Sunday, October 5, 2025







শীতল অনুভবে তুমি পর্ব-১৪

#শীতল অনুভবে তুমি
#লেখনীতে মারিয়া
#পর্ব ১৪

” কুহু দাঁড়া কি করছিস তুই?কুহু!”

ইকরা অনেক ডাকল কিন্তু কুহু থামল না।আদ্র ঠাঁই দাঁড়িয়ে আছে।সে বুঝতে পারল না কুহুতান তাকে কেন রিজেক্ট করলো।তার মানে কি সে এখনো ইশানকেই ভালোবাসে?আদ্র কি করবে ভেবে পায় না।ইহান তার পাশে দাঁড়িয়ে বলল,

” তুই হাল ছাড়িস না আদ্র।তুই পারবি।”

আদ্র মাথা নাঁড়ায়।তারপর সে চলে যায়।ইহান বুঝতে পারল সে কষ্ট পেয়েছে।
এদিকে কুহু বাসায় পৌছে গোসল করে নিল।তারপর বিছানায় বসে মোবাইল স্ক্রল করতে থাকে।তখন’ই তাসনি প্রবেশ করল।

” কি ব্যাপার আপু?আজ তাড়াতাড়িই ফিরে এলে।”

” আরে তুই জানিস না?আজ শুভ নববর্ষ।”

” ওহ্!তাই স্কুল বন্ধ দিয়েছিল?ধ্যাত!তোমাকে না-ও করতে পারলাম না।থাক গে!অনুষ্ঠান হয়েছে নাকি?”

” হুম!”

” এক্টর ভাইয়া এসেছিল?”

আদ্রের কথা আসতেই কুহুর মনে পড়ে যায় একটুক্ষণ আগের কথা।ভাবতেই কেমন যেন লাগল।সে কেন রিজেক্ট করল তা সে নিজেই জানে না।

” কি হলো আপু কোথায় হারিয়ে গেলে?”

কুহু বলল,

” ন,নাহ্!এমনি।”

” আরে বলো না।আদ্র ভাইয়া এসেছিল?”

” হুম!”

” আহ্!কি করলে ওখানে?আচ্ছা শুনেছি ইকরা আপুর রিং সিরেমনি হয়ে গেছে ইহান ভাইয়ার সাথে?”

” হুম!কিন্তু কোত্থেকে শুনলি?”

” আরে আদ্র ভাইয়াই বলল।”

” উনার সাথে তোর আবার কবে দেখা হলো?”

” আজ সকালেই!”

” সকালে?কোথায়?”

” আমি একটু হাটতে গেছিলাম।তখন।”

” ওহ্!”

কুহু কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলল,

” তুই যা তাসনি।আমি একটু ঘুমাবো।”

” এমা!এই টাইমে কিসের ঘুম?”

” আহ্!যা!”

” আচ্ছা!গুড নাইট!থুক্কু গুড আর্লি নুন।”

বলেই তাসনি প্রস্থান করল।কুহু শুয়ে পড়ল।কিন্তু ঘুম নেই চোখে।বার বার আদ্রের ডিসেপয়েন্টেড মুখ টা চোখের সামনে ভাসছে।সে কি ভুল করেছে?কিন্তু সে তো এমন কিছু চায় নি।তাহলে?কি হচ্ছে এসব তার সাথে?কুহু অনেক ঘুমানোর চেষ্টা করল কিন্তু পারছে না।তার এমন কেন মনে হচ্ছে?
____________________

পরদিন…….

ভার্সিটি পৌছেই আদ্রের মুখোমুখি হয় কুহু।কেঁপে উঠে তার মুখশ্রী দেখে।আঁখি দুটি লাল টুকটুকে হয়ে আছে।আদ্র বলল,

” কেমন আছো কুহুতান?”

কুহু কিছু বলল না।পাশ কাটিয়ে যেতে নিলেই আদ্র বলল,

” ইগনোর করছো?”

কুহু এবারো কিছু বলল না।পাশ কাটিয়ে চলে গেল।আদ্র দীর্ঘশ্বাস ফেলল।কেন কুহু এমন করছে তা তার অজানা।কুহু নিজেই জানে না সে এমন কেন করছে।
ভাবনার মাঝে কেউ তার কাঁধে হাত রাখল।পাশ ফিরে দেখে ইকরা।

” ভাইয়া!প্লিজ মন খারাপ করবেন না।সহ্য হচ্ছে না আপনাদের ব্যাপারটা।”

আদ্র ছলছল চোখে হেসে বলল,

” কেন রে?তুইও তো এতদিন এই কাজটাই করে এসেছিস।ইহানকে ইগনোর করেছিলিস।”

” ওটা-তো আপনার বন্ধু মেয়েদের সাথে ডলাডলি করছিল তাই।কিন্তু আপনাকে কেন কুহু ইগনোর করছে বুঝতে পারছিনা।প্লিজ ভাইয়া চোখের পানি গুলো ঝড়াবেন না প্লিজ ভাইয়া।”

” হুম!জানিনা কেন আমায় এমন করছে।তবে আমি জানি তার মাঝে একটু হলেও আমার অস্তিত্ব টা আছে।”

” চেষ্টা চালিয়ে যান ভাইয়া।”

” হুম!”

আদ্র ক্লাসে চলে গেল।কুহু বসে আছে।ভাবনায় বিভোর সে।পাশ থেকে বুশরা বলল,

” আজও আদ্র ভাইয়াকে রিজেক্ট করেছিস?”

কুহু তার দিকে তাকাল কিন্তু কিছু বলল না।নাবিলা বলল,

” কি হয়েছে কুহু এমন করছিস কেন তুই?আদ্র ভাইয়াকে কেন ইগনোর করছিস?উনি তোকে ভালোবাসে তুই বুঝতে পারছিস না?”

কুহু দু’হাত দিয়ে কপাল আর মাথা চেঁপে ধরে বলল,

” উফ!চুপ কর তোরা প্লিজ!আল্লাহ্ এর দোহাই লাগে চুপ কর প্লিজ।”

বুশরা,নাবিলা আর ইকরা চুপ করে গেল।শেষে ইকরা একটা কথা’ই বলল,

” সময় থাকতে গুরুত্ব দে কুহু।হারিয়ে গেলে আফসোস করা ছাড়া কিছুই থাকবে না তোর।”

কুহু কিছু বলল না।ক্লাসে একদমই মন বসছে না।কুহু ভেবে পাচ্ছে না কি করবে।
________________

প্রায় ১ মাস কেটে গেছে।এই কয়দিনে আদ্র অনেক মানানোর চেষ্টা করেছে কুহুকে।কিন্তু বরাবরের মত’ই ইগনোর করেছে কুহু।কিন্তু কুহুর অবস্থা বলা বাহুল্য।এই কয়দিন তার রাত নির্ঘুমই কেটেছে বলা যায়।তার কেন যেন কিছুই ভালো লাগে না।কেন?সে বুঝছে না কিছুই।খাওয়া দাওয়াও হয় না আজকাল।তাসনি ব্যাপারটা খতিয়ে দেখেছে বিষয়টা কিন্তু কিছুই জানতে পারেনি।

আদ্র কুহুকে একটা নির্জন জায়গায় নিয়ে গেল চেপে ধরে।কুহু ছাড়া পেয়ে কর্কশ গলায় বলল,

” কি সমস্যা আপনার?এভাবে নিয়ে এসেছেন কেন আমাকে?”

” কুহুতান!এমন কেন করছো বলো?আজও ইশানকে ভালোবাসো?”

” নাহ্!তার মতো ধোঁকাবাজকে ভালোবাসবো বলে আপনার মনে হয়?”

” তাহলে আমায় কেন ইগনোর করছো?”

” দেখুন আমি পারব না আপনাকে গ্রহণ করতে।”

” কেন পারবে না?”

” আমি জানি না।আমি অন্য কাউকে ভালোবাসি।শুনেছেন আপনি?”

কথাটা শুনে আদ্রর পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গেল।আদ্র বাকরুদ্ধ হয়ে গেল।তার মানে?সে পারলো না তার কুহুতানের মনে জায়গা করে নিতে।সে পারল না?

” দয়া করে আমার পিছু ছেড়ে দিন প্লিজ।”

” ক,কে সে জানতে পারি?”

” কেন জেনে তাকে মারতে যাবেন?”

” আমাকে কি তোমার এমন মনে হয় কুহুতান?”

” আহ্!প্লিজ স্টে এউয়ে ফ্রম মি প্লিজ।”

কুহু চলে গেল।আদ্র মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে আছে।তার আর কোন উপায় নেই কুহুকে যেতে দেখা ছাড়া।রোবটের মতো হেটে হেটে চলে এলো হোস্টেলে।

কুহু বাসায় পৌছে মুখ হাত ধুয়ে নিল।কেন যেন খুব কান্না পাচ্ছে।আপনা-আপনি চোখ বেয়ে পানি পড়ছে।পেছন ফিরতেই তাসনির মুখোমুখি হলো।তাসনি ভ্রু কুঁচকে বলল,

” তুমি কাঁদছো?”

” ন,না তো!”

” আমি জানি তুমি কাঁদছো।কেন কাঁদছো?”

” তাসনি সর!আমায় যেতে দে।”

তাসনি সরে দাঁড়াল।কুহু গিয়ে শুয়ে পড়ল।তাসনি পাশে বসল।

” আপু!আজ আমি না জানা পর্যন্ত তোমায় শান্তি দেব না আমি পণ করে নিয়েছি।বলো কি হয়েছে তোমার?চেহারার হাল এমন কেন?মনে হয় রাতে ঘুমাও না।আজকাল খাওয়া দাওয়াও প্রায় ছেড়ে দিয়েছো।কেন?”

” এমনি খেতে ইচ্ছে হয় না।”

” উহু!শুধু এটুকুই নয়।আদ্র ভাইয়ার ব্যাপারে জিজ্ঞাস করলে তুমি এরিয়ে চলো।এখনো তুমি কাঁদছিলে।আপু বলো!নয়তো আমি তোমাকে বড় আম্মুকে কিছু একটা বলে ফাঁসিয়ে দেব।তোমার আর ইশান ভাইয়ার বিষয়টা ফাঁস করে দেব হুম।”

কুহু লাফিয়ে উঠল।এই মেয়ের বিশ্বাস নেই।অনেক ভাবে কথা বানাতে পারে এ।

” আপু বলো প্লিজ।এতে মনের ভারাক্রান্ত ভাবিটা কমবে।চাপটা কমবে।বলো!”

কুহু ঠোঁট চেপে কিছুক্ষণ বসে রইল।তারপর এক এক করে সব ব্যক্ত করল।তাসনি সব শুনে হা করে তাকিয়ে রইল কিছুক্ষণ।তারপর মুখ কুঁচকে হতবাক ভান টেনে বলল,

” তুমি ভাইয়াকে রিজেক্ট করেছো?কেন আপু?”

” আমি জানিনা।”

” জানো না মানে?ভাইয়া তোমাকে ভালোবাসে আপু।আর তুমি কিনা?আপু কেন করছো এমন বলো-তো?তুমি এখনো ওই কটবেলটা কে ভালোবাসো?”

” নাহ্!”

” তাহলে?কেন রিজেক্ট করছো ভাইয়াকে?”

” আমি জানি না তাসনি।আমি জানি না।আমি তার থেকে এমন কিছু আশা করিনি।কখনোই করিনি রে।”

” তাহলে তুমি কাঁদছো কেন?আদ্র ভাইয়াকে আপন করে নাও।”

” আমি পারব না তাসনি।”

” কেন পারবেনা?তাহলে এভাবে নিজেকে কষ্ট দিয়ে মারবে?দুটি অশান্ত মনকে তুমি নিজেই শান্ত করতে পারো আপু।প্লিজ আপু ভাইয়াকে মেনে নাও।”

কুহু চুপ করে রইল।তাসনি তার হাত ধরে বলল,

” আপু!তুমি হয়তো আদ্র ভাইয়াকে ভালোবাসো।কিন্তু তুমি অনুভূতি গুলো বুঝতে পারছোনা।”

কুহু কিছু বলল না।তাসনি তাকে আবারো একি কথা বলে চলে গেল।
_______________

” ভাইয়া!আম্মু আপনার জন্য দিয়েছে…”

কিছু বলতে গিয়েও থেমে যায় ইকরা।তার আম্মু আদ্রর জন্য মুরগীর মাংস পাঠিয়েছিল ইকরার দিয়ে।রুমের দরজা খুলা ছিল তাই ঢুকে কথাটা বলতে গিয়েও সম্পুর্ণ করতে পারল না।আদ্র কাপড়-চোপড় গুছাচ্ছে।চারদিকে লাগেজের ছড়াছড়ি।

” এ,,এসব কি ভাইয়া?”

” ওহ্ ইকরা?”

” এসব কি?”

” ভালো থাকিস ইকরা।ইহানকে কখনো কষ্ট দিস না।প্লিজ!”

” কিন্তু এসব কেন বলছেন ভাইয়া?”

” কারণ এসব বলার জন্য আর থাকবো না।”

” ম,মানে?”

” চলে যাচ্ছি।”

” চলে যাচ্ছেন মানে?কোথায়?”

” ইউ এস!”

ইকরার হাত থেকে বাটি-টা পড়ে গেল।আদ্র তা দেখে বলল,

” আরে আরে!কি করলি এটা?সব ফেলে দিলি তো?এগুলো তো ইহানকে খাওয়াতে পারতি।”

” ভাইয়া এসব কি বলছেন?চলে যাবেন মানে?কেন যাবেন?আপনি তো পার্মানেন্টলি চলে এসেছেন।তাহলে?”

” এখানে থাকাটা আমার দ্বারা অসম্ভব ইকরা।আমি পারব না কুহুতান এর অবহেলাগুলো নিতে।দূর থেকেই তাকে ভালোবেসে যাবো।তবু সামনে থেকে তার ইগনোর করাটা আমি নিতে পারব না।ওই দূর দেশের বিষাক্ত মুহুর্তগুলোই খুব ভালো কুহুর অবহেলা থেকে।”

ইকরার চোখ বেয়ে পানি গড়িয়ে পড়ল।কান্নামিশ্রিত কন্ঠে বলল,

” প্লিজ ভাইয়া!এমন করবেন না।প্লিজ ভাইয়া যাবেন না।এভাবে কাউকে না বলে আপনি কাউকে না বলে যেতে পারেন না ভাইয়া।প্লিজ!”

আদ্র ভাঙা গলায় বলল,

” আ’ম সরি ইকরা!আ..আ’ম সো সরি।”

বলেই লাগেজ নিয়ে বেরিয়ে পড়ল।ইকরা অনেক আটকানোর চেষ্টা করলো।কিন্তু সে কারে উঠে পড়ল।ইকরা হতভম্ব হয়ে ছলছল নয়নে কিছুক্ষণ চেয়ে রইল।তারপর কিছু মাথায় আসতেই দ্রুত দৌড় লাগাল কুহুর বাসার উদ্দেশ্যে।
জানালার পাশে বিছানায় বসে বাহিরে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে কুহু।দৃষ্টি তার শূন্য।
কলিং বেল বাজল।তাসনি দরজা খুলে দিতেই ইকরা হন্তদন্ত হয়ে প্রবেশ করল।তাসনি অবাক হয়ে বলল,

” ইকরা আপু তুমি এই সময়?”

” তাসনি!কুহু কোথায়?”

” আছে তো কিন্তু কেন?”

” আমার সাথে চলো!”

ইকরা কুহুর রুমের দিকে ছুটে গেল।এভাবে ইকরাকে রুমে প্রবেশ করতে দেখে কুহু খানিকটা ভড়কে গেল।

” ক,কি হয়েছে?” কুহু বলল।

ইকরা ছল ছল চোখে ভাঙা গলায় বলল,

” অনেক কিছু হয়ে গেছে রে কুহু।”

” কি হয়েছে?”

” আদ্র ভাইয়া!”

কুহু লাফিয়ে উঠল।

” কি হয়েছে আদ্রের?”

” আদ্র ভাইয়া নেই।চলে গেছে।”

” চলে গেছে মানে?”

” হ্যাঁ!ইউ এস চলে যাচ্ছে।যা আটকা ভাইয়াকে।একমাত্র তুইই পারবি রে।”

” হোয়াট!হ্যাঁ আপু!যাও প্লিজ যাও!”

কুহু দ্রুত ওড়না টা নিয়ে ছুটে গেল।সবাই নিজেদের রুমে।তাই এসবের খেয়াল নেই তাদের।
কুহু প্রাণপনে ছুটছে।কেন যেন মনে হচ্ছে বড় কিছু তার থেকে হারিয়ে যাচ্ছে।পেছন থেকে তাসনি আর ইকরা চিল্লাচ্ছে,

” কুহু দাঁড়া!”

” ইকরা আপু একটা গাড়ী নাও।” তাসনি বলল।

ইকরা একটা সি এন জি নিল।তারপর কুহুর দিকে গেল।কুহুকে উঠতে বলল কিন্তু তার হুশ নেই।সে প্রাণপণে দৌড়াচ্ছে।উপায় না পেয়ে গাড়ি থেকে নেমে তাকে জোর করে টেনে তুলল ইকরা।

এয়ারপোর্টে দাঁড়িয়ে আছে আদ্র।ঢুকবে কি ঢুকবে না ভাবছে।সে-কি একটু অপেক্ষা করবে তার কুহুতানের জন্য?যদি সে তাকে এসে আটকায়?

নিজের ভাবনায় নিজেই হাসল আদ্র।কি আশা করছে সে?,আর কার থেকেই বা আশা করছে।তবু একবার পেছন ফিরে দেখল।বরাবরই ডিসেপয়েন্টেড সে।দীর্ঘশ্বাস ফেলল আদ্র।তারপর লাগেজ আর ব্যাগ প্যাক উঠিয়ে ঢুকে গেল।কিন্তু হঠাৎ তার কর্ণকুহরে পৌছাল কুহুতানের চিৎকার।সে ডাকছে,

” আদ্র!”

কিন্তু সে জানে।এটা তার আশা মাত্র।তার ইচ্ছা।হাসল আদ্র।তারপর ঢুকে গেল।কিন্তু সে জানতো না যে এটা তার ভুল ছিল না।এটা সত্যিই ছিল।হ্যাঁ!কুহু তাকে ডেকেছে।খুব জোরে ডেকেছে।কিন্তু তার ডাক ব্যার্থ হয়েছে।আদ্র ঢুকার সময়ই সে এসে গেছিল।কিন্তু খুব দেরি হয়ে গেছে।আদ্র তার ডাক শুনলেও শুনেনি।
কুহু কিছুক্ষণ থমকে গেল।তারপর মাটিতে বসে পড়ল।চিৎকার করে কাঁদতে লাগল কুহু।সে পারেনি!হ্যাঁ সে পারেনি।তাকে আটকাতে।ইকরা আর তাসনি তার পাশে বসল।

” বলেছিলাম তোকে।সময় থাকতে গুরুত্ব দে।এখন দেখলি তো!হারিয়ে ফেললি।”

” হ্যাঁ আমি…জানি।আ..আমি অ..নেক বড় ভ..ভুল করেছি।ক.কিন্তু এত বড় স..শাস্তি দিবেন না আমায়..আদ্র।প্লিজ একবার ফিরে আসুন।আমি..আপ..নাকে কখনোই কষ্ট দেব না।ইগনোর কর..ব না আদ্র।আর আপনাকে ভাদ্র বলব না প্লিজ এক..টাবার ফিরে আসুন।প্লিজ..ফিরে আসুন আপ..নার কুহুতানের কাছে।”

ইকরা আর তাসনি ছলছল নয়নে চেয়ে থাকে কুহুর দিকে।আদ্র কি ফিরবে না আর তার কুহুতানের কাছে?

চলবে,,,,,,

গল্প পোকা
গল্প পোকাhttps://golpopoka.com
গল্পপোকা ডট কম -এ আপনাকে স্বাগতম......
RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments

Md masrur Hasan mahi على অবুঝ_বউ পার্ট: ৫
আমিনুল ইসলাম على প্রয়োজন পর্ব: ৩০ ( অন্তিম)
সাজিবুল ইসলাম على ধর্ষিতাবউ২ ৯ তথা শেষ পর্ব
শাহিদুল ইসলাম على জীবন সঙ্গী ১ম পার্ট
শাহিদুল ইসলাম على জীবন সঙ্গী ১ম পার্ট
Nita Sarkar على স্বপ্নীল ৬৮
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على রহস্য শেষ_পর্ব
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على অলক্ষ্যে তুমি পর্ব-০৬ এবং শেষ পর্ব
Nazmun Nahar Akhi على Psycho_is_back? part_7
Nazmun Nahar Akhi على Dangerous_Villian_Lover part 2
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على জানালার ওপারে পর্ব-১৭ এবং শেষ পর্ব
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على লীলা বোর্ডিং ১২১৫ পর্ব-১১ এবং শেষ পর্ব
মিজানুর রহমান রাহুল على সেই তুমি পর্ব-০১
@feelings على প্রহেলিকা
Anamika Basu على সে পর্ব-১২
Anamika Basu على সে পর্ব-১২
Nusrat jahan على coffee & vanilla Part-10
Pallabi Roy على স্বপ্নীল ৬৮
M.D Mahabub على The_Villain_Lover Part_2
Labani sarkar على Dangerous_Villain_Lover part 23
MD Akas Apc على বিবেক
Tanisha Ahmed على Devil love part-18 
Aius Barmon shorob على নারীর দেহকে নয়
Chandan roy على স্বপ্নীল ৬৮
Chandan roy على স্বপ্নীল ৬৮
Riya Biswas على তুমি রবে ৬০
Priya Banerjee على devil love married life last part
Riya Biswas على তুমি রবে ৬০
Riya Biswas على তুমি রবে ৫২
Mohammad Adib على তুমি রবে ৬০
Avni Ayesha على তুমি রবে ২৮
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
সুমিত على তুমি রবে ২৮
TANJIBA ZENIFAR على তুমি রবে ৫০
TANJIBA ZENIFAR على তুমি রবে ৫০
Samiah Begum على তুমি রবে ৫১
biddut das rocky على নর নারী
গল্প পোকা على নষ্ট গলি শেষ পর্ব
Md Jobayer Hossain Shohag على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
গল্প পোকা على দুই অলসের সংসার
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤৪২.
A.J.S Rakib على মন ফড়িং ❤৪২.
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
Samiya noor على গল্পঃ ভয়
Sadikul على গল্পঃ ভয়
Samia Islam على গল্পঃ ভয়
শূন্য মায়া على মন ফড়িং ❤ ৪০.
Sutapa biswas على মন ফড়িং ❤৩৯.
Foysal Mahmud على My_Mafia_Boss_Husband Part: 16
sutapa biswas على মন ফড়িং ❤ ৩৮.
sutapa biswas على মন ফড়িং ❤ ৩৭
Foysal Mahmud على My_Mafia_Boss_Husband Part: 16
Siyam على বিবেক
Sudipto Guchhait على My_Mafia_Boss পর্ব-৯
saptami karmakar على devil love married life last part
saptami karmakar على devil love married life last part
মায়া على মন ফড়িং ৩০.
মায়া على মন ফড়িং ৩০.
মায়া على মন ফড়িং ২৬.
Shreyashi Dutta على  বিয়ে part 1
Sandipan Biswas على  বিয়ে part 1
Paramita Bhattacharyya على অনুরাগ শেষ পর্ব
জামিয়া পারভীন তানি على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
মায়া على মন ফড়িং  ২২
সুরিয়া মিম على খেলাঘর /পর্ব-৪২
গল্প পোকা على মন ফড়িং ২১
গল্প পোকা على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
Sahin ssb على মন ফড়িং ২১
মায়া على মন ফড়িং ২১
মায়া على মন ফড়িং ❤ ২০.
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤ ২০.
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৮. 
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৭.
Jannatul Ferdous على খেলাঘর পর্ব-৩৫
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤ ১৬. 
গল্প পোকা على ফাল্গুনের_ফুল last_part_8
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৬. 
গল্প পোকা على ছাত্রী যখন বউ পাঠঃ ১
গল্প পোকা على বাজির প্রেম পাঠঃ ১
Foujia Khanom Parsha على মা… ?
HM Ashraful Islam على অবুঝ_বউ পার্ট: ৮
HM Ashraful Islam على অবুঝ_বউ পার্ট: ৫
Ibna Al Wadud Shovon على স্বার্থ