হ্যাকারের_লুকোচুরি . সিজন_৩ . পর্ব_৯

0
926

হ্যাকারের_লুকোচুরি
.
সিজন_৩
.
পর্ব_৯
.
লেখকঃ Sharix Dhrubo

রুহী – This game ends here.
রাফি চোখ বন্ধ করে ফেলে। অনেক বড় ভুল হয়ে গেল তার।
গর্জে উঠলো রুহীর পিস্তল।
বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি চলার পর রাফি চোখ খোলে। নিজের বুকে পিঠে হাত দিয়ে নিজেকে অক্ষত অবস্থায় আবিষ্কার করে রাফি। বালিতে গড়াগড়ি দিয়ে উল্টা দিকে তাঁকিয়ে দেখে মার্সেনারী টিমের সবাই মাটিতে লুটিয়ে আছে। রাফি বুঝতে পারে না কি হলো, রুহী কেন তার নিজের টিমের উপর গুলি চালালো!!!!
রুহী এখনো পিস্তল তাঁক করে আছে টিমের দিকে, অন্য হাত দিয়ে রাফিকে বালি থেকে ওঠানোর জন্য রাফির কলার ধরে।
রুহী – গেট আপ, গেট আপ।
রাফি ঝোক সামলে বালি ছেড়ে উঠে দাঁড়ায়, রুহী রাফির পেছনে থেকে পিস্তল তাঁক করে থাকে। রাফি বালি ছেড়ে উঠে দাঁড়ালে রুহী রাফিকে ধাক্কা দিয়ে টিমের কাছে নিয়ে যায়। রাফি খেয়াল করে টিমের সবাইকে আহত করেছে রুহী, কাউকে জানে মারে নি। রাফির কাছে রুহীর কর্মকান্ড তখনও ধোঁয়াশা। তাহলে কি মাফিয়া গার্ল ই চুরি করেছে নিউক্লিয়ার সাবমেরিন আর নিউক্লিয়ার লঞ্চ কোড! রাফিকে হত্যা করে কি মাফিয়া গার্ল পথের কাটা সরাতে চাইছে! কিন্তু মাফিয়া গার্ল ই তো রাফিকে ইনফর্মেশনগুলো দিয়েছিলো! এছাড়া রুহী তো চাইলে আরো আগেই রাফিকে মেরে ফেলতে অথবা বন্দী করতে পারতো, কিন্তু এখন কেন! এভাবে কেন!
টিমের কাছাকাছি পৌছাতেই রুহী চেঁচিয়ে ওঠে,
রুহী – হোয়াট ইজ ইওর মিশন সোলজার!
আহত টিমমেটগুলো নীরব থাকে, নীরবতা কাটাতে রুহী বালিতে ফাঁকা গুলি ছোড়ে,
রুহী – আনসার মি! হোয়াট ইজ ইওর মিশন!!!!
রিদিয়নস্কি তখন দুই হাত উচু করে আত্বসমার্পন করে আর কিছু বলতে চায়।
RQ – আওয়ার মিশন ইজ টু কিল আলফা ………
হঠাৎ আহত টিমমেটের সবাই কান চেপে ধরে চিৎকার করে ওঠে, যেন কানে প্রচন্ড যন্ত্রনা হচ্ছে। হঠাৎই টিমের সবার নাক কান দিয়ে রক্ত বের হওয়া শুরু করলো আর প্রত্যেকে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।
ঘটনার আকষ্মিকতায় রাফি এবং রুহী দুইজনেই ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যায়। টিমের সবার কানে থাকা ইয়ারবট থেকে হাই ফ্রিকোয়েন্সি নয়েজ তৈরী হওয়ায় টিমের সবার নাক কান ফেটে অস্বাভাবিক রক্তক্ষরণ হয় আর ফলশ্রুতিতে মৃত্যু ঘটে সবার। রাফি রুহীকে বেখেয়ালী লক্ষ্য করতে পেরে রুহীর হাত থেকে পিস্তল কেড়ে নিতে চায় কিন্তু রুহীর তাল সামলে ঝড়ের গতিতে রাফির আক্রমণ প্রতিহত করে।
রুহী – ইজি ব্যাড বয়, আই এম নট ইওর এনিমি। আই হ্যাড টু ডু হোয়াট ইজ নেসেসারী। কান থেকে ইয়ারবট খুলে ফেলো। এখনই!
ইয়ারবটে পিকাচু তখনও নীরব, রাফি পিকাচুকে কিছু কমান্ড করবে তখনই রুহী পিস্তল উঁচিয়ে রাফির কপাল বরাবর এগিয়ে নিয়ে আসে।
রুহী – আমি তোমার জায়গায় হলে এই ভুল করতাম না।
রুহী পকেট থেকে একটা কাগজ বের করে। রাফির হাতে কাগজটি দিয়ে দেয় রুহী,
রুহী – পিকাচুকে কমান্ড করো আর কাগজে যা লেখা আছে তা অক্ষর বাই অক্ষর পড়ো। একটা শব্দ বেশী নয়, একটা শব্দ কম নয়।
রাফি রুহীর কাছ থেকে কাগজটি নেয়, ছোটখাটো কাগজটিতে একটি কমান্ড কোড ছাড়া আর কিছুই নেই। রাফি ভালোভাবে কোডটি পড়ে, কমান্ড কোডটি এক সিস্টেমের সাথে অন্য সিস্টেম মিলিয়ে দেয়ার একটি কোড। অর্থাৎ রুহী চায় পিকাচুকে কোন একটি পুরাতন সিস্টেম সেটআপের সাথে মিলিয়ে দিতে!!! পুরাতন সিস্টেমের এড্রেস কোড ও দেয়া আছে কাগজটিতে কিন্তু রাফি কম্পিউটার ইনপুট ছাড়া সেটা বের করতে পারবে না।
রুহী – (তাড়া দিয়ে) কমান্ড পিকাচু, রিড দ্যা পেপার।
রাফি – পিকাচু রেস্পন্স? পিকাচু!
পিকাচু – পিকা পিকা।
রাফি – কমান্ড কোড জিরো নাইন আলফা ………….
রাফি পুরো কোডটি পড়তে থাকে আর রুহীর দিকে তাঁকাতে থাকে। রুহী পলকহীন চোখে রাফির দিকে পিস্তল উঁচিয়ে রাখে। কোডটি পড়া শেষ হলে রাফি চুপ হয়ে যায়। পিকাচু কোডটি প্রোসেস করে রিপোর্ট জানায়,
পিকাচু – কমান্ড কোড স্ট্যান্ডবাই, পিকাচু ইজ মার্জিং উইথ নিউ কন্ট্যাক্ট, হাইড্রা, প্লিজ কনফার্ম টু ইনিশিয়েট?
হাইড্রার কথা শুনে রাফির মাথায় চক্কর দিলো, তাহলে রুহী চায় রাফি পিকাচুকে হাইড্রার সাথে মিলিয়ে দেয়! মাফিয়া গার্ল শেষমেশ পিকাচুকে দখল নিতে চায়!
পিকাচু – কনফার্ম টু ইনিশিয়েট?
রুহী পিস্তলটা নাড়িয়ে জানান দেয় সে রাফির কনফার্মেশনের অপেক্ষায় আছে। উপায়ন্ত না দেখে রাফি রুহীর চোখের দিকে তাঁকিয়ে কমান্ড করে।
রাফি – কনফার্ম।
পিকাচু – ইনিশিয়েটিং প্রোটোকল জিরো নাইন আলফা….. মার্জিং প্রোসেস স্টার্টিং ইন টি মাইনাস ১০ সেকেন্ডস। এপ্রক্সিমেট টাইম টি মাইনাস ৯০ মিনিটস। শাটিং ডাউন পিকাচু ইন ৩….২…..১.
রাফি বুঝে উঠতে পারলো না। কি হয়ে গেল এই কিছু সময়ের ভেতর। রাফির ভাজ করা কপাল দেখে রুহী বুঝে যায় যে পিকাচু মার্জিং প্রোসেস শুরু করে দিয়েছে। রুহী পিস্তল নামিয়ে ফেলে রাফির কপাল থেকে। কোমরে হোল্ডস্টারে পিস্তলটি রেখে রাফির দিকে তাকায় রুহী।
রুহী – ৯০ মিনিট সময় হাতে আছে। এখান থেকে সরে পড়তে হবে।
বলে দৌড় দেয় রুহী, রাফি ঠায় দাড়িয়ে থাকে আর রুহীর দিকে তাঁকিয়ে থাকে। কিছুদূর যাওয়ার পর রুহী পেছনে ফিরে তাকায়, রাফিকে দাড়িয়ে থাকতে দেখে দাড়িয়ে যায় রুহী। পেছনে ফিরে এসে রাফির সামনে দাড়ায় রুহী।
রুহী – আমি জানি তোমার মাথায় একগাদা প্রশ্ন ঘুরছে আর তোমার সাথে কি ঘটতেছে তার কিছুই বুঝতে পারছো না। যদি উত্তর জানতে চাও আর এই বিপদ থেকে উদ্ধার পেতে চাও তো আমাকে ফলো করা ছাড়া তোমার আর ২য় পথ খোলা নেই। তাই যা বলছি তাই করাটা তোমার জন্য মঙ্গলজনক হবে। তবে একটা জিনিস বলতে পারি, তোমার সব প্রশ্নের জবাব তুমি পাবে। এখন দাড়িয়ে না থেকে আমার সাথে এসো।
রাফি অজানা একটা দেশের উপকূলে দাড়িয়ে আছে আর পিকাচু ও ৯০ মিনিট রেস্পন্স করবে না। রাফির সামনে দুইটা পথ খোলা, হয় রুহীকে ফলো করা আর না হয় ৯০ মিনিট পিকাচুর জন্য অপেক্ষা করা। কিন্তু পিকাচু তো হাইড্রার সাথে মার্জ হয়ে যাচ্ছে। পিকাচু হাইড্রার সাথে মিলে গেলেও কমান্ড কন্ট্রোল ৮০% রাফির হাতেই থাকবে। তবুও মাফিয়া গার্ল যদি রাফির কমান্ড পাওয়ার বাইপাস করে ফেলে তাহলে রাফির আর করার কিছুই থাকবে না। তাই পিকাচুর জন্য বসে থাকার চেয়ে রুহীর সাথে থাকাটা যুক্তিসঙ্গত লাগলো রাফির। তাছাড়া রিদিয়নস্কির বলা শেষ কথাটাও কানে বাজে রাফির। তাছাড়া ৫ টি লাশের পাশে দাড়িয়ে থাকলে যে কেউ সন্দেহ করবে এটাই স্বাভাবিক।
রুহী – টিক টক টিক টক, টাইম ইজ রানিং, লেটস গো।
রুহীর আওয়াজে ভাবনায় ছেদ পড়ে রাফির। রুহী হাত দিয়ে ইশারা করে হাঁটতে শুরু করে। এবার রাফি পিছু নেয় রুহীর। জোর পায়ে এগিয়ে গিয়ে রুহীর পাশাপাশি চলতে থাকে রাফি।
কিছুদূর হাঁটার পর রাফির ধৈর্যে কুলায় না। প্রশ্নগুলো পেট ফুঁড়ে বেরিয়ে আসতে চায়। রুহী বুঝতে পারে রাফির হাল। রাফি প্রশ্ন করার আগেই রুহী বলে ওঠে,
রুহী – (চারদিকে তাঁকিয়ে) বলো ত কোথায় আছো তুমি এখন!
রাফি ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যায় রুহীর প্রশ্নে। এতক্ষণ চারপাশের কিছুই খেয়াল করে নি রাফি। সিংগাপুরের জাহাজ ইন্টারন্যাশনাল সী বর্ডার ক্রস করার আগে জাহাজ দিয়ে নেমে পরার কথা রাফি ও তার টিমের। তাই যথেষ্ট সম্ভাবনা থাকে যে রাফি এখন সিংগাপুর বা তার আশেপাশে কোন দ্বীপে আছে, কিন্তু এমন নির্জন নিরিবিলি হওয়ার কথা নয় সিংগাপুর বা তার আশেপাশের কোন দ্বীপ।
রাফি – আমরা সিংগাপুরে!
রুহী মুচকি হাসি দেয়। রাফি চলা থামিয়ে দিয়ে রুহীর দিকে তাঁকিয়ে পড়ে। রুহী পেছনে তাঁকিয়ে রাফিকে এগোতে ইশারা করে।
রুহী – কেউ একজন তোমার জন্য অপেক্ষা করছে। তোমার সব প্রশ্নের জবাব সে দেবে।
রাফি আর দাড়িয়ে না থেকে রুহীর সাথে চলতে থাকে। কিছুদূর গেলে লোকজনের আভাস পায় রাফি। কৃষ্ণবর্নের লোকজন চোখে পড়তে থাকে রাফির, সিংগাপুরের আশেপাশে কোন কৃষ্ণাঙ্গ উপজাতি বাস করে এটা জানা নেই রাফির। হঠাৎই একটা কালো জীপ এসে দাড়ায় রাফি আর রুহীর সামনে। পেছনে আরো ২ টা খোলা জীপ। অস্ত্রধারী কয়েকজন কৃষ্ণঙ্গ নেমে আসে জীপগুলো থেকে। রুহীর সামনে এসে একজন কোন এক আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলে রুহীর সাথে। রাফি আন্দাজ করে হয়তো সে দলনেতা কিন্তু রুহী কিভাবে তাদের সাথে কথা বলছে! দুই দফা কথপোকথন কৃষ্ণাঙ্গ নেতা হেসে দেয়,
কৃষ্ণাঙ্গ – (দুই হাত মেলে দিয়ে চেচিয়ে) ওয়েলকাম টু সোমালিয়া।
সাথে সাথে পেছনের কৃষ্ণাঙ্গ অস্ত্রধারীরা ফাঁকা গুলি ছোড়া শুরু করে!
রাফির মাথায় একের পর এক বাজ পড়তে থাকে। যেন কেবল মাত্র কোমা থেকে ফিরছে সে।
রাফি – সোমালিয়া!! আমরা আফ্রিকায়! ৩ দিনের জাহাজ সফরে আফ্রিকায় কিভাবে সম্ভব!
রুহী – তোমার সব প্রশ্নের জবাব আসছে। অপেক্ষা করো।
কৃষ্ণাঙ্গ নেতা রুহী এবং রাফিকে জীপে ওঠার তাগাদা দিলো। রুহী জীপে চড়ে বসে আর জানালা দিয়ে রাফিকে ইশারা করে জীপে উঠতে।
রাফি তারপরও দাড়িয়ে থাকে! যেন পায়ে কেউ কয়েকমন পাথর বেধে দিয়েছে। রাফিকে ঠায় দাড়িয়ে থাকতে দেখে কৃষ্ণাঙ্গ দলনেতা রাফির কানের কাছে গিয়ে বলে
কৃষ্ণাঙ্গ – আই এম নট গোইং টু কিল ইউ মাফিয়া বয়।
রাফির টনক নড়ে। তাহলে এরা রাফির আসল পরিচয় জানে!
কৃষ্ণাঙ্গ দলনেতা হাত দিয়ে জীপের দরজা খুলে দেয় রাফির জন্য।
কৃষ্ণাঙ্গ – উই হ্যাভ এ সার্প্রাইজ ফর ইউ।
রাফি আর কথা না বাড়িয়ে অনিচ্ছা স্বত্বেও গাড়িতে চড়ে বসে। সবাই হই হই করতে করতে গাড়ি ঘুরিয়ে আঁকাবাঁকা পথ ধরে। অনুন্নত এলাকা কিন্তু এদের হাতে সর্বাধুনিক অস্ত্রসস্ত্র, এন্ড্রোয়েড ফোন সহ অত্যাধুনিক গ্যাজেটস। রাফি শুধু তার প্রশ্নের জবাব পাওয়ার অপেক্ষায় ঝিম মেরে থাকে। রুহী রাফির কান থেকে ইয়ারবটদুটো খুলে জানালা দিয়ে ফেলে দেয়।
রুহী – ইউ ওন্ট নীড দেম এনিমোর।
চোখ বড় বড় করে তাঁকিয়ে থাকা ছাড়া রাফির আর কিছু করার থাকে না।
ছোট একটা গ্রামে ঢুকে পড়ে জীপ তিনটা। একটা দেয়ালছাড়া ছাউনির ঘরের সামনে গাড়িটা থামে। রুহী আর রাফির দিকে সবাই তাকিয়ে থাকে। গ্রামের চারিদিকে বড়বড় টাওয়ারে অস্ত্রধারী কৃষ্ণাঙ্গ দাড়িয়ে পাহারা দিচ্ছে। রুহী গাড়ি থেকে নেমে ছাউনি দেয়া খোলা ঘরের ভেতর ঢোকে ছাউনির নীচে সারি দিয়ে বেঞ্চ রাখে আর মাঝখানে একটা জায়গায় বেশ কিছু কৃষ্ণাঙ্গ গোল হয়ে দাড়িয়ে কোন একটা খেলা উপভোগ করছে। রাফি উঁকি মেরে দেখে সবাই পাঞ্জা লড়াই উপভোগ করছে। আরো একটু খেয়াল করে দেখে এক কৃষ্ণাঙ্গ পুরুষের সাথে এক শেতাঙ্গ পাঞ্জা লড়ছে। রুহী ভীড় ঠেলে ভেতরে যেয়ে শেতাঙ্গ মানুষটার কানে কানে কিছু বলে।
কৃষ্ণাঙ্গ পুরুষটিকে পাঞ্জায় হারিয়ে দিয়ে এক হাত উচু করে সেই শেতাঙ্গ। সাথে সাথে রাফি আর ওই শেতাঙ্গের মাঝে দাড়িয়ে থাকা সবাই সরে যায়। রাফি স্পষ্টভাবে শেতাঙ্গের পেছন দিকটা দেখতে পায়। শারিরীক গঠন ই বলে দিচ্ছে শেতাঙ্গ একজন মেয়ে। চুল বেনী করে মাথায় খোঁপা করা। চোখে পাইলটা সানগ্লাস আর মিলিটারী পোশাক পরা একটা মেয়ে।
– মাফিয়া বয়! ফাইনালি।
চেচিয়ে বলে ওঠে শেতাঙ্গ মেয়েটি।
রাফির হয়তো চুড়ান্ত পর্যায় অবাক হওয়া বাকী ছিল যা পূর্নতা পেলো শেতাঙ্গ মেয়েটির ওই ডাকটিতে। চেহারার অর্ধেকাংশের কিছুটা দেখা যাচ্ছিলো পেছন থেকে কিন্তু গলার আওয়াজটা অচেনা লাগলো না রাফির।

বি. দ্র. সমাপ্তি সন্নিকটে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে