#শক্তিময়ী
৭ম পর্ব
বড় গল্প
নাহিদ ফারজানা সোমা
রাতে এতোসব কথা হলো,সকালে খবরের কাগজ খুলে সবাই হতভম্ব। আনিলা আপার প্রাক্তন স্বামীর বর্তমান স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন। নোট লিখে গেছেন,”আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়।আমার স্বামী বা পরিবারের অন্য কোনো সদস্যকে যেন মিথ্যা অপবাদ না দেওয়া হয় বা হয়রানি করা না হয়। ”
ফুপু আনিলা আপাকে জড়িয়ে ধরে চুমায় চুমায় ভরিয়ে দিলেন। এই ভয়ংকর ব্যাপার আপার সাথেও হতে পারতো।
আনিলা আপা বললেন,”এটা সুইসাইড হতে পারে না।মেয়েটাকে ওরা মেরে ফেলেছে।”
আনন্দ ভাইয়া, তিথি ভাবী আর আনিলা আপা থানায় যোগাযোগ করে তাঁদের সন্দেহের কথা জানালেন। আর তখন আমার আপার পেট থেকে বের হয়ে আসলো ভয়ংকর কিছু তথ্য। ওরা আমার আনিলা আপাকে মারতো, স্বামী-শাশুড়ি। স্বামীর মার ছিলো নিত্যদিনের বিষয়। বকাঝকা, আজেবাজে কথা তো ডালভাত।
আনিলা আপা মার খেতো?তারপরও ঐ বাড়ির মাটি কামড়ে পড়ে থাকতো? সত্যি, পৃথিবীতে অনেক অংকের হিসাব মেলানো যায় না।
মৃত মেয়েটা খুব সুন্দর ছিল। তিথি ভাবী,আনিলা আপা তাঁর পরিবারের সাথে দেখা করলেন। একই গান শুনলাম। বাচ্চা হোতো না বলে নির্যাতন, অপমান,ডিভোর্সের জন্য হুমকি,পুণরায় বিবাহের তীব্র আকাঙ্খা। আনিলা আপার সাথে এই মহিলার তফাৎ হলো,আনিলা আপা কিছুতেই সংসার ছাড়তে চান নি,কিন্তু এই বেচারি বারবার সংসার থেকে পালাতে চেয়েছে, তার পরিবারই সেটা হতে দেয় নি। এখন তীব্র আক্ষেপে কপাল চাপড়ানো।
ফুপা তাঁর বন্ধুর সাথে, মানে ঐ অমানুষটার চাচার সাথে ভীষণ রাগারাগি করছেন।
“তুমি জানতে না,তোমার ভাইয়ের ছেলে-মেয়ে,বৌ কত বড় পিশাচ?একেবারেই জানতে না তুমি?সেটা আমাকে বিশ্বাস করতে বলো?তুমিও একই রকম অপরাধী। ”
বৌটার বাপের বাড়ির এখন টনক নড়েছে, মেয়ে মরে যাবার পরে। তারা জামাই ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ এনেছে। বাজে লোকটা,তার মা,বাবা,তিন বোন সবাই গ্রেফতার হয়েছে।
পরশু আনিলা আপার ফ্লাইট। তিনি বিশেষ অনুমতি নিয়ে থানায় যেয়ে ঐ পিশাচটার মুখে একদলা থুথু ফেলে এসেছেন।
আনিলা আপা অস্ট্রেলিয়া চলে গেলেন। যাওয়ার আগের রাতে ফুপুর গলা জড়িয়ে ধরে বললেন,”মা,আজ যদি রুমুর মতো আমি মরে যেতাম,অনেক কাঁদতে তুমি?”
ফুপু হাউমাউ করে কেঁদে উঠলেন। এমনিই আপার অস্ট্রেলিয়া চলে যাওয়া হজম করতে আমাদের ভীষণ কষ্ট হচ্ছে।
“সন্তানের জন্য খুব মায়া হয়,কষ্ট হয়, না মা?আমিতো এই ফিলিংস কেমন হয়,জানি না। জানবোও না কোনোদিন। ”
“কেন জানবি না?তুই তো বললি,দত্তক নিবি?”
“ধূর,নিজের পেটের আর দত্তক বাচ্চা এক হলো? আসলে কি দত্তকের উপরে মায়া লাগে? ”
“কি বলিস?তিথিকে দেখিস না?তিন ছেলেমেয়ের মধ্যে কোনো পার্সিয়ালিটি করেছে এ যাবৎ?”
“কর্তব্যের খাতিরে করেছে মা।বাচ্চা যখন একটা নিয়ে আসছে,তাকে তো হজম করতে হবে। তাছাড়া ভাবীর মধ্যে একটা দেখানেপনা আছে। আসলে সমুদ্র আর পরীকেই ভাবী ভালোবাসে, আরেকটাকে নয়। তাছাড়া ভাবী সামাজিক দায় পালন করছে। এটা তার একটা স্যাটিসফ্যাকশন।”
“কি বলছিস তুই আনিলা? ” একসাথে বিষ্ময়ে চিৎকার করে উঠলেন ফুপু আর আনন্দ ভাইয়া। “তিথিকে তুই এতোদিনে এই চিনলি? ওর মতো ট্রান্সপারেন্ট আর কাউকে দেখেছিস তুই? ও তিন ছেলেমেয়েকে সমান ভালোবাসে। অদ্বিতীয়ার প্রতি তার ভালোবাসায় কোন খাদ নেই। বরং ওকেই বোধ হয় তিথি একটু বেশি ভালোবাসে।”
“মা, রুমু মেয়েটার জন্য কষ্ট হচ্ছে না তোমাদের? ”
“আমার মেয়ের যেখানে থাকার কথা ছিলো, সেখানে মেয়েটা এসে জুটেছিল। আমার তো খুব মায়া লাগার কথা না।”
“মেয়েটা স্বেচ্ছায় আসে নি মা। তার উপরে সে অনেকবার পালাতে চেয়েছে, পারে নি। তার পরিবার তাকে আশ্রয় না দিয়ে বারবার যমের বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছে। ময়না তদন্তে প্রাথমিক ভাবে মেয়েটার সারা শরীরে অজস্র মারের দাগ পাওয়া গেছে। পায়ের একটা হাড্ডিতে ফ্র্যাকচার। জানো মা,ওরা আমাকে ভীষণ মারতো। ঐ পিশাচটা। বেত দিয়ে, বেল্ট দিয়ে।মেরে রক্ত বের করে দিতো।”
আনন্দ ভাইয়া চিৎকার করে বললেন,”তবু কেন তুই পড়েছিলি ওখানে?কেন প্রথম দিনই লাথি মেরে চলে আসিস নি? কেন ওদের গুষ্টি ধরে পুলিশে দিস নি?তাহলে তো আজকে এই মেয়েকে মরতে হতো না?”
” ঠিক বলেছিস ভাইয়া। আমি আমার সুখ শান্তি নিয়েই বিভোর ছিলাম।আমরা বেশির ভাগই আসলে নিজের ও প্রিয় জনদের দুঃখ কষ্ট নিয়েই জাবর কাটি। কিন্তু পাপীদের লাই দিতে নেই। ওদের পুলিশে দেওয়ার অনেক প্রমাণ আমার ছিলো। আমি দিলাম না।নিজের দুঃখকেই সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিয়ে বসেছিলাম। মাঝখান থেকে মর্মান্তিক ভাবে মরে গেলো রুমু। প্রতিটা দিন কি কষ্টটাই না পেতো মেয়েটা। দাঁড়া, তুই আমার বড় ভাই, তাও তোর সামনে একটা দাগ দেখাই। ”
আপা তাঁর উরুতে একটা বিভৎস দাগ দেখালেন। বললেন,” কি সম্বোধন করবো?আমি আবার খারাপ কথা বলতে পারি না। ঐ বৃদ্ধা গরম খুন্তি চেপে ধরেছিলেন অনেকক্ষণ। ”
আনন্দ ভাই পাগলের মতো বোনকে ঝাঁকাতে ঝাঁকাতে বললেন,” ভাবতে লজ্জা হচ্ছে তুই আমার বোন। কি মধু ছিল ঐ বাসায়,বল্। ”
ফুপু আকুল হয়ে কাঁদছেন।
“আমাকে খাওয়ার সময় যে কোনো কিছুর সবচেয়ে ছোট্ট টুকরা দেওয়া হতো কিংবা হতোই না।”
“চুপ কর্। বেহায়া বেশরম। দোষ সব তোর। ফালতু মেয়ে তুই একটা।তুই মানুষ নামের কলংক। কি যাদু ছিলো ওখানে, বল্, বল্ এক্ষুনি। শরীরের নেশা…..”
“আনন্দ, চুপ করো। ” তিথি ভাবী বললেন।
কিন্তু ভাইয়া রাগে-দুঃখে, কষ্টে-প্রতিহিংসায় উন্মাদ হয়ে গেছেন।
আনিলা আপা ধীর স্হির।
” একদিন লোহার রড দিয়ে দুইটা বাড়ি দিয়েছিলো।অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলাম। ”
“চুপ কর্।”
“চুপ করলে তো হবে না মা। আমার চুপ থাকার জন্য রুমু মরে গেলো। ওরা জানতো,আমি সেল্ফ ডিপেন্ডেন্ট। আমার ফ্যামিলি যদি বিন্দু বিসর্গ জানে,ওদের গুষ্টি সুদ্ধ খবর হয়ে যাবে। আবার ওরা এটাও জানতো,রুমুর যাওয়ার জায়গা বা ক্ষমতা নেই। ও যে কতো লোহার রডের বাড়ি খেয়েছে, ওর মাংসগুলো থেঁতলে গেছে, হাড্ডি ভেঙেছে, আহারে! ”
“চুপ কর মা। কাল ফ্লাইট। আজ আমাদের সাথে গল্পগুজব কর। ওদের গুষ্টি সুদ্ধ ফাঁসি হোক। তিলে তিলে মারতে পারলে আরও ভালো হতো।”
“ভাবী যখন ঐ প্রেগন্যান্ট মহিলাকে হাতে পায়ে ধরে বাচ্চা খুন করতে নিষেধ করলো, ওদের সব দায় দায়িত্ব নিজের ঘাড়ে তুলে নিলো, তারপরও যদি ওরা বিট্রে করতো, আমাদের অদ্বিতীয়ার সাতমাসের জীবন্ত তুলতুলে শরীরটাকে এর চেয়েও হাজার যন্ত্রণা দিয়ে বের করা হতো। মরা অবস্থায় বের না হলে ওকে ফেলে রাখা হতো মরার জন্য, তারপরে ছোট্ট শরীরটা ফেলে দেওয়া হতো ডাস্টবিনে। কুকুর বা শেয়াল কামড়ে কামড়ে ওর শরীরটা মজা করে খেতো।”
“আনিলা।! ” ভাবীর কান্নাভেজা চিৎকার।
ভাবীর চিৎকার দেওয়ার আগেই আমি আনন্দ ভাইয়াকে প্রবল ভাবে শিউরে উঠতে দেখেছিলাম। ফুপুও মাথা নিচু করে ফেলেছিলেন।
“আমরা শুধু আপনজনের কষ্টটাই হৃদয়ঙ্গম করতে পারি। আমার গায়ে লোহার ডান্ডার বাড়ির ব্যথা তোমাদেরকেও ব্যথা দিচ্ছে, কিন্তু রুমুর ব্যথা অতোটা দিচ্ছে না। অদিতির ব্যথা তো আমাদের আরও আনন্দ দেয়,তাই না?ভাইয়ার বেডরুমে অদিতির ঢোকা নিষেধ। মায়ের ধারে কাছে আসা অদিতির নিষেধ। ভাইয়ার বন্ধু, কলিগ,তাদের পরিবারের সামনে অদিতির যাওয়া নিষেধ। সমুদ্র অকারণে অদিতিকে মারলো,কোনো বিচার নেই। পরী খামচি দিয়ে রক্ত বের করে ফেললো,সো হোয়াট?বাচ্চাতে বাচ্চাতে এমন একটু হয়। তা অদিতি গিয়ে তোমার বাচ্চাদের একটু মারুক দেখি। তখন তোমার রি অ্যাকশন কি হয়, দেখতে ইচ্ছা হচ্ছে। এই যে মা, আমার দুঃখে তোমার প্রাণ ফেটে যাচ্ছে, সাড়ে সাত বছর ধরে অদিতির উপরে যা চলছে,তাতে মা হিসাবে ভাবীর প্রাণ ফেটে যাচ্ছে না? নাকি পালক মাকে মা বলা যায় না?অদিতির বায়োলজিকাল বাপ-মাতো ঠিকই পালালো। শুধু সন্তান জন্ম দিলেই মা হওয়া যায় না।”
তিথি ভাবী আনিলা আপাকে জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কাঁদতে লাগলেন। তাঁর কান্নায় যে গভীর কষ্ট, তা বুঝতে কারো বাকি রইলো না। মায়ের কান্নার শব্দে তিন ছেলেমেয়েই হুড়মুড় করে ছুটে এসেছিলো। সবাই যখন বললো,”ও কিছু না,তোমাদের ফুপি চলে যাবে তো,তাই মায়ের মন খারাপ। ”
সমুদ্র তার ল্যাপটপের কাছে চলে গেলো। সহকারী সহ পরী টিভি রুমে। শুধু অদ্বিতীয়া মা’কে জড়িয়ে ধরে নিঃশব্দে চোখের পানি ফেলতে লাগলো।মা’কে সে কাঁদতে দেখেছে খুব কম। তাই আচমকা মায়ের হাউমাউ কান্না শুনে তার প্রাণপাখি উড়ে গিয়েছিল। এখানে যদিও খুব বিপদজনক দুইজন মানুষ আছেন,বাবা আর দাদী, এঁদের দেখলেই তার হাত-পা কাঁপে, তবু সে মা’কে ছেড়ে যেতে পারলো না। তাছাড়া ফুপির ভালোবাসা পেয়ে তার ছোট্টো জীবনটাকে ধন্য মনে হচ্ছে। ফুপিটাও কাল প্লেনে করে চলে যাবে কতোদূর। ভাবতেই বুক ফেটে যাচ্ছে।
আনিলা ভাইঝিকে কাছে টেনে নিলেন। একেবারে কোলের মধ্যে। কপালে চুমু খেয়ে বললেন,”অদিতি সোনা, কাল ফুপি কোথায় যাচ্ছে? জায়গাটার নাম কি?”
“অস্ট্রেলিয়া।”
“কি সে করে যাবো?”
“প্লেনে।”
“পৃথিবীতে কয়টা মহাদেশ?”
“সাত।”
“কয়টা মহাসাগর?”
“পাঁচ। ”
“সব মহাদেশ আর মহাসাগরের নাম বলতে পারবি?”
“পারবো।”
“আমার সাথে কাল যাবি?প্লেনে উঠবি। আমার সাথে থাকবি। সেবারে তো আব্বু-আম্মু-ভাইয়া আর পরীকে নিয়ে প্লেনে করে থাইল্যান্ডে, সিঙ্গাপুরে গেলো,তুই নিজের ঘরে বসে চুপিচুপি কেঁদে বুক ভাসালি।”
কি সাংঘাতিক।ফুপি এটাও দেখেছে?সত্যি ওই বারোদিন কি যে কষ্টে কেটেছে! বিশেষ করে মায়ের উপরে গভীর অভিমানে। মা তাকে ফেলে বেড়াতে যেতে পারলো! বেচারিতো আর জানে না, স্বামী ও শাশুড়িকে তুষ্ট করতে আর গর্ভজাত সন্তানদের আনন্দের খোরাক দিতে তিথি বাধ্য হয়েছিলেন।
“কি রে অদিতি? চুপ কেন? চল আমার সাথে?”
কি জটিল প্রশ্ন।
অদ্বিতীয়া মাথা চুলকে বললো,”মা গেলে যাবো।”
“মা ছাড়া শুধু ফুপির সাথে যাওয়া যাবে না?”
অদিতি অধোবদনে দাঁড়িয়ে রইলো।
“ফুপিকে ভালোবাসিস না?”
“বাসি।”
“অল্প না বেশি? ”
“বেশি। ”
“আমি চলে গেলে কাঁদবি? ”
“জ্বী।”
ফুপু হঠাৎ বললেন,”মা’কে আর ফুপিকে তো অনেক ভালোবাসো, আর কাকে কাকে ভালোবাসো?”
এসব প্রশ্নে তিথি বাধা দিতে চাচ্ছিলো, ফুপু ইশারায় থামালেন।
রিনরিনে গলায় উত্তর এলো,”দাদাভাইকে।”
“আর আমাকে?”
“বাসি।”
“এটাতো সত্যি কথা না। অদ্বিতীয়া, তুমি তো সত্যি বললে না?”
“আমি মিথ্যা কথা বলিনা।আল্লাহ পাপ দেন। মা বলেছে।”
“তোমার বাবাকে ভালোবাসো?”
প্রায় শোনাই যায় না,এমন গলায় উত্তর এলো,”জ্বী।”
আনিলা আপা বললেন,” পাকা বুড়ি,তুই একটা কাজ কর্। এমনিতো তোর একটা ভক্ত দল আছেই, সঞ্জু চাচা,ঝুমুর ফুপি,নূপুর ফুপি এমন অনেক চাচ্চু, ফুপি। ওদের কথা বাদ। এই বাসার মধ্যে কাদের ভালোবাসিস,এক নম্বর দুই নম্বর করে বল্ না।”
তিথি ভাবী ইংরেজিতে বললেন,”আনিলা,প্লিজ,এসব প্রশ্ন করতে নেই। বাচ্চা সাইকোলোজিকালি টরচারড হয়।”
“প্লিজ ভাবী,আমার খুব জানতে ইচ্ছা হচ্ছে। বল্,অদিতি। এক নম্বরে কে?”
“মা”।
” গুড। দুই নম্বরে?সেকেন্ড কে হলো,সেকেন্ড? ”
অদ্বিতীয়ার চিবুক বুকে যেয়ে ঠেকলো। খুবই ক্ষীণ স্বরে উত্তর এলো,”বাবা।”
সবাই চমকে উঠলেন। সবচেয়ে বেশি চমকালেন স্বয়ং আনন্দ ভাইয়া।
আনিলা আপা বললেন,”কেনো বাবা সেকেন্ড হলো?সেকেন্ড হওয়ার কথা তো দাদুভাইয়ের নইলে আমার? বাবা কেনো এতো প্রিয়, বল্।”
“বাবা যে বাবা,তাই।”
চলবে।