মনের ক্যানভাসে পর্ব-১২ এবং শেষ পর্ব

0
1046

#মনের ক্যানভাসে
#লাবিবা_আল_তাসফি

১২.
__________________

দেখতে দেখতে বিয়ের ডেট এগিয়ে এসেছে। আর তিনদিন বাদেই গাঁয়ে হলুদ। তারপর বিয়ে। সময় কিভাবে পার হয়ে গেল টের পেলাম না। অনুভব করলাম বড় হয়ে গিয়েছি। সেই ছোট্টটি আর নেই। এইতো কিছুদিন আগেই বাবার হাত ধরে বাজারে যেতাম। দু টাকার ক্যান্ডি খাওয়ার জন্য কতশত বায়না ধরতাম। এখন আর সেগুলো হয়না। আবদার করা হয়না ক্যান্ডির জন্য। একটুতে খুশি হয়ে বাবার কোলে উঠে গলা জড়িয়ে ধরা হয়না। সত্যিই অনেক হয়ে গেছি।

অনেকদিন বাদে রংতুলি নিয়ে আঁকতে বসেছি। এলোমেলো রংয়ের আচর কেটে চলছি সাদা ক্যানভাসে। একটা সুন্দর মুখকে ফুটিয়ে তোলার প্রচেষ্টা চালালাম। কিন্তু এই মুখ আমার পরিচিত কারোর মতোই হলো না। ক্যানভাসে থাকা মানুষটার চোখ দুটো আদনানের মতো কিন্তু ঠোঁট নাক রাশেদ ভাইয়ের। এ যেন রাশেদ ভাই আর আদনানের সংমিশ্রণে তৈরি এক যৌথ মানব। আমি ফিক করে হেসে ফেললাম। আমি অসুস্থ হয়ে পড়ছি। আমি আমার সত্তাকে হারিয়ে ফেলছি এই দুই মানবের মাঝখানে পড়ে। আচ্ছা এক সময় কি আমি পাগল হয়ে যাব? অস্বাভাবিক দেখছি না।
___________

দীর্ঘ দু ঘন্টা বসে থাকার পর অবশেষে রাশেদের ডাক পড়লো। বিগত কিছুদিন ধরে চাকরির ইন্টারভিউ দিতে দিতেই দিনের বেশিরভাগ সময় কেটে যাচ্ছে। বাকি সময়টুকু সে বাবার ব্যাবসা দেখাশোনা করে। তার এমন পরিবর্তনে সকলে ভিষণ খুশি। ছেলে অবশেষে সংসারে মন দিয়েছে ভেবে স্বস্তি পেল সবাই। মিতুতো রাশেদের এমন পরিবর্তন দেখে খুশিতে নাকের জল চোখের জল এক করে ফেলেছে। এরপর আর কেউ তার বরকে নিয়ে কিছু বললে কড়া জবাব দেবে সে। তার বর আর আগের মতো নেই। যে কেউ উড়ে এসে কথা শোনালেই হবে নাকি?

__________

বাড়ি ভর্তি মেহমান। একচুল পরিমান ফাঁকা স্থান আছে কিনা সন্দেহ। মন চায় বাড়িটা এদের নামে লিখে দিয়ে জামা কাপড় পুটলি বেঁধে বের হয়ে যাই। মানে এটা কি? এটা বাড়ি নাকি মাছের বাজার? বিরক্ত হয়ে কানে ইয়ারফোন গুজে দিলাম। এত হট্টগোল আমার ভালো লাগছে না একদমই।
রাশেদ ভাইদের বাসা থেকেও সকলে চলে এসেছে। আপু আসার পর থেকে একটানা এতদিন কি কি ঘটেছে তার বিস্তৃত বর্ণনা দিয়েছে। আমি এক কানে শুনেছি অন্য কান দিয়ে বের করে দিয়েছি। হাজার হলেও সে আমার একমাত্র প্রেমের বাঁধা। তার কথাকে এত গুরুত্ব দিয়ে শোনার কোনো মানেই হয়না। সেটা আরো যদি হয় আমার না হওয়া ভাইয়া থেকে সাইয়ার গল্প। নো ওয়ে। আমি একদমই ইনট্রেস্টেড নই।

‘মিতা জানিস রাশেদ খুব যত্নবান হয়ে গেছে। রোজ ফিরে আগে বলে তুমি খেয়েছো? এই একটা কথায় আমার সব কষ্ট ফুসসসসস।’

‘হুম।’

‘এই তুই আমার কথা শুনছিস তো?’

‘হুম।’

‘মিতা। তোর বরটাতো বেশ সুন্দর রে। মামি ছবি দেখালো। আমি যদি আগে দেখতাম তবে আমি লুফে নিতার ফর সিওর।’

আমি বিরস চোখে আপুর দিকে তাকালাম। আস্তে করে বললাম,

‘একটাকে তো নিয়েছোই তাতেও তুষ্টি নেই? এটাকেও চাই? নিয়ে নাও। আমার না হওয়া সব বর তোমার নামে করে দিলাম।’

‘কি বলছিস তুই? জোরে বল।’

‘কিছু না। ঘুম পাচ্ছে। একটু ঘুমানোর জায়গা করে দিতে পারবে?’

মিতু আপু কিছুটা চিন্তিত কন্ঠে বলল,

‘এখানে কোথাও তো জায়গা নেই। ওয়েট কর দেখি কি করা যায়।’

আপু উঠে যেতেই আমি দেয়ালে মাথা ঠেকিয়ে চোখ বন্ধ করলাম। এখন একটু শান্তি লাগছে।

পুরো বাড়ি ডেকোরেট করা হয়েছে বাহারি রঙের ফেইরি লাইট দিয়ে। ঠিক সেভাবেই বাড়ি সাজানো হয়েছে যেমনটি আমি চাইতাম। শুধু আমার জীবনের রাজকুমারটা অদলবদল হয়ে গেলো। রাশেদ ভাইকে বরের বেশে দেখা হলোনা। না হলো তার সাথে ছোট্ট করে একটা খুনসুটিময় সংসার গড়া। আমার ভিষণ রকম মন খারাপ হলো। জীবন এতটা সহজ নয় যতটা ভেবেছিলাম।
আমার বিয়েতে আমার কোনো ফ্রেন্ডকে ইনভাইট করা হয়নি। আমি ইচ্ছা করেই করিনি। যদি নিজের পছন্দ মতো বিয়ে করতাম তাহলে ওদের অবশ্যই ইনভাইট করতাম। কিন্তু এখন ব্যাপার ভিন্ন। নিজের উপর জুলুম করে এ বিয়েটা করছি আমি। এখানে ফ্রেন্ডদের ইনভাইট করে ওদের বাঁদরামিতে সামিল হওয়ার মানষিকতা নেই।

খুব সাধারণ ভাবেই মেহেদী অনুষ্ঠান‌ শেষ হলো। পার্লার থেকে মেয়েরা এসে সুন্দর করে সাজিয়ে দিয়ে গেছে। দু হাত ভরে মেহেদী দিয়ে সং সেজে বসে থাকলাম। বিয়ের সময় মেয়েরা কতখানি অসহায় হয়ে পরে তা হারে হারে টের পেলাম। রাশেদ ভাইয়ের সাথে দেখা হলোগায়ে হলুদের দিন। হলুন রঙের পাঞ্জাবিতে তাকে বেশ লাগছিলো। সকল আয়োজনের কাজ সে একাই সামলাচ্ছে। ব্যাপারটা দারুন তাই না? আমার বিয়ের আয়োজন করছে আমার-ই না হওয়া প্রেমিক। আমি শান্ত নজরে রাশেদ ভাইকে দেখলাম। চোখাচোখি হতে ইচ্ছে করেই আমি চোখ সরালাম না। স্থির ভাবে তাকিয়ে রইলাম। আমি স্বাভাবিক থাকলেও রাশেদ ভাইকে ক্লান্ত দেখালো। যেন সে অনেক পরিশ্রম করেও কিছু একটা পেতে ব্যর্থ। সেটা কি তা আমি খুটিয়ে দেখতে চাইলাম না। হয়তো সে প্রয়োজন বোধ করলাম না। সময়ের সাথে সাথে কিছু জিনিসের প্রয়োজন ফুরিয়ে যায়। রাশেদ ভাইও কোনো কথা ছাড়াই অন্যদিকে কাজে চলে গেলো। হয়তো সেও প্রয়োজন বোধ করলো না!

_____________

খুব ধুমধাম করেই বিয়ের কার্য শেষ হলো। বাবা মা ভাই সকল আপনজনকে ছেড়ে যেতে হলো বহুদূর। পরিবারকে ছাড়া কখনো কোথাও যাইনি আমি। এই প্রথম পরিবারকে ছেড়ে এতটাদূর। আতঙ্ক ভয় সবকিছু মিলিয়ে এক অদ্ভুত রকম অনুভুতি। আমার এই একাকীত্ব সময়ে ভরসা হিসেবে আদনান হাত বাড়ালো। আস্বস্ত করলো আমায়। আমি কিছুটা স্বস্তি পেলাম। যাক কেউ একজনতো আছে যাকে আমি ভরসা করতে পারবো। আসলেই কি পারবো? না পারলেও আমাকে পারিয়ে নিতে হবে। এই অচেনা শহর, মানুষের মাঝে এই একটা মানুষকেই আমাকে ভরসা করতে হবে।

মাঝারি আকারের রুমটাকে ফুল দিয়ে বেশ সুন্দর করে সাজানো হয়েছে। গন্ধরাজের মিষ্টি গন্ধ ছড়িয়ে আছে চারদিকে। কিছুক্ষণ আগেই আমার ননদ আমাকে এখানে রেখে গেলো। সাজসজ্জা দেখে বুঝলাম এটাই আদনানের রুম। তবে রুমের কোথাও তার কোনো ছবিফ্রেম নেই। আমি নিশ্চল হয়ে বসে রইলাম। বুকের ভেতর কোথাও একটা চিনচিন করছে। রাশেদ ভাইয়ের সাথে করা ঝগড়া গুলো খুব মনে পড়ছে। তার আর আমার মাঝে এখন কয়েক সহস্র দেয়াল। যা ভেদ করা সম্ভব নয়। কিছুক্ষের মাঝেই আদনান এলো। আমি উঠে দাঁড়ালাম। এই মানুষটা এখন আমার স্বামী। আর যাই হোক তাকে ধোঁকা দেওয়ার মতো পাপ করা যাবে না। রাশেদ ভাইয়ের ব্যাপারে সবটা জানার অধিকার আছে তার। সিদ্ধান্ত নিলাম আজ তাকে সব বলবো।

‘আপনাকে কিছু বলার ছিলো।’

আদনান ভ্রু কুঁচকে আমার দিকে তাকালো। আমার বুকের ভিতর ধকধক করছে। সবটা শুনেকি আদনান আমাকে খারাপ ভাববে? কোনো ছেলেই এটা মেনে নিবেনা যে তার ওয়াইফ তাকে নয় বরং অন্য কাউকে ভালোবাসে। এই মুহূর্তে আদনান রেগে যদি আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয় তাহলে বাপের বাড়ি যেয়ে ওঠার ও কোনো মুখ থাকবেনা আমার। লোকে হাসবে। বাবার অসম্মান হবে। হায়! কতটা অসহায় আমি!

‘মিতালি? আপনাকে ক্লান্ত লাগছে। বিশ্রাম নিন।’

আদনানের আচরণ বেশ শান্ত। যা আমাকে আরো মিহিয়ে তুলল। আদনান কি কিছু জানতে পেরেছে? আমি আদনানের দিকে তাকালাম। সে আমার দিকেই তাকিয়ে আছে। আমার চোখে পানি এসে যাচ্ছে। আজ যদি সত্যিই আদনান আমাকে মানতে অস্বীকার করে তাহলে আমার করার কিছুই থাকবে না।

‘পানি খাবেন?’

হঠাৎ কথা বলায় চমকে গেলাম। দ্রুত মাথা নাড়িয়ে সায় জানালাম। আদনান পানির গ্লাস এগিয়ে দিলো। কাঁপা হাতে একসাথে পুরো পানি শেষ করে ফেললাম।

‘জোসনার রাত আজ। আমার সাথে বারান্দায় বসে এক কাপ কফি খেতে আপত্তি নেই তো?’

আদনানের কন্ঠস্বর করুন শোনালো। তার চোখ মুখের অবায়ব এখন ভিন্ন। খুব আদুরে। আমি সম্মতি দিলাম। বারান্দায় গদিয়ালা নিচু দুটো চেয়ার। সামনে ছোট্ট একটা টি টেবিল। পুরো বারান্দায় আর কোথাও কিছু নেই। আজ সত্যিই সুন্দর জোসনা পড়েছে। চাঁদের সুন্দর রূপালি আলো বারান্দায় এসে পড়ছে।

‘মিতালি।’

‘হ্যাঁ’

‘আমি চাই আপনাকে নিয়ে সুন্দর একটা জীবন কাটাতে। আমাকে ভালোবাসতে জোর করবোনা আমি কখনো। শুধু বলবো আমার পাশে থাকতে। আমার সংসারটাকে আগলে রাখতে। পারবেন না?’

‘পারবো।’

‘আপনার কিছু বলার থাকলে বলতে পারেন।’

‘আসলে আমি…..’

‘আপনি মানুষ। কাউকে ভালোবাসাটা অন্যায় কিছু না। এটা নিয়ে এতটা দুশ্চিন্তা করার কিছু নেই। আমি কিছু মনে করিনি।’

‘আমিতো আপনাকে এখনো কিছু বলিইনি।’
আমি অবাক হয়ে বললাম। প্রতিউত্তরে আদনান মুচকি হাসলো।

‘আপনি না বললেও আমি জানি।’

‘কিভাবে?’

‘সেটা নায়হ গোপন থাকলো। কিছু কথা গোপন থাকা ভালো।’

_____________

বিয়ের পরের দিনগুলো খুব দ্রুততার সাথেই কাটতে লাগলো। নতুন পরিবার নতুন মুখ সবকিছুর সাথে মানিয়ে নিতে প্রথমে একটু কষ্ট হলেও অসম্ভব ছিল না‌। আদনান সাহায্য করেছে অনেক। আদনান মানুষটা অদ্ভূত। তাকে যত দেখি ততই যেন অবাক হই। এই মানুষটাকে বোঝার ক্ষমতা নেই আমার। তাকে যত বোঝার চেষ্টা করি ততই যেন দিক হারিয়ে ফেলি। এই মানুষটার পাগলামি আমায় বাধ্য করেছে তাকে ভালোবাসতে। তার সংসারটাকে ভালোবাসতে। তবুও কোনো এক নিশ্চুপ রজনীতে রাশেদ নামক অপ্রিয় ব্যাথাটা জেগে উঠে। খুব করে কাঁদায় আমাকে। এই ব্যাথা হয়তো এভাবেই সারাজীবন আমাকে বইতে হবে।

রাশেদের চাকরি হয়েছে। চাকরির পাশাপাশি বাবার ব্যাবসার ও দেখাশোনা করে সে। সারাদিন কাজ শেষে বাসায় ফিরতেই মিতু ব্যস্ত হাতে ঠান্ডা পানি এগিয়ে দেয়। রাশেদের ভালো লাগে। মেয়েটা বড্ড লক্ষি।

___________

দেখতে দেখতে এক বছর পার হয়ে গেছে। আমার আর আদনানের সম্পর্কের অনেক উন্নতি হয়েছে। শুনেছি মিতু আপু তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা। শুনে খুব খুশি হলাম। ছোট্ট একটা পিচ্চু আসবে ভাবতেই খুশি খুশি লাগছে। আদনানকে কল করে বলতেই সে তার স্বভাবসুলভ ভাবে বলল,

‘তোমার চাই? শুধু একবার বলো!’

‘অসভ্য।’

‘তোমার বর।’

ধুর। কল কেটে দিলাম। এই লোকের সাথে কথা বলাই বেকার। আপাতত ভাবছি মিতু আপুকে এই খুশি উপলক্ষ কি গিফট করা যায়। অনেক ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নিলাম এই খুশিতে মিতু আপুকে নিয়ে কোথাও একটু ঘুরে আসলেই হয়। বেচারি তার ব্যস্ত বরের জন্য কোথাও ঘুরতে যাওয়ার সুযোগ টুকুও পায়না। মিতু আপুকে কল করে রেডি হয়ে থাকতে বললাম। ঘুরতে যাব শুনতেই সে খুশিতে চিৎকার করে উঠেছে।

প্রেগন্যান্সির সময় মেয়েদের ঘনঘন মুড সুয়িং হয়। আপুর ক্ষেত্রে ব্যাপারটা একটু বেশিই প্রভাব ফেলেছে। আপুর বাচ্চাদের মতো বায়না আর গাল ফোলানো দেখে আমি হতাশ। অবশেষে না পেরে বাধ্য হয়ে রাশেদ ভাইকে কল করতে হলো। আধঘন্টার মাঝে রাশেদ ভাই উপস্থিত। আমাকে কান টেনে বকে দিলেন তার অসুস্থ বউকে ন য়ে ঘুরতে বের হওয়ার জন্য। আপুকে সুন্দর করে বুঝিয়ে শুনিয়ে বাড়ির পথে রওনা হলাম। আমি আমার চোখে নতুন এক রাশেদ ভাইকে দেখতে পেলাম যেন। তার চোখে রয়ছে অনাগত সন্তানের জন্য স্নেহ এবং তার সন্তানের জন্মদাত্রী মায়ের জন্য ভালোবাসা। এই রাশেদ ভাইটা সত্যিই অতুলনীয়।

দিন সময় এভাবেই অতিবাহিত হতে লাগলো। আমার সারাদিন কাটে পরাশোনা আর উপন্যাসের বই এর মধ্যে। আদনান ওর অফিস নিয়ে সর্বদা ব্যস্ত। আদনানের ছোট্ট লাইব্রেরিটাই আমার সারাদিনের সঙ্গি। মাহিন অনেকটা বড় হয়ে গেছে। এখন বাড়িতে গেলে আগের মতো ঝগড়া করে না। আগের মতো দুষ্টুমিও করে না। লক্ষি ছেলে হয়ে গেছে। মায়ের হাতে হাতে কাজেও সাহায্য করে। পড়াশোনায় বেশ ভালো। এবার ক্লাস টপ করেছে। উপহার হিসেবে একটা সাইকেল গিফ্ট করেছি। খুব খুশি হয়েছে। এভাবেই চলছে দিন। যাচ্ছে বছর। ভালোবাসার মানুষ গুলোকে ভালো থাকতে দেখে নিজেকে পৃথিবীর সবথেকে সুখি মানুষ বলে মনে হয়। সত্যি জীবনটা সুন্দর। ভিষণ রকম সুন্দর।

সমাপ্ত

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে