Monday, October 6, 2025







বাড়ি"ধারাবাহিক গল্প"আকাশ জুড়ে তারার মেলাআকাশ জুড়ে তারার মেলা পর্ব-১৪ এবং শেষ পর্ব

আকাশ জুড়ে তারার মেলা পর্ব-১৪ এবং শেষ পর্ব

#আকাশ_জুড়ে_তারার_মেলা
#শেষ_পর্ব
#লেখিকা_N_K_Orni

মিসেস আরিয়া ওখান থেকে ফিরে বাসায় চলে গেলেন। ইফাদ তখন অফিসে ছিল তাই সে জানত না যে তার মা তানিশার বাসায় গিয়েছিল। ইফাদ অফিস থেকে বাসায় ফিরে জানতে পারল যে মিসেস আরিয়া ওখানে গিয়েছিলেন। তখন ইফাদ ওনার রুমে গেল। মিসেস আরিয়া ইফাদকে ওনার রুমে দেখে উঠে বসে বললেন,

— তুই এখন? কিছু বলবি?

— মা তুমি কেন ওদের বাসায় গিয়েছিলে? আমি এইদিকটা সব সামলে নিতাম। তোমার যাওয়ার কোনো দরকার ছিল না।

— তুই এতো কষ্ট পাচ্ছিস, আমি না যে কি করে পারি? যতই হোক, এসব আমার জন্যই হচ্ছে।

— মোটেই না। এসব কিছুই তোমার জন্য হচ্ছে না। আর তুমি ওখানে যাবে না।

মিসেস আরিয়া হালকা হেসে বললেন,

— আচ্ছা ঠিক আছে যাব না। কিন্তু তুই কি করবি? আমি তোকে এভাবে কষ্ট পেতে দেখতে পারছি না।

— আমি একটা না একটা ব্যবস্থা ঠিক করব। তুমি এই বিষয় নিয়ে একটুও চিন্তা করো না। আর এসবের জন্য একদম নিজেকে দোষ দিবে না।

— আচ্ছা।

— মা আমি একটু আগে অফিস থেকে আসছি। এসেই তোমার কাছে এসেছি। আমি বরং রুমে গিয়ে জামাকাপড় বদলে নেই।

মিসেস আরিয়া মাথা নাড়িয়ে বললেন,

— আচ্ছা যা।

ইফাদ ওখান থেকে বেরিয়ে রুমে চলে এলো। সে রুমে এসে রাগ করে বিছানায় বসে পড়ল।

— সব ওই লোকটার জন্য হচ্ছে। দোষ করেছে ওই লোকটা আর শাস্তি পাচ্ছি আমরা। ওই লোকের জন্য আজকে মাকেও কথা শুনতে হলো। আই হেট হিম। আর তানিশার বাবাও অনেক খারাপ। আমার বাবার ভুলের শাস্তি আমাকে দিচ্ছে। আমার মাকে নিশ্চয়ই উনি অনেক কথা বলেছেন। আমি সেই দিনই বুঝেছিলাম উনি এতো সহজে ছেড়ে দেওয়ার মানুষ না।

রাতে মিসেস আরিয়া নিজের রুমে শুয়ে একমনে ভাবছেন,

— ইফাদ যতই বলুক আমি ভালো করেই জানি এসব আমার জন্যই হচ্ছে। আমি ডিভোর্সি বলেই আমার ছেলে তার ভালোবাসার মানুষকে পাচ্ছে না। আমি জীবনে কি এতো পাপ করেছিলাম যে আমাকে এতো শাস্তি পেতে হচ্ছে? আগে মানুষের কাছে আমি কথা শুনতাম। আর এখন আমার ছেকেও শুনতে হচ্ছে। আমি তো ইচ্ছা করে ডিভোর্সি হইনি।

এসব ভাবতে ভাবতে মিসেস আরিয়ার চোখ দিয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়ল। পরদিন সকালে ইফাদ ঘুম থেকে উঠে ওয়াশরুমে চলে গেল। সে ওখান থেকে বের হওয়ার একটু পর একজন এসে দরজায় নক করল। ইফাদ দরজা খুলতেই সামনে থাকা মেয়েটি বলে উঠল,

— স্যার ম্যাম প্রতিদিন এই সময়ে ব্রেকফাস্ট বানিয়ে সাজাতে থাকেন। কিন্তু আজকে তিনি এখনো ওঠেননি আর ওনার দরজাও বন্ধ। আমি সকাল থেকে বেশ কয়েকবার ওনার দরজায় নক করেছি। কিন্তু উনি দরজা খোলেননি।

মেয়েটির কথা শুনে ইফাদ ছুটে তার মায়ের রুমে গেল। সে তার মায়ের রুমের দরজায় কয়েকবার জোরে জোরে নক করল সাথে তাকে কয়েকবার ডাকও দিল। কিন্তু তিনি দরজা খুললেন না। ইফাদ আর উপায় না পেয়ে দরজা ভেঙে ফেলল। ইফাদ দরজা খুলে দেখল তার মা শুয়ে আছেন। ইফাদ ওনার কাছে গিয়ে ওনাকে বেশ কয়েকবার ডাকল কিন্তু উনি কোনো সাড়া দিলেন না। ফাহিম গিয়ে দ্রুত ডাক্তারকে কল দিল। সেই মেয়েটি মিসেস আরিয়াকে চেক করে বলল যে উনি মারা গেছেন। ইফাদ তার কথায় বিশ্বাস করল না।

এরপর ডাক্তার এসেও একি কথা বললেন। ইফাদ তার মায়ের মৃত্যুর কথা শুনে স্তব্ধ হয়ে গেল। তার মা ছাড়া তার আর কেউ নেই। এখন সেই মাও তাকে ছেড়ে চলে গেল। ফাহিম অনেক কষ্টে ইফাদকে সামলালো। দেখতে দেখতে তিন মাস চলে গেল। ইফাদ তার মায়ের মৃত্যুতে অনেক কষ্ট পেয়েছিল। তারপর থেকে সে আর তানিশার জন্য তার বাসার সামনে অপেক্ষা করেনি। হঠাৎ একদিন ইফাদের কাছে খবর এলো আজাদ সাহেবের অফিসে তাকে নিয়ে কিছু ঝামেলা হওয়ায় তিনি এসব নিতে না পেরে হার্ট অ্যাটাক করেছেন। আগে থেকেই তার হার্টে সমস্যা ছিল যার কারণে এতে তার অনেক সমস্যা হয়। ইফাদ এসব জানতে এই সুযোগটা কাজে লাগাল। সে মিসেস তাসনীমকে টাকা অফার করল সাথে আজাদ সাহেবের চিকিৎসার খরচও দিতে চাইল। মিসেস তাসনীমও তার কথায় রাজি হয়ে গেল আর তানিশাকে ওকে বিয়ে করার জন্য চাপ দিল।

বর্তমান

তানিশা ঘুম থেকে উঠে দেখল ইফাদ রুমে নেই। সে ওয়াশরুম চেক করল কিন্তু ইফাদকে সেখানেও পেল না। তারপর সে বারান্দায় গেলে ওখানে ইফাদকে দেখতে পেল। কাল রাতে বাইরে থেকে আসার পর ইফাদ ওখানেই ঘুমিয়ে পড়েছিল। ওকে ঘুমাতে দেখে তানিশা ওকে না ডেকেই চলে আসতে গেল। কিন্তু তখনই সে টেবিলের সাথে পায়ে হালকা ধাক্কা খেল। যার কারণে ইফাদ উঠে গেল। ইফাদ ওকে ওখানে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে বলে উঠল,

— তুমি এখানে?

তানিশা মাথা নিচু করে বলে উঠল,

— কালকের জন্য আমি সরি।

তানিশার কথা শুনে ইফাদ হালকা হেসে বলল,

— সমস্যা নেই। আমি এখন আর তোমার উপর রাগ করে নেই।

— জানি তারপর বললাম। কালকে আমি আপনাকে একটু বেশিই বলেছিলাম। আসলে আমার মাথার ঠিক না। আমার জায়গায় আপনি থাকলেও হয়তো এই কাজই করতেন। যার জন্য আপনার বাবা মা আপনার থেকে দূরে সরে গেছে তাকে নিশ্চয়ই আপনি ক্ষমা করবেন।

— কিন্তু আমি তো তোমাকে দোষই দিচ্ছি না, সেখানে ক্ষমা তো অনেক দূরের বিষয়।

তানিশা অবাক হয়ে বলে উঠল,

— মানে?

— মানে কিছুই না। আমিও আমার খুবই মূল্যবান কিছু হারিয়ে ফেলেছি। কিন্তু আমি এর জন্য তোমাকে দোষ দেইনি।

— কি হারিয়ে ফেলেছেন আপনি?

ইফাদ কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে বলে উঠল,

— আমার মা। ওইদিন তোমাদের বাসা থেকে ফেরার পর রাতেই মা মারা যান।

ইফাদের কথা শুনে তানিশার বুকটা ধক করে উঠল। সে ভাবতেও পারেনি এমন কিছু একটা হয়েছে। ইফাদ একবার ওর দিকে তাকিয়ে ওয়াশরুমে চলে গেল। তানিশা ওখানেই স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে রইল। সে মনে মনে ভাবতে লাগল,

— এজন্যই এ বাসায় আসার পর থেকে আমি ইফাদের মাকে দেখতে পাইনি। নিজেকে খুব অপরাধী লাগছে। ওনার মা আমাদের জন্যই মারা গেছেন আর ইফাদ আমাকে এর জন্য একটুও দোষ দিল না। আর আমি ওকে কালকে এতোগুলো কথা বললাম যেখানে বাবা শুধুমাত্র আমার উপর রাগ করে চলে গেছে বলে। আমি এখন ইফাদের সামনে গিয়ে দাঁড়াব কীভাবে? বাবার কথার কারণেই উনি মারা গেছেন।

একটু পরে তানিশা উঠে রুমে চলে গেল। সারাদিন তানিশা ইফাদের বলা ওই কথাগুলো মনে করতে লাগল। দুপুরে ফাহিম বাসায় এলে তানিশার তার থেকে ইফাদের মায়ের মৃত্যুর পুরো ঘটনাটা শুনল। বিকালে তানিশা তৈরি হয়ে তার বাসায় গেল। বাসার দরজায় কলিং বেল দিতেই তার মা এসে দরজা খুলে দিলেন। মিসেস তাসনীম ওকে দেখে অবাক হয়ে বলে উঠল,

— তুই এখন? ভেতরে আয়।

তানিশা ভেতরে ঢুকল। আজাদ সাহেব তানিশাকে দেখে অবাক হয়ে বলে উঠলেন,

— তুই এখানে? আমি জানতাম তুই ফিরে আসবি।

তানিশা কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে বলে উঠল,

— না বাবা আমি পুরোপুরি ফিরে আসিনি।

আজাদ সাহেব এবার কড়া গলায় বলে উঠলেন,

— তাহলে তুমি কেন এসেছ? তুমি কি ভেবেছ আমাকে বললেই আমি মেনে নিব। তুমি যা ভাবছ তা কখনোই হবে না। আমি কখনোই ওই ছেলেকে মেনে নেব না।

— জানি মেনে নেবে না। আর কারণ হিসেবে বলবে যে ইফাদের বাবা তার মাকে ছেড়ে চলে গেছিল। তাই ইফাদও আমাকে ছেড়ে চলে যাবে। আচ্ছা ইফাদের বাবার বাবাও কি ওনার স্ত্রীকে ছেড়ে দিয়েছিলেন? তুমি কি এটা খোঁজ নিয়েছ? নাহলে ইফাদের বাবা ওনার মাকে ছেড়ে গিয়েছিলেন তাই উনিও ওনার স্ত্রীকে ছেড়ে দিয়েছেন। এটাই বুঝাচ্ছ তাই না? কিন্তু এসব কিছুই না। তাহলে যেখানে ওনার বাবা একসাথে থাকা সত্ত্বেও উনি ওনার স্ত্রীকে ছেড়ে গিয়েছিলেন, তুমি যার সাথে আমার বিয়ে দিবে তারও নিশ্চয়ই বাবা মা দুজনেই থাকবে সে আমাকে ছেড়ে দিবেনা তার কি নিশ্চয়তা আছে?

আজাদ সাহেব কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে বলে উঠলেন,

— তুমি যতই এসব বলো আমি ইফাদকে মেনে নিব না। তাই ভালো হবে এসব বাদ দিয়ে চলে যাও।

— আমি তোমাকে ইফাদকে মেনে নেওয়ার কথা বলতে আসিনি। আমি শুধু তোমাকে তোমার চিন্তাভাবনা বলতে এসেছি। বাবা মায়ের দোষ কেন ছেলেদের উপর দিচ্ছ? তুমি কি জানো তোমার এই সব উল্টাপাল্টা চিন্তাভাবনার কারণে একজন মানুষের প্রাণ চলে গেছে। তুমি কীভাবে সেটা বুঝবে? তুমি তো শুধু নিজের চিন্তাভাবনাকেই সঠিক করো। অন্য কিছু তো তুমি ভাবোই না।

আজাদ সাহেব তানিশার দিকে ভ্রু কুচকে তাকালেন।

— কি অবাক হচ্ছো? ভাবছো তোমার জন্য আবার কার প্রাণ চলে গেল? ওই দিন তোমার সাথে কথা বলে যাওয়ার পর রাতেই ইফাদের মা মারা যান। এসব নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তার ফলে তিনি মারা যান। এখন ওনার মৃত্যুর জন্য কে দায়ী? অবশ্যই তুমি আর সেই সাথে আমিও অপরাধী।

তানিশা দম ছেড়ে আবার বলে উঠল,

— সেদিন তুমি বলেছিলে না আমার জন্য তোমার বাড়ির দরজা বন্ধ। তাহলে তুমিও শুনে রাখ। যতদিন না তুমি তোমার চিন্তাভাবনা বদলাবে, মানুষকে তার স্বভাব চরিত্রের দিক দিয়ে বিবেচনা করবে, ততদিন আমিও তোমার সাথে যোগাযোগ করব না।

বলেই তানিশা এক মূহুর্তও অপেক্ষা না করে ওখান থেকে বেরিয়ে এলো। আজাদ সাহেব ওখানেই স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে রইলেন। তানিশা বাসা থেকে বেরিয়ে রাস্তা দিয়ে হাঁটতে শুরু করল। সে এখনো একটা ঘোরের মধ্যে আছে। সে বারবার নিজেকে দোষ দিচ্ছে। সে মনে করছে তার জন্যই ইফাদের মা মারা গেছেন। এসব ভাবতে ভাবতেই হঠাৎ একটা গাড়ি এসে তানিশাকে ধাক্কা দিয়ে দিল। সে কিছুটা দূরে ছিটকে গিয়ে পড়ল। আশেপাশের কিছু লোকজন তাকে হসপিটালে নিয়ে গেল। তার ফোনে সবার প্রথমে ইফাদেরই নাম্বার ছিল। তাই ওখানের একজন ইফাদকেই কল দিল। ইফাদ সব শুনে দ্রুত সেখানে এলো।

আজাদ সাহেব রুমে বসে একমনে চিন্তা করছেন। তখন ওখানে তিহান এসে বলল,

— বাবা আপু কিন্তু ভুল কিছু বলেনি। এখনো সময় আছে নিজের চিন্তাভাবনা বদলাও আর ওদের মেনে নেও।

বলেই তিহান ওনার রুম থেকে বেরিয়ে গেল। ওখান থেকে বেরিয়ে তিহান মনে মনে ভাবল,

— আপুর মনের অবস্থা ভালো নেই। আমার আপুকে একটা কল দেওয়া উচিত।

তিহান তানিশাকে কল দিলে ওর ফোন ইফাদ ধরল। সে তিহান সবটা খুলে বলল। সব শুনে তিহান দ্রুত তার মায়ের কাছে ছুটে গেল। আজাদ সাহেবও দূর থেকে সব শুনে ফেললেন। তিনি আর মেয়ের উপর রাগ করতে পারলেন না। ওনারা সবাই হসপিটালে গেলেন। ইফাদ তিহান আর তিনার সাথে কথা বলেও আজাদ সাহেবকে পাত্তা দিলেন না। আর মিসেস তাসনীম কেঁদেই যাচ্ছিলেন। ডাক্তার বের হওয়ার পর ইফাদ ওনাকে তানিশার কথা জিজ্ঞাসা করতেই উনি বললেন,

— রোগীর অবস্থা খুব একটা ভালো না। চব্বিশ ঘন্টা না গেলে কিছুই বলতে পারব না। আসলে রোগীর মাথায় লাগার ফলে ব্রেনে কিছুটা প্রভাব পড়েছে।

ডাক্তারের কথা শুনে ইফাদ ধপ করে বসে পড়ল। চব্বিশ ঘন্টা পর তানিশার জ্ঞান ফিরলেও সে খুব একটা সুস্থ হলো না। তানিশার সুস্থ হতে তিনমাস লেগে গেল। এই তিনমাসে ইফাদ তার খুবই যত্ন নিয়েছে, ছোট ছোট বিষয়েও সে অস্থির হয়ে উঠেছে। ইফাদের এই অবস্থা দেখে আজাদ সাহেব বেশ লজ্জিত হয়েছেন তাকে ভুল বোঝার জন্য। তাই তিনি ইফাদের কাছ থেকে পূর্বের ব্যবহারের জন্য ক্ষমাও চেয়েছেন।

তানিশা এখন প্রায় সুস্থ। সে এখন ইফাদের বাসায়ই আছে। তবে ডাক্তার বলেছেন কিছুদিন রেস্টে থাকতে। তানিশা রুমে বসে আছে আর ইফাদ তাকে খাইয়ে দিচ্ছে। ইফাদ তানিশার মুখের সামনে চামচ তুলে ধরে বলে উঠল,

— এখন তো তোমার বাবাও আমাকে মেনে নিয়েছেন। তাহলে তুমি কি আমাকে মেনে নিয়েছ?

তানিশা মুখ বেঁকিয়ে বলল,

— এতো সহজ না। আপনি আমাকে ব্লাক*মেইল করে বিয়ে করেছিলেন। আমি আপনাকে এতো সহজে মেনে নিচ্ছি না।

— এটা ঠিক না।

— এসব বলে লাভ নেই।

ইফাদ এবার খাবারের প্লেটটা পাশে রেখে ওকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরল। তানিশা কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে বলে উঠল,

— আপনি আমাকে কখনো ছেড়ে যাবেন না তো ইফাদ?

তানিশার কথা শুনে ইফাদ ওকে ছেড়ে দিল। তারপর ওর কপালে চুমু দিয়ে বলে উঠল,

— কখনোই না। আমি আমার জীবনের শেষ মূহুর্ত পর্যন্ত তোমার সাথে কাটাতে চাই।

বলেই আবার ওকে জড়িয়ে ধরল। এবার তানিশাও ওকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরল।

সমাপ্ত

( ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আরও ভালো না লাগলে ইগনোর করবেন কিন্তু কোনো বাজে মন্তব্য করবেন না। )

পূর্ববর্তী নিবন্ধ
পরবর্তী নিবন্ধ
গল্প পোকা
গল্প পোকাhttps://golpopoka.com
গল্পপোকা ডট কম -এ আপনাকে স্বাগতম......
RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments

Md masrur Hasan mahi على অবুঝ_বউ পার্ট: ৫
আমিনুল ইসলাম على প্রয়োজন পর্ব: ৩০ ( অন্তিম)
সাজিবুল ইসলাম على ধর্ষিতাবউ২ ৯ তথা শেষ পর্ব
শাহিদুল ইসলাম على জীবন সঙ্গী ১ম পার্ট
শাহিদুল ইসলাম على জীবন সঙ্গী ১ম পার্ট
Nita Sarkar على স্বপ্নীল ৬৮
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على রহস্য শেষ_পর্ব
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على অলক্ষ্যে তুমি পর্ব-০৬ এবং শেষ পর্ব
Nazmun Nahar Akhi على Psycho_is_back? part_7
Nazmun Nahar Akhi على Dangerous_Villian_Lover part 2
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على জানালার ওপারে পর্ব-১৭ এবং শেষ পর্ব
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على লীলা বোর্ডিং ১২১৫ পর্ব-১১ এবং শেষ পর্ব
মিজানুর রহমান রাহুল على সেই তুমি পর্ব-০১
@feelings على প্রহেলিকা
Anamika Basu على সে পর্ব-১২
Anamika Basu على সে পর্ব-১২
Nusrat jahan على coffee & vanilla Part-10
Pallabi Roy على স্বপ্নীল ৬৮
M.D Mahabub على The_Villain_Lover Part_2
Labani sarkar على Dangerous_Villain_Lover part 23
MD Akas Apc على বিবেক
Tanisha Ahmed على Devil love part-18 
Aius Barmon shorob على নারীর দেহকে নয়
Chandan roy على স্বপ্নীল ৬৮
Chandan roy على স্বপ্নীল ৬৮
Riya Biswas على তুমি রবে ৬০
Priya Banerjee على devil love married life last part
Riya Biswas على তুমি রবে ৬০
Riya Biswas على তুমি রবে ৫২
Mohammad Adib على তুমি রবে ৬০
Avni Ayesha على তুমি রবে ২৮
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
সুমিত على তুমি রবে ২৮
TANJIBA ZENIFAR على তুমি রবে ৫০
TANJIBA ZENIFAR على তুমি রবে ৫০
Samiah Begum على তুমি রবে ৫১
biddut das rocky على নর নারী
গল্প পোকা على নষ্ট গলি শেষ পর্ব
Md Jobayer Hossain Shohag على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
গল্প পোকা على দুই অলসের সংসার
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤৪২.
A.J.S Rakib على মন ফড়িং ❤৪২.
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
Samiya noor على গল্পঃ ভয়
Sadikul على গল্পঃ ভয়
Samia Islam على গল্পঃ ভয়
শূন্য মায়া على মন ফড়িং ❤ ৪০.
Sutapa biswas على মন ফড়িং ❤৩৯.
Foysal Mahmud على My_Mafia_Boss_Husband Part: 16
sutapa biswas على মন ফড়িং ❤ ৩৮.
sutapa biswas على মন ফড়িং ❤ ৩৭
Foysal Mahmud على My_Mafia_Boss_Husband Part: 16
Siyam على বিবেক
Sudipto Guchhait على My_Mafia_Boss পর্ব-৯
saptami karmakar على devil love married life last part
saptami karmakar على devil love married life last part
মায়া على মন ফড়িং ৩০.
মায়া على মন ফড়িং ৩০.
মায়া على মন ফড়িং ২৬.
Shreyashi Dutta على  বিয়ে part 1
Sandipan Biswas على  বিয়ে part 1
Paramita Bhattacharyya على অনুরাগ শেষ পর্ব
জামিয়া পারভীন তানি على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
মায়া على মন ফড়িং  ২২
সুরিয়া মিম على খেলাঘর /পর্ব-৪২
গল্প পোকা على মন ফড়িং ২১
গল্প পোকা على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
Sahin ssb على মন ফড়িং ২১
মায়া على মন ফড়িং ২১
মায়া على মন ফড়িং ❤ ২০.
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤ ২০.
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৮. 
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৭.
Jannatul Ferdous على খেলাঘর পর্ব-৩৫
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤ ১৬. 
গল্প পোকা على ফাল্গুনের_ফুল last_part_8
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৬. 
গল্প পোকা على ছাত্রী যখন বউ পাঠঃ ১
গল্প পোকা على বাজির প্রেম পাঠঃ ১
Foujia Khanom Parsha على মা… ?
HM Ashraful Islam على অবুঝ_বউ পার্ট: ৮
HM Ashraful Islam على অবুঝ_বউ পার্ট: ৫
Ibna Al Wadud Shovon على স্বার্থ