Monday, October 6, 2025







বাড়ি"ধারাবাহিক গল্প"হৃদয় আকাশে প্রমবর্ষণহৃদয় আকাশে প্রেমবর্ষণ পর্ব-০৯

হৃদয় আকাশে প্রেমবর্ষণ পর্ব-০৯

#হৃদয়_আকাশে_প্রেমবর্ষণ
#লেখনীতে-শ্রাবণী_সারা
#পর্ব-৯

কিছুক্ষণ আগে নিশান পরিবার সহ হৃদিতাদের বাড়িতে এসেছে। নিশান ও তার বাবা মা হৃদিতার বাবা মা ভাইয়া ও হৃদিতার ফুপির ছেলে শাফিন একত্রে বসে বিয়ে নিয়ে আলাপ আলোচনা করলেন। তারা আসার পর থেকে রিয়াদের আচরণ স্বাভাবিক দেখে নিশান স্বস্থির নিশ্বাস ফেললো। সবাই আরো কিছু কথা বললো অতঃপর হৃদিতাকে ডেকে পাঠালো তাদের সামনে আসার জন্য। একটুপরেই তোহা হৃদিতাকে নিয়ে এলো। শাহানা খান হৃদিতার হাত ধরে নিজের পাশে বসালেন। হেসে বললেন,

আমার মনের আশা পূরণ হতে চলেছে অবশেষ হৃদিতা মাকে আমার ছেলের বউ করে ঘরে তুলবো।

তার কথা শুনে উপস্থিত সকলের মুখে হাসি ফুটলো। হৃদিতা কোনো প্রতিক্রিয়া করলো না। সে মাথা নিচু করে চুপ করেই বসে রইলো। এরই মাঝে রুপ দৌড়ে গিয়ে নিশানের গা ঘেষে বসে বললো,

ভাইয়া তুমি কি আমার আপুকে একেবারে নিয়ে যাবে? ভাবী বললো তুমি আপুকে নিয়ে গেলে আর আসতে দেবে না।

নিশান মুচকি হেসে নিচু গলায় বললো,
হ্যা ভাবী তো ঠিকই বলেছে তোমার আপুকে একেবারেই নিয়ে যাব। তুমিও কি যেতে চাও আপুর সাথে?

মা যেতে দেবে না তো।

শাফিন নিশানের পাশ থেকে বললো,
তোকে আমরা রিশানের বউ করে নিয়ে যাব তাহলে তো যেতে দেবে।

শাফিনের কথা শোনামাত্র রুপ তেলে বেগুনে জ্বলে উঠলো। রিশানের দিকে কটমটে চোখে তাকালো। রিশান নড়েচড়ে বসলো রুপের তাকানো দেখে সে তো কিছুই করেনি তাহলে রুপ এভাবে কেনো তাকালো! রুপ ঝাজালো কন্ঠে জোরে বললো,

তোমরাও ওই দুষ্টু ছেলেটার দলে তাইনা আমি কখনোই ওর বউ হবো না।

সকলেই হকচকিয়ে উঠলো রুপের কথা শুনে। রুপের কথার অর্থ কেবল শাফিন ও নিশানই জানে। রিয়াদ রুপের গালে হাত দিয়ে আদুরে স্বরে জিজ্ঞেস করলো,

কি হয়েছে রুপ কে কি বলেছে তোমাকে?

রুপ কিছু বলার আগে শাফিনই বলে দিলো। উপস্থিত সকলেই হেসে উঠলো সবটা শুনে। হাসলো না শুধু রিশান তার মনে যে অন্য আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। রুপ কেনো তাকে দেখতে পারেনা?একদিন না হয় মজা করে বিয়ের কথা বলেছিলো তাই বলে রুপের কাছে এতটা অপছন্দের পাত্র হয়ে গেলো সে!

কিছুক্ষণ আগে মেহমানরা চলে গিয়েছে। শাহানা খান নিজ হাতে তার হবু পূত্রবধুকে আংটি পড়িয়ে গিয়েছেন। এবং ওদের বিয়ে ঠিক করা হয়েছে আজ থেকে ১৫ দিন পর।
হৃদিতা রুমে এসে ভাড়ী ড্রেস চেঞ্জ করে সুতি সালোয়ার কামিজ পড়ে নিলো। তারপর বেডে আধশোয়া হয়ে বসে আংটি আর ব্রেসলেটের দিকে চোখ বুলাতে লাগলো। সবকিছু এখনো সপ্ন মনে হচ্ছে যেনো। রিয়াদ যে এত সহজে মেনে যাবে সেটা কখনোই ভাবেনি হৃদিতা। দরজায় খটখট আওয়াজ হতে হৃদিতা নড়ে উঠলো। ঠিক করে বসে বললো দরজা খোলা আছে। দরজা ঠেলে রিয়াদকে রুমে ঢুকতে দেখে হৃদিতা কিছুটা অবাক হলো। ভাইয়া হঠাৎ রুমে এলো কেনো কি বলবে আবার! রিয়াদ হৃদিতার পাশে এসে বসলো মৃদু স্বরে বললো,

তুই খুশি তো বোন?

হৃদিতা বিষ্ময় নিয়ে চাইলো ভাইয়ার দিকে। হৃদিতা ছোট বেলা থেকে দেখে এসেছে ভাইয়ার যখন কোনো কারনে মন খারাপ থাকে তখন সে হৃদিতাকে বোন বলে। তবে কি ভাইয়ার মন খারাপ? হৃদিতার এইকদিনে করা আচরণে ভাইয়া কষ্ট পেয়েছে কি? হৃদিতার কান্না পেয়ে গেলো নিজেকে তুচ্ছ মনে হলো ভাইয়ার আদরের কাছে। বোনের চোখে পানি জমতে দেখে রিয়াদ ঘাবড়ে গেলো। হাতের বৃদ্ধাঙ্গুল দিয়ে বোনের চোখের পানি মুছে বললো,

হৃদি কাঁদছিস কেনো! আমি তো শুধু জানতে চেয়েছি আমার মত পরিবর্তনে তুই খুশি হয়েছিস কিনা।

হৃদিতা ভাইয়ার কথার উত্তর না দিয়ে কাঁন্না মিশ্রিত কন্ঠে বললো,
আমার করা আচরণে তুমি কষ্ট পেয়েছো তাইনা। আমি ভুল করেছি আমাকে ক্ষমা করে দাও ভাইয়া।

রিয়াদ হেসে বোনকে একহাতে আগলে নিয়ে বললো,
এই পাগলি ক্ষমা কেনো চাইছিস,তুই কেনো ভুল করিসনি। ভাই বোনের মধ্যে মান অভিমান হতেই পারে এতে কষ্টের কিছু নেই। আমার তো মন খারাপ ছিলো তোকে বুঝতে পারিনি বলে। তবে এখন ঠিকআছে আমার বোনের মন ভালো তো আমারো মন ভালো।
.

তিনদিন পর বিয়ে দু বাড়িতে চলছে বিয়ের তোরজোড়। আংটি পড়িয়ে যাওয়ার পর নিশান হৃদিতার আর দেখা হয়নি। ইদানীং নিশানের অফিসে কাজের চাপ খুব বেড়েছে যার জন্য আরো সময় হয়ে ওঠে না। এ কদিনে নিশান ও হৃদিতার প্রেমময় আলাপ চলেছে ফোন কলের মাধ্যমে।
হৃদিতারদের বাড়িটা ইতোমধ্যে লাইটিং করা শেষ। হলুদের প্যান্ডেল করবে ছাদে আর বিয়ের অনুষ্ঠান হবে কমিউনিটি সেন্টারে।

নিশান অফিস থেকে গাড়ি নিয়ে হৃদিতাদের বাড়ির সামনে এসে দাড়ালো। রাত ৯:৩৩ বাজে তখন। সে গাড়িতে বসে হৃদিতাদের পুরো বাড়িটা পরখ করে মুচকি হাসলো। এ আয়োজন যে হৃদিতা ও তাকে ঘিরেই। নিশান হৃদিতাকে কল দিলো। একবার দুবার তিনবার কল দিয়েও কোনো রেসপন্স পেলো না। মেয়েটা ফোন রেখে কোথায় আছে কে জানে। নিশান তোহার নাম্বারে কল দিলো। দুদিন আগে হৃদিতার থেকে তোহার নাম্বার নিয়েছিলো যদি কোনো প্রয়োজন হয় ভেবে। তিনবার রিং হতে তোহা ফোন রিসিভ করে সালাম দিলো। নিশান সালামের উত্তর নিয়ে বললো,

কেমন আছেন ভাবী? হৃদি কোথায় ওকে ফোনটা দেওয়া যাবে?

তোহা ভ্রু কুঁচকে সেকেন্ডদুয়েক চুপ থেকে বুঝে নিলো ফোনের ওপাশের ব্যাক্তিটি নিশান। তোহা ঠাট্টার সুরে বললো,

আমি তো ভালোই আছি। তবে আমার ননদের হবু বরটা হয়ত ভালো নেই তার হবু বউকে ফোনে না পেয়ে তাইনা?

নিশান মৃদু স্বরে বললো,
তেমন কিছু নয় আসলে….

থাক ভাইয়া আসলে নকলে আমি শুনবো না। হৃদি আমার কাছেই আছে নিন কথা বলুন।

হৃদিতা তোহার রুমেই ছিলো। তোহা মিটিমিটি হেসে হৃদিতার হাতে ফোন দিলো। ভাবীর হাসি দেখে খানিক লজ্জা পেলো হৃদিতা। ফোনটা হাতে নিয়ে বেলকনিতে এসে ফোন কানে তুলে হ্যালো বলতে ওপাশ থেকে নিশান বললো,

তোমার ফোন কোথায় হৃদি? কখন থেকে কল দিচ্ছি ফোনটা তো নিজের সাথে রাখতে পারো।

ফোন রুমে চার্জে রেখে এসেছি। আপনি তো এসময় ব্যস্ত থাকেন ভাবিনি এখন কল করতে পারেন।

হুমম বুঝলাম। তো ম্যাম ৫ মিনিটের জন্য নিচে আসতে পারবে প্লিজ। আবার ছাদে যেতে বলো না যেনো!

বলবো না ছাদে আসতে। কিন্তু এখন নিচে কেনো আসবো?

কেনো আসবে মানে আমার সাথে দেখা করতে আসবে। কতদিন আমাদের দেখা হয়নি বলোতো।

আসতেই হবে?

নিশান অভিমানি স্বরে বললো,
আসতে হবে না তোমায় আমি চলে যাচ্ছি।

এই না না যাবেন না আসছি আমি।

হৃদিতা ফোন কেটে রুমে এসে তোহার হাতে ফোনটা দিয়ে কিছু বলতে নিলে তোহা নিজেই বললো,
নিচে যেতে হবে তো চলো আমি ব্যবস্থা করছি।

ভাবী তুমি বুঝলে কি ভাবে!

যেভাবে জোরে জোরে কথা বলছিলে আমি রুম থেকে শুনেছি। চলো এবার। আর শোনো এবার কোনো গিফট পেলে লুকিয়ো না যেনো।

হৃদিতা হাসলো ভাবী যে ব্রেসলেট লুকানোর কথা বলেছে বেশ বুঝতে পারছে।

নিশান ও হৃদিতা সামনা সামনি দাড়িয়ে আছে। টুকটাক কথাও হচ্ছে দুজনের মাঝে। নিশানের ফোন বেজে উঠতে পকেট থেকে ফোন বের করে দেখলো শাফিন কল করেছে। নিশান রিসিভ করে ফোন কানে ধরে কিছু বলার আগে ওপাশ থেকেই কিছু বললো। যা শুনে নিশানের পৃথিবী থমকে গেলো। হাত পা কাঁপতে শুরু করেছে ইতোমধ্যে। ফোনটা ধপাস করে পড়ে গেলো রাস্তায়। সে কাঁন্নারত কন্ঠে মৃদু আওয়াজে বললো,
আমার মায়ের কিছু হবে না কিচ্ছু না।

হৃদিতা নিশানের এমন অবস্থা দেখে ঘাবড়ে গেলো। নিশান এমন করছে কেনো কি হয়েছে শাহানা আন্টির?

হৃদিতা নিশানের হাতে স্পর্শ করে জিজ্ঞেস করলো,
আপনি এত অস্থির হচ্ছেন কেনো আন্টির কি হয়েছে? নিশান কিছু বলতে চেয়েও পারলো না গলাটা কাপছে ভীষণ। সে হৃদিতাকে কিছু না বলে গাড়িতে উঠে বসলো। তাকে এক্ষুণি মায়ের কাছে যেতে হবে। হৃদিতা বুঝতে পারলো নিশানের মায়ের সিরিয়াস কিছু হয়েছে। নিশানকে এ অবস্থায় একা ছাড়াটা ঠিক হবে না তার সাথে যেতে হবে। হৃদিতা দ্রুত নিশানের পাশে উঠে বসলো। ততক্ষণে নিশান গাড়ি স্টার্ট দিয়ে দিয়েছে।
.

সময় এবং দুর্ঘটনা কোনোটাই মানুষের হাতে থাকে না। মানুষ চাইলেও চলে যাওয়া সময় ফেরাতে ও দুর্ঘটনা এড়াতে পারে না।
খান বাড়িতে ছেলের বিয়ে উপলক্ষে চলছিলো নানা আনন্দ আয়োজন। বাড়ি সাজানো, আত্নীয়-স্বজন আসা,গায়ে হলুদ,নাচগান,বিয়ে বধূবরণ ও বউভাত সবকিছুতে অন্যরকম আনন্দের আভাস থাকে। এসবের জন্য খান বাড়ির প্রতিটি মেম্বার নানান আয়োজনে নিজেদেরকে ব্যস্ত রেখেছিলো। তবে এ বিয়ে নিয়ে সবথেকে বেশি খুশি দেখাচ্ছিলো শাহানা খানকে। বড় ছেলের জন্য যে এবার তিনি যোগ্য বউ পছন্দ করেছেন। তার সংসারটা পরিপূর্ণ হবে সে আশা মনে রেখে সব দিকই লক্ষ্য রেখেছেন তিনি। কিন্তু কে জানতো এক দমকা হাওয়া এসে সকল আয়োজন লন্ডভন্ড করে দেবে। হঠাৎই বিয়ে বাড়িতে নেমে আসবে শোকের ছায়া। হাসির বদলে কাঁন্না আহাজারি ছড়িয়ে পড়বে পুরো বাড়িতে। সামান্য একটু ভুলের কারনে ঘটে যাবে বড় দুর্ঘটনা। আর সেই দুর্ঘটনার কবলে পড়বেন এ বাড়ির কর্তী শাহানা খান।
গ্যাস সিলিন্ডার বিষ্ফোরণ করে তিনি এমুহূর্তে মৃত্যুর মুখে। শাহানা খান কিচেনে একাই ছিলেন তখন। তার আবার যখন তখন চা খাওয়ার অভ্যাস সেজন্য সে চা করতে এসেছিলেন। চুলায় পানি বসানোর আগে তার নাকে কেমন একটা গন্ধ আসছিলো। সে এদিক ওদিকে দেখে গ্যাস সিলিন্ডারের দিকেও একবার উকি দিয়েছেন। গন্ধটা যে গ্যাসের তা সে বুঝতে পেরেছিলো সে ভেবেছিলো সিলিন্ডারটা আজ নতুন সেট করা হয়েছে হয়ত এজন্য এমন গন্ধ ছড়িয়েছে। কিন্তু তখন তার একবারও মাথায় এলো না গ্যাস লিক করতে পারে। ব্যাস তারপর চুলা অন করতেই হলো বিষ্ফোরণ। শাহানা খান গায়ে আগুন লাগা অবস্থায় আর্তনাদ করে ছিটকে গিয়ে পড়লেন দরজার পাশে। তারপর বাড়ির লোকেরা তাকে কোনোভাবে বের করে দ্রুত নিয়ে যায় হাসপাতালে।
এ দুর্ঘটনার পরে শাহানা খান কি পারবেন সুস্থ হয়ে ফিরে আসতে? ছেলের বউকে বরণ করে ঘরে তোলার সৌভাগ্য হবে তো তার?
.

হাসপাতালের করিডোর জুরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছেন শাহানা খানের আপনজনেরা। ডাক্তার তাকে প্রয়োজনীয় সকল চিকিৎসা দিয়ে বার্ন ইউনিটের আই সি ইউতে সিফট করেছেন। শাহানা খানের অবস্থা খুব বেশি ভালো না শরীরের প্রায় ৮০ ভাগই পুড়ে গিয়েছে তার। এখন অবদি জ্ঞান ও ফেরেনি। ডাক্তার বলেছেন তারা যতটা সম্ভব চেষ্টা করেছেন বাকিটা আল্লাহর হাতে। জ্ঞান ফেরা অবদি অপেক্ষায় থাকতে হবে।

রেজাউল সাহেব হাসপাতালের নামাজ পড়ার রুমে জায়নামাজে বসে আল্লাহর দরবারে দোয়া করছেন তার স্ত্রীর জন্য। স্ত্রীকে তিনি খুব ভালোবাসেন। নিজের পরিবারের কথা না শুনে সব ছেড়ে আজ থেকে ২৯ বছর আগে আয়মান খানের হাত ধরে শাহানা খান বেড়িয়ে এসেছিলেন নতুন জীবন গড়তে। তারপর থেকে বিনা অভিযোগে এতবছর সংসার করে এসেছেন তারা। আজ যদি শাহানা খানের কিছু হয়ে যায় আয়মান খান খুবই ভেঙে পড়বে। নিজের স্ত্রীকে ছাড়া কি করে থাকবে সে?

নিশান আই সি ইউ এর দরজার পাশে মেঝেতে হাটু গেড়ে থম মেরে বসে আছে। তার চারিপাশটা কেমন ফাকা ফাকা লাগছে মনে হচ্ছে মাকে সে কতদিন দেখেনি। বুকটা ফেটে যাচ্ছে কিন্তু চিৎকার করে কাঁদতে পারছে না। ছেলেদের যে কাঁন্না মানায় না। সে মনে মনে অনবরত একটা কথাই বলছে, আল্লাহ আমার মাকে তুমি সুস্থ করে দাও।
এদিকে রিশান কিছুক্ষণ পরপরই মায়ের জন্য কেঁদে উঠছে। তাকে সামলাচ্ছে শাফিন ও রিয়াদ। মায়ের ওমন করুন অবস্থা যে সে নিজে চোখে দেখেছে। সে কেঁদে কেঁদে সবাইকে জিজ্ঞেস করছে,আমার মা বাচবে তো?

হৃদিতা ধীর পায়ে নিশানের পাশে গিয়ে বসলো। নিশানকে কি বলে শান্তনা দেবে ভেবে পেলো না শুধু নিরবে নিশানের হাত আকড়ে ধরলো। নিশান তাকালো হৃদিতার দিকে তার চোখজোড়া ভীষণ লাল হয়ে আছে। নিশান হুট করে হৃদিতাকে জড়িয়ে ধরে ডুকরে কেঁদে উঠলো। নিজেকে যে আর সামলাতে পারছে না সে।

#চলবে……

গল্প পোকা
গল্প পোকাhttps://golpopoka.com
গল্পপোকা ডট কম -এ আপনাকে স্বাগতম......
RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments

Md masrur Hasan mahi على অবুঝ_বউ পার্ট: ৫
আমিনুল ইসলাম على প্রয়োজন পর্ব: ৩০ ( অন্তিম)
সাজিবুল ইসলাম على ধর্ষিতাবউ২ ৯ তথা শেষ পর্ব
শাহিদুল ইসলাম على জীবন সঙ্গী ১ম পার্ট
শাহিদুল ইসলাম على জীবন সঙ্গী ১ম পার্ট
Nita Sarkar على স্বপ্নীল ৬৮
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على রহস্য শেষ_পর্ব
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على অলক্ষ্যে তুমি পর্ব-০৬ এবং শেষ পর্ব
Nazmun Nahar Akhi على Psycho_is_back? part_7
Nazmun Nahar Akhi على Dangerous_Villian_Lover part 2
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على জানালার ওপারে পর্ব-১৭ এবং শেষ পর্ব
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على লীলা বোর্ডিং ১২১৫ পর্ব-১১ এবং শেষ পর্ব
মিজানুর রহমান রাহুল على সেই তুমি পর্ব-০১
@feelings على প্রহেলিকা
Anamika Basu على সে পর্ব-১২
Anamika Basu على সে পর্ব-১২
Nusrat jahan على coffee & vanilla Part-10
Pallabi Roy على স্বপ্নীল ৬৮
M.D Mahabub على The_Villain_Lover Part_2
Labani sarkar على Dangerous_Villain_Lover part 23
MD Akas Apc على বিবেক
Tanisha Ahmed على Devil love part-18 
Aius Barmon shorob على নারীর দেহকে নয়
Chandan roy على স্বপ্নীল ৬৮
Chandan roy على স্বপ্নীল ৬৮
Riya Biswas على তুমি রবে ৬০
Priya Banerjee على devil love married life last part
Riya Biswas على তুমি রবে ৬০
Riya Biswas على তুমি রবে ৫২
Mohammad Adib على তুমি রবে ৬০
Avni Ayesha على তুমি রবে ২৮
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
সুমিত على তুমি রবে ২৮
TANJIBA ZENIFAR على তুমি রবে ৫০
TANJIBA ZENIFAR على তুমি রবে ৫০
Samiah Begum على তুমি রবে ৫১
biddut das rocky على নর নারী
গল্প পোকা على নষ্ট গলি শেষ পর্ব
Md Jobayer Hossain Shohag على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
গল্প পোকা على দুই অলসের সংসার
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤৪২.
A.J.S Rakib على মন ফড়িং ❤৪২.
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
Samiya noor على গল্পঃ ভয়
Sadikul على গল্পঃ ভয়
Samia Islam على গল্পঃ ভয়
শূন্য মায়া على মন ফড়িং ❤ ৪০.
Sutapa biswas على মন ফড়িং ❤৩৯.
Foysal Mahmud على My_Mafia_Boss_Husband Part: 16
sutapa biswas على মন ফড়িং ❤ ৩৮.
sutapa biswas على মন ফড়িং ❤ ৩৭
Foysal Mahmud على My_Mafia_Boss_Husband Part: 16
Siyam على বিবেক
Sudipto Guchhait على My_Mafia_Boss পর্ব-৯
saptami karmakar على devil love married life last part
saptami karmakar على devil love married life last part
মায়া على মন ফড়িং ৩০.
মায়া على মন ফড়িং ৩০.
মায়া على মন ফড়িং ২৬.
Shreyashi Dutta على  বিয়ে part 1
Sandipan Biswas على  বিয়ে part 1
Paramita Bhattacharyya على অনুরাগ শেষ পর্ব
জামিয়া পারভীন তানি على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
মায়া على মন ফড়িং  ২২
সুরিয়া মিম على খেলাঘর /পর্ব-৪২
গল্প পোকা على মন ফড়িং ২১
গল্প পোকা على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
Sahin ssb على মন ফড়িং ২১
মায়া على মন ফড়িং ২১
মায়া على মন ফড়িং ❤ ২০.
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤ ২০.
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৮. 
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৭.
Jannatul Ferdous على খেলাঘর পর্ব-৩৫
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤ ১৬. 
গল্প পোকা على ফাল্গুনের_ফুল last_part_8
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৬. 
গল্প পোকা على ছাত্রী যখন বউ পাঠঃ ১
গল্প পোকা على বাজির প্রেম পাঠঃ ১
Foujia Khanom Parsha على মা… ?
HM Ashraful Islam على অবুঝ_বউ পার্ট: ৮
HM Ashraful Islam على অবুঝ_বউ পার্ট: ৫
Ibna Al Wadud Shovon على স্বার্থ