হ্যাকারের_লুকোচুরি . সিজন_২ . পর্ব -১৬

9
1980

হ্যাকারের_লুকোচুরি
.
সিজন_২
.
পর্ব -১৬
.
রাফি বুঝতে পারে যে মাফিয়া গার্ল কোন ট্রেস ই রাখে নি হয়তো তার বাবা মা পর্যন্ত পৌঁছানোর। কিন্তু রাফিও ছাড়ার পাত্র নয়। ফ্যামিলিকে তো খুঁজে বের করতেই হবে রাফিকে।
পিকাচু খুঁজতে থাকে রাফির পরিবারকে কিন্তু কোন ডিজিটাল ট্রেস ই রাখে নি মাফিয়া গার্ল। এছাড়া ফোনগুলোও আনরীচেবল হয়ে যায় কোয়ার্টারের ভেতরেই। হয়তো বাসা থেকে বের হওয়ার আগেই মাফিয়া গার্ল নাম্বারগুলোকে ব্লক করে আনরীচেবল করে দিয়েছে যা বাবা মা বা তোহা কেউই জানে না। মোবাইলের কথা বাদ। রাফি চিন্তা করতে থাকে অন্য কিছু যা হয়তো মাফিয়া গার্ল ভাববে না। কি হতে পারে সেটা! সিসিটিভি ফুটেজ তো নিশ্চিন্তে ডিলিট করে দিতে পারবে মাফিয়া গার্ল এবং হাইড্রা। তারপরও একটু কুটিল বুদ্ধি খাটায় রাফি।
রাফি – পিকাচু, আমার কোয়ার্টারকে গ্রাউন্ড জিরো পয়েন্ট করো. তারপর ৩ কিলোমিটার রেডিয়াস নিয়ে একটা সার্চ সার্কেল বানাও।
পিকাচু স্যাটেলাইট ইমেজিং থেকে কোয়ার্টারে রাফির বাসাকে রেডমার্কিং করে একটা ৩ কিলোমিটার সার্কেল তৈরী করলো।
রাফি – পিকাচু, কোয়ার্টার থেকে এই সার্কেল দিয়ে বের হওয়ার কয়টা এক্সিট রুট বা বের হবার পথ আছে তা খুঁজে বের করো।
পিকাচু – পিকা, making all possible exit route…… collecting GPS data…….. 8 exits found.
পিকাচু মনিটরে গ্রীন মার্ক করে রাস্তাগুলো শো করে।
রাফি – এখন ট্রাফিক সিসি ক্যামেরা সিস্টেম একসেস করো, দেখো এই সার্কেলের ভেতর ওই ৮ রাস্তায় কয়টা ট্রাফিক ক্যামেরা এবং পার্সোনাল অনলাইন সিকিউরিটি ক্যামেরা আছে।
পিকাচু – Accessing all traffic cctv and online cctv data within 3km radius ……….
32 cctv camera found and 50 personal cctv camera detracted.
পিকাচু গ্রীন ডট দিয়ে প্রতিটা ক্যামেরার পজিশন দেখিয়ে দেয়।
রাফি – আমার দেশত্যাগের পর থেকে ৪৮ ঘন্টার ভেতর এই সব ক্যামেরাগুলোতে কোন ধরনের গ্লীচ বা ট্যাকনিক্যাল ফল্ট বা মিসিং রেকর্ডিং বা এইধরণের কোন সমস্যা আছে কি না চেক করো।
পিকাচু – Accessing cctv footage….. searching for glitch, technical fault, missing recordings…….
All 32 traffic cctv camera had glitch for 8 seconds of each and all 50 personal cctv footage had the same for 6 second each.
পিকাচু রেড ডট দিয়ে প্রতিটা ক্যামেরা মার্ক করে দেয়। রাফি দেখতে পায় সবগুলো ক্যামেরা রেড ডট দেখাচ্ছে।
রাফি জানে যে মাফিয়া গার্ল যথেষ্ট বুদ্ধিমান। প্রতিটা সিসিটিভি ক্যামেরাকেই গ্লীচ করেছে মাফিয়া গার্ল এবং এমনভাবে করেছে যেন একটা পানিভর্তি গ্লাসের ঠিক মাঝখানে একফোঁটা পানি ফেললে যেমন ঢেউ তৈরী হয় এবং একসাথে গ্লাসের চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে ঠিক সেভাবে সিমুল্টেনিয়াসলী গ্লীচ করে দিয়েছে মাফিয়া গার্ল যেন কেউ ধরতে না পারে যে রাফির পরিবারকে মাফিয়া গার্ল কোথায় নিয়ে যাচ্ছে।
“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন


রাফি – Very cleaver move, Mafia Girl, very cleaver.
কিন্তু রাফিও ছেড়ে দেয়ার পাত্র নয়। রাফি জানে যে মাফিয়া গার্ল এমন কোন পথে যাবে না যে পথে ওর কন্ট্রোল থাকবে না।
রাফি – পিকাচু, খুঁজে বের করো কোন রুটে সবচেয়ে বেশি অনলাইন সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে এবং সবচেয়ে কম অফলাইন ক্যামেরা আছে।
কারন অফলাইন সিসিটিভি ক্যামেরার রেকর্ড মুছে ফেলা মাফিয়া গার্লের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই হিসাব অনুযায়ী মাফিয়া গার্ল সেই পথ কখনই বেছে নেবে না যে পথে যাওয়ার ট্রেস মাফিয়া গার্ল মুছতে পারবে না।
পিকাচু – পিকা পিকা।। analyzing maximum online cctv camera route ……….
1 route has most of the online cctv cameras and minimum number of offline cameras.
রাফি মোটামুটি নিশ্চিত হয় যে এই রুটেই মাফিয়া গার্ল রাফির ফ্যামিলিকে বের করে নিয়ে গেছে।
রাফি – পিকাচু, এই গ্লীচ টাইমের ভেতর ওই রাস্তা দিয়ে কোন রাইড শেয়ারিং গাড়ি গিয়েছে কি না যা কোয়ার্টারের আসেপাশে দিয়ে রাইড স্টার্ট করেছে আর ওই গ্লীচ টাইমের ভেতর এই রুট দিয়ে বের হয়ে গেছে।
পিকাচু – Accessing all ride sharing vehicle control server…….. Matching GPS route…….
1 vehicle speed matched with the glitch and GPS destination is scrambled.
রাফি ধরেই নিতে পারে যে মাফিয়া গার্লের হাত ছাড়া শুধুশুধু জিপিএস ডেস্টিনেশন নিয়ে ঘোলপাক করবে না কেউ।
রাফি – পিকাচু, গাড়ির নাম্বার, মালিকের নাম এবং ড্রাইভারের নাম বর করো।
পিকাচু – পিকা।
রাফি মনিটরে গাড়িটার ফুল ডিটেলস পেয়ে গেলো।
রাফি – পিকাচু, ড্রাইভারের সাথে কন্ট্যাক্ট করো। আমি কথা বলবো।
পিকাচু – contacting ………
ড্রাইভার – হ্যালো! কেডা।
রাফি – সদর থানা পুলিশ।
ড্রাইভার – স্যার, বলেন স্যার?
রাফি – কিছুদিন আগে তুই NSA কোয়ার্টার দিয়ে কোন ট্রিপ মারছিস?
ড্রাইভার – ( কিছুক্ষণ ভেবে) NSA কোয়ার্টার? ওহহোও মনে পড়ছে, হ স্যার মারছিলাম।
রাফি – কতদিন আগে ?
ড্রাইভার – এই স্যার ৮-৯ দিন আগে।
রাফি – ৮ -৯ দিনের পুরাতন ঘটনা মনে থাকলো কিভাবে?
ড্রাইভার – আর বইলেন না স্যার, আমি তো ওই এলাকার ড্রাইভার না। এক আপায় ফোন দিলো আর জিপিএস এ ঠিকানাও দিয়া দিছিলো, প্রথমে না না করতেছিলাম কিন্তু হ্যায় ভালো টিপস দেবো শুইনা রাজি হইয়া গেছিলাম।
রাফি – আচ্ছা, লোক উঠাইছিলি কই দিয়া আর কয়জন?
ড্রাইভার – ওইভাবে তো মনে নাই তয় কোয়ার্টারের একদম ভিত্রের দিক একটা বাসা দিয়া। হ্যাতেরা ৩ জন আছিলো।
রাফি – নামায় দিছিলি কই?
ড্রাইভার- খাড়ান, দেইখ্যা কইতাছি। (কিছুক্ষণ পর) হ স্যার, ঠিকানাডা লন।
রাফি – পিকাচু, take note.
পিকাচু – পিকা।
ড্রাইভার ঠিকানা দিলো আর পিকাচু ঠিকানা অনুয়ায়ী লোকেশনটা স্যাটেলাইটের মাধ্যমে শো করতে থাকে।
রাফি ডিসকানেক্ট করে দেয় কল। লোকেশনটা ভালো করে দেখে নেয় রাফি। আরে এটা তো সেই বাসা যে বাসায় বৌভাতের দিন থেকে অফিস জয়েন করার আগপর্যন্ত রাফি ও তার পরিবার ছিলো। রাফির বাবার বন্ধুর ফ্লাট।
রাফি বুঝতে পারে হয়তো এইজন্যই বাসার সবাই সহজে কনভিন্স হয়েছে ওই বাসায় যেতে। কেউ সন্দেহ ই করে নি। মাফিয়া গার্ল রাফির পরিবারের বিশ্বাসকে কাজে লাগিয়েছে। কিন্তু ওখানে রাখলে মাফিয়া গার্লের লাভ কি? তাহলে কি মাফিয়া গার্ল রাফিকে বোকা বানাচ্ছে!
রাফি – পিকাচু, এই দেশের নাম কি, কোথায় আছি আমরা এখন।
পিকাচু মনিটরে পিনপয়েন্ট লোকেশন শো করতে থাকে। রাফি দেশটাকে চিনতে পারে তবে সেটা অবশ্যই পৃথিবীর বৃহত্তম দেশ নয়। তবে একসময় এই দেশটা বৃহত্তম দেশের আন্ডারেই ছিল। কিন্তু এখন তো নয়! তাহলে এমন লুকোচুরি কেন করলো মাফিয়া গার্ল রাফির সাথে! এসব করার মানে কি!
মাফিয়া গার্লের এসব লুকোচুরির মানে বের করতেই হবে। এসব ভাবতে ভাবতেই ফোনের দিকে চোখ যায় রাফির,
রাফি – পিকাচু, আমার ফোন ট্যাপড আর ব্লক করা আছে, আমার ফোনকে সিকিউর করতে হবে।
বলে পিকাচুর সিস্টেমে নিজের নাম্বার ইনপুট করে। পিকাচু নাম্বারের ট্যাপিং সোর্স খুঁজতে থাকে।
পিকাচু – I can make your phone secure but whoever is taping will know.
রাফি – Do it.
পিকাচু – পিকা পিকা।
পিকাচু সিস্টেম দিয়ে নাম্বারকে আনরীচেবল করে দেয় যার মাধ্যমে ইনকামিং রেষ্ট্রিকটেড কিন্তু আউটগোইং ওপেন থাকবে এবং নাম্বার আইডি ও হীডেন থাকবে, ঠিক মাফিয়া গার্লের মত। এমন সময় পিকাচু শো করে একটা ইনকামিং কল, আননোন সোর্স,
রাফি – পিকাচু, আমি কলটা রিসিভ করবো, খেয়াল রাখবে যেন এই কল এর মাধ্যমে আমার ফোনের কন্ট্রোল আবারো না নিয়ে নিতে পারে। আর হ্যাঁ, ট্রাক দ্যা কলার।
পিকাচু কল রেফার করলে রাফির ফোন বেঁজে ওঠে, রাফি ফোন রিসিভ করে,
– আমার কাছ থেকে আমার সার্ভার সিস্টেম কেড়ে নিয়েছো, এখন ফোনের কন্ট্রোল? বাহ। দারুন।
রাফি – আমি মনে করি পিকাচু এখন এসব সমস্যা সামলে নিতে পারবে। (রাফি মনিটরের দিকে তাঁকিয়ে দেখে পিকাচু টাইম দিয়েছে – ৮০ সেকেন্ড এর ভেতর কল ট্রেস হয়ে যাবে)
– হ্যাঁ সেটা তো দেখতেই পাচ্ছি, কিন্তু রাফি, তুমি হয়তো একটা জিনিস ভূলে যাচ্ছো। হাইড্রা পিকাচুর জমজ দুই বোন। এরা দুজন দুজনকে লুকিয়ে রাখতে খুবই পটু, আমি জানি তুমি আমার বেজমেন্টে বসে আমার সার্ভার দিয়ে আমার নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে আমার সাথে কথা বলছো কিন্তু পিকাচুর ব্লকিং এবং তোমার এনক্রিপশনের কারনে আমার হাইড্রা ট্রেস ই করতে পারছে না সার্ভার আর নেটওয়ার্ককে।
রাফি – সমস্যা নেই, আর পারবে না। (- ৩০ সেকেন্ড)
– হ্যাঁ, নিশ্চই কারন আর মাত্র ২৮ সেকেন্ড পরই আমরা দুজন দুজনকে এক্সপোজ করে ফেলবো! তুমি আমার হাইড্রা কে আর আমি তোমার পিকাচু কে, চয়েস তোমার।
রাফি বুঝতে পারে যে মাফিয়া গার্ল এমনভাবে নিজের ফায়ারওয়্যাল সাজিয়ে রেখেছে যাতে কেউ যদি হাইড্রা হ্যাক করতে চায় তার ৫ সেকেন্ড আগেই সে নিজে হ্যাক হয়ে যাবে, সেদিক থেকে পিকাচুর জন্ম মাত্র কয়েক ঘন্টা আগে, এখনো Knowledge hunting ই কম্প্লিট হয় নি। তাই রিক্স নেয়া ঠিক হবে না ভেবে কীবোর্ড চেপে ট্রেসিং বন্ধ করে দেয় রাফি।
– A very wise decision, Mafia Boy. Appreciate it.
রাফি – I’ll see you soon Mafia Girl.
– not too soon. By the way, তোমার প্রেস ব্রিফিং এর সময় হয়ে গেছে। সবাই তৈরী। কিছুক্ষণের ভেতর লাইভ টেলিকাষ্ট হবে। Good luck.
রাফি ফোনটা রেখে দেয়। পিকাচু মনিটরে একটা মেসেজ শো করে। মেসেজটা দেখে রাফির যার পর নাই খুশি লাগে। পিকাচু মাফিয়া গার্লকে ট্রেস করার আগেই রাফি হয়তো ট্রেসিং অফ করে দিয়েছিলো কিন্তু পিকাচু ঠিকই মাফিয়া গার্লের ফোন নাম্বার ধরে ফেলেছে আর মনিটরে শো করছে।
রাফি – ওয়েলডান পিকাচু।
পিকাচু – (উৎফুল্ল) পিকাচু।
রাফি – এখন তো এটলিষ্ট *6666# এ ডায়াল করে মাফিয়া গার্লকে খুঁজতে হবে না। l lets give it a try, shal we? পিকাচু, call that number. And check the details of that number.
পিকাচু – পিকা। connecting ….
– you got my number! !!! Waah. What else you got.
পিকাচু স্ক্রীনে শো করে এক ব্যক্তির নাম যিনি ৫ বছর আগে মারা গেছেন এবং ফ্যামিলি মেম্বার ও কেউ নেই।
রাফি – একজন মৃত ব্যক্তির নাম্বার ব্যবহার করছো যাকে ফোন দেয়ার মতন ও কেউ নেই, বাহ, চমৎকার। পুলিশ তোমার নাম্বার পেলেও তোমার অস্তিত্ব খুজে পাবে না।
– রাফি, একটা জিনিস মাথায় রেখো, White, Black অথবা Ethical যে হ্যাকারই হও না কেন যখন তোমাকে সহজভাবে কেউই গ্রহন করবে না। সারা পৃথিবীর ডিজিটাল আর সাইবার ওয়ার্ল্ডে বসবাস করা সবাই ই কোন না কোনভাবে হ্যাকার শব্দটাকেই ভয় পায়, মানুষটার কথা না হয় বাদই দিলাম। বুঝবে সময় হলেই বুঝবে।
রাফি – তাহলে তো আর *6666# কেটে নাম্বারটাই সেভ করে রাখি।
– এইজন্যই কি ফোন দিয়েছিলে?
রাফি – জ্বী হ্যাঁ, চেক করার জন্য।
– ok, good luck.
রাফি ফোনটা কেটে দেয়। নিজের ফোনটা আবার নিজের নিয়ন্ত্রনে ফিরে পেয়ে মন খুশি হয়ে যায় রাফির। ফোন থেকে কাছের এক বন্ধু রকিবের নাম্বারে কল দেয়,
রকিব – হ্যালো, কে বলছেন?
রাফি – রকিব, আমি রাফি.
রকিব – রাফি! তুইইইই? কই তুই, কই হারায় গেচোস, তোরে তো পুলিশ গোয়েন্দা সবাই মিলে খুজতাছে, তুই নাকি টাকা নিয়া পলাইচোস, আর কি প্রাইভেট নাম্বার দিয়া কল দিচোস.। ?
রাফি – দোস্ত, তোর সব প্রশ্নের উত্তর দেব। আগে একটা সাহায্য কর।
রকিব – বল না কি লাগবে?
রাফি তখন বাবা মা আর তোহাকে লুকিয়ে রাখার কথা জানালো রকিবকে। এটাও বলে দিলো যে বাবা মায়ের সাথে ৩ জন বডিগার্ড ও রয়েছে যারা পাহারা দিচ্ছে বাবা মা কে।
রকিব – বুঝছি, আংকেল আন্টিকে বের করে নিয়ে আসতে হবে তাই তো।
রাফি – না। এমন কিছু করতে হবে না। যাবি। খোঁজখবর নিবি। যতটা সম্ভব বডিগার্ডদের এড়িয়ে।
রকিব – আর বলতে হবে না ভাই। বুঝে গেছি। কিন্তু তারপর কি?
রাফি – নতুন একটা ফোন কিনে আমাকে নাম্বার দে, তারপর বাবা মা এর কাছে পৌছালে ফোনটা তাদেরকে দিয়ে দিস। বাকিটা আমি বলে দেবো।
রকিব – ঠিক আছে। কিন্তু তোকে জানাবো কিভাবে!
রাফি – ২ ঘন্টা পর আমিই তোকে ফোন দেবো।
রকিব – আচ্ছা।
রাফি ভাবতে থাকে বাবা মা রকিবকে ভালো করেই চেনে। রকিবকে দেখলে হয়তো বাবা মা কথা বলতে রাজী হবে।
এদিকে কারেন্সি চুরির জন্য গঠিত টাস্কফোর্স মেম্বারদের জন্য রাফির আয়োজন করা প্রেস রিলিজ এর সময় হয়ে যায়।
রাফি – পিকাচু, প্রেস রিলিজের লাইভ ফিড দেখাও আর প্রধানের সাথে সরাসরি কমিউনিকেশন রাখার ব্যবস্থা করো।
পিকাচু- Communicating……..
রাফি স্ক্রীনে প্রেস রিলিজের লাইভ ফিড দেখতে পায়, তখনও ব্রিফিং শুরু হয় নি। পিকাচু টাস্কফোর্স প্রধান H এর সাথে কানেক্ট করে দেয় রাফিকে।
রাফি – রিপোর্ট পেয়েছেন?
H – জ্বী পেয়েছি।
রাফি – ব্রিফিং এর আগে একটা জিনিস মাথায় ঢুকিয়ে নেন, টাকা আমি ফেরত এনে দেবো, ক্রেডিট আপনারাই পাবেন। বিনিময়ে সকল অপরাধীর সাজা হতে হবে এবং সেটা NSA এর বর্তমান ডাইরেক্টর সহ, প্রমানের নথিপত্র নষ্ট ও টেম্পার করার অপরাধে। এর যেন কোন নড়চড় না হয়।
H – দেখুন আমাদের রিপোর্ট গড়মিল হতো না যদি ওই একাউন্টে টাকাগুলো থাকতো। আপনার দেয়া ইনভেস্টিগেশন রিপোর্ট জমা দেয়ার পর ওই টাকাগুলো আবারো ছোট ছোট ভাগে ভাগ হয়ে মুভ করা শুরু করে যা ধরা একপ্রকার অসম্ভব হয়ে যায়।
রাফি – এখন একাউন্ট ফ্রীজ করা আছে। অপরাধীদের সাজার ব্যবস্থা করলে টাকাগুলো আবার ফিরে আসবে। তাই রিপোর্টা সুন্দরভাবে উপস্থাপন করে আমাকে নির্দোষ প্রমান করুন আর নিজেদের প্রোমোশন বুঝে নিন।
রাফি আর কোন কথা না শুনেই ফোনটা কেটে দিলো।
২ ঘন্টা পর,
প্রেস রিলিজে টাস্কফোর্স কতৃক সকল প্রমাণপত্র উপস্থাপন এবং বর্তমানে কারেন্সি কোথায় আছে তার বিশ্লেশন করে দেয়া হয়। কারা কারা অপরাধী এবং কাদেরকে ভিকটিম করা হয়েছে তার বিশ্লেষণ করে দেয়া হয় সেখানে।
রাফি কিছুটা স্বস্তি পায়। এবার রাফি তার নিজের কেস নিজে লড়ার ক্ষমতা অর্জন করেছে।
রাফির মনে পড়ে রকিবের কথা। “ওহহো রকিবকে ফোন দেয়ার কথা” জিভ কামড়ে ধরে রাফি।
রাফি – পিকাচু, রকিবকে কন্ট্যাক্ট করো।
পিকাচু – communicating………
.
গঠনমূলক মন্তব্য করলে এই অসুস্থতাও লেখার জোস পাই। আপনাদের উৎসাহই আমার প্রেরনা।

9 মন্তব্য

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে