My_Mafia_Boss পর্ব-২০
Writer:Tabassum Riana
দরজা খুলে দিলো রুহী।কেউ তো নেই তাহলে কলিংবেল দিলো কে?দরজা আটাকতেই কিসের সাথে যেন পায়ে ধাক্কা লাগলো রুহীর। নিচে একটা লাল গোলাপের তোড়া আর একটা শপিং ব্যাগ।নিচে ঝুঁকে জিনিস গুলো তুলল রুহী।দরজা বন্ধ করে রুমে চলে এলো।ফুলের তোড়া ফুলদানিতে রেখে দিলো।খাটের ওপর পড়ে থাকা ব্যাগটির দিকে বারবার নজর যাচ্ছে রুহীর।ওনার কিছু হবে হয়ত ধরে লাভ নেই।ঠিক তখনই ব্যাগটির ভিতরে কি যেন বেজে উঠে।রুহী কিছুটা ভয় পেয়ে যায়।কিছুটা রিংটোনের মতো লাগছে শব্দটাকে।রুহী ব্যাগটি হাতে নিয়ে ভিতরে হাত ঢুকাতেই প্লাস্টিকের প্যাকেটে মোড়ানো জামা আর একটি দামী ফোন পেল।বারবার একটি নম্বর থেকে কল আসছে।রুহী ভাবছে কল রিসিভ করা ঠিক হবে কিনা?বারবার বাজছে ভালো ও লাগছেনা। কলটা যেন টানছে ওকে।শেষমেষ ফোন রিসিভ করে কানের সামনে ধরলো রুহী।।
হ্যালো ক ক কে?
এতো বার কল দিচ্ছি রিসিভ করিস না কেন?রাগী গলায় বলে উঠলো রোয়েন।
রোয়েনের কন্ঠ শুনে চোখ ভরে উঠে রুহীর।আ আ আপনিইইই?
হুম।জামাটা পরে জলদি ছাদে আয়।
এ এ এখন?১১.৪৫ বাজে অনেক রাত তো।ভয় লাগছে আমার।
আসবি নাকি আমি কিছু একটা করবো(রোয়েন)
সত্যি আমার ভয় করছে।
ফোনের ফ্লাশলাইট অনকরা শিখিয়ে দিলো রোয়েন রুহীকে।এবার আয়।।
ঠিক আছে। ফোন রেখে জামাটি বের করলো রুহী।স্লিভ লেস হাতার একটি কালো রংয়ের গাউন।ছিহ এটা কি?কি এনেছেন ওনি?আবার ও ফোন বেজে উঠলো রুহীর।রোয়েন বারবার কল করছে। রুহী এবার জামাটি পরে দুই কাঁধের ওপর চুল গুলি ছেড়ে দিলো।চোখে কাজল আর হালকা একটি লিপস্টিক লাগিয়ে নিলো।ফোনের ফ্লাশ লাঔট অনকরে ছাদের দিকে পা বাড়ায় রুহী।ছাদের কাছে আসতেই চোখ বড় বড় হয়ে যায় রুহীর।একি দেখছে ও?পুরো ছাদে লাইটিং করা। সাদা লাল হার্টশেপড বেলুন পুরো ছাদে গড়াগড়ি খাচ্ছে।রুহী আস্তে আস্তে ছাদের ভিতর ঢুকে।সামনে একটি গোল টেবিলের ওপর বেশ বড় একটি কেক রাখা।রুহীর মুখে বিশ্বজয় করা হাসি ফুটে উঠলো।সামনে চোখ পড়তেই রেলিংএর সামনে দাঁড়িয়ে থাকা রোয়েনকে দেখতে পায় রুহী।রুহী কে ইশারা করে কাছে যেতে বলে রোয়েন।
রুহী ধীর পায়ে রোয়েনের কাছে এসে দাঁড়ালো। চুল গুলো দিয়ে বারবার হাত ঢাকার চেষ্টায় ব্যাস্ত হয়ে পড়েছে রুহী।চাঁদের দিকে তাকিয়ে রোয়েন ধমকের সুরে বলল কি প্রবলেম এমন করছো কেন বারবার?
আ আ আসলে কিইইই কিছু বুঝে উঠার আগেই রোয়েন রুহীর কোমড় জড়িয়ে হ্যাচকা নিজের কাছে নিয়ে আসে।রুহীর ঠোঁটে নিজের ঠোঁট চেপে ধরে রোয়েন।একহাতের রুহীর হাত চেপে ধরে আছে রোয়েন।রুহী ও রোয়েনের গলা দুই হাতে জড়িয়ে ধরেছে যেন অনেক প্রতীক্ষার পর রোয়েনের ঠোঁটের ছোঁয়া পেয়েছে ও। চোখের কোনা বেয়ে টুপটুপ করে অশ্রু গড়িয়ে পড়ছে।রোয়েনের ঠোঁটের কোনা বেয়ে পানি পড়ায় সরে এলো রুহী থেকে।রুহী এখন ও রোয়েনের গলা জড়িয়ে চোখ বন্ধ করে আছে রুহী।রোয়েন রুহীর ঠোঁটে ছোট্ট করে একটা চুমো দিয়ে রুহীর কপালের সাথে কপাল লাগায় রোয়েন।আস্তে করে বলে উঠে Happy Birthday Ruhi.
রুহী সরে এলো। ভাঙ্গা কন্ঠে বলল আপনি জানতেন?
হুম।
থ্যাংকস বলতে যেয়ে ও বলেনা রুহী।কারন ও জানে রোয়েন কি করতে পারে।খুব ভালো লেগেছে আমার সব কিছু।
হুম।ফলো মি বলে রোয়েন কেকের দিকে এগোয়।রুহীর দিকে পিছনে তাকাতে ভ্রু কুঁচকে পিছনে এসে রুহীর হাত জোরে টেনে কেকের সামনে নিয়ে আসে রোয়েন।টেবিলের ওপর রাখা ছুড়িটি রুহীর দিকে ধরে রোয়েন।কাঁটো!!!
রুহী ছুড়িটি হাতে নিয়ে কেক কাঁটলো।রোয়েনের দিকে একটুকরো কেক ধরলো রুহী।
রোয়েন কেক খেয়ে রুহীকে খাইয়ে দিলো।এবার নিচে চলো।রুহীর হাত ধরে নিচে চলে এলো রোয়েন।রুমে আসতেই রুহীর চোখ কপালে উঠে গেল।রঙ্গীন কাগজ দিয়ে রুহীর নাম লেখা হয়েছে।পুরো রুমে বেলুন গড়াগড়ি খাচ্ছে।রোয়েনের দিকে তাকালো রুহী।এগুলো কখন করলো?
এত প্রশ্ন করো কেন ভিতরে আসো। রাগী গলায় বলে উঠলো রোয়েন।।
মাথা নিচু করে ভিতরে ঢুকলো রুহী।রুহীর দু কাঁধে হাত রেখে খাটের দিকে এগোতে শুরু করলো রোয়েন।রুহী মাথা নুঁইয়ে রেখেছে।বুক টা কেমন যেন ধড়ফড় করছে ওর।রুহীকে খাটে শুইয়ে ওর ওপর হালকা শুয়ে পড়লো রোয়েন।রুহীর গলায় কাঁধে ঠোঁটে ভালাবাসার ছোঁয়া দিতে শুরু করলো রোয়েন।বেশকিছুক্ষন ধরে চলল ভালবাসার এ রঙ্গীন খেলা।কিছুক্ষন পর রুহীকে বুকে টেনে নিলো রোয়েন। রুহীর ভিতর অন্যরকম এক অনুভূতি খেলে যাচ্ছে।সময়টার কথা ভাবতে ভাবতেই ঘুমে তলিয়ে গেল ওরা।
চলবে