“““ ভৃতুরে দৃর্গ””””””””
…….প্রথম পর্ব…….
ষোল বছর বয়সে স্বপ্নটা প্রথম দেখি আমি কি
দেখি পাঠকদের বলছি সে কথা। দেখি লাল রঙ্গের
মস্ত বড় এক বাড়ির সামনে দাড়িয়ে আছি আমি।
কিছুক্ষণ পরে এক ভদ্রলোক এসে বললো
বাগানে গিয়ে চা খাও। আমি রিডিং রুম ও কিচেন
পেরিয়ে বাগানে চলে এলাম। বাড়ির পিছনের দিকে
বাগান টা। 6 জন নারী পুরুষ সেখানে বসে চা পান
করছে। কিন্তু তাদের আমি চিনতে পারলাম না।
এরপর একজন লোক হঠাত করেই কথা বলে
উঠলো। আর এমনি মনে পড়ে গেল সে আমার
সঙ্গে একই সাথে পড়তো। যদিও চিনি না ভালো
মতো তবে স্টোন ওর নাম।ও বললো ওনারা ওর
মা বাবা ভাইবোন। বাগানে আমার ভালো লাগলো না।
কেউ কথা বললো না আমার সাথে। গরম ও প্রচন্ড।
বাড়ি ফিরতে মন চাইছে। বাগানে কিনারে প্রাচীন
এক দৃর্গ অসম্ভব উঁচু আর সরু এক দালান। মিসেস
স্টোন হঠা্ত করেই আমার দিকে তাকিয়ে বলে
উঠলেন। জ্যাক এর সাথে যাও ও তোমার ঘর
দেখিয়ে দিবে দৃর্গে থাকবে তুমি। তার কথা শুনে
সারা শরীর কেঁপে উঠলো আমার। দৃর্গ টাকে
আমার ভয়ংকর আর অশুভ মনে হতে লাগলো।
কিছুতেই ওখানে যেতে ইচ্ছা করতেছে না ।হঠ্াত
উঠে দাড়ালেন জ্যাক । আর নিজের অজান্তেই
তাকে অনুসরন করতে বাধ্য হই আমি। দৃর্গের
ভেতর আধাঁর চিরে আমরা দুজন উঠছি তো উঠছিই
সিঁড়ি যেন আর ফুড়ায় না। শেষমেষ আমরা কামরাটার
বাহিরে এসে দাড়ালাম। ্জ্যাক দড়জাটা মেলে ধরে ।
আর প্রতিবারই ঘুম ভেঙ্গে জেগে উঠিএই
পর্যন্তই শেষ। বহুবার এই স্বপ্নটা আমি দেখেছি।
প্রতিবারই সেই বাগান দৃর্গ আর সেই ফ্যামিলি টাকে
দেখি আর আতঁকে উঠি।
মিসেস স্টোন যখন বলেন জ্যাক ্ এর সাথে যাও
ও তোমায় ঘর দেখিয়ে দিবে দৃর্গে থাকবে তুমি।
অন্ধকারময় সিঁড়ি বেয়ে দৃর্গে উঠতে বাধ্য হই আমি
এবং জ্যাক দরজাটা খোলা মাএই ঘুম ভেঙ্গে যায়।
কামরাটার ভিতরে কি আছে জানা হয়না আমার।
এরপর আর এক কান্ড স্বপ্নে দেখা মানুষগুলোর
ছবি বদলাতে লাগলো। মিসেস স্টোনের চুল
প্রথমটাতে কালোছিল। কিন্তু ১৫ বছর বাদে
পেঁকে সাদা হয়ে গেছে। তিনি নিজেও বিধবা আর
দুর্বল হয়ে পড়েছেন ।জ্যাক এর বয়স ও বেড়ে
গেছে। প্রায়ই অসুস্হ থাকে সে। ওর এক
বোনকে এখন আর দেখিনা তার নাকি বিয়ে হয়ে
গেছে। এই মানুষ গুলোকে ভালো লাগেনা
আমার। আর এই স্বপ্নটা দেখার বিন্দুমাত্র ইচ্ছেে
হয়না আমার। কিন্তু রাতের বেলা ঘুমের মধ্যে
অপ্রিয় এই স্বপ্নটা দেখেই যেতে হচ্ছে
আমাকে। তারপর হঠা্ত একদিন ৬ মাস এর জন্য বন্ধ
হলো স্বপ্ন দেখা। আমিও হাফ ছেড়ে বাঁচলাম
ভুলে যেতে চাইলাম সেই বাগান সেই মানুষগুলো
আর সেই দৃর্গের কথা। কিন্তু তারপর একরাতে
আবার দেখলাম স্বপ্নটা। এবারে অবশ্য মিসেস
স্টোন নেই এবং তার পুরো পরিবারের পরণে
শোক পোশাক। মিসেস স্টোন মারা গেছেন।
ভাবলাম এইবার হয়তো জ্যাক আমাকে আর দৃর্গে
নিবেনা ।কিন্তু সহসা মুখ খুললেন মিসেস স্টোন।
বললেন জ্যাক এর সাথে যাও ও তোমাকে ঘর
দেখিয়ে দিবে দৃর্গে থাকবে তুমি ।তাকে
দেখতে পেলাম না অথচ ঘর দেখিয়ে দিবে। যথা
রীতি অনুসরন করছি জ্যাক কে ।
এদিকে দৃর্গটায় আঁধার ঘন হয়েছে আরও দৃর্গের
একটি জানালা থেকে লক্ষ করলাম বাগান টার ঠিকমাঝ
বরাবর গাছের নীচে এক স্মৃতি ফলক এবং
সেখানে লেখা অভিসপ্ত বিপদজনক জুলিয়া
স্টোনকে মনে করবেন না ।দরমর করে উঠে
বসলাম ঘুম ভেঙ্গে। সে বছর আগস্ট এর শেষ
সপ্তাহে জন কিংটন নামের এক বন্ধুর সাথে তাদের
নতুন এক বাসায় বেড়াতে গেলাম ও নিজেও অবশ্য
এই প্রথমই যাচ্ছে ।তোমার ভালো লাগবে
বললো জন ।আমার বাসার লোকজন ও আছে
ওখানে তুমি যতো খুশি ঘুরে বেড়াও সাতার কাটো
কোন অসুবিধা নেই। রোববার বিকালে গাড়ি নিয়ে
ওখানে চলে যাবো আমারা বললো জন।
রোববার সকাল সাড়ে সাতটায় রওনা দিলাম আমরা।
অনেক লম্বা সুন্দর একটা জার্নি এর পর। ওই গ্রামে
যখন এসে পৌছালাম তখন বিকেল প্রায় ৫টা। বাড়িটা চিনিনা
বলে একলোকের কাছে পথ জানতে চাইলাম।
সে বললো নদীর ওপারে গাছের ঝটলার পিছনে
বাড়িটা ।গ্রামের বাহিরে বাড়িটা। গাড়ি চালাচ্ছে জন এবং
আমি পিছনে বসে আছি অনেক গরম পড়ছে আমি
গাড়ির পিছনে শুয়ে ঘুম দিলাম।গাড়ি থামতেই ঘুমটা
ভাঙ্গলো আমার ।তখনি আমি নিজেকে আবিষ্কার
করলাম বহুবার স্বপ্নে দেখা সেই বাড়িটার সামনে ।
******
****-*Sharif hossain hridoy ******
**********
চলবে ****