মন বিনিময় পর্ব-০৬

0
725

#মন_বিনিময়
#পর্বঃ৬
#লেখনীতে- তাসফিয়া হাসান তুরফা

বেশ কিছুক্ষণ হলো পরিবেশ নিরব। কিছুক্ষণ আগে রাহিতার করা প্রশ্নটির কোনো সঠিক জবাব দিতে অক্ষম হওয়ায় স্বপ্নিল আপাতত নিরুত্তর থাকাই বেছে নিয়েছে। এ দু’দিনে তার থেকে এরুপ প্রতিক্রিয়ায় অভ্যস্ত হওয়ায় রাহিতা মনক্ষুণ্ণ হলেও এবার সেটাকে বিশেষ পাত্তা দিলোনা। বরং এক পলক স্বপ্নিলের দিকে চেয়ে থেকে বললো,

—আচ্ছা ঠিক আছে, জবাব দিতে হবেনা। এখন নিচে চলুন। মা অপেক্ষা করছেন।

এবার মাথা নাড়িয়ে তাতে সায় দিয়ে ওর পিছু পিছু নিচে নামলো স্বপ্নিল। মুখে প্রকাশ না করলেও মনে মনে তাকে উত্তর দিতে জোর না করায় রাহিতার প্রতি কৃতজ্ঞ হলো সে। মেয়েটাকে বিয়ের আগে বেশ চঞ্চল বলেই জানতো সে, অথচ সেই মেয়েটাই তার সাথে বিয়ের পর তার প্রতি এত ধৈর্যশীল আচরণ কিভাবে করছে তা ইদানীং বেশ ভাবাচ্ছে তাকে!

নিচে দাঁড়িয়ে আছেন দিলারা বেগম, তার পাশেই সেজেগুজে রেডি হয়ে আছে সামিরা। ওদের দুজনকে সিড়ি দিয়ে নামতে দেখে সে খুশিতে গদগদ হয়ে বলে,

—মাশাআল্লাহ ভাইয়া ভাবী তোমাদের কত্ত সুন্দর লাগছে একসাথে। তার মধ্যে ম্যাচিং ড্রেস পড়েছো, একদম কাপল কাপল লাগছে!

সামিরার কথায় কিছুটা চমকে একবার নিজের দিকে, আরেকবার পাশে দাঁড়ানো রাহিতার দিকে তাকায় স্বপ্নিল! তার নীল রঙা পাঞ্জাবির সাথে আকাশি রঙা শাড়ি পরিহিত রাহিতাকে আসলেই মানিয়েছে। এতক্ষণ তো বিষয়টা খেয়ালই করেনি সে! অবশ্য খেয়াল করবে কিভাবে? নিজের বউকে ঠিকভাবে কখনো লক্ষ্য-ই যে করেনা সে! আনমনে কথাগুলো ভাবতে ভাবতেই স্বপ্নিল খেয়াল করে রাহিতা পাশ ফিরেছে। যেই না চোখে চোখ পড়বে ওই মুহুর্তে বরাবরের ন্যায় হুট করে চোখ ফিরিয়ে নেয় স্বপ্নিল। ভাবখানা এমন যেন মেয়েটাকে বুঝতেই দিবেনা যে তার দিকেই সে তাকিয়ে ছিলো এতক্ষণ!

—হয়েছে তোদের? সবাই রেডি থাকলে আমরা বের হই চল। বেশ দেরি হয়ে গেছে এতক্ষণে। বেয়াই সাহেবরা অপেক্ষা করছেন তো!

দিলারা বেগমের কথায় তার দিক তাকায় সবাই।

—হ্যাঁ, সবাই রেডি। আমরা এখনি বের হবো। আমি গাড়ি বের করে আনছি।

কথাটি বলেই বের হলো স্বপ্নিল। দিলারা বেগমও কাজের মানুষকে বাসা দেখতে বলে রাহিতা, সামিরাকে নিয়ে বের হলেন বাসা থেকে। উদ্দেশ্য এখন রাহিতার বাপের বাড়ি!

__________________

শশুড়বাড়ি পৌছাতেই জামাই আদর শুরু হয়ে গেলো স্বপ্নিলের। শশুড়, শাশুড়ী থেকে শুরু করে রাহিতার বড় ভাই, ছোটবোন কেউ বাদ নেই তার আপ্যায়ন করায়। হরেক রকম ভোজনের আয়োজনের সাথে অন্যান্য আপ্যায়নের কোনো কমতি নেই। এ বাসার সবার তার প্রতি এত যত্ন দেখে এত ভালোবাসা দেখে মনে মনে অসস্তিতে পড়ে ছেলেটা! নিজেদের মেয়েকে ভালো রাখার দায়িত্ব তার হাতে দিয়েই না তার এত সেবাযত্ন করছে রাহিতার পরিবার! অথচ তারা তো জানেই না তাদের পেছনে তাদের মেয়ের সাথে সে কিরুপ ঠান্ডা আচরণ করছে! এসবের মাঝেই খাওয়াদাওয়ার পর্ব চুকে গেলো। এরপর ড্রয়িংরুমে বসে তখন গল্পের আসর বসেছিলো তাদের রাহিতার বাবার বাড়ির লোকজনদের সাথে। তাদের সাথে কথার মাঝেই রাহিতার ফোন আসায় সে উঠে চলে যায় রুমের বাহিরে। বেশ ক’দিন দেখা না হওয়ায় ওর ভার্সিটির বান্ধবী ফোন দিয়েছে!

বান্ধবীর সাথে কথা শেষ করে পেছন ঘুরতেই বাবাকে ওর পেছনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে খানিকটা অবাক হয় রাহিতা। পরমুহূর্তেই মুখে হাসি ফুটিয়ে জিজ্ঞেস করে,

—কি ব্যাপার, বাবা? তুমিও চলে এলে যে?

—এমনিই। দেখতে এসেছিলাম আমার মেয়ে কি করে! বান্ধবী ফোন দিয়েছিলো তোর?

—হ্যাঁ, বাবা। রিমি ফোন দিয়েছিলো। অনেকদিন ভার্সিটি যাইনি তো তাই ওকে বলেছিলাম আমায় নোটস দিতে। সে ব্যাপারেই কথা বলতে ফোন দিয়েছিলো।

—ওহ। আচ্ছা রাহি, একটা কথা জিজ্ঞেস করি?

—কি কথা, বাবা? প্রশ্ন করছো কেন? তুমি আমায় সরাসরিই বলতে পারো।

বাবার প্রশ্নে খানিকটা ঘাবড়ে গেলেও মুখভঙ্গি স্বাভাবিক রেখে নির্বিকার ভাবে উত্তর দেয় রাহিতা। মেয়ের দিক এক পলক তাকিয়ে ওর হাত ধরে তার বাবা হঠাৎ প্রশ্ন করেন,

—তুই কি সত্যিই এ বিয়েতে খুশি তো? স্বপ্নিল তোকে ভালো রাখছে, মা? তোর কোনো সমস্যা হচ্ছেনা তো?

আচমকা বাবার এমন প্রশ্নে খানিকটা ইতস্ততবোধ করে রাহিতা। হঠাৎ এহেন প্রশ্ন করছেন কেন? উনি কি কোনোভাবে কোনকিছু সন্দেহ করে ফেললেন না তো? তবু দমে গেলোনা রাহিতা। নিজেকে যতটা সম্ভব স্বাভাবিক রাখার চেস্টা করলো সে। কেননা তার পরিবার এখনি তার ও স্বপ্নিলের ব্যাপারে কিছু জানুক, এটা চায়না সে। তার উপর এখন স্বপ্নিলের ব্যাপারে সব বলে দিলে ওর প্রতি দৃষ্টিভংগি বদলে যাবে তার পরিবারের, ওকে আর একিরকম ভালোবাসার নজরে দেখবেনা তার পরিবার। এতে দুই পরিবারে অশান্তি হবে। একিসাথে মাথায় আসে শাশুড়ির অনুরোধ, তো সব মিলিয়ে এখন বাবাকে স্বপ্নিল সম্পর্কে কোনোকিছু বলতে মন সায় দিলোনা রাহিতার। তাইতো চাহনিতে বিস্ময় মিশিয়ে অবাক হয়ে বাবাকে সুধালো,

—আমি উনার সাথে ভালো আছি, বাবা। হঠাৎ এমন প্রশ্ন করছো যে?

—না রে, মা। মেয়ের বাবা হই তো। চিন্তা হওয়াটা খুব স্বাভাবিক, তুই বুঝবিনা। আমি জানি স্বপ্নিল ভালো ছেলে। অনেক আগে থেকেই দেখে আসছি তো ওকে! নিজের বন্ধুর ছেলে বলে বলছিনা, ও যে ওর সব দায়িত্বের প্রতি ভীষণ যত্নশীল তা আমি ভালো করেই জানি। এজন্যই তো তোকে ওর হাতে তুলে দিয়েছি৷ কিন্তু তাও মনের শান্তির জন্য তোকে জিজ্ঞেস করলাম। কিছু মনে করিস না, মা।

—ওহ। কোনো সমস্যা নেই, বাবা। আমি কিছু মনে করিনি। ওই বাসার সবাই আমায় ভালোবাসে, আমি ভালোই আছি ওখানে। তবে তোমাদের মিস করি খুব।

বাবাকে জড়িয়ে ধরে অশ্রু লুকিয়ে ফেললো রাহিতা। জীবন তাকে কেমন পরীক্ষায় ফেলেছে সে নিজেও জানেনা? এভাবে আর কতদিন চলবে কোনোটাই নিশ্চিত নয়। তবুও এই তার নিয়তি, এভাবেই চলতে হবে। এসব ভেবে বাবাকে ছেড়ে পুনরায় ড্রয়িংরুমের দিকে ফিরে চললো সে।

বলাবাহুল্য তাদের বাবা-মেয়ের এ দৃশ্যের নীরব সাক্ষী ছিলো স্বপ্নিল। পানি খাওয়ার জন্য রুম ছেড়ে এদিক এসেছিলো সে। বাবা-মেয়েকে দেখে অন্যদিকে পা বাড়ানোর আগে হঠাৎ নিজ শশুড়মশাইয়ের মুখে এমন প্রশ্ন শুনে সে থমকে যায়। কারও কথা চুপিসারে শুনার অভ্যাস না থাকলেও এক্ষেত্রে সে শুনতে বাধ্য হয়। পা জোড়া নিজ থেকেই থেমে যাওয়ায় নীরবে শ্রবণ করে সবকিছু। রাহিতার উত্তরে একিসাথে বিস্ময়, অপরাধবোধ ও খানিকটা ক্ষোভ জমে তার অন্তরে। বিস্ময়ের কারণ সুযোগ থাকা সত্ত্বেও কেন রাহিতা তার পরিবারকে সব বলছেনা, অপরাধবোধের কারণ সে নিজেই। যে পরিবার তার প্রতি এত বিশ্বাস করে, যে মেয়েটা তার অনুপস্থিতিতে তার সম্মান রক্ষা করছে তাকে যে চেয়েও ভালো রাখতে পারছেনা সে! আর ক্ষোভের কারণটা অজানা! সে চাইছিলো রাহিতা সবকিছু বলে ওর থেকে মুক্তি পাক, ওর একটা সুখের জীবন হোক কিন্তু মেয়েটা কেন নিজের ভালো বুঝছেনা এটাই স্বপ্নিলের প্রশ্ন!

পা ঘুরিয়ে অন্যদিক যাওয়ার আগেই শশুড়ের ডাকে থেমে যায় স্বপ্নিল। পেছন ঘুরতেই হাস্যজ্বল রাহিতার বাবাকে দেখে সে নিজেও সৌজন্যমূলক হাসে। এরই মাঝে তার দিক এগিয়ে এসে তার কাধ চাপড়ে রাহিতার বাবা বলেন,

—আমার মেয়েটাকে এভাবেই আজীবন ভালো রেখো, বাবা। ও উপর দিয়ে একটু চঞ্চল হলেও ভেতর দিয়ে খুব নরম। ওকে কখনো কস্ট দিয়োনা।

শশুড়ের এমন কোমল কণ্ঠে খানিকটা বিচলিত বোধ করে স্বপ্নিল। জোরপূর্বক মুখে হাসি ফুটিয়ে বলে,

—আপনি চিন্তা করবেন না, আংকেল। আমি সবসময় ওর খেয়াল রাখার চেস্টা করবো।

—হুম। কিন্তু আংকেল কিসের হ্যাঁ? আমি এখন তোমার বাবা হই কিন্তু। বাবা বলে ডাকবে আমায়!

—জি, বাবা। ঠিক আছে।

এভাবেই কেটে গেলো কিছু সময়। তখন শশুড়কে এক প্রকার মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে কেটে পড়লেও খানিকক্ষণ বাদে শরীর খারাপ লাগার বাহানা দিয়ে সবাইকে নিয়ে বাসায় চলে আসে স্বপ্নিল। তবে তার বাসায় আসার প্রকৃত কারণটা সকলের অজানাই থেকে গেলো!

__________________

ফ্রেশ হয়ে সবেমাত্র ওয়াশরুম থেকে বেরিয়েছে রাহিতা। ঠিক এমন সময় তার সামনে এসে দাঁড়ায় স্বপ্নিল। হঠাৎ এভাবে তাকে দাড়াতে দেখে ভ্রু কুচকে তাকায় রাহিতা। তবুও কিছু না বলে পাশ কেটে চলে যেতেই বাধা দেয় স্বপ্নিল। ওর হাত ধরে থামিয়ে দেয়। এক মুহুর্ত সে হাতের দিক তাকিয়ে হাত ছাড়াতে উদ্যত হতেই আরেকটু বল প্রয়োগ করে ওকে আচমকা দরজার সাথে চেপে ধরে স্বপ্নিল। হঠাৎ ছেলেটার এমন উদ্ভট আচরণে অবাক হলেও মুখে প্রকাশ করেনা রাহিতা। যথাসম্ভব গাম্ভীর্যের সাথে চোখে চোখ রেখে প্রশ্ন করে,

—কি সমস্যা? এমন করছেন কেন?

—সমস্যা আমার নাকি তোমার? আমিও বুঝতে পারছিনা। বুঝাও আমায়।

—আপনিই তো আটকে রাখলেন আমায় হুট করে আবার জিজ্ঞেস করছেন আমার সমস্যা কি? বলছি বেশি আদর-যত্ন পেয়ে মাথার তার কি উল্টোপাল্টা হয়ে গেছে নাকি?

এবার রাহিতার কথায় এতক্ষণের চাপা ক্ষোভে ভাটা পড়ে স্বপ্নিলের। নিজেকে আর সামলাতে পারেনা সে। আচমকা ধমকের সুরে বলে উঠে,

—ওহ রিয়েলি? আমার মাথা নস্ট নাকি তোমার সেটা আমিও বুঝতে পারছিনা। তখন কেন তোমার বাবাকে বল্লেনা সবকিছু? তিনি যখন জিজ্ঞেস করলেনই তখন তো সুযোগ ছিলো তোমার কাছে আমার থেকে মুক্তি পাওয়ার! তবে কেন বললেনা তাকে যে আমার সাথে সুখে নেই তুমি? হ্যাঁ? জবাব দেও। কেন এমন নাটক করছো?

এবার স্বপ্নিলের এমন আচরণের মানে বুঝতে পারে রাহিতা। বিস্ময়ের ঢেউ খেলে যায় তার চোখেমুখে। অবাক হয়ে প্রশ্ন করে,

—আপনি সব শুনেছিলেন? অন্যের কথা শুনতে হয়না আপনি জানেন না?

এবার রাহিতার কথায় মুখ অন্যদিক ঘুরিয়ে নেয় স্বপ্নিল। সামান্য কেশে তীক্ষ্ণ স্বরে বলে,

—আমি ইচ্ছে করে শুনতে যাইনি বুঝেছো? পানি খেতে গিয়েছিলাম তখন কানে আসে আর শুনে ফেলি। কিন্তু জীবন তোমাকে সুযোগ দিচ্ছে আমার থেকে দূরে যাওয়ার তবে কেন তুমি সেই সুযোগ নিচ্ছোনা আমি এটাই বুঝতে পারছিনা, রাহিতা। তোমার সামনে এখনো পুরো জীবন পরে আছে। তুমি চাইলেই এ অনাকাঙ্ক্ষিত সম্পর্ক থেকে মুক্তি নিয়ে দূরে চলে যেতে পারো আমার থেকে। যে সম্পর্কের কোনো নিশ্চিত ভবিষ্যৎ নেই সে সম্পর্কে কেন থাকতে চাইছো আমায় বলো? পাগলেও নিজের ভালো বুঝে আর তুমি কিনা জেনেবুঝে নিজের লাইফের সাথে এমন করছো! হোয়াই? এন্সার মি!

মনোযোগের সহিত স্বপ্নিলের প্রতিটি কথা শুনে রাহিতা। ওর কথার ভাজে ভাজে যে রাহিতার প্রতি সূক্ষ্ম অথচ স্পষ্ট চিন্তা বিদ্যমান তা বুঝতে অসুবিধা হয়না মেয়েটার৷ সবকিছু বুঝেও রাহিতা এক দীর্ঘশ্বাস ফেলে। মন চাইছে ওকে শক্তভাবে জড়িয়ে ধরতে, খুব করে বলতে,

“ভালোবাসি আমি আপনাকে। তাই তো সবকিছু জেনেশুনেও একটা সুযোগ দিতে চাই আপনাকে, আপনার সাথে আমার এই সম্পর্ককে। মন বিনিময় করতে চাই আপনার সাথে!”

কিন্তু মনের কথা মুখ ফুটে বেরোলোনা। রাহিতা চেয়েও কিছু বলতে পারলোনা স্বপ্নিলকে। বিষন্ন স্বরে চোখ তুলে এক পলক স্বপ্নিলের দিক চাইলো। ওর প্রশ্নবোধক চাহনিকে লক্ষ্য করে প্রশ্ন ছুড়লো,

—দূরে যাওয়ার হলে কেন নিয়তি আপনাকে আমার কাছে আনলো? কিছু তো কারণ অবশ্যই আছে, তাই না? হয়তো সে উত্তর না জানা পর্যন্ত মুক্তি মিলছেনা আপনার আমার থেকে! মানিয়ে নিন।

এ কথার পিঠে কিছু বলার ভাষা খুজে পায়না স্বপ্নিল আর! মেয়েটার শান্ত নিস্তেজ কণ্ঠস্বর এক অদ্ভুত ঝড় তুলে তার বক্ষপিঞ্জিরায়! আনমনেই সে ভাবে রাহিতার মাঝে কিছু একটা আছে যা সে চেয়েও কখনো ইগ্নোর করতে পারেনা! মেয়েটার কথায় হঠাৎ করেই যেন বাকরুদ্ধ হয়ে পড়ে সে। রাহিতার মতো সে-ও যে নিয়তির কাছে জবাব চায়! কেন ভাগ্য তার ছন্নছাড়া জীবনে নিয়ে এসেছে মেয়েটাকে? প্রশ্নের উত্তরটা যে সে নিজেও জানতে চায়!

#চলবে

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে