অন্ধকার পল্লী Part:৯

0
1944

#অন্ধকার_পল্লী
Part:৯
#Tabassum_Riana
,
,
,
আপনার বাসাটা সত্যিই দারুন।ভীষন মনোমুগ্ধকর।আমার খুব ভালো লেগেছে।ফুল বাগানের পাশে হাঁটতে হাঁটতে কথা গুলো বলছিলো অবনী।আফিন মু্চকি হেসে অবনীকে দেখছে।এত মায়াবী লাগছে মেয়েটাকে। অবনীর কাছে এসে দাঁড়ালো আফিন।কারোর স্পর্শ পেয়ে থমকে গেলো অবনী।বুকটার এক কোনে কেমন যেন কেঁপে উঠলো।আফিন ধীরে অবনীর হাতের আঙ্গুল গুলো নিজের আঙ্গুলের ভাজে নিতে থাকলো।অবনী নড়তে পারছেনা।কেমন যেন অবশ লাগছে নিজেকে।হঠাৎ কারোর কথায় সম্বিৎ ফিরে পেলো অবনী।চলো!!! বলে উঠলো আফিন।অবনী আফিনের দিকে একনজর তাকিয়ে ঘরের দিকে পা বাঁড়ালো।ঘরের ভিতরটা ভীষন সুন্দর করে সাজানো।দামি আসবাব পত্র আছে পুরো ঘর জুড়ে।পুরোঘরে চোখ ঘুরিয়ে দেখছিলো অবনী।আফিন অবনীর পিছে দাড়িয়ে ওর কোমড় জড়িয়ে নিজের কাছে টেনে নিলো।অবনী কোন কথা বলতে পারছেনা।দ্রুত নিশ্বাস নিচ্ছে অবনী।আফিনের নিশ্বাস অবনীর কাঁধে পড়তেই কিছুটা কেঁপে উঠে আফিনের হাত খামচে ধরলো অবনী।অবনীর কাঁধের চুল গুলো সরিয়ে সেখানে আলতো করে ঠোঁট ছুঁইয়ে দিলো আফিন।অবনী চোখ বুজে নিলো।নিজের সব ইমোশন কে সরিয়ে অবনী নিজেকে ছাড়ানোর আপ্রান চেষ্টা করছে।আফিন হঠাৎ থেমে গেলো অবনীর কথায়।প প্লিজ ছাড়ুন কাঁপা গলায় বলে উঠলো অবনী।
,
,
,
,
আ’ম সরি।বলে উঠলো আফিন।অবনীর দিকে আর তাকাতে পারলোনা ও।অবনীর হাত ধরে সিড়ির দিকে পা বাঁড়ালো আফিন।একটা রুমের সামনে অবনীকে নিয়ে দাঁড়ালো আফিন।এই দুইদিন এখানে থাকবে তুমি।অবনীর দিকে একনজর তাকিয়ে বলল আফিন।মাথা ঝাঁকালো অবনী।আফিন অবনীকে রেখে পাশের রুমে চলে গেলো।রুমটি বেশ গুছানো এবং বড়।অবনী রুমে ঢুকে পুরো রুমটাকে দেখে নিলো।ফ্রেশ হতে হবে কিন্তু সাথে কোন কাপড় নেই কি করবে অবনী এখন?কথা গুলো ভাবতে ভাবতে আলমারির সামনে এসে দাঁড়ালো অবনী।আলমারিটাকে ছুঁয়ে দেখে নিলো।কারুকাজ দেখে মনে হচ্ছে বেশ পুরোনো যুগের আলমারি এটা।আলমারির হাতল ধরে টেনে খুলতেই চোখ ছানাবড়া অবনীর। *নতুন নতুন রোমান্টিক গল্প পেতে ভিজিট করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: “নিঃস্বার্থ ভালোবাসা”*
৫-৬টা শাড়ী ঝুলানো আছে আলমারিটায়।নতুন মনে হচ্ছে শাড়ী গুলোকে।সাত পাঁচ ভেবে নীল একটি শাড়ী নিয়ে ওয়াশরুমে ঢুকে পড়লো অবনী।ফোন বের করে দুজনের জন্য খাবারের অর্ডার দিলো আফিন।ঘরে তেমন বাজার করা নেই তাই খাবার কিনে আনতে হচ্ছে।খাট থেকে উঠে দরজার কাছে আসতেই থমকে গেলো আফিন।শাড়ীটা অবনীকে এতোটা মানাবে জানতোনা অাফিন।শাড়ীটা যেন অবনীর জন্যই তৈরি হয়েছে।অবনীকে নিয়ে আসার আগেই শাড়ী গুলো রেখে দিয়েছিলো আফিন।ভালোই করেছে।এক সুযোগে জলপরীটাকে শাড়ীতে দেখতে পাচ্ছে আফিন।আফিনের তাকানোয় খানিকটা লজ্জা পেয়ে মাথা নিচু করলো অবনী।আফিন অবনীকে এক নজর দেখে ওকে কোলে তুলে নিলো।
,
,
,
,
অবনীকে খাটে বসিয়ে ওর পাশে বসে পড়লো আফিন।এতো মায়াবতী কেন তুমি বলতে পারো?অবনীকে বলে উঠলো আফিন।হু!!!কিছুটা অবাক হয়ে বলে উঠলো অবনী।অাফিন অবনীর একদম কাছে চলে এলো।অবনী আফিনকে দেখেই যাচ্ছে।জানো শাড়ীতে তোমাকে একদম বৌ লাগে।অবনী মুগ্ধ দৃষ্টিতে আফিনকে দেখে যাচ্ছে।আফিন কিছু না বলে অবনীর ঠোঁটজোড়ায় আলতো করে একবার চুমো দিয়ে ঠোঁট জোড়া অবনীর ঠোঁট জোড়ায় ডুবিয়ে দিলো।অবনীর চোখ বড় হয়ে গেলো।আফিন চোখ বন্ধ করে অবনীর ঠেঁটের স্বাদ উপভোগ করছে।অবনীর গলায় হাত রাখলো আফিন।আফিনের শার্টের কলার খামচে ধরে আছে অবনী।অবনীর ঠোঁটজোড়া কাঁপছে কোনমতেই আফিনের ভালোবাসার জগতে সাড়া দিতে পারছেনা অবনী।বেশকিছুক্ষন পর আফিন অবনীর থেকে সরে ওর কপালের সাথে কপাল ঠেঁকালো আফিন।চোখ বন্দ করে নিশ্বাস নিচ্ছে আফিন।আর অবনী আফিনকে দেখছে অবাক চোখে।হঠাৎ ফোন বেজে উঠায় দুজনে সরে গেলো।আফিন অবনীর দিক থেকে চোখ সরিয়ে।নিয়ে ফোনে মনযোগ দিলো।পাঠাও থেকে কল এসেছে।লোকটা হয়ত খাবার নিয়ে এসেছে তাই কল দিচ্ছে।আফিন ফোন রিসিভ করে রুম থেকে বেরিয়ে নিচে চলে গেলো।অবনী আফিনের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রইলো।সেই সময়টায় অবনী আফিনের মাঝে ডুবে গিয়েছিলো।আফিন চলে যয়ওয়ার পর অবনী মাথা ঘুরিয়ে চারপাশ দেখে নিলো।অবনী!!!নিচে আসো নিচ থেকে চেঁচিয়ে উঠলো
,
,
,
,
আফিনের ডাকে তড়িঘড়ি করে নিচে নেমে এলো অবনী।টেবিলের খাবারের প্যাকেট গুলো খুলে প্লেটে খাবার বাড়ছে আফিন।অবনীকে নিচে নেমে আসতে দেখে আফিন বলে উঠলো”দেখো আমার কাছ থেকে সরি এক্সপেক্ট করোনা।কারন সরি বলবো ও না আমি।মনে করোনা আমি ঘোরের মাঝেই তোমায় কিস করেছি।ইটস নট লাইক দ্যাট।আমি তোমার ঘ্রানে এতোটাই মাতাল ছিলাম যে নিজেকে আটকাতে পারিনি।সো আ’ম নট সরি।অবনীর কাছে এসে দাঁড়ালো আফিন Its the sweetest kiss ever.নেশা ধরানো কন্ঠে বলল আফিন।অবনী অবাক হয়ে আফিনকে দেখছে।খেতে বসো।অবনীর থেকে চোখ সরিয়ে বলে উঠলো আফিন।অবনী মুচকি হেসে চেয়ারে বসে পড়লো।আফিন ওর সামনের চেয়ারে বসলো।খাবারে চামচ নাড়ছে অবনী আর আফিনকে দেখছে।লোকটার নেশায় মাতাল প্রায় ও।খুব কাছে থাকতে ইচ্ছে হয় ওর আফিনের এবং তার মাঝেই ডুবে থাকতে চায় ও।লোকটাকি পারবে তার হৃদয়ের এক কোনে অবনীকে জায়গা করে দিতে?আফিন খেতে খেতে অবনীর দিকে তাকালো।অবনী না খেয়ে আফিনের দিকে চেয়ে আছে।কি হলো খাচ্ছোনা যে?বলে উঠলো আফিন।এই তো খাচ্ছি চামচে করে একটু রাইস মুখে নিয়ে বলে উঠলো অবনী।
(ফোনে টাচের প্রব্লেম হচ্ছে আজ।তাই যতটুকু সম্ভব হয়েছে দিয়েছি)
চলবে

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে