psycho_is_back? season_2part_18

0
2574

psycho_is_back?
season_2part_18
#apis_indica

বারিশ বলল,
—–এসব কি জেনি? কতবার না করেছি, হুট হাট জড়িয়ে ধরবে না আমাকে?
জেনি বারিশকে ছেড়ে বলল,
—–তোমাকে দেখে আমি খুব আবেগপ্রবণ হয়ে গিয়ে ছিলাম।তাই কন্ট্রোল করতে পারিনি।জানো মামি আমাদের বিয়ে ঠিক করেছে?
—-কাদের?
—-উফ! বারিশ না জানার ভান কেন করছো? ইউ নো আমাদের বিয়ে…..!
জেনিকে বলতে না দিয়ে,
—-আমি বিয়ে করে ফেলেছি জেনি..!!সি ইজ মাই ওয়াইফ।
বারিশের কথায় জেনি ৪৪০ বোর্ডের শক্ড খাইলো জেনি।আর অবাক হয়ে বলল,
—-বারিশ তুমি মিথ্যা বলছো আমাকে? তুমি এমন করতে পারো না আমার সাথে! ইউ নো না, আমাদের ছোট বেলা থেকে বিয়ে ঠিক হয়ে আছে?
বারিশ ভাবলেশহীন ভাবে সোফায় পায়ের উপর পা তুলে বসে বলল,
—-কই আমার তো কিছু মনে নেই…!
জেনি এবার কান্না করে বলল,
—-ইউ চিট মি?
তখনি বারিশের ফুপি নামতে নামতে বললো,
—-জেনি কান্না করছিস কেন? আর কুহু তুমি কখন এলে?
আমি সব কিছু আহাম্মকের মত দেখে যাচ্ছি কিছুই মাথায় ঢুকছেনা আমার। তখন বারিশ আমার পাশে এসে দাড়ায়। আর বলতে লাগে,
—ফুপি কুহু আমার ওয়াইফ। আমি ওকে ১০ দিন আগে বিয়ে করে নিয়েছি।
তখনি দাদু এসে বললেন,
—-দাদু ভাই আমাদের একবার জানাতে কুহুুকে তোমার পছন্দ? আমরা বিয়ে করিয়ে দিতাম। এভাবে? আচ্ছা যাই হোক বিয়েতো হয়েছে।
তার ফুপিকে বললেন,
—-ওকে বারিশের ঘরে নিয়ে যাও।
আমাকে ফুপি বারিশের ঘরে নিয়ে গেল।দেখেই বুঝতে পারছি ফুপির মুখের রং পাল্টে গেছে। ফুপি আমাকে রুমে এনে ধাক্কা মেরে ফ্লোরে ফেলে দিয়ে আমার গাল চেঁপে বললেন,
—-ছোটলোকের বাচ্চা, প্রথম দিন বাসায় এসেই আমার ছেলেটা মাথা খেয়ে নিয়েছিস! আমি দেখি তুই এই সংসার কিভাবে করিস,, বলে চলে গেলেন। আমি তখন নিচে পরে আছি। মাত্র কি হলো বুঝতে পারলাম না। মাথাটা ভন ভন করছে আমার।তখনি ঘরে বারিশ ঢুকে আর আমাকে ফ্লোরে বসে থাকতে দেখে দৌড়ে কাছে এসে বলে,,
—-আরে তুমি মাটিতে কেন বসে? উপরে উঠে বস!
আমি বারিশের দিক ছল ছল চোখে তাকিয়ে আছি। এখন যদি ফুপির কথা বলি তাহলে সে কি বিশ্বাস করবে? নাকি ফুপি শুধু রেগে আছে বলে এমন করছেন? হয়ত রেগে আছে বলে!
বারিশ আমার চোখের পানি মুছে দিয়ে বলল,
—-কাঁদছো কেন?
—-বাসার কথা মনে পরছে।
বারিশের এই কথা চোয়াল শক্ত করে জবাব দেয়,
—-আজ থেকে এটাই তোমার বাসা, এটা মনে রাখলেই চলবে। আর সব ভুলে যাও।
আমি বারিশের কথায় অবাক হয়ে বললাম,,
—কি যাতা বলছেন? আমার বাড়ির কথা আমি ভুলে যাবো? আর ইউ মেড?
বারিশ রেগে গিয়ে বলল,
—-ইয়েস আয় এম মেড! আর যদি তাদের সাথে কোনো সম্পর্ক রাখো! আমার থেকে খারপ কেউ হবে না…! বলে গট গট করে চলে গেল বারিশ
আমি তার যাওয়ার দিক তাকিয়ে আছি।একদিনে সব কেমন এলোমেলো লাগচ্ছে আমার।
?
খাবার টেবিলে বমে আছে সবাই। কুহু বাদে..! বারিশ তা দেখে ভ্রু কুচকে প্রশ্ন করলো,
—-ফুপি কুহু কই?
ফুপি মেকি হাসি দিয়ে বলল,
—-ডেকে ছিলাম ওকে…! বলল, খাবে না!
বারিশের রাগ লাগলো, সে তাদের কাজের মেয়েকে উদ্দেশ্য করে বলল,
— আমাদের খাবার উপরে নিযে এসো। বলে উপরে চলে গেল।
জেনি খাবার থামিয়ে দিল। আর ফুপির উদ্দেশ্যে বলল,
—-মামি আমি কাল চলে যাবো। ভাইয়াকে আস্তে বল।
বলে সেও চলে গেল।

বারিশ রুমে ঢুকে দেখে কুহু কার সাথে ফোনে কথা বলছে, এতটা মগ্ন যে তার পাশে বারিশ দাড়িয়ে টের ফেল না।

বারিশের রাগ লাগলো তাতে। হাত থেকে ফোন নিয়ে নিল। বারিশের এমন কাজে আমি অবাক হলাম। আর বললাম,
—-এটা কি ধরনের অভদ্রতা! ফোন দিন আমার। বারিশ খুব গম্ভীর ভাবে বলল,
—-কার সাথে কথা বলছিলে?
আমি আমতা আমতা করে বললাম,
—-টিনার সাথে!
বারিশের যেন বিশ্বাস হলো না। সে কল লিষ্ট চেক করতে লাগলো। এটা দেখে আমার গলা শুকিযে গেল।
বারিশ ফোন আমার দিকে দচরে বলল,
—-মিথ্যা বলছ আমার সাথে? তোমাকে মানা করছি না তোমার পরিবারের সাথে কথা না বলতে?
কি হলো জবাব দিচ্ছো না কেন?
শেষের কথাটি ধমকে বলল, যার ফলে আমি কেঁপে উঠলাম।
রাগে যেন বারিশের মাথা ফেটে যাচ্ছে। সে আমার ফোন মাটিতে আছড়ে ফেলে। সাথে সাথে দু, ততিন টুকরো হয়ে গেল আমার ফোন। আমি চিল্লিয়ে বললাম,
—-এটা কি করলেন?
তখন বারিশ আমার দু গাল চেপে ধরে বললেন,
—-আমি মানা করেছিলাম না? তাদের সাথে কথা বলতে কেন বললে? আমার কথার দাম নেই তোমার কাছে?
আমি বারিশ থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে বললাম,
—-এ কি জন্তুদের মত ব্যবহার করছেন আমার সাথে? আর আমি আমার পরিবারের সাথে কেন কথা বলবো না! কেন?
বারিশ এক হাতে আমার থুতনিতে চেপে ধরে হিসহিস করে বলতে লাগে,
—-আমি না করেছি তাই..!
—-আপনি এমন কেন করছেন? ব্যথা পাচ্ছি আমি..!
—-ব্যথা পাওয়া জন্যই দিয়েছি..! আমার কথার অমান্য করলে এর থেকে খারাপ হবে তোমার সাথে।
তখনি কাজের মেয়ে খাবার নিয়ে আসে।
বারিশ টেবিলে রাখে চলে যেতে বলে।
—-যাও ফ্রেস হয়ে আসো এক সাথে খাবো?
আমি তার ব্যবহারে অবাক হচ্ছি। আমার সাথে এত বাজে ব্যবহার করে এখন তার সাথে খেতে বলছে কখনো খাবো না। হাই ঘাপটি মেরে বসে রইলাম।
তখন বারিশ একটা বাজখাই ধমক মারে, যার জন্য আমার পিলে চমকে যায়।সাথে ফ্রেস হয়ে এস বসি।
তখনি বারিশ এক প্লেটে খাবার বেরেছে। আর আমাকে খাইয়ে দিচ্ছে। আমি পানি দিয়ে গিলচ্ছি। চোখ দিয়ে পানি পরছে আমার। বার বার গলায় খাবার আটকে যাচ্ছে আমার। তখন বারিশ স্বাভাবিক ভাবে বলে,
—-বাবুইপাখি! প্লিজ কাঁদে না। আমার কথা কেউ না শুনলে রাগ চেপে যায় মাথায়।
আমি কিছু বললাম না, তার দিকে চেয়ে রইলাম উনি আজ আমাকে বাবুইপাখি বলেছেন সব কষ্ট যেন এম মুহুর্তে উধাও হয়ে গেল আমার।
তখনি বারিশ আমার চোখের পানি মুছে বলে,
—আ’ম সরি! তোমার উপর হাত তোলা উচিত হয়নি আমার। বলে জড়িয়ে ধরলেন।
আমি তার কাজে বাকরুদ্ধ হয়ে গেলাম। কি হচ্ছে আমার সাথে? বারিশ এমন কেন করছে? ফুপির কথা? সব মিলিয়ে মাথা আউলিয়া যাচ্ছে। তখাি বারিশ আমার চুলে হাত চালিয়ে বলল,
—-কাল থেকে তুমি ভার্সিটিতে যাবে।আর হে ভার্সিটি টু বাসা। যব আর করতে হবে না। আর হে তোমার পরিবার থেকে দূরে থাকবে বাবুইপাখি। নয়তো আমার থেকে খারাপ কেউ হবে না তোমার জন্য। আর হে ছেলেদের থেকে ১০০ হাত দূরে থাকবে কেমন?
আমি কি বলবো বুঝতে পারছি না। এক দিনে সব কিছু এমন ভাবে পাল্টে যাবে! ভাবতেই পারিনি আমি…!!

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে