My_Mafia_Boss পর্ব-২৯
Writer:Tabassum Riana
রুহী শুয়ে থাকে।নিজের ওপর রাগ লাগছে।কিভাবে রোয়েনের শার্ট খুলে নিলো ও? ছিহ!!!!কি মনে করবেন ওনি?ভাবতেই রুহীর শরীর শিউরে উঠে।আরো কিছুক্ষন শুয়ে থাকার পর বিছানা ছেড়ে উঠে পড়ে রুহী।নিচে কোনো মেয়ের আওয়াজ পাচ্ছে ও।এখানে ও ছাড়া আর কোন মেয়ে নেই তাহলে?রুহী রুম থেকে বেরিয়ে সিড়ির দিকে এগুতে থাকে মেয়েটার আওয়াজ আরো জোরে পাচ্ছে ও। কি যেন বলছে?সিড়ির কাছে আসতেই কেউ বলে উঠে “রোয়েন বেবী আমাকে আজ পাঠিয়েছে তোমার সাথে রাত কাঁটাতে” চলো আমাকে তোমার বেডরুমে নিয়ে যাও প্লিজ হানি।রুহী নিচে নেমে এলো।
সর্ট স্কার্ট পরা একটি মেয়ে রোয়েনের গলা জড়িয়ে ওকে কিস করার চেষ্টা করছে।রুহীর চোখের কোনা ভরে আসে।এ কি রোয়েন কে দেখছে ও?নাকি অন্য কেউ?কারোর নাক টানার শব্দে রোয়েন পাশে তাকিয়ে রুহীকে দেখতে পেলো।কেঁদে কেঁদে নাক মুখ ফুলিয়ে ফেলেছে।রোয়েন রুহীর থেকে চোখ সরিয়ে রক্তচক্ষু দিয়ে মেয়েটার দিকে তাকালো গেট আউট।আমার লোকরা তোকে কেন পাঠাবে?ফাজলামি করছিস? বের হ নাহলে বন্দুক বের করলো রোয়েন।জানিস তো কি হবে?চিৎকার করে বলল রোয়েন।মেয়েটা রুহীর দিকে মুখ ভেংচিয়ে বেরিয়ে পড়লো।রুহী দাঁড়িয়ে মেয়েটির যাওয়ার দিকে তাকিয়েছিলো।কি ধরনের ড্রেস পরে রোয়েনের কাছে এসেছে।রুহীর কাছে এসে দাঁড়ায় রোয়েন রুহী!!!!!রুহী দরজার দিকেই তাকিয়ে চোখের পানি ঝড়িয়ে যাচ্ছে।রোয়েন কঠিন গলায় ডাকলো রুহী!!!রুহী কেঁপে উঠে রোয়েনের দিকে তাকালো জ জ জি!!দরজার দিকে তাকিয়ে এভাবে ভ্যাঁভ্যাঁ করে কাঁদছো কেন?ধমক দিয়ে বলল রোয়েন।ন ন না ম ম মানে ঐ ম ম মেয়েটা কে ছিলো আস্তে করে বলে মাথা নিচু করে ফেলল রুহী।রুহীর কাছে এসে দাঁড়িয়ে ওর চোখ মুছে দিলো রোয়েন।প্রশ্ন করবানা চলো উপরে গম্ভীর গলায় বলল রোয়েন।রুহী শক্ত হয়ে দাড়িয়ে আছে। কি হলো চলো ধমক দিলো রোয়েন।রুহী মাথা নিচু করে রেখেছে একটু ও নড়ছে না।রোয়েন এবার কোলে তুলে নিলো।বলতেই পারতে কোলে উঠতে চাও।এতো মেলোড্রামা করো কেন রাগী গলায় বলতে বলতে রুমে চলে এলো ওরা।
রুহীকে শুইয়ে ওর পাশে শুয়ে পড়লো রোয়েন।রুহীকে বুকে টেনে নিয়ে কম্বল দিয়ে দুজনকে মুড়ে নিলো।রুহীর চোখের পানি রোয়েনের বুকের ওপর পড়ছে।রোয়েন রুহীর গালে আস্তে করে চাপড় দিয়ে বলল কাঁদছো কেন?রুহী চটজলদি চোখ মুছে নিলো।ঐ মেয়েকে আমি চিনি না হঠাৎ করে বলে উঠলো রোয়েন।তাহলে……….রুহীকে থামিয়ে দিলো রোয়েন।ঘুমাও নাহলে একটা দিবো না যে কথা বলার শক্তি পাবানা।রুহী চোখ বন্ধ করে নিলো।পরদিন সকাল রোয়েনের ঘুম ভাঙ্গতেই রুহীকে পেলোনা।ঘুমের ঘোর কাঁটতেই নাকে খুব মিষ্টি একটি ঘ্রান এসে লাগলো বিরিয়ানীর মতো কিছু একটা রান্না হচ্ছে নিচে।রোয়েন বিছানা ছেড়ে ফ্রেশ হতে চলে গেল।রুহী আজ তার তিতা করলা বরের জন্য বিরিয়ানী রান্না করেছে।শুনেছে বিরিয়ানী খুব পছন্দ তার।রান্না শেষ করে উপরে উঠে এলো রুহী।রোয়েনের আবার সকালে ওর চেহারা দেখতে হয়। উপরে এসে রুহী বিছানায় রোয়েনকে পেলোনা।হঠাৎ কেউ রুহীর হাত টেনে ধরে আলমারির সাথে জাপটে ধরে।
রোয়েন রুহীর দিকে রাগী চোখে তাকিয়ে আছে।কই গেছিলা হা??জানোনা সকালে উঠে পাশে দেখতে চাই তোমায়? চিৎকার করে বলল রোয়েন।সরি নাস্তা বানাতে গেছিলাম মাথা নিচু করে আস্তে করে বলল রুহী।তুমি নাস্তা বানা ও আর যাই বানা ও আমি ঘুম থেকে উঠার পর বানাবা রাগী গলায় বলল রোয়েন।
মাথা নিচু করে হা সূচক ভাবে ঝাঁকালো রুহী।রুহীর গালে আলতো করে ঠোঁট ছোঁয়ালো রোয়েন।রোয়েনের প্রত্যেক ছোঁয়ায় রুহীর ভিতর আলাদা অনুভূতি সৃষ্টি হয়।রোয়েন একটু সরে এসে রুহীর কানে ফিসফিসিয়ে বলল নিচে যেয়ে নাস্তা ঠিক করো।রুহীর মুখ ভোঁতা হয়ে গেল।কারন রোয়েনের বলার ধরন দেখে ভেবেছিলো ভালো কিছু বলবে।রুহী সরে যেতে নিয়ে পারছেনা।রোয়েন সামনে থেকে সরে নি এখনো। রুহীর দিকে পলকহীন ভাবে তাকিয়ে আছে।রুহীর গলায় আস্তে করে হাত রাখলো রোয়েন।হাতটা ক্রমশ রুহীর গলা থেকে নিচে নামছে।রুহীর শ্বাস প্রশ্বাস উঠা নামা করছে। বুকের কাছে আসতেই রুহী ধরে ফেলল রোয়েনের হাত।রোয়েন রুহীর দিকে তাকালো। নাস্তা টেবিলে আনতে হবে আস্তে করে বলল রুহী। রোয়েন এবার রুহীর হাত থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে খাটের ওপর রাখা জামার দিকে এগোলো।রুহী দৌড়ে নিচে চলে এসেছে।বুক ধুকপুক করছে ওর।
কিছুক্ষন পর রোয়েন নিচে নেমে এলো।রুহী নাস্তা সার্ভ করে বসে আছে।রোয়েন ওর পাশে এসে বসলো।বাটি গুলোর ওপর ঢাকনা দেয়া।রুহী উঠে দাঁড়িয়ে বাটির ঢাকনা উল্টালো।রোয়েনের চোখ ছানাবড়া নাস্তা দেখে।রুহী রোয়েনের দিকে তাকিয়ে আছে মুচকি হেসে।রুহীর দিকে তাকালো রোয়েন তুমি রান্না করেছো?হুম মাথা ঝাঁকালো রুহী।
চলবে