আজব প্রেমের কাহিনী
part : 10
writer : Mohona
পরদিন…..
নীলা এলো। নিজের idea টা দিলো। যেটা প্রনয় আর নীড়ের ভীষন ভালো লাগলো।
নীড়: done… কালকে থেকেই আমরা কাজ শুরু করবে। আপনি কখন থেকে সময় দিতে পারবেন?
নীলা: জী আমি ৪-৫ঘন্টার বেশি কাজ করতে পারবো।
নীড়: its more than enough …. তাইনা ভাইয়া??
প্রনয় তো কিছু শুনতেই পায়নি। ও তো নীলাকে দেখতে ব্যাস্ত ছিলো।
নীড়: ভাইয়া।
প্রনয়: হামম।
নীড়: ঠিক আছে না? ??।
প্রনয়: হামম।
নীড়: চলুন চা বা কফি খাওয়া যাক। চলো ভাইয়া।
প্রনয়: হামম। মেরিন কোথায়?
নীড়: ও থাকুক না ওর মতো।
প্রনয়: ও না থাকলে তোমার কোলে উঠবে কে? ??।
কথাটা শুনেই নীলা ফিক করে হেসে দিলো। আর প্রনয় দেখতে লাগলো।
নীড়ের মনে হলো ওদের একটু privacy দেয়া দরকার। তাই চলে যেতে নিলো। কিন্তু তার উপায় নেই।
দেখলো মেরিন কোথেকে দৌড়ে আসছে।
নীড়: omg.. আবার না আমার কোলে ওঠে…. ভাগ নীড় ভাগ।
মেরিন দৌড়ে আসছে।
হাতের মধ্যে কতোগুলো বেলুন। আসতে আসতে ধপাস করে পরে গেলো। আর বেলুনগুলো উরে গেলো।
.
নীড়: ???।
মেরিন ভ্যা ভ্যা করে কাদতে লাগলো। প্রনয়-নীলা দৌড়ে গেলো।
প্রনয়: আপুমনি ঠিক আছো তো।
মেরিন: আম্মু….. ??। আমার বেলুবগুলো গুলো উরে গেলো।
নীড়: ওই মাথা খারাপের গোডাউন ভাইয়া তোমার কথা জানতে চেয়েছে বেলুনের না। ওহ দারুন লাগছে তো তোমায়। মাটিতে জরোজরো। একেবারে বানরদের রাজ্যের রাজকুমারী।
মেরিন: কি? কি বললেন? আমি বানরদের রাজ্যের রাজকুমারী? আজকে তো আপনাকে আমি….
মেরিন উঠতে গিয়ে আর উঠতে পারেনা। ব্যাথার চোটে। নীড় আরো জোরে জোরে হাসতে লাগলো।
মেরিন মনে মনে: আমাকে বানরদের রাজ্যের রাজকুমারী বলা?
✨??
এখনই এই স্যার কে যেন দেখতে বানরদের মতো হয়ে যায়।
ইলি গিলি ফুস
✨??
মেরিনের জাদুতে নীড় আরো charming হয়ে গেলো। যা দেখে মেরিন নিজেই crush খাওয়ার মতো অবস্থা।
মেরিন: ??। ধুর ভালো লাগেনা।
প্রনয়: নীড় ওকে কোলে তুলে নাও। ও হাটতে পারবেনা।??
নীড়: মোটেও না।
মেরিন: এমন ভাব যেন কোলে ওঠার জন্য মরে যাচ্ছি। huh….
মেরিন অনেক কষ্ট করে উঠতে লাগলো। নীড় গিয়ে ধপাস করে মেরিনকে কোলে তুলে নিলো।
মেরিন: নামান আমাকে….
নীড়: ভাইয়া চলো কফি টফি খেয়েনি। ? ।
প্রনয়: চলো।
মেরিন: কি আশ্চর্য নামান আমাকে।
নীড়: আরেকটা কথা বললে ১টা আছার মারবো।
প্রনয়: নীড়…. মেয়েদের সাথে এভাবে কথা বলে… ?।
নীড়: sorry…..
ওরা কফি খেতে গেলো। নীড় ইচ্ছা করেই মেরিনের জন্য black কফি নিলো। মেরিন ওটা মুখে নিয়েই ধপাস করে ফেলল নীড়ের মুখের মধ্যে। যা নীড় ভাবতেও পারেনি।
প্রনয়-নীলা: ?।
নীড়:???।
মেরিন: sorry সসস্যার… কিন্তু আমার কফি এমন তিতা করল্লা কেন?
নীড়: চু……..প।
.
পরদিন থেকে জমিয়ে কাজ শুরু হলো। মামা-মামি তো সেই লেভেলের লোভী। তাই নীলাকে কাজ করতে দিলো। সবার মনযোগ কাজে হলেও প্রনয়ের মনযোগ নীলার দিকে। বেশ গভীরভাবে ও নীলাকে পর্যবেক্ষন করছে। ওর মিষ্টি হাসির আড়ালে কেন যেন প্রনয় দুঃখ খুজে পায়। সুন্দর ২টা চোখের পেছনে অপ্রকাশিতো কান্না খুজে পায়। নীলাকে আরও গভীরভাবে জানতে মনে চায়।
.
২দিনপর……
নীলা: মেরিন….
মেরিন: জী আপু….
নীলা: তুমি আমাকে সত্যিটা কেন বলোনি?
মেরিন: কি?
নীলা: যে উনি প্রনয় আহমেদ চৌধুরী।
মেরিন:…
নীলা: বলো।
মেরিন: আসলে আমি আগে সব জানতামনা।
নীলা: সেদিন তো আমার মুখে সব শুনলে। তবে?
মেরিন: স্যার মানে নীড় স্যারের ভয়ে আমাকে করতে হয়েছে।
নীলা: এই কারনেই সেদিন আমার নাম নুপুর বলেছিলে?
মেরিন: হামম। তো কি করবো? তোমাকে যদি প্রনয় স্যারের নাম বলতাম তুমি আসতে? নাকি তোমার নাম নীলা বললে স্যার তোমাকে কাজে নিতো? উল্টা আরো হাঙ্গামা হয়ে যেতো। হয়তো এই dream project টাই বন্ধ হয়ে যেতো।
নীলা: কিন্তু মিথ্যা দিয়ে কিছুই শুভ হয়না।
মেরিন: কেউ তো এখানে মিথ্যা বলছেনা।… তুমি কি নুপুর নও? তুমি ক্ best location designer নও?
নীলা: কিন্তু…
মেরিন: কোনো কথানা। যা হয়েছে অজান্তে হয়েছে। কিন্তু এগুলো সবই ভাগ্য। তুমি এতোগুলো বছর যে ভালোবাসার অপেক্ষা করেছো সেটার দেখা পেয়েছো। তুমি তো এটাই চেয়েছিলে।
নীলা: প্রনয় যেদিন জানবে সেদিন….
মেরিন:সেদিনেরটা সেদিন দেখবো। ভবিষৎ ভেবে নিজেকে দুঃখী না করে নিজের বর্তমানকে ভালো রাখো। অন্তত কিছু সুমধুর অতীত পাবে। আর যেখানে সত্যি জানার কথা…. তুমি না চাইলে স্যার কখনোই জানতে পারবেনা। কাজ করতে থাকো। যদি সত্যি তোমাদের বন্ধন সত্যি হয় তবে প্রনয় স্যার তোমাকে ভালোবাসবে। তাই এখন এতো চিন্তা করা বাদ দাও।
নীড়: কিসের চিন্তা?
প্রনয়: কোনো সমস্যা?
মেরিন : না স্যার তেমন কিছুনা।
এই কদিন তো কেবল প্রনয় নীলাকে অপলক দেখে যেতো। তবে সত্যিটা জানার পর আজকে নীলা প্রনয়কে দেখতে লাগলো। আর প্রনয়ও ধীরে ধীরে নীলার প্রেমে পরতে লাগলো।
মেরিনের কান্ড কারখানায় নীলা আবার প্রাণ খুলে হাসতে শিখলো। আর প্রনয়ের জন্য আবার স্বস্তির নিঃশ্বাস নিতে শুরু করলো।
.
৩দিনপর….
এই ৩দিনে প্রনয়ের মনে নীলা অনেকটা জায়গা দখল করে নিয়েছে।
ওরা সবাই মিলে নদীর তীরে গেলো। সেখানে কিছু কাজ আছে বলে। আর তখনই হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হয়ে গেলো। সবাই তো দে দৌড়। কিন্তু নীলা-মেরিন দারিয়ে ভিজতে লাগলো।
নীলা: তোমারও বৃষ্টি পছন্দ?
মেরিন: হামম। বৃষ্টি খেতে ভীষন মজা।
নীলা:হাহাহা। পাগলি। oh no…
নীলা তারাতারি ছাউনির নিচে চলে গেলো। মেরিন অবাক হলো। সাথে ২ভাইও। মেরিন দৌড়ে নীলার কাছে গেলো।
মেরিন:আপু চলে এলে কেন?
নীলা: এমনিতেই।
মেরিন: না চলো না একসাথে ভিজি।
নীলা: না তুমি যাও।
মেরিন: আগে বলো কেন?
নীড়: তোমার সমস্যাটা কি বলবা? ইনি যখন চাইছেন না তবে আপনি জোর করছেন কেন?
মেরিন: আজব তো। confusion থাকলে clear করবোনা? আপু আসোনা।
নীলা: আপু আমি না আসলে বাড়ির বাইরে ভিজি না। কেউ দেখলে কি ভাববে বলোতো ।
মেরিন: তুমি ভিজবে এতে কার বাপের কি? নিজের আনন্দ মাটি করে কারো কথা ভাববো কেন? তোমার লাগলে তুমি আমার ওরনাটাও নাও।
বলেই মেরিন নিজের ওরনায় হাত দিতে নিলে
নীড় বলল: থাপরিয়ে গাল লাল করে ফেলবো ওরনায় হাত দিলে আর ভিজতে গেলে। চুপচাপ ভেতরে দারাও।
মেরিন: আজব তো। এটা কেমন পৃথিবী… যে বৃষ্টিতে ভেজা জাবেনা। বৃষ্টি মানে আনন্দ। বৃষ্টি কেবল কালো মেঘ আনেনা। সাতরঙা রংধনুও আনে। নী… নুপুর আপু যে বৃষ্টি তোমাকে আনন্দ দেয় সে বৃষ্টির আনন্দ উপভোগ না করে যে নষ্ট সমাজ নষ্ট পরিবার তোমার দুঃখের কারন তাদের ভয়ে নিজেকে গুটিয়ে নিলে? sorry to say আমি এটা পারিনা। মেরিন কাউকে ভয় পেয়ে চলেনা। আর স্যার আমি তো বৃষ্টিতে ভিজবোই। এতে আমার চাকরী গেলে যাবে। huh….
বলেই মেরিন বৃষ্টিতে ভিজতে লাগলো। মেরিনের কথা নীলার মনে ঝড় তুলল চোখে অশ্রুরা ভর করলো। যেগুলো খুব গোপনে নীলা মুছে নিলো। তবুও প্রনয় দেখে ফেলল। প্রনয় নিজের কোটটা নীলার গায়ে জরিয়ে দিয়ে
বলল: বৃষ্টি মানে আসলেই আনন্দ। মেরিন ঠিকই বলেছে। চলুন। সবাই মিলে মেরিনের সাথে বৃষ্টিতে ভিজি।
নীলা: না থাক।
প্রনয় হাত ধরে টেনে নীলাকে ছাউনী থেকে বাইরে নিয়ে গেলো। ২জন ভিজতে লাগলো। নীলার হাজারো স্বপ্নের মধ্যে ১টা স্বপ্ন ছিলো যে ওর ভালোবাসার সাথে কোনো এক শ্রাবনে ভিজবে। কিন্তু এভাবে না। তাই নিজের দুর্ভাগ্যের কথা ভেবে করে কেদে উঠলো। যা বৃষ্টিতে আড়াল হয়ে গেলো। যদিও প্রনয় ঠিকই ধরে নিলো।
.
ওদিকে নীড় মেরিনকে খুজছে।
নীড়: মেয়েটা গেলো কোথায়? সত্যিই কি চাকরী ছেরে চলে গেলো নাকি……
তখনই সামনে তাকিয়ে দেখলো যে মেরিন বৃষ্টিতে ভিজছে। আর লাফাচ্ছে। সাদা রঙের ১টা লং থ্রিপীছ পরা। হাতে চুরি। পায়ে চিকন নুপুর। তার সাথে গোলাপী চোখ তো আছেই। নীড়ের মনে হলো এই সময়টার জন্য #প্রেমেরকাহিনী গানটা best হবে। মেরিন নীড়কে দেখতে পেলো। মেরিন দৌড়ে নীড়ের কাছে গেলো।
মেরিন: আপনিও কি ভিজবেন? ?।
নীড় মুচকি হাসি দিলো।
মেরিন: আচ্ছা এখানে ice cream পাওয়া যাবে কোথাও?
নীড়: মানে? কেন?
মেরিন: খাবো।
নীড়:বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে কেউ ice cream খায়?
মেরিন: আমি তো খাই। ১দিন খেতে খেতে বৃষ্টি শুরু হয়েছিলো। কি দারুন লেগেছিলো। যাই হোক। আমি ice cream কোথায় পাবো?
নীড়:হায়রে। কোথাও পাবেনা। ঢাকা হলে পাওয়া যেত। কিন্তু এখানে।
মেরিন: চাইলে সব জায়গাতেই পাওয়া যায়।
নীড়: আচ্ছা ? ?
মেরিন: হামম।
মনে মনে: huh… গরু। কিচ্ছু পারেনা।
✨??
এখনই এখানে ১টা ice cream ওয়ালা চলে আসুক।
ইলি গিলি ফুস।
✨??।
তখনই ১জন গ্রাম্য ice cream ওয়ালা হাটতে হাটতে এলো। মেরিন ice cream ওয়ালাকে গভীরভাবে দেখছে।
মেরিন মনে মনে: মনে হয় আমার magic ঠিকঠাকই হয়েছে। ???।
নীড়: oh… its a miracle … see…. ১টা ice cream ওয়ালা আসছে। চলো।
মেরিনের খুশি দেখেকে….. ৫-৬টা কুলফি একসাথে হাতের মুঠোয় নিয়ে খেতে লাগলো। নীড় ১টা কুলফি খাচ্ছে আর মেরিনকে দেখছে।
মেরিন: আমি কিন্তু আমার ice cream আপনাকে দিবোনা।
নীড় মিষ্টি ১টা হাসি দিয়ে
বলল: একটু দাও।
মেরিন: উহু।
বলেই মেরিন দৌড়ে দুরে চলে গেলো।
নীড়: আরে কোথায় যাচ্ছো?
মেরিন: বলবোনা।
.
ওদিকে…..
প্রনয়: আপনার এতো কষ্ট কিসের জানতে পারি?
নীলা: কোথায়? নাতো।
প্রনয়: আপনি কি জানেন যে আপনার চোখ ২টা ভীষন সুন্দর। আর তারা কথাও বলতে পারে।
নীলা:…..
প্রনয়: কিছু কথা share করা ভালো।
নীলা মনে মনে: আমি তো সেই কবে থেকেই তোমার সাথে নিজের হাসি share করতে চাই। কখনো পারবো কিনা জানিনা….
প্রনয়:আচ্ছা বেশ। বলতে হবেনা। কিন্তু আমরা কি বন্ধু হতে পারি?
ভয় নেই হাত মিলিয়ে বন্ধু হতে বলবোনা। মুখে বললেই হবে। হবেন আমার বন্ধু?
নীলা:…..
প্রনয়: আচ্ছা পরে ভেবে বলবেন। চলুন দেখি পাগল ২টা কোথায়?
নীলা: হামম।
২জন হাটতে হাটতে সামনে গেলো। দেখলো নীড় দারিয়ে কুলফি খাচ্ছে।
প্রনয়: একি…. তুমি পাগল হলে নাকি? বৃষ্টিতে ভিজে কেউ ice cream খায়?
নীড়: কেউ খায়না কিন্তু মেরিন খায়…..
২জন:??।
নীড়: হাসছো? ৫টা কুলফি একসাথে নিয়ে খাচ্ছিলো।
প্রনয়: খাচ্ছিলো মানে? এখন কোথায়?
নীড়: কে জানে বানরের মতো লাফাতে লাফাতে কোথায় গেছে।
প্রনয়: নীড়…..
তখনই ৩জন শুনতে
পেলো: আআআ… বাচান স্যার…..
সবাই বুঝে গেছে এটা কে? মেরিন আবার দৌড়ে এসে লাফ দিয়ে নীড়ের কোলে উঠলো। নীড়ের কোট সরিয়ে শার্টের বাটন টেনে টুনে ছিরে শার্টের ভেতরে মুখ লুকিয়ে আছে।
২জন:??।
নীড়:…. ??
কিন্তু মনে মনে: ???।
নীড়: ওই আজকে আবার কি হয়েছে।
মেরিন:….
নীড়: মেরিন…..
মেরিন: চুপ চুপ আমি লুকিয়ে আছিনা। কথা বললে ওরা আমাকে খুজে ফেলবে না….
নীড়: what? কারা?
মেরিন হাত দিয়ে ইশারা করলো : ওইযে….
তখন ওরা ৩জন দেখলো ৯-১০টা বারো তেরো বছরের ছেলে হাতে ব্যাট নিয়ে ওদের দিকে তেরে আসছে।
৩জন:??।
মেরিন পারলে নীড়ের বুকের চামড়া ভেদ করে ভেতরে ঢুকে যায়। ওদের সাথে কথা বলে যা বুঝতে পারলো তা হলো এই যে মেরিন ওদেরকে ক্ষেপিয়েছে। কোনোরকমে ওদেরকে বিদায় করলো।
.
নীড়: ওরা চলে গেছে।
মেরিন: সত্যি সত্যি?
নীড়: সত্যি।
মেরিন: সত্যিকারী সত্যি না মিথ্যাকারী সত্যি??।
নীড়: সত্যিকারী সত্যি। ? ।
মেরিন নীড়ের কলিজার ভেতর থেকে মাথা বের করলো।
মেরিন: বাচা গেলো ওরা আমাকে দেখেনি। ভাগ্যেস আমি মাথা লুকিয়েছিলাম। ☺️।
প্রনয়: ওদের সাথে ঝগরা করেছিলে কেন?
মেরিন: কারন ওরা বল মেরে আমার কুলফি ফেলেদিয়েছিলো। তা….
এ্যা হ্যা… হ্যা হ্যা… এ্যা হ্যা হ্যা হ্যা।?।
নীড়: আবার ভ্যা ভ্যা করছো কেন?
মেরিন: আমি কুলফি খেতে পারলাম না। ??।
নীলা: পাগলি.. হা…চি…
প্রনয়: একি আপনার তো ঠান্ডা লাগছে। চলুন চলুন। আর ভিজতে হবেনা। তোমরাও চলো।
নীড়: তোমরা আগে বারো। আমরা আসছি। একে কুলফি না দিলে এ আমার মাথার কুলফি বানিয়ে ফেলবে।
প্রনয়: আহচ্ছা।?। প্রনয়-নীলা চলে গেলো।
.
নীড় মেরিনকে কুলফি কিনে দিলো। মেরিন নীড়ের কোলেই সেগুলো খেতে লাগলো …
নীড় মেরিনকে দেখতে লাগলো।
মেরিন: দেখলে লাভ আমি একটাও দিবোনা।
নীড়: আমার চোখেক দিকে তাকাও।
মেরিন: উহু।
নীড়: আমিই তো বলছি তাকাতে…
মেরিন: পরে আবার আমার চুল ধরে মারবেন।
নীড়: মারবোনা। promise …. god promise…
মেরিন তাকালো।
নীড়: আমার চোখে চোখ রেখেই কথা বলবে। যেমনটা অন্যদের সাথে বলো। আর যদি না বলো তবে চুল ধরে মারবো।
মেরিন:???।
.
নীড় মেরিনকে কোলে নিয়ে হাটছে। আর মেরিন মনের সুখে কুলফি খাচ্ছে। না মেরিনের কোল থেকে নামার জলদি আছে আর না নীড়ের ওকে কোল থেকে নামানোর ইচ্ছা।
নীড় মনে মনে: আমি চাই না এই বৃষ্টি শেষ হোক আর না এই পথ। আমি চাই সময়টা এখানেই থেমে যাক। ইচ্ছা করছে এভাবে এই অবস্থায় এই খোলা আকাশের নিচে তোমাকে চিৎকার করে ভালোবাসি বলতে। কিন্তু তা সম্ভব না। তবে কথা দিচ্ছি যদি কখনো এমন সুযোগ পাই….
যদি মনে হয় আমি আবার তোমার প্রেমে পরেছি….
যদি মনে হয় আমি আবার তোমায় ভালোবেসেছি…..
যদি মনে হয় তুমি আমাকে ভালোবাসবে…..
যদি মনে হয় আমার ভালোবাসা বুঝবে….
তবে এমনই এক শেষ শ্রাবণের ধারায় তোমাকে ভালোবাসি বলবো। বলবো i love you……
.
পরদিন…..
রাত ৩টা……
বাড়ির সবাই ঘুম। কিন্তু মেরিন তো না। সে যে উরে উরে ঘুরতে বের হলো। দেখলো চাদের আলো। পূর্নিমার রাত। মেরিন ছাদে ঝুমঝুম করে নাচতে লাগলো। বেশকিছুক্ষন পর মেরিন কারো গোঙানোর আওয়াজ পেলো। মেরিন শব্দ সন্ধানে গেলো। দেখলো নীড় জ্বরে প্রকোপে গোঙাচ্ছে। মেরিন সামনে গিয়ে দেখে নীড়ের ধুম জ্বর। বৃষ্টিতে ভেজার কারনে নীড়ের এমন জ্বর এসেছে।
মেরিন: oh my প্রিয় আল্লাহ স্যারের তো অনেক জ্বর।
.
মেরিন নীড়ের ঘরে ঢুকতেই ১টা অন্যরকম আলোতে নীড়ের ঘর ভরে গেলো। নীড় নিভু নিভু চোখে মেরিনকে দেখতে পেলো। সেই প্রথমদিন যেভাবে যেরূপে যে পোশাকে দেখেছিলো সেভাবে সেই রূপে সেই পোশাকে দেখলো। যা দেখে এই মুহুর্তেও নীড়ের ঠোটের কোনে হাসি ফুটে উঠলো। মেরিন নীড়ের পাশে বসলো। নীড়ের মাথায় হাত রাখলো। মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে লাগলো। নীড় মেরিনের গোলাপী চোখের দিকে তাকিয়ে আছে। মেরিন পরম যত্নে নীড়ের মাথায় হাত বুলাতে লাগলো। না চাইতেও নীড়ের চোখে ঘুম এসে জরো হলো। ঘুমিয়ে গেলো। নীড় ঘুমালো। আর মেরিন নিজের পরশে নীড়ের জ্বর vanish করে দিলো।
মেরিন: আপনার চেহারাটা ভীষন মিষ্টি। একেবারে রসগোল্লার মতো। আপনি কোনো fairy prince এর চেয়ে কমনা। তারথেকে বেশি। বরং বেশি পুরাই awwwe ki cute…. নীলযে নীলপরীরাজ্যের prince তাও আপনার মতো cute এর বস্তানা…. আপনি যদি fairy prince হতেন তবে জল্লাদ বাপকে পটিয়ে আপনাকে বিয়ে করে নিতাম। কিন্তু আপনি তো মানুষ। তাও অহংকারী মানুষের কাতারে।
.
এরপর নিজের রুমে গিয়ে ঘুমিয়ে পরলো।
.
চলবে….