Writer -Afnan Lara
Crush যখন বর?
#Part_34
তনু শিশিরের দিকে তাকিয়ে রইলো,সেই প্রথম দিনের মতন অবাক হয়ে,
শিশির মুচকি হেসে চোখ মারলো
তনুর হুস আসলো??,
শিশির তনুকে শুইয়ে দিয়ে তনুর দিকে তাকিয়ে রইলো,
তনু লজ্জা পেয়ে চোখ হাত দিয়ে ঢেকে ফেললো??
শিশির তনুর শাড়ী খুলে ফেললো,
এবার শিশির তনুর পেটে হাত দিলো
তনু কাঁপতেছে তখন থেকে
শিশির-ভয় লাগে?
তনু-না কাতুকুতু লাগে?,ভয় লাগবো কেন???
শিশির-?Oh really? ভয় লাগে না?
তনু-উহু
শিশির তাইলে ভয় জাগায় দি?
তনু-পারবেন না
শিশির-Challenge Accepted!
শিশির তনুর উপরে উঠে তনুর হাত দুটো চেপে ধরলো,
তনু-?উহু ভয় পাই না
শিশির-হুহ,
শিশির তনুর গলায় কামড় বসিয়ে দিলো,
তনু যে আজ খাঁমচি দিবে তার ও উপায় নাই কারন শিশির তনুর দুটো হাত চেপে ধরে আছে,তনু তাই চোখ off করে মনে মনে ভাবতেছে হাত টা ছাড়া পাই চামড়া তুলে নিবো,
শিশির-ছাড়লে তো তুলবা
তনু-??
শিশিরের চোখ এবার ব্লাউজ এর দিকে গেলো,হাত টা ছাড়িয়ে যখনই তনুর এক হাত ছেড়ে দিলো,তনু ওমনি জোরে সোরে একটা খাঁমছি বসিয়ে দিলো,
শিশির-Ouch!?
তনু-?
শিশির তনুর গাল টিপে ধরলো,
শিশির-এই মাইয়া চুপ চাপ থাকতে পারো না?
তনু-না
শিশির -থাইকো না,
তনু-?
শিশির তনুর গাল ধরে ঠোঁটে কিস করলো,???
তনু এবার আর খাঁমছি দিলো না, জড়িয়ে ধরলো শিশিরকে,????
(???আর বেশি কইতে পারুম না,সরম করে??)
আজ তাদের ভালোবাসা প্রকাশের রাত???তনুর দুষ্টুমি আর শিশিরের উজাড় করা ভালোবাসা??,,
তনু তার Crush বর থেকে প্রাপ্য সব অধিকার আজ পেয়ে গেছে?
সকালে♥
শিশির উঠে দেখলো,তনু তার বুকে ঘুমাচ্ছে,শিশির তনুর দিকে চেয়ে রইলো,কি মায়া আল্লাহ একজন মানুষের মুখে দিতে পারে,
মনে পরলো ঐদিনের কথা,যেদিন এই মায়াবতীকে সে বাসা থেকে একা বের করে দিসিলো,অজান্তেই শিশিরের চোখ থেকে পানি নেমে এলো,
ভোর ৬টা,,
শিশিরের ফোনে alarm বেজে উঠলো,সাথে সাথে off করে দিলো,,নইতো তনু জেগে যাবে,কাল রাতে ফোন খুলে alarm দিসে শিশির,আজ তার Office এ কাজ আছে অনেক,
আস্তে করে তনুকে সরিয়ে কাঁথা টেনে দিলো,
বের হয়ে রেডি হয়ে নিলো,তনুর মা নাস্তা তৈরি করে রেখেছে,,শিশির নাস্তা করে তনুর কাছে এলো,তনু এখনো ঘুমাচ্ছে, তনুর কপালে চুমু দিলো,
শিশির অফিসের দিকে চলে গেলো,
১০টায় তনু উঠলো,
তনু-উফ দেরি হয়ে গেলো,উনিতো অফিসে চলে গেসেন মনে হয়,
তনু উঠে Fresh হয়ে নিলো,
শিশিরকে কল দিলো, ধরলো না,অফিসে কাজ করছে মনে হয়,আমি যাই শশুর বাড়ির দিকে,
তনু-আম্মু আসি
আম্মু-আজ থেকে যা
তনু-না,আবার আসবো
তনু শিশিরকে একটা মেসেজ দিয়ে দিলো যে সে বাসায় যাচ্ছে,,
তনু -ধুর আজ মনে হয় রিকসা নিতে হবে,একটা অটো ও নাই,,
এই রিকসা যাবেন??ওকে,
রাস্তায় হঠাৎ একটা কালো Car এসে দাঁড়ালো,
তনু-আজীব!
দুটে ছেলে বের হলো,
ছেলে-আপু আমাদের সাথে গাড়ীতে ভালই ভালই উঠে পড়ুন,
তনু-কে আপনারা?
রাস্তাটা জনমানব শূন্য হওয়ায় তনু চারিদিক মানুষ খুঁজতেছিলো,কিন্তু পেলো না,
ছেলে-ঐ হাত ধরে উঠা,
তনু চিল্লানো শুরু করা ধরবে তখনই ওর মুখ বেঁধে দিলো,
তনু ছেলেদের দেখেই ফোন টা হাত থেকে শাড়িতে গুঁজে নিসিলো,
ব্যাস তনু kidnapped!
তনু-কই যাচ্ছি জানি না,চোখ বেঁধে রেখেছে,
আমার পাশে কেউনাই,,বাট সামনে আছে,
গাড়ীটা থামলো মনে হয়,,আমাকে টেনে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে? আমি কি আর আমার Sisur কাছে যেতে পারবো না?
ঐদিকে শিশির নিজের বাসায় আসলো,
শিশির-তনু!
মা-তনু??ও তে তোর সাথে আসার কথা
শিশির-ও তে আমাকে মেসেজ দিলো ও এখানে আসতেছে
মা-কই আসে নাই তো
শিশির তনুর মাকে কল দিলো,
শিশির-মা তনু আছে?
মা-মানে?ও তো তোমাদের বাসায় চলে গেসে সকালে,
শিশির-What!তনু কই তাহলে?
♠
তনুকে চেয়ারে বসিয়ে হাত বেঁধে রাখছে,চোখের বাঁধন খুললো,তনু চোখ মেলে shocked,,
এ আর কেউ নয়,এ তন্ময়,
তনু-আমার আগেই বুঝা উচিত চিলো এটা তোর কাজ
তন্ময় -বুঝে তো লাভ নাই,তুমি তো এখন আমার কাছে,
তন্ময় -এই তোরা বাসর সাজা,আমার আর তনুর বাসর হবে আজকে,
তনু-মরে যাবো তারপরেও তোর সাথে থাকবো না,
তন্ময় -থাকার পরে মরিও কেমন?
তন্ময় চলে গেলো,
তনু-আমি এখন কি করবো,?হাত খুলতে পারলে ফোন টা নিতে পারতাম,ভাগ্যিস ফোন silent রাখসিলাম,
শিশির তো তনুকে কল দিতে দিতে শেষ,
শিশির পাগল হওয়ার মতন অবস্থা,,
শিশির-নাহ এবার আমি police Station এ যাবো,
শিশির গাড়ী চালাচ্ছে আর কাঁদছে,আমি জানি এটা হয় সিয়াম নইতো তন্ময়ের কাজ,আমার তনু কেমন আছে কে জানে?
তনু অনেক কষ্টে হাতের বাঁধন খুলছে,,
তন্ময়ের দুটো ছেলে তনুকে পাহারা দিচ্ছে,
তনু-এবার কি করবো?হাত তো খুললাম,ওদের সরাবো কি করে??তনু আস্তে আস্তে একটা আঙুল দিয়ে টেনে ফোন টা পিছনে নিলো,
ছেলে গুলা বসে বসে ফোন টিপছে,
তনু ফোন হাত নিয়ে একটু পিছনে তাকিয়ে কল liste গেলো,শিশিরকে কল দিলো,
শিশির-তনুর কল????
শিশির সাথে সাথে receive করলো,শিশির তখন police station এ ছিলো,ওর কল টার অবস্থান জানার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে,
শিশির-হ্যালো তনু??তনু?তুমি ঠিক আছো?
তনুর চুপ,কথা বলতে পারছে না,ছেলে গুলা টের পেয়ে গেলে বিপদ,
তখনই তন্ময় এসে দেখে ফেললো তনুকে,
চলবে♥
Writer -Afnan Lara
Crush যখন বর?
#Part_35
ঠাসসসসস!
তনু নিচে পড়ে গেলো,
তন্ময় তনুকে সজোরে থাপ্পড় দিলো,
তন্ময় তনুর চুলের মুঠি ধরলো,
তন্ময় -আরেহ!আমি তো ভুলে গেসিলাম যে তনু অনেক চালাক,
তন্ময় তনুর ফোনটা হাতে নিয়ে আছাড় দিয়ে ভেঙে ফেললো,
তন্ময় তনুকে ধাক্কা দিয়ে নিচে ফেলে দিলো
তন্ময় -এই তোদের আমি রাখসি কেন?
ছেলে-সরি স্যার,আমরা বুঝি নাই এই মাইয়া এমন করবে
তন্ময় -Just Shut Up!,Next time এমন করলে সবাইকে একসাথে মেরে দিবো
তন্ময় চলে গেলো,
তনু বসে বসে কাঁদতেছে,ঠোঁট ফেটে রক্ত বের হচ্ছে,,
শিশির-হ্যালো তনু!তনু
Police -আমরা Location টা পেয়েছি,এখানেই,বাট এই গলিতে সচরাচর কেউ আসা যাওয়া করে না,
শিশির-pls তাড়াতাড়ি আমার Wife কে বাঁচান?ওকে আমার কাছে এনে দেন,
অনেকক্ষন পর তন্ময় তনুর কাছে আসলো,
তন্ময়-তনু বেবি,আমাদের বাসর রেডি,চলো,
তন্ময় তনুর হাত ধরে টেনে রুমে নিয়ে গেলো,, তনু চারিদিকে তাকালো,
তন্ময় কাছে আসা ধরলো তনু উঠে দূরে সরে গেলো,
তনু-খবরদার আমার কাছে আসবি না,,,তনু সাইডে তাকিয়ে ফুলের টব দেখতে পেলো,তনু ফুলের টবটা হাতে নিলো,আমি মেরে দিবো তোকে,
তন্ময়-হাহাহা,কি করবি?আমারে মারবি???মার দেখি,
তন্ময়কে তনু মারতে যাবে তন্ময় এক ঝটকায় টব টা নিয়ে ফেলে দিলো,
তন্ময় -এখন কি করবা সোনা???তন্ময় তনুর দিকে এগিয়ে গেলো
তন্ময় এক হাত দিয়ে তনুর শাড়ী ধরলো,
তনু তন্ময়কে ধাক্কানোর চেষ্টা করছে,,
তনু-(আমাকে শিশির ছুঁয়েছে,আর কেউ ছুঁতে পারবে না,যদি প্রান দিতে হয় দিয়ে দিবো, তাও এই তনু অন্য কারোর হবে না)
তনু তন্ময়কে জোরে ধাক্কা দিয়ে ফ্লোর থেকে ভেঙে যাওয়া টব টার কাঁচের টুকরা হাতে নিয়ে নিলো,
শিশিররা ঐ জায়গায় পৌঁছে গেসে,,
শিশির পাগলের মতো খুঁজতেছে তনুকে,,
ভিতরের রুমে থাকায় তনু শিশিরের voice শুনতে পারে নি,
তন্ময় -কি করবি?আবার মারতে যাবি আমাকে?
তনু-মুচকি হেসে,নিজের হাতের রগে একটান মেরে দিলো,শিশির তখনই রুমের দরজা ধাক্কাতে লাগলো,
শিশির-Officer, তনু Maybe এই রুমে,রুমটা ভিতর থেকে বন্ধ,
তন্ময় শিশিরের কথা শুনতে পেয়েছে,তখনই জানালা দিয়ে লাফ দিয়ে বেরিয়ে দৌড় মারার সময় police এর লোক ওরে ধরে ফেললো,,
দরজা ভেঙে শিশির ভিতরে ঢুকতেই তনুকে দেখলো নিচে পড়ে আছে,হাত থেকে রক্ত বের হচ্ছে,,
শিশির-তনু!!!!!তনু,
শিশির তনুর কাছে গিয়ে তনুর মুখ ধরলো,জ্ঞেন নেই তনুর,
police -উনাকে immediately hospital এ নিতে হবে,
শিশির তনুকে জড়িয়ে ধরে কাঁদছে,বুক ফেটে যাচ্ছে,,
শিশির-বাঁচবো না তোমাকে ছাড়া,তনু,আমাকে ছেড়ে যেও না তনু?,,আমি আমার কথা রাখতে পারিনি, সেই তোমাকে আবার একা ছেড়েছি আমি,শিশির নিজের shirt খুলে ছিঁড়ে ফেললো,তনুর হাত বেঁধে দিলো,শিশির দম বন্ধ হয়ে আসতেছে,কাঁদতে কাঁদতে শিশির আধমরা হয়ে গেছে,
Ambulance আসছে,তনুকে Ambulance এ উঠানো হলো,
15minute এ Hospital গেলো তারা,,
Doctor – Suicide case
শিশির-suicide????
Police -আমরা তন্ময়কে রিমান্ডে দিসি,কারন জানা যাবে
শিশির নিচে বসে পরলো,আমার তনুকে না জানি কতো কষ্ট দিসে যার কারনে ও suicide করার চেষ্টা করসে,না আমার তনু এটা কেন করবে??ভাবতে পারতেছি না
Doctor বেরিয়ে এলো,
শিশির-আমার তনু?আমার তনু কেমন আছে ও ঠিক আছে তো??
Doctor – অবস্থা critical, ?আপনাকে সাইন করতে হবে পেপারে,,আমরা উনার Operation করবো,Fail হলে উনাকে বাঁচানো সম্ভব নয়,রগ কেটে ফেলেছে,
শিশির-তততততনু,আমার তনু,আমি একবার ওর কাছে যাবো,
Doctor – সরি,
আপনি সাইন করে দিন,
পেপার আনা হলো,শিশিরের হাত কাঁপছে,
তনুর মা বাবা,শিশিরের মা বাবা আসলো সবাই,
শিশির নিজেকে শক্ত করে সাইন করে দিলো,মাকে ধরে কাঁদতে লাগলো,
শিশির-মা আমি ওরে অনেক ভালোবাসি,আমি ওরে ছাড়া বাঁচবো না মা,,,
Police আসলো,
police -শিশির,
শিশির চোখ মুছে তাকালো,
police -তন্ময় আপনার Wife কে জোর করার চেষ্টা করছিলো, আপনার wife নিজের ইজ্জত বাঁচাতেই Suicide Attend করেছে,
শিশিরের মাথায় আকাশ ভেঙে পরলো,,,তনু!?
শিশির বাইরের জানালা দিয়ে তাকিয়ে রইলো তনুর দিকে,বিছানায় শুয়ে আছে তার মায়াবতী, মুখ মলিন,ঠোঁট থেকে রক্ত বের হয়ে তা শুকিয়ে গেছে,শিশিরের আজ নিজেকে শেষ করে দিতে ইচ্ছা করতেছে, জানালাতে ঘুষি দিলো রাগে,জানালার কাঁচ ভেঙে গিয়ে শিশিরের হাত একটু কাটা গেলো,
শিশিরের মা-বাবা এভাবে নিজেকে কষ্ট দিস না,তোদের এই কষ্ট যে আমরা সয্য করতে পারবো না রে,
চলবে,
Writer -Afnan Lara
Crush যখন বর?
#Part_36
শিশির চুপ হয়ে গেলো,গিয়ে সিটে বসে পরলো,
শিশিরের মা-বাবা কিছু খেয়ে নে,
শিশির চুপ,,
শিশির-officer আমি তন্ময়ের কাছে যাবো,শুধু জানতে চাই ও এমন কেন করেছে,
Police -Ok but আইন নিজের হাতে নিবেন না
শিশিরকে তন্ময়ের কাছে আনা হলো,
শিশির চুপচাপ তন্ময়ের সামনে বসে পরলো,
শিশির-কেন করছো এমন???আমার তনুর কি দোষ ছিলো?
তন্ময় -হাহাহা,ওর দোষ হচ্ছে ও তোকে পাগলের মতন ভালোবাসতো,আর তুই কখনও তা বুঝস নাই,
এখন বুঝেও লাভ নাই,ও তো মইরা গেসে গা,তন্ময়ের কথা শুনে শিশির চিৎকার দিয়ে উঠে তন্ময়ের গলা টিপে ধরলো,
শিশির-আমার তনুকে কষ্ট দিছস না???শিশির তন্ময়কে ছুঁড়ে মেরে নিচে ফেলে দিয়ে সামনে থাকা টেবিল উঁচু করে যেই তন্ময়ের গায়ে ফেলতে যাবে police এসে ওকে ধরে ফেলে,
police-শিশির আপনাকে বলছি আইন হাতে নিবেন না,
শিশির রাগে ফেটে যাচ্ছে,চিৎকার দিয়ে বেরিয়ে গেলো,উন্মাদ হয়ে গেছে শিশির,ওর আজ মনে পড়ছে আগের কথা গুলা,,সত্যি তো তনু ওকে অনেক ভালোবাসে সেই ৪বছর আগ থেকে,আর সে এই ভালোবাসাটাকে স্বীকার করেনি,,বরং ওকে অনেক কষ্ট দিয়েছে,তনুর কাছে আজ নিজেকে অপরাধী মনে হচ্ছে,
শিশির কাঁদতে কাঁদতে নিজের হাতের দিকে তাকালো,কাল রাতে তনু দুষ্টুমি করে লাভ বাইট দিসিলো,এখনও দাগটা রয়ে গেছে,শিশির দাগটাতে হাত বুলালো,শিশিরের চোখের পানি টপটপ করে দাগটাতে পরলো,
শিশিরের তনুর কথা মনে পরলো,আমার তনু??
শিশির দেরি না করে হসপিটালে চলে এলো,
শিশির-মা,অপারেশন কি শেষ?তনু কেমন আছে?
মা-না এখনও তো Doctor বের হয়নি,
শিশির কেবিন টার বাইরে জানালায় গেলো,পর্দা টানা,কিছু দেখা যাচ্ছে না,শিশিরের যে আর সয্য হচ্ছে না,ইচ্ছে করছে দরজা ভেঙে ভিতরে চলে যাই,,
রাত ২টায় operation শেষ হলো,,
শিশির সেই কখন থেকে তাকিয়ে ছিলো রুম টার দিকে,
লাইট off হওয়াা শিশির গিয়ে দরজার সামনে দাঁড়ালো,
Doctor বেরিয়ে এলেন,
শিশির-আমার তনু??আমার তনু কেমন আছে?বলুন না
doctor -She is now out of danger ?(আমি নায়িকাকে মেরে গল্পের ১২টা বাজাতে চাই না,এমন মিষ্টি নায়কা মরলে চলবে না?)
শিশির শান্তির নিশ্বাস ফেললো,
শিশির-আমি তনুকে দেখবো একবার
Doctor -উনাকে ঘুমের ঔষধ দেওয়া হয়েছে,তার পরেও যান
শিশির সাথে সাথে ভিতরে চলে গেলো,
তনু ঘুমিয়ে আছে,হাতে Bandage করা,শিশির তনুর পাশে বসে পরে ওকে জড়িয়ে ধরলো শক্ত করে,আবার কাঁদতে লাগলো,
শিশির-তনু আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি তনু,বাঁচবো না তোমাকে ছাড়া,I swear আর কখনও একা ছাড়বো না তোমাকে,,শিশির তনুর হাত ধরে চুমু খেলো,
সবাই বাইরে দাঁড়িয়ে থেকে ওদের দেখতে লাগলো,
Doctor -He is madly in love with her♥
শিশিরের বাবা-yes
মা-ভাবতেও পারিনি,এমন অজানা অচেনা একটা মেয়েকে আমার ছেলে যে কোনো মেয়েদের পাত্তা দিতো না সে এতো পাগলের মতো ভালোবেসে ফেলবে,
বাবা-তোমার choice বলে কথা!
তনুর মা-(এই তো সেই ছেলেটা যাকে আমার মেয়ে সেই কবে থেকে ভালোবেসে এসেছে,আমার মেয়ের ভাগ্য আছে বলতে হবে,তার ভালোবাসার মানুষ আজ তার জীবনসাথী,আমারর তো বিয়ের দিন মনে পড়েছিলো, আগে থেকে খালি মাথায় আসছিলো কই দেখসি দেখসি,পরে বুঝলাম এ তো সেই ছেলেটা যার পিক আমাকে একদিন তনু দেখাইছিলো,)
মীম-Rabne Banadi Jodi???
শিশিরের মা খাবার আনলো,
মা-বাবা কিছু খেয়ে নে,এমন করিস না,তনু জানতে পারলে রাগ করবে
শিশির-না মা,তনু না খাওয়া পর্যন্ত আমি খাবো না,
|
পরেরদিন সকালে♥
তনু ঘুম থেকে উঠলো,উঠেই শিশিরকে দেখলো শিশির বেডের সাইডে ঘুমিয়ে আছে তনুর হাত শক্ত করে ধরে,
তনুর কালকের কথা মনে পড়ে মাথা ঘুরে উঠলো,নিজেকে সামলিয়ে দেখলো সে হসপিটালে,হাতে bandage, শিশির বাচ্চার মতন তনুর আরেক হাত ধরে ঘুমিয়ে আছে,চোখ ফুলে গেছে, নিশ্চয় কাল খুব কেঁদেছে,মুখও শুকনা, কাল থেকে কিছু খায়নি মনে হয়,ইস,সব আমার জন্য,তনু Nurse কে আস্তে করে ডাকলো,
চলবে♥♥♥♥♥♥