হৃদয় আকাশে প্রেমবর্ষণ পর্ব-১২ এবং শেষ পর্ব

0
1012

#হৃদয়_আকাশে_প্রেমবর্ষণ
#লেখনীতে-শ্রাবণী_সারা
#অন্তিম পর্ব

আজ নিশান হৃদিতার বিয়ে। খান বাড়ি আবারো বিয়ের উৎসবে মেতে উঠছে। তবে এত আনন্দের মাঝেও শাহানা খানের না থাকাটা পরিবারের প্রতিটি মানুষই অনুভব করছে। কিন্তু যে চলে গিয়েছে সে তো আর কখনো ফিরে আসবে না। তাকে ভুলেই সামনে এগিয়ে যেতে হবে সবাইকে।
নিশান শেরোয়ানী পড়ে একেবারে বর সেজে নিচে নেমে এলো। ড্রইংরুমে বাকিরা সকলে বরযাত্রীতে যাওয়ার জন্য রেডি হয়ে বসে ছিলো। নিশানকে আসতে দেখে শাফিন বললো,

নিশান আমাদের বোধহয় এখনি বেড়িয়ে যাওয়া দরকার আকাশের অবস্থা ভালো না যেকোনো সময় বৃষ্টি শুরু হবে।

শাফিন নিশানের থেকে ৭ মাসের ছোট হলেও নিশানকে সে নাম ধরেই ডাকে। নিশান এদিক ওদিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলো,

বাবা ও রিশান কোথায়?

বড় চাচ্চু বাইরে আছেন আর রিশান এখনো নিচে আসেনি।

নিশান আবারো কিছু বলতে নিলে রিফা পেছন থেকে বললো,
নিশান ভাইয়া দেখোতো দ্বিতীয় বরটাকে কেমন লাগছে?

নিশান শাফিন পেছনে ঘুরে রিশানকে দেখে হাসলো। রিশানও সেম নিশানের মত পোশাক পড়েছে শুধুমাত্র টোপড়টা নেই। নিশান বললো,

খুব সুন্দর লাগছে আমার ভাইটাকে।

শাফিন মজার সুরে বললো,
এ কি করেছো রিফা! রিশানকে বর সাজাবে আগে বলবে না তাহলে তোহা ভাবীকে বলে দিতাম হৃদিতার সাথে রুপকেও বউ সাজাতে।

রিশান ঠোঁট বাকিয়ে বললো,
ওই গোলমরিচকে আমার বউ করে আনার খুব ইচ্ছে তোমাদের তাইনা? তবে শুনে রাখো ওকে আমি কখনোই বিয়ে করবো না হুম।

রিফা হেসে বললো,
কিন্তু রিশান রুপকে যে আমার ছোট জা হিসেবে বেশ পছন্দ।

রিশান কড়াভাবে কিছু বলার জন্য মুখ খুলতে রিতা এসে বললেন,
হয়েছে ছেলেটাকে আর জ্বালিও না তোমরা। আমাদের রিশান বড় হয়ে নিজের জন্য পাত্রী নিজে খুজে নেবে। আর যদি সেই পাত্রী রুপ হয় তাতেও কোনো সমস্যা নেই।

রিশান গাল ফুলিয়ে বললো,
কাকিমা তুমিও!!

সবাই হেসে উঠলো রিশানের দিকে তাকিয়ে নিশান ও হাসছে। রিশান হনহন করে বেড়িয়ে গেলো বাইরে। রিতা একগ্লাস দুধ নিশানের দিকে এগিয়ে দিয়ে বললেন,

নিশান দুধটুকু খেয়ে তারপর আল্লাহর নাম করে বেড়িয়ে পর বাবা। আজ আপা থাকলে এ কাজটা সেই করতো। আপার হয়ে এ কাজটা নাহয় আমিই করি।

নিশান মলিন মুখে একটু হাসলো। মায়ের জন্য এমুহূর্তে তারও যে মন কেমন করছে। তবে কাকিমাও গত দুইমাসে কম করছে না মায়ের মতই আদর যত্নে রেখেছেন দুইভাইকে। নিশান মৃদু হেসে বললো,

কাকিমা মায়ের পরে তুমি আমাদের আরেক মা। কখনো ভাববে না মা যে কাজ গুলো করতো ওই কাজ গুলো তুমি করছো বলে আমি বা রিশান মন খারাপ করছি। বরং আমরা খুশি হবো এই ভেবে যে আমাদের মায়ের দায়িত্ব পালন করার জন্য কেউ একজন আছে।

রিতা ছলছল চোখে হেসে নিশানের মাথায় হাত বুলিয়ে দোয়া করে দিলেন। সত্যিই তার যে এখন অনেক দায়িত্ব। আপার রেখে যাওয়া সংসারটা ধরে রাখা তার দুইছেলেকে নিজের ছেলে ভেবে আগলে রাখা। এসব যে করতেই হবে। কেনোনা এ পরিবারে আপার অবদান ছিলো সবথেকে বেশি। রিতা যখন বিয়ে হয়ে এসেছিলো কোনোকিছুতে পারদর্শী ছিলো না। শাহানা খানই হাতে ধরে সব শিখিয়েছে তাকে। জা কম বোনের মত জেনেছে সবসময়। শাহানা খানের মৃত্যুতে রিতার মনেও অনেকটা দাগ কেটেছে।
.

লাল টকটকে বেনারসি পড়ে বউ সেজে নিজের রুমে বসে আছে হৃদিতা। বর এসেছে বর এসেছে ধ্বনীটা হৃদিতার কানে পৌছোতের সে আরো জড়োসড়ো হয়ে বসলো। বুকের ভেতরে কেমন টিপটিপ করছে খানিক লজ্জাও লাগছে। আবার মন খারপও হচ্ছে আজকের পর থেকে এ বাড়ি ছেড়ে বাড়ির সবাইকে ছেড়ে অন্য বাড়িতে থাকতে হবে। যদিও ওবাড়ির সকলেই চেনাপরিচিত তারপরও কেনো যেনো ভীতি তৈরি হচ্ছে মনে।

লেহেঙ্গার দুপাশ উঠিয়ে খুব আস্তে আস্তে পা ফেলে রুপ হৃদিতার পাশে এসে দাড়ালো। পার্পেল কালার লেহেঙ্গাতে পরীর মত দেখতে লাগছে তাকে। কিন্তু এখন কথা হলো রুপের মুখটা গোমড়া কেনো! হৃদিতা রুপকে নিজের কাছে বসিয়ে জিজ্ঞেস করলো,

রুপ কি হয়েছে মুখ ফুলিয়ে রেখেছিস কেনো?

রুপ চোখ ছোট ছোট করে বললো,
শাফিন ভাইয়া বলেছে আমাকেও নিয়ে যাবে রিশান ভাইয়ার জন্য।

হৃদিতা ঠোঁট চেপে হেসে বললো,
বললেই হলো নাকি হু তুই না যেতে চাইলে তোকে কেউ জোর করে নিতে পারবে না।

তাহলে রিশান ভাইয়া বর সেজে এসেছে কেনো?

হৃদিতা খানিক চুপ রইলো রিশান বর সেজে এসেছে কথাটা বুঝতে একটু সময় লাগলো তার। পরক্ষণে মনে পড়লো রিফা ভাবী বলেছিলো রিশানকেও নিশানের মত করে সাজিয়ে পাঠাবে। হৃদিতা মুচকি হেসে বললো,

রিশান তো ওর ভাইয়ার সাথে ম্যাচিং করে একই রকম পোশাক পড়েছে। যেমন কাল হলুদে আমি এবং তুই একই ভাবে সেজেছিলাম। বুঝেছিস এখন?

রুপ মাথা নাড়িয়ে হুম বলে লেহেঙ্গার দুইপাশ আগের মত তুলে বেড়িয়ে গেলো। এবার আর আস্তে না দৌড়েই বেড়িয়েছে।

রিশান হৃদিতার রুমের দিকে আসছিলো হৃদিতার সাথে দেখা করার জন্য। রুমের কিছুটা দূর থেকে দেখলো রুপ বের হলো হৃদিতার রুম থেকে। রিশান সেখানেই দাড়িয়ে পড়লো। পলকহীন চেয়ে রইলো রুপের দিকে। ইশশ এত্ত কিউট দেখাচ্ছে কেনো রুপকে!
রুপ রিশানকে দেখে দাড়ালো। রিশানেরও ঘোর কাটলো। হেসে বললো,

রুপ তোকে ভীষণ মিষ্টি লাগছে দেখতে।

রুপ চোখ বড় বড় করে তাকালো রিশানের থেকে এমন কথা হয়ত মোটেও আশা করেনি সে। রিশান ভ্রু কুঁচকালো। রুপ এভাবে তাকিয়ে আছে কেনো? আজ তো তার প্রশংসা করা হলো তাহলে! রুপ বললো,

তুমি আমাকে যতই সুন্দর বলো আমি তোমার বউ হবো না হুহ।

রুপের কথা শুনে রিশানের মুখটা হা হয়ে গেলো। এই মেয়ে বলে কি এসব! রুপকে দেখতে ভালো লাগছে এজন্য রিশান বলেছে মিষ্টি লাগছে দেখতে। আর রুপ ভেবে নিলো তাকে পটানোর জন্য বলেছে! এতটুকু মেয়ের মাথায় এসবও চলে! সাধেই কি রুপকে গোলমরিচ নাম দিয়েছে রিশান। তার মুখের প্রতিটি শব্দেই যেনো ঝাজ বের হয়।
রিশান চোখ পাকিয়ে বললো,

তোকে বউ বানাতে আমার বয়েই গেছে। একটু প্রশংসা করেছি ওমনি ভাব বেড়ে গিয়েছে না। কদিন পরে দেখবি তোর থেকে সুন্দর সুন্দর মেয়েরা আমার পেছনে লাইন দেবে। ধেত তোকে এসব বলে লাভ নেই তুই তো বাচ্চা একটা মেয়ে।

রুপ কি বুঝলো কে জানে ইতোমধ্যে গাল দুটো লাল হয়ে গিয়েছে মনে হচ্ছে রেগে গিয়েছে। ফোস ফোস করে শ্বাস ফেলে বললো,

আমাকে একদম বাচ্চা বলবে না। মা বলেছে আমি বড় হয়ে গিয়েছি তাইতো আমাকে স্কুলে ভর্তি করিয়ে দিয়েছে।

রিশান ফিক করে হেসে ফেললো। তারপর রুপকে পাশ কাটিয়ে চলে গেলো। ওখানে থাকলে কথা বাড়তো। শেষে দেখা যেতো কনে বিদায়ের কাঁন্না হৃদিতা নয় রুপই কাঁন্না করে পুষিয়ে দিয়েছে।
.

একটু আগেই নিশান হৃদিতার বিয়ে সম্পন্ন হলো। এদিকে হৃদিতা এখনি কাঁন্না শুরু করে দিয়েছে। তোহা ওকে হাসানোর জন্য এটা সেটা বলছে তারপরও মেয়েটা থামছে না। তার কেবলই মনে হচ্ছে বাবা মা ভাইয়া ভাবীকে ছেড়ে কি করে থাকবে। তবে সবথেকে বেশি কষ্ট হচ্ছে রুপের জন্য। রুপকে ছেড়ে কখনোও একটা রাতও যে বাইরে কাটায়নি সে। রুপও এসে আপুকে কাঁদতে দেখে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাঁদতে লাগলো।
অবশেষে বিদায়ের ক্ষণ এলো। হৃদিতা কাঁন্নারত অবস্থায় বাবা মা ভাবীর থেকে বিদায় নিচ্ছে। রিয়াদকে দেখতে পেলো পেছনে একা দাড়িয়ে আছে হৃদিতা সেদিকে গেলো। রিয়াদ অন্যদিকে ফিরে থাকায় হৃদিতাকে দেখতে পায়নি। হৃদিতা কাপা কাপা স্বরে ভাইয়া বলে ডাকলো। রিয়াদ ফিরে তাকালো তার চোখজোড়া লাল হয়ে আছে।

ভাইয়া তুমি কেঁদেছো তাইনা?

রিয়াদ হাসার চেষ্টা করে বললো,
কই না তো আমি কাঁদছি না। কিন্তু তুই কেনো কাঁদছিস এত সুন্দর করে সেজেছিস সাজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে তো। শশুরবাড়ি যাওয়ার আগে নিজেকে পেত্নী রুপ দিতে চাইছিস নাকি!

অন্য সময় হলে হৃদিতা ক্ষেপে গিয়ে কথা শোনাতো কিন্তু এখন মোটেও তার সে মুড নেই। ভাইয়া যে কথা ঘুরানোর জন্য এসব বলছে। হৃদিতার কাঁন্না আরো বেড়ে গেলো ভাইকে জাপটে ধরে বললো,

আমি তোমাকে খুব খুব খুব মিস করবো ভাইয়া। আজকের পর থেকে যখন তখন তোমার হাতে খেতে পারবো না। মাঝরাতে রুপকে সাথে নিয়ে বলবো না ভাইয়া আমাকে ও রুপকে আইসক্রিম এনে দাও।

রিয়াদ চোখের পানি আটকাতে পারলো না। বোনদেরকে সব সময় আদর আল্লাদে রাখার চেষ্টা করেছে সে। তাদের আবদারের কোনো কমতি রাখেনি কখনো। হৃদিতা মুখ ফুটে তেমন কিছু না বললেও বোনের প্রয়োজন নিজে থেকেই বুঝে নিতো সে। হৃদিতা বড় হয়েছে তা কখনো মনে করেনি। তার মনে হতো রুপের মতো হৃদিতাও ছোট বোনটিই আছে। অথচ সত্যিই হৃদিতা বড় হয়ে গিয়েছে আজ তার বিয়েও হয়ে গেলো। এই বোনই আজকের পর থেকে অন্য একটা সংসার সামলাবে কত দায়িত্ব পালন করবে।

রিয়াদ নিজেকে স্বাভাবিক করে হৃদিতাকে নিয়ে নিশানের কাছে এলো। বোনের সম্মন্ধে নিশানকে অনেক কিছু বললো। রেজাউল সাহেব ও হুমায়রা বেগম চোখে পানি নিয়ে মেয়েকে তুলে দিলেন নিশানের হাতে। সবশেষে সবারই একই কথা তাদের মেয়ে ও বোনের খেয়াল রাখতে। নিশান সবাইকে আশ্বাস দিলো সে হৃদিতার যথেষ্ট খেয়াল রাখবে। তাছাড়া আজ মা নেই তো কি হয়েছে ওবাড়িতে কাকিমা মানে হৃদিতার ফুপি তো আছে। সেই হৃদিতাকে সামলে নেবে।
.

খান বাড়ির মেইন দরজায় হৃদিতার হাত ধরে নিশান দাড়িয়ে আছে। নিশান হৃদিতার ডান পাশে আর অন্য পাশে রয়েছে রিশান। হৃদিতা রুপকেও নিজের সাথে নিয়ে এসেছে। অনেক কেঁদেছে এজন্য রুপ গাড়িতেই ঘুমিয়ে পড়েছিলো। বাড়িতে পৌছে শাফিন রুপকে কোলে নিয়ে আগেই ভেতরে এসে রুপের ফুপির (রিতার) রুমে শুইয়ে দিয়েছে। আশেপাশে আরো অনেকেই রয়েছে। রিফা প্রেগন্যান্ট থাকায় যেতে পারেনি। সে বাড়িতেই ছিলো। বউ এসে গিয়েছে শুনে মিষ্টি নিয়ে দরজার কাছে এসে দাড়ালো। রিফা মিষ্টি খাওয়াচ্ছে না দেখে রিশান বললো,

ভাবী মিষ্টি এনে দাড়িয়ে কেনো আছো! ভাইয়া হৃদি আপু ওপস নো আপু নয় ভাবী, এদেরকে মিষ্টি খাইয়ে ভেতরে নিয়ে চলো।

রিফা বললো,
মিষ্টি খাওয়ানোর আগে আরো একটা নিয়ম আছে এ বাড়ির নতুন বউকে আগে পায়েস খাওয়ানো হয়। মা পায়েস রান্না করেছে নিয়ে আসছে।

রিফার কথা শুনে হৃদিতার বুকের ভেতরটা মোচড় দিলো। শাহানা আন্টি ঠিক একথাটি শাফিন ভাইয়ার বিয়ের দিন বলেছিলেন। হায়রে ভাগ্যে তখন সে ছোট জা’য়ের ছেলের বউয়ের জন্য পায়েস রান্না করেছিলো। আর আজ সেই ছোট জা তার ছেলের বউয়ের জন্য পায়েস রান্না করেছে।

রিতা পায়েস এনে হাসি মুখে নিশান ও হৃদিতাকে পায়েস খাওয়ালো। তারপর রিফা মিষ্টি খাওয়ালো ওদের সাথে রিশানকেও খাওয়ালো। অতঃপর রিতা নিজের ভাইয়ের মেয়েকে খান বাড়ির বড় ছেলের বউ হিসেবে বরণ করে ঘরে তুললেন।
.

রিফা হৃদিতাকে নিশানের রুমে বসিয়ে দিয়ে গিয়েছে প্রায় ১৫ মিনিট হলো। হৃদিতা পুরো রুমে চোখ বুলালো অনেক রকম ফুল দিয়ে ভীষণ সুন্দর করে বেড ও রুম সাজানো হয়েছে। হৃদিতা বেড থেমে নামলো ভাড়ী বেনারসিটা এখনো পড়ে আছে সে। তবে গহনাগুলো খুলে রেখেছে মুখের মেকাপ ও তুলে ফেলেছে। নিশানের নির্দেশ গহনা মেকাপ না থাকলেও প্রবলেম নেই বেনারসিটা পড়ে থাকতে হবে। হৃদিতা দেয়াল ঘড়িতে সময় দেখলো ১২ টা বেজে ১৩ মিনিট। অন্যদিন হলে এতক্ষণ ঘুমিয়ে যেতো তবে আজ যেনো ঘুমের ঘ ও নেই হৃদিতার চোখে। হৃদিতা ধীর পায়ে বেলকনিতে এসে দাড়ালো বাইরে তুমুল বর্ষণ হচ্ছে। এই অসময়ের এমন বৃষ্টি আসার কারন খুজে পেলো না মেয়েটা।
নিশান রুমে এসে হৃদিতাকে না পেয়ে বেলকনিতে এলো। হৃদিতা সামনে ঘুরে দাড়িয়ে আছে বৃষ্টির পানি এসে গায়ে লাগছে মেয়েটা টের পাচ্ছে না নাকি! নিশান হৃদিতার গা ঘেষে দাড়ালো হৃদিতা বুঝতে পেরেও নড়লো না। নিরবতা ভেঙে নিশান বললো,

হৃদি তুমি আমার হৃদয় আকাশে প্রেমবর্ষণ হয়ে অনেক আগেই নেমেছো। চলোনা আজ ওই আকাশ থেকে নামা বর্ষণে দুজনে ভিজি। হৃদয়ের বর্ষণ ও প্রকৃতির বর্ষণে ভিজে দুজনের প্রেমকে গভীর ভালোবাসাতে পরিণত করি। কি ভিজবে আমার সাথে?

হৃদিতা মুচকি হেসে সায় দিলো অতঃপর নিশানের হাত আকড়ে ধরে দুজনে ছাদের দিকে এগোলো।

সমাপ্ত।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে