প্রেয়সীর শব্দপ্রেম পর্ব-০১

0
1122

#প্রেয়সীর_শব্দপ্রেম
#ফারজানা_মুমু
[১]

“মেঘ ভাইকে বিয়ে করা আমার পক্ষে সম্ভব না মামী’মা। বারবার বলার পরেও বিরক্ত করছ কেন?”

তাসলিমা খাতুন তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে চেয়ে রইলেন। দৃষ্টি দ্বারা যদি ভ’স্ম করা যেত তাহলে এইমুহুর্তে ঝুমঝুমিকে ভ’স্ম করে ফেলতেন। ঝুমঝুমি মামীমা’কে রাগান্বিত নয়নে তাকিয়ে থাকতে দেখে নিরবে নিঃশ্বাস ফেলল। কক্ষ থেকে বেরিয়ে আসতে চাইলে তাসলিমা খাতুন আবারও পথ আটকে দাঁড়ালেন। শুধালেন, আমার সোনার টুকরো ছেলেকে প্রত্যাখ্যান করার সাহস কোথায় পাচ্ছিস? রূপের দেমাগ দেখাছ? রূপ দিয়া পানি খাবি?

কণ্ঠে ক্ষোভ জমা হলো। শব্দ উচ্চারণ করার পূর্ব মুহূর্তে জেসমিন ইশারায় থামিয়ে দিল ঝুমঝুমিকে। মায়ের ইশারায় নিশ্চুপ হয়ে দপদপ পা বাড়িয়ে বেরিয়ে পড়ল সে। পঁচিশদিন পর বাড়ি আসার পরেও ঝামেলা। এজন্যই বাড়ি আসতে চায়না সে কিন্তু মা এবং ছোট বোনকে দেখার লোভ সামলাতে না পেরে চলে আসে। ঝুমঝুমির বেপরোয়া হয়ে চলে যাওয়াতে দৃষ্টি বুলিয়ে কটাক্ষ করে বললেন তাসলিমা, মেয়েটাকে মানুষ করতে পারিস নাই জেসমিন। মুখের উপরে কথা বলে, বেয়াদব মেয়ে । মেঘের চেয়ে ভালো ছেলে তোরা পাবি?
-ভাবী, ঝুমি রাজি নয়। ও’কে বিরক্ত করা ঠিক হচ্ছে? মেয়ে আমার সবদিক সামলে বাড়ি আসে, ঝামেলা না করলে হয়না?

ক্ষো’ভে ফেটে পড়েন তাসলিমা। নাক ফুলিয়ে দম ছেড়ে বাজখাঁই কণ্ঠে বললেন, মেয়ে বুড়ি হলে কামলাও আসবে না বিয়ে করতে। বাবাহীন ,অনাথ মেয়েটা’কে ঘরে তুলতে চাচ্ছি। তোদের ভালোর জন্য আমার ছেলেটাকে জলে ভাসানোর চিন্তা করিনি। নুন খেয়ে নি’ম’ক’হা’রা’মি করিস না।

জেসমিন শব্দ উচ্চারণ করল না। নীরব থেকে নিজের বরাদ্ধ কক্ষে পা বাড়ালো। ভাইয়ের সংসারে দু’মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে থাকছেন, কথা বলার সাহস নেই। জেসমিনের নীরব ভূমিকা তাসলিমার গায়ে আগুনে ঘি ঢালার মত কাজ করল। ফোঁসফোঁস করতে-করতে স্থান ত্যাগ করলেন।

_________

ঝামেলা-ঝঞ্জাটের সমাপ্তি নেই। তাসলিমার কাছ থেকে রেহাই পেয়ে মেঘের সামনে পড়ল ঝুমঝুমি। চিত্তে চিনচিনে ব্যাথাটা বাড়তে শুরু করল। ঠোঁটজোড়া কাঁপছে। দাঁত দিয়ে চেপে ধরলো ঠোঁট। পাশ কেটে যাওয়ার আগেই প্রগাঢ় কণ্ঠ ভেসে আসলো,
-” আমাকে অবজ্ঞা করছিস কেন?
-” আপনাকে ভাইয়ের নজরে দেখে আসছি। হঠাৎ স্বামীর নজরে দেখার কথা বলা হচ্ছে। আমার পক্ষে সম্ভব নয় মেঘ ভাই। প্লিজ মামী’মাকে বুঝিয়ে বলুন।

মুখশ্রী লাল আপেলের রূপ ধারণ করল। চোয়াল শক্ত, চক্ষুর সাদা আকৃতি রক্তিম হলো। ঝুমঝুমিকে দেওয়ালের সাথে ধা’ক্কা দিয়ে দু’হাত দেওয়ালে ঠেসে ধরল।
-” আমরা তোদের জন্য যা করেছি তার বিনিময়ে আমাকে বিয়ে করা যাবে না? তোর বাপ ম’রা’র পর আমাদের বাড়ি থাকতে না দিলে কই যেতি তোরা? রূপের বড়াই দেখাচ্ছিস? যদি তোর রূপ নষ্ট করে দিই তখন কী করবি? তখন কেউ আসবে না বিয়ে করতে।

একদলা থুথু ফ্লোরে ছুঁড়লো ঝুমঝুমি। অমায়িক হেসে বলল, ভালো মনের মানুষকে বিয়ে করব। আপনার মত ঘর শত্রু বিভীষণকে নয়। ছাড়ুন আমায়।
-” যদি না ছাড়ি? দুটাকা ইনকাম করে ধরাকে সরা জ্ঞান করছিস। তোর বাবার মৃত্যুর পর থেকে তোদের তিনজনকে খাইয়ে-দাইয়ে অর্থ ব্যায় করছি সব এমনি-এমনি।
-” আমার বাবার রেখে যাওয়া অর্থ আমাদের দেওয়া হচ্ছে। আপনাদের দয়ায় আমরা খাচ্ছি না, থাকছি না। বুঝেছেন?

ঝুমঝুমির নরম তুলতুলে গাল শক্ত করে চেপে ধরল মেঘ। ব্যাথায় ঝুমঝুমি কঁকিয়ে উঠলো। মেঘের সেদিকে লক্ষ্য নাই। চোখের কার্নিশে চিকচিক করা অশ্রুবিন্দু গড়িয়ে পড়ল গাল বেয়ে। হাতে তরল পদার্থের উপস্থিতি টের পেয়ে মেঘ কিছু একটা ভেবে চোখের অশ্রু মুছে দিয়ে গালের সাথে গাল লাগিয়ে বলল, টিউশনি ছেড়ে দে, এতেই তোর মঙ্গল।

চলে গেল মেঘ। ঝুমঝুমি সেখানে দাঁড়িয়ে থেকে দু’ফোঁটা অশ্রু বিসর্জন দিয়ে মনেমনে বাবাকে স্মরণ করল। প্রিয় মানুষের ভয়ংকর রূপ চোখের সামনে ফোটে উঠা দেখে ভয়ে চুপসে গেল মন। ওড়নায় হাত গলিয়ে বিড়বিড় করে বলল, আল্লাহ ধৈর্য দাও। বাঁচতে সাহায্য কর।

_____________

পড়ন্ত বিকেল, ঝিরিঝিরি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আকাশ কাঁপিয়ে যোগান দিচ্ছে বৃষ্টির আবাস। হাওয়া বইছে বিশাল আকৃতির। ওড়না কোমরে বেঁধে দুহাত উপরে তুলে তা-তা থৈ-থৈ করে নেচে চলেছে তৃষ্ণা। বছরের প্রথম বৃষ্টির ছোঁয়ায় নিজেকে গড়ে তুলেছে কিশোরী। তৃষ্ণার নাচের সাথে তাল মিলিয়েছে নীরা। দুজনের ছেলেমানুষী নজরে পড়ায় কটমট করে তাকিয়ে আছে ঝুমঝুমি। ওর মাঝে বিরাজ করছে রাগ।
-” ছাদ থেকে নামবি না আমি বাসায় গিয়ে দরজা আটকাবো। ম’রে গেলেও দরজা খুলব না।

বিরক্তি প্রকাশ করে তৃষ্ণা বলল, ঝুমি তোর মাঝে আমিষের ছোঁয়া খোঁজে পাইনা রে। নিরামিষ, জটিল,কঠিন কেন রে তুই? পাথরের হৃদয় নিয়ে ঘুরতে কষ্ট হয় না?
-” না হয় না। আসবি নাকি চলে যাব?

নীরা তৃষ্ণার হাত চেপে ধরে ছাদ থেকে নামলো। ওদের সামনে হনহন করে হেঁটে চলেছে ঝুমঝুমি। পিছু হেঁটে দুজন ফিসফিস করতে ব্যাস্ত।
-” এর নাম ঝুমঝুমি কে রেখেছে বল তো? নামের সাথে ব্যাক্তির মিলের ছিটেফোটাও নাই।
-” জন্মের পর মধুর পরিবর্তে নিমপাতার রস গিলছে এ মাইয়া আই অ্যাম হান্ড্রেড পার্সেন্ট সিওর।

দুজনের ফিসফিসানি কানে বাজতেই ধমকে উঠল ঝুমঝুমি। রাগান্বিত স্বরে বলল, আরেকবার বাক্য উচ্চারণ করলে রুমে জায়গা দিবো না। ভিজা কাপড়ে বাইরে দাঁড় করিয়ে রাখব।
-” সমস্যা নেই আমাদের জামা-কাপড় দিয়ে হলেও রক্ষা করব ।

সিঁড়ির উপর থেকে পুরুষালি কন্ঠস্বর ভেসে উঠল। তিনজন দৃষ্টি উপরে ফেলল দেখল হেলেদুলে দাঁড়িয়ে আছে চারজন ছেলে। দেওয়ালে পিঠ দেখিয়ে দাঁতে নখ কাটা ছেলেটা কথা বলার পর পরেই রেলিং-এ ঝুঁকে থাকা ছেলেটা কষ্ট পাওয়ার অভিনয় করে প্রশ্ন করল, আপনাদের ঘরে জামা-কাপড় নেই? আমাদের পুরান টিশার্ট, জিন্স আছে নিবেন? চাইলে গোপন পোশাকও দিতে পারি।

দু’সিঁড়ি সামনে দাঁড়ানো ছেলেটা এক পা দেওয়ালে বাজ করে ঝুমঝুমিদের দিকে পলকহীন চোখে তাকিয়ে বলল, কে হো তোমরা আসমানের পরী, বাস্তবে দিয়েছ দেখা নাকি কল্পনাতে ঘুরি?

চতুর্থ ছেলেটি নীরবে দাঁড়িয়ে রইল। ফোনের মাঝে দৃষ্টি, মনোযোগ,মনস্থির। চারদিকে কী হচ্ছে সে জানে না। দুনিয়া এলোমেলো হয়ে গেলেও তার দৃষ্টি ফোন থেকে সরবে না বলে ঠিক করেছে। ঝুমঝুমি তিনজন ছেলের কথা শুনে চতুর্থ ছেলেটির উদ্দেশ্য প্রশ্ন ছুঁড়লো, এবার আপনি কিছু বলে ষোল-আনা পূর্ণ করুন। আমাদের রুমে যেতে হবে।

অবাস্তব কাহিনী চোখের সামনে ঘটলে সকলে কেমন চমকে উঠে ঠিক ঝুমঝুমির বলা প্রশ্নে চারজন ছেলে চমকে উঠল। কেশে ফেলল ফোনে স্ক্রল করা ছেলেটি। বন্ধুদের পানে তাকিয়ে ইশারায় বুঝাল, কী হয়েছে? ফোনে মনোযোগ থাকায় পূর্বে কী ঘটেছে সে জানে না। চারজন ছেলেকে চুপ থাকতে দেখে ঝুমঝমি আবারও শুধাল, আর কিছু বলবেন?

চারজন মাথা ঝাঁকিয়ে না বুঝাল। নীরা,তৃষ্ণা সামনে পা রাখলো। ঝুমঝুমি তখন পিছু ফিরে আবারও বলল, পুরানো জিন্স,টিশার্ট দরজার বাহিরে রেখে যাবেন। আমাদের রুমের পাপোশগুলো ছিঁড়ে গেছে। মাসের শেষ বাড়তি খরচ করা যাবে না। টিশার্ট,প্যান্ট দিয়ে নাহয় দু-তিনমাস চালিয়ে দিবো আর হ্যাঁ গোপন পোশাকটির দরকার নেই আমাদের, বলা তো যায়না আপনাদের রুমের পাপোশ ছিঁড়ে গেলে তখন কোথায় হাত পাতবেন। দরকার হতে পারে।

চলে গেল তিনজন। ভদ্রভাবে, সূক্ষ্ম বুদ্ধি খাটিয়ে অপমান করে গেল। ছেলে চারজন হা করে কথাগুলো গিললো। বুঝল মেয়েটি ওদের ভদ্রভাবে বুঝিয়ে দিল ওরা কতখানি নগণ্য। দুনিয়াতে শব্দের অভাব নেই তাইবলে পাপোশ? শেষমেষ পা মুচনি বলে অপমান। যে ছেলেটি চুপচাপ দাঁড়িয়ে ছিল ফুঁসে উঠল সে, তেজপাতা মেয়েটা’কে গরম তে’লে না ছাড়া অব্দি আমার শান্তি নেই। জ্বা’লি’য়ে-পু’ড়ি’য়ে কয়লা না বানালে আমার নামও আষাঢ় নয়।

________

রুমে আসার পর থেকেই বেজে চলেছে তৃষ্ণার বকবকানি। ভিজে থাকার জন্য ছেলেদের সাথে কথা বলেনি। দ্বিতীয়বার সামনে পড়লে ইচ্ছেমত ধুয়ে দিবে। নীরা তোয়ালে দিয়ে চুলের পানি মুছে মৃদু-মৃদু হেসে চলেছে। তৃষ্ণা সেদিকে লক্ষ্য করে পা দিয়ে ধাক্কা দিয়ে বলল, মতলব কী? হাসছিস কেন?
-” ছেলেগুলো কত সুইট। সবগুলো লুকিং সো হট। আমার তো……!

নাক ছিটকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকালো ঝুমঝুমি। পূর্বে বলা কথা ফের বলার আগেই নীরা থমকে গিয়ে মুখে হাত রাখল। তৃষ্ণার পানে অসহায় নজরে তাকাল, দোস্ত বাঁচা প্লিজ।

মুখ বাঁকালো তৃষ্ণা। বিড়বিড় করে বলল, নিজে বাঁচলে বাপের নাম। তোর কোনদিক দিয়ে ছেলেগুলোকে সুইট মনে হলো? একেকটা খবিশের দল। মেয়েদের সাথে ফ্লার্ট করে,দেখে নিবো।

দুজনের দিকে দৃষ্টি বুলিয়ে শান্ত গলায় ঝুমঝুমি বলল, ওদের থেকে দূরে থাকবি। মোমের গায়ে আগুন ধরলে মোম গলবে স্বাভাবিক। মোমকে ধ্বংস করতে আগুনের বেশি সময় লাগবে না। যা বলেছি মাথায় গিথে রাখ। আমার টিউশনি আছে আমি যাচ্ছি। দরজা ভালো করে বন্ধ করবি। আমি না আসা অব্দি দরজা খুলে বের হবি না। ছাদে তো নাই। ছেলেগুলো আবার বিরক্ত করতে পারে সতর্ক থাকবি।

এতগুলো উপদেশ দিয়ে ঝুমঝুমি টিউশনির উদ্দেশ্য যাত্রা দিল। নীরা,তৃষ্ণা এবং ঝুমঝুমি অনার্স তৃতীয় বর্ষে পদার্পণ করেছে। ভার্সিটির পাশে ফ্ল্যাট বাসা ভাড়া নিয়ে তিন বান্ধবী থাকে। ঝুমঝুমি অন্যান্য মেয়েদের মত না, যখন থেকে দায়িত্ব শব্দের অর্থ বুঝতে শিখেছে তখন থেকে সে হেলফেল করে না দায়িত্বের। ইন্টারে পড়াশোনার পাশাপাশি কিন্ডারগার্ডেন স্কুলে জব করতো, স্কুল পড়ুয়া বাচ্চাদের পড়িয়ে যা পেত তাতে ওর পড়ালেখা এবং বোনের পড়ালেখার খরচ ভালোমতই চলে যেত। উচ্চমাধ্যমিকে খুব ভালো রেজাল্ট করার ফলে বাড়ি থেকে অনেক দূরে নামকরা সরকারি ভার্সিটিতে ভর্তির আবেদন করে, ভাগ্য ভালো থাকায় সুযোগও পেয়ে যায় কিন্তু সমস্যা হয় থাকা নিয়ে। ভার্সিটির হোস্টেলে দুবছর কাটিয়ে দেয়। হোস্টেলে নীরা এবং তৃষ্ণার সাথে ওর পরিচয়। একই ডিপার্টমেন্ট, একই কলেজ। বইয়ের সমস্যায় পড়তে হয়নি। হোস্টেলে থাকাকালীন কোচিংসেন্টারে যোগাযোগ করে পড়াতে শুরু করে। যেহেতু হোস্টেল সন্ধ্যায় টিউশনি করানোর সুযোগ নেই। নীরা ও তৃষ্ণা আইডিয়া দিল তারা তিনজন নতুন ভাড়া বাসায় থাকবে। ওরা যে বাসাটা ভাড়া নেয় ওই বাসার আন্টি-আঙ্কেল খুব ভালো। ঝুমঝুমির কথা চিন্তা করে নামমাত্র অর্থের বিনিময়ে বাসাটি ভাড়া দেন। সকালে কোচিং সেন্টার, সন্ধ্যায় দুটো টিউশনি সবমিলিয়ে ব্যাস্ত জীবন ঝুমঝুমির । তবুও মেয়েটার মাঝে আক্ষেপ নেই। মামা কিংবা ওনার ফ্যামিলির দয়া ছাড়া নিজের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে শুধু।

নিভু-নিভু আলো ছড়াচ্ছে ধরণী জুড়ে। দূর থেকে শোনা যাচ্ছে মসজিদের মাইকে আযানের ধ্বনি। পাশেই রয়েছে কালীবাড়ি। সন্ধ্যা বেলায় শঙ্খ বাজানো হয় এপারায়। নিজস্ব ধর্মের অনুসারে ব্যাস্ত মানব-মানবী। ঝুমঝুমি ক্লাস নাইনের পড়ুয়া দুজন ছেলেকে পড়ায় বসিয়ে অন্য আরেকটি রুমে প্রবেশ করল। রুমটা নামাজ আদায়ের জন্য তৈরি করা। ফরয ও সুন্নত নামাজ আদায় করে ক্লান্ত শরীরে চেয়ারে বসতেই বাড়ির গিন্নি একবাটি নুডলস হাতে ঝুমঝুমির সামনে এগিয়ে দিয়ে মিষ্টি হেসে বলল, ভালো আছো ঝুমঝুমি?

মিষ্টি করে হাসলো ঝুমঝুমি। প্রশ্নের উত্তর দিয়ে ছেলে দুটোকে পড়াতে ব্যাস্ত হয়ে পড়ল। মহিলাটি নির্দ্বিধায় বসে থেকে একমনে দেখে যাচ্ছে ঝুমঝুমিকে। সেদিকে লক্ষ্য না করে পড়াশোনাতে অভিনিবেশ রাখল ঝুমঝুমি।

________________
কৃত্রিম আলো রাস্তাঘাট ঝকঝকে-তকতকে। কাঁধে ব্যাগ ঝুলিয়ে আপন মনে হেঁটে চলল ঝুমি। আচম্বিতে ওর সামনে ঝড়ের গতিতে বাইক থামল। একটুর জন্য লেগে যায়-যায় অবস্থা। রাগান্বিত মুখশ্রী সামনে তাকালো, মুহূর্তেই সপ্তম আকাশে চড়ে বসলো সমস্ত রাগ। বাঁজখাই কণ্ঠে তেড়ে বলল, আপনি? এখানে কী করছেন?

##চলবে

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে