ভৈবর নদীর পাড় পর্ব-০৬

0
92

#ভৈবর_নদীর_পাড়
কলমে : #ফারহানা_কবীর_মানাল
পার্ট -৬

সারা শরীরে হিমশীতল বাতাস বয়ে গেল। ফুফার মুখের ওপর না বলার সাহস নেই। আবার তার সাথে যাওয়ার সাহসও নেই। খাওয়া শেষে ফুফা আমার হাত ধরে বাইরে নিয়ে গেলেন। বরফ শীতল গলায় বললেন, “ভৈরব নদীর পাড়ে চল। একটা কাজ আছে।”

নিজের সমস্ত সাহস এক করে বললাম,”ভরদুপুরে যেতে ইচ্ছে করছে না। অন্য সময় যাব।”

“দুপুর তো কি হয়েছে? রোদ নেই। বিকেলে বৃষ্টি নামতে পারে। এখনই চল। যা কাপড় বদলে আয়। আমি অপেক্ষা করছি।”

ফুফা পকেট থেকে সিগারেট বের করে সিগারেট ধরালো। সরল গলায় বলল, “দাঁড়িয়ে আছিস কেন? কথা কানে যাচ্ছে না? দেরি করলে মাছ পাওয়া যাবে না।”

ফুফার দিকে তাকালাম। আকাশের দিকে তাকিয়ে সিগারেটের পশ্চাৎদেশে সুখটান দিচ্ছে। ভাব-ভঙ্গি দেখে মনে হচ্ছে সে আমায় না নিয়ে এক পা-ও নড়বেন না। দাদিকে বলব? না থাক। সব কথা দাদিকে বলতে ইচ্ছে করে না। বৃদ্ধ মানুষ, সারাক্ষণ নানান চিন্তায় উত্তেজিত হয়ে থাকে। তার ওপর হাই প্রেশার, হার্টের সমস্যা। ডাক্তার সাহেব টেনশন করতে নিষেধ করেছেন। এই মুহুর্তে আমি কিছু বললে দাদি চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে দেবে। সেটা একদম ঠিক হবে না। ঘরে গিয়ে কাপড় পাল্টে এলাম। বেরবার আগে দাদির ঘরে উঁকি দিয়ে এসেছি। দাদি ঘরে নেই। কোথায় গেছে কে জানে? দাদি কোথাও যাওয়ার সময় কাউকে বলে যায় না। নিজের ইচ্ছেমত চলে।

বর্ষার সময়। রাস্তাঘাট অন্ধকার। আকাশে মেঘ জমছে। ফুফা আগে আগে হাঁটছেন। স্বাভাবিক ভঙ্গিতে কথাবার্তা বলছেন। কথার ধরণ খুবই স্বাভাবিক। এই যেমন-

“ফয়সাল মিয়া, পড়াশোনা কেমন চলে?”

“ভালো চলছে।”

“কেমন ভালো? মুটামুটি ভালো নাকি বেশ ভালো?”

“মুটামুটি ভালো।”

“ভালো করে পড়াশোনা করা উচিত। না হলে জীবনে কোন উন্নতি করতে পারবে না।”

“মনে থাকবে।”

“শুধু মনে রাখলে হবে না। সেই অনুযায়ী কাজ করে যেতে হবে।”

“আচ্ছা।”

“নিয়মিত স্কুলে যাবে। স্কুলে না গেলে পড়াশোনা হয় না।”

“ঠিক আছে। যাব।”

কথার পিঠে কথা বলতে ভালো লাগছে না। নানান চিন্তায় মাথা খা’রা’প হয়ে আছে। দাদি আজ-কাল যা শুরু করেছেন তাতে খুব তাড়াতাড়ি বিশাল ঝা’মে’লা বাঁধবে। এই বয়সে দাদির এতো ঝক্কি সহ্য হবে না। ফুফুর ইচ্ছে মতো বাড়িটা ওদের নামে লিখে দিলেই সব ঝামেলা শেষ হয়ে যায়। আমি আর দাদি গিয়ে খুলনার বাড়িতে উঠতে পারি। দাদি তা করবেন না। কেন করবেন না সে-ও এক রহস্য। কাঁদা রাস্তায় জুতো পায়ে দিয়ে হাঁটা যায় না। কেমন পিছল হয়ে যায়। ফুফা বললেন, “ফয়সাল মিয়া বোধহয় আমায় পছন্দ করো না।”

স্বাভাবিক গলায় বললাম, “আপনি কি আমায় পছন্দ করেন? কখনও তুমি কখনও তুই বলে সম্মোধন করেন। কখনও ঠান্ডা মেজাজে কথা বলেন কখনও শান্ত থাকেন।”

“মেজাজ এমন হলেও আমি মানুষ হিসেবে বেশ ভালো।”

মনে মনে বললাম, ‘নিজের ঢাক নিজে পে’টা’চ্ছে। খ’বি’শ লোক একটা!’

ফুফা বললেন, “তোমার একটা খরব দিই। শুনলে মাথা খারাপ হয়ে যাবে।”

ফুফা আমাকে কি এমন বলতে চাইছেন যা শুনলে আমার মাথা খারাপ হয়ে যাবে। আজ ফুফার ভেতর অস্বাভাবিক কিছু লক্ষ্য করছি না। ডান হাতে মাছ ধরা জাল নিয়ে শান্ত ভঙ্গিতে হাঁটছেন। টুকটাক কথাবার্তা বলছেন। এখানে ভয়ের কিছু নেই। হঠাৎই চিঠির কথা মনে পড়ল এবং ভয়ে আচ্ছন্ন হয়ে গেলাম। ফুফা বললেন, “কথা বলছ না কেন? শুনবে নাকি?”

কাঁপা গলায় বললাম, “হ্যাঁ শুনব। বলুন।”

“আগেরদিন তোমার একটা টেস্ট নিলাম। তুমি একশে একশ দশ নম্বর পেয়েছ।”

“কি টেস্ট নিয়েছেন? আমার তো কিছু মনে পড়ছে না।”

“তোমার ফুফুর সাথে বাজি ধরেছিলাম।”

“আপনার কথা বুঝতে পারছি না।”

“দাঁড়াও বুঝিয়ে বলছি। সেদিন রাতে খাওয়া শেষে দু’জন বিছানায় শুয়ে আছি। তোমার ফুফু বলল, ‘ফয়সাল আমাদের পছন্দ করে না। বিশ্বাসও করে না।’
আমি বললাম, ‘আরে তুমি ভুল ভাবছ। আমরা তো ওর নিজের লোক।’
‘নিজের লোক আর পরের লোক নেই। মা সবসময় ফয়সালের কানে আমাদের নামে বি’ষ ঢালে। বাচ্চা ছেলের ওপর এর প্রভাব পড়ে না বলো?’
‘তা পড়ে বৈকি! আম্মা যে কি শুরু করেছেন! নিজেদের মধ্যে ঝামেলা লাগতে চাইছেন। তবে তুমি কষ্ট পেও না। ফয়সাল আমাদের বিশ্বাস করে।’
‘না রে। ফয়সাল আমাদের বিশ্বাস করে না।’
‘ বাজি হয়ে যাক।’
‘কি বাজি?’
‘ফয়সাল যে আমাকে খুব বিশ্বাস করে, তা তোমাকে প্রমাণ করে দেখাব।’
‘কিভাবে দেখাবে?’
‘ওকে নিয়ে মাছ ধরতে যাব। তাহলেই সব বোঝা যাবে।’
‘মাছ ধরতে গেলে কিভাবে সব বোঝা যাবে?’
‘আহা! শোনোই না। মাছ ধরতে যাওয়ার সময় তিশার হাত থেকে ওকে একটা চিরকুট লিখব। তাতে লেখা থাকবে- আমি ওকে মা’র’তে চাই।’
‘তারপর?’
‘তারপর ফয়সাল আমার সাথে গেলে বুঝতে হবে ও আমাদের বিশ্বাস করে। আর যদি আম্মাকে ডেকে ঝামেলা শুরু করে তাহলে বুঝব ও আমাদের বিশ্বাস করে না। হিসাব বরাবর।’
‘আমার খুব ভয় করছে। মা জানলে থা’না পু’লি’শ করতে পারে। উনাকে একটুও বিশ্বাস নেই।’
‘কিছু হবে না। ফয়সালের প্রতি আমার বিশ্বাস আছে।’

হতভম্ব হয়ে ফুফার দিকে তাকিয়ে রইলাম। এই লোক বলে কি? এসব কিছু পরিকল্পনা করে করেছে শুধুমাত্র আমার বিশ্বাস পরীক্ষা করার জন্য? কথাটা আমার বিশ্বাস করতে ইচ্ছে করছে না আবার ঠিক অবিশ্বাসও হচ্ছে না। ফুফা সহজ ভঙ্গিতে হাসলেন। তরল গলায় বললেন, “বাবা ফয়সাল। তোমাকে আমি ছেলের মতোই ভালোবাসি। শিমুল আর তালেবের সাথে পার্থক্য করি না। আমি তোমার ভালোই চাই।”

ফুফার এই কথার উত্তরে খুব গুছিয়ে কিছু বলা উচিত। যাতে উনি সন্তুষ্ট হয়ে যান। কিন্তু তেমন কোন শব্দ আমার মাথায় আসছে না। আমার চুপ থাকতে দেখে ফুফা বললেন, “কি হলো? চিন্তায় পড়ে গেলে নাকি?”

“না না। চিন্তা কিসের? আসলে কি বলব বুঝতে পারছিলাম না।”

ফুফা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললেন, “তুমি আর কি বলবে বলো! যাদের জন্য চু’রি করি তারাই বলে চো’র। তোমাকে আর আম্মাকে খুব ভালোবাসি বিধায় নিজের বাড়িঘর ফেলে এখানে এসে উঠেছি। চাকরির বদলি করাতে কত সমস্যা হলো। তারপর আম্মার মন পাওয়া যায় না।”

“দাদির মন দিয়ে কি করবেন ফুফা?”

ফুফা চমকে উঠলেন। সেই চমক আমার চোখ এড়ালো না। এই লোকটা হুট করে এমন কথা কেন বলছে বুঝতে পারছি না। কি চাইছে আমার কাছে? আমায় মে”রে ফেলা সহজ কোন কাজ না। বড় মামা পুলিশ অফিসার। ছোট মামা আর্মিতে চাকরি করে। এমনিতে তারা খোঁজখবর না নিলেও ম”রার পর ঠিকই নানান সমস্যা করবে। মৃ’ত মানুষের ওপর আমাদের মায়া মততা বেড়ে যায়। ভালোবাসা উপচে পড়ে। ম”রার পরপর দু-চার দিন মৃ’তব্যক্তিকে খুব ভালোবাসতে ইচ্ছে করে। নানান স্মৃতি মনে পড়ে। কেউ সেই কষ্ট লুকাতে চায় না। দু’ফোটা চোখের পামি ফেলতেও দ্বিধা করে না।

খানিকক্ষণ চুপ থাকার পর ফুফা বললেন, “আমার বাবা খুব ধার্মিক মানুষ ছিলেন। সারাক্ষণ নামাজ রোজা নিয়ে পড়ে থাকতেন। বাবা কয়েকটা কথা বলতেন।”

কৌতূহলী গলায় বললাম, ” কি কথা বলতেন?”

“কুরআনের আয়াত বলতেন। কুরআন শরিফে এতিমদের নিয়ে অনেক কথা বলা আছে। সেসব বলতেন।”

বুকের মধ্যে ধক করে উঠল। ফুফা কি আমায় এতিম বলতে চাইছেন? অবশ্য চাওয়া না চাওয়ার কি আছে। সত্যিই তো আমি এতিম। আমার মা বাবা নেই। দুনিয়ার বুকে এতিমই আমার পরিচয়। নিতান্ত অনিচ্ছায় প্রশ্ন করলাম, “কি আয়াত আছে?”

ফুফা যেন এই প্রশ্নের অপেক্ষায় ছিলেন। তড়িঘড়ি করে বললেন, ” কুরআন শরীফে আল্লাহ বলেছেন ‘সুতরাং আপনি এতিমের প্রতি ক’ঠো’র’তা করবেন না।’ (সুরা দোহা : আয়াত ৯)
শুধু এটা নয় অন্য জায়গায় বলেছেন – ‘নিশ্চয়ই যারা পিতৃহীনদের (এতিমদের) সম্পদ অ’ন্যায়ভাবে গ্রা’স করে, তারা আসলে নিজেদের পেটে আ’গু’ন ভ’ক্ষ’ণ করে। আর অচিরেই তারা (জা”হা”ন্না”মের) জ্ব”ল’ন্ত আ’গু’নে প্রবেশ করবে।’ (সুরা নিসা : আয়াত ১০)
এমনকি এতীমদের সম্পদের কাছে যেতেও নি’ষেধ করেছেন।
“এতিম পরিণত বয়ঃপ্রাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত তার সম্পত্তির নিকটবর্তী হয়ো না।
তবে সদুপায়ে (সম্পদের উন্নতি করার লক্ষ্যে) তা ব্যবহার করা যাবে। আর প্রতিশ্রুতি পূরণ করো। কেননা (কি”য়া”ম”তের দিন) প্রতিশ্রুতি সম্পর্কে কৈফিয়ত তলব করা হবে।’ (সুরা : বনি ইসরাঈল, আয়াত : ৩৪)”

মৃদু হাসলাম। শান্ত গলায় বললাম, “এসব আয়াত আপনার মুখস্থ?”

ফুফা লজ্জিত ভঙ্গিতে বললেন, “ওই টুকটাক মুখস্থ আছে। একটা জিনিস খেয়াল করেছ? আল্লাহ বলেছেন সম্পদের উন্নতির জন্য এতীমদের সম্পদ ব্যবহার করা যায়। এখন আমি যদি তোমার সম্পত্তি বৃদ্ধির জন্য তাই দিয়ে ব্যবসা করি তাহলে কোন পা”প হবে না। শুধু তুমি বড় হলে সেসব ফেরত দিতে হবে।”

এতক্ষণে ফুফার উদ্দেশ্য পরিষ্কার হলো। উনি যেকোন উপায়ে আমার কাছ থেকে সম্পত্তিগুলো হাতিয়ে নিতে চান। উনার এই চাহিদা পূরণের পেছনে সবচেয়ে বড় বাঁ’ধা দাদি। দাদির কারণে এমন করতে পারছেন না। সেজন্য আমার ব্রেনওয়াশ করতে চাইছেন। মানুষের ব্রেনওয়াশ করার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো নিজেকে ভালো প্রমাণ করা। এই ভালো সাজার সবচেয়ে সহজ উপায় ধর্মকে কাজে লাগানো। ধর্মের ব্যাপারে মানুষের হৃদয় খানিকটা কোমল থাকে। কাজেই কুরআনের আয়াত তুলে ব্যাখ্যা করা খুব যুক্তিযুক্ত কাজ। যেন আমি ওনাকে বিশ্বাস করে সবকিছু ওনার হাতে তুলে দিই। আমি দিতে চাইলে দাদির খুব বেশি কিছু করার থাকবে না। ফুফা উকিল ধরে সবকিছু ঠিকঠাক করে নেবেন। যে লোক এক ওয়াক্ত নামাজ পড়ে না সে-ও কুরআনের আয়াত পড়ে শোনায়। এসব নেহাৎ ভ’ণ্ডা’মি। চো’র মুসল্লীর সাজে জুতো চু’রি করে। তাই বলে কি মুসল্লী চো’র হয়ে যায়? খা’রা’প মানুষরা সবসময় ভালো মানুষির মু’খো’শ পরে আমাদের ধোঁ’কা দিতে চায়।

ফুফা বললেন, “তোমার দাদির ব্যাপারে একটা খবর শুনবে নাকি?”

“কি খবর শুনব?”

“আম্মা তার সব সম্পত্তি নিজের ভাইপোর নামে লিখে দিচ্ছে। শুনেছি বাড়িটাও তাকে লিখে দিবে। ক’দিন আগে কথা হয়েছে।”

“এসব আপনাকে কে বলল?”

“খবর দেওয়ার লোকের অভাব নেই বাজান। তাছাড়া এসব কথা বাতাসে ভেসে বেড়ায়। কান পাতলেই শোনা যায়।”

“ফুফা! মাছ ধরতে আসছি, চলেন মাছ ধরি। এই প্রসঙ্গ বাদ দেন। শুনতে ভালো লাগছে না।”

ফুফা ঠোঁট বাঁকা করে হাসলেন। অত্যন্ত শীতল গলায় বললেন, “তোমার দাদি যদি সব সম্পত্তি তার ভাইপোকে দিয়ে দেয় তখন তুমি কি করবে?”

“কি করবো? আপনার যদি আপনি ফুফুর সম্পত্তি ফুফুর নামে লিখে দেন এতে আমার কি করার থাকতে পারে? তেমনই দাদির বেলায়ও আমার কিছু বলার নেই।”

“কিছুই করবে না? এমনি এমনি সবকিছু ছেড়ে দেবে? তোমার জায়গায় আমি থাকলে তো দাদিকে খু” ন করে ফেলতাম।”

“দাদি এমন করতে পারে না। আর যাি করে তাহলে আমিও না হয় তাকে খু’ন করে ফেলবো।”

কথাটা বলে জিভ কা’ম’ড়ে ধরলাম। রাগের মাথায় এই কথাটা বলে ফেলা উচিত হয়নি। কিন্তু কি করার? বলা কথা ফেরত নেওয়ার কোন উপায় নেই। থাকলে এই কথাটা ফেরত নিতাম। ফুফা সহজ গলায় বলল, “যাকগে বাদ দাও। ওই ঝোপের দিকে চলো। ওখানে বেশ মাছ পাওয়া যায়।”

ফুফার পেছন পেছন ঝোপের দিকে গেলাম। ঝোপের পাশে কাঁদা মাখা শরীরে একটা মানুষ পড়ে আছে। মুখ বোঝা যাচ্ছে না। ফুফা বললেন, “বাবা ফয়সাল! দেখ তো ওইটা কে? আমার খুব ভয় করছে।”

সাহস দেখিয়ে লা”শটাকে ঘুরলাম। এবং চিৎকার দিয়ে পেছনে সরে আসলাম। ভয় জড়ানো গলায় বললাম, “ফুফা এটা তো দাদি! দাদি এখানে কিভাবে এলো?”

ফুফা ব্যস্ত গলায় বললেন, “ওই দেখ। ছু” রি ঢোকানো। তাড়াতাড়ি ওইটা বের কর। বেঁচেও থাকতে পারে।”

আমি গিয়ে ছু”রির হাতল ধরে ছু”রি বের করার চেষ্টা করতে লাগলাম। মিনিট খানেক পর ছু’রি বের করে ফুফার দিকে তাকিয়ে দেখলাম ফুফা মোবাইল বের করে ভিডিও করছেন বা ছবি তুলছেন। হাত থেকে ছু”রিটা পড়ে গেল। সারা শরীর অবশ হয়ে যাচ্ছে। মনে হয় অজ্ঞান হয়ে যাব! দাদি এখানে এলো কিভাবে? সকালেও সুস্থ মানুষ দেখে এসেছি। অল্প সময়ের ব্যবধানে কিসব হয়ে গেল? হিসাব মেলানোর সময় পেলাম না। তার আগেই কাঁদা ভেতর লুটিয়ে পড়লাম।

চলবে

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে