….
সবাই বাসায় ফিরবে।
প্রনয়: এ কি মেরিন কোথায় যাচ্ছো?
মেরিন: স্যার আসলে ১টা কাজ আছে। ৮টার মধ্যে চলে আসবো।
প্রনয়: একা যেতে পারবে? তাহলে নীড় যাক।
মেরিন : না স্যার পারবো।
নীড়: চৌধুরী বাড়ি কোনো হোটেল বা পার্কনা যে যখন মন চায় তখন যাবে। এখনই বাসায় যাবে।
মেরিন: স্যার আমি আপনার PA হতে পারি কিন্তু কেন গোলাম না যে আপনার বিধি নিষেধ মেনে চলবো। আপনার সাথে আমার official সম্পর্ক। office work শেষ। so এখন আমি আমার মতো করেই কাজ করবো।
নীড়: আমার কোলে ওঠার সময় মনে থাকেনা?
মেরিন: what….?
প্রনয় : ওই তুই কিসের মধ্যে কি বলস?
মেরিন: প্রনয় স্যার নীড় স্যারের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। আর হ্যা
আপনার কোলে উঠতে আমার বয়েই গেছে।
নীড়: দেখা যাবে …
.
পরদিন…..
সবাই নিজেদের কাজ করছে। তখন প্রনয়ের ১টা বন্ধু এলো। মডেল। যথেষ্ট সুন্দর কিন্তু flirting master…. নাম রাজ।
প্রনয়: hi রাজ।
রাজ: hello প্রনয়।
প্রনয়: আসতে কোনো সমস্যা হয়নি তো তোর?
রাজ: not at all…. তখন নীলা এলো।
নীলা: excuse me sir…
প্রনয়: জী বলুন….
নীলা: স্যার আমার মনে হয় উত্তর দিকের সেটের জন্য বন্যফুলই best হবে। বা নানা ধরনের কাঠ গাছের ফুল। অর্কিড, ক্যালেন্ডুলা, টিউলিপ এগুলো তো সবাই ব্যাবহার করে।
প্রনয় : good idea….
নীলা: ধন্যবদ স্যার।
তখন রাজ হাত বারিয়ে
বলল: hi… i am রাজ।
নীলা হাত না মিলিয়ে সালাম দিয়ে
বলল: আমি নুপুর জাহান নীলা।
বলেই নীলা চলে গেলো।
রাজ: উহ। গ্রামীন সংস্করন। i like it….
প্রনয় : like পর্যন্তই stop মারিস। কাজের বাইরে she is my would be..
রাজ: উহ। nice… ভীষন মিষ্টি।
প্রনয় : ওর সামনে বলিসনা যেন আবার। its a surprise …
রাজ: উহ।। ok…
প্রনয় মনে মনে: তুই যে মেয়েবাজ।
তখন নীড় এলো।
.
নীড়: hi রাজ ভাইয়া।
রাজ: hello handsome …. mr. charm … আমি কিন্তু আজকেও বলবো যে তোমার কিন্তু মডেলিং এ আসা দারকার।
নীড়: ভাইয়া যে কি বলো?
নীলা: স্যার মেরিন কোথায়?
তখন ৪জনই শুনতে
পেলো: আআআ…. স্যার বাচান।
নীড় মনে মনে: এবার… এবার তো সেই আমার কোলেই আসবে… ??.
মেরিন চোখ বন্ধ করে আসলেই নীড়ের দিকেই দৌড়ে আসছিলো। কিন্তু মেরিনকে দেখে মুগ্ধ হয়ে অজান্তেই দুর্ভাগ্যবশত নীড়ের সামনে চলে এলো। মেরিনের তো চোখ বন্ধ। মেরিন দৌড়ে এসে লাফ দিয়ে রাজকে নীড় মনে করে লাফ দিয়ে রাজের কোলে লাফ দিয়ে উঠলো। রাজের শার্টের বোতাম ছিরতে ছিরতে
বলল: স্যার স্যার বাচান।
কিন্তু ১টা বোতাম ছিরেই মেরিন থেমে গেলো। ওর কেনো যেন এই কোল এই হাত এই বুক এই ঘ্রাণ সব অচেনা লাগলো। তাই মেরিন সাথে সাথে মাথা তুলে দেখলো। আর
দেখেই: আআআআ।
সবার কানের পোকা সব মরে গেলো। মেরিন তখনই রাজের কোল থেকে নেমে গেলো। নেমে দৌড়ে নীড়ের পিছে লুকাতে গিয়ে নীড়ের reaction দেখে প্রনয়ের পিছে গিয়ে লুকালো। এরপর মাথা বের করে চোখ মিটিমিটি করে রাজের দিকে তাকালো। মেরিনের গোলাপী চোখে যে কেউই crush খাবে রাজও খেলো। কিন্তু নীড় তো সব কাহিনীতে fire হয়ে গেলো। ওর ইচ্ছা করছে রাজের চোখ ২টা তুলে ফেলতে। ও রেগে ওখান থেকে চলে গেলো। সেদিন মেরিন ভয়ের চোটে আর নীড়ের সামনে গেলোনা।
.
পরদিন…..
বিকালে…..
প্রনয়ের অনুরোধে নীড় বিকালবেলা site এ এলো। কারন প্রনয় grandly নীলাকে propose করবে। তাই সেদিন নীলাকে call time বিকাল ৫টায় দিয়েছে। নীলা এলো । প্রনয় দারুনভাবে নীলাকে propose করলো। নীলার চোখে পানি চলে এলো।
প্রনয়: কি ভালোবাসবে আমাকে?
নীলা:….
প্রনয়: বলোনা….
নীলা: উত্তর দেয়ার আগে আমি কিছু বলতে চাই….
প্রনয়: সব শোনা যাবে। কিন্তু আগে বলো ভালোবাসো কিনা…..
নীলা: না আগে আমি কিছু বলতে চাই। সত্যি বলতে চাই।
প্রনয়: সত্যি পরে বলতে পারবে।
নীলা: না। সত্যটা এমন যে সত্য জানলে হয়তো আমাকে আর ভালোবাসবেননা।
প্রনয়: কোনো সত্যই আমার ভালোবাসাকে হারাতে পারবেনা।
নীলা: আমি নীলা।
প্রনয়: সেতো জানি। নুপুর জাহান নীলা।
নীলা: আমি কামাল ভূইয়ার মেয়ে নীলা…..
.
চলবে….