সূচনা পর্ব
#ভৈবর_নদীর_পাড়
কলমে : #ফারহানা_কবীর_মানাল
দাদি বারান্দায় রোদে বসে শাক কুটছেন। এমন সময় ফুফু এসে ঝাঁঝালো গলায় বললো, “এক পা কবরে চলে গেছে এখনও এতো শখ কেন তোমার? তোমার জামাইকে জামদানী শাড়ি কিনতে বলেছ কেন? এই বয়সে কি কেউ জামদানী শাড়ি পরে?
দাদি শান্ত দৃষ্টিতে ফুফুর দিকে তাকালেন। স্বাভাবিক গলায় বললেন, ” নগদ টাকা দিয়ে শাড়ি কিনতে বলেছি। তাতে দোষের কি?”
“ওসব তুমি বুঝবে না মা। তোমার শাড়ি কেনা নিয়ে খুব ঝামেলা হয়েছে। শাশুড়ি ননদ খুব হাসাহাসি করছে। এমনিতেই সংসার চলে না তার মধ্যে তুমি ফট করে শাড়ি কিনতে চাইলে। তা-ও আবার লাল রঙের জামদানী। একটিবারের জন্যও আমাদের কথা ভাবলে না। আমার মান-সম্মানের কথা চিন্তা করলে না!”
“করুক হাসাহাসি। তাতে কি হয়েছে? তোর শরীর তো আর পঁচে যায়নি।”
ফুফু সরু চোখে দাদি দিকে তাকালো। তার চোখে মুখে বিরক্তির ছাপ স্পষ্ট। আজ-কাল কোন কথাই দাদির ওপর প্রভাব ফেলতে পারছে না। তিনি ভাবলেশহীন ভাবে নিজের কাজ করে যাচ্ছেন। দু-দিন আগের কথা, ফুফুর বড় ননদ বেড়াতে আসবে। ফুফা বাজারের সবচেয়ে বড় মাছটা কিনে আনলেন। বহু যত্নে সেই মাছ রান্না করা হলো। মাছের কোন পিস কার পাতে যাবে তাই নিয়ে বিশাল মিটিং। রান্নাঘরে গোল হয়ে বসে অনেকক্ষণ সেই আলোচনা চললো। ঠিক করা হলো সুমী আন্টি বেড়াতে আসছে। তাতে মাথা দেওয়া হবে। আন্টি মাছের মাথা খেতে ভালেবাসেন। তাছাড়া মেহমানের সম্মান বলেও একটা জিনিস আছে। খাওয়ার সময় দেখা গেল সেই মাছের মাথা পড়েছে দাদির প্লেটে। সুমী আন্টি দাদির প্লেট থেকে মাছের মাথাটা উঠিয়ে নিতে নিতে বলল,” আম্মা জীবনে অনেক মাছের মাথা খাইছেন। এটা আমি খাই।”
দাদি তার হাত চেপে ধরলেন। ভরাট গলায় বললেন, “অন্যের পাতের খাবার তুলে নেওয়া অসভ্যতা। এটা তোমায় কেউ শেখায়নি?”
আন্টি ভড়কে গেল। নিজেকে স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করতে করতে বলল, “মায়ের থালা থেকে মেয়ে খাবার তুলে নিলে অসভ্য হবে কেন?”
এই কথার জবাবে দাদি খুব কুৎসিত একটা কথা বলে ফেললেন। আন্টি চোখ-মুখ লাল করে খাওয়া ফেলে উঠে গেল। সেই মাছের মাথা নিয়ে বিরাট অশান্তি হয়েছে। পারলে সবাই মিলে দাদিকে বাড়ি থেকেই বের করে দিতো। পারেনি। কারণ এটা ফুফাদের বাড়ি না। এই বাড়ি আমার দাদা তৈরী করেছিলেন। করোনার সময় মা-বাবার মা’রা যাওয়ার পর ফুফুরা সবাই এ বাড়িতে এসে উঠেছে। দাদি বয়স্ক মানুষ, আমার মতো বাচ্চা ছেলেকে নিয়ে একা থাকতে পারবেন না। এসব কথা দিয়েই থাকা শুরু হয়েছিল। প্রথম দিকে দাদি রাজি হচ্ছিলেন না। ফুফা অত্যন্ত বিনয়ের সাথে বললেন, “আম্মা, আপনি বয়স্ক মানুষ। এই বয়সে রান্নাবান্নার ঝক্কি সামলাতে পারবেন না। তাছাড়া ফয়সালের বয়সও খুব বেশি নয়। বাড়ি দেখাশুনোর একটা ব্যাপার আছে। সবকিছু মিলিয়ে এসব দায়িত্ব আপনার মেয়েকেই নিতে হবে। অতো দূর থেকে এসে এতো দায়িত্ব পালন করা সহজ কাজ নয়। কাজেই যদি এখানে থাকা যেত তাহলে তার সুবিধা হতো। এই আর কি!’
ফুফার কথায় দাদি রাজি হলেন। ফুফুরা নিজেদের বাড়ি ফেলে আমাদের বাড়িতে এসে উঠলো। এ বাড়িতে থাকাতে গিয়ে তাদেরও অনেক ঝক্কি পোহাতে হয়েছে। বড় সাহেবের হাতে পায়ে ধরে ফুফার চাকরির বদলি করাতে হয়েছে। ফুফাতো দুই ভাই স্কুল বদলাতে হয়েছে। তিশার আপুর কলেজ পাল্টাতে হয়েছে। বিশাল ঝামেলা। সে ক’দিন ফুফার অনেক দৌড়াদৌড়ি করতে হয়েছে। অথচ তাকে দেখে মনেই হয়নি তার কষ্ট হচ্ছে। হাসি-হাসি মুখ করে সবকিছু সামলে নিয়েছেন। প্রথম দিকে সবাই দাদির খুব সেবাযত্ন করত। এমনকি ফুফুর শাশুড়ি পর্যন্ত মাথায় তেল চুল বেঁধে দিতো। ফুফুর ছোট ননদ তুলি। সে-ও দিনের বেশিরভাগ সময় দাদির সাথে গল্পগুজব করত। আঠারো বছরের একটা মেয়ের তেহাত্তর বছরের বুড়ির সাথে কি এমন গল্প থাকতে পারে আমার জানা নেই। তবে তারা দু’জন খুব হাসত। আমার যত্নেরও কোন ত্রুটি ছিল না। ফুফুর নিজের হাতে সাবান মেখে গোসল করিয়ে দিতেন। নিয়ম করে দু’বেলা মুখে তুলে খাবার খাইয়ে দিতেন। বেশ কয়েক মাস হলো এসব নিয়মের পরিবর্তন হয়েছে। হঠাৎ করেই কেউ আমাদের সহ্য করতে পারছে না। কেন পারছে কে জানে?
দাদি বললেন, ” রোদে দাঁড়িয়ে আছিস কেন? জ্বর হবে।”
“তুমিও তো রোদে বসে আছ। তোমার জ্বর হবে না?”
“বুড়ো হাঁড়ের জোর বেশি। সহজে কিছু হয় না। তাছাড়া একটা বয়সের পর গিয়ে এসব ছোটখাটো রোগ শরীরের বাসা বাঁধে না। তখন সব বড় বড় রোগের দেখা মেলে।”
“তোমার বয়সও তো অনেক। কই? তোমার শরীরে তো বড় কোন রোগ বাসা বাঁধেনি।”
“বেঁধেছে বৈকি! সারা রাত ঘুমতে পারি না। বারান্দার এ মাথা ও মাথা হেঁটে বেড়াতে হয়। ওষুধ খেলেও ঘুম আসে না।”
“ঘুম না হওয়া বড় রোগ নাকি?”
“হ্যাঁ, খুব বড় রোগ। যাদের ঘুম হয় না একমাত্র তারাই এ রোগের কষ্ট বুঝতে পারে।”
দাদি কথায় খিলখিল করে হেসে উঠলাম। অনেকদিন পর মন খুলে হাসতে পারছি। দাদি বললেন, “শাক বাছা হয়ে গেছে। তোর ফুফুর কাছে দিয়ে আয়।”
“আচ্ছা।”
শাকের ঝুড়ি নিয়ে রান্নাঘরের দিকে পা বাড়ালাম। ফুফু চুলায় ডাল বাগার দিচ্ছিল। আমায় দেখে চোখ-মুখ কুঁচকে বলল, “কি জন্য এসেছিস?”
“দাদি শাকের ঝুড়ি দিতে বলল।”
“তাহলে হা করে দাঁড়িয়ে আছিস কেন? ওখানে রেখে চলে যা।”
শাকের ঝুড়ি রেখে নিজের ঘরে চলে আসলাম। আজ-কাল এদের কেউই আমায় সহ্য করতে পারে না। ফুফু কথায় কথায় গায়ে তোলে। ফুফা চোখ রাঙিয়ে ছাড়া কথা বলতে পারে না। এক সময় শিমুল আর তালেবের আমার সঙ্গে খুব ভাব ছিল। তিনজন মিলে মার্বেল খেলতাম। এখন ওরাও আমার সাথে কথা বলে না। ফুফা নিষেধ করে দিয়েছে। কেন দিয়েছে কে জানে? সেদিন ওরা মার্বেল খেলছিল। আমি ওদের কাছে গিয়ে বললাম, “আমায় খেলতে নিবি?”
শিমুল গম্ভীর গলায় বলল, “না। তুই আমাদের সাথে মিশবি না।”
আমি অনেকক্ষণ ওদের কাছে দাঁড়িয়ে ঘ্যানঘ্যান করলাম। লাভ হলো না। ওরা আমায় খেলতে নিলো না। এখনও মনে আছে সেদিন স্কুলে টিফিন পিরিয়ডের সময় অনেকক্ষণ কেঁদেছিলাম। রাতের বেলা তালেব বলল, “আব্বা আমাদের তোর সাথে খেলতে নিষেধ করেছে। দেখতে পারলে খুব মা’র’বে। তুই কষ্ট পাস না ভাই।”
সেসব কথা আমি দাদিকে বলিনি। মা বাবা না থাকলে বাচ্চারা খুব সহজে বড় হয়ে যায়। আশেপাশের অনেক জিনিস তাড়াতাড়ি বুঝতে শেখে। আমিও কিছু বুঝেছিলাম। তাই তারপর থেকে আর কখনও শিমুল আর তালেবের সাথে কথা বলি না। স্কুলে যাওয়ার সময় ওদের আগে আগে হেঁটে চলে যাই।
ফুফা আজকে অফিসে যাননি। বাড়িতে বসে খবরের কাগজ পড়ছেন। মাঝেমধ্যে উঁচু গলায় সেসব খবর পড়ে শোনাচ্ছেন। কেউ শুনছে না। তবুও তিনি পড়ছেন। উত্তেজনাপূর্ণ খবরগুলো লোকের কাছে বলে বেড়াতে ভালোই লাগে। আমারও ভালো লাগে। ইচ্ছে করে দারুণ একটা খবর দিয়ে সবাইকে চমকে দিই। লোকজন সেই খরব শুনে আঁতকে উঠুক। কিন্তু তেমন কোন খবর আমার কাছ পর্যন্ত পৌঁছায় না। বিছানায় শুয়ে ‘আরব্য রজনী’ পড়ছিলাম। তালেব এসে বলল, “বাবা তোকে ডাকছে।”
মেরুদণ্ডের মধ্যে দিয়ে হিমশীতল স্রোত বয়ে গেল। ফুফা আমায় ডাকছে কেন? গত চারমাসে তিনি মোট সাত বার আমায় ডেকেছন। সাত বারই কোন না কোন অন্যায়ের বিচার করেছেন। শিমুল তালেবের জন্য রাখা বেতের লাঠি দিয়ে বিশ্রীভাবে পি’টিয়েছেন। দু’বার জ্বর এসে গেছিল। ডাক্তার ডাকতে হয়েছে। দাদি ভীষণ রাগারাগি করেছিলেন। প্রতিবারই ফুফা ভাবলেশহীন গলায় বলেছেন, “বাচ্চা ছেলে অন্যায় করলে শাসন করতে হয়। এতে এতো রাগারাগির কিছু নেই। আমি শিমুল আর তালেবকেও পিটাই। ওদের ভালোর জন্যই মা’রি।”
দাদি আর কিছু বলতে পারেননি। ফুফা নিজের ছেলেদের মা’রে কথাটা সত্যি। কুকুর পে’টানোর থেকেও বেশি পে’টায় ওদের। ফুফু তখন ছেলেদের হয়ে ঝগড়া স্বামীর সাথে ঝগড়া করেন। কখনও সখনও দু-একটা কুৎসিত গালাগালি দিয়ে বসেন। তবে আমায় বেলায় কখনও এমনটা হয় না। আমায় কিছু বললে ফুফু প্রতিবাদ করে না। বরং ফুফাকে সাপোর্ট দিয়ে বলে, “বাচ্চা ছেলে অন্যায় করলে শাসন করতে হয়। এটা দোষের কিছু না। মানুষটা অন্যায় সহ্য করতে পারে না। নিজের ছেলেদেরও ছেড়ে কথা বলে না।”
কাঁপতে কাঁপতে ফুফার সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম। অন্যদিনের চেয়ে আজকে একটু বেশি ভয় লাগছে। অবশ্য এর কারণও আছে। গত শুক্রবার ফুফা একটা পদ্ম চারা কিনে এনেছেন। ছাঁদের টবে পানি দিয়ে সেই চারা লাগানো হয়েছে। আজ দেখতে গিয়ে ওটার শেকড় ভেঙে ফেলেছি। এ খবর ফুফার কানে গেলে উনি আমায় জ্যান্ত পুঁ’তে ফেলবেন। ফুফা শান্ত চোখে আমার দিকে তাকালেন। বরফ শীতল গলায় বললেন, “ফয়সাল মিয়া খবর ভালো?”
জড়ানো গলায় বললাম,”হ্যাঁ, ভালো।”
“পড়াশোনার কি অবস্থা? কেমন চলছে?”
“ভালো চলছে।”
তালেব আমার পাশে দাঁড়িয়ে ছিল। ফুফা তার দিকে তাকিয়ে ধমক দিয়ে বললেন, “এখানে কি শুনছিস? তোকে না চা আনতে বললাম?”
তালেব মাথা চুলকাতে চুলকাতে চলে গেল। ফুফা অস্বাভাবিক কোমল গলায় বললেন, “ফয়াসাল মিয়ার মাছ ধরার শখ আছে নাকি?”
“জ্বি।”
“তা ভালো। ভৈরব নদীতে বিশাল আকারের চিংড়ি মাছ পাওয়া যাচ্ছে। যাবে নাকি? তোমাতে আমাতে গিয়ে দু’চার কিলোগ্রাম ধরে আনবে নাকি?”
ডান দিকে মাথা কাত করলাম। মাছ ধরার প্রতি এক ধরনের দূর্বলতা আছে আমার। ফুফা বললেন, “তাহলে তৈরি থেকো। দুপুরে খাওয়ার পর পর বেরিয়ে পড়বো।”
“আচ্ছা। থাকব।”
“শিমুল আর তালেবকে বলার দরকার নেই। হাদা দু’টো মাছ ধরতে জানে না। শুধু খেতে জানে।”
“জ্বি আচ্ছা।”
“তোমার দাদিকেও বলার দরকার নেই। উনি জানতে পারলে তোমায় যেতে দিতে চাইবে না।”
“জ্বি৷ মনে থাকবে। আমি কাউকে কিছু বলব না।”
“এইতো ইন্টারলিজেন্ড বয়!”
সারা দুপুর উত্তেজনায় কাটলো। পরীক্ষা শুরু হবার আগে রাতে এমন উত্তেজনা থাকে। খাওয়ার সময় বিশেষ খেতে পারলাম না। দাদি ভ্রু কুঁচকে আমার দিকে তাকিয়ে ছিলেন কিন্তু কিছু বলেননি। বললেই সর্বনাশ হয়ে যেত। আমি আবার মিথ্যে বলতে পারি না। মিথ্যে কথা বলতে গেলে খুব হাসি পায়।
বাড়ির সামনের আতা গাছের নিচে বসে আছি। খাওয়া শেষ করার পরপরই এখানে চলে এসেছি। দাদি দেখলে ডেকে নিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিতেন। ঘড়িতে প্রায় তিনটে বাজে। ফুফা আসছে না। চাতক পাখির মতো সদর দরজার দিকে তাকিয়ে আছি। হঠাৎ করে তিশা আপু ছুটে এলো। একটা চিরকুট মতো আমার হাতে গুঁজে দিয়ে হিসহিসিয়ে বলল, “এই কাগজটা পড়ে দেখ।”
বলেই এক দৌড়ে ঘরের মধ্যে চলে গেল। এবং প্রায় সেই মুহুর্তে ফুফা এসে হাজির হলেন। স্বাভাবিক গলায় বললেন, “যাওয়া যাক।”
আমি মাথা নাড়লাম। শুনেছি নদীর পাড়ের রাস্তায় কাঁদা থাকে না। জোয়ারের পানিতে ধুয়ে চলে যায়। কথাটা মিথ্যে। গোটা রাস্তায় হাঁটু কাঁদা হয়ে আছে। ফুফা বিরক্ত চোখে কাঁদার দিকে তাকিয়ে আছেন।
“মাছ ধরা হবে না ফুফা?”
“হবে না কেন? তুমি একটু এখানে দাঁড়াও। ওদিকের রাস্তায় কাঁদা আছে কি-না দেখে আসি।”
ফুফা ব্যস্ত পায়ে ঝোপের আড়ালে হারিয়ে গেলেন। একা একা দাঁড়িয়ে থাকতে ইচ্ছে করছে না। পকেটে হাত দিয়ে তিশা আপুর দেওয়া কাগজের টুকরোটা বের করলাম। আপুর হাতের লেখা খুব সুন্দর। ছাপা হরফের মতো। কিন্তু আজকে কেমন হিজিবিজি করে লিখেছে। কাগজটা দুমড়ে মুচড়ে গেছে।
‘আব্বা তোকে মে’রে ফেলবে। তুই তার সাথে একা কোথাও যাস না।’
বহু কষ্টে লেখাগুলো পড়তে পারলাম এবং পরমুহূর্ত থেকে আমার হাত-পা অবশ হয়ে যেতে শুরু করলো। আমি যেন বরফের মতো জমে যেতে শুরু করেছি। প্রথমে পায়ের পাতা তারপর হাঁটু থেকে শুরু করে মাথার চুল পর্যন্ত জমে গেছে। হঠাৎ ঝোপের আড়াল থেকে ফুফার দেখা মিললো। উনার সাথে আর একজন অচেনা লোক হেঁটে আসছে। এই গরমের মধ্যে লোকটার গায়ে কালো চাদর জড়ানো। হাত দু’টো সেই চাদরের আড়ালে অদৃশ্য হয়ে আছে। অনুভব করলাম আমি পড়ে যাচ্ছি। আমার শরীর নিজের ভর সইয়ে পারছে না।
চলবে