#শীতল অনুভবে তুমি
#লেখনীতে মারিয়া
#পর্ব ৭
সামনে এগুতেই একজোড়া জ্বলানো আঁখি দেখতে পেল কুহু।যা তাসনির নজরও এড়ায় নি।সামনে আর কেউ নয় স্বয়ং ইশান দাঁড়িয়ে আছে রক্তচক্ষু নিয়ে।কুহু বরাবরের মতোই তার দৃষ্টি উপেক্ষা করল।এদিকে আদ্র এগিয়ে এসে বলল,
” আরে ইশান তুই?তুই কবে এলি?”
ইশান একটু থেমে জবাব দেয়,
” এখনই!”
” একটু আগে আসলে খেলতে পারতি!”
” হুম..!” কুহুর দিকে তাকিয়ে জবাব দিল ইশান।
এদিকে আদ্র দেখল ইশান কুহুর দিকে তাকিয়ে আছে।তা দেখে সে ভ্রু কুঁচকায়।সে বলে,
” ইশান!ওর দিকে কি দেখছিস?”
আদ্রর কথায় ইশানের হুশ ফেরে।সে নিজেকে সামলে বলল,
” কিছু না এমনি!”
এদিকে কুহু বলে উঠল,
” ভাইয়া!কেমন আছেন?”
কুহুর কথা শুনে ভ্রু কুঁচকে তাকায় ইশান।
” ভালো!”
” ভাবী কেমন আছে?আজকাল তো ভাবীকে দেখাই যায় না।কোথায় ভাবীর সাথে ঘুরাঘুরি করবেন তা-না আপনি এখানে ওখানে ঘুরছেন?ভাবীকে টাইম দিন।”
ইশান এসব শুনে দাঁতে দাঁত চেপে বলল,
” আমি কি করব না করব সেটা আমিই জানি কাউকে এডভাইজ দিতে হবে না।”
” হুম!তবুও আপনার উদাসীনতা দেখেই বললাম।মাইন্ডে নিলে সরি।”
আদ্র এবার বলল,
” তোরা কি একে অপরকে চিনিস?”
ইশান কিছু বলার আগেই কুহু বলল,
” চিনি তো!অবশ্যই চিনি।ইনি আমার এক ভাই হন।”
তার মুখে এসব শুনে ইশানের রীতিমতো গা জ্বলছিল।যেন কুহু তাকে রাগানোর জন্যই এসব বলছে।আদ্র আবার বলল,
” ওহ্!আচ্ছা ঠিক আছে।তাহলে আজকের মতো বিদায়।পারলে আবার এসো।খেলা হবে!”
চোখ টিপ মেরে বলল।কুহু কটমট করে তাকাল।আদ্র যেন চুপসে গেল।তারপর কুহু আর তাসনি হাটা ধরল।আর এদিকে আদ্রও রাহিনদের নিয়ে চলে গেল।ইশান কে নিয়ে যেতে চাইলে সে বলে একটু পর আসছে।তারপর কুহুর পিছু নিল।এদিকে ব্যাপারটা তাসনি বুঝতে পারল।সে ইশানের উদ্দেশ্য টা জানার জন্য মরিয়া হয়ে উঠল।এসব ব্যাপারে তার ইন্টারেস্ট বেশি।তাই সে কুহুকে দোকানে যাওয়ার নাম করে একদিকে গিয়ে লুকিয়ে পড়ল।আর কুহু একটা দোকানের পাশে গাছতলায় দাঁড়িয়ে রইল।আর এদিকে ইশান তাকে একা পেয়ে সুযোগ টা মিস করতে চাইল না।গিয়ে একেবারে তার মুখোমুখি দাঁড়াল।কুহু বেশ চমকে যায় এভাবে দাঁড়ানোতে।
” কি সমস্যা আপনি এখানে কি করছেন?” কুহু বিরক্তি নিয়ে বলে।
” আমার ইচ্ছে হয়েছে তাই এসেছি।” ইশান সোজাসাপটা বলে দিল।
” ঠিক আছে আপনি থাকুন আমি যাচ্ছি!”
বলেই যেতে নিলেই ইশান তার বা হাত টান দিয়ে আগের জায়গায় দাঁড় করিয়ে দেয়।কুহু এতে ভীষণ রেগে যায়।হালকা চেঁচিয়ে বলে,
” কি সমস্যা টা কি হ্যাঁ?”
” খুব তো ওই আদ্রর সাথে ডলাডলি করছিলে দেখছিলাম।ব্যাটিং শিখিয়ে দিচ্ছিল কত্ত আনন্দ!আমি একটু ধরেছি বলে গা জ্বলে যাচ্ছে?” ইশান গলা নামিয়ে বলল।
কুহু চোখ বড় বড় করে ফেলে।কারণ ইশান এসব জানল কি করে?অবশ্য তাদের খেলার সময় ইশানও উপস্থিত ছিল সেখানে।কুহু আর আদ্রকে একসাথে দেখে এক জায়গায় লুকিয়ে তাদের কার্যকলাপ দেখছিল।আর কেন জানি রাগে ফুসছিল।
কুহু এবার ইশান কে ধাক্কা দিয়ে বলল,
” তা-তে আপনার কি?বলুন আপনার কি এতে?খুব তো ছেড়ে দিয়েছেন আমায়!নিজের মর্ডান ওভার স্মার্ট বউয়ের সাথে রোমান্টিক মোমেন্ট কাটাচ্ছিলেন তা-ও আমাকে দেখিয়ে দেখিয়ে।সেসব কি ছিল?আর আপনি এখন আমার কেউ না।শুনেছেন?কেউ না আপনি আমার।সুতরাং আপনার কোন অধিকার নেই আমাকে কোন কাজে বাঁধা দেওয়ার।আমি কি করব না করব সেটা শুধুমাত্র আমি ডিসাইড করব।আপনি এ-তে কেন ইন্টারফেয়ার করছেন?আপনার কাছে নিজের বউ আছে।তার কাছে যান।আমার কেন বার বার হাত ধরছেন?বউ থাকতে পরনারীর হাত ধরতে,তার কোন কাজে বাঁধা দিতে বিবেকে বাঁধে না?”
ইশান অপলক তাকিয়ে থাকে কুহুর দিকে।তবু রিয়েলাইজ করতে পারছে না সে কি করেছে এবং কি করছে।এদিকে তাসনি এসব দেখে কিছুক্ষণ যাবৎ শুধু হেসেছে।তারপর এবার বেরিয়ে এলো।তারপর ইশান কে দেখে এমন ভাব করল যেন তাকে আগে এখানে দেখেই নি।
” আরে ভাইয়া আপনি?আপনি এখানে কি করছেন?আর এভাবে কুহু আপুর সামনে কেন দাঁড়িয়ে আছেন?”
ইশান তাসনির দিকে কটমট করে তাকাল।এই মেয়েটা সুযোগ পেলেই তাকে কথার মাধ্যমে অপমান করে।তাসনি আবার বলল,
” কি?ওমন দাঁত চেপে কি দেখছেন?দাঁত ভেঙে যাবে তো!”
ইশান কিছু না বলে একি জায়গায় খাড়া হয়ে রইল।তাসনি আর কিছু না বলে কুহুর হাত ধরে টেনে নিতে গেলেই ইশান থামিয়ে দেয়।তাসনি তা দেখে ভ্রু কিঞ্চিত কুঁচকিয়ে বিরক্ত হয়ে বলল,
” কি সমস্যা?”
ইশান বলল,
” আমি কুহুর সাথে কথা বলছি।ওকে এভাবে টেনে নিয়ে যাচ্ছো কেন?পরিবার কি এই শিক্ষা দেয় নি যে বড়দের সাথে কেমন ব্যবহার করতে হয়?”
তাসনি কিছু বলার আগেই কুহু জোরে বলে উঠল,
” জাস্ট শাট ইউর মাউথ মি. ইশান!আমার পরিবার নিয়ে কথা তুলার আপনি কে?সাহস কত আমার সামনে রহমান বংশের শিক্ষা নিয়ে কথা তুলছেন?”
ইশান বলল,
” তো বাচ্চা মেয়ে এসব করছে কি করে?শুনো!তুমি যাও!আমার কুহুর সাথে কথা আছে।” তাসনিকে উদ্দেশ্য করে বলল ইশান।
” কেন?আমি যাব কেন?আমার সামনেই বলুন।আমি যাচ্ছি না।”
ইশান বেশ রেগে যায়,
” আমাদের পার্সোনাল কথার মাঝে তুমি কি করবে?”
তাসনি তাচ্ছিল্যের স্বরে বলল,
” লাইক সিরিয়াসলি ইশান ভাইয়া?বউ থাকতে অন্য কোন মেয়ের সাথে পার্সোনাল কথা থাকতে পারে বলে আমার মনে হয় না।বউ থাকতে এভাবে কোন মেয়ের হাত ধরতে লজ্জা করে না?লুজ ক্যারেক্টার কোথাকার!”
বলেই কুহুর হাত ধরে টেনে আনত্ব গেলে আবারো ইশান থামিয়ে দেয়।তাসনি এবার রেগে যায়।
” ছাড়ুন নয়তো আশেপাশের সবার কাছে প্রমাণ করব আপনি কেমন!”
” ঠিক আছে করো!”
” আচ্ছা?ওকে!”
বলেই চিৎকার করতে নিলেই ইশান তার মুখ চেঁপে ধরে।সে ভেবেছিল এমনি তাকে থ্রেট দিচ্ছে।কিন্তু সত্যি চিল্লাবে তা তার ধারণার বাহিরে ছিল।তাসনি এক ঝটকায় ইশানের হাত সরিয়ে কুহুকে টেনে নিয়ে সেখান থেকে চলে গেল।যাওয়ার আগে চোখের ভাষায় বলল,
” আপুর পিছু নিলে ভালো হবে না।”
ইশান দাঁতে দাঁত চেঁপে সেই জায়গা প্রস্থান করে।এ ছাড়া কোন উপায়ও তো নেই।
____________
” একে তো আমার ইচ্ছে করছে নাসায় পাঠিয়ে দিই যাতে একে স্পেসে ছেড়ে দিয়ে আসে আর সে সেখানেই মরে যায়।” তাসনি রাগে গজগজ করতে করতে বলল।
” হয়েছে টা কি বলবি তো।” রুবিনা বলল।
” আরে ওই শয়তানটা আজ আবারো আমার পিছু নিয়েছিল।আর উল্টাপাল্টা বকছিল।” কুহু বলল।
” ওকে একবার উত্তম-মধ্যম দেওয়া উচিত!” রুবিনা বলল।
” বাট হাউ!” তাসনি বলল।
” আই ডোন্ট নো!” রুবিনা হেসে বলল।
” ধ্যাত!” তাসনি বিরক্ত হয়।
” আরে তুই তো আমাদের বুদ্ধির মাস্টার!তুই ভাব!” রুবিনা বলল।
” হুম!”
তারপর কুহু বলে উঠল,
” দরকার নেই এসবের!ও নিজের মতই থাক।কিছুই করতে হবে না।”
তাসনি আর রুবিনা ভ্রু কুঁচকায়।তাসনি বলল,
” তুমি এখনো ওই বাম্বেল টাকে ভালোবাসো?”
কুহু দীর্ঘশ্বাস ফেলে।
” হয়তো বা!”
রুবিনা উঠে কুহুর মাথায় বারি দিয়ে বলল,
” বেশি কথা বলিস না!ও তোকে ছেড়ে দিল আর তুই ওর চিন্তা করছিস?শোন!আর যদি ওর প্রতি সহানুভূতি দেখি তো তোকেই আমি সাইজ করব।”
কুহু কিছু বলে না।
_________________
” ইশানের সাথে তোমার আসল সম্পর্ক কি?”
ভার্সিটির মাঠে বেঞ্চিতে বসে প্রিয় লেখকের উপন্যাস পড়ছিল কুহু।খোলা চুলগুলো মৃদু বাতাসে উড়াউড়ি করছে।উইথ-আউট মেক-আপ তার ফর্সা নিষ্পাপ মুখ খানা অপরুপ লাগছে।ব্যাগটা একপাশে রেখে বইয়ে ডুবে আছে।হঠাৎ কেউ তার পাশে বসে উপরোক্ত কথাটা ছুড়ে দিল।কুহু মাথা তুলে পাশে তাকাল।আদ্র সামনের দিকে তাকিয়ে আছে এক দৃষ্টিতে।কুহু ভ্রু কুঁচকায়।
” ম,মানে?”
আদ্র এবার তার দিকে তাকিয়ে বলল,
” ইশানের সাথে আসলে তোমার সম্পর্ক কি?”
কুহু কি বলবে ভেবে পায় না।আদ্র হঠাৎ এসব কেন বলছে?কুহু ঢোক গিলে বলল,
” আপনি হঠাৎ এসব কেন বলছেন?”
” কাল আমি সবই দেখেছি!”
” ক,কিহ্!”
ফ্ল্যাশব্যাক,,,,,,
আদ্র ইশান কে আসতে বললে সে একটু পর আসছে বলে দাঁড়িয়ে রইল।আদ্রর একটু সন্দেহ হয়।তাই সে বাকিদের বিদায় দিয়ে ইশানের পিছুপিছু যেতে থাকে।তখনই দেখে ইশান কুহুকে আটকে তার সাথে কথা বলছে।আর কুহু
রেগে কথা বলছে।তখন তাসনি এসে কুহুকে নিয়ে যেতে নিলে ইশান তাকে ধরে ফেলে।যা দেখে আদ্রর মনের গহীনে আরো কিছু সন্দেহ উঁকি দেয়।তারপর দেখে তাসনি তার সাথে আরো রেগে কথা বলছে আর চিল্লাতে নিলে তার মুখ চেঁপে ধরেছে।আর তাসনি রেগে কুহুকে নিয়ে চলে যায়।এসব দেখে আদ্র বুঝতে পারল তাদের মধ্যে কিছু চলছে।
” এবার বলবে?কি চলছে তোমাদের মধ্যে?”
” দ,,দেখুন ভাইয়া,,,,এসব আমি আপনাকে বলতে পারব না।” কুহু আমতা আমতা করে বলল।
” বলবে না?ঠিক আছে!”
তারপর আদ্র তার মোবাইল টা বের করল।তারপর কিছুক্ষণ টেপাটেপি করে কিছু একটা কুহুকে দেখাল।কুহু যা দেখে তার চোখ ছানাবড়া হয়ে গেল।কারণ…..!
কারণ কাল যখন কুহু লাফাচ্ছিল তখন আদ্র যে ছবি গুলো তুলেছিল সেগুলাই।যেখানে কুহুর বাচ্চামো প্রকাশ পাচ্ছে।আদ্র বাঁকা হেসে বলল,
” বলবে?নাকি এটা ভাইরাল করে দেব?”
” না না প্লিজ প্লিজ!এমন করবেন না ভাইয়া!প্লিজ!”
” তাহলে বলো সব আমাকে!”
” আ,,,আচ্ছা!আমি বলছি এখান থেকে চলুন।”
তারপর কুহু ব্যাগ আর বইটি নিয়ে সবার থেকে দূরের একটা বেঞ্চিতে গিয়ে বসল।সাথে আদ্রও।এখানে তেমন কেউ নেই।কুহু এক কোণে বসে রইল।
” বলো এবার!”
কুহু সামনে শূণ্য দৃষ্টিতে তাকিয়ে তার আর ইশানের সব ব্যাপারে ব্যক্ত করতে শুরু করে।আর আদ্র এই ফাঁকে তার উপন্যাসের বইটা নিয়ে পড়তে পড়তে কুহুর কথা শ্রবণ করতে থাকে।
কুহু আর ইশানের দেখা হয়েছিল অনার্সের প্রথম দিকে।নতুন ভার্সিটিতে ট্রান্সফার হয়েছিল।তখন ক্লাসে সে তেমন কারো সাথে কথা বলতো না ইকরা ছাড়া।সে তো ক্লাস টেন থেকেই তার ফ্রেন্ড ছিল যা গভীর থেকে গভীরতর হচ্ছে।আর ইকরা কিছুদিনের জন্য না আসলে কুহু একা হয়ে পড়ে
সে কারো সাথে কথা না বলায় কেউ তার সাথে মিশতো না।কিন্তু একটা ছেলে বরাবরই সব সময় তার দিকে লক্ষ্য রাখতো।তার দিকে তাকিয়ে থাকতো।তাকে ফলো করতো।ছেলেটা আর কেউ নয় স্বয়ং ইশান।ইকরা প্রায় ১৫ দিন ভার্সিটি আসে নি তার নানু মারা যাওয়ায় সে অনেক ভেঙে পড়েছিল আর তা নিয়ে অনেক ঝামেলাও হয়েছিল তাই সে অনুপস্থিত ছিল।যার দরুণ কুহুও আসতো,ক্লাস করে,বই পড়ে সময় কাটিয়ে চলে যেতো।একদিন ইশান কুহুর পাশেই বসে পড়ে।কুহু প্রথমে চমকালেও পরে কিছু বলে না।তারপর নিজে গল্পের বই পড়াতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।প্রথম কয়েকটা ক্লাস তাদের মাঝে কোন কথা হয় না।শেষের ক্লাসের সময় ইশান সাহস করে বলে,
” হাই!”
কুহু বইয়ে চোখ রেখে বলল,
” বাই!”
ইশান ভ্রু কুঁচকে বলে,
” হোয়াট!”
” নট!”
” কি বলো না বলো এসব?কিছুই বুঝি না।”
” না বুঝাই শ্রেয়!”
বলেই আবারো পড়ায় মন দিল কুহু।ইশান কিছুক্ষণ পর বলল,
” আচ্ছা তুমি এমন কেন?”
কুহু আবারো একি অবস্থায় বলল,
” কেমন আমি?”
” এই যে!কারো সাথে কথা বলো না,বললেও তিঁতা!”
কুহু চোখ তুলে তাকিয়ে মুখ কুঁচকে বলল,
” তিতা?হোয়াট ডু ইউ ওয়ান্ট টু মিন বাই তিতা?”
” নাথিং!জাস্ট লিসেন!আই ওয়ান্ট ইউ!”
কুহু কিছুই বুঝে না।
” হোয়াট!”
” কিছু না।তো এটিচিউড ওয়ালি!তোমার নাম টা বলা যাবে?”
কুহু বইয়ে চোখ দেয়,
” ভি.আই.পি টিকিট লাগবে।”
” সেটা কি?”
কুহু বইটা ব্যাগে ঢুকিয়ে ব্যাগটা কাঁধে নিয়ে বেঞ্চ থেকে দাঁড়িয়ে শান্ত গলায় ইশানের দিকে ছোট ছোট চোখে তাকিয়ে বলল,
” সেটা নাহয় আপনি নিজেই ইনভেস্ট করে জেনে নিবেন।”
বলেই চলে গেল।আর ইশান ভাবতে থাকে,কি হতে পারে?
চলবে,,,,,,