“সরে যান, আমার বাচ্চা হবে। সরে যান, আমার বাচ্চা হবে।”
সক্কাল বেলা এরকম উদ্ভট চিৎকার শুনে ঘুম থেকে লাফিয়ে উঠলাম। বারান্দায় গিয়ে তাকিয়ে দেখি আমাদের পাশের ফ্ল্যাটের নিতুন বারান্দায় দাঁড়িয়ে চিৎকার করছে।
নিতুনের বয়স পাঁচের বেশি নয়। তার মুখে এরকম কথা শুনে আমি তো পুরাই টাস্কি খাইলাম। মনে মনে ভাবলাম, হায়রে এমন দিনও দেখতে হইল! দুনিয়াডার একি হাল! আমার মাথায় এসব সাতপাঁচ চিন্তা ঘুরতেছে এমন সময় দেখি নিতুনের মা আইসা নিতুনের মুখ চাইপা ধরছে। নিতুনকে তার মা টেনে ঘরে নিতে চাইছে, আর সে ছটফট করছে। ছটফট করতে করতে একসময় সে নিজেকে মুক্ত করে ফেলল। তার মা তাকে বলল, “এগুলো কি উল্টাপাল্টা বলছ, নিতুন! এগুলো তোমাকে কে শিখিয়েছে?”
”আমাকে কেউ শিখায়নি মা, আমার সত্যি বাচ্চা হবে।”
”কি!”
”হ্যাঁ, কাল রাতে তো আমি আপুর সাথে শুয়েছিলাম। আপুকে কে জানি ফোন দিসিল। আপু তারে বলতাছিল, না, না, আমি তোমাকে আদর করতে দিব না, তুমি আমাকে আদর করলে আমার বাচ্চা হবে, তখন আমি লোকের কাছে মুখ দেখাতে পারব না।”
”এইসব কি বলতাছস্ তুই?”
”হ্যাঁ, মা। তারপর আমার মনে পড়ল, কালকে রাতে তো আপু আমার গালে অনেক আদর করছিল, আর আদর করলে তো বাচ্চা হবে, আর বাচ্চা হলে তো কাউকে মুখ দেখানো যাবে না, তাই আমি সবাইকে সরে যেতে বলছিলাম।
আম্মু, বাচ্চা হলে মুখ দেখানো যায় না কেন?”
নিতুনের মার চোখমুখ লাল হয়ে গেছে। সে চিৎকার করে নিতুনের বড় বোনকে ডাকতে ডাকতে ভিতরে চলে গেল। নিতুন আবার গ্রিল ধরে চিৎকার করছে,
”সরে যান, আমার বাচ্চা হবে।”
#বালুচররায়