❤️ডেভিল হ্যাজবেন্ডের পিচ্চি বৌ♥ Part : 14+15
সুরিয়া মিম
=================
কারন সত্যি তো কাল রাতে নাইট ডিউটি করতে বিজি ছিলাম আমরা,
!
এসব ভাবতে ভাবতে পিচ্চি বৌয়ের দিকে তাকিয়ে দেখি,
চোখ দুটো ছলছল করছে তার,
!
তাই আমি তখনি ওর গালে আমার হাত ছুঁইয়ে দেই,
আর ও বিরক্ত হয়ে আমার হাত টা সরিয়ে রুমে চলে যায়,
তখন আব্বু আমার হাত ধরে বলেন,
!
বাবা আমি জানিনা তোমাদের মধ্যে কি হয়েছে?
আর আমি জানতে ও চাই না,
শুধু তোমাকে একটা কথাই বলতে চাই,
যে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝামেলা হয় বাবা তার মানে এই নয় যে তোমরা রাগে অভিমানে একে অপরের সাথে কথা বলা বন্ধ করে দিবে,
!
দেখো আব্বু আমি তোমার মেয়ে কে অনেক ভালোবাসি,
আর ওকেই ভালোবাস বোঁ,
কিন্তু,
এই সুইট সিম্পল কথা টা তোমার মেয়ে কে আমি কিছু তেই বোঝাতে পারছিনা,
!
নিশ্চই তুমি এমন কিছু করেছ যে মেয়ে আমার রেগে ফায়ার হয়ে আছে?
!
আয় এম সরি আব্বু,
!
আমাকে বললে তো কিছু হবেনা বাবা,
আমার মেয়ে কে আদর করে বুঝিয়ে বলো,
দেখবে ও তোমার কথাই শুনে চলবে,
!
তুমি একদম ঠিক বলেছ আব্বু,
আমি আজি ওকে বুঝিয়ে বলবো,
!
আর তখনি হঠাৎ করে আম্মুর চিৎকার শুনতে পাই,
!
চিৎকার শুনে সবাই ওপরে দৌড়ে যেতেই দেখি,
বৌ আমার অজ্ঞান হয়ে ফ্লোরে পরে আছে আর আস্তে আস্তে কেঁপে কেঁপে উঠছে,
!
তাই তখনি আমি ওকে আমার কোলে তুলে নিয়ে বিছানায় শুইয়ে দেই,
তার কিছুক্ষণ পরে ডক্টর এসে চেকাপ করে আব্বু কে বলেন,
!
মেয়ে ফিজিক্যালি অনেক দূরবল হয়ে পরেছে তাছাড়া ভাইরাল জ্বরের কারনে ও অনেকটা দূরবল হয়ে আছে মেয়ের শরীর,
…….
তাই আমি কিছু ঔষধ লিখে দিচ্ছি এ গুলো কন্টিনিউ করলে ও ঠিক মতো খাওয়াদাওয়া করলে সুস্থ হয়ে যাবে ও,
তবে হ্যা অনেক যত্ন ও কেয়ারে রাখতে হবে মেয়ে কে,
………
আর হ্যা এলার্জি জাতীয় কোনো খাবার খাওয়ানো যাবো না ওকে,
এবং অবশ্যই ডাস্টের থেকে দূরে রাখতে হবে ওকে ,
কারন ডাস্টের জন্যই হাত পা লাল হয়ে গেছে ওর,
তাই যতো সম্ভব মেয়ের সব জিনিশ নিট অ্যান্ড ক্লিন করে রাখতে হবে কেমন?
!
ডক্টর আঙ্কেলের কথা শুনেই আম্মু কান্না করে দেয়, আর আব্বু অনেক চিন্তিত হয়ে যায়,
!
সবি আমার করা জোরাজুরির জন্যে হয়েছে,
আমি যদি এমন টা না করতাম তাহলে কখনওই অসুস্থ হয়ে পরতো না ও,
নিজেকে খুবি অসহায় বলে মনে আমার,
!
তখনি ডক্টর আঙ্কল আমাকে ডেকে বলেন,
!
তোমার সাথে একান্তে কিছু কথা আছে বাবা,
!
হ্যা আঙ্কল বলেন?
!
বাবা তোমাদের তো নতুন নতুন বিয়ে হয়েছে,
তাই আমি যেটা বলতে চেয়েছি সেটা হয়তো তুমি বুঝতে পেরে গেছ,
!
হ্যা আঙ্কল আমি বুঝতে পারছি,
!
তাই তো বলছি ওকে কিছুদিন রেস্ট দাও তাহলে মেয়ে আমার একদম সুস্থ হয়ে যাবে,
!
আচ্ছা আঙ্কল ঠিক আছে,
আঙ্কল আপনি যদি কিছু মনে না করেন আমি একটা প্রশ্ন করতে পারি?
!
হ্যা বাবা অবশ্যই?
কি তোমার প্রশ্ন?
!
আপনি কি আমার পিচ্চির না মানে আমার বৌয়ের মামা?
!
হ্যা বাবা হা হা,
তা হঠাৎ এ প্রশ্ন কেন?
!
আসলে আপনি এতো আদর করে ওর চেকআপ করেছেন আর ও আপনার হাত ধরে শুয়ে ছিল তাই আর কি?
কিন্তু মামা আপনি আমাদের বিয়েতে ছিলেননা কেন?
!
বাবা আমি তোমাদের বিয়ের সময় দুবাইয়ে ডক্টরস সেমিনারে ছিলাম তাই তো আমি চেয়ে ও আমার একমাত্র ভাগনি বললে ভুল হবে আমার মেয়ের বিয়েতে আসতে পারিনি,
!
ওহহহহ,
তাই বুঝি আপনার মেয়ে আপনাকে বকাবকি করে,
!
হা হা হ্যা বাবা ও রেগে ছিলো আমার ওপরে বাট এখন আর নেই,
!
তখন আম্মু এসে বলে,
মামাশ্বশুর ও জামাইয়ের আলাপ আলোচনা হলে কেউ এসে আমার মেয়ে কে বোঝা ও,
কারন মেয়ে তো আমার কিছু খাচ্ছেই না,
!
তখন আমি ও মামা গিয়ে ওর পাশে বসি,
আর ও আমাদের দেখেই মুখ ফিরিয়ে নেয়,
!
আর তখনি আমি গালে হাত দিয়ে পিচ্চি কে খুশি করার কথা ভাবতে বসে যাই,
ভাবতে ভাবতে খেয়াল করে দেখি মামু তার মেয়ে কে আদর করে সুফ খাইয়ে দিচ্ছে ও আমার বৌ ও চুপচাপ গুডগার্লের মতো খেয়ে নিচ্ছে,
!
তখনি মামু মজা করে বলতে শুরু করেন,
!
কে যেন আমাকে ছোটো বেলায় বাবু বলে ডাকতো?
এক গ্লাস দুধের অর্ধেক টা খেয়ে বাকিটা আমাকে খাইয়ে দিতো?
আমার কোলে কোলে পুরো বাংলাদেশ ঘুরে বেরাতো?
আচ্ছা আম্মু তুমিই বলো এতবড় একটা মানুষ কে বাবু বলা যায় হুমমমম,
!
মামুর কথা শুনেই আমার পিচ্চি টা হা হা করে হেসে দেয়,
!
বাহহহহহহহহহ,
মামু তো খুবি মজার মানুষ,
সেকেন্ডের মধ্যেই আমার পিচ্চি টাকে হাসিয়ে ফেললো?
!
তখন আমার পিচ্চি টা মামু কে বলেন,
!
ওই বাবু আমার জন্যে তুমি দুবাই থেকে কি নিয়ে এসেছ?
!
তখন মামু ওকে একটা ট্রলি দেখিয়ে বলেন,
!
ওটার মধ্যে যাকিছু আছে সবি তোমার আম্মু,
!
ওমা তাই নাকি???
!
হুমমমমমম,
!
তা তুমি ব্রেকফাস্ট করেছ মামু?
!
না আম্মু,
!
আচ্ছা চলো তাহলে আমি তোমাদের খাইয়ে দেই,
!
আমাদের?
!
তুমি ও তোমার জামাইয়ের কথা বলছি,
দুজনেই মুখ টা বাংলার পাঁচের মতো করে আছো,
তাই বলছি আমার কাছে আসো আমি তোমাদের খাইয়ে দিচ্ছি,
!
তারপর আমার পিচ্চি বৌ আমাকে ও মামা কে খাইয়ে দেয়,
!
আর তখনি মামুর ফোন বেজে ওঠে,
আর তাই মামু কোনো মতে খেয়ে হসপিটালে চলে যায় এমার্জেন্সি পেশেন্ট দেখার জন্যে,
!
মামু যেতেই আমি পিচ্চি টাকে জড়িয়ে ধরে সরি বলি,
আর আমার পিচ্চি টা আমাকে রহস্যময় হাসি দিয়ে আকাশ পানে চেয়ে থাকে,
!
আর তখনি হঠাৎ করে বৃষ্টি শুরু হয়ে যায়,
!
কি সুন্দর বৃষ্টি পরছে তাই না?
!
হুমমমমমমমম, খুবি রোমান্টিক ওয়েদার সোনা,
!
শোনো আমি এতো রোমান্টিক ফোমান্টিক বুঝি না,
!
পিচ্চি বৌয়ের কথা শেষ হতে না হতেই মেঘেরডাক শুরু হয়ে যায়,
আর আমার বৌ ও সাথে সাথে ভয় পেয়ে আমাকে ওর বুকে চেপে ধরে,
!
আর আমি ও খুবি শক্ত করে ওকে আমার বুকে চেপে ধরি,
!
এর আগে আমার বৌ টাকে আমার এতো কাছে আগে কখনওই পাই নি,
তাই ওকে আমার এতো কাছে পেয়ে মনে হচ্ছে যেন আমি আমার সমস্ত সুখি পেয়ে গেছি,
আর কোনো চাওয়া পাওয়া নেই আমার,
!
কি হলো চুপ করে আছেন কেন?
!
এমনি সোনা,
কাল রাতে তোমার কষ্ট হয়েছে তাই না?
!
আমার কষ্ট হলে আপনার কি?
!
আর কখনওই এমন সোনা,
আমাকে তুমি ক্ষমা করে দাও,
!
দিবো না যাও আমার থেকে দূরে দূরে থাকো,
!
না আমি কখনওই তোমাকে ছেড়ে থাকতে পারবোনা সোনা,
!
দেন আমি ওকে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে আদর করে ওর গালে গলায় চুমু খেতে থাকি,
!
তখনি ও আমাকে বলে,
!
তুমি রিয়া কে খুবি ভালোবাসো তাই না?
!
আমি যে তোমাকে অনেক ভালোবাসি সেটা কি তুমি আমার চোখে দেখতে পাও না সোনা?
!
চোখের দেখাও তো ভুল হতে পারে তাই না?
!
কেন ভুল হবে?
আমি তোমাকে সত্যি অনেক ভালোবাসি আর আমি শুধু তোমারি বিশ্বাস করো তুমি আমায়?
!
তারপর আমি ওকে আমার বুকে জড়িয়ে
আমার মনের কথা গুলো সবি ওকে খুলে বলি,
আর ও আমাকে জড়িয়ে কান্না করে দেয় আর আমি ও ওকে আমার বুকে চেপে ধরে কান্না করে দেই,
!
পরিশেষে নিজের কাছে প্রমিছ করি যে আর কখনওই ওই রিয়া নামের ভাইরাস কে আমাদের মধ্যে আসতে দিবো না,
!
তখনি নদী ভাবি দরজায় নক করে বলেন,
!
তোমাদের বর বৌয়ের মান অভিমানের পালা শেষ হলে আমরা কি আসতে পারি,
!
তখন আমি আমার পিচ্চির কপালে চুমু খেয়ে আস্তে করে রুমের বাহিরে চলে যাই,
!
এখন আর আমাদের মাঝে কোনো দূরত্ব নেই,
আমার বৌ আমাকে অনেক ভালোবাসে,
!
এভাবে সুখে শান্ত কেটে যায় তিনটে মাস,
!
হঠাৎ একদিন আমার পিচ্চি বৌ কিচেনে মাথা ঘুরে পরে যায়,
!
তাই তখনি মামু কে ফোন করে আসতে বলি তার মেয়ের চেকআপের জন্য,
!
মামু চেকআপ করে মৃদু মৃদু হাসি দিয়ে আমাকে বলেন,
!
বাবা ইমান গিয়ে মিষ্টি নিয়ে আসো তো?
!
কেন মামু?
!
আগে আনো তারপরে বলছি?
!
কি হলো বাবু বলছ না কেন?
!
কত্ত বড় সাহস আমাকে নাম ধরে ডাকে?
!
আমার ছেলেকে আমি নাম ধরে ডাকি তো?
!
একটু ধৈর্য্য ধরো,
তারপর আমি বলছি আম্মু,
!
মামু কে মিষ্টি এনে দিতেই মামু গবগবিয়ে মিষ্টি খেয়ে বলেন,
!
আম্মু আমাকে বাবু বলা ছেড়ে নিজের বাবু কে বাবু বলার প্রাকটিস করে দাও কেমন?
!
মামুর কথা শুনেই বাড়িতে খুশির রোল পরে যায়,
!
আর আমার পিচ্চি টা লজ্জায় লাল হয়ে মামু কে বলেন,
!
আমার বাবু তো
বাবুই,
তুমি ও আমার বাবু এতে কোনো নড়চড় হবে না বাবু,
!
পিচ্চির কথা শুনেই সবাই হা হা করে হেসে দেয়,
!
তখন মামু ওকে মজা করে বলেন,
!
এত অপেমান ধম্মে সইবে না আম্মু
হা হা হা???
.
Part : 15
=============
!
এত অপেমান ধম্মে সইবে না গো আম্মু,
হা হা হা,
!
তোমার আবার মান অপমান বৌধ আছে নাকি বাবু?
!
পিচ্চির কথা শুনে আবারো বাড়ি তে হাসির রোল পরে যায়,
!
তারপর সবাই কে মিষ্টি মুখ করানো হয়,
মিষ্টি মুখ শেষে সবাই আমাদের রুম থেকে চলে যায়,
তারা যেতেই আমি দরজা লাগিয়ে আমার বাবুর আম্মু কে গিয়ে জড়িয়ে ধরি,
!
কি হলো হঠাৎ এত ভালোবাসছ যে?
!
আমার বৌ কে তো আমি ভালোবাসবো তাই না?
জানো সোনা আমি না আর ওয়েট করতে পারছিনা,
!
কেন?
!
এখনি যে বাবুর মুখ দেখতে মন চাইছে আমার,
!
তাইইইইই?
!
হুমমমমমম সোনা,
!
তাহলে একটু সবুর করো সোনা,
সবুরে যে মেওয়া ফলে,
!
সবুর আর আমি?
তুমি তো ভালোকরেই জানো আমার ওটা নেই?
ধৈর্য্য, সবুর আর যাই বলো না কেন?
ওটা নেই বলেই তো তোমাকে আমার কাছে পাওয়ার জন্যে পাগল হয়ে যাই আমি,
!
তাই????
!
হুমমমমমম,
!
ছেলে মেয়ে নেই তাতে পাগল হয়ে আছো,
ছেলে মেয়ে এলে তো ছাগল হয়ে যাবে,
!
কি কেন সোনা?
!
বাচ্চাকাচ্চা হলে তো আমি ওদেরি আদর করবো থোরি না তোমাকে আদর করার টাইম পাবো?
!
দেখো সোনা এমন টা হবে না?
!
কেন দুষ্টু?
!
বাবু ও বাবুর আব্বু কে সমান ভাবে আদর করতে হবে হুমমমমম,
!
যদি না করি?
!
এ কেমন কথা?
আমাদের সবাই কে সমান ভাবে আদর করতে হবে সোনা,
বলো করবেনা আমাদের সবাই কে সমান ভাবে আদর?
!
সোনা তুমি কি বোকা?
!
কেন বাবুর আম্মু?
!
স্বামী ও সন্তানের ভালোবাসা কি কখনো এক হয় বোকা?
তোমাকে যে ভাবে আদর করে ভালোবাসি আমাদের সন্তান কেও কি ওভাবে আদর করে ভালোবাসবো হুমমমম?
!
না মানে আমি বুঝতে পারিনি সোনা,
সো আমি সরি সোনা,
!
এতে সরি বলার কি হল?
বাবুর আব্বু,
!
আমি তো বুঝতে পারিনি সোনা তাই আমি সরি,
!
ওকে আমার বোকা রাম চন্ডী,
!
এভাবে হাসি খুশি তে কেটে যায় দশ দশ টি মাস,
!
তারি মধ্যে আম্মুর সাধ হয় তার এক মাএ বৌ মায়ের বাবু হওয়াল উপলক্ষে বাসায় অনুষ্ঠান করার,
তাই আমরা সবাই মিলে ঘরোয়া ভাবে ছোটো খাটো পার্টি আরেঞ্জ করি,
!
পার্টি তে সবাই মিলে নাচ গান ও হাসি তামাশা করি,
পার্টির শেষ পর্যায় নিয়ন ওর মাম্মামের পেটের ওপরে চুমু খেয়ে মাথা রেখে বলে,
!
মাম্মাম তোমার মেয়ের সাথে আমার বিয়ে দিবে তো মাম্মাম?
!
না বাবা?
!
কেন মাম্মাম?
!
ছোটো বাবুর বিয়ে দেওয়া যায় নাকি বোকা?
তাছাড়া আমার মেয়ে না হয়ে যদি ছেলে বাবু হয় তখন?
!
তোমার তো মেয়ে বাবুই হবে দেখে নিও তুমি,
পাপা ও মেয়ে বাবু চায় মাম্মাম,
!
ওমা তাই?
তা তুমি জানলে কি করে বাবা?
!
পাপা আমাকে বলেছে যে পাপার মেয়ে বাবু চাই, পাপার মেয়ে বাবুই হবে,
!
দুষ্টু ছেলে তোমার পাপার না আমার বাবু হবে,
!
তখনি নিশা ভাবি মিশকাকে মিষ্টি খাইয়ে বলেন,
!
বেয়াইন সাহেবা আমার ছেলে তো রেডি,
শুধু তোমার মেয়ে রেডি হলেই হয়ে যায়,
!
ধুর পাগলের গুষ্ঠি আমি আমার বাচ্চা কে এখনো দুনিয়ার মুখি দেখাতে পারলাম না,
তার আগেই ওকে শশুড় বাড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা করে বসে আছে তারা,
!
শোনো ভাবি বাচ্চাকাচ্চার সামনে বিয়ে বিয়ে করবেনা কেমন?
বাচ্চারা এসবের কি বুঝে হুমমমম?
শুধু বিয়ে বিয়ে বিয়ে এছাড়া কথা বলার আর কিছু নেই নাকি?
!
বৌয়ের ঝারি খেয়েই চুপ হয়ে সবাই যায়,
!
তখন নিয়ন ওর গলা ধরে বলে,
!
তোমার মেয়ের সাথে আমার বিয়ে দিবে না মাম্মাম?
!
তখন আমার বাবুর আম্মু ওকে চুমু খেয়ে আদর করে রাগি চোখে তাকিয়ে বলে,
!
কোনো বেকার ছেলের সাথে মেয়ের বিয়ে দিবো না আমার,
!
পাপা বেকার মানে কি?
!
বাবা বেকার মানে যে কোনো কাজ করেনা,
!
ও তাই মাম্মাম আমার সাথে বিয়ে দিবে না তার তাই তো?
!
হুমমমমম,
!
তাহলে শোনো আমি অনেক লেখাপড়া করে চাকরি করে তোমার মেয়েকে বিয়ে করতে আসবো হুমমমমম,
!
নিয়নের কথা শুনেই বাড়ি শুদ্ধো লোক হা হা করে হেসে দেয়,
!
তারপর আমি আমার বাবুর আম্মু কে কোলে তুলে রুমে নিয়ে এসে আমাদের বিছানায় শুইয়ে দেই,
!
দেন দরজা লাগিয়ে এসে ওর পেটের ওপরে আলতো করে চুমু খেয়ে আদর করতে থাকি?
!
কি হলো বাবুর আব্বু কি হয়েছে?
!
আর মাএ চার দিন,
তারপর আমরা দুজন থেকে তিন জন হয়ে যাবো,
উফফফফ,
এতো এক্সাইটেড লাগছেনা আমার আমি তোমাকে বলে বোঝাতে পারবোনা,
!
দেখে আমার মেয়ে আমাকে সবার আগে আমাকে পাপা বলে ডাকবে?
!
না না আমার ছেলে আমাকে সবার আগে মাম্মা বলে ডাকবে,
!
কি তোমার ছেলে চাই?
!
হ্যা আমার ছেলে হবে,
!
না আমার মেয়ে হবে,
!
বলছি তো আমার ছেলে হবে,
!
বললাম না আমার মেয়ে হবে,
!
এভাবে ঝগড়া করতে করতে ঘুমিয়ে পরি আমরা,
!
পরেরদিন সকালে ঘুমে থেকে উঠে বসতেই বৌ আমাকে ওর পেটের সাথে চেপে ধরে,
আর তখনি আমি ফিল করি যে,
আমার অনাগত সন্তান ওর মায়ের মধ্যে বসেই হাতপা ছুড়ছে,
আর আমার মনে হচ্ছে যেন আমার সন্তান আমার সাথে খেলছে,
এভাবে কিছুক্ষণ কেটে যাওয়ার পর আমার বাচ্চা টা শান্ত হয়ে যায়,
!
সোনা ও শান্ত হয়ো গেল কেন?
!
হায় তো আমার ছেলের ঘুম পেয়ে গেছে তাই,
!
কি?
তোমার ছেলে?
না আমার মেয়ের ঘুম পেয়ে গেছে তাই?
!
আচ্ছা সোনা ও উঠবে কি করে?
!
ফুসকা খেলে,
!
মানে?
!
আমি ফুসকা খেলেই তোমার বাবুর ঘুম ভেঙে হাত পা ছুড়বে,
কারন আম্মু আমাকে একটু ফুসকা খাইয়ে গেছে আর ফুসকা খাওয়ার সাথে সাথেই ও ওর হাত পা ছোড়া শুরু করে দিছে,
!
পিচ্চি বৌয়ের কথা শুনেই আমি ফুসকা আনতে কিচেনে চলে যাই,
!
ফুসকা এনে দিতেই বৌ আমার গবগবিয়ে ফুসকা খেতে শুরু করে,
আর আমি বাবুর এক্টিভিটি বোঝার জন্যে ওর মায়ের পেটে মাথা রেখে শুয়ে থাকি,
!
এভাবে কিছুক্ষণ কেটে যাওয়ার পর,
আমি আমার বাবুর আম্মু কে বলি,
!
দেখো না সোনা বাবু তো হাত পা ছুড়ছে না?
নড়াচড়া ও করছেনা কেন করছেনা সোনা?
!
এ্যাচুয়ালি তখন আমি চটপটি খাচ্ছিলাম,
সো যাও গিয়ে চটপটি নিয়ে আসো সোনা,
!
কি তোমার কি আমাকে মুরগি বলে মনে হয়?
যে বারবার শুধু মুরগি বানাচ্ছো?
!
না সোনা তোমাকে কে তো আমার বাবুর আব্বু বলে মনে হয়,
দেন ও আমাকে ওর কাছে টেনে এনে আলতো করে আমার গালে চুমু একে দেয়,
আর আমি ও ওকে আমার বুকে জড়িয়ে ধরে চুমুতে চুমুতে ভরিয়ে দেই,
!
তার কিছুক্ষণ পরে হঠাৎ করে আমার ফোন বেজে ওঠে,
আর আমি তখনি কনফারেন্সের জন্য অফিসে চলে যাই,
!
কনফারেন্সের মাঝে হঠাৎ করে ফোন বেজে ওঠে আমার,
তাই আমি আমার পি,এ সবুজ কে বলি আমার ফোন টা রিসিভ করে কথা বলে ম্যাটার টা সট আউট করতে,
!
সবুজ কথা বলে এসে আমাকে জানায়,
!
স্যর ম্যাম খুবি অসুস্থ হয়ে পরেছেন তাই সবাই ওনাকে ডেলিভারির জন্যে হসপিটালে নিয়ে গেছেন,
!
সবুজের কথা শোনা মাঐ আমি কনফারেন্স ছেড়ে হসপিটালে চলে যাই,
সেখানে গিয়ে দেখি আমার পিচ্চি কে স্ট্রেচারের করে OT তে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে,
!
তাই আমি দৌড়ে গিয়ে ওর হাত টা চেপে ধরি,
আর ও আমাকে চোখের ইশারায় কাঁদতে বারন করে OT তে চলে যায়,
!
আর ও যেতেই আমি ভয় পেয়ে কান্না করে দেই,
তখন আব্বুরা এসে আমাকে ভরসা যোগায়,
!
ঘন্টা তিনেক পরে ডক্টর এসে আমাকে বলেন,
!
কংগ্রাচুলেশনস মিস্টার খান আপনি টুইন্স বেবির বাবা হয়েছেন,
!
ডক্টর চৌধুরি আমার ওয়াইফ কেমন আছে?
আমি কি ওর সঙ্গে দেখা করতে পারি?
!
এ্যাকচুয়ালি মিসেস খানের প্রচুর ব্লিডিং হয়ে গেছে তাই আমরা তাকে রেস্টে রেখেছি,
আর এখন উনি ঘুমোচ্ছেন,
তাই আপনারা একটু পরে গিয়ে ওনার সাথে দেখা করলে ভালো হয়,
!
ডক্টরের কথা শেষ হতে না হতেই এক নার্স আমার বাবু দের সাদা তোয়ালের মধ্যে নিয়ে এসে আমার দুই আম্মুর কোলে তুলে দেয়,
আম্মু আব্বু ও সবাই মিলে ওদের আদর করার পর আমি ওদের কোলে তুলে নিয়ে আদরে আদরে ভরিয়ে দেই,
!
তারপর ওদের আম্মুর কাছে রেখে ওদের মায়ের কাছে ছুটে যাই,
!
ক্যাভিনে যেতেই দেখি বাবুর আম্মু গভীর ঘুমে মগ্ন,
তাই আমি ওর কাছে গিয়ে আলতো করে চুমু একে দেই ওরি কপালে,
তখনি ও আমাকে জড়িয়ে ধরে বলে,
!
এই যে বাবুর আব্বু কাঁদছ কেন হুমমমম?
!
তুমি ঘুমাও নি?
!
এটা আমার প্রশ্নের উওর নয়,
!
আসলে আমি খুবি ভয় পেয়ে গেছিলাম তাই,
!
তাই বলে কাঁদবে?
!
তোমার যদি কিছু হয়ে যেত?
!
তাহলে আর কি খুশিতে নাচতে নাচতে গিয়ে আরেকটা বিয়ে করে আনতে,
আর সেই বৌ নিয়ে আনন্দে মেতে থাকতে,
!
তুমি আমাকে এতো খারাপ কেন মনে কর হুমমমমমম?
আমি কি এতো টাই খারাপ যে নিজের বৌয়ের কিছু হলেই আরেক জনের সাথে ছিছিছি এমন কথা আমি মনের ভুলে ও ভাবি না,
!
ওমা তাই নাকি?
আল্লাহ তোমাকে বাচিয়ে রাখুক যাতে তুমি আরেক টা বিয়ে করতে পারো,
!
দেখো বৌ মোটে ও ফাজলামো করবেনা কেমন?
!
সত্যি কথা বললেই তো ফাজলামো হয়ে যায় তাই না?
!
পিচ্চি বৌয়ের ফাজলামো বন্ধ করতে তাই তখনি আমি তার ঠোঁট জোড়া দখল করে নেই,
!
দেখতে দেখতে কেটে যায় আড়াই বছর,
!
এখন আমার ছেলে ও মেয়ে অনেক টা বড় হয়েছে,
কিন্তু হয়েছে পাজির হারি,
কারন আমাকে ওরা ওদের মায়ের কাছে দেখলেই কান্নাকাটি জুড়ে দেয়,
ছেলে মেয়ের ভয়ে না মানে অত্যাচারে তাদের মায়ের কাছে ও যেতে পারিনা আমি,
!
আমাকে তারা তাদের মায়ের থেকে একশো হাত দূরে রাখে,
একি বিছানায় তারা তাদের মা কে তাদের মাঝে নিয়ে ঘুমোয়,
আর আমাকে তাদের মায়ের আসে পাশে দেখলেই মহাভারত শুরু করে দেয় তারা,
আর তাই আমি ছেলের পাশে কোলবালিশ রেখে ঘুমোই
!
আর আমার মেয়ে ইশারা কি পাজি কি পাজি,
এই তো সেদিনের কথা আমি অফিসে যাবো বলে রেডি হচ্ছিলাম তখনি শার্টের বাটান টা ছিড়ে যায়,
তাই ওর আম্মু তড়িঘড়ি করে আমার শার্টের বাটান সেলাই করে দেয়,
আর সেই সুযোগে আমি আমার বৌ কে বুকে জড়িয়ে চুমু খেতে থাকি,
!
আর ওমনি আমার বদের পাজি মেয়ে টা ঘুম থেকে ওঠে আমাকে ওর মা কে জড়িয়ে থাকতে দেখে,
আম্মু আম্মু বলে কান্না জুড়ে দেয়,
আর তখনি আমার আব্বু এসে হাজির হয়,
!
আব্বু আম্মু আসতেই তাদের আদরের নাতনি তাদের আকার ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দেয় যে আমি ওর মা কে আমার বুকে জড়িয়ে চুমু খাচ্ছি লাম,
!
আর তখন আব্বু আম্মু আমাকে দেখে মৃদু হাসি দিয়ে নাতিনাতনি কে নিয়ে নিচে চলে যায়,
!
তারা যেতেই খেয়াল করে দেখি বৌ আমার টেরি টেরি স্মাইল দিচ্ছে,
!
তাই তখনি ওকে আমি জড়িয়ে ধরে বলি,
ও তুমি যতোই দাঁত কেলাও ন কেন?
তোমার ছেলেমেয়ে তোমাকে রক্ষা করতে পারবেনা সোনা,
!
এই বলে আমি ওর ঠোঁট জোড়া দখল করতে যাই,
আর ওমনি আমার ছেলে মেয়ে এসে বলে,
!
পাপা তুমি তি কও?
ওতা কলেনা ওতা পতা পাপা,
তুমি কুব পচা পাপা
!
তখনি ওর আম্মু আমার চেহারা দেখে হা হা করে হেসে দেয়??
চলবে