মধুমাস পর্ব-১০

0
666

#মধুমাস
#পর্ব_১০
#জাকিয়া_সুলতানা_ঝুমুর

সামনে নি,র্বাচন।ফিরোজ তুমুল ব্যস্ত।কোনোদিকে তাকানোর ফুসরত মিলছে না।বাড়ি থেকে ভোর সকালে বেরিয়ে যায় ফিরে গভীর রাতে।তার উপরে অনেক দায়িত্ব,ছা,ত্রলীগের সভাপতি বলে কথা।শান্তিতে দু দন্ড থাকার জো নেই,অবশ্য এই কাজই ফিরোজের শান্তির কাজ কিন্তু ইদানীং তাকে এই কাজও ঠিকঠাক শান্তি দিতে পারছেনা একজনকে দেখতে বুকে কেমন তৃষ্ণা জাগে,রাস্তা দিয়ে আসার সময় চোখের দৃষ্টি বারবার আশেপাশে সন্দানী চোখে শান্তি খুঁজে।শ্যামা যে তার এতোটা জুড়ে নিজের জায়গা জাহির করে নেবে সে কি তা জানতো?শ্যামা যখন কলেজে যায় তখন যে উপজেলার বারান্দা দিয়ে তাকিয়ে থাকে,এই কিছুক্ষণের দেখাই যেনো অন্তর ঠান্ডা করে দেয়,মেয়েটা যখন তার খুঁজে এদিক ওদিক তাকায় তখন তার কি যে শান্তি লাগে,মেয়েটার চোখের উতলা ভাব তার হৃদয় ছুঁয়ে যায়।ফিরোজ নিজের পরিবর্তনে নিজেই অবাক,শেষমেষ কিনা একটা বাচ্চা তার গেঞ্জির সাথে সাথে মনও চুরি করে নিলো!ফিরোজ হাসে,শ্যামাকে জিতিয়ে দিতে ভালো লাগছে কিন্তু ওই ছোট বেলা থেকে লালন করা কথাগুলো এতো সহযে কি ভুলা যায়,নারীর প্রতি বিতৃষ্ণা কি এতো সহযে তাড়ানো যায়?কি জানি!ফিরোজ আজকাল এগুলো নিয়ে আর ভাবে না,এরচেয়ে বরং পাগলরূপী শ্যামাকে নিয়ে ভাবতেই তার বেশী ভালো লাগে।এই ভালোলাগাটা কি সাময়িক মোহ নাকি ভালোবাসা সেটা উপলব্ধি করার জন্যই ফিরোজ কিছুদিন ধরে শ্যামার সাথে কথা বলছেনা,আর না দেখা করেছে।সে নিজের দুর্বলতাটা দেখতে চায়,নিজের মনের উতলা ভাব নিজেই যাচাই করতে চায়।সেদিন রাতে ফিরোজের খেয়াল হলো শ্যামার একটা ছবিও তার কাছে নেই অথচ শ্যামাকে দেখতে ভিষণ ইচ্ছে করছে।সে কখনো ছবি রাখার প্রয়োজনবোধ করেনি কে জানতো এই মেয়েকে দেখার জন্যই অন্তরাত্মা ডাঙ্গায় উঠা মাছের মতো তপড়াবে।ফিরোজ উঠে দাঁড়ায়,ঘড়ির কাটায় রাত বারোটা,ধীরপায়ে শ্যামাদের ঘরের দিকে এগিয়ে যায়।অনেকক্ষণ বাহিরে দাঁড়িয়ে থেকেও সে শ্যামাকে ডাকতে কিংবা ফোন দিতে সাহস পায় না,এতরাতে বুড়ির ঢোলে বারি পড়লে নির্ঘাৎ পাগল হয়ে যাবে,তাই নিজের এই বাড়াবাড়ি রকমের ইচ্ছাকে দমিয়ে আবার বাড়ি চলে যায়,ছটফটানো হৃদয় শান্ত হয় না৷

শ্যামা দ্রুত পায়ে এগিয়ে যায়।এইতো একটু আগেই ফিরোজ বাইক দিয়ে সাই সাই করে চলে গেলো শ্যামা কতোদিন ধরে উনাকে দেখে না এই ব্যাপারে উনার কি ধারনা আছে?সেইদিন রাতে একটু টকদইয়ের মতো কথা বলে সেই যে হারালো আজকে এত্তোগুলো দিন হয়ে গেলো না দেখা,না কথা,না ফোন।আরে ভাই এভাবে বাঁচা যায়?দম আটকে আসে না?একটু হাতের ইশারা দিয়ে তুমি লুকিয়ে পড়বে তা তো হবেনা।সেদিন কি দাবানল টাবানলের কথা বলে নিজেই গুম হয়ে গেছে,যদি দাবানলে পুড়ানোর থাকে পুড়িয়ে দাও এই লুকোচুরি কেনো?কতোদিন ফিরোজকে চোখের দেখা দেখেনা!
কলেজে যাওয়ার ফাঁকে খুঁজেছে কিন্তু দেখেনি ফারিয়ার সাথে দেখা করার বাহানায় তাদের বাড়িতে দিনে পাঁচবার পর্যন্ত গিয়েছে কিন্তু উনার দেখা নেই।ফারিয়ার থেকে শুনেছে নির্বাচনের কাজে নাকি ফিরোজ তুমুল ব্যস্ত।এই ব্যস্ততার কারণে ঠিকঠাক বাড়িই থাকে না।শ্যামা সব বুঝে কিন্তু কি করার অবুজ মন তো বুঝতে চায় না,বাস্তব জীবনের এই মারপ্যাঁচ মনের আদালতে চলে না।সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসছে।হাতের মুঠোয় নীল কাগজ পুড়ে সে ফারিয়াদের বাড়ির দিকে এগিয়ে যায়,নীল কাগজ ছাড়া চিঠি বেমানান,চিঠিতে আবার তার গায়ে মাখার পারফিউম দিয়ে রেখেছে যেনো চিঠি খুললেই ফিরোজ ঘ্রাণ পায়।উনি ফোন ধরেনা তাতে কি আগের যুগে তো ফোন ছিলোনা তখন চিঠি দিয়ে মনের আবেগ প্রকাশ হতো শ্যামাও তাই করবে,চিঠি দিয়ে তার কষ্ট,অভিমান ফিরোজের সামনে তুলে ধরবে,তারপরও যদি পাষাণ পুরুষটা বুঝে।ফারিয়ার রুমের পরে ফিরোজের রুম।রোজিনা বেগম রান্নাঘরে রাতের খাবারের আয়োজন করছে ফারিয়া ছাদে।এই ফাঁকে শ্যামা ফিরোজের রুমে ঢুকে যায়।বালিশের নিচে নীল খামটা রাখে;রাখার পরে আবার বের করে একটা চুমু দিয়ে দেয়।জলদি বেরিয়ে ছাদের দিকে ছুটে।চিঠিটা খুবই জঘন্য হয়েছে আর এটা পড়ার পরে ফিরোজের প্রতিক্রিয়া কি হবে ভাবতেই শ্যামার হাত পা ঠান্ডা হয়ে আসে।শ্যামা অবশ্য এসবে ভ,য় পায় না সে সাহসী কিন্তু মাঝে মাঝে ফিরোজের সামনে একটু ভ,য় লাগে এই যা!

ফিরোজ বাড়ি ফিরে মধ্যরাতে।একট্রা চাবি দিয়ে কেচিগেইট ঠেলে খুলে বাইক ভেতরে আনে।আজকে কাজের চাপটা একটু বেশীই হয়ে গেছে।এমপি সাহেব আর থানার ওসির সাথে গুরুত্বপূর্ণ মিটিং ছিলো,আর চারদিন পরেই নির্বাচন।সবাই চায় নির্বাচন সুষ্ঠ স্বাভাবিক ভাবে হোক।বি,রোধী দলের একজন আজকে ফিরোজকে নানান কথা বলেছে ফিরোজ চুপ করে ছিলো।এই মূহুর্তে মাথা গরম করে উল্টাপাল্টা কিছু করলেই সেটা হেডলাইন হয়ে যাবে সে চায়না তার একার জন্য দলের নাম খারাপ হোক।বাহিরে সবার সাথে খেয়ে এসেছে বিধায় আর টেবিলের দিকে যায় না সোজা রুমে এসে কাপড় পালটে বাথরুমে চলে যায়।বাহির থেকে এসে গোছল না করলে ফিরোজ ঘুমাতে পারবেনা,এটা তার অনেক পুরোনো অভ্যাস।গোসল সেরে বিছানায় গা এলিয়ে দেয়।সারা দিনের ধকলে শরীর বিছানা পাওয়ার পরে অবস হয়ে পড়ে।চোখে ভর করে ক্লান্তির ঘুম।সে উপুড় হয়ে শোয়,একহাত বালিশের উপরে আরেকহাত বালিশের নিচে দিয়ে শোয়ার পরে হাতে কাগজ জাতীয় কিছু লাগে।ফিরোজের ভ্রু কুঁচকে আসে,সে তার রুম আর বিছানা নিজেই পরিষ্কার করে যথারীতি আজকেও করেছে কিন্তু এই কাগজ আসলো কোথা থেকে?মোবাইলের ফ্লাশ জ্বেলে কাগজটা চোখের সামনে তুলে ধরে।নীল কাগজ ভাজ করে রাখা।উপরে গুটগুট করে লেখা মধুমাসের মুধুরাজাকে।ফিরোজের মুখে হাসি ফুটে উঠে,এতোক্ষনের ক্লান্তিভাব যেনো নিমিষেই পালায়,মন হয়ে যায় ফুরফুরে।না চাইতেও চিঠিটা গালে চেপে ধরে,ঠোঁট ছুয়িয়ে দিলেই নাকে এসে লাগে মিষ্টি ঘ্রান,শ্যামার ব্যবহৃত পারফিউম বুঝতে পেরে ফিরোজ আরো নাকে চেপে ধরে,চোখ বন্ধ করে ভাবে এই মেয়ে তাকে পাগল না করে ক্ষান্ত হবেনা।হাসিমুখেই চিঠিটা পড়তে শুরু করে,

মধুরাজা,
কেমন আছেন?নিশ্চয়ই ভালো আছেন।কিন্তু আমি যে ভালো নেই সে খবর কি রাখেন ?
ফোন না করলেই কি যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাবে?আমি প্রাচীনকালের পদ্ধতি অবলম্বন করলাম,চিঠি দিলাম নীল কাগজে।নীল কাগজ ছাড়া চিঠি মানায় না।
আপনাকে কতোদিন ধরে দেখি না এই হৃদয় এবার বি,দ্রোহ ঘোষণা করেছে,মধুরাজাকে না দেখলে মধুরানী কি ঠিক থাকতে পারে?আমি অভিমান করেছি।আপনার উপর আমার এক আকাশ অভিমান।আপনার সবদিকে খেয়াল থাকে শুধুমাত্র আমি ছাড়া।খুব বেশী ভালোবাসি তাই এমন করেন তাই না?আপনি জানেন আমি ঠিকঠাক খেতে পারি না,ঘুমাতে পারি না।কি এক অজানা অসুখ আমাকে ধীরে ধীরে মে,রে ফেলছে;সেদিন এক ফকির বাবা বললো এই অসুখ শুধুমাত্র মধুরাজাই নিরাময় করতে পারবে।কিন্তু আমার বোধহয় সুস্থ হওয়া হবে না কেননা আমার মধুরাজা তো আমার দিকে মনোযোগ নেই।
আচ্ছা আপনি কি আমার হৃদয়ের র,ক্তক্ষরণ দেখতে পান না।পাখির ছটফটানি কি একবারও চোখে পড়ে না।আজন্ম তৃষ্ণার্থ বুকে একটু ভালোবাসার জল দিলে কি খুব বেশী ক্ষতি হয়ে যাবে?
ধুর!আপনাকে এসব বলে কি লাভ!আপনি একটা আনরোমান্টিক,নিরামিষ মানুষ,এই বালিকার মন বুঝার ক্ষমতা আপনার নেই,আপনি বুঝেন খালি রাজনীতি।
হ্যাঁ আমি অভিমান করেছি,অভিমানে কান্নাও করেছি।খবরদার আমাকে ফোন দেয়া যাবে না।ফোন দিলে বাসায় চলে আসবো।আমি কিন্তু ভয় পাইনা।চিঠি দিয়েছি বলে ভাববেন না আমি আপনাকে ভালোবাসি।একটুও ভালোবাসি না,এই ছোট বালিকার কোমল মন যে বুঝে না তাকে এতো ভালোবাসা বাসির দরকার নেই।

ইতি,
ইতি কি হবে আপনিই বলেন।”

দীর্ঘ চিঠি পড়ে ফিরোজের ঠোঁটের হাসি প্রসস্ত হলো,চোখের তারায় খেলে গেলো দুষ্টুমির হাসি।মোবাইল ফোন হাতে নিয়ে ডায়াল করলো অভিমানীর মোবাইল নাম্বারে।পাঁচবার বেজে কেটে গেলো।ছয়বারের সময় শ্যামা ঘুম জড়ানো গলায় বললো,
“আপনি এতোক্ষণে ফোন দিয়েছেন?”

ঘুমঘুম কন্ঠ শুনে ফিরোজ চোখ বন্ধ করে ফেললো।সারাদিনের অশান্তি,ছটফটানির অবসান ঘটলো এই একটি রিনিরিনে কন্ঠের কাছে।ফিরোজ ঘড়িতে সময় দেখে রাত তিনটা।
“এতোক্ষণেই বাসায় আসলাম।”

শ্যামা অভিমানী গলায় বললো,
“কেনো ফোন দিয়েছেন?”

ফিরোজ পালটা প্রশ্ন করলো,
“আপনি চিঠি কেনো দিয়েছেন?”

“জানিনা।”

ফিরোজ বালিশের উপর মাথা রেখে বললো,
“আমিও জানি না।”

শ্যামা চুপ করে থাকে।ফিরোজ কিছুক্ষণ পরে বললো,
“অভিমানীর রাগ কমেছে?”

“কমেছে।”

“চিঠিটা খুব সুন্দর ছিলো।”

“মনের সবটা ভালোবাসা দিয়ে লিখেছি সুন্দর না হয়ে পারে?”

ফিরোজ হাসে।
“আমার জীবনের প্রথম চিঠি।”

শ্যামা অবাক হয়ে বললো,
“আর কখনো কেউ চিঠি দেয়নি?”

“না।আমার কাছে ঘেষারই সাহস পেতো না চিঠি দেবে কি?”

“আমিতো ভ,য় পাই না।”

ফিরোজ খুবই আস্তে করে বললো,
“তুমি তো মধুরানী ভ,য় পেলে চলবে?”

শ্যামার ঘুমঘুম ভাব ছুটে যায়।মস্তিষ্ক জানান দেয়।এই মূহুর্তে ফিরোজ এক ভ,য়ংকর কথা বলে ফেলেছে।
“কি বললেন?”

ফিরোজ হাত দিয়ে চুল টেনে ধরে বললো,
“কিছুনা।”

শ্যামা মুচকি হাসে।ফিরোজের কথাটা তার কানে গেছে,আর তাইতো কেমনতর সুখে নাচতে ইচ্ছে করছে।
“ইতি কি দেয়া উচিত ছিলো বললেন না?”

ফিরোজ ভেবে বললো,
“ইতি গেঞ্জি চোর দিলেই পারফেক্ট হতো।”

শ্যামা উদাশ গলায় বললো,
“গেঞ্জিই চুরি করতে পারলাম মন তো আর পারলাম না।”

ফিরোজ মনে মনে ভাবে সেটাও বোধহয় করে ফেলেছো বোকা মেয়ে।মুখে বললো,
“এতোসব পারার দরকার কি?”

“আছে আছে।”

ফিরোজ জিজ্ঞেস করলো,
“তা তোমার ফকির বাবা আর কি বললো?”

শ্যামা নিজের হাসি লুকিয়ে গম্ভীর গলায় বললো,
“মধুরাজা আমাকে ভালোবাসলেই আমার অসুখ সারবে নাহলে নির্ঘাৎ ম,রে যাবো।”

ফিরোজ হাসে।মেয়েটা ধুরন্ধর চালাক।
“চুরি ডাকাতি করতে বলেনি?”

“না।”

“আচ্ছা,দেখা যাক কি হয়।”

শ্যামা ফিসফিস করে বললো,
“ভালো লাগেনা তো।”

এমন নরম,আদুরে কন্ঠে কথা বললে প্রণয়পুরুষ কি করে ঠিক থাকে?ফিরোজের কেমন এলোমেলো লাগে,বুকের কাঁপন শ্যামাকে বুঝতে না দিয়ে বললো,
“কেনো?”

মনের কথা মুখে আনার সাহস হলোনা।আস্তে করে বিবস গলায় বললো,
“আপনি বুঝেন না?”

ফিরোজ আর কথা বাড়াতে চাইছে না।পাগল একবার আশকারা পেলে খবর আছে।
“ঘুমাও; ঘুমালে ভালো লাগবে।”

শ্যামা আদুরে গলায় গুঙ্গিয়ে উঠে।
“ভালোবাসি।”

ফিরোজ ফিসফিস করে বললো,
“বেয়াদব মেয়ে ঘুমাও।”

“ওই….”

“গেঞ্জি চোরের সাথে কথা নেই।”

“মনচুরি করতে পারলে কথা বলবেন?”

“না।তুমি পাগল তোমার সাথে কথা বলে আমিও পাগল হতে চাই না।”

“একবার পাগল হয়ে দেখেন,পাগলামিতে মজা আছে।”

“রাখছি।”

শ্যামা তার কোমল স্বরে আদর মিশিয়ে বলে উঠলো,
“লাভিউ সোনাপাখি।”

ফিরোজ দম আটকে বিছানায় পড়ে রইলো।বুকে জ্বলজ্বল করে শ্যামাকে কাছে পাওয়ার আগুন জ্বলে গেলো অবিরত।ইশ এবার একটা ব্যবস্থা করতেই হবে,বাচ্চার পাগলামি এখন আর বাচ্চামিতে আটকে নেই পাগলামিগুলো ভ,য়াবহ হয়ে যাচ্ছে,সেই ভ,য়াবহ সীমারেখা ফিরোজও অতিক্রম করে ফেলছে।ইশ!আচ্ছা জ্বালা তো।

সকালে ঘুম থেকে উঠে শ্যামা কলেজে যাচ্ছে।উপজেলার সামনে হাঙ্গামা দেখে ফারিয়া এগিয়ে যায়।তার ভাই যেহেতু এখানে থাকে কি নিয়ে এমন চিল্লাচিল্লি তা দেখার জন্য দুই বান্ধুবী এগিয়ে যায়।গিয়ে ঁযা দেখলো তা দেখার পরে শ্যামার বুকের পাখি উড়ে যাবার যোগার।রিপন আর ফিরোজের তর্কাতর্কি এক পর্যায়ে হাতাহাতিতে পৌছে যায়।সবাই মিলে ছুটানোর পরেও রিপন ঠাস করে ফিরোজের গালে থাপ্পড় দিয়ে ফেলে ফিরোজও পালটা আক্রমণ করে।শ্যামার গলা শুকিয়ে যায়,আপন ভাই আর প্রিয়পুরুষের মাঝের এই দ্বন্ধে তার সব শেষ হয়ে যাবে এটা বুঝতে কষ্ট হচ্ছে না।একটু আলোর রেখা না দেখতেই কি মিলিয়ে যাবে?ফিরোজের রাতের বলা নরম সুরের কথাগুলো এখনো কানে বাজে।

চলবে…….

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে