রোমান্টিক_ডাক্তার পার্ট: ১৭

0
3892
রোমান্টিক_ডাক্তার

পার্ট: ১৭

লেখিকা: সুলতানা তমা

মাথাটা কেমন যেন ঝিমঝিম করছে, আস্তে আস্তে চোখ খুলে তাকালাম। হসপিটালের ICU তে আছি আমি, মুখে অক্সিজেন মাস্ক লাগানো, হাতেও কিসব যেন লাগানো। রাতের কথা আস্তে আস্তে সব মনে পড়লো, এতো কিছুর পর আমি বেঁচে আছি ভাবতেই পারছি না। হঠাৎ কারো ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কান্নার শব্দ ভেসে আসলো, আস্তে আস্তে পাশ ফিরে তাকালাম, কাব্য সিজদায় পড়ে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে। ও এতো কাঁদছে কিন্তু আমি ওকে ডাকতে পারছি না, একটু নড়তেই পেটে প্রচন্ড ব্যথা অনুভব হলো। হঠাৎ রুমে একজন সিস্টার এসে ঢুকলো, ওকে দেখে হাত নাড়ার চেষ্টা করলাম।
সিস্টার: এইতো ম্যাডাম এর জ্ঞান ফিরেছে। (সিস্টারের কথা শুনে কাব্য তাড়াতাড়ি উঠে আমার কাছে আসলো)
কাব্য: তিলো তুমি ঠিক আছ তো (পাগলের মতো কাঁদছে ও কিন্তু আমি কিছুই বলতে পারছি না খুব কষ্ট হচ্ছে)
সিস্টার: স্যার কি করছেন এভাবে কাঁদলে ম্যাডাম এর সমস্যা হবে (সিস্টার কাব্য’কে সরাতে আসলো কিন্তু কাব্য সিস্টারকে ধাক্কা মারলো, সিস্টার তাড়াতাড়ি বাইরে চলে গেলো)
কাব্য: পুরো দুদিন পর তোমার জ্ঞান ফিরেছে সবাই বলেছিল তুমি বাঁচবে না কিন্তু আমি বিশ্বাস করিনি, তুমিই বলো আমার তিলো পাগলী কি আমাকে একা রেখে চলে যেতে পারে। আমি নামাজ পড়েছি আল্লাহর কাছে দোয়া করেছি আর দেখো তোমার জ্ঞান ফিরে এসেছে আল্লাহ্‌ আমার কথা শুনেছেন (কাব্য’র কান্না দেখে নিজেকে ঠিক রাখতে পারছি না ইচ্ছে হচ্ছে ওর চোখের পানি মুছে দেই কিন্তু আমি তো হাতই নাড়তে পারছি না)
আদনান: কাব্য কি করছিস পাগল হয়ে গেছিস (সিস্টারটা গিয়ে আদনানকে নিয়ে এসেছে। আদনান কাব্য’কে টেনে আমার থেকে দূরে নিয়ে যেতে চাইলো কিন্তু কাব্য যাচ্ছে না)
আদনান: তুই একজন ডক্টর হয়ে এমন পাগলামি কেন করছিস? বুঝতে পারছিস না এভাবে কাঁদলে ভাবির সমস্যা হবে।
কাব্য: আমি আর কাঁদবো না প্লিজ ওর কাছে আমাকে থাকতে দে।
আদনান: দিয়েছিলাম তো কিন্তু এভাবে কাঁদলে…
কাব্য: আর কাঁদবো না। (কাব্য চোখের পানি মুছে নিয়ে আমার পাশে এসে বসলো। আদনান এসে কিছু চেকাপ করলো)
আদনান: এইতো ভাবি সুস্থ হয়ে গেছে তুই অযতা কান্নাকাটি করছিস।
কাব্য: তিলো তো সুস্থ হবে কিন্তু…
আদনান: কাব্য চুপ কর (কাব্য আবার ঢুকরে কেঁদে উঠলো, কি লুকুচ্ছে ওরা আমার থেকে)
আদনান: দেখ ভাবি সুস্থ হয়ে গেছে এবার যা তুই ফ্রেশ হয়ে নে (কাব্য’র দিকে তাকালাম সেই রাতের পাঞ্জাবীটা এখনো ওর পরনে, পুরো পাঞ্জাবীতে রক্তের চাপ লেগে আছে। কাব্য’কে দেখে কোনো সুস্থ মানুষ মনে হচ্ছে না, ওকে এখন পাগল পাগল লাগছে)
কাব্য: আমি কোথাও যাবো না।
আদনান: কিছু অন্তত খেয়ে নে প্লিজ।
কাব্য: আমার খিদে নেই (কাব্য এখনো কিছু খায়নি এভাবে না খেয়ে থাকলে তো ও অসুস্থ হয়ে পড়বে। আদনানকে ইশারা দিয়ে অক্সিজেন মাস্কটা খুলে দিতে বললাম। মাস্ক খুলে দিতেই আস্তে আস্তে কথা বলার চেষ্টা করলাম)
আমি: ডাক্তারবাবু…
কাব্য: তিলো তুমি কথা বলতে পারছ?
আদনান: কাব্য আস্তে কথা বল, একজন ডক্টর হয়ে এসব পাগলামি করছিস কিভাবে?
আমি: ওকে বকো না প্লিজ, ও আমার এই অবস্থা দেখে নিজেকে ঠিক রাখতে পারছে না তাই এমন পাগলামী করছে, প্লিজ ওকে বকো না।
আদনান: হুম।
আমি: ডাক্তারবাবু যাও কিছু খেয়ে নাও।
কাব্য: খিদে নেই।
আমি: যাও বলছি।
ভাবি: খাবার বাসা থেকে নিয়ে এসেছি কিন্তু ও তো খেতে চাইছে না।
আমি: ভাবি তুমি? (চারদিকে চোখ বোলালাম কোথায় আছি বুঝতে পারছি না)
কাব্য: তিলো তোমাকে ঢাকা নিয়ে এসেছি আমাদের হসপিটালে।
আদনান: এখানে ভীড় করো না প্লিজ, কাব্য যা খেয়ে আয়।
কাব্য: তিলোর কাছে বসে খাই (কাব্য’র বাচ্চামি কথাগুলো শুনে হাসি পাচ্ছে, পাগলটা কতো ভালোবাসে আমায়, চোখের আড়ালই করতে চাইছে না আমাকে)
আদনান: আগে ফ্রেশ হয়ে আয় যা।
আমি: তিশা কোথায়?
আদনান: একটা কাজে গেছে একটু পর চলে আসবে।

কাব্য পাশে বসে খাচ্ছে আমি চোখ দুটু বন্ধ করে শুয়ে আছি আর ভাবছি লোকটা ম্যাডাম ডাকলো কাকে। কার কথামতো ওরা আমাকে মেরে ফেলতে চাইছিল। আচ্ছা শুভ্রা নয় তো? হতে পারে সেদিনের থাপ্পড়ের প্রতিশোধ নিতে চেয়েছিল। কিন্তু এভাবে? এতোটা খারাপ কেউ হতে পারে?
তিশা: কাব্য এই নাও শুভ্রাকে নিয়ে এসেছি (তিশার কথা শুনে দরজায় তাকালাম, তারমানে তিশা শুভ্রাকে আনতে গিয়েছিল)
কাব্য: শুভ্রা কেন করলে এমন?
আমি: আরে খাবার রেখে কোথায় যাচ্ছ? (আমার কথার উত্তর না দিয়ে ও শুভ্রাকে টেনে এনে আমার পায়ের কাছে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলো)
শুভ্রা: তোমরা আমার সাথে এমন করছ কেন কি করেছি আমি?
তিশা: মনে হচ্ছে ভাজা মাছটা উল্টে খেতে জানে না।
শুভ্রা: কি করেছি বলবে তো আর তিলোত্তমা ICU তে কেন? (শুভ্রা অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে আমার দিকে তাহলে কি ও সত্যি কিছু করেনি)
কাব্য: আমার তিলোকে মেরে ফেলার চেষ্টা করে এখন কিছু না জানার ভান করছ।
শুভ্রা: কি? আমি তিলোত্তমাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছি, কি বলছ এসব?
আদনান: তাহলে তুমি এই দুদিন হসপিটালে আসোনি কেন?
শুভ্রা: হসপিটালে আসিনি এজন্য আমি এখন অপরাধী? আমি তো ছুটি নিয়েছিলাম কারণ আম্মু অসুস্থ। তিশাকে জিজ্ঞেস করো ও দেখে এসেছে আম্মু অসুস্থ।
তিশা: হ্যাঁ দেখেছি কিন্তু তাই বলে তুমি কিছু করনি তা বিশ্বাস করবো কিভাবে? লোক দুটুকে তুমি টাকা দিয়েছ আর ওরা তোমার কথা মতো কাজ করেছে।
শুভ্রা: কোন লোক কি বলছ তোমরা, কতোবার বলবো আমি কিছু করিনি।
আদনান: আস্তে চেঁচামেচি করো আর বাইরে চলো সবাই ভাবির সমস্যা হবে।
আমি: দাঁড়াও আমি ওর সাথে কথা বলতে চাই।
কাব্য: এখন কোনো কথা বলতে হবে না তুমি রেস্ট নাও।
আমি: না আমি শুভ্রার সাথে কথা বলতে চাই।
শুভ্রা: বিশ্বাস করো আমি কিছু করিনি তুমি হসপিটালে আছ সেটাও আমি জানতাম না। আম্মু অসুস্থ আমি দুদিন বাসাতেই ছিলাম। আমি কাব্য’কে ভালোবাসি তাই তোমার সাথে খারাপ আচরণ করি কিন্তু আমি এতোটা খারাপ না যে তোমাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করবো। (শুভ্রাকে দেখে তো মনে হচ্ছে সত্যি ও কিছু জানেনা তাহলে কে করলো এই কাজ)
শুভ্র: নিজের আম্মুকে নিয়ে তো কেউ মিথ্যে বলে না বিশ্বাস করো আমি আম্মুর কাছে ছিলাম দুদিন তাই হসপিটালে আসতে পারিনি আর এসব ব্যাপারে আমি কিছু জানিনা।
আমি: ঠিক আছে তুমি তোমার আম্মুর কাছে যাও।
কাব্য: কি বলছ এসব পাগল হয়ে গেছ?
আমি: ওকে যেতে দাও।

শুভ্রা চলে গেলো, সবাই চুপচাপ বসে আছে। বুঝতেই পারছি না শুভ্রা এমন না করলে করলো কে। শুভ্রা ছাড়া আমাদের নতুন কোনো শত্রু আছে আর সেটা কোনো মেয়ে কারণ লোকটা ফোনে ম্যাডাম বলে ডেকেছিল। এতো বড় শত্রু কে আমাদের যে কিনা আমাকে খুন করতে চেয়েছিল।
কাব্য: শুভ্রাকে যেতে দিলে কেন?
আমি: শুভ্রা কিছু করেনি ওর চোখ দেখেই বুঝতে পেরেছি।
কাব্য: চোখ দেখে বুঝা যায়?
আমি: কেউ মিথ্যে বললে তার চোখ দেখলেই বুঝা যায়, শুভ্রা মিথ্যে বলেনি।
কাব্য: তাহলে কে করলো এমন?
— ভাইয়া ভাইয়া (হঠাৎ কে যেন জোরে জোরে চিৎকার করে রুমে এসে ঢুকলো সাথে অয়ন)
কাব্য: হিয়া আস্তে কথা বল।
অয়ন: হিয়া কি করছিস আস্তে চেঁচা।
হিয়া: কিসের আস্তে আজকে ভাবির এই অবস্থা হয়েছে শুধুমাত্র তোমার জন্য (হিয়া কাব্য’র শার্টের কলার ধরে ফেললো)
আদনান: হ্যাঁ কাব্য ভাবির এই অবস্থা করেছে আর তুই এখন চেঁচামেচি করে ভাবির অবস্থা আরো খারাপ করে দে (আদনান এর কথা শুনে হিয়া কাব্য’কে ছেড়ে দিয়ে আমার পাশে এসে বসলো)
হিয়া: সরি ভাবি ভাইয়ার জন্য তোমার এই অবস্থা হলো।
আমি: কেন ডাক্তারবাবু আবার কি করলো?
হিয়া: তুমি না করার পরও হানিমুনে গিয়েছিল, ছোট ভাইয়া আমাকে সব বলেছে। গতকাল রাতে ভাবি আমাকে জানিয়েছে তোমার এই অবস্থা তাই তো সকালের ফ্লাইটেই চলে আসলাম।
আমি: তোমার ভাইয়ার কোনো দোষ নেই আমরা জানতাম নাকি এতো খারাপ কিছু হবে।
হিয়া: সব দোষ ভাইয়ার, সবকিছুতে ও বাড়াবাড়ি করে আর তার ফল ভোগ করতে হয় আমাদের (হিয়া কাঁদছে কাব্য দূরে দাঁড়িয়ে চুপচাপ কাঁদছে। হিয়া এমনিতেই কাব্য’র উপর রেগে আছে এখন আবার এই অবস্থা, এখন তো হিয়া আরো রেগে যাবে)
আদনান: হয়েছে সবার দেখা এখন সবাই বাইরে যাও আর ভাবি তুমি ঘুমানোর চেষ্টা করো।

একে একে সবাই বাইরে চলে গেলো, আমি চুপচাপ শুয়ে আছি চোখ দুটু বন্ধ করে। কিছুক্ষণ পর মাথায় কারো হাতের স্পর্শ পেলাম, জানি কাব্য এসেছে। চোখ খুলে আর তাকালাম না মাথা আর পেটে অসহ্য যন্ত্রণা করছে তাই চোখ বোজে চুপচাপ শুয়ে রইলাম। কবে যে সুস্থ হবো আর কে এসবের পিছনে আছে তা জানতে পারবো আল্লাহ্‌ জানেন।
আদনান: কাব্য ভাবি ঘুমিয়েছে?
কাব্য: হুম। (কাব্য উঠে চলে গেলো, ওরা কথা বলছে তাও চোখ খুলে তাকালাম না। তাকাবো কিভাবে পেটে যে খুব বেশি ব্যথা হচ্ছে)
আদনান: এইনে রিপোর্ট, তোর কথা মতো আমি বার বার টেস্ট করেছি কিন্তু রিপোর্ট একটাই আসছে। বাচ্চা নষ্ট হয়ে গেছে। (আদনান এর কথা শুনে চমকে উঠে ওদের দিকে তাকালাম, কার বাচ্চার কথা বলছে? কাব্য ফ্লোরে বসে পড়েছে খুব কাঁদছে ও তারমানে আমার বাচ্চা… হাতে লাগানো ছিল কিসব এগুলো টেনে সরিয়ে পেটে হাত রাখলাম, তারমানে আমি প্রেগন্যান্ট ছিলাম আর আমার বাচ্চাটা নষ্ট হয়ে গেছে। চিৎকার করে কেঁদে উঠলাম, আমার কান্না শুনে আদনান আর কাব্য একে অন্যের দিকে চাওয়াচাওয়ি করছে, ওরা তো ভেবেছিল আমি ঘুমে)
কাব্য: তিলো কি করছ পাগলামি করো না।
আমি: আমার বাচ্চা নষ্ট হয়ে গেছে আর তোমরা আমাকে জানাও নি লুকিয়ে রাখতে চেয়েছিলে।
আদনান: কে বললো নষ্ট হয়েছে তুমি প্রেগন্যান্ট ছিলে নাকি? আমরা তো অন্য পেসেন্টের কথা…
আমি: আর মিথ্যে বলোনা প্লিজ। (আদনান কাব্য দুজনই চুপ হয়ে কাঁদছে, আমি উঠে বসতে চাইলাম কিন্তু পেটের ব্যথায় পারছি না)
কাব্য: তিলো পাগলামি করো না প্লিজ এভাবে কাঁদলে তুমি আরো অসুস্থ হয়ে পড়বে।
আমি: আমার বাচ্চা মারা গেছে আমি বেঁচে থেকে কি করবো হ্যাঁ, আমার বাচ্চা এনে দাও। (আমার চিৎকার শুনে ভাবি হিয়া সবাই চলে আসলো)
ভাবি: তিলোত্তমা আমার কথা শুন।
আমি: আমার বাচ্চা নষ্ট হয়ে গেছে আর তোমরা আমার থেকে এতো বড় কথাটা লোকাতে চেয়েছিলে।
হিয়া: তুমি এমন পাগলামি করবে এই ভয়েই তো আমরা বলতে চাইনি।
আদনান: সবাই বাইরে যাও আমি ভাবিকে ইনজেকশন দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিচ্ছি।
আমি: ঘুমাবো না আমি, আমার বাচ্চা এনে দাও।
কাব্য: প্লিজ এভাবে চিৎকার করোনা তোমার শরীর ভালো নেই।
আমি: ওরা নাহয় আমার থেকে লুকিয়েছে কিন্তু তুমি, তুমি কেন লুকিয়েছ? আমার বাচ্চা এনে দাও।
কাব্য: সব দোষ আমার আমি বুঝতে পারিনি তুমি যে প্রেগন্যান্ট, বুঝতে পারলে ওখানে তোমাকে নিয়ে যেতাম না সাবধানে রাখতাম তোমাকে।
আদনান: কাব্য কেন অযতা নিজেকে দোষী করছিস?
কাব্য: আমি একজন ডক্টর হয়েও আমার তিলোকে সাবধানে রাখতে পারিনি বাঁচাতে পারিনি আমার সন্তানকে।
আদনান: কাব্য তুই এমন পাগলামি করলে ভাবিকে সামলাবে কে, ভাবিকে শুয়ে দে। (কাব্য আমাকে শুয়ে দিতে আসলো, ওকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলাম। কাব্য জোর করে আমাকে শুয়ে দিলো আর আদনান এসে ইনজেকশন দিয়ে দিলো)
কাব্য: আর কেঁদো না প্লিজ ঘুমাও, বিশ্বাস করো আমি বুঝতে পারিনি তুমি প্রেগন্যান্ট ছিলে, বুঝতে পারলে কি ওখানে নিয়ে যেতাম?
কাব্য আমার কপালে ওর কপাল ঠেকিয়ে পাগলের মতো কাঁদছে, ওর গলা জরিয়ে ধরে আমিও কাঁদছি। আমাদের সাথে এমন হবে কখনো ভাবতে পারিনি। মাথা ব্যথা আর পেটের যন্ত্রণার চেয়ে বেশি কষ্ট হচ্ছে এইটা ভেবে, আমাদের সন্তান পৃথিবীতে আসার আগেই ওকে খুন করে দিলো। আর ভাবতে পারছি না ঘুমে আস্তে আস্তে চোখ দুটু বোজে আসছে।

চলবে?

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে